Blog

  • আশুলিয়ায় বিপুল পরিমাণ অ-স্ত্রসহ সন্ত্রা-সী মুন্না’কে গ্রেফ-তার করেছেন থানা পুলিশ

    আশুলিয়ায় বিপুল পরিমাণ অ-স্ত্রসহ সন্ত্রা-সী মুন্না’কে গ্রেফ-তার করেছেন থানা পুলিশ

    হেলাল শেখঃ ঢাকার আশুলিয়ার জামগড়ার ইস্টার্ন হাউজিং সংলগ্ন এম.এস. গলিতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে জনৈক রিপনের বাড়ির ২য় তলা থেকে সন্ত্রাসী শামীম শেখ ওরফে মুন্নাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এসময় তল্লাশিতে তার কক্ষ থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, দুই রাউন্ড গুলি, একটি চাইনিজ কুড়াল, একটি দা, তিনটি ধারালো ছুরি ও একটি লোহার পাইপ উদ্ধার করা হয়।

    পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, গতকাল রবিবার দিবাগত রাতে আশুলিয়ার জামগড়া এলাকায় একদল দুর্বৃত্ত চার যুবকের উপর এলোপাতাড়ি হামলা চালায়। স্থানীয়রা ৪ যুবককে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন।
    এ ঘটনায় এখনও কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি। হামলার কারণ, অনুসন্ধানে তদন্ত শুরু করেছে আশুলিয়া থানা পুলিশ।

    আশুলিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হান্নান সাহেব বলেন, আসামিদের চিহ্নিত করে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। সন্ত্রাস ও অপরাধ রোধে পুলিশের অভিযান চলমান রয়েছে। তিনি জানান, অপরাধী যেইহোক কাউকে ছাড় দেয়া হবে না।

  • ময়মনসিংহের ভাবখালী  ইউনিয়নে ভিডব্লিউবি কার্যক্রমের উপকারভোগী বাছাইয়ে লটারী অনুষ্ঠিত

    ময়মনসিংহের ভাবখালী ইউনিয়নে ভিডব্লিউবি কার্যক্রমের উপকারভোগী বাছাইয়ে লটারী অনুষ্ঠিত

    আরিফ রববানী ময়মনসিংহ।।
    ময়মনসিংহ সদর উপজেলার ভাবখালী ইউনিয়নে ভালনারেবল উইমেন বেনেফিট (ভিডব্লিউবি) কার্যক্রমের আওতায় ১ জুলাই /২০২৫ হতে ৩০ জুন/২০২৭ চক্রের (ভিডব্লিউবি) উপকারভোগী নির্বাচন, খাদ্য ও কার্ড বিতরণে প্রকৃত উপকারভোগী চূড়ান্ত করতে লটারির মাধ্যমে এক উন্মুক্ত যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে।

    রবিবার (২৯জুন) সকাল ১১ থেকে উপজেলা প্রশাসন ও মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর ময়মনসিংহ সদরের সার্বিক তত্বাবধানে ও ভাবখালী ইউনিয়ন পরিষদের বাস্তবায়নে ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে এই বাছাই কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার আরিফুল ইসলাম প্রিন্স।

    উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ইউএনও আরিফুল ইসলাম প্রিন্স জানান- উপযুক্ত ও প্রকৃত হতদরিদ্র উপকারভোগী বাছাইয়ে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করণে জেলা প্রশাসনের নির্দেশনায় সদর উপজেলার ১১টি ইউনিয়নে লটারির মাধ্যমে এই কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। তবে লটারি হওয়ার পরও ৩দিন সময় নির্ধারণ করা হবে এর মাঝে লটারিতে প্রাপ্ত উপকারভোগীদের মাঝে কেউ যদি এর আওতায় না পড়ে তাহলে জেলা প্রশাসক স্যারের নির্দেশনার আলোকে লটারিতে নির্বাচিতদের মধ্য থেকে যাচাইয়ান্তে বা অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্ত সাপেক্ষে যদি প্রমান হয় তিনি কার্ড পাওয়ার যোগ্য নন তাহলে তাকে বাদ দিয়ে অপেক্ষমান তালিকা থেকে ভাতাভোগী নির্বাচন করার নির্দেশনা রয়েছে। অতএব, লটারিতে নির্বাচিত হলেও যদি যাচাই-বাছাইয়ে যোগ্য না হয় তাহলে তাকে এই সুবিধা দেয়া হবে না। এভাবে প্রকৃত ও উপযুক্ত উপকারভোগীদেরদ মাঝে স্বচ্ছতার সহিত বিডব্লিউবি উপকারভোগী নির্বাচন করা হবে। এসময় তিনি উক্ত উন্মুক্ত বাছাই কার্যক্রম বাস্তবায়নে ইতিবাচক সহযোগিতা করার জন্য স্থানীয় রাজনৈতিক ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ,সচেতন নাগরিক সমাজ, গণমাধ্যম কর্মীসহ সবাইকে উপজেলা প্রশাসন,ময়মনসিংহ সদর এর পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানান। প্রকৃত উপকার ভোগী বাছাইয়ে সকলকে সহযোগিতা করারও আহবান জানান।

    এসময় ভাবখালী ইউনিয়নের উপকার ভোগী বাছাইয়ে উপজেলা প্রশাসনের নিয়োজিত টিম সম্বন্বয়কারী উপজেলা রিসোর্স সেন্টার ইন্সট্রাক্টর হায়দার জাহান,উপজেলা যুব উন্নয়ন অফিসার আলাউদ্দিনসহ
    স্থানীয় ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন বাছাই কমিটির সদস্যগণ ও রাজনৈতিক সামাজিক ও বিভিন্ন পেশাশ্রেণীর ব্যক্তিবর্গরা উপস্থিত ছিলেন।

    ইউনিয়নের দায়িত্ব প্রাপ্ত প্রশাসক ও উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আসমা উল হুসনা ফাতেমা জান্নাতুল ফেরদৌস জানান, ইউনিয়নের ৯টি ওয়ার্ড থেকে ১৫ শতাদিক আবেদন জমা পড়ে। উপজেলা প্রশাসনের নির্দেশনা অনুযায়ী ভোটার সংখ্যা অনুপাতে প্রতিটি ওয়ার্ডে নির্দিষ্ট সংখ্যক উপকারভোগী লটারির মাধ্যমে নির্ধারণ করা হয়। তিনি আরও বলেন, “এই প্রক্রিয়ায় কোনো ধরনের দুর্নীতি বা অনিয়মের সুযোগ রাখা হয়নি। সম্পূর্ণ স্বচ্ছ ও ন্যায়সঙ্গতভাবে লটারির মাধ্যমে উপকারভোগী নির্বাচন করা হয়েছে।”

    উন্মুক্ত এই লটারিভিত্তিক বাছাই প্রক্রিয়ায় এলাকাবাসী স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ করেন এবং স্বচ্ছতা বজায় রাখায় তারা সন্তোষ প্রকাশ করেন।

  • পঞ্চগড়ে সড়কের পাশে ময়-লার ভা-গাড়, বিষিয়ে উঠেছে বাতাস, নির-ব পরিবেশ অধিদপ্তর

    পঞ্চগড়ে সড়কের পাশে ময়-লার ভা-গাড়, বিষিয়ে উঠেছে বাতাস, নির-ব পরিবেশ অধিদপ্তর

    পঞ্চগড় প্রতিনিধি ।।

    পঞ্চগড় শহরের জালাসী-টুনিরহাট সড়কের পাশে সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজসংলগ্ন এলাকায় গড়ে ওঠা ময়লার বিশাল ভাগাড় থেকে নির্গত দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে সাধারণ মানুষ। প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ এই রাস্তা দিয়ে চলাচল করলেও, নাক চেপে চলাই যেন নিয়তি হয়ে দাঁড়িয়েছে। আবর্জনার দুর্গন্ধে পথচারী, শিক্ষার্থী ও স্থানীয়দের স্বাভাবিক জীবনযাপন এখন চরমভাবে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।

    দীর্ঘদিন ধরে একই স্থানে পৌরসভার সব বর্জ্য ফেলায় ভাগাড়টি এখন বিশাল স্তুপে রূপ নিয়েছে। পচা খাবার, হোটেল-রেস্তোরাঁর উচ্ছিষ্ট, হাঁস-মুরগির বিষ্ঠা, এমনকি মৃত পশুর দেহ পর্যন্ত সেখানে ফেলা হচ্ছে। এর পাশাপাশি রয়েছে মেডিকেল বর্জ্য, যা পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্যের জন্য ভয়াবহ হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে।

    “নাক চেপে হাঁটি, অনেক সময় বমি চলে আসে”

    ভাগাড়টির পাশেই অবস্থিত পঞ্চগড় সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ। দশম শ্রেণির ছাত্র গৌতম চন্দ্র রায় বলেন, “স্কুল যাওয়া-আসার সময় দুর্গন্ধে নাক-মুখ চেপে রাখতে হয়। এমন পরিবেশে প্রতিদিন চলাফেরা করা যায় না।”

    মেঘলা নামে আরেক শিক্ষার্থী জানান, “গন্ধে অনেক সময় ক্লাসে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ি। বারবার বলার পরও কেউ ব্যবস্থা নেয় না। আমরা চাই, এই ভাগাড় অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হোক।”

    ইশাত হোসেন নামের এক পথচারী বলেন, পঞ্চগড় শহরের একটি জনবহুল ও গুরুত্বপূর্ণ এলাকার পাশে গড়ে ওঠা এই ময়লার ভাগাড় এখন এক ভয়াবহ পরিবেশ ও স্বাস্থ্যঝুঁকির নাম। দ্রুত, কার্যকর ও দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধান না হলে এই অসহনীয় পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ রূপ নিতে পারে।

    ভ্যানচালক মশিউর বলেন, “বৃষ্টির সময় ভাগাড়ের ময়লা পানি রাস্তায় ছড়িয়ে পড়ে। বড় গাড়ি গেলে সেই পানি শরীর ও কাপড়ে ছিটে আসে।” আরেক চালক জমির উদ্দীন বলেন, “এখানে এলেই দম বন্ধ হয়ে আসে, যাত্রীরাও বমি করে ফেলে অনেক সময়।”

    ভাগাড়ে মাঝে মাঝে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ করেন পথচারী লিটন। তিনি বলেন, “পুড়ে যাওয়া বর্জ্য থেকে যে ধোঁয়া বের হয়, তা এমন তীব্র যে দম নেওয়া যায় না।”

    স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সামিম হোসেন বলেন, “একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও গুরুত্বপূর্ণ সড়কের পাশে এভাবে বর্জ্য ফেলা খুবই বিপজ্জনক। এর প্রভাবে জনস্বাস্থ্য চরম হুমকির মুখে পড়বে। এটি দ্রুত সরানো এবং কার্যকর বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করা প্রয়োজন। 

    পঞ্চগড় পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক ইউসুফ আলী জানান, “পৌরসভার জন্য নির্ধারিত স্যানেটারি ল্যান্ডফিল্ড ও পয়ঃবর্জ্য পরিশোধনাগার ব্যবহারের অনুমোদন আমরা পরিবেশ অধিদপ্তর থেকে দিয়েছি। কিন্তু পৌরসভা তা না করে এখনও সড়কের পাশে অনিয়ন্ত্রিতভাবে ময়লা-আবর্জনা ফেলে যাচ্ছে।”

    তিনি আরও বলেন, “আমরা সর্বশেষ ২০২২ সালের শেষ দিকে ময়লার ভাগাড়টি পরিদর্শন করেছি। এরপর আর কোনো পরিদর্শন করা হয়নি।”

    পঞ্চগড় সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মেডিকেল অফিসার ডা. মাহাবুব রহমান সুমন বলেন, “সড়কের পাশে ময়লার ভাগাড় থেকে নির্গত গ্যাসের কারণে শ্বাসতন্ত্রের নানা সমস্যা, ফুসফুসের সংক্রমণ ও অ্যালার্জিজনিত রোগ আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে। এসব ক্ষতিকর গ্যাস শরীরের ভেতরে প্রবেশ করে জটিল ও দীর্ঘমেয়াদি রোগের ঝুঁকি তৈরি করে।”

    তিনি আরও বলেন, “ রাস্তার পাশে এভাবে ভাগাড় রাখা একেবারেই অনুচিত। এর ফলে শিশু ও বৃদ্ধদের স্বাস্থ্য সবচেয়ে বেশি হুমকির মুখে পড়ে। আধুনিক ও বৈজ্ঞানিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে এ ধরনের স্বাস্থ্যঝুঁকি থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।”

    অন্যদিকে, সিভিল সার্জন ডা. মো. মিজানুর রহমান জানান, “সদর হাসপাতালে ইনসিনারেটর নির্মাণের কাজ প্রায় শেষ। এটি চালু হলে মেডিকেল বর্জ্য আর বাইরে ফেলতে হবে না।”

    চালু হয়নি পরিশোধনাগার, কোটি টাকার প্রকল্প অনির্বাহ : ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ৭ কোটি টাকা ব্যয়ে তিন একর জমির ওপর ভাগাড় আধুনিকায়নের জন্য শুরু হয় স্যানেটারি ল্যান্ডফিল্ড ও পয়ঃবর্জ্য পরিশোধনাগার স্থাপনের কাজ। যদিও প্রকল্পটি দুই বছর আগে শেষ হয়েছে, এখনো তা চালু করতে পারেনি পৌরসভা কর্তৃপক্ষ। ফলে সম্ভাব্য জৈব সার ও বিদ্যুৎ উৎপাদনের প্রতিশ্রুতি কেবল কাগজেই সীমাবদ্ধ।

    পৌর প্রশাসনের বক্তব্য: পঞ্চগড়ের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) ও পৌর প্রশাসক সীমা শারমিন বলেন, “স্বল্প, মধ্যম ও দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা নিয়েছি। ইতোমধ্যে ডাস্টবিন তৈরি, জনসচেতনতায় মাইকিং ও ডোর টু ডোর প্রচার শুরু হয়েছে।”

    তিনি আরও জানান, “গত এপ্রিল মাসে ল্যান্ডফিল্ডের চারপাশে বাউন্ডারি ওয়াল নির্মাণের সিদ্ধান্ত হয়েছে। দুর্গন্ধ কমাতে ব্লিচিং পাউডার ব্যবহার এবং অতিরিক্ত শ্রমিক নিয়োগ করা হয়েছে। আগামী অর্থবছরে আরইউটিডিপি প্রকল্পে বরাদ্দ পেলে বড় পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করব।”

  • বকশিগঞ্জে প্রাথমিক শিক্ষার গুণগত মান নিশ্চিতকরণে ইউএনও’র ব্যাতীক্রমী উদ্যোগ

    বকশিগঞ্জে প্রাথমিক শিক্ষার গুণগত মান নিশ্চিতকরণে ইউএনও’র ব্যাতীক্রমী উদ্যোগ

    আরিফ রববানী ময়মনসিংহ।।

    জামালপুর জেলার বকশিগঞ্জ উপজেলায় মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিতকরণ ও ঝরে পড়ার হার রোধে সরকারিভাবে গৃহিত সকল উদ্যোগ বাস্তবায়নের চেষ্টা চালাচ্ছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাসুদ রানা। যুগপযোগী পাঠদানে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের দক্ষতা উন্নয়নের পাশাপাশি রোধ হচ্ছে প্রাথমিক শিক্ষা থেকে ঝরে পড়ার হার। ইউএনও মাসুদ রানার প্রচেষ্টা ও দিকনির্দেশনায় এরই মধ্যে বদলে গেছে উপজেলার প্রাথমিক শিক্ষার চিত্র এবং সুফল পেতে শুরু করেছে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। ইউএনও’র মানবিকতায় বিভিন্ন কৌশলের কারণে স্কুলে ফিরতে শুরু করেছে ঝড়ে পড়া শিক্ষার্থীরা।

    সরেজমিন বিভিন্ন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক, অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাসুদ রানা বকশিগঞ্জে যোগদানের পর থেকেই প্রাথমিক শিক্ষার গুণগত মান নিশ্চিতকরণের চেষ্টা শুরু করেন। প্রাথমিক শিক্ষায় সরকারিভাবে গৃহিত সকল উদ্যোগ বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট সকলকে সাথে নিয়ে নিয়মিত বিদ্যালয় পরিদর্শন, প্রয়োজনীয় সহযোগিতা ও দিক নির্দেশনা প্রদান করে আসছেন।

    এলাকার সুধীজন, অভিভাবক, শিক্ষক ও উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাদের সঙ্গে নিয়ে শিক্ষার মানোন্নয়নে গ্রহণ করেন দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা। এর অংশ হিসেবে শিক্ষকদের মাসিক সভায় নিয়মিত অংশগ্রহণ নিশ্চিত করে শিক্ষা কার্যক্রমকে আরো গতিশীল করে তুলেছেন। এছাড়া তিনি শিক্ষা সহায়ক পরিবেশ তৈরিতেও দিক নির্দেশনা প্রদান করেন। উপজেলায় বিভিন্ন সাব-ক্লাস্টারে আয়োজিত পরীক্ষা গ্রহণ, মূল্যায়ন ও বিষয়ভিত্তিক প্রশিক্ষণ কোর্সে শিক্ষকদের পারদর্শিতা ও সক্ষমতা বাড়াতে নিয়মিত মনিটরিং শুরু করছেন। আকস্মিক স্কুল পরিদর্শন করে ছাত্র-শিক্ষক উপস্থিতির হার পর্যবেক্ষণ ও আধুনিক শিক্ষা উপকরণ ব্যবহার করে যুগপযোগী পাঠদানের পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন তিনি।তারই অংশ হিসাবে উপজেলার পশ্চিম দত্তেরচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়া প্রতিরোধে শিক্ষক অভিভাবক সমাবেশ করে স্কুলের প্রতি আগ্রহ বাড়াতে শিক্ষার্থীদের মাঝে স্কুল ব্যাগ বিতরণ করেছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাসুদ রানা।

    গত জুলাই-আগস্ট মাসে বকশিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসারের উদ্যোগে উপজেলার বিভিন্ন প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শন করে প্রাথমিক বিদ্যালয়সমূহে শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়া রোধকল্পে বিভিন্ন ইউনিয়নে উঠান বৈঠক ও অভিভাবক সমাবেশের কার্যক্রম শুরু করেন। এছাড়া নির্বাহী অফিসার ব্যক্তিগত অর্থায়নে বিভিন্ন স্কুলের দরিদ্র ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের মাঝে স্কুল ব্যাগ, শিক্ষা উপকরণ, টিফিন বক্স বিতরণ করেন। ডিজিটাল কন্টেন্ট তৈরি ও শিক্ষক-শিক্ষিকাদের মাঝে আইসিটির দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য তিনি করেন কর্মশালার ব্যবস্থা।

    বকশিগঞ্জ উপজেলায় প্রতি মাসে তিনি একদিন আয়োজন করেছেন ‘মিট দ্যা ইউএনও’ প্রোগ্রাম। এর মাধ্যমে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ক্ষুদে শিক্ষার্থীরা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে সরাসরি কথা বলার সুযোগ পাচ্ছে। এ আয়োজনে ভবিষ্যতে পরিকল্পনা গ্রহণ ও সুন্দর জীবন গঠনে সহায়ক বিভিন্ন পরামর্শ দেয়া হয়। এছাড়াও ক্ষুদে শিক্ষার্থীদের পঠন ও লিখন দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য সুন্দর হাতের লেখার জন্য বিভিন্ন বিদ্যালয়ে তিনি দেয়ালিকা উদ্বোধন করেন। ক্ষুদে ডাক্তারদের কার্যক্রম পরিদর্শন করে একাধিক স্কুলে তিনি বৃক্ষ রোপন করেন।

    বকশিগঞ্জ উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির এক শিক্ষক নেতা বলেন, শুধু সরকারি ব্যবস্থাপনায় নয়, ব্যক্তিগত অর্থায়নেও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের দুস্থ ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের মাঝে বিনামূল্যে পোশাক বিতরণ করেন ইউএনও। শিশুদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশের লক্ষে বিদ্যালয়ে পার্ক স্থাপন, ফুটবল, ক্যারাম বোর্ডসহ বিভিন্ন ক্রীড়া সামগ্রী বিতরণ, ক্লাস্টার অনুযায়ী বিভিন্ন স্কুলে শিক্ষার্থী ও শিক্ষক-শিক্ষিকাদের অংশগ্রহণে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন, মেধাবৃত্তিপ্রাপ্ত সকল শিক্ষার্থীদের উৎসাহ প্রদানের লক্ষে পুরস্কার ও সনদ বিতরণ করেছেন। এতে প্রাথমিক শিক্ষার ক্ষেত্রে গুণগত পরিবর্তন লক্ষ্য করা যাচ্ছে।

    বকশিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাসুদ রানা বলেন, জাতিকে উন্নত করতে শিক্ষার কোনো বিকল্প নেই, তাই মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিতকরণ অত্যন্ত প্রয়োজন। কারণ শিক্ষার যে বুনিয়াদ সেটি শুরু হয় প্রাথমিক শিক্ষার স্তরে, যদি সফলভাবে প্রতিটি শিক্ষার্থীর মাঝে শিক্ষার চেতনা এবং শিক্ষার সঠিক পরিবেশ নিশ্চিত করা যায় তাহলেই সাধিত হবে প্রভূত উন্নয়ন। জুলাই গণঅভ্যুত্থানের চেতনা বাস্তবায়নে আগামী দিনে উন্নত সমৃদ্ধ নতুন বাংলাদেশ গড়তে মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা বাস্তবায়নে অত্যন্ত জরুরী।

  • ইউএনও এর উদ্যোগে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যাতায়াত সুবিধার্থে সিসি সড়ক নির্মাণে খুশী শিক্ষার্থীরা

    ইউএনও এর উদ্যোগে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যাতায়াত সুবিধার্থে সিসি সড়ক নির্মাণে খুশী শিক্ষার্থীরা

    আরিফ রববানী ময়মনসিংহ।।
    জামালপুরের বকশিগঞ্জ উপজেলার টাংগারীপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ও জনসাধারনের যাতায়াতের সুবিধার্থে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের উদ্যোগে বিদ্যালয়ের সংলগ্ন প্রধান সড়কে সিসি (সিমেন্ট কংক্রিট) রোড নির্মাণ কাজ বর্তমানে চলমান রয়েছে। এতে করে দূর্ভোগের হাত থেকে রক্ষা পাবে শিক্ষার্থীসহ সকল শ্রেনী পেশার লোকজন। প্রধান সড়ক হতে স্কুলে যাওয়ার রাস্তাটি দীর্ঘদিন কাঁচা রাস্তা থাকায় শিক্ষার্থীদের চলাচলে অসুবিধা ও দুর্ভোগের শিকার হতে হতো। দীর্ঘদিন ধরে এই রাস্তাটি বর্ষা মৌসুমে পানিতে ডুবে যেত এবং কাদা ও কর্দমাক্ত অবস্থার কারণে এলাকাবাসী, বিশেষ করে শিক্ষার্থীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হতো। অবশেষে ইউএনও’র হস্তক্ষেপে শিক্ষার্থীদের দুর্ভোগ লাঘবে এই রাস্তাটি নির্মাণ কাজ শুরু করে উপজেলা প্রশাসন ও ইউএনও’র কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছেন স্থানীয় শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন পেশাশ্রেণীর ব্যক্তিবর্গরা।

    এরই মাঝে উপজেলার টাংগারীপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংলগ্ন প্রধান সড়কে সিসি (সিমেন্ট কংক্রিট) রোড নির্মাণ কাজটির উদ্বোধন করেছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাসুদ রানা।

    একই দিনে আরো বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকান্ড ও বিভিন্ন ভাতা প্রদান কর্মসূচির উদ্বোধন করেন তিনি। এছাড়াও
    টাংগারীপাড়া এলাকাবাসী কোথায় কি সমস্যা আছে তা নিরসনে পরিদর্শনসহ দিনব্যাপী ব্যাপক কর্মতৎপরতা দেখিয়েছেন।

    সুত্র জানিয়েছে-উপজেলার টাংগারীপাড়া এলাকার মেইন রোড থেকে টাংগারীপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংলগ্ন সড়ক বিদ্যালয় পর্যন্ত কোন রাস্তা না থাকায় ওই স্কুলের শিক্ষার্থী ও জনসাধারনের দীর্ঘদিন ধরে চলাচলে চরম ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে। এমন কি ওই রাস্তা না থাকার কারনে এলাকাবাসী ও স্কুলের শিক্ষার্থীরা কাঁদা পানি ও বর্ষা মৌসুমে পানিতে ডুবে যেত এবং কাদা ও কর্দমাক্ত অবস্থার কারণে
    পার হয়ে স্কুলে যাতায়াত করতে হতো। এ ভোগান্তির কথা মাথায় রেখে উপজেলা প্রশাসনের সহযোগীতায় উপজেলা নির্বাহী অফিসারের উদ্যোগে
    টাংগারীপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংলগ্ন প্রধান সড়কে সিসি (সিমেন্ট কংক্রিট) রোড নির্মাণ
    করা হয়। এতে করে ওই স্কুলের শিক্ষার্থী ও জনসাধারন দূর্ভোগের হাত থেকে রেহাই পাবে।
    স্কুলের কয়েকজন শিক্ষার্থী জানান, রাস্তা না থাকায় প্রতিদিন তাদের পানি-কাঁদা পার হয়ে স্কুলে আসতে হত। কিন্তু এখন রাস্তা নির্মান করায় আমাদের ভোগান্তির দিন শেষ হলো।

    তাদের মতে-এই জনদুর্ভোগ লাঘবে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করেন বকশীগঞ্জ উপজেলার সম্মানিত ইউএনও মাসুদ রানা। তাঁর উদ্যোগে ও তত্ত্বাবধানে বর্তমানে এই রাস্তায় সিসি ঢালাইয়ের কাজ শুরু হয়েছে, যা এলাকার মানুষের চলাচলে উন্নত- সুব্যবস্থা নিশ্চিত করবে।

    এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাসুদ রানা বলেন, আমার নিজের স্বার্থে নয় এলাকাবাসী ও স্কুল-কলেজ শিক্ষার্থীদের সুবিধার্থে রাস্তাটি আমরা নির্মান কাজ শুরু করেছি। উপজেলা নির্বাহী অফিসার আরো জানান, উপজেলার সকল বেহাল সড়ক ও স্কুল প্রতিষ্ঠানে শিক্ষারমান বাড়াতে খোঁজ নেয়া হচ্ছে। অচিরেই এর জনদুর্ভোগময় এলাকাগুলোতে পর্যায়ক্রমে উন্নয়ন কর্মকাণ্ড চালানো হবে এবং উপজেলার মাটির গ্রামীন সড়ক পাকাকরনের আওতায় আনা হবে।

  • চর নিলক্ষিয়া  ইউনিয়নে বিডব্লিউবি উপকার ভোগী বাছাইয়ে লটারী অনুষ্ঠিত

    চর নিলক্ষিয়া ইউনিয়নে বিডব্লিউবি উপকার ভোগী বাছাইয়ে লটারী অনুষ্ঠিত

    আরিফ রববানী ময়মনসিংহ
    ময়মনসিংহের সদর উপজেলার ৭নং চর নিলক্ষিয়া ইউনিয়নে দুস্থ অসহায় নারীদের জন্য মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর বাস্তবায়নাধীন ভালনারেবল উইমেন বেনেফিট (ভিডব্লিউবি) কার্যক্রমের আওতায় ১ জুলাই /২০২৫ হতে ৩০ জুন/২০২৭ চক্রের (ভিডব্লিউবি) প্রকৃত উপকারভোগী নির্বাচন, খাদ্য ও কার্ড বিতরণে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করণে ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে লটারির মাধ্যমে উপকারভোগী নির্বাচন করা হয়েছে।

    রবিবার (২৯ জুন) দুপুর আড়াইটায় ইউনিয়ন পরিষদ প্রাঙ্গণে উম্মুক্ত পরিবেশে ৮৪৭ জন আবেদনকারী থেকে ২১২ জন উপকারভোগী বাছাইয়ে যৌথভাবে এই লটারি কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মনিকা পারভীন ও উপজেলা আইসিটি কর্মকর্তা হাবিবুল্লাহ।

    এসময় উপস্থিত ছিলেন- ইউনিয়নের প্রশাসক উপজেলা অতিরিক্ত কৃষি কর্মকর্তা তারিক আজিজসহ লটারী কার্যক্রমের প্রতি ওয়ার্ডের বাছাই কমিটির সদস্য,ইউপি সদস্যগণ এবং স্থানীয় রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

  • গোদাগাড়ীর ২ মাদ-ক ব্যবসায়ী হেরো-ইনসহ সিরাজগঞ্জে গ্রেফ-তার

    গোদাগাড়ীর ২ মাদ-ক ব্যবসায়ী হেরো-ইনসহ সিরাজগঞ্জে গ্রেফ-তার

    নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী :
    রাজশাহী গোদাগাড়ীর উপজেলার ২ কুখ্যাত হেরোইন ব্যবসায়ীকে ১০০ গ্রাম হেরোইনসহ সিরাজগঞ্জে গ্রেফতার। বিষয়টি গোদাগাড়ীসহ রাজশাহীর টক অফ দ্যা টাউনে পরিনত হয়েছে।

    গত শনিবার (২৯ জুন ২০২৫) রাত ১টা ৫৫ মিনিটের দিকে সিরাজগঞ্জ জেলার সলঙ্গা থানাধীন হাটিকুমরুল এলাকার ফুড সিটি ইন হোটেল অ্যান্ড রেস্টুরেন্টের সামনে, রাজশাহী থেকে ঢাকাগামী মহাসড়কের উত্তর পাশের একটি কাঁচা রাস্তায় অভিযান চালানো হয়। অভিযানে ১০০ গ্রাম হেরোইনসহ দুইজন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় র‌্যাব ১২ এর একটি বিশেষ টীম ।

    গ্রেফতারকৃতরা হলেন, গোদাগাড়ী পৌরসভার ২ নং ওয়ার্ডের মহিশালবাড়ী মহল্লার মৃত. নৈমুদ্দিনের ছেলে মোঃ মামুন দুলাল (৩৪), ও একই এলাকার মৃত. বিজয় কর্মকারের ছেলে সুমন কর্মকার (৩৫)।
    আসামিদের কাছ থেকে হেরোইন ছাড়াও মাদক ব্যবসায় ব্যবহৃত তিনটি মোবাইল ফোন এবং নগদ ২২হাজর ৮০ টাকা জব্দ করা হয়েছে।

    র‌্যাব জানায়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃতরা স্বীকার করেছে যে তারা দীর্ঘদিন থেকে লোকচক্ষুর আড়ালে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় মাদকদ্রব্য হেরোইন সরবরাহ করে আসছিল। তারা মোবাইল ফোনে যোগাযোগের মাধ্যমে এই মাদক ব্যবসা পরিচালনা করত।
    আসামিদের বিরুদ্ধে সিরাজগঞ্জ জেলার সলঙ্গা থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

    মোঃ হায়দার আলী
    নিজস্ব প্রতিবেদক,
    রাজশাহী।

    ***Md. Haider Ali***
    01745532222
    Godagari,Rajshahi

    On Sun, Jun 29, 2025, 9:07 PM MD. Haider Ali wrote:
    গোদাগাড়ীর ২ মাদক ব্যবসায়ী হেরোইনসহ সিরাজগঞ্জে গ্রেফতার।

    নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী :
    রাজশাহী গোদাগাড়ীর উপজেলার ২ কুখ্যাত হেরোইন ব্যবসায়ীকে ১০০ গ্রাম হেরোইনসহ সিরাজগঞ্জে গ্রেফতার। বিষয়টি গোদাগাড়ীসহ রাজশাহীর টক অফ দ্যা টাউনে পরিনত হয়েছে।

    গত শনিবার (২৯ জুন ২০২৫) রাত ১টা ৫৫ মিনিটের দিকে সিরাজগঞ্জ জেলার সলঙ্গা থানাধীন হাটিকুমরুল এলাকার ফুড সিটি ইন হোটেল অ্যান্ড রেস্টুরেন্টের সামনে, রাজশাহী থেকে ঢাকাগামী মহাসড়কের উত্তর পাশের একটি কাঁচা রাস্তায় অভিযান চালানো হয়। অভিযানে ১০০ গ্রাম হেরোইনসহ দুইজন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় র‌্যাব ১২ এর একটি বিশেষ টীম ।

    গ্রেফতারকৃতরা হলেন, গোদাগাড়ী পৌরসভার ২ নং ওয়ার্ডের মহিশালবাড়ী মহল্লার মৃত. নৈমুদ্দিনের ছেলে মোঃ মামুন দুলাল (৩৪), ও একই এলাকার মৃত. বিজয় কর্মকারের ছেলে সুমন কর্মকার (৩৫)।
    আসামিদের কাছ থেকে হেরোইন ছাড়াও মাদক ব্যবসায় ব্যবহৃত তিনটি মোবাইল ফোন এবং নগদ ২২হাজর ৮০ টাকা জব্দ করা হয়েছে।

    র‌্যাব জানায়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃতরা স্বীকার করেছে যে তারা দীর্ঘদিন থেকে লোকচক্ষুর আড়ালে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় মাদকদ্রব্য হেরোইন সরবরাহ করে আসছিল। তারা মোবাইল ফোনে যোগাযোগের মাধ্যমে এই মাদক ব্যবসা পরিচালনা করত।
    আসামিদের বিরুদ্ধে সিরাজগঞ্জ জেলার সলঙ্গা থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

    মোঃ হায়দার আলী
    নিজস্ব প্রতিবেদক,
    রাজশাহী।

  • সুজানগরের কৃষক-কৃষাণীদের পক্ষ থেকে কৃষি কর্মকর্তার বিদায় সংবর্ধনা

    সুজানগরের কৃষক-কৃষাণীদের পক্ষ থেকে কৃষি কর্মকর্তার বিদায় সংবর্ধনা

    এম এ আলিম রিপন,সুজানগর ঃ পাবনার সুজানগর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোঃ রাফিউল ইসলামকে পদোন্নতিজনিত কারনে বিদায় সংবর্ধনা প্রদান করা হয়েছে। উপজেলার সর্বস্তরের কৃষক-কৃষাণীদের আয়োজনে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে এই বিদায় সংবর্ধনা দেওয়া হয়। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মীর রাশেদুজ্জামান রাশেদের সভাপতিত্বে এবং এসএপিপিও আলমগীর হোসেনের সঞ্চালনায় বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বিদায়ী উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ রাফিউল ইসলাম, অতিরিক্ত উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মোহাম্মদ ফারুক হোসেন চৌধুরী, উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার জাহিদ হোসেন, উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান, সাইদুল ইসলাম, দেলোয়ার হোসেন, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের আহ্বায়ক জাকির হোসেন, দৈনিক যুগান্তরের সুজানগর উপজেলা প্রতিনিধি এম এ আলিম রিপন, কৃষক হেলাল উদ্দিন প্রামানিক ও কৃষাণী হোসনেয়ারা খাতুন প্রমুখ। শেষে বিদায়ী উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ রাফিউল ইসলামকে উপজেলার সর্বস্তরের কৃষক-কৃষাণীদের পক্ষ থেকে সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করা হয়। উল্লেখ্য উপজেলার কৃষি ও কৃষকের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখা সফল এ কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ রাফিউল ইসলাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর পাবনার অতিরিক্ত উপ পরিচালক(শস্য) হিসেবে পদোন্নতি পেয়েছেন।

    সুজানগর(পাবনা)প্রতিনিধি।।

  • সংবাদপত্রের সম্পাদক ও সাংবাদিকদের নিরাপ-ত্তা নিশ্চিত করতে হবে

    সংবাদপত্রের সম্পাদক ও সাংবাদিকদের নিরাপ-ত্তা নিশ্চিত করতে হবে

    হেলাল শেখঃ দেশের গণমাধম-সংবাদপত্রের সম্পাদক ও সাংবাদিকদের জান মালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। পত্রিকা ছাপাতে লাগে প্লেট ও কাগজসহ বিভিন্ন মালামাল, এসবের দাম বৃদ্ধির কারণে সংবাদপত্র ছাপানো ও চালানো কঠিন। সেই সাথে প্রকৃত সাংবাদিকদের সাংবাদিকতা করাও অনেক কঠিন হয়ে পড়েছে। এর জন্য দায়ী আমরা নিজেরাই, যেখানে সেখানে সাংবাদিক হামলার শিকার হচ্ছেন এটা মানবাধিকার লঙ্ঘন। মানবাধিকার লঙ্ঘন শাস্তিযোগ্য অপরাধ জেনেও কেন মানুষ প্রায় সবখানেই মানবাধিকার লঙ্ঘন করছেন? সাংবাদিকদের উপর হামলা মামলা করা হচ্ছে কেন। ২০২৪ইং ৫ আগষ্ট গণহত্যা মামলার ভুয়া বাদি কতর্ৃক সাধারণ মানুষের নাম দিয়ে হয়রানি করছে একটি মহল।
    সাভার আশুলিয়ায় অনেক সাংবাদিকের নামে মামলা করায় পেশাগত দায়িত্ব পালন করা কঠিন হয়ে পড়েছে। এসব মামলার ভুয়া বাদী সায়েব আলী জলিলসহ অনেকেই আছে। এক দুইজনকে আটক করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হলেও তারা জামিনে এসে আবারও সেই অপকর্ম করে। তারা কখনো আওয়ামীলীগ, কখনো বিএনপি, কখনো অন্য পরিচয়ে প্রতারণা করে মানুষকে হয়রানি করছে, এসব ঘটনার বিষয়ে পুলিশের ভুমিকা নিয়ে প্রশ্ন: এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট থানার ওসি সাহেব ও মহামান্য আদালতের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন ভুক্তভোগী পরিবারসহ সচেতন মহল। বিশেষ করে ২০২৪ইং জুলাই ও ৫ আগষ্ট পর্যন্ত মানুষের রূপরেখা ছিলো একরকম আর বর্তমান সময় ও পরিস্থিতি ভিন্ন রকম,তবে সব পুলিশ খারাপ নয়, এক দুইজন খারাপ-বাকীটা ইতিহাস। খুবই দুঃখজনক যে, সাংবাদিক শিক্ষার্থীদের পক্ষে গত ৪ আগষ্ট ২০২৪ইং তারিখ সংবাদ প্রকাশ করেছেন তার বিরুদ্ধেও হত্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে। “সাংবাদিকরাতো কোনো চোর ডাকাত নয়” তাদের উপর কেন এই নৃশংস হামলা ও মামলা করা হয় তা জাতি জানতে চায়, পুলিশ ও প্রকৃত সাংবাদিকের ভূমিকা কি?।
    দেশের বিভিন্ন থানার কিছু পুলিশের স্বার্থে আঘাত লাগলে প্রকৃত সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে বিভিন্ন মিথ্যা মামলা দেয়া হয়। কিছু পুলিশ সদস্য চাঁদাবাজি ও ফিটিংবাজিসহ বিভিন্ন অপকর্ম করেছে আর সেই বিষয়ে সাংবাদিক সংবাদ প্রকাশ করলেই সমস্যা, সেজন্য ষড়যন্ত্র করে মামলা দেয়া হয়। সাংবাদিককে আটকের পর তার কাছে থাকা কলম ক্যামেরাসহ বিভিন্ন মালামাল ছিনিয়ে নিয়ে থাকে কিছু পুলিশ অফিসার। এরপরও যদি প্রকৃত সাংবাদিক আদালত থেকে জামিনে মুক্তি পেয়ে যায়, তাকে আবার সাজা দেওয়ার জন্য মিথ্যা সাক্ষী তৈরি করে আদালতের মাধ্যমে সাজা দেয়ার কৌশল করা হয়, ভুয়া বাদি বা ভুয়া মামলা দিয়ে সাংবাদিককে হয়রানি করে পুলিশ। তবে সব সাংবাদিক বা সব পুলিশ খারাপ নয়। মানবিক পুলিশ সদস্য ও প্রকৃত সাংবাদিক আছেন বলেই সাধারণ মানুষ এখনো আইন আদালতের প্রতি সম্মান করেন। বিশেষ করে সাংবাদিকরা ঐক্যবদ্ধ না থাকার কারণে বিভিন্ন হামলা, মামলা ও নির্যাতনের শিকার হন।
    প্রকৃত সাংবাদিকরা বেশি ঝুঁকিপূর্ণ ভাবে কাজ করেন। সাংবাদিক কতো প্রকার? তার হিসাব নাই। তবে ১ থেকে ১৮ প্রকার সাংবাদিকের নাম প্রকাশ করা হচ্ছে, ১। সাইনবোর্ড সাংবাদিক, ২। আইডি কার্ড সাংবাদিক,৩। ভুয়া সাংবাদিক, ৪। প্রেসক্লাব সাংবাদিক, ৫। বহুমাত্রিক সাংবাদিক, ৬। কথাসাহিত্যিক সাংবাদিক, ৭। দলীয় সাংবাদিক, ৮। ভবিষ্যতদ্রষ্টা সাংবাদিক, ৯। মৌসুমী সাংবাদিক, ১০। শখের সাংবাদিক, ১১। অপসাংবাদিক, ১২। স্বার্থপর সাংবাদিক, ১৩। বঞ্চিত সাংবাদিক, ১৪। লাঞ্ছিত সাংবাদিক, ১৫। কাঙ্খিত সাংবাদিক, ১৬। সেলফি সাংবাদিক, ১৭। প্রকৃত সাংবাদিক। ১৮। মূলধারার সাংবাদিক। আর প্রকৃত সাংবাদিকরা প্রতিদিন প্রতি মুহুর্তে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দেশ ও জাতির সেবা করে যাচ্ছেন। তবে সেই ত্যাগী সাংবাদিকরা কি পাচ্ছেন? কেন সাংবাদিকতায় আসছেন বেকার মানুষগুলো? সত্যি কথা বললে বা সংবাদ প্রকাশ করলে সেই সাংবাদিকদের নামে বিভিন্ন হয়রানিমূলক মিথ্যা মামলা ও তাদের উপর নৃশংস হামলা করা হয়, এমনকি সাংবাদিক কোনো রাজনৈতিক নেতার সাথে ছবি তুললে সেই ছবি দিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে অপপ্রচার করা হয়, কিছু মানুষ নামের অমানুষ কুলাঙ্গাররা এসব করে থাকে, এসব খুবই খারাপ। সাংবাদিকরা কোনো চোর ডাকাত নয়, বা বড় দুর্নীতিবাজ নয় যে, তাদের বিরুদ্ধে মামলা করে সাজা দিতে হবে, ১৯৭১ সাল থেকে ২০২৪ সালের ৫ আগষ্ট পর্যন্ত কে কেমন সাংবাদিকতা করেছেন আর এখন কেমন সাংবাদিক তা ভাবনার বিষয়।
    সূত্র জানায়, সারাদেশেই নিজেদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি শক্রতা সুষ্টি করছে কিছু পুলিশ সদস্য ও সাংবাদিক। এক থেকে ১৮ প্রকার সাংবাদিক কিন্তু কিছু পুলিশ সদস্যের নাম্বার নাই বা দিলাম। সেই সাথে রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানা, আশুলিয়া থানা, মিরপুর থানা, যাত্রাবাড়ি থানা, বরিশাল বিভাগের ভোলা জেলার চরফ্যাশন থানাসহ সারাদেশে প্রায় অনেক থানায় সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করা হয়েছে। সাংবাদিকদের বলা হয় জাতির বিবেক, সেই অর্থে সাংবাদিকদেরকে কেন অপহেলা করাসহ অপমানিত করা হয়? কেন হয়রানি করা হচ্ছে প্রকৃত সাংবাদিকদেরকে?। অর্থ ও স্বার্থের জন্য মানুষ যদি অমানুষের পরিচয় দেন এটা খুবই লজ্জাজনক। সাংবাদিকদের পেশা যেন মানুষের সেবা করাই তাদের একমাত্র ধর্ম। যারা কাজ করেন তাদের ভুল হতেই পারে কিন্তু ছোট একটা ভুল করলে সাংবাদিকের উপর বড় ধরণের হামলা, মামলা করা হয় কেন?। থানায় ডেকে নিয়ে বা রাস্তা থেকে ধরে নিয়েই বিভিন্ন মামলা দেয়া হয় সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে। আশুলিয়ায় সায়েব আলী জলিল গংদের ভুয়া বাদী সেজে মিথ্যা ও ভুয়া মামলার বিরুদ্ধে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান সাংবাদিক নেতারা। বাংলাদেশে প্রায় ১৮ কোটি জনগণের জানমালের নিরাপত্তায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করেন পুলিশ বাহিনী এটা যেমন সত্য তেমনি সাংবাদিকরা সংবাদ প্রকাশ করেন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এটাও বাস্তব। সরকার পুলিশকে বেতন ভাতা দিলেও তারা চাঁদাবাজি, ফিটিংবাজি করেন কেন?, সাংবাদিকরা পাচ্ছেন না সরকারি কোনো সম্মানি ভাতা, অনেক প্রতিষ্ঠান সাংবাদিককে ঠিকমতো বেতনও দেন না। ভালো কাজ করলে বলা হয় এটা তাদের দায়িত্ব, সামান্যতম ভুল করলে তাদেরকে বড় গালাগালি দেওয়া হয়। সব পুলিশ খারাপ না, কিছু পুলিশ সদস্য খারাপ তাই পুলিশের বদনাম হয়। মানবিক পুলিশ ও প্রকৃত সাংবাদিক ঘর থেকে বাহিরে বের হলে বা ডিউটিতে গেলে তাদের পরিবারের সদস্যরা অনেক চিন্তায় থাকেন যে, নিরাপদে বাসায় ফিরতে পারবে কিনা? অনেক সময় তাদের লাশ হয়ে ঘরে ফিরতে হয়। সবকিছু মিলে সংবাদপত্র ছালানো কঠিন হয়ে পড়েছে, পত্রিকায় কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের প্রচারণা চালালে সেই সাংবাদিককে দাদাল বলে কিছু মানুষ নামের কুলাঙ্গাররা। প্রকৃত সাংবাদিকতা করা কঠিন হচ্ছে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকসহ বিভিন্ন ভাবে প্রচার হয় ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান, এটাও সমস্যা।
    দেশের বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা, পুলিশ, র‍্যাব বাহিনী যে, জীবনের ঝুঁকি নিয়ে খুনী, ধর্ষণকারী, অপহরণকারীদেরকে গ্রেফতার করেন এবং ভিকটিম উদ্ধার করাসহ অনেক কঠিন ও ঝুঁকিপূর্ণ কাজ করেন এর জন্য তাদেরকে ধন্যবাদ জানাই। বিশেষ করে কিছু লোকজন অভিমত প্রকাশ করেন যে, পুলিশের নতুন নতুন ইউনিট হলেও সেই অর্থে তুলনামূলক ভাবে সেবার মান বাড়ছে না। সূত্রমতে, ঢাকা বিভাগের সকল থানায় সিসি টিভি ক্যামেরা বসানো হয়েছে,এতে যেমন প্রশংসা বাড়ছে সংশ্লিষ্ট পুলিশ প্রশাসনের। তবে কিছু থানা পুলিশের অনিয়ম দুর্নীতির কারণে পুলিশ বাহিনীর বদনামও হচ্ছে কিন্তু এই দায় নিবে না মানবিক পুলিশ সদস্যরা। ট্রাফিক পুলিশ সদস্যরা ধুলাবালির সাথে থেকে প্রতিদিন অনেক কষ্টের মধ্যে ডিউটি করেন, তাদের সবচেয়ে বেশি স্বাস্থ্যঝুঁকি রয়েছে। রাজধানী ঢাকা ও ঢাকার আশেপাশের থানায় পুলিশের তেমন কোনো সমস্যা না থাকলেও মফস্বল এলাকা থেকে বদলি হয়ে ঢাকায় আসার জন্য পুলিশ সদস্যরা চেষ্টা করে থাকেন। এর অনেক কারণও রয়েছে। মফস্বল এলাকায় পুলিশ সদস্যদের নানারকম সমস্যা, জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করতে হয়। পুলিশের থাকা খাওয়ার সমস্যা। অনেক সময় জরুরি কাজে গাড়ি না পাওয়াসহ নানারকম সমস্যা রয়েছে। বিশেষ করে ট্রাফিক পুলিশ সদস্যেদের অনেক কষ্ট করে ডিউটি করতে হয়, তাদের অনেকেই সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন এমন অনেক তথ্য রয়েছে। সুত্রে জানা গেছে, অনেক ইউনিটে চাহিদার চেয়ে অর্ধেকেরও কম জনবল দিয়ে দৈনন্দিন কাজ চালানো হচ্ছে পুলিশ বাহিনীতে। বেশিরভাগ ইউনিটি ও থানার নিজস্ব কোনো ভবন নেই, আবাসিক এলাকায় ভাড়া বাড়িতে চলছে পুলিশের কার্যক্রম। অনেক সময় জরুরি অভিযান পরিচালনার জন্য গাড়ি পাওয়া যায় না। দুঃখজনক বিষয়ঃ সাধারণ মানুষ অনেকেই বলেন, ডাকঢোল পিটিয়ে রং বে-রঙের বেলুন উড়িয়ে পুলিশ বাহিনীতে নতুন নতুন ইউনিটির যাত্রা শুরু হয় কিন্তু সেবার মান বাড়েনি।
    আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সাংবাদিক সংস্থার ঢাকা বিভাগের সাংঠনিক সম্পাদক ও আশুলিয়া সাংবাদিক সমন্বয় ক্লাবের সভাপতি মোঃ সাইফুল ইসলাম জয় (হেলাল শেখ) বলেন, দেশে মানবাধিকার কর্মী বা সাংবাদিকের অভাব নেই কিন্তু কেউ তারা ঐক্যবদ্ধ না থাকায় সমস্যা সৃষ্টি হয়। রাজধানী ছাড়াও যেমনঃ ঢাকা জেলার আশুলিয়া থানা ভাড়া বাড়িতে চলছে পুলিশের কার্যক্রম। এই থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ও তদন্ত ওসিসহ ৪০ জনের মত অফিসার রয়েছেন। দেখা যায়, বেশিরভাগ পুলিশ অফিসারগণ ভাড়া গাড়ি দিয়ে বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করেন। আশুলিয়ায় সাংবাদিক সংগঠনগুলোরও নিজস্ব জায়গা নেই। ১৬-১৭ বছর আগের পুলিশ আর বর্তমান সময়ের পুলিশ একরকম নয়। সরকার যেমন পুলিশের বেতন বৃদ্ধি করেছে, তেমনি পুলিশের কষ্টও বাড়ছে। এদিকে ট্রাফিক পুলিশের কয়েকজন সদস্য জানান, পুলিশ সদস্য ভালো কাজ করলে পাবলিক বলে এটা পুলিশের দায়িত্ব কিন্তু পুলিশ সদস্য ছোট কোনো ভুল করলে তাদেরকে অনেক সময় বড় ধরণের শাস্তি দেয়া হয়, এমন কি চাকরি চলে যায়। বাংলাদেশের “প্রশাসনিক কাঠামো” ৬টি থেকে বাড়িয়ে বর্তমানে ৮টি বিভাগ ও ৬৪ জেলা করা হয়েছে। ৬৪ জেলায় ৮৬,৬০৮টি গ্রাম। ১৯৭১ সালে মাত্র ৭কোটি জনগণ ছিলো, যা বর্তমানে প্রায় ১৮কোটির মত জনগণ হয়েছে। মানুষ বাড়ছে, ঘর বাড়ি বাড়ছে, ইটভাটা বাড়ছে, ফসলি জমি কমে যাচ্ছে। পুলিশের নতুন নতুন ইউনিট বাড়ছে, পুলিশ সদস্যও বাড়ছে, কিন্তু সেই অর্থে কি সেবার মান বাড়ছে?। দেখা যাক ২০২৫ইং সাল কেমন যায়। সামনে আগামী জাতীয় সংসদ জাতীয় নির্বাচনের অপেক্ষায় পুরো জাতি। বাংলাদেশে ১৯৭১ সালে যা হয়নি তা ঘটেছে ২০২৪ইং ৫ আগষ্টে পুলিশকে হত্যা করে ওভার ব্রীজে ঝুঁলিয়ে রাখা হয়েছিলো, সাংবাদিক হত্যার শিকার হয়েছে, ছাত্র-জনতার উপর গুলিবর্ষণ করে হত্যা করা হয়েছে। সিসিটিভি ভিডিও ও মোবাইল নাম্বার ট্যাকিংসহ কার মোবাইল নাম্বারে কি কথা হয়েছে? এসব তদন্ত করে প্রকৃত দোষীদের সাজা নিশ্চিত করা এবং যারা দোষী নয় তাদেরকে মামলা থেকে নাম বাদ দিয়ে মানবতার কল্যাণে কাজ করা দরকার। সবার দাবী প্রকৃত হত্যাকারীদের শনাক্ত করে আটকের পর আইনের আওতায় আনা হোক। আর সংবাদপত্রের সম্পাদক ও সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে, তা নাহলে দেশ ও জাতির সমস্যা আরো জটিলতা বাড়বে বলে মনে করছেন সচেতন মহল।##

  • রূপপুর পার-মাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে কর্মকর্তাদের অনি-য়ম দুর্নী-তির কারণে বাড়ছে জটি-লতা

    রূপপুর পার-মাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে কর্মকর্তাদের অনি-য়ম দুর্নী-তির কারণে বাড়ছে জটি-লতা

    সাইফুল ইসলাম জয় (হেলাল শেখ)ঃ অনেক নাটকের জন্ম দিচ্ছে, এনপিসিবিএল এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. জাহেদুল হাছান এর পদত্যাগের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করার ঘটনার আড়ালে রয়েছে পাবনার রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কর্মকর্তাদের ব্যাপক অনিয়ম দুর্নীতি।
    রবিবার (২৯ জুন ২০২৫ইং) সকালে জানা গেছে, একটি মহল দাবি করছেন যে, পাবনার রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে আছেন অনেক দুর্নীতিবাজ ও অযোগ্য কর্মকর্তা। এর আগে এ বিষয়ে রূপপুরস্থ এনপিসিবিএল এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. জাহেদুল হাছানের পদত্যাগের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। “যোগ্য লোক চাই, অযোগ্য এমডিকে নয়, প্রতিষ্ঠানিক ফ্যাসিবাদ নিপাত যাক ইঅঊঈ এর অযাচিত হস্তক্ষেপ বন্ধ হোক, এনপিসিবিএল স্বাধীন হোক” এই স্লোগানকে সামনে রেখে এনপিসিবিএল এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. জাহেদুল হাছান এর পদত্যাগের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করা হয়।
    এর আগে উল্লেখ্য. গত (৬ মে ২০২৫ইং)বিকেল ৫ ঘটিকায় ঈশ্বরদী উপজেলা গেট এলাকায় একটি অভিজাত রেস্টেুরেন্টে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এই সংবাদ সম্মেলনে নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্লান্ট কোম্পানি বাংলাদেশ লিমিটেড (এনপিসিবিএল) এর ব্যবস্থাপনা পরিচালকের চরম অদক্ষতা, প্রশাসনিক স্বেচ্ছাচারিতা, প্রাতিষ্ঠানিক স্বৈরতন্ত্র, দুর্নীতি এবং অনিয়ম অব্যবস্থাপনার অভিযোগ আনা হয়। উক্ত সংবাদ সম্মেলনে কর্মকর্তা কর্মচারীদের পক্ষে এনপিসিবিএল এর সিনিয়র সহকারী ব্যবস্থাপক ফাহিম শাহরিয়ার তুহিন লিখিত বক্তব্যে বলেন, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র প্রকল্পের বর্তমান প্রকল্প পরিচালক এবং নিউক্লিয়ার পওয়ার প্লান্ট কোম্পানি বাংলাদেশ লিমিটেড (ঘচঈইখ) এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. জাহেদুল হাছানের বিরুদ্ধে গুরুতর অনিয়ম, চরম অযোগ্যতা, দুর্নীতি, প্রশাসনিক স্বেচ্ছাচারিতা এবং প্রাতিষ্ঠানিক ফ্যাসিবাদের অভিযোগে কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করে। এই স্বৈরাচারি, অদক্ষ, অযোগ্য ব্যবস্থাপনা পরিচালকের স্বেচ্ছাচারিতার বিরুদ্ধে এনপিসিবিএল-এর সর্বস্তরের কর্মকর্তা কর্মচারীবৃন্দ বরাবরই সোচ্চা ছিলো এবং এরই ধারাবাহিকতায় বিগত নয়দিন (২৮ এপ্রিল ২০২৫ইং থেকে ৬ মে ২০২৫ইং) পালন করেন।
    অভিযোগ রয়েছে, ডা. জাহেদুল হাছান বর্তমানে একাধিক অতি গুরুত্বপূর্ণ পদ কুক্ষিগত করে রেখেছেন। একাধারে তিনি রূপপুর পারমাণবিক কেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্প পরিচালক এবং অপারেটিং অর্গানাইজেশন এনপিসিবিএল এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং প্রধান অর্থ ও প্রশাসনিক কর্মকর্তা এবং স্টেশন ডিক্টেরসহ সকল গুরুত্বপূর্ণ পদ একাই দখল করে রেখেছেন। যা একটি বিদ্যুৎ কেন্দ্র অপারেটিং কোম্পানির ক্ষেত্রে নজিরবিহীন। অফিস সংশ্লিষ্টরা জানায়, প্রায় এক দশক আগে এনপিসিবিএল গঠিত হলেও আজ অবধি কোনো সার্ভিস রুলস প্রকাশ করা হয়নি। ফলে নেই কোনো অর্গানোগ্রাম, দায়িত্বের সুস্পষ্ট নণ্টন, পদোন্নতি, বরং জেকে বসেছে একগুচ্ছ গ্রেড ও বেতন বৈষম্য এবং অন্যান্য ব্যাসিক সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এটি একটি আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন, উচ্চ সংবেদনাশীল ও কৌশলগত গুরুত্ববহ প্রকল্প হিসেবে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র এর নির্মাণ, কমিশনিং এবং অপারেশন এর দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কর্মচারিরা দফায় দফায় ড. জাহেদুল হাছানের কাছে সার্ভিস রুল প্রদান, প্রতিষ্ঠান হিসেবে স্বতন্ত্রতাসহ বিভিন্ন বৈষম্য নিয়ে আলোচনা করে আসছে। বিভিন্ন মানবিক ও যৌক্তিক দাবির প্রেক্ষিতে ৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ তারিখে ড. জাহেদুল হাছান তা বাস্তবায়নের লিখিত আশ্বাস দিলেও এখন পর্যন্ত তা বাস্তবায়িত হয়নি। এরপর থেকেই তিনি কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অযৌক্তিক, অমানবিক শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিয়ে আসছেন, তার অনেক নজির রয়েছে চলমান।
    এরপর ১৮জন কর্মকর্তা-কর্মচারীকে চাকরি থেকে অব্যাহতির ঘটনা। চাকরিচ্যুতরা নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্ল্যান্ট কোম্পানি বাংলাদেশ লিমিটেডের (এনপিসিবিএল) রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে নিয়েগপ্রাপ্ত ছিলেন। কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. জাহেদুল হাছান স্বাক্ষরিত এক দাপ্তরিক আদেশে এই অব্যাহতির কথা জানানো হয়। অব্যাহতি দেয়া ১৮ কর্মকর্তা-কর্মচারীর প্রত্যেককে গত শনিবার (১০ মে ২০২৫ইং) রাতে ই-মেইলসহ সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন মহলে জানানো হয়। রূপপুর প্রকল্পের সাইড ইনচার্জ রুহুল কুদ্দুস এ বিষয়ে সত্যতা স্বীকার করেন। তিনি জানান, গত শনিবার রাতে বিষয়টি সম্পর্কে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের নিরাপত্তার দায়িত্বপ্রাপ্ত অর্থরিটির প্রধানকে অবহিত করা হয়েছে। এর বেশি তার জানা নেই। আন্দোলনকারী কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে চাকরিচ্যুত কয়েকজন জানান, এনপিসিবিএল ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ড. মোঃ জাহেদুল হাছান স্বাক্ষরিত অব্যাহতিপত্র এই কোম্পানির ১৮জনকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। উক্ত বিষয়টি নিয়ে তারা ঢাকায় আলোচনা অব্যাহত রেখেছেন বলে সংশ্লিষ্টরা জানান। আমাদের রিপোর্টার সাইফুল ইসলাম জয় (হেলাল শেখ) এর অনুসন্ধানী রিপোর্টের ধারাবাহিক পর্ব-১। ১৮ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অব্যাহতিপত্রে বলা হয়, এনপিসিবিএল কোম্পানিতে নিয়োগপ্রাপ্ত এবং রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের নির্মাণ প্রকল্পের সঙ্গে সংযুক্ত ১৮ কর্মকর্তা-কর্মচারীকে এনপিসিবিএলের চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে পৃথক আরেকটি পত্রে নিরাপত্তার স্বার্থে তাদের রূপপুর প্রকল্প এলাকায় ও বিদেশিদের আবাসন গ্রিন সিটিতে প্রবেশ বন্ধে অনুরোধ করা হয়েছে সংশ্লিষ্ট বিভাগকে। উল্লেখ্য, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) কে অপসারণসহ বিভিন্ন দাবিতে পাবনার ঈশ্বদীর রূপপুর কোম্পানির প্রায় ১৫০০/ কর্মকর্তা-কর্মচারী গত ১৮ এপ্রিল আন্দোলন শুরু করেন। গত ৬ মে তারা ঈশ্বদী শহরে মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলন করেন। এর পরদিন ৭ মে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র প্রকল্পে কোম্পানির অফিসে তারা অবস্থান কর্মসূচি ও বিক্ষোভ করেন। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত উক্ত এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে, বিদেশীরাও এ ঘটনায় ভয় পাচ্ছে কখন যেন বড় ধরণের সংঘর্ষ শুরু হয়। অনেকেই অভিমত প্রকাশ করেন যে, এতো বড় প্রকল্প অনিয়ম দুর্নীতির কারণে বন্ধ হলে দেশের বড় ধরণের ক্ষতি হবে।##