Blog

  • রাজবাড়ী ডিগ্রি কলেজের সভাপতি নির্বাচিত হলেন শাহ্ নাজিম উদ্দিন

    রাজবাড়ী ডিগ্রি কলেজের সভাপতি নির্বাচিত হলেন শাহ্ নাজিম উদ্দিন

    নেছারাবাদ (স্বরূপকাঠি), পিরোজপুর:

    নেছারাবাদ উপজেলার ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রাজবাড়ী ডিগ্রি কলেজের নবনির্বাচিত কমিটিতে সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন শিক্ষানুরাগী শাহ্ নাজিম উদ্দিন। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর (ভিসি) প্রফেসর ড. এএসএম আমানুল্লাহ তাকে সভাপতি ও সিফাত কামাল (এল.এল.বি, এম.বি.এ) কে বিদ্যোৎসাহী সদস্য হিসেবে মনোনীত করেন।

    শাহ্ নাজিম উদ্দিন কলেজের প্রতিষ্ঠাতা ফকির নাসির উদ্দিনের সুযোগ্য সন্তান।
    ১৯৯৪ সালে পিরোজপুর জেলার স্বরূপকাঠি উপজেলার গুয়ারেখা ইউনিয়নের ব্যাসকাঠি গ্রামে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর উচ্চশিক্ষার সুযোগ নিশ্চিত করতে কলেজটি প্রতিষ্ঠা করেন ফকির নাসির উদ্দিন। পুরো উপজেলায় মোট ৮টি কলেজ রয়েছে, যা ১০টি ইউনিয়নের ১৩৭টি গ্রামের প্রায় ২ লাখ ১২ হাজার মানুষের জন্য শিক্ষার আলো জ্বালাতে কাজ করছে। এর মধ্যে রাজবাড়ী ডিগ্রি কলেজ একটি বিশেষ স্থান দখল করে আছে।

    প্রতিষ্ঠার শুরু থেকেই এই কলেজটি আশেপাশের প্রায় পাঁচটি ইউনিয়নের শিক্ষার্থীদের জন্য উচ্চশিক্ষার অন্যতম কেন্দ্রস্থলে পরিণত হয়। ধারাবাহিকভাবে ভালো ফলাফল, শিক্ষার মান উন্নয়ন এবং নৈতিক শিক্ষা ও সচেতনতা বৃদ্ধিতে কলেজটির ভূমিকা প্রশংসনীয়। এখানকার অনেক শিক্ষার্থী এখন স্বনির্ভর, কর্মসংস্থান তৈরি করছে এবং বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে সফলতার সাথে দায়িত্ব পালন করছে।
    শুধু কলেজই নয়, ফকির নাসির উদ্দিন শিক্ষা বিস্তারে অসামান্য অবদান রেখেছেন। তিনি এগারগ্রাম সম্মিলনী মাধ্যমিক বিদ্যালয়, একটি ভোকেশনাল স্কুল, পাটিকেলবাড়ী দরগাহ শরীফ দাখিল মাদরাসা ও একটি এতিমখানা প্রতিষ্ঠা করেন।

    নবনির্বাচিত সভাপতি শাহ্ নাজিম উদ্দিন শিক্ষা ও কর্মজীবনে সমৃদ্ধ অভিজ্ঞতার অধিকারী। তিনি ঢাকার আইডিয়াল স্কুল থেকে এসএসসি, ঢাকা কমার্স কলেজ থেকে এইচএসসি, ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ (IUB) থেকে বিবিএ, ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি থেকে পিজিডি এবং কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি থেকে মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করেন। তাছাড়া, তিনি দেশ-বিদেশে নানা বিষয়ে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছেন।

    পেশাগত জীবনে তিনি ১০ বছর ধরে বিভিন্ন কর্পোরেট ও উন্নয়ন সংস্থায় কর্মরত ছিলেন এবং পরামর্শদাতা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। বর্তমানে তিনি নিজস্ব ব্যবসার পাশাপাশি বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ক্যারিয়ার কাউন্সেলিংয়ের কাজ করে থাকেন।
    স্থানীয় জনগণ আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন যে, তাঁর অভিজ্ঞতা, নেতৃত্বগুণ ও আন্তরিক প্রচেষ্টায় রাজবাড়ী ডিগ্রি কলেজ নতুন উচ্চতায় পৌঁছাবে এবং আধুনিক ও গুণগত শিক্ষার এক রোল মডেলে পরিণত হবে।

  • তেঁতুলিয়ায় সরকারি ধান সংগ্রহে অ-নিয়ম,  এলএসডি কর্মকর্তার অসহযোগিতায় আ-টকে আছে বার্ষিক প্রতিবেদন

    তেঁতুলিয়ায় সরকারি ধান সংগ্রহে অ-নিয়ম, এলএসডি কর্মকর্তার অসহযোগিতায় আ-টকে আছে বার্ষিক প্রতিবেদন

    মুহম্মদ তরিকুল ইসলাম, তেঁতুলিয়া(পঞ্চগড়) প্রতিনিধিঃ পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় সরকারি খাদ্য গুদামে বোরো-ইরি ধান সংগ্রহে নানা অনিয়ম, গরমিল ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের দায়িত্বহীনতার কারণে পর পর তিন দিন খাদ্যগুদাম পরিদর্শন করেও ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বার্ষিক বাস্তব প্রতিবেদন সম্পন্ন করতে পারেনি দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিপাদনকারী কর্মকর্তা।

    গত বৃহস্পতিবার (৩জুলাই) দুপুরে উপজেলা নির্বাহী অফিসে গিয়ে জানা যায়, উপজেলা নির্বাহী অফিসার আফরোজ শাহীন খসরু খাদ্যগুদামের ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বার্ষিক বাস্তব প্রতিবেদন সম্পন্ন করার জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত হয়ে গত ৩০ জুন থেকে ২ জুলাই পর পর তিন দিন তেঁতুলিয়া লোকাল সাপ্লাই ডিপো(এলএসডি) পরিদর্শন করেও খাদ্য গুদামের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের অসহযোগিতা ও দায়িত্বহীনতার কারণে বার্ষিক বাস্তব প্রতিবেদন সম্পন্ন করতে পারেননি তিনি ।

    আরও জানা যায়, উপজেলা খাদ্য গুদামে গিয়ে গুদামের বিভিন্ন খামালে খালি বস্তা, ধান, আমন চাল ও বোরো চাল সংগ্রহ এবং মজুদের সঙ্গে ব্যাপক গরমিলের সত্যতা পান প্রতিপাদনকারী কর্মকর্তা। এফএস-৩ এর ৩ নম্বর খামালে ওহি জুট ফাইবারের ২০ হাজার ৭৫ পিছ বস্তা থাকার কথা থাকলেও ৫টি বেল পরীক্ষা করে মাত্র ১টিতে ওহি জুট ফাইবারের নতুন বস্তা পাওয়া যায় এবং অন্য বেলগুলোতে পুরোনো অন্য মিলের বস্তা পাওয়া যায়। এ সময় উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক এই ঘটনা উদঘাটনের পর সকল বস্তা যাচাই করতে অস্বীকৃতি জানান। একই এফএস এর ৪ নম্বর খামালে ৭ হাজার ৬’শ ৩৪টি বস্তা থাকার কথা থাকলেও পুরনো ও ভিন্ন ভিন্ন মিলের ৬ হাজার ২০০টি বস্তা পাওয়া যায়, আবার ঘোষিত সংখ্যার ১ হাজার ৯৩৫টি খালি বস্তার ৫নং খামালই পাওয়া যায়নি বলে জানা যায়।

    অপরদিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং খাদ্য বিভাগের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের পরিদর্শনকালীন সময়ে বোরো ধান ক্রয়ে ওজনে কম ও আদ্রতা পরিমাপেও তারতম্য দেখা যায়। এ সময় আমন চালের খামালে বোরো ধানের স্টেনসিল যুক্ত বস্তা পাওয়া যাওয়ায় প্রতিপাদনকারী কর্মকর্তা (উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা) খামাল ভেঙে বস্তা মিলাতে চাইলে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক জাকারিয়া আহমেদ সবকিছু জেনে বুঝেও খামাল ভাঙতে অস্বীকৃতি জানার সত্যতা পাওয়া যায়। তার মতে মোট বস্তার সংখ্যা ঠিক থাকলেই হবে তা বোরো বা আমন হোক না কেনো?

    অভিযোগ রয়েছে, খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্টরা দীর্ঘ দিন এই খাদ্য গুদামে অনিয়ম ও দুর্নীতি করে আসছে। বিভিন্ন মৌসুমে প্রকৃত কৃষকদের কাছে ধান সংগ্রহ না করে নিজেদের পছন্দের মানুষকে কৃষক সাজিয়ে ও ব্যবসায়ীদের কাছে ধান সংগ্রহ করে সরকারি অর্থের অপচয় করার অভিযোগও উঠেছে। কৃষকরা বলছেন, তারা জানতেই পারছেননা কখন খাদ্য অফিস সরকারি ভাবে ধান, চাল ক্রয় করেন। ধান-চাল সংগ্রহের ব্যপক প্রচার-প্রচারণাসহ লিফলেট বিতরণের কথা থাকলেও উপজেলা খাদ্য বিভাগের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা এসব বাস্তাবায়ন না করে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আঁতাত করে ধান-চাল ক্রয়ের অভিযোগ উঠেছে।

    আরও অভিযোগ রয়েছে, প্রকৃত কৃষকের পরিবর্তে ফরিয়া ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে ধান সংগ্রহ করা হয়েছে। এ বছর অ্যাপের মাধ্যমে আবেদন নেওয়া হলেও লটারি না করে খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও অফিসের নিজের পছন্দের মানুষের নামে ধান সংগ্রহ করা হয়েছে।

    তেঁতুলিয়া এলএসডিতে ধান ক্রয়ের সময় একাধিকবার এলএসডিতে গিয়ে দেখতে ও জানতে পারা যায়, ফরিয়া ব্যবসায়ীর ধানই গুদামে ঢুকছে। এলএসডির ভিতরে ধান আনলোডের সময় জিজ্ঞাসাবাদে প্রকৃত কৃষকদের পাওয়া যায়নি। ফরিয়া ব্যবসায়ী শাহজাহান ও লেবার সর্দার সফিকুলের বক্তব্যে জানা যায়, তারা গ্রামে গ্রামে ধান ক্রয় করে এলএসডিতে নিয়ে আসেন। এছাড়া কৃষক দেখতে না পেয়ে সহকারী উপ খাদ্য পরিদর্শক নিমাই চন্দ্র রায়কে জিজ্ঞাসা করলে সর্দার সফিকুল তাৎক্ষণিক কৃষক সেজে বসেন।

    এ বিষয়ে খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রুবেল আলমের কাছ থেকে জানার জন্য মুঠোফোনে কল করা হলে তিনি বলেন, ‘আমরা সবকিছুই ঠিকঠাক মতো করেছি, অফিসে আসিয়েন সাক্ষাতে কথা হবে।’

    তেঁতুলিয়ার সদ্য প্রাক্তন উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো. কামরুজ্জামান যিনি বর্তমানে রংপুর বিভাগে সহকারী আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক হিসেবে দায়িত্বে রয়েছেন তার সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি বদলি হয়েছি তেঁতুলিয়া থেকে। নিয়ম অনুযায়ী সব হয়েছে, অফিসে গেলেই তালিকা পাবেন।’

    উপজেলা খাদ্যশস্য সংগ্রহ ও মনিটরিং কমিটির সদস্য সচিব ও উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক (ভারপ্রাপ্ত) মো. জাকারিয়া আহমেদের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি সাংবাদিকদের জানান, ধান কৃষকদের কাছ থেকে কেনা, অনিয়মের সুযোগ নাই আমাদের। কৃষকদের একাউন্ট -পে এর মাধ্যমে আমরা তাদেরকে বিল দিই। এখানে আমি একেবারে নতুন। ওখানে কাগজপত্র দেখে আমি বক্তব্য দিতে পারবো।

    উপজেলা খাদ্যশস্য সংগ্রহ ও মনিটরিং কমিটির সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আফরোজ শাহীন খসরু বলেন, ‘সরকারি স্বার্থ রক্ষার্থে বিষয়টি আমরা গুরুত্ব সহকারে দেখছি। তিনি বলেন, তিন দিনেও খাদ্য গুদাম কর্মকর্তার অসহযোগিতা এবং ধান-চাল ক্রয়ের মজুদের অমিল থাকায় বার্ষিক বাস্তব প্রতিবেদন দাখিল করা সম্ভব হচ্ছে না। এতে প্রাপ্ত অনিয়মের বিষয়ে দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে জানানো হয়েছে।

    মুহম্মদ তরিকুল ইসলাম।।।

  • ফুলবাড়ীয়ায় যৌ-ন উ-ত্তেজক ট্যাবলেটসহ আ-টক এক

    ফুলবাড়ীয়ায় যৌ-ন উ-ত্তেজক ট্যাবলেটসহ আ-টক এক

    মো. সেলিম মিয়া ফুলবাড়ীয়া (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধিঃ
    ময়মনসিংহের ফুলবাড়ীয়া উপজেলায় বিপুল পরিমান যৌন উত্তেজক ট্যাবলেটসহ উছমান গনি (৩৬) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ। গোপন সংবাদ ভিত্তিতে শুক্রবার (৩ জুলাই) রাতে উপজেলার চৌদার এলাকায় অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ অবৈধ যৌন উত্তেজক ট্যাবলেটসহ উছমান গনি (৩৬) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃত যুবক চৌদার উত্তরপাড়া এলাকার জামাল উদ্দিনের ছেলে। উদ্বারকৃত যৌন উত্তেজক ট্যাবলেটের বাজার ম‚ল্য ৭৫ হাজার টাকা হবে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হয়।
    জানা যায়, উছমান গনি দীর্ঘদিন যাবত অবৈধ বিভিন্ন ব্যান্ডের যৌন উত্তেজক ট্যাবলেট বিক্রি করে আসছে। অন লাইনে যৌন উত্তেজক বিজ্ঞাপন দিয়ে উঠতি বয়সি যুবকদের আর্কষিত করে, দেশের বিভিন্ন জায়গায় কোরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে পার্সেল পাঠিয়ে থাকেন।
    ফুলবাড়ীয়া থানার অফিসার ইনচার্জ রুকনুজ্জামান জানান, ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনে উছমান গনির বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। বাকী আসামীদের গ্রেফতারে পুলিশি অভিযান চলমান রয়েছে।

  • মধুপুরে জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার নবগঠিত কমিটির অনুমোদন

    মধুপুরে জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার নবগঠিত কমিটির অনুমোদন

    আঃ হামিদ মধুপুর( টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি:

    টাঙ্গাইলের মধুপুরে জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা, মধুপুর উপজেলা ইউনিট এর আব্দুল হামিদকে সভাপতি ও বাবুল রানাকে সাধারণ সম্পাদক করে নবগঠিত কমিটি র অনুমোদন দিয়েছেন জেলা কমিটি।
    শুক্রবার (৪জুলাই) বিকেলে মধুপুর উপজেলা প্রেসক্লাবে কমিটি গঠন উপলক্ষে বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্হিত ছিলেন টাঙ্গাইল জেলা কমিটির আহ্বায়ক এম, মাছুদুর রহমান মিলন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন টাঙ্গাইল জেলা সাংবাদিক সংস্থার সদস্যসচিব সৈয়দ নাজমুল হোসেন,।এসময উপস্থিত ছিলেন ঘাটাইল উপজেলা ইউনিটের সভাপতি আশরাফুল আরিফ, সাধারণ সম্পাদক ইয়াসিন হাসান সহ মধুপুর উপজেলা প্রেসক্লাবের নেতৃবৃন্দ ও সকল সদস্য গন উপস্থিত ছিলেন

  • রামপালে বিনামূল্যে চক্ষু চিকিৎসা সেবা পেলেন  ৫ হাজার রোগী

    রামপালে বিনামূল্যে চক্ষু চিকিৎসা সেবা পেলেন ৫ হাজার রোগী

    বায়জিদ হোসেন, মোংলাঃ
    বাগেরহাটের রামপালে ৫ হাজার রোগীকে বিনামূল্যে চক্ষু চিকিৎসা সেবা প্রদাণ করা হয়েছে। ঢাকা মেগা সিটি লায়ন্স ক্লাবের উদ্যোগে ও দৃষ্টি উন্নয়ন সংস্থা এবং লায়ন ডক্টর শেখ ফরিদুল ইসলামের ব্যবস্থাপনা ও পরিচালনায় রামপালের শ্রীফলতলা পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে শুক্রবার সকালে এ ফ্রি চক্ষু চিকিৎসা সেবা কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন খুলনা রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি মোঃ বেলায়েত হোসেন।
    লায়ন ডক্টর শেখ ফরিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত চক্ষু ক্যাম্পের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্যারিস্টার শেখ জাকির হোসেন। সকাল ১০টা শুরু হওয়া ফ্রি চক্ষু চিকিৎসা সেবা প্রদাণ চলে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। এ সময় বিশেষজ্ঞ ডাক্তার দিয়ে ছানী অপারেশনের রোগী বাছাই করা হয়। বাছাইকৃত ছানী রোগীদের ঢাকায় লেন্স সংযোজনের মাধ্যমে অপারেশন করা হবে। চোখের অল্প সমস্যাজনিত রোগীদের প্রাথমিক চিকিৎসাসহ ফ্রি ওষুধ দেয়া হয়। বয়স্কজনিত কারণে চোখে কম দেখা রোগীদের জন্য ফ্রি চশমা দেয়া হয়েছে।

    লায়ন ডক্টর শেখ ফরিদুল ইসলাম বলেন, সামাজিক দায়বদ্ধতার জায়গা থেকেই ‘অন্ধত্ব প্রতিরোধ করুন’ প্রতিপাদ্যে ২০০৯ সাল থেকে বিনামূল্যে চক্ষু চিকিৎসা সেবা প্রদাণ কার্যক্রমের ব্যবস্থা করে আসছি। এ পর্যন্ত লক্ষাধিক রোগীকে সম্পূর্ণ ফ্রি চক্ষু চিকিৎসা সেবা প্রদাণ করা হয়েছে। এদের মধ্যে সাড়ে ৬ হাজার রোগীর চোখের অপারেশন করা হয়েছে। আর শুক্রবার ৫ হাজার রোগীকে বিনামূল্যে চক্ষু চিকিৎসা প্রদাণ করা হয়েছে। এদের মধ্যে বাছাইকৃত চোখের ছানী ও নেত্রনালীর রোগীদের ঢাকায় নিয়ে অপারেশন করিয়ে দেয়া হবে। তিনি আরো বলেন, সমাজের সুবিধাবঞ্চিত মানুষগুলো আজকের এই সমাজের অগ্রগতি বা সব কিছুর পিছনে তাদের একটা বড় ভূমিকা রয়েছে। তাদের যৌবনে তারা এই সমাজের জন্য অনেক কাজ করেছেন। এখন আমাদের দায়িত্ব এই মানুষগুলোর টেককেয়ার করা। চোখ একটা মানুষের অমূল্য সম্পদ। বিশেষ করে বৃদ্ধ বয়সে একজন মানুষের চোখ ভাল থাকলে সে তার নিজের সমস্ত কাজ করতে পারে, নতুবা অন্যের বোঝা হতে হয়। সেজন্যই আমরা মানুষের চোখ নিয়ে কাজ করে আসছি। এ কাজে আমাকে আমার বন্ধু-বান্ধব ও পরিবার সব সময় উৎসাহ দিয়ে আসছেন।

  • পাইকগাছায় বর্ষাকালে নিরাপদ সবজি উৎপাদনে মাচায় সবজি চাষ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে

    পাইকগাছায় বর্ষাকালে নিরাপদ সবজি উৎপাদনে মাচায় সবজি চাষ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে

    ইমদাদুল হক,পাইকগাছা (খুলনা)।।
    উপকূলের পাইকগাছায় বর্ষাকালে মাচায় সবজি চাষ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। মাচা ব্যবহারের কারণে সবজির লতা ও ফল মাটিতে লেগে থাকে না, ফলে রোগ ও পোকামাকড়ের আক্রমণ কম হয়। মাচায় চাষ করার কারণে ফসল পরিষ্কার থাকে এবং সহজে সংগ্রহ করা যায়। মাচায় আবাদ করা সবজি বাজারে ভাল দাম পাওয়ায় আর্ধিকভাবে লাভবান হচ্ছে চাষীরা।
    মাচায় সবজির আবাদ বলতে সাধারণত, লাউ, চিচিঙ্গা, পল্লা, জিঙ্গে, কুমড়া, শসা, বরবটি, সিম ইত্যাদি সবজি লতানো গাছের জন্য মাচা তৈরি করে চাষ করা হয়। এই পদ্ধতিতে,গাছের লতা উপরে উঠে যায় এবং এর ফলে ফলন বাড়ে, পোকামাকড়ের আক্রমণ কমে এবং জায়গা সাশ্রয় হয়। মাচা পদ্ধতিতে সবজি চাষ করলে ফলন সাধারণত বেশি হয়।
    উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর সূত্রে জানাগেছে, পাইকগাছায় প্রায় ১০ হেক্টর জমিতে সবজির আবাদ হয়েছে। নিচু জমি, বাড়ীর আঙ্গিনায়, জমির আইলে ও মাচায় সবজি চাষ করা হচ্ছে। পানির মধ্যে মাচায় সবজি চাষ পদ্ধতি একটি উদ্ভাবনী ও টেকসই কৃষি পদ্ধতি। মাচায় সবজির আবাদ একটি বিশেষ পদ্ধতি, যেখানে সবজির লতানো ও ঊর্ধ্বমুখী বৈশিষ্ট্য ব্যবহার করে মাচা তৈরি করে সবজি চাষ করা হয়। এই পদ্ধতিতে সাধারণত লাউ, কুমড়া, শসা, সিম, বরবটি ইত্যাদি সবজি চাষ করা হয়। মাচা তৈরির ফলে সবজির লতা উপরে উঠে যায় এবং আলো বাতাস ভালোভাবে চলাচল করতে পারে, যা ফলন বৃদ্ধিতে সহায়ক। এছাড়াও, মাচা পদ্ধতিতে সবজি চাষ করলে পোকামাকড়ের আক্রমণ ও রোগবালাই কম হয়।
    মাচা তৈরির জন্য সাধারণত বাঁশ, কাঠ বা লোহার পাইপ ও নেট জাল ব্যবহার করা হয়। সবজি চাষে বিভিন্ন প্রকার মাচা তৈরি করা হয়। ফসলের ধরনের উপর মাচা তৈরির উচ্চতা নির্ভর করে। কিছু সবজির জন্য ৫-৬ ফুট উচ্চতার মাচা তৈরি করা হয়, আবার কিছু সবজির জন্য ঝুলন্ত মাচা তৈরি করা হয়। মাচা তৈরির পর সবজির লতা মাচার উপর ছড়িয়ে দেওয়া হয়।
    উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মোঃ একরামুল হোসেন জানান, মাচায় সবজি চাষ একটি লাভজনক এবং পরিবেশ-বান্ধব কৃষি পদ্ধতি। এটি কৃষকদের উৎপাদনশীলতা বাড়াতে এবং নিরাপদ সবজি উৎপাদনে সহায়তা করে। মাচায় সবজি চাষ করলে বৃষ্টির সময় গাছের ক্ষতি হয় না এবং ফলও পাওয়া যায় প্রচুর পরিমাণে। অল্প পরিশ্রমে মাচায় সবজি চাষ লাভজনক হওয়ায় কৃষকরা আর্থিকভাবে সাবলম্বি হচ্ছে।

    ইমদাদুল হক,
    পাইকগাছা খুলনা।

  • মহেশপুরে ভাষানপোতা গ্রামে এক কৃষক ব-জ্রপাতে নিহ-ত

    মহেশপুরে ভাষানপোতা গ্রামে এক কৃষক ব-জ্রপাতে নিহ-ত

    মহেশপুর (ঝিনাইদহ) সংবাদদাতাঃ-
    ৪ জুলাই শুক্রবার সকাল ১১ ঘটিকার ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার ভাষানপোতা মাঠে ঘাস কাটতে গিয়ে নুরুল ইসলাম (৭০) নামের এক কৃষক বজ্রপাতে মৃত্যুবরণ করেছেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন। তার বাড়ি উপজেলার বাঁশবাড়ীয়া ইউনিয়নের ভাষানপোতা গ্রামে।

    শহিদুল ইসলাম ঝিনাইদহ মহেশপুর থেকে।

  • রাজশাহীতে বিএনপির মনোনয়ন চান প্রবাসী দুই সাবেক ছাত্রনেতা

    রাজশাহীতে বিএনপির মনোনয়ন চান প্রবাসী দুই সাবেক ছাত্রনেতা

    নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী : আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজশাহীর দুটি আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশা করছেন যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী দুই সাবেক ছাত্রনেতা। তারা হলেন- ডা. জাহিদ দেওয়ান শামীম ও অধ্যাপক শাহাদৎ হোসেন শাহীন। আশি ও নব্বই দশকের এই দুই ছাত্রনেতা নিজ নিজ ক্ষেত্রে সুপ্রতিষ্ঠিত এবং দলের প্রতি তাদের দীর্ঘদিনের অবদান রয়েছে বলেই দাবি করেছেন। মনোনয়ন পাওয়ার ব্যাপারে তারা আত্মবিশ্বাসী।

    জানা গেছে, ডা. জাহিদ দেওয়ান শামীম যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক ইউনিভার্সিটির একজন চিকিৎসক ও জ্যেষ্ঠ বিজ্ঞানী। তিনি স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের সময় রাজশাহীর রাজপথ কাঁপানো ছাত্রনেতা হিসেবে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন। বর্তমানে তিনি রাজশাহী-৪ (বাগমারা) আসন থেকে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশা করছেন।

    অন্যদিকে, অধ্যাপক শাহাদৎ হোসেন শাহীন যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার একজন সফল ব্যবসায়ী এবং ক্যালিফোর্নিয়া বিএনপির সহসভাপতি। নব্বই দশকে ছাত্র রাজনীতিতে সক্রিয় থাকা শাহীন এবার রাজশাহী-১ (গোদাগাড়ী-তানোর) আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশা করছেন।

    দুই নেতা বলছেন, দল, দেশ ও জাতির কল্যাণে দীর্ঘদিন ধরে তারা কাজ করে যাচ্ছেন এবং আগামী নির্বাচনেও তারা দলের হয়ে মাঠে থাকার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। নিউজটি ফেসবুকসহ বিভিন্ন মাধ্যমে প্রকাশের পর প্রতিবাদের ঝড় তুলেছেন নিটিজেনেরা।

    শহিদুল ইসলাম শহিদ লিখেছেন, টাকা খেয়ে তাদের পক্ষে নিউজ করেন আপনারা এই ১৭ বছর তাদের বা তাদের পক্ষে কোন লোক দেখলাম নারাজশাহী তে এতো আন্দোলন সংগ্রাম বড় বড় মহাসমাবেশ গেল রাজশাহীতে কই কোনদিন তো তাদের কোন ব্যানার ফেস্টুন কিংবা কোন আন্দোলন সংগ্রাম নেতৃবৃন্দকে দেখলাম না আজ দলের ভালো সময় নির্বাচন করতে আর আপনারা যাদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে নিউজ করছেন যারা এই ১৭ বছর আন্দোলন সংগ্রাম করেছে তাদেরকে এমপি নমিনেশন দিতে হবে।

    সোহেল রানা লিখেছেন, বাঘমারা রাজশাহী ১, আবার তানোর গোদাগাড়ীও রাজশাহী ১ ?? সংবাদ লেখার সময় কি বুদ্ধি ছুটিতে ছিলো নাকি? আর তানোর গোদাগাড়ী অবহেলিত এই কথা এইসব বুদ্ধিজীবীদের কে বললো ? বাংলাদেশের মধ্যে তানোরে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও রাস্তাঘাট অনেক বেশী এবং ভালো । যেটা জনাব আমিনুল হক সাহেব করে গেছেন ।

    এম. ডি রেজাউল ইসলাম লিখেছেন, মাঠে আন্দোলনে না থেকে মনোনয়ন দিলে দলের তৃনমুূলের ক্ষতি হবে। নেতা কর্মীদের সাথে যাদের সম্পর্ক আছে ফ্যাসিস্ট খুনী পতিত সরকারের রোষানলে রাজপথে রক্ত দিয়েছেন তাদের মনোনয়ন দিতে হবে।

    আবদুল আল মামুন নয়ন লিখেছেন, আন্দোলন নয়, সংগ্রামী নয়, কর্মীদের পাশে নাই, প্রবাসীদের নমিনেশন দিতে হবে কেন?

    এম. ডি তোফিক আহমেদ, লিখেছেন,
    রাজশাহী মেডিকেল কলেজের সাবেক ভিপি ছাত্রদলের সোনালী অতীত বাগমারা মাটি ও মানুষের নেতা ডঃ জাহিদ দেওয়ান শামীম আঙ্কেল।

    আসাদুল ইসলাম লিখেছেন, রাজশাহী মেডিকেল কলেজের সাবেক ভিপি ছাত্রদলের সোনালী অতীত বাগমারা মাটি ও মানুষের নেতা ডঃ জাহিদ দেওয়ান শামীম আঙ্কেল।

    ড. জাহিদ দেওয়ান শামীমঃ ড. জাহিদ দেওয়ান শামীম ২০১৭ সাল থেকে জিয়া পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়াও তিনি জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য।

    ড. জাহিদ রাজশাহী মেডিকেল কলেজ ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সভাপতি, রাজশাহী মেডিকেল কলেজ ছাত্রসংসদের ভিপি ও এজিএস, রাজশাহী মেডিকেল কলেজ একাডেমিক কাউন্সিলের ছাত্র প্রতিনিধি, ইন্টার্নি চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি ও ডক্টরস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় কমিটি কার্যনিবাহী সদস্য ছিলেন। এছাড়াও তিনি রাজশাহী মহানগর ছাত্রদলের সহ-সভাপতি ছিলেন।

    ড. জাহিদ দেওয়ান শামীম ছাত্রজীবন থেকে রাজনীতিতে সক্রিয় আছেন এবং ৯০-এ স্বৈরশাসক এরশাদ বিরোধী গনতান্ত্রিক আন্দোলনে রাজপথে সক্রিয় থেকে আন্দোলনে নেতৃত্ব দেন। স্বৈরাচার এরশাদ বিরোধী আন্দোলনের সময় ৫টি মামলার আসামী তিনি। এছাড়াও ২০২৪ সালের জুলাই গণ-অভ্যুত্থানসহ সকল ফ্যাসিবাদ ও স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন।

    ড. জাহিদ ২০১৫ সালে দেওয়ান ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে বাগমারা তথা দেশের মানুষের পাশে দাড়িয়ে মানুষের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। বিশেষ করে দুস্থ্য মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র, খাবার সমগ্রী, পোষাক বিতরণসহ অসহায় রোগিদের চিকিৎসায় আর্থীক সহযোগিতা দিয়ে আসছেন।

    ১৯৬৮ সালের ২৫ ডিসেম্বর সম্ভান্ত মুসলিম পরিবারে জন্ম নেওয়া ড. জাহিদ দেওয়ানের শিক্ষাজীবন জন্মস্থান রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার জামালপুর গ্রামের জামালপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শুরু। এরপর ঢাকা শিক্ষা বোর্ড থেকে প্রথম বিভাগে এসএসসি ও এইচএসসি পাশের পর ১৯৮৮ সালে রাজশাহী মেডিকেল কলেজে ভর্তি হন। ১৯৯৫ সালে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস পাশ করেন। ২০০৪ সালে মার্চে জাপানের টোকিও মেডিকেল এন্ড ডেন্টাল ইউনিভার্সিটি থেকে ক্যান্সার বায়োলজী ও ইমিউনোলজীতে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন।

    ড. জাহিদ দেওয়ান শামীম বলেন, ‘‘স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় বয়স ছিল এক বছর, দেশের জন্য যুদ্ধে অংশগ্রহণের সুযোগ হয় নাই। এটিই আমার জীবনের সবচেয়ে বড় অপ্রাপ্তি। বুদ্ধি হবার পর থেকেই তাই আমাকে দেশের মানুষ এবং দেশের জন্য কিছু করার ইচ্ছা শয়নে স্বপনে জাগরনে ভিতরে ভিতরে খোঁচাতে থাকে। আমি চিন্তা করেছি একমাত্র রাজনীতি আমাকে এই সুযোগ করে দিবে। কারণ রাজনীতি যা একটি জটিল ও ক্রমবর্ধমান বিষয়। যার দ্বারা সমাজের পরিবর্তন ও নিয়ন্ত্রণ, সম্পদের সুষ্ঠু বরাদ্দ, নীতিমালা প্রনয়ন, বিরোধ মিমাংসা এমনকি সরকার গঠন করে জনগণের প্রয়োজন মিটাবার সর্বোত্তম পথ বলেই আমি মনে করি এবং এই কারনেই আমার এই রাজনীতির পথে আসা।’’

    ড. শামীম আরও বলেন, “আমি আশির দশকে ছাত্রদলের একজন সক্রিয় কর্মী হিসেবে স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে রাজপথে ছিলাম। ছাত্ররাজনীতি থেকেই আমি শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হই। বর্তমানে আমি নিউইয়র্ক ইউনিভার্সিটিতে চিকিৎসক ও জ্যেষ্ঠ বিজ্ঞানী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছি। কিন্তু দেশের প্রতি দায়বদ্ধতা ও দলের প্রতি ভালোবাসা আজও অটুট আছে।

    ‘‘আমি মনে করি, রাজশাহী-৪ (বাগমারা) একটি সম্ভাবনাময় এলাকা। কিন্তু যুগের পর যুগ ধরে এই এলাকার মানুষ উন্নয়ন থেকে বঞ্চিত। দল যদি আমাকে মনোনয়ন দেয়, তাহলে আমি প্রবাসে অর্জিত অভিজ্ঞতা ও আন্তর্জাতিক সংযোগ কাজে লাগিয়ে এই এলাকার উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে চাই।’’

    তিনি আরও বলেন, ‘‘প্রবাসে থেকেও বিএনপির বিভিন্ন আন্তর্জাতিক কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেছি। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনে প্রবাসী ও দেশের নেতাকর্মীদের সঙ্গে যুক্ত ছিলাম সবসময়। এখন দেশের প্রয়োজনে আমি মাঠে থাকতে চাই। দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে আমরা দেশকে সঠিক পথে ফিরিয়ে আনতে পারবো- এই বিশ্বাস নিয়েই আমি মনোনয়ন প্রত্যাশা করছি।”

    অধ্যাপক শাহাদৎ হোসেন শাহীন
    বিএনপির রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান অধ্যাপক শাহাদৎ হোসেন শাহীন ছাত্রজীবন থেকে রাজনীতিতে সক্রিয়। তিনি বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া বিএনপির সহ-সভাপতি। এর আগে তিনি যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।

    নব্বই দশকের ছাত্রনেতা অধ্যাপক শাহীন রাজশাহী কলেজ ছাত্রদলের সহ-সভাপতি ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। তিনি রাজশাহী মহানগর ছাত্রদলের নির্বাহী কমিটির সদস্যও ছিলেন। এছাড়াও তিনি তানোর উপজেলার মুন্ডুমালা পৌরসভা যুবদলের সহ-সভাপতি ছিলেন। ছাত্রজীবন শেষ করে অধ্যাপক শাহীন মুন্ডুমালা মহিলা কলেজে শিক্ষকতা করেছেন।

    অধ্যাপক শাহাদৎ হোসেন শাহীনের পিতা সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মোজ্জাম্মেল হক বর্তমানে মুন্ডুমালা পৌরসভা বিএনপির আহবায়ক। এর আগে দির্ঘদিন তিনি সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন।

    অধ্যাপক শাহাদৎ হোসেন শাহীন বলেন, “আমি নব্বই দশকে রাজশাহীতে ছাত্রদলের রাজনীতির সঙ্গে সক্রিয়ভাবে জড়িত ছিলাম। তখন থেকেই শহীদ জিয়া, বেগম খালেদা জিয়া ও বিএনপির আদর্শকে বুকে ধারণ করেছি। আজ যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করলেও দেশের প্রতি, দলের প্রতি এবং জনগণের প্রতি দায়বদ্ধতা ভুলে যাইনি। প্রবাসে থেকেও দলের সঙ্গে সার্বক্ষণিক সম্পৃক্ত থেকেছি। ক্যালিফোর্নিয়া বিএনপির সহ-সভাপতির দায়িত্ব পালন করছি বহুদিন ধরে। প্রবাসে থাকলেও জুলাই আন্দোলন সফল করতে ভূমিকা রেখেছি।’

    তিনি বলেন, ‘‘রাজশাহী-১ (গোদাগাড়ী-তানোর) আসনে আমি যদি বিএনপির মনোনয়ন পাই, তাহলে এই জনপদের অবহেলিত মানুষদের অধিকার প্রতিষ্ঠা ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে নিরলসভাবে কাজ করবো। এই এলাকার মানুষ পরিবর্তন চায়, সুশাসন চায়। আমি বিশ্বাস করি, বিএনপি ক্ষমতায় এলে দেশে গণতন্ত্র ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা পাবে। সেই লক্ষ্যেই আমি মনোনয়ন প্রত্যাশা করছি।’’

    অধ্যাপক শাহীন বলেন, ‘‘দলের হাইকমান্ড যদি আমাকে মূল্যায়ন করে মনোনয়ন দেন, তাহলে প্রবাসী ও এলাকার নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে আমি রাজপথে সক্রিয় হবো। জনগণের পাশে থাকবো। বিএনপির বিজয়ের জন্য যা কিছু প্রয়োজন, তা করতে আমি প্রস্তুত।”

    মোঃ হায়দার আলী
    নিজস্ব প্রতিবেদক,
    রাজশাহী।

  • আশুলিয়ায় কিশোর গ-্যাং  মা-দক স-ন্ত্রাস দ-মনে আইন-শৃ-ঙ্খলা বাহিনীর সফল অভি-যান

    আশুলিয়ায় কিশোর গ-্যাং মা-দক স-ন্ত্রাস দ-মনে আইন-শৃ-ঙ্খলা বাহিনীর সফল অভি-যান

    হেলাল শেখঃ ঢাকা জেলার আশুলিয়ায় একসময় ছিলো সন্ত্রাসীদের অভয়ারণ্য ও নিরাপদ আস্তানা, (ক্রাইম জোন) সেখানে এখন পুলিশ, র‍্যাব, সেনাবাহিনী ও যৌথ বাহিনীর অভিযানে একের পর এক শীর্ষ সন্ত্রাসীরা গ্রেফতার হচ্ছে।

    চলমান অভিযান প্রমাণ করছে-রাষ্ট্র এখন আর অপরাধীদের সাথে আপোষ করে না!

    সম্প্রতি গ্রেফতার হওয়া উল্লেখযোগ্য নামগুলোঃ
    সুটার বাপ্পি–গোপন আস্তানা থেকে ধরা পড়ে অস্ত্রসহ, গোয়েন্দা পুলিশের ওপর গুলিবর্ষণের ঘটনায় সরাসরি জড়িত।
    মুন্না শেখ ওরফে (শামীম শেখ) আশুলিয়া–জামগড়ার চিহ্নিত চাঁদাবাজ ও ভয়ংকর অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী।

    জিয়া দেওয়ান–গুলিবর্ষণ ও আধিপত্য বিস্তারে কুখ্যাত, অস্ত্রসহ ধরা পড়ে র‍্যাব ও পুলিশের যৌথ অভিযানে।

    পাগলা জুয়েল ও তার সহযোগী মাসুদ–দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় ভয় দেখিয়ে টিকে থাকা এই চক্রটি অবশেষে র‍্যাবের হাতে গ্রেফতার।

    পুলিশের গোয়েন্দা শাখা, র‍্যাব–৪, সেনাবাহিনীর সহায়তা এবং অন্যান্য আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সমন্বিত পদক্ষেপেই আশুলিয়া আজ সন্ত্রাসমুক্তির প্রায় পথে।

    এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে বাংলাদেশ পুলিশ, র‍্যাব, সেনাবাহিনী এবং সকল আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীসহ আশুলিয়া থানার নবনিযুক্ত অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হান্নানকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা।
    আপনাদের সাহস, নিষ্ঠা ও ঐক্যবদ্ধ অভিযানের ফলেই এখন নির্ভয়ে হাঁটতে পারছেন সন্ত্রাস কবলিত জনপদ আশুলিয়ায়। তবে রাজনৈতিক হত্যা মামলার আসামিদের বিষয়ে ধারাবাহিক সংবাদ প্রকাশ চলমান। এই ধারা অব্যাহত থাকুক-অপরাধীরা কারাগারে থাকুক, জনতা থাকুক নিরাপদে সবার এই প্রত্যাশা।

  • ১৭ বছর পর রংপুরে রাজনৈতিক ময়দানে ফিরলো বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী

    ১৭ বছর পর রংপুরে রাজনৈতিক ময়দানে ফিরলো বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী

    খলিলুর রহমান খলিল, নিজস্ব প্রতিনিধি :
    ১৭ বছর পর রংপুরে বড় পরিসরে রাজনৈতিক ময়দানে ফিরলো বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। আজ শুক্রবার (৪ জুলাই) দুপুর থেকে রংপুর জেলা স্কুল মাঠে ঢল নামে হাজারো মানুষের। কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে ওঠে গোটা মাঠ। নানা বয়সী নারী-পুরুষ, ছাত্র, শ্রমজীবী, পেশাজীবী মানুষের পদচারণায় জমে ওঠে জনসমাবেশ। তাদের কণ্ঠে ছিল পরিবর্তনের প্রত্যাশা, হাতের প্ল্যাকার্ডে ছিল দাবি ও প্রতিবাদের ভাষা।

    চার দফা দাবি সামনে রেখে আয়োজিত এ বিভাগীয় জনসভাকে কেন্দ্র করে রংপুর নগরীসহ আশপাশের জেলায় সৃষ্টি হয়েছে নতুন রাজনৈতিক উত্তাপ ও আলোচনা।

    দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে—২০২৪ সালের ছাত্র আন্দোলনের শহীদ আবু সাঈদসহ নিহত ব্যক্তিদের হত্যার বিচার, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন নিশ্চিতে ‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড’ ও রাজনৈতিক সংস্কার, উত্তরাঞ্চলের বহুদিনের দাবি ‘তিস্তা মহাপরিকল্পনা’ দ্রুত বাস্তবায়ন এবং বৈষম্যহীন মানবিক বাংলাদেশ গঠনের অঙ্গীকার।

    জনসভা ঘিরে সকাল থেকেই রংপুর জিলা স্কুল মাঠে জড়ো হতে থাকেন নেতাকর্মীরা। বিভিন্ন জেলা উপজেলা থেকে মিনিবাস, ট্রাক, মাইক্রোবাস, রিকশা, অটোরিকশা, কাভার্ডভ্যানসহ বিভিন্ন যানবাহনে করে দূর-দূরান্ত থেকে আসেন সাধারণ মানুষ। বিভিন্ন জেলা থেকে আসা বাস, ট্রাকগুলো রংপুর মেডিকেল মাঠ, সিও বাজার, মর্ডান মোড়, মাহিগঞ্জ, কামাল কাছনায় রেখে পায়ে হেটে জিলা স্কুল মাঠে যাচ্ছেন মানুষেরা। এতে শহরে যানচলাচলে বিঘ্নঘটে।

    বিকেল সাড়ে ৩টায় জনসভার মূল কার্যক্রম শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত আছেন দলের আমির ডা. শফিকুর রহমান। প্রধান বক্তা সদ্য কারামুক্ত কেন্দ্রীয় নেতা এটিএম আজহারুল ইসলাম। বিশেষ বক্তা হিসেবে উপস্থিত আছেন জামায়াতের নায়েবে আমির অধ্যাপক মুজিবুর রহমান, সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, ছাত্রশিবিরের সভাপতি জাহিদুল ইসলামসহ কেন্দ্রীয় ও বিভাগীয় নেতৃবৃন্দ।

    মহানগর ও জেলা জামায়াতের যৌথ আয়োজনে জনসভাস্থলে নির্মাণ করা হয়েছে বিশাল মঞ্চ। নারীদের জন্য রয়েছে আলাদা জায়গা ও পর্দার ব্যবস্থা। মাঠে প্রবেশের জন্য খোলা হয়েছে নতুন দুটি পথ। জনসভাকে কেন্দ্র করে শহরের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে তোরণ, ব্যানার, ফেস্টুন এবং বড় বড় বিলবোর্ড লাগানো হয়েছে। চলছে মাইকিং ও প্রচারণা। এছাড়া বিভাগজুড়ে গণসংযোগ, পোস্টারিং এবং বিশাল মোটরসাইকেল শোভাযাত্রাও করেছে দলটি।

    আয়োজকরা জানান, জনসভা সফল করতে গঠন করা হয়েছে ১৩টি উপ-কমিটি, রয়েছে মেডিকেল ইউনিট ও ভলান্টিয়ার টিম। জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আবদুল হালিম আশা প্রকাশ করে বলেন, রংপুরে এই জনসভায় দুই লক্ষাধিক মানুষের উপস্থিতি হবে। এই সম্মেলনের মাধ্যমে নির্বাচনের মাঠে দল নতুন করে ঘুরে দাঁড়াবে বলে তার প্রত্যাশা।

    সকাল থেকেই জনসভাস্থলে ব্যানার, ফেস্টুন হাতে জমায়েত হতে দেখা যায় নানা বয়সী মানুষকে। তাদের দাবি—দীর্ঘ ১৮ বছর ধরে দেশে চলছে দমন-পীড়ন, গুম ও খুনের রাজনীতি। সেই বাস্তবতা তুলে ধরে তারা বলছেন, ‘জুলাই গণআন্দোলনের’ চেতনায় দেশে একটি নতুন রাজনৈতিক ধারার সূচনা করতে চায় জামায়াত।

    আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে বৃহত্তর রংপুরের ৩৩টি আসনে বিজয়ের লক্ষ্যে এই জনসভাকে টার্নিং পয়েন্ট হিসেবে দেখছে দলটি। একইসঙ্গে রংপুরবাসীর কাছে জামায়াতের রাজনৈতিক রূপরেখা ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার বার্তাও পৌঁছে দিতে চায় তারা।