Blog

  • ত্রিশালের চকরামপুর কামিল মাদ্রাসায় কামিল ক্লাসের শুভ সূচনা ও হাফেজদের পা-গড়ী প্রদান

    ত্রিশালের চকরামপুর কামিল মাদ্রাসায় কামিল ক্লাসের শুভ সূচনা ও হাফেজদের পা-গড়ী প্রদান

    আরিফ রববানী ময়মনসিংহ।।
    কামিল (স্নাতকোত্তর) শ্রেণির উদ্বোধন করে শিক্ষা ও ঐতিহ্যের এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা হয়েছে ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলার চকরামপুর কামিল মাদ্রাসায়।

    বুধবার(১৩ আগস্ট) এক বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে মাদ্রাসাটিতে প্রথমবারের মতো কামিল (স্নাতকোত্তর) শ্রেণির উদ্বোধন করা হয়েছে। একই সাথে, মাদ্রাসার হেফজ বিভাগ থেকে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের পাগড়ী প্রদান ও বিশেষ দোয়া অনুষ্ঠান সফলভাবে সম্পন্ন হয়, যা পুরো এলাকাজুড়ে এক উৎসবের আমেজ তৈরি করে।

    চকরামপুর কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মো. ওসমান গনির সভাপতিত্বে আয়োজিত এই ঐতিহাসিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দেশের স্বনামধন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান তামিরুল মিল্লাত কামিল মাদ্রাসা, টঙ্গীর অধ্যক্ষ ড. মো. হিফজুর রহমান।

    উদ্বোধক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মোমেনশাহী ডিএস কামিল মাদ্রাসার মুহাদ্দিস ও এডভান্সড ফাউন্ডেশন বাংলাদেশের চেয়ারম্যান ড. মো. হাসানুজ্জামান।

    তাদের মূল্যবান উপস্থিতি ও দিকনির্দেশনা অনুষ্ঠানে এক নতুন মাত্রা যোগ করে।

    অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন
    ত্রিশাল আব্বাসিয়া কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মো. ফজলুল হক,
    বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষক পরিষদের ত্রিশাল উপজেলা সভাপতি অধ্যক্ষ মো. আনিসুজ্জামান,
    সম্পাদক অধ্যক্ষ নাজমুল হক,
    গফরগাঁও উপজেলা সভাপতি অধ্যক্ষ মো. মোসলেহ উদ্দিন,
    খোদাবক্সপুর ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ বদরুল আলম,
    নান্দাইল গোসপালা ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মো : এনামুল হক,
    নান্দাইল মাদ্রাসা শিক্ষক পরিষদের সম্পাদক আবু সালেহ,
    গোপালনগর ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মোঃ আব্দুস সাত্তার,
    দুখুমিয়া বিদ্যানিকেতনের প্রধান শিক্ষক ও বাংলাদেশ স্কাউট এর ত্রিশাল উপজেলা সম্পাদক মোঃ হারুনুর রশিদ,
    ঝাইয়ারপাড় ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আব্দুল মান্নান,
    খাগাটি জামতলী ফাজিল মাদ্রাসার উপাধ্যক্ষ মোঃ খবীর উদ্দিন,
    আউলিয়ানগর আলিম মাদ্রাসার উপাধ্যক্ষ মনিরুল হাসান,
    নান্দাইল ফাজিল মাদ্রাসার সহকারী অধ্যাপক মোঃ নুরুল আমিন,
    রামপুর কাকচর বালিকা মাদ্রাসার সুপার মোঃ নুরুল ইসলাম,
    গফাকুড়ি আদর্শ বালিকা দাখিল মাদ্রাসার সুপার হাফেজ ইউনুস,
    রামপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান নাজমুল সরকার,
    আব্দুল কাইয়ুম মেম্বার, কাজি মোস্তাক মেম্বারসহ আরও অনেক গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।

    এছাড়াও স্থানীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত থেকে অনুষ্ঠানের গৌরব বৃদ্ধি করেন।

    বক্তারা চকরামপুর কামিল মাদ্রাসার এই যুগান্তকারী পদক্ষেপের ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং এর মাধ্যমে উচ্চ শিক্ষার ক্ষেত্রে এলাকার শিক্ষার্থীদের জন্য নতুন সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে বলে অভিমত ব্যক্ত করেন।

    তারা বলেন, কামিল ক্লাস চালুর মাধ্যমে এই মাদ্রাসাটি এখন একটি পূর্ণাঙ্গ ইসলামিক শিক্ষা কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে, যা জাতি গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

    নবীন হাফেজদের পাগড়ী পরিয়ে দেওয়ার পর তাদের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ কামনা করে দোয়া করা হয়।

    সবশেষে, অধ্যক্ষ মো. ওসমান গনি উপস্থিত সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে এই সাফল্যকে মাদ্রাসার সকল শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও স্থানীয় জনগণের সম্মিলিত প্রচেষ্টার ফসল বলে অভিহিত করেন।

    এই অনুষ্ঠানটি কেবল একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মাইলফলক নয়, বরং এটি পুরো এলাকার জন্য একটি গৌরব ও অনুপ্রেরণার দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।

  • তারাগঞ্জে রুপলাল ও তার জামাই নিহ-তের ঘটনায় দুই এসআইসহ ৬ পুলিশ কনস্টেবলকে ক্লো-জ

    তারাগঞ্জে রুপলাল ও তার জামাই নিহ-তের ঘটনায় দুই এসআইসহ ৬ পুলিশ কনস্টেবলকে ক্লো-জ

    খলিলুর রহমান খলিল নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
    রংপুরের তারাগঞ্জে গণপিটুনিতে রবিদাস সম্প্রদায়ের জামাই-শ্বশুর নিহতের ঘটনায় দায়িত্ব অবহেলার অভিযোগে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তাসহ ঘটনার সময় উপস্থিত দুই এসআই, ৬ পুলিশ কনস্টেবলকে তারাগঞ্জ থানা থেকে ক্লোজ করে নেওয়া হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রংপুরের পুলিশ সুপার আবু সাইম।

    পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ক্লোজ হওয়া দুই এসআই ও ৬জন কনস্টেবল হলেন-নিহত রুপলাল দাসের স্ত্রীর দায়ের করা হত্যা মামলারর তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই আবু জোবায়ের, রংপুর পুলিশ লাইনে থেকে যুক্ত থাকা এসআই সফিকুল ইসলাম, কনস্টেবল ফারিকিত আখতার জামান, ধিরাজ কুমার রায়, হাসান আলী, ফিরোজ কবির, মোক্তার হোসেন ও বাবুল চন্দ্র রায়। তাঁরা সকলে রুপলাল ও প্রদীপলালকে মারপিটের সময় উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু ওই দুইজনকে উদ্ধার না করে জনতার হাতে রেখে সরে আসেন। জোবায়েরের পরিবর্ততে বর্তমানে ওই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ওসি তদন্ত রফিকুল ইসলামকে।
    গত শনিবার রাত ৯টার দিকে তারাগঞ্জের সয়ার ইউনিয়নের বটতলা এলাকায় গণপিটুনিতে নিহত হন উপজেলার ঘনিরাপুর এলাকার রুপলাল দাস। একই ঘটনায় নিহত হন তাঁর ভাগনির স্বামী প্রদীপ লাল (৩৫)। প্রদীপের বাড়ি মিঠাপুকুর উপজেলার বালুয়াভাটা গ্রামে। রূপলাল স্থানীয় বাজারে জুতা সেলাই করতেন। ছোট্ট একটি টিনের ঘরে তিনি মা, স্ত্রী ও তিন সন্তানসহ থাকতেন। আর প্রদীপ লাল জীবিকা নির্বাহ করতেন ভ্যান চালিয়ে।
    নিহত রূপলালের পরিবার জানায়, রূপলাল দাসের মেয়ে নুপুর রানীর বিয়ের কথাবার্তা চলছিল মিঠাপুকুরের শ্যামপুর এলাকার এক যুবকের সঙ্গে। গত রোববার বিয়ের দিন-তারিখ ঠিক করার কথা ছিল। এ জন্য মিঠাপুকুর থেকে নিজের ভ্যান চালিয়ে রূপলালের ভাগনির স্বামী প্রদীপ লাল আগের দিন শনিবার ঘনিরামপুর গ্রামে রূপলালের বাড়ির উদ্দেশে রওনা হন। কিন্তু গ্রামের ভেতর দিয়ে রাস্তা না চেনায় প্রদীপ কাজীরহাট এলাকায় এসে রূপলালকে ফোন করেন। সেখানে রূপলাল গিয়ে দুজন ভ্যানে চড়ে ঘনিরামপুর গ্রামের দিকে রওনা হন। রাত ৯টার দিকে তারাগঞ্জ-কাজীরহাট সড়কের বটতলা এলাকায় পৌঁছালে কয়েকজন যুবক তাঁদের আটক করেন। একপর্যায়ে প্রদীপ লালের ভ্যানে থাকা বস্তা থেকে কয়েকটি প্লাস্টিকের ছোট বোতল বের করেন তাঁরা। এটা নিয়ে তাঁদের মধ্যে ধস্তাধস্তি হয়। একপর্যায়ে লোকজন জড়ো হলে রূপলাল ও প্রদীপ লালকে চোর আখ্যা দেওয়া হয়। বস্তায় থাকা একটি বোতল নাকের সামনে নিয়ে মেহেদী হাসান উপস্থিত লোকজনকে বলেন, ‘এ ভাই, দয়া করে আমাকে ধরো’ বলে মাটিতে পড়ে যেতে থাকেন। এরপর দুজন তাঁকে কোলে করে সরিয়ে নেন। এ ঘটনা ছড়িয়ে পড়লে সেখানে শত শত লোক জড়ো হন। একপর্যায়ে অচেতন করে চুরি করা চোর সন্দেহে তাঁদের দুজনকে মারধর শুরু হয়। মারতে মারতে তাদের বুড়িরহাট উচ্চবিদ্যালয়ের মাঠে নেওয়া হয়। এ সময় সেখানে এসআই জোবায়ের ও সফিকুলসহ ওই কনস্টেবলরা বুড়িরহাট মাঠে যান। তখনও রুপলাল ও প্রদীপলাল জীবিত ছিলেন। কিন্তু তাঁরা রুপলাল ও প্রদীপ লালকে উদ্ধার না করে জনতার হাতে রেখে সরে যান। এরপর উত্তেজিত জনতা গণপিটুনি তাঁরা অচেতন হয়ে পড়েন। এরপর প্রায় এক ঘন্টা পর পুলিশ ও সেনাবাহিনীর তিনটি গাড়ি সেখানে যায়। তাঁরা বুড়িরহাট উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠ থেকে অচেতন অবস্থায় ওই দুজনকে উদ্ধার করে তারাগঞ্জ হাসপাতালে নিলে সেখানে চিকিৎসক রাত ১১টায় রুপলালকে মৃত্যু ঘোষণা করেন। এবং প্রদীপ লাল ভোর ৪টায় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান।
    এ ঘটনায় পরদিন রোববার রুপলালের স্ত্রী ৫০০ থেকে ৭০০জনকে অজ্ঞাতনামা আসামী করে থানায় মামলা করলে ওই দিন রাতে পুলিশ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে চারজনকে গ্রেপ্তার করেন।
    দুই এসআই ও ৬ কনস্টেবল ক্লোজের বিষয়ে জানতে চাইলে রংপুরের পুলিশ সুপার আবু সাইম বলেন, ‘তাদের ক্লোজ করা হয়। আমরা ইনকোয়ারি শুরু করেছি। তদন্তে যদি কারও দোষ থাকে, আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

  • জামায়াত সরকার গঠ-ন করলে সকল সেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌছে দেব – মাওলানা এমরুল

    জামায়াত সরকার গঠ-ন করলে সকল সেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌছে দেব – মাওলানা এমরুল

    স্টাফ রিপোর্টার,
    বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামী ময়মনসিংহ মহানগর শাখার উদ্যোগে রুকন সম্মেলন-২০২৫ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

    বুধবার ( ১৩ আগস্ট ) বিকেলে নগরীর এড. তারেক স্মৃতি অডিটোরিয়ামে এই রুকন সম্মেলন ও কর্মী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। কর্মী সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্যে রাখেন, বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামী কেন্দ্রীয় শুরা সদস্য, ময়মনসিংহ মহানগর শাখার আমীর ও ১৪৯ ময়মনসিংহ (সদর) আসনের সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী মাওলানা আহসান এমরুল।

    এসময় তিনি বলেন,পতিত স্বৈরাচার শেখ হাসিনার সরকার জামায়াত ইসলামী নেতা কর্মীদের অত্যাচার, জুলুম, নাটক সাজিয়ে নির্যাতন করেছে। মিথ্যা মামলা দিয়ে জামায়াত নেতাদের ফাঁসি দেওয়া হয়েছে ।হাসিনা সরকার যে ট্রাইব্যুনালে জামায়াত নেতাদের ফাঁসি দিয়েছেন। সেই ট্রাইবুনালে পতিত স্বৈরাচার হাসিনাসহ সকল খুনিদের ফাঁসি হবে সেটাই দাবি জানাচ্ছি ।
    তিনি আরও বলেন,দেশের মানুষ রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আওয়ামীলীগ ,জাতীয় পার্টিসহ অন্যান্য দলের শাসন দেখেছে, এবার জামায়াত ইসলামীকে দেখতে চায় জনগণ। তিনি বলেন-যদি সামনে জামায়াত সরকার গঠন করে সকল ধরনের সেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌছে দেব ইনশাল্লাহ । ইসলামী আইন চালু হলে দেশে শান্তির পরিবেশ ফিরে আসবে । কোন ধরনের চাঁদাবাজি ,দখলবাজি ও সেলফি বাজী চলবে না।

    মাওলানা কামরুল আহসান এমরুল বলেন-বিগত সরকার ভোটের অধিকার নষ্ট করে গেছে । গত ১৭বছর যাবত দেশে কোন ধরনের গণতন্ত্র ছিল না । বহু আলেম উলামাদেরকে প্রহসনের মাধ্যমে হত্যা করা হয়েছে ও বহু নেতা-কর্মীকে গুম করা হয়েছে । লক্ষ লক্ষ নেতা-কর্মীদেরকে মিথ্যা মামলা দিয়ে জেল হাজতে প্রেরণ করেছে । গত ২০২৪ইং জুলাই-আগষ্ট আন্দোলনের ফলে তারা আল্লাহর মেহেরবানীতে দেশ ছাড়তে বাধ্য হয়েছে। সে জন্য তিনি ২০২৪ জুলাই-আগষ্ট আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী সকল ছাত্র জনতার প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করে জামায়াতে ইসলামীর আমিরের জন্য দোয়া চেয়ে আরও বলেন, আমাদের নেতা বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির সাহেবের অপারেশন হয়েছে, আপনারা আমীর সাহেবের জন্য দুয়া করবেন যেনো দ্রুত সুস্থ হয়ে আমাদের মধ্যে ফিরে আসতে পারে।

     সম্মেলনে অন্যান্যদের মাঝে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ময়মনসিংহ মহানগর শাখার নায়েবে আমীর,আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ১৫২ ময়মনসিংহ-৭ আসনে জামায়াতে ইসলামী মনোনীত প্রার্থী আসাদুজ্জামান সোহেলসহ জামায়াতে ইসলামী ময়মনসিংহ জেলা ও মহানগর জামায়াত ইসলামীর বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

  • ঠাকুরগাঁওয়ে রানীশংকৈলে জিংক ধানের সম্প্রসারণে নীতি নির্ধারণ ও প্রকল্প অংশী-দারগণের মতামত সভা

    ঠাকুরগাঁওয়ে রানীশংকৈলে জিংক ধানের সম্প্রসারণে নীতি নির্ধারণ ও প্রকল্প অংশী-দারগণের মতামত সভা

    গীতি গমন চন্দ্র রায় গীতি।।
    স্টাফ রিপোর্টার।। :
    ঠাকুরগাঁওয়ে পুষ্টিসমৃদ্ধ  জিংক ধানের সম্প্রসারণে নীতি নির্ধারণ ও প্রকল্প অংশীদারগণের মতামত সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।বুধবার (১৩ আগস্ট) সকালে হারভেস্টপ্লাস বাংলাদেশের বাস্তবায়নে ও রিয়েক্টস-ইন প্রজেক্টের আওতায় এবং ইএসডিও’র আয়োজনে জেলার রাণীশংকৈল উপজেলা নির্বাহী অফিসের হলরুমে মতামত সভাটি অনুষ্ঠিত হয়। 
    রাণীশংকৈল উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাফিউল মুজলাবিন রহমানের সভাপতিত্বে ওই সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন রাণীশংকৈল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আরএমও ডাক্তার মোঃ ফিরোজ আলম। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন রাণীশংকৈল উপজেলার অতিরিক্ত কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোঃ সাবের আলম।তাছাড়াও বক্তব্য দেন, কৃষিবিদ মোঃ মজিবর রহমান, প্রোগ্রাম ম্যানেজার, হারভেস্টপ্লাস বাংলাদেশ, কৃষিবিদ মোঃ শাহিনুল কবির, প্রজেক্ট ম্যানেজার, হারভেস্টপ্লাস বাংলাদেশ, কৃষিবিদ মোঃ মাসুদ রানা, বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (BRRI) পঞ্চগড় রিজিয়ন এর সায়েন্টিফিক অফিসার এন্ড হেড, উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোঃ আল মামুন অর রশীদ, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ বেলাল উদ্দিন সরকার, উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মোঃ ইশকে আবদুল্লাহ, উপজেলা খাদ্য পরিদর্শক সৌমিত্র বসাক, উপজেলা সমাজ সেবা অফিসার মোঃ আব্দুর রহিম, পৌরসভা প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এএসএম জাবেদ আলী, বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোঃ ইস্তেখার আলী, ওয়ার্ল্ড ভিশনের প্রজেক্ট ম্যানেজার রুমা বেগম, ইএসডিও রিয়েক্টস- ইন প্রজেক্টের প্রজেক্ট ফোকাল কৃষিবিদ মোঃ আশরাফুল আলম, প্রজেক্ট কোঅর্ডিনেটর মোঃ কামরুল ইসলাম, প্রজেক্ট অফিসার মোঃ মিজানুর রহমান এবং রাণীশংকৈল উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের ৫ জন ইমাম, ৫ জন কৃষক নারী নেত্রী ও হাই স্কুলের ৫ জন প্রধান শিক্ষকসহ প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়া সাংবাদিকরা।জিংক ধানের সম্প্রসারণে নীতি নির্ধারণ ও প্রকল্প অংশীদারগণের মতামত সভায় মানবদেহে জিংকের উপকারিতা, অভাবজনিত লক্ষণ ও জিংকের ঘাটতি মেটানোর উপায়সহ জিংক সমৃদ্ধ ধান ও গমের বিভিন্ন জাত, তাদের উৎপাদন প্রযুক্তি বিষয়ে বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করা হয়। অংশগ্রহণকারীরা আলোচনায় স্বতস্ফুর্ত ভাবে অংশগ্রহণ করেন এবং জিংক ধান ও গমকে মানুষের হাতের নাগালে পৌঁছাতে ও এই বিষয়ে সাধারণ মানুষের সচেতনতা বৃদ্ধিতে সকল কর্মকর্তারা নিজ নিজ সেক্টরের মাধ্যমে কাজ করে যাবেন মর্মে দৃঢ়তা প্রকাশ করেন।ছাড়াও বক্তব্য দেন, কৃষিবিদ মোঃ মজিবর রহমান, প্রোগ্রাম ম্যানেজার, হারভেস্টপ্লাস বাংলাদেশ, কৃষিবিদ মোঃ শাহিনুল কবির, প্রজেক্ট ম্যানেজার, হারভেস্টপ্লাস বাংলাদেশ, কৃষিবিদ মোঃ মাসুদ রানা, বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (BRRI) পঞ্চগড় রিজিয়ন এর সায়েন্টিফিক অফিসার এন্ড হেড, উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোঃ আল মামুন অর রশীদ, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ বেলাল উদ্দিন সরকার, উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মোঃ ইশকে আবদুল্লাহ, উপজেলা খাদ্য পরিদর্শক সৌমিত্র বসাক, উপজেলা সমাজ সেবা অফিসার মোঃ আব্দুর রহিম, পৌরসভা প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এএসএম জাবেদ আলী, বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোঃ ইস্তেখার আলী, ওয়ার্ল্ড ভিশনের প্রজেক্ট ম্যানেজার রুমা বেগম, ইএসডিও রিয়েক্টস- ইন প্রজেক্টের প্রজেক্ট ফোকাল কৃষিবিদ মোঃ আশরাফুল আলম, প্রজেক্ট কোঅর্ডিনেটর মোঃ কামরুল ইসলাম, প্রজেক্ট অফিসার মোঃ মিজানুর রহমান এবং রাণীশংকৈল উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের ৫ জন ইমাম, ৫ জন কৃষক নারী নেত্রী ও হাই স্কুলের ৫ জন প্রধান শিক্ষকসহ প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়া সাংবাদিকরা।জিংক ধানের সম্প্রসারণে নীতি নির্ধারণ ও প্রকল্প অংশীদারগণের মতামত সভায় মানবদেহে জিংকের উপকারিতা, অভাবজনিত লক্ষণ ও জিংকের ঘাটতি মেটানোর উপায়সহ জিংক সমৃদ্ধ ধান ও গমের বিভিন্ন জাত, তাদের উৎপাদন প্রযুক্তি বিষয়ে বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করা হয়। অংশগ্রহণকারীরা আলোচনায় স্বতস্ফুর্ত ভাবে অংশগ্রহণ করেন এবং জিংক ধান ও গমকে মানুষের হাতের নাগালে পৌঁছাতে ও এই বিষয়ে সাধারণ মানুষের সচেতনতা বৃদ্ধিতে সকল কর্মকর্তারা নিজ নিজ সেক্টরের মাধ্যমে কাজ করে যাবেন মর্মে দৃঢ়তা প্রকাশ করেন।

  • তানোরেন বিলকুমারী বিলেন অভ-য়াশ্রমে মাছের পোনা অ-বমুক্ত

    তানোরেন বিলকুমারী বিলেন অভ-য়াশ্রমে মাছের পোনা অ-বমুক্ত

    আলিফ হোসেন,তানোরঃ
    রাজশাহীর তানোরে ২০২৫-২৬ অর্থবছরে রাজস্ব খাতের আওতায় বিলকুমারী বিলের অভয়াশ্রমসহ উপজেলার বিভিন্ন জলাশয়ে পোনামাছ অবমুক্ত করা হয়েছে। জানা গেছে, ১৩ আগস্ট বুধবার দিনব্যপী পর্যায়ক্রমে উপজেলা মৎস্য দপ্তরের উদ্যেগে এসব জলাশয়ে প্রায় ৩৪৩ কেজি বিভিন্ন প্রজাতির মাছের পোনা অবমুক্ত করা হয়। তানোর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও উপজেলা পরিষদের প্রশাসক লিয়াকাত সালমানের সভাপতিত্বে ও উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা বাবুল হোসেনের পরিচালনায় পোনামাছ অবমুক্তকরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, রাজশাহী বিভাগীয় মৎস্য অধিদপ্তরের সিনিয়র সহকারী পরিচালক সরদার মহিউদ্দিন, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম, সিনিয়র সহকারী পরিচালক অসীম কুমার ঘোষ, তানোর উপজেলা ভেটেরিনারি সার্জন ডাঃ সুমন মিয়া ও জনস্বাস্থ্য সহকারী প্রকৌশলী জাকির হোসেন প্রমুখ।
    এবিষয়ে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা বাবুল হোসেন বলেন, তানোরে বিলকুমারী বিল ও খাল এবং বিভিন্ন স্থানের জলাশয়ে দেশীয় প্রজাতির মাছ উৎপাদনের জন্য সম্ভাবনাময় একটি এলাকা। দেশীয় প্রজাতির মাছের উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য আমরা নানা উদ্যোগ গ্রহণ করেছি।#

  • গোদাগাড়ী মডেল থানার ওসি রুহুল আমিন জেলার শ্রেষ্ঠ অফি-সার ইনচার্জ

    গোদাগাড়ী মডেল থানার ওসি রুহুল আমিন জেলার শ্রেষ্ঠ অফি-সার ইনচার্জ

    আলিফ হোসেন,তানোরঃ
    রাজশাহী জেলার জুলাই ২০২৫ মাসিক কল্যাণ সভায় এক অনন্য সাফল্য অর্জন করেছে গোদাগাড়ী মডেল থানা।
    এদিন সভায় কর্মদক্ষতা মূল্যায়নে টানা পঞ্চমবারের মতো জেলার শ্রেষ্ঠ অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হিসেবে মনোনিত হয়েছেন ওসি রুহুল আমিন। রাজশাহী জেলার পুলিশ সুপার ফারজানা ইসলামসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছ থেকে পুরস্কার গ্রহণ করেন তিনি। এ ছাড়াও গোদাগাড়ী মডেল থানার আরও তিন কর্মকর্তা ব্যক্তিগত অর্জনে সম্মাননা পান।এর মধ্যে মাদক উদ্ধার অভিযানে শ্রেষ্ঠ অফিসার নির্বাচিত হয়েছেন পিএসআই রুহুল আমিন শামীম এবং ক্লোলেস মামলা রহস্য উদঘাটনে বিশেষ পুরস্কার পেয়েছেন পিএসআই আবু হুরায়রা। তদুপরি, জেলার শ্রেষ্ঠ পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র হিসেবে নির্বাচিত হয়েছে গোদাগাড়ী মডেল থানার অন্তর্গত প্রেমতলী পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র।
    এদিন মসিক কল্যাণ সভায় একসঙ্গে চারটি পুরস্কার জয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে ওসি রুহুল আমিন বলেন, “এই অর্জন আমার একার নয়, ‘টিম গোদাগাড়ীর’ সকল অফিসার ও ফোর্সের অক্লান্ত পরিশ্রমের ফল। এই ধারা অব্যাহত রাখতে সবার দোয়া ও সহযোগীতা চাই। মহান আল্লাহ আমাদের ভালো কাজে সহায়তা করুন।#

  • সুজানগরে বা-লুবাহী ট্রলির ধা-ক্কায় ৭ শিক্ষার্থী আ-হত – গাড়িতে অ-গ্নিসংযোগ ও বিক্ষো-ভ

    সুজানগরে বা-লুবাহী ট্রলির ধা-ক্কায় ৭ শিক্ষার্থী আ-হত – গাড়িতে অ-গ্নিসংযোগ ও বিক্ষো-ভ

    এম এ আলিম রিপন,সুজানগর: পাবনার সুজানগর উপজেলায় বালুবাহী ট্রলির ধাক্কায় ৭ শিক্ষার্থী আহত হয়েছে। বুধবার(১৩ আগস্ট) বেলা ১১টার দিকে উপজেলার দুলাই উচ্চ বিদ্যালয় চত্বরে এ ঘটনা ঘটে। আহত শিক্ষার্থীরা হলেন দুলাই উচ্চ বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণির ছাত্রী জিনিয়া আফরিন জেমি, মাহমুদা ইয়াসমিন জান্নাতি, ৮ম শ্রেণির ছাত্রী মিথিলা আক্তার, ৯ম শ্রেণির ছাত্রী মোহনা খাতুন, ১০ম শ্রেণির ছাত্রী অনামিকা ইসরাত উর্মি, রিতু খাতুন ও জান্নাতুল ফেরদৌস। আহতদের মধ্যে একজনকে পাবনা সদর হাসপাতালে এবং অপর ৬ শিক্ষার্থীকে স্থানীয় হাসপতালে প্রেরণ করা হয়। এ ঘটনায় বিক্ষুব্ধ শিক্ষর্থীরা ট্রলিতে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার পাশাপাশি চালক জয় এবং চালকের সহকারী বিজয়কে মারধর করে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। এ সময় দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগ এনে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক(ভারপ্রাপ্ত) কামাল হোসেন লিটনের শাস্তি দাবি জানিয়ে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও স্থানীয় এলাকাবাসী বিক্ষোভ প্রদর্শন শুরু করলে দ্রুত বিদ্যালয় ত্যাগ করে আত্মগোপনে চলে যান বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক কামাল হোসেন লিটন। সংবাদ পেয়ে দ্রুত আহত শিক্ষার্থীদের দেখতে ছুটে যান উপজেলা নির্বাহী অফিসার মীর রাশেদুজ্জামান রাশেদ। পরে তিনি বিদ্যালয়ে গিয়ে শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও স্থানীয়দের সাথে কথা বলেন এবং আহত ছাত্রীদের চিকিৎসা খরচ বিদ্যালয় বহন করার পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারকে শাস্তির মুখোমুখি করা হবে। এছাড়াও দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগ পাওয়ায় বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে তদন্তের ভিত্তিতে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে উপস্থিত সকলকে আশ্বস্ত করেন ইউএনও ।
    সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানাযায়, উপজেলার দুলাই উচ্চ বিদ্যালয়ের নতুন ভবন নির্মাণ কাজের জন্য ঠিকাদার স্কুল চলাকালিন সময় ট্রলিতে বালু এনে নামিয়ে দিয়ে ফেরার সময় বিদ্যালয় চত্বরে ট্রলির চালক শিক্ষার্থীদের ধাক্কা দিলে ওই ৭ শিক্ষার্থী আহত হয়।

    এম এ আলিম রিপন
    সুজানগর(পাবনা)প্রতিনিধি।।

  • সুজানগরে সাপের কা-মড়ে শিশুর মৃ-ত্যু

    সুজানগরে সাপের কা-মড়ে শিশুর মৃ-ত্যু

    এম এ আলিম রিপন,সুজানগর ঃ পাবনার সুজানগরে সাপের কামড়ে মো. সোহান মোল্লা (ইয়াছিন) নামের ছয় বছরের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) সন্ধ্যা ৬টার দিকে উপজেলার সাতবাড়িয়া ইউনিয়নের কুড়িপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত সোহান মোল্লা ওই গ্রামের হাফিজুল মোল্লার ছেলে। সে স্থানীয় ৮৫ নং কুড়িপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিশু শ্রেণীর শিক্ষার্থী ছিল বলে জানান বিদ্যালয়টির ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলাম। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এদিন বাড়ির পাশে বিদ্যালয় মাঠে খেলাধুলা করার সময় হঠাৎ বিষাক্ত সাপ তার পায়ে ছোবল দিলে শিশুটি চিৎকার করে ওঠে। কান্নার শব্দে স্থানীয়রা এসে তাকে উদ্ধার করে পাবনা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে রাত ৮টার দিকে তার মৃত্যু হয়। শিশুটির পরিবারের অভিযোগ পাবনা সদর হাসপাতাল থেকে সাপের বিষমুক্ত করার ভ্যাকসিন(অ্যান্টিভেনম) চেয়ে পাননি এবং পরে বাহিরের দোকান থেকে কিনতে গেলে নগদ টাকা না দেওয়ায় দোকানদার ভ্যাকসিন(অ্যান্টিভেনম) না দেওয়ায় দ্রুত মৃত্যুর কোলে ঢোলে পড়ে শিশুটি। এ সময় ছেলেকে বঁাচানোর চেষ্টায় ব্যর্থ বাবা দরিদ্র ভ্যান চালক ও শিশুটির মায়ের কান্নায় আকাশ বাতাস ভারী হয়ে উঠে। এদিকে বুধবার নিজ গ্রামে জানাজা শেষে স্থানীয় কবরস্থানে দাফন করা হয় শিশু সোহানকে। তার মৃত্যুতে বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ পুরো গ্রামে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। এমন মৃত্যু তঁারা কিছুতেই মেনে নিতে পারছেননা।

    এম এ আলিম রিপন
    সুজানগর(পাবনা)প্রতিনিধি।।

  • প্রাকৃতিক দুর্যো-গ মো-কাবেলা ও পরিবেশ র-ক্ষায় বৃক্ষ রোপণের গুরুত্ব অপরিসীম- উপমহাপরিচালক

    প্রাকৃতিক দুর্যো-গ মো-কাবেলা ও পরিবেশ র-ক্ষায় বৃক্ষ রোপণের গুরুত্ব অপরিসীম- উপমহাপরিচালক

    এ কে খান ও গোলাম মোস্তফা রাঙ্গা।।

    প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলা, পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা ও জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাব কমানোর জন্য সবুজ বনায়নের গুরুত্ব অপরিসীম। বৃক্ষ রোপণের মাধ্যমে এ সবুজ বনায়ন গড়ে তুলতে হবে। শুধু বৃক্ষ রোপণ করলেই হবেনা। রোপনকৃত বৃক্ষগুলো নিজের সন্তানের মত পরিচর্যা করতে হবে। বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর রংপুর রেঞ্জের, রেঞ্জ কমান্ডার উপমহাপরিচালক মোহাম্মদ আব্দুল আউয়াল, বিভিএম, পিভিএমএস, বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপযুক্ত কথাগুলি বলেন। রংপুর নগরীর মাহিগঞ্জ আনসার-ভিডিপি’র প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে ১২ আগষ্ট বৃক্ষ রোপণ কমসূচির উদ্বোধন করা হয়েছে। এ উপলক্ষে একটি র‍্যালি, আলোচনা সভা, বৃক্ষরোপণ ও চারা বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে উপমহাপরিচালক আনসার ও ভিডিপি সদস্যদের মাঝে ২৫০টি বিভিন্ন ফলজ, বনজ ও ঔষধি গাছের চারা বিতরণ করেন। তিনি বলেন “বৃক্ষ মানুষের প্রকৃত বন্ধু।” তিনি আরও বলেন, গাছ লাগানো একটি ‘সদকাতুল জারিয়া’ এবং এটি আমাদের মূল্যবান সম্পদ। অক্সিজেন সরবরাহ করে গাছ আমাদের জীবন বাঁচিয়ে রাখে। মোঃ আব্দুল আউয়াল বলেন, তাই শুধু গাছ লাগালেই হবে না, নিজেদের সন্তানের মতো এর যত্ন ও পরিচর্যা করতে হবে। বাহিনীর মহাপরিচালকের উদ্যোগে এই বৃক্ষরোপণ অভিযান সারা দেশে সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত চলবে। এই কর্মসূচির আওতায় ফলজ, বনজ এবং ঔষধি গাছের চারা রোপণ অব্যাহত থাকবে। রংপুর জেলা আনসার ভিডিপি কার্যালয় কর্তৃক আয়োজিত বৃক্ষ রোপণ কমসূচি অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন নীলফামারী আনসার ও ভিডিপি জেলা কমান্ড্যান্ট মোঃ মাজহারুল ইসলাম ভূইয়া, রংপুর রেঞ্জের সহকারী পরিচালক মোঃ ফারুক হোসেন, সার্কেল এডজুটেন্ট মোঃ সাইদুল ইসলাম, সদর উপজেলা আনসার ভিডিপি কর্মকর্তা বিজন দত্ত, উপজেলা প্রশিক্ষক মোঃ মনিরুজ্জামান, আনসার ব্যাটালিয়ান সদস্য, উপজেলা কোম্পানি কমান্ডার, উপজেলা প্রশিক্ষিকা, ইউনিয়ন দলনেতা দলনেত্রী, সদস্য, সদস্যা, গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও মিডিয়া কর্মী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

  • ইলিশের আ-কাশছোঁয়া দা-ম নিয়ে ক্ষো-ভ

    ইলিশের আ-কাশছোঁয়া দা-ম নিয়ে ক্ষো-ভ

    বরিশাল বাবুগঞ্জ প্রতিনিধিঃ মোঃ মহিউদ্দিন খাঁন রানা।।

    ইলিশ মাছ—বাংলাদেশের জাতীয় মাছ, দেশের গর্ব। কিন্তু সাধারণ মানুষের জন্য এখন এই গর্ব কেবল গল্পের বইয়ে বা টিভি স্ক্রিনেই সীমাবদ্ধ হয়ে পড়েছে। সিজনের সময়ও ইলিশের দাম এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, ছয় মাসে একবারও অনেক পরিবার ইলিশের স্বাদ নিতে পারছে না।

    জনগণের অভিযোগ, ইলিশ খৈল, ভুষি বা ফিড খায় না, এর চিকিৎসা খরচ নেই, চাষ করতে শ্রমিকও লাগে না। নদী বা সমুদ্র থেকে জাল ফেলে ধরে আনা হয়—তবুও দাম গরু-ছাগলের মাংস থেকেও অনেক বেশি!
    পূর্ববর্তী সময়ে ইলিশ ভারতে পাচারের অভিযোগ ছিল ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে। কিন্তু সেই সরকার ক্ষমতায় নেই এক বছর, তবুও বাজারে সুলভে ইলিশ মিলছে না।
    অনেকের প্রশ্ন—এত সরল ও প্রাকৃতিকভাবে ধরা পড়া মাছের দাম এত বেশি হওয়ার জন্য দায়ী আসলে কে? যদি জাতীয় মাছ হয়েও সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে থাকে, তাহলে এর মর্যাদা কি শুধু কাগজে-কলমেই সীমাবদ্ধ?
    এমন পরিস্থিতিতে কেউ কেউ হতাশ হয়ে বলছেন ইলিশকে জাতীয় মাছ না রেখে বরং পাঙ্গাশ মাছকে জাতীয় মাছ ঘোষণা করা হোক।”