Category: Uncategorized

  • জলবায়ু ন্যায্যতার দাবিতে  বেতাগীতে ‘সিডর দিবস’ পালন

    জলবায়ু ন্যায্যতার দাবিতে বেতাগীতে ‘সিডর দিবস’ পালন

    খাইরুল ইসলাম মুন্না বেতাগী (বরগুনা) প্রতিনিধি
    বরগুনার বেতাগীতে উপকূলের জলবায়ু বিপন্ন মানুষের অগ্রগতি, সুরক্ষা ও জলবায়ু ন্যায্যতার দাবিতে ‘সিডর দিবস’ পালিত হয়েছে।
    শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) সকাল ১১টায় বেতাগী পৌরসভার ১ নং ওয়ার্ডের বিষখালী নদীর পাড়ে প্রেসক্লাবের আয়োজনে শোক র‌্যালি, নিহতদের স্মরণে নীরবতা পালন ও দোয়া অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এ দিবস পালন করা হয়।
    বেতাগী প্রেসক্লাব সভাপতি সাইদুল ইসলাম মন্টুর সভাপতিত্বে এতে বক্তব্য দেন, স্থানীয় বাসিন্দা ও ভুক্তভোগি আব্দুস সেবাহান, বেতাগী প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি আব্দুস সালাম সিদ্দিকী, বেতাগী প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক লায়ন শামীম সিকদার, সহ- সভাপতি সহকারি অধ্যাপক আবুল বাসার খান প্রমূখ।
    এ সময় বক্তারা বলেন, ২০০৭ সালের ১৫ নভেম্বর প্রলয়ংকারী ঘূর্ণিঝড় গোটা উপকূল জুড়ে মানবিক বিপর্যয় নেমে এসে ছিলো। তাই ঘূর্ণিঝড় ও নিহতদের স্মরণে বছরে অন্তত একটিবার আলোচনা সভার আয়োজন এবং উপকূলের সুরক্ষা, সংকট, সম্ভাবনা, বিকাশ ও নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণসহ রাষ্ট্রীীয়ভাবে স্বীকৃতির দাবি জানাই।’
    বিষখালী নদীর তীরের উত্তর বেতাগী গ্রামের বাসিন্দা আব্দুস সোবাহান বলেন,‘ঘূর্নিঝড় সিডরের সেই রাতটির কথা মনে পড়লে ঘটনার বহু বছর পর আজও শিউরে উঠে ও কান্না আসে। যতদিন বেচে থাকবেন, ততদিনই তাড়া করে বেড়াবে।’ শুধু আব্দুর রবই নয়, সদর আলী, আব্দুর রব, আজমল হোসেন, মো: ইউনুছ, মো: আল আমিন, আ: জলিল সকলেরই একই অভিব্যাক্তি কিছুতেই যেন ভোলা যায়না সিডরের ঐ সমকার স্মৃতি।

    স্থানীয়রা জানায়, বিশেষজ্ঞদের মতে সিডরের ক্ষয়ক্ষতির পরিমান সঠিক নিরুপন না করা গেলেও ধ্বংসস্তুপে পরিনত এখানকার শত শত পরিবার সহায় সম্বল হারিয়ে নি:স্ব হয়ে পড়ে, বিধ্বস্ত হয় কাচাঁ ঘরবাড়ি, গবাদী পশু ও ক্ষেতের ফসল, কৃষি এবং মৎস। রাস্তাঘাট, পুল, ব্রীজ, কালভার্ট ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।
    সরকারী হিসেব অনুযায়ী ঘূর্নিঝড়ের কবলে ৩১ জনের মৃত্যু হয়। এর মধ্যে শিশু- ২, মহিলা- ৪ ও পুরুষ ২৫ জন, আহত ১ হাজার। শুধু সরিষামুড়ি ইউনিয়নেই মারা যায় ২২ জন। তছাড়াও বুড়া মজুমদারে ৪ জন, মোকামিয়ায় ২ জন, হোসনাবাদে ২ জন, বেতাগীতে ১ জন। এর মধ্যে কেওড়াবুনিয়া গ্রামের আদম আলীর স্ত্রী আম্বিয়া বেগম, ছোপখালী গ্রামের শাহ আলমের পুত্র মিরাজ হোসেন, দেলোয়ার হোসেনের পুত্র জহিরুল ইসলাম শিপন, ছোট মোকামিয়ার মোজাফ্ফর সিকদারের স্ত্রী ফতেমা বেগম, মোঃ সেলিমের পুত্র হেলাল, গ্রামার্দ্দন গ্রামের একই পরিবারে হামেদ খানের পুত্র রাকিব, মেয়ে সোনিয়া, স্ত্রী নাজমা বেগম, আবু হাওলাদারের মেয়ে শাহনাজ বেগম, সরিষামুড়ি গ্রামে গফুর হাওলাদারের ছেলে সাইফুল হোসেন, নাজেম আলীর স্ত্রী জমিনা বেগম, গহর হাওলাদারের পুত্র মোঃ সালেক, আ: মন্নানের পুত্র কবির হোসেন কালু,দুলু শরিফের পুত্র মোঃ লিটন ,স্বপন শরীফ, মফেজ উদ্দিন হাওলাদারের পুত্র মো. শাহ্ জালাল, জালাল উদ্দিন ফরাজির পুত্র আ: সোবাহান,আব্বাস সিকদারের পুত্র মো. সুমন, আ: অহেদের মোঃ আলী, শাহজাহানের পুত্র মো: আনিচ, হাসেম খার পুত্র মো. ইব্রাহীম, হারুন মিস্ত্রির পুত্র মো. ফরিদ, শাহজাহানের পুত্র মো. শামসু, গাবতলী গ্রামের মো. হাসেমের পুত্র মো. ইলিয়াছ, আবুল কালামের পুত্র মো. রাসেল, রাজ্জক আলীর পুত্র মো. নুরুল ইসলাম, কালিকাবাড়ী গ্রামের হাসেম মুন্সীর পুত্র মো. কালাম ,এনাম আলীর পুত্র মো. রুস্তম হাওলাদার ,দঃ কালিকাবাড়ীর হোসেন আলীর পুত্র কালু মিয়া ,বেতমোর গ্রামের শাহআলমের পুত্র মো. লাবু ও ভোড়া গ্রামের মোসলেমের পুত্র মো. ফারুক হোসেন ।
    সিডরের বছর পেরিয়ে গেলেও আজও ভাগ্যের চাকা ঘোরেনি এখানের ক্ষতিগ্রস্তদের। তারাা অবহেলিত,বঞ্চিত, অনেকেই মানবেতর জীবন যাপন করছে। স্বজন হারা ব্যাথা নিয়ে কাটছে অনেকের জীবন, অনেকে এখনো
    বিধ্বস্ত ঘড়বাড়ি বানিয়ে দেয়া হবে এ আশায় বুক বেধে আছে। ক্ষতিগ্রস্তরা ভেঙ্গে যাওয়া ঘর মেরামতের জন্য নামে মাত্র যে টাকা পেয়েছে তাতে শুধু মিস্ত্রির খরচও হয়নি। ঘুর্নিঝড় আশ্রয় কেন্দ্র ও যে সব আবাসন নির্মান হয়েছে তাও অপরিকল্পিত।
    বেতাগী উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও প্রশাসক ফারুক আহমদ বলেন, “সিডরের ভয়াবহ ধ্বংস লীলার ক্ষয়ক্ষতি হয়ত কাটিয়ে ওঠা কখনো সম্ভব নয়, তবে এখানকার জনগোষ্ঠিকে ঘুরে দাঁড়াতে দীর্ঘ মেয়াদী সুষ্ঠু পরিকল্পনা গ্রহন করা হবে।”

  • শার্শার রুদ্রপুরে বিএনপির আয়োজনে জনসভা অনুষ্ঠিত  

    শার্শার রুদ্রপুরে বিএনপির আয়োজনে জনসভা অনুষ্ঠিত  

    আজিজুল ইসলাম, যশোরঃ যশোরের শার্শা উপজেলার রুদ্রপুর ১নং ওয়ার্ড বিএনপির আয়োজনে দলীয় কার্যালয় উদ্বোধন উপলক্ষে এক জনসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

    শুক্রবার(১৫ নভেম্বর) বিকালে উপজেলার কায়বা ইউনিয়নের রুদ্রপুর প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে এ জনসভা অনুষ্ঠিত হয়। 

    রুদ্রপুর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মতিয়ার রহমানের সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন,শার্শা উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক খায়রুজ্জামান মধু।

    প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন,শার্শা উপজেলা বিএনপির যুগ্ন আহ্বায়ক আবুল হাসান জহির। 

    অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন,বেনাপোল পৌর বিএনপির সভাপতি নাজিম উদ্দীন,সাধারণত সম্পাদক আবু তাহের ভরত,যুবদল কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সহ সভাপতি ও শার্শা উপজেলা বিএনপির সদস্য নুরুজ্জামান লিটন,আশরাফুল আলম বাবু,,কায়বা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান রবিউল হোসেন, বেনাপোল ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমান মিলন,

    এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন,কায়বা ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক শাহারিয়ার হোসাইন মুকুল, বাগআঁচড়া ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক জাহাঙ্গীর হোসেন ও গোগা ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ন আহ্বায়ক সরোয়ার হোসেন,উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক মেস্তাফিজোহা সেলিম,বেনাপোল পৌর যুবদলের যুগ্ন আহ্বায়ক রাহানুজ্জামান দিপু,উপজেলা সেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব ওয়াসি উদ্দীন,সাবেক সদস্য সচিব সেলিম হোসেন আশা,উপজেলা ছাত্রদলের সদ্যসচিব সবুজ হোসেন, সহ কৃষকদল, যুবদল,ছাত্রদলসহ বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ। 

    অনুষ্ঠানে শেষে ফিতাকেটে ১ নং ওয়ার্ড বিএনপির কার্যালয়ের শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করেন প্রধান অতিথি খায়রুজ্জামান মধু সহ আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ।

  • নলছিটিতে পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

    নলছিটিতে পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

    ঝালকাঠি প্রতিনিধিঃ মোঃ নাঈম মল্লিক

    ঝালকাঠির নলছিটিতে জাতীয়তাবাদ দল বিএনপির অঙ্গ সংগঠন পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের ৪ নং ওয়ার্ড কমিটির আয়োজনে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার( ১৫ নভেম্বর) বিকেলে পৌর এলাকার ৪ নং ওয়ার্ডের আবাসন এলাকায় এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

    ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক নজরুল ইসলামের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন নলছিটি পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক কামরুজ্জামান সুমন, সদস্য সচিব সোহেল খান, নলছিটি উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ন আহ্বায়ক আজমল হোসেন, নলছিটি পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র যুগ্ন আহবায়ক কামাল সরদার, যুগ্ম আহবায়ক শহিদুল ইসলাম শহিদ, যুগ্ন আহ্বায়ক সোহেল হাওলাদার, ৪ নং ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব মিজান হাওলাদার প্রমুখ।

    এসময় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান ঘোষিত সাম্য ও মানবিক সমাজ বিনির্মানে দিকনির্দেশনা মূলক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে স্থানীয় জনসাধারণের সাথে মতবিনিময় করা হয়।

    অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা শাহ ফরিদ। মতবিনিময় সভা শেষে উপস্থিত জনতার মাঝে বিএনপির ঘোষিত রাষ্ট্র মেরামতের ৩১ দফা ও ধানের শীষ প্রতীক সম্বলিত লিফলেট বিতরণ করা হয়।

  • পীরগঞ্জে টেকনিক্যাল কলেজে অংশীজন সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত

    পীরগঞ্জে টেকনিক্যাল কলেজে অংশীজন সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত

    পীরগঞ্জ (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধি:
    ঠাকুরগাঁয়ের পীরগঞ্জ সরকারী টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজে অংশীজন সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে কলেজের হলরুমে বিভাগীয় প্রধান ও ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নুরনবী রাজ এর সভাপতিত্বে বাংলা বিভাগের শিক্ষক হোসেনে আরার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন, কলেজের একাডেমিক ইনচার্জ দেলোয়ার হোসেন, ইন্সট্রাকটর (বাংলা) নন্দলাল সিংহ, অভিভাবক সদস্য ও সাংবাদিক সাইদুর রহমান মানিক, আলমগীর হোসেন প্রমুখ।

  • ১১ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের বিপরীতে আছে মাত্র একজন শৈলকুপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি  এখন নিজেই রোগী

    ১১ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের বিপরীতে আছে মাত্র একজন শৈলকুপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি এখন নিজেই রোগী

    ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ
    লোকবলের অভাবে ঝিনাইদহের শৈলকপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি এখন নিজেই রোগীতে পারিণত হয়েছে। ফলে ৫০ শয্যার এই হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা উপজেলার প্রায় পাঁচ লাখ মানুষ চরম ভোগান্তিতে পড়েছে।তথ্য নিয়ে জানা গেছে, হাসপাতালটিতে মেডিকেল অফিসারের পোস্ট রয়েছে ২৩টি। এরমধ্যে ৯টি খালি। বাকি ১৪টির মধ্যে একজন চিকিৎসক সাময়িক বরখাস্ত রযেছেন। ২ জন প্রেষণে রয়েছেন ঝিনাইদহ শিশু ও সদর হাসপাতালে। হাসপাতালে ১১ জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পদ থাকলেও আছে মাত্র একজন। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের ১০টি পদ খালি থাকায় উপজেলার মানুষ উন্নত চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
    হাসপাতালে গাইনী ও এ্যানেসথেসিয়া পদ খালি রয়েছে দীর্ঘদিন। এতে সেখানে নিয়মিত সিজারিয়ান অপারেশন হচ্ছে না। গর্ভবতি মায়েরা ক্লিনিকে সিজার করছেন। সরজমিন দেখা গেছে, হাসপাতালটিতে সবসময় ধারণক্ষমতার বেশি রোগী ভর্তি থাকে। এতে তাদের চিকিৎসা দিতে ডক্তিার ও নার্সদের হিমশিম খেতে হয়। চিকিৎসক সংকটের কারণে হাসপাতালের আউটডোর চলে উপ-সহকারী মেডিকেল অফিসার দিয়ে। ফলে হাসপাতালে যথাযথ সেবা না পেয়ে অনেক রোগী চলে যান স্থানীয় বে-সরকারী হাসপাতাল ও ক্লিনিকে। হাসপাতালে সুইপারের দুইটি পদ খালি রয়েছে।
    এতে ময়লা আবর্জনা পরিস্কার হয়না। ফলে ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। হাসপাতালের প্যাথলজিতে ডেঙ্গু পরিক্ষার কিট সংকট রয়েছে। নেই জলাতংকের ভ্যাকসিন। হাম-রুবেলা ও পোলিও টিকারও মাঝেমধ্যে সংকট দেখা যায়। শৈলকুপার আসানগর গ্রামের আব্দুস সালাম জানান, ডায়াবেটিকস ও প্রেসারের ওষুধ না থাকায় হতদরিদ্রদের বাইরে থেকে ওষুধ কিনতে হয়। নাজমুল হোসেন নামে এক রোগী জানান, হাসপাতালে রয়েছে পুরাতন মডেলের একটি এক্সরে মেশিন। এই পুরাতন মেশিন দিয়ে ঠিকমত এক্সরে করা যায় না। বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয়। রিপোর্টেও আসে ভুলভাল।
    লোডশেডিংয়ের বিপরীতে জেনারেটর থাকলেও তেল বরাদ্দ নেই। ফলে বিদ্যুৎ চলে গেলে অন্ধকারে থাকে রোগীরা। অভিযোগ রয়েছে শৈলকুপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এই নেই নেই সংকটের কারণে হাসপাতালে প্রায় ৩০ জন দালার সক্রিয় রয়েছে। তারা হাসপাতালে আসা রোগী ভাগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে স্থানীয় ক্লিনিকে। ফলে তারা বিভিন্ন সময় অপচিকিৎসার শিকার হচ্ছেন। এ ব্যাপারে শৈলকুপা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ রাশেদ আল মামুন জানান, শৈলকুপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ডাক্তারের পাশাপাশি জনবল সংকট রয়েছে। ফলে কাঙ্খিত সেবা আমরা দিতে পারছি না। তবুও সাধ্যের মধ্যে যতটুকু সেবা দেওয়া সম্ভব তা রোগীদের দিচ্ছি। তিনি বলেন, জনবল সংকটের বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃৃপক্ষের কাছে চিঠি দিয়ে জানানো হয়েছে। আশরা করা যায় দ্রæতই সমস্যার সমাধান হবে।

    আতিকুর রহমান
    ঝিনাইদহ।

  • পাইকগাছায় আরাফাত রহমান কোকো স্মৃতি পরিষদ ও পাঠাগারের উদ্বোধন

    পাইকগাছায় আরাফাত রহমান কোকো স্মৃতি পরিষদ ও পাঠাগারের উদ্বোধন

    পাইকগাছা (খুলনা) প্রতিনিধি \
    পাইকগাছায় আরাফাত রহমান কোকো স্মৃতি পরিষদ ও পাঠাগারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান বুধবার সন্ধ্যায় পৌরসভার চারাবটতলাস্থ স্মৃতি পরিষদ কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়। পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি শাহীনুর রহমানের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন, খুলনা জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি এমএ মান্নান। উপস্থিত ছিলেন, পৌরসভা বিএনপি’র আহবায়ক সেলিম রেজা লাকি, সদস্য সচিব মোস্তফা মোড়ল, উপজেলা সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল হোসেন, পৌর যুগ্ম আহবায়ক এ্যাডঃ টিএম সাইফুদ্দীন সুমন, এ্যাডঃ আব্দুল হক গাজী স্কেন্দার, দারা উদ্দীন খান, মনিরুজ্জামান মনি, আবু হুরায়রা বাদশা, আবু সুফিয়ান, নাজমুল হুদা মিন্টু, আজহারুল ইসলাম, জামিলুর রহমান রানা, আমিনুর রহমান, রাসেল, আরিফুল ইসলাম, মনিরুজ্জামান, সুজন, ওবাইদুল্লাহ সরদার, আছাদুজ্জামান মামুন, সেলিম, মহসিন, জাহাঙ্গীর, অনিক, আরিফ, রাকিব, নাহিদ, মাহফুজ, ইনজামাম, ইসরাফিল, হান্নান, টুটুল, কুদ্দুস, মাসুদ, নুরুজ্জামান, মনিরুল ইসলাম, তৈয়েবুর, জুনায়েদুর, জাকির ও জনি।

    ইমদাদুল হক,
    পাইকগাছা, খুলনা।

  • পাইকগাছায় জলবায়ু ন্যায্যতার দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত

    পাইকগাছায় জলবায়ু ন্যায্যতার দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত

    পাইকগাছা (খুলনা) প্রতিনিধি \
    পাইকগাছায় জলবায়ু ন্যায্যতার দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলন উপলক্ষে বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলা পরিষদের সামনে উপজেলা ক্লাইমেট জাস্টিস ফোরাম এ মানববন্ধন কর্মসূচির আয়োজন করে। উপজেলা ক্লাইমেট জাস্টিস ফোরামের সভাপতি প্রাক্তন অধ্যক্ষ রমেন্দ্র নাথ সরকারের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক মোঃ আব্দুল আজিজ এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত মানববন্ধন কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন শেখ সাদেকুজ্জামান, ইলিয়াস হোসেন, বিশ্বনাথ ভট্টাচার্য, সাংবাদিক এন ইসলাম সাগর, শ্যামাপদ মন্ডল, স্মিতা মন্ডল, মানিক ভদ্র, দেলোয়ার হোসেন, কমিউনিটি ডেভেলপমেন্ট অফিসার মানিক লাল বসু, ফিল্ড অফিসার তুষার কান্তি বাইন, ফিল্ড অর্গানাইজার চিত্ত রঞ্জন মন্ডল, নাসরীন আরা, সুপ্রিয়া মন্ডল ও শুভঙ্কর বিশ্বাস। মানববন্ধন কর্মসূচিতে বক্তারা জলবায়ুর বিরূপ প্রভাবে বিপর্যয় থেকে পৃথিবী কে রক্ষা করতে বর্জ্য ও কার্বন নির্গমন কমিয়ে আনা সহ জলবায়ু ইস্যু নিয়ে বাংলাদেশের ন্যায্য হিস্যা নিশ্চিত করতে বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী নীতিনির্ধারকদের প্রতি আহবান জানান। একই সাথে উপকূলীয় জনপদের প্রাণ প্রকৃতি রক্ষায় আলাদা কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করার জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি আহবান জানান।

  • পাইকগাছায় ওয়াশ সিস্টেমস ফর হেলথ প্রকল্পের অবহিতকরণ সভা অনুষ্ঠিত

    পাইকগাছায় ওয়াশ সিস্টেমস ফর হেলথ প্রকল্পের অবহিতকরণ সভা অনুষ্ঠিত

    পাইকগাছা (খুলনা) প্রতিনিধি \
    পাইকগাছায় ওয়াশ সিস্টেমস ফর হেলথ প্রকল্পের প্রকল্প অবহিতকরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। দাতা সংস্থা ওয়াটার এইড এর আর্থিক সহযোগিতায় উন্নয়ন সংস্থা নবলোক প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে। বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে নবলোকের নির্বাহী পরিচালক কাজী রাজিব ইকবাল এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত অবহিতকরণ সভায় উপস্থিত ছিলেন, ওসি (অপারেশন) রঞ্জন কুমার গাইন, উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ অসীম কুমার দাশ, উপজেলা প্রকৌশলী শাফিন শোয়েব, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার শাহজাহান আলী শেখ, শিক্ষা অফিসার বিদ্যুৎ রঞ্জন সাহা, মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা রেশমা আক্তার, সহকারী যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা জিএম বাবলুর রহমান, পৌর নির্বাহী কর্মকর্তা লালু সরদার, নির্বাহী প্রকৌশলী নূর আহম্মদ, প্রাক্তন অধ্যাপক জিএমএম আজাহারুল ইসলাম সহ ওয়াটার এইড, নবলোক, এসএমভি, হেলভেটাস, ডিএসকে সহ বিভিন্ন এনজিও প্রতিনিধি, ইউনিয়ন পরিষদের সচিব, জনপ্রতিনিধি ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

  • বাজার সিন্ডিকেট বেপরোয়া,  বেড়েই চলছে নিত্যপণ্যের দাম

    বাজার সিন্ডিকেট বেপরোয়া, বেড়েই চলছে নিত্যপণ্যের দাম

    মোঃ হায়দার আলীঃ যেখানে রাজনীতি বা অর্থনীতি, সেখানে নৈতিকতা নেই’, কথাটি বলেছেন কার্ল উইলহেম ফ্রেডরিক শ্লেগেল। বাস্তবতা দেখে মনে হয়, এই কথাটা শ্লেগেল সম্ভবত বাংলাদেশের জন্যই বলেছিলেন। আমাদের দেশের অর্থনীতিতে নৈতিকতা বলতে কিচ্ছু নেই। কৃষক ঠকছে, ঠকছে সাধারণ মানুষ। বড় বড় কোম্পানি ও আড়তদারদের কাছে জিম্মি হয়ে আছে সবাই। কোনো সরকারই যেন অদৃশ্য দেয়াল ভেদ করে এদের কাছে যেতে পারছে না।

    আওয়ামী লীগের শাসনামলে সাধারণ মানুষের একটা বড় অভিযোগ ছিল সবজি ও অন্যান্য নিত্যপণ্যের মূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ে। দাম সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে চলে গিয়েছিল। নিন্মবিত্ত ও শ্রমিকশ্রেণীর মানুষেরা বড় রকমের বিপদে পড়ে গিয়েছিল। আমরা ইতিহাস থেকে জানি, নিন্মশ্রেণী ও শ্রমিকশ্রেণীর মানুষের দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেলে বিপ্লবের সূচনা হয়। প্রতিটা বিপ্লবের সফলতার দাবিদার হলো এই দুই শ্রেণী। তবে বাস্তবতা হলো, আন্দোলন সফল হওয়ার আগেও এদের যে অবস্থা থাকে, পরেও তাদের অবস্থার পরিবর্তন হয় না। বাজার নিয়ন্ত্রণ বলে অর্থনীতিতে একটি কথা থাকলেও সেটা আমাদের দেশে যেন অনুপস্থিত। যেভাবে পারছে দাম বাড়াচ্ছে দেখার যেন কেউ নেই। ক্রেতা সাধারণ পড়ছে মহাবিপদে। অতি মুনাফাখোর ব্যবসায়ীদের তৎপরতা রয়েছে বাজারে। অসাধু ব্যবসায়ীদের এই বাজার সিন্ডিকেটের কাছে জিম্মি হয়ে পড়ছে দেশের সাধারণ মানুষ। এ সিন্ডিকেট সব সময় ক্ষমতাধর। তারকে কোন সরকার যেন দমাতে পারছেন না। তাদের খঁটির জোর কোথায়?

    দাম নিয়ন্ত্রণ করে বাজারকে সহনীয় পর্যায়ে আনার সরকারি চেষ্টায় কমতি নেই। সয়াবিন, পাম তেল, বেগুন, করলা, ফুলকপি, শিমসহ বিভিন্ন পণ্যের মূসক কমানো, ডিমসহ কিছু পণ্যের দাম ধরে দেয়া ইত্যাদি পদক্ষেপের একমাত্র টার্গেট বাজার নিয়ন্ত্রণ। অভিযানসহ নিয়ন্ত্রণমূলক আরো কিছু কাজও চলছে। কিন্তু, কাঙ্খিত ফল মিলছে না। বিশ্বে বাংলাদেশই এখন একটি দেশ, যেখানে প্রশাসনের চেয়েও সিন্ডিকেট শক্তিমান। চাল- তেল-ডিম-মাছ-সবজি এমন কি কচুর লতি-চ্যাপা শুঁটকিতেও সিন্ডিকেট। শ্রম বাজার, পরিবহন জগতেও সিন্ডিকেটের নাটাই। তা মাদকের কেনাবেচায়ও। এ থেকে মুক্তির কি উপায় নেই?

    বাজারে গিয়ে মানুষ দিশাহারা। চড়া দামের জন্য বাজারে যাওয়া যাচ্ছে না। চাল, চিনি, পেঁয়াজ, তেল, আলু, সবজিসহ সবকিছু সিন্ডিকেটের নিয়ন্ত্রণে চলে গেছে। রাষ্ট্র সংস্কারের সমান্তরালে এই সিন্ডিকেট দমনও জরুরি। বাজার সিন্ডিকেট ভেঙে দেওয়া ও তাদের শাস্তির আওতায় আনার বিকল্প নেই। এরই মধ্যে চক্রটি বুঝিয়ে দিয়েছে, এরা দমবে না।

    সাধারণ মানুষের জীবনযাপনের মৌলিক ও প্রধানতম উপকরণ হচ্ছে নিত্য খাদ্যপণ্য। এই খাদ্যপণ্যের মূল্য যখন ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে যায়, তখন জনরোষের সাথে দুর্বিষহ পরিস্থিতির সৃষ্টি না হয়ে পারে না। সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ-টিসিবি হিসাবে, এক সপ্তাহে, অর্থাৎ ৭ থেকে ১৪ অক্টোবরের মধ্যে ১২টি নিত্যপণ্যের দাম বেড়েছে। এ তালিকায় রয়েছে সয়াবিন তেল, পাম তেল, চালের কুঁড়ার তেল বা রাইস ব্র্যান অয়েল, আলু, ছোলা, পেঁয়াজ, রসুন, জিরা, দারুচিনি, ধনে, গরুর গোশত ও ডিম।

    এ সরকারও মুক্তবাজার অর্থনীতির চর্চা করছে। এই ব্যবস্থায় ব্যবসা-বাণিজ্যে প্রতিযোগিতার মাধ্যমে অর্থনীতিতে গতিসঞ্চার এবং ভোক্তাসহ সব পক্ষের স্বার্থ রক্ষার কথা। কিন্তু, বাস্তবতা বড় নিষ্ঠুর। বেশ কিছু পণ্যের সরবরাহে ঘাটতি না থাকলেও সিন্ডিকেট সদস্যরা তাদের ক্রিয়াকর্ম ঠিকই কার্যকর করে ছাড়ছে। ভোক্তাদের কথা মাথায় রেখে গত ১৫ সেপ্টেম্বর মুরগি ও ডিমের দাম নির্ধারণ করে দেয় সরকার। কিন্তু তার বাস্তব প্রয়োগ ঘটছে না বাজারে। দফায় দফায় দামের ডিগবাজিতে হতভম্ব ক্রেতা সাধারণ। সেই অস্থিরতা কাটাতে এবার নতুন উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। কৃষি বিপণন অধিদপ্তর, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর ও পোল্ট্রি স্টেকহোল্ডাররা একত্রে বসে ডিমের যৌক্তিক উৎপাদন খরচসহ উৎপাদক, পাইকারি ও খুচরা পর্যায়ে ডিমের মূল্য নির্ধারণ করেছে।

    একটি কুচক্রীমহল অতিরিক্ত মুনাফা লোটার চেষ্টা করলে ডিমের বাজারে অস্থিরতা দেখা দেয়। দেশ ও মানুষের বৃহত্তর স্বার্থে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবং মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে একাত্ম হয়ে পোল্ট্রি শিল্পের কেন্দ্রীয় সংগঠন ‘বিপিআইসিসি’ ১৫ দিনের যে বিশেষ কার্যক্রম হাতে নিয়েছে তাতে খামার থেকে প্রতিটি ডিম ১০ টাকা ৫৮ পয়সা, পাইকারিতে ১১ টাকা ১ পয়সা এবং খুচরা পর্যায়ে ১২ টাকায় পাওয়া যাবে বলে জানানো হয়। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়, কৃষি মন্ত্রণালয়, সরকারের বাজার তদারকি সংস্থা, ডিম উৎপাদনকারী বড় খামারি ও পাইকারি আড়ৎদারদের সম্মিলিত প্রচেষ্টা এ উদ্যোগকে সফল করবে বলে আশা করা হচ্ছিল। উল্লেখ্য, ডিমের দাম ইতোমধ্যে কিছুটা কমেছে। অন্যান্য পণ্যের দাম বাড়তির দিকে। এমতাবস্থায়, আর কী করতে পারে সরকার প্রশ্নটি এসে যাচ্ছে আপনা আপনি। পাল্টা প্রশ্ন আসছে সরকার কী তাহলে ব্যর্থ? না, তা মোটেই ভাবা যায় না। এ সরকার ব্যর্থ হলে আশা-ভরসার আর জায়গা থাকে না। এমন কি দেশের কী পরিস্থিতি হবে- তা ভাবনায়ও কুলানোর মতো নয়। বাজার সিন্ডিকেট ভাঙতে সবার সহযোগিতা চাওয়ার পাশাপাশি হুঙ্কার দিয়েছেন কোটা আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক, শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। বলেছেন, ‘তাদের দৌরাত্ম্য আমরা ভাঙব’। কামনা থাকবে, এ হুমকি-হুঁশিয়ারিকে সফল করবেন তিনি এবং সরকার। এসব সিন্ডিকেট প্রতিদিন ‘নতুন নতুন পদ্ধতি’ আবিষ্কার করে বলে মন্তব্যও করেছেন এই উপদেষ্টা।

    রোগ যখন ধরতে পেরেছেন, সেইদৃষ্টে এখন ওষুধ প্রয়োগের অপেক্ষা। হোক তা মেডিসিন বা সার্জিকেল। বলতেই হয়, মেডিসিন বা ডাকদোহাইর ঝাড়ফুঁকে এরা দমবে না। কেস একদম সার্জিকেল। সার্জনের ভূমিকায় যেতেই হবে সরকারকে। বাজার নিয়ন্ত্রণে টিসিবির মাধ্যমে খোলাবাজারে পণ্য বিপণন, বাজার মনিটরিং ইত্যাদি যথাযথভাবে বাস্তবায়ন করতেই হবে। পেছনে তাকানোর কোনো সুযোগ নেই। কোনো অজুহাত বা কাউকে দায়ী করারও আর অবকাশ নেই। মানুষ এসব শুনতে চায় না। তারা চায় অ্যাকশন।

    অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদের বক্তব্যেও তা স্পষ্ট। সম্ভবত পাবলিক পাল্স ধরতে পেরেছেন এই অর্থনীতিবিদ ও অ্যাকাডেমিশিয়ান। তিনি বলেছেন, বাজারে ডিমসহ বিভিন্ন পণ্যের অতিরিক্ত দামের জন্য সিন্ডিকেটের কথা বলে পার পাওয়া যাবে না। এরা নিশ্চয়ই সরকারের চেয়ে শক্তিশালী নয়। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমম্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহও রোগ ধরে বলেছেন, কারওয়ান বাজারে ডিম ট্রাকে থাকা অবস্থাতেই চারবার হাতবদল হয়। এখন পর্যন্ত এই সরকার কোনো সিন্ডিকেট ভাঙতে পারেনি। শুধু সিন্ডিকেটের সাইনবোর্ড পরিবর্তন হয়েছে। সিন্ডিকেট ভেঙে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ না করতে পারলে এই অভ্যুত্থানের প্রাথমিক মাহাত্ম্য কী?

    ছাত্র আন্দোলনের আরেক সমন্বয়ক রাসেল আহমেদ বলেছেন, ‘গত ১৫ বছর ধরে ফ্যাসিবাদের দোসর লুটেরা ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট তৈরি করেছে। তারাই এখন অন্তর্বর্তী সরকারকে বিপদে ফেলতে কোনও কারণ ছাড়াই নিত্যপণ্যের দাম বাড়িয়ে দিচ্ছে। অবিলম্বে সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্য বন্ধে প্রশাসনকে কঠোর হতে হবে।’ পরিবহন খাতে চাঁদাবাজির জন্য নয়; নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে বিগত সরকারের আমলের ন্যায় বর্তমানেও বহাল তবিয়তে থাকা সিন্ডিকেটের কারণে। এই সিন্ডিকেট নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম মনগড়া বৃদ্ধি করছে। এতে বিপাকে পড়ছেন ভোক্তারা।

    এখন পরিবহন খাতে চাঁদাবাজি হচ্ছে না। পুলিশ, শ্রমিক নেতা কিংবা দলীয় কোনো পারপাসে চাঁদাবাজি নেই। ট্রাক ভাড়াও আগের চেয়ে কমেছে। তারপরও নিত্যপণ্যের দাম বাড়তে থাকার কারসাজি একদম না বোঝার বিষয় নয়। বিগত সরকারের আমলে বড় বড় যে সকল সিন্ডিকেট ছিল, তারা এখনো রয়েছে। আর তাদের মনগড়া সিদ্ধান্তের কারণেই নিত্যপণ্যের দাম দিনকে দিন বাড়ছে। তবে, কি বাজার সিন্ডিকেট ভাঙতে ছাত্র-জনতাকে আবারো সক্রিয় হতে হবে? সরকার পতনের পর ছাত্ররা যেভাবে বাজার তদারকি করেছিল, সেটি আবারো নিয়মিত করতে হবে?

    বলার অপেক্ষা রাখছে না, গণঅভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতন হলেও বাজার সিন্ডিকেটবাজ ও চাঁদাবাজদের পতন হয়নি। নিত্যপণ্যকে সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে নিয়ে যেতে যারপরনাই সক্ষমতা দেখিয়েই চলছে তারা। সরকারের এখন পর্যন্ত কার্যক্রম ঘুরছে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের চেষ্টায়। দমনের কার্যকর পদক্ষেপ এখনো নেয়া হয়নি। সরকার বিভিন্ন সংস্কারের জন্য কমিশন করেছে। কিন্তু এখন সবচেয়ে বড় সমস্যা নিত্যপণ্যের দামে আগুন নেভানোর কোনো কমিশন করেনি। সরবরাহ বৃদ্ধিতে আমদানির অনিয়ম দূর করতে দেশে একটি কমিশন কিন্তু আছে। প্রতিযোগিতা কমিশন নামের কমিশনটির কাজ হচ্ছে বাজারে প্রতিযোগিতার ক্ষেত্রে বিরূপ প্রভাব সৃষ্টিকারী রীতি-নীতি নির্মূল করার পাশাপাশি প্রতিযোগিতা উৎসাহিত করা। ব্যবসা-বাণিজ্যের স্বাধীনতা নিশ্চিত করাও তাদের কাজ। এই পরিস্থিতিতে কমিশনটিকে কাজে লাগানো যেতে পারে। বাজারে কোথায় ও কীভাবে প্রতিযোগিতা বিনষ্ট হচ্ছে বা একচেটিয়া তৈরি হচ্ছে, তা চিহ্নিত করে আইনি উদ্যোগ নিতে পারে এই কমিশন।

    তারা ব্যবসায়ীদের জবাবদিহির আওতায় আনতে পারে। বাড়তি দামে বাজারে ভোক্তার রীতিমতো বোবাকান্না চলছে। এরই মধ্যে মার্চে শুরু হচ্ছে রমজান। আর এই মাসকে ঘিরে এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। কারসাজি করে রমজাননির্ভর পণ্যে বাড়তি মুনাফা করতে থাবা বসিয়েছে। সিন্ডিকেট করে ৪ মাস আগ থেকেই বাড়াচ্ছে দাম। এমন পরিস্থিতিতে এখন থেকেই এক প্রকার বিচলিত সরকার।

    সূত্র জানায়, এবারের সরকার অরাজনৈতিক সরকার। স্বল্প পরিসরে উপদেষ্টা দিয়ে দেশ পরিচালনা করা হচ্ছে। এতে সিন্ডিকেট আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। ধারণা করা হচ্ছে রোজায় পণ্যের দাম আরও বাড়বে। তাই পণ্যের দাম কমাতে সরকার কঠোর অবস্থানে না গিয়ে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে সমঝোতার দিকে হাঁটছে। বাজার তদারকিতে হুমকি-ধমকি ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে দিয়ে বাজার মনিটরিংয়ে এক প্রকার পিছু হটার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বড় কয়েক আমদানিকারকের সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে বাজার নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই তিনটি কাজ করতে গিয়ে নীতিনির্ধারকরা দেখবেন-বাজারে পণ্যের দাম যৌক্তিক নাকি অযৌক্তিক পর্যায়ে আছে। পাশাপাশি বাজারে হস্তক্ষেপ করা দরকার আছে কিনা, তা বিশ্লেষণ করে বের করবেন। এতেও যদি পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হয়, তাহলে কঠোর অবস্থানে গিয়ে বাজার নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করা হবে।

    এছাড়া পণ্যের দাম সহনীয় করতে কঠোরতায় না গিয়ে সরকার ব্যবসায়ীদের নানা ধরনের সুবিধা দিচ্ছে। পণ্য আমদানিতে এলসি মার্জিন উঠিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করছে। ব্যাংক থেকে যে কোনো পরিমাণ ঋণ নিয়ে ব্যবসায়ীরা পণ্য আমদানি করতে পারবেন। এজন্য পর্যাপ্ত ডলার সরবরাহও নিশ্চিত করা হচ্ছে। তাছাড়া ইতোমধ্যে কিছু পণ্যে আমদানিতে শুল্ক কমানো ও শূন্য শুল্ক সুবিধাও দেওয়া হয়েছে। এতে আমদানি খরচ কমলেও বাজারে দাম কমছে না। সরকারের দেওয়া এসব সুবিধা চলে যাচ্ছে ব্যবসায়ীদের পকেটে।

    এদিকে বাজারে শৃঙ্খলা ফেরাতে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরসহ বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের টাস্কফোর্স অভিযান পরিচালনা করছে। ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে পণ্য বিক্রি কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। ভর্তুকি মূল্যে বিক্রি করা হচ্ছে কৃষি পণ্য। এর মধ্যেও রোজা শুরুর কয়েক মাস আগেই সিন্ডিকেটের কারসাজিতে রোজা নির্ধারিত পণ্যের দাম বাড়তে শুরু করেছে। খুচরা বাজারের বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, খুচরা পর্যায়ে প্রতি কেজি ছোলা মানভেদে বিক্রি হচ্ছে ১৩০-১৪০ টাকা। যা সাত দিন আগে বিক্রি হয়েছে ১২৫-১৩০ টাকা। সপ্তাহের ব্যবধানে এই পণ্যটির দাম বেড়েছে ৫-১০ টাকা।

    পাশাপাশি ৭ দিনের ব্যবধানে সব ধরনের ভোজ্যতেলের দাম বেড়েছে। বিক্রেতারা জানান, প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন বিক্রি হচ্ছে ১৬৫ টাকা। যা ৭ দিন আগেও ১৬০ টাকা ছিল। বোতলজাত প্রতি লিটার সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ১৬৭-১৭০ টাকা। যা এক সপ্তাহ আগেও ১৬৫-১৭০ টাকা ছিল। এছাড়া দুই লিটারের বোতলজাত সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ৩৪০ টাকা। যা ৭ দিন আগেও ৩৩৫ টাকা ছিল। পাশাপাশি খোলা পাম তেল বিক্রি হচ্ছে ১৫৬ টাকা। যা এক সপ্তাহ আগেও ১৫০ টাকা ছিল। আর পাম অয়েল সুপার বিক্রি হচ্ছে লিটারপ্রতি ১৬০ টাকা। যা আগে ১৫৪ টাকা ছিল।

    এছাড়া খুচরা পর্যায়ে প্রতি লিটার বোতলজাত রাইসব্রান তেল বিক্রি হচ্ছে ২০০-২১০ টাকা। যা এক সপ্তাহ আগে লিটারপ্রতি বিক্রি হয়েছে ১৮৫-১৯৫ টাকা। সঙ্গে পাঁচ লিটারের বোতলজাত রাইসব্রান তেল বিক্রি হচ্ছে ৯৮০-১০৫০ টাকা। যা ৭ দিন আগেও ৮৮০-৯২০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।

    শুধু জেলা পর্যায়ে নয়, উপজেলা পর্যায়েও টাস্কফোর্স কমিটি ব্যাপকভাবে বাজার মনিটরিং করছে। পাশাপাশি ভ্রাম্যমাণ আদালতও পরিচালনা করছে জেলা প্রশাসন। বর্তমান সরকারের নির্দেশনা-যে কোনো মূল্যে সিন্ডিকেট ভেঙে দ্রব্যমূল্য স্বাভাবিক পর্যায়ে নিয়ে আসা। টাস্কফোর্সের সদস্যরা প্রতিদিনই বিভিন্ন বাজার মনিটরিং করছেন। তারা এখনো সর্বোচ্চ কঠোরতা দেখাচ্ছেন না। দাম অস্বাভাবিক অবস্থা থেকে স্বাভাবিকে না এলে আগামী দিনগুলোতে টাস্কফোর্স আরও কঠোরভাবে আইন প্রয়োগ করবে। প্রয়োজনে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সিলগালা করে দেবে।

    আমদানি হওয়ার পরও বাজারে পেঁয়াজের দাম আবার বেড়েছে। আমদানিকারকরা কোনো কারণ ছাড়াই পেঁয়াজের দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন। এক সপ্তাহের ব্যবধানে নগরীর খুচরা বাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজ ১০ থেকে ১৫ টাকা বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। দেশি পেঁয়াজ প্রতি কেজি মানভেদে ১৩০ থেকে ১৪০ টাকায় এবং আমদানি করা পেঁয়াজ মানভেদে ১২০ থেকে ১২৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পাইকারি বাজারে দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১২৫ টাকার বেশি দামে। আমদানি করা পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১১০ টাকা থেকে ১১৫ টাকা দরে। তবে মানভেদে ৫ টাকা কমবেশি রয়েছে।

    পেঁয়াজের মতো আলুর দামও বেড়েছে। রিয়াজউদ্দিন বাজারে গুদামভর্তি আলু থাকার পরও বেড়েছে দাম। খুচরা বাজারে আলু বিক্রি হচ্ছে ৬৫ থেকে ৭০ টাকায়। অথচ গত সপ্তাহে আলুর দাম ছিল ৫৫ থেকে ৬০ টাকা। আলুর সরবরাহ স্বাভাবিক রয়েছে। এছাড়া আলু আমদানিতে শুল্ক-কর সম্পূর্ণ প্রত্যাহার করা হয়েছে। কিন্তু আলুর বাজারে শক্তিশালী সিন্ডিকেট থাকায় দাম কমছে না।

    মনে রাখতে হবে, ছাত্র-জনতা বিপ্লবের মাধ্যমে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার মসনদ তছনছ করে দিয়ে তাকে দেশছাড়া করেছে, সেখানে দায়িত্বশীলরা কেন ফ্যাসিস্টের অনুসারী বাজার সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ করতে পারছেন না? কেন তারা বিপ্লবী চেতনায় নিজেদের উজ্জীবিত করতে পারছেন না? সবাইকে মনে রাখা উচিত, এ সরকার গণঅভ্যুত্থানের ফসল এবং জনগণের আশা-আকাক্সক্ষার কেন্দ্রবিন্দু। বিপ্লবের যে প্রত্যাশা, তা সকলে এক হয়েই পূরণ করতে হবে।

    কিছু অসাধু ব্যবসায়ী অধিক মুনাফা লাভের আশায় নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম বাড়িয়ে দেন। এটি সামাজিক, ধর্মীয় বা নৈতিকভাবে সমর্থনযোগ্য নয়। নিত্যপণ্যের দাম কমাতে সরকারের পক্ষ থেকে সব ধরনের কঠোর ও শাস্তিযোগ্যরউদ্যোগ নিতে হবে। তা ছাড়া সিন্ডিকেট ভাঙ্গা যাবে না।

  • র‌্যাব-১২ এবং র‌্যাব-১০ এর যৌথ অভিযানে  প্রতারক শাহিদ শেখ ও নরুল হুদা’কে ফরিদপুর হতে গ্রেফতার

    র‌্যাব-১২ এবং র‌্যাব-১০ এর যৌথ অভিযানে প্রতারক শাহিদ শেখ ও নরুল হুদা’কে ফরিদপুর হতে গ্রেফতার

    প্রেস বিজ্ঞপ্তি

    র‌্যাব-১২ এবং র‌্যাব-১০ এর যৌথ অভিযানে সিরাজগঞ্জ জেলায় ‘পল্লী ফাউন্ডেশন’ নামক একটি ভুয়া এনজিও প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার ঘটনার প্রধান আসামি প্রতারক শাহিদ শেখ @ নরুল হুদা’কে ফরিদপুর হতে গ্রেফতার।

    র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব) প্রতিষ্ঠাকালীন সময় থেকেই দেশের সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সমুন্নত রাখার লক্ষ্যে সব ধরনের অপরাধীকে আইনের আওতায় নিয়ে আসার ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। জঙ্গী, সন্ত্রাসী, সংঘবদ্ধ অপরাধী, ছিনতাইকারী, জুয়ারি, মাদক ব্যবসায়ী, খুন এবং অপহরণসহ বিভিন্ন চাঞ্চল্যকর মামলার আসামি গ্রেফতারে র‌্যাব নিয়মিত অভিযান চালিয়ে আসছে।

    ১।গত ১৬ মে ২০২৪ খ্রিঃ তারিখ বেলা অনুমানিক ১২:৩০ ঘটিকায় ১। শাহিদ শেখ (৪৮) এবং ২। কবির শেখ (৪৫)সহ অজ্ঞাতনামা আরও ৫/৬ জন প্রতারক সিরাজগঞ্জ জেলার বেলকুচি থানাধীন মুকুন্দগাঁতী সাকিনস্থ রং শাকিল এর বসতবাড়ী ভাড়া গ্রহণ করে “পল্লী ফাউন্ডেশন” নামক একটি ভুয়া এনজিও খুলে। পরবর্তীতে প্রতারকচক্রটি শাহ আলম প্রামানিককে ঋণ প্রদান করবে মর্মে তার বসতবাড়ীতে গিয়ে তার নিকট থেকে ২০,১০০/- টাকা গ্রহণ করে এবং তাকে ২,০০,০০০/- টাকা ঋণ প্রদান করবে মর্মে জানায়। তারা একই এলাকায় হাফিজুল ইসলাম, ১০,৫০০/- টাকা, ফরিদুল ইসলাম ২০,১০০/- টাকা, আলমগীর ৩৩,২০০/- টাকাসহ আরো অনেকের কাছ থেকে সর্ব মোট ২,৩৫,৯০০/- টাকা গ্রহণ করে। এছাড়াও আরও অনেক এলাকা হতে প্রতারনা করে প্রায় কোটি টাকা গ্রহণ করে। গত ২০ মে ২০২৪ খ্রিঃ তারিখ সকাল অনুমানিক ০৯:০০ ঘটিকায় শাহ আলম প্রামানিক উক্ত আসামিদ্বয়ের নাম্বারে ফোন করলে তাদের নাম্বার বন্ধ পায় এবং ভাড়া বাসাটি তালাবদ্ধ অবস্থায় দেখতে পায়। তখন সে আশপাশের লোকজনদের আসামিদের বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে তারা কোন কিছু বলতে পারে না। উক্ত ঘটনায় অত্র এলাকার অনেক সাধারণ মানুষ আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়। উক্ত ঘটনায় ভুক্তভোগী শাহ আলম প্রামাণিক বাদী হয়ে বেলকুচি থানায় একটি প্রতারণা মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং-০৪, তারিখ-০৫/০৭/২০২৪ খ্রিঃ, ধারা-৪০৬/৪২০ দন্ড বিধি ১৮৬০। উল্লিখিত ঘটনাটি গত ০৫ জুলাই ২০২৪ খ্রিঃ তারিখে বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত হয় এবং বর্ণিত এলাকায় বাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।

    ২।এরই ধারাবাহিকতায় মোঃ কামরুজ্জামান পিপিএম, অধিনায়ক, র‌্যাব-১২, সিরাজগঞ্জ এর দিকনির্দেশনায় গত ১৩ নভেম্বর ২০২৪ খ্রি. বিকাল ০৪.০০ ঘটিকার সময় র‌্যাব সদর দপ্তরের গোয়েন্দা শাখার সহযোগিতায় র‌্যাব-১২, সদর কোম্পানি সিরাজগঞ্জ এবং র‌্যাব-১০, সিপিসি-৩ ফরিদপুর এর একটি চৌকস আভিযানিক দল ‘‘ফরিদপুর জেলার আলফাডাঙ্গা থানাধীন কুচিয়াগ্রাম বটতলা এলাকায়” একটি যৌথ অভিযান পরিচালনা করে সিরাজগঞ্জ জেলার বেলকুচি থানাধীন মুকুন্দগাতি এলাকার পল্লী ফাউন্ডেশন নামক ভুয়া এনজিও প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার ঘটনার প্রধান আসামি শাহিদ শেখ @নরুল হুদা’কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। এছাড়াও তার সাথে থাকা ০১টি মোবাইল ফোন ও নগদ ৫০০/- টাকা জব্দ করা হয়।

    ৩। গ্রেফতারকৃত আসামি মোঃ শাহীন শেখ @ নুরুল হুদা (৪৮), পিতা- মৃত ইউনুস সরদার, সাং- মুকুন্দগাতী (পল্লি ফাউন্ডেশন), থানা- বেলকুচি, জেলা- সিরাজগঞ্জ, স্থায়ী ঠিকানা- নওয়াপাড়া, ০৪ নং ওয়ার্ড, থানা- আলফাডাঙ্গা, জেলা- ফরিদপুর।

    ৪। গ্রেফতারকৃত আসামিকে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সিরাজগঞ্জ জেলার বেলকুচি থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।