Category: Uncategorized

  • পঞ্চগড় চিনিকল পরিদর্শনে শিল্প উপদেষ্টা, শোনালেন আশার বাণী

    পঞ্চগড় চিনিকল পরিদর্শনে শিল্প উপদেষ্টা, শোনালেন আশার বাণী

    মোঃ বাবুল হোসেন. পঞ্চগড় প্রতিনিধি:

    দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ থাকা পঞ্চগড় চিনিকল পরিদর্শন এসেছেন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান। এসময় বন্ধ সমস্ত কলকারখানা চালু করা হবে বলে আশ্বস্ত করেন তিনি।

    শনিবার বিকেলে পঞ্চগড় সুগার মিল পরিদর্শন শেষে অংশীজনদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন এই উপদেষ্টা। তিনি বলেন, সাড়ে ১৫ বছরের ফ্যাসিবাদি শাসনে অসংখ্য শহীদ, গুম হয়ে যাওয়া পরিবার আর নির্যাতিত মানুষের রক্তের উপর আমরা দাঁড়িয়ে আছি। রক্তের ঋণ তো শোধ করতেই এই নির্যাতিত কৃষক শ্রমজীবী মানুষের কাজের ব্যবস্থা করতে হবে। এই লক্ষ্যেই কাজ করছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। আমরা আপনাদের কাছে এই কথা পৌঁছে দিতে এসেছি যে আমরা কল কারখানা চালু করতে চাই। বন্ধ সমস্ত কলকারখানা চালুর পাশাপাশি নতুন উদ্যোগও নেয়া হবে। কালকেই চালু হবে এমন বক্তব্য আমরা দিতে পারি না। তবে যত দ্রুত সম্ভব আমরা করার চেষ্টা করছি। আমরা কাজ শুরু করে দিয়েছি।

    তিনি আরও বলেন, আমরা এই দুর্বৃত্তায়নের বিরুদ্ধে, অন্যায়ের বিরুদ্ধে মানুষের আর্থিক উন্নয়নের চেষ্টা করছি। এই কারণেই এখানে আসা। যেন উত্তরবাংলায় আবারো কাজের পরিবেশ তৈরি হয়। মানুষ যেন তার পেশায় ফিরে যেতে পারে। সুগার মিলের যেসব জায়গা দখল হয়েছে সেগুলো উদ্ধারের চেষ্টা করছি। বাংলাদেশ একটি কৃষি ভিত্তিক দেশ। কৃষকদের সাপোর্ট দেয়াই একটা জনসমর্থিত সরকারের কাজ। আমরা চেষ্টা করছি একটার পর একটা বন্ধ কারখানা চালু করার। আমরা যতদূর পারি খুলে দিয়ে যাবো। পরে যারা আসবেন তারা এটি চালিয়ে নিবেন। গত সরকারের পার্টনারশিপ পরিকল্পনার পরিণতি এই রক্তাক্ত বাংলাদেশ। 

    এ সময় অন্যদের মধ্যে চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশনের সচিব আনোয়ার কবীর, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম, জেলা প্রশাসক সাবেত আলী, পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান, কেন্দ্রীয় বিএনপির পল্লী উন্নয়ন বিষয়ক সম্পাদক ফরহাদ হোসেন আজাদ, জেলা জামায়াতের আমীর ইকবাল হোসেনসহ সুগার মিলের কর্মকর্তা, কর্মচারী, আঁখচাষীসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।

  • সুজানগরের নাজিরগঞ্জ ইউনিয়ন বিএনপির কর্মী সমাবেশ অনুষ্ঠিত

    সুজানগরের নাজিরগঞ্জ ইউনিয়ন বিএনপির কর্মী সমাবেশ অনুষ্ঠিত

    এম এ আলম রিপনঃ জনআকাঙ্খা বাস্তবায়নে নির্বাচিত সরকারের বিকল্প নেই,তাই প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে অতি দ্রুত নির্বাচনী সড়কে উঠতে হবে অন্তবর্তী সরকারকে বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় বিএনপির নির্বাহী সদস্য ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী কৃষকদলের সভাপতি কৃষিবিদ হাসান জাপির তুহিন। শনিবার নাজিরগঞ্জ স্কুল এন্ড কলেজ মাঠে নাজিরগঞ্জ ইউনিয়ন বিএনপি ও সহযোগী অঙ্গ সংগঠনের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত কর্মী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে কৃষিবিদ হাসান জাফির তুহিন আরও বলেন, শেখ হাসিনার ফ্যাসিবাদের সময় আমরা তথাকথিত উন্নয়নের রাজনীতি দেখেছি। কিন্তু পতিত সেই রাজনীতির ভিত্তি ছিল দুর্নীতি, দুঃশাসন ও দুর্বৃত্তায়ন। অন্যদিকে জনগণের ভোটে বিএনপি যদি সরকার গঠন করে, আপনারা দেখতে পাবেন, জনগণের ক্ষমতায়ন ও অংশীদারিত্বের রাজনীতি। বিএনপির রাষ্ট্র পরিচালনার ভিত্তি হবে আইনের অনুশাসন, মানবাধিকার এবং বাকস্বাধীনতা। আওয়ামী লীগের মতো পরিবারতন্ত্র ও অলিগার্ক শ্রেণী তৈরী হবে না, বিভাজন ও বৈষম্য থাকবে না, সমাজের প্রতিটি স্তরে দলীয়করণ ও প্রাতিষ্ঠানিক অবক্ষয় ঘটবে না। তিনি বলেন, ‘বিচারবহির্ভূত হত্যা, গুম, অতিরিক্ত বলপ্রয়োগ, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মামলা ও বিচার, পরোয়ানা ছাড়াই গণগ্রেপ্তার এবং চরম মানবাধিকার লঙ্ঘনের মাধ্যমে যে ভয়ের সংস্কৃতি গত ১৬ বছরে গড়ে উঠেছিল জনগণের ভোটে নির্বাচিত হলে বিএনপি সরকারের সর্বোচ্চ চেষ্টা থাকবে সেটি নির্মূল করার জন্য। হাসান জাপির তুহিন বলেন, শেখ হাসিনার ১৬ বছরের শাসনামলে, আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা সীমাহীন খুন, হামলা, ধর্ষণ, ও চাঁদাবাজির মতো অপরাধে জড়িয়ে পড়লেও, দলীয়ভাবে তাদের শাস্তি দেওয়ার কোনো ইতিহাস নেই। সাম্প্রতিক ঘটনাবলী থেকে দেখা যায়, দেড় হাজারেরও অধিক গণতন্ত্রকামী মানুষকে গণঅভ্যুত্থানে হত্যা করার পরেও, আওয়ামী লীগের কোনো নেতার কোনো অনুতাপ, অনুশোচনা বা আত্নসমালোচনার নজির নেই।অপরদিকে বিএনপি ও সহযোগী অঙ্গ সংগঠনের ৬০ লাখ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা রয়েছে। তারপরেও এত বিশাল সংগঠনের নাম ব্যবহার করে কেউ বিচ্ছিন্নভাবে কোনো অপরাধে জড়িত হলে, তা জানা মাত্রই বিএনপি দ্রুত সাংগঠনিক পদক্ষেপ নিচ্ছে। ৫ আগস্টের পরে, দেশে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভেঙে পড়েছিল, পুলিশের অনুপস্থিতি ছিল। সেই সময়ে দলীয়ভাবে বিএনপি সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে, দেশকে আগলে রেখেছে, নিশ্চিত করেছে জননিরাপত্তা ও রাষ্ট্রের স্থিতিশীলতা।প্রতিহিংসার রাজনীতিতে না জড়িয়ে সহিংসতাকে প্রতিহত করেছে এবং সহাবস্থান নিশ্চিত করেছে বলেও জানান তিনি। নাজিরগঞ্জ ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি হাজারী হারুন-অর-রশিদ এর সভাপতিত্বে ও কেন্দ্রীয় কৃষকদলের প্রচার সম্পাদক শামসুর রহমান শামস এর সঞ্চালনায় সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সুজানগর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আলহাজ্ব এবিএম তৌফিক হাসান। প্রধান বক্তা ছিলেন উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব শেখ আব্দুর রউফ। অন্যদের মাঝে বক্তব্য রাখেন সুজানগর পৌর বিএনপির আহ্বায়ক কামাল হোসেন বিশ্বাস, সদস্য সচিব জসিম উদ্দিন বিশ্বাস, বেড়া উপজেলা বিএনপি নেতা গণি ফকির, মঞ্জুর আলম সিকদার, কৃষকদল রাজশাহী বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম, সুজানগর উপজেলা বিএনপি নেতা রফিকুল ইসলাম(রফিক মন্ডল), নাজিরগঞ্জ ইউনিয়ন বিএনপি নেতা হোসেন ফকির, আব্দুল ওহাব সিকদার, নজরুল ইসলাম,রোকনুজ্জামান রতন, ছাত্রদল নেতা রনি সিকদার, শাহীনুজ্জামান শাহীন, এনামুল হক তিতু হাজারী ও শেখ কাউছার প্রমুখ।

    এম এ আলিম রিপন
    সুজানগর (পাবনা)প্রতিনিধি।

  • তানোরে আলু বীজের কৃত্রিম সংকট

    তানোরে আলু বীজের কৃত্রিম সংকট

    আলিফ হোসেন,তানোরঃ
    রাজশাহীর তানোরে আলু বীজের কৃত্রিম সংকট দিশেহারা কৃষক। কৃষকেরা জানান, ৮০ টাকা কেজি দরের উচ্চ ফলনশীল জাতের আলু বীজ ১০০ টাকা কেজিতেও মিলছে না। আলুর ভরা মৌসুমে চাহিদা অনুযায়ী কাঙ্ক্ষিত পরিমাণ প্রয়োজনীয় আলু বীজ সংগ্রহ করতে না পারায় দিশেহারা হয়ে পড়েছেন সংশ্লিষ্ট কৃষকরা। এমন উদ্ভূত আলু বীজ সংকট পরিস্থিতির কারণে চলতি মৌসুমে উপজেলায় আলু চাষের লক্ষ্যমাত্রা ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
    জানা গেছে, জেলার তানোর উপজেলায় বেশী আলু চাষাবাদ হয়।কিন্ত্ত তানোরে
    ব্র্যাকের মাত্র একজন আলু বীজ ডিলার রয়েছে। অন্যদিকে জেলার মোহনপুর উপজেলায় সব চাইতে কম আলু চাষাবাদ হয়। অথচ মোহনপুরে ব্র্যাকের ৪ জন বীজ ডিলার রয়েছে।
    স্থানীয় আলু চাষি কৃষকদের অভিযোগ ব্র্যাকের আলু বীজের চাহিদা বেশী।কিন্ত্ত ডিলারগণ আলু বীজ বিক্রয় কেন্দ্রে না এনে বাসা-বাড়িতে মজুদ করে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টির মাধ্যমে, ৮০ টাকা কেজির আলু বীজ ১০০ থেকে ১২০ টাকায় বিক্রি করছে।কিন্ত্ত কোনো রশিদ দিচ্ছেন না, দিলেও তাতে সরকার নির্ধারিত দাম লিখছেন।আবার কোনো কোনো ক্ষেত্রে বড় বড় আলুচাষিদের বাড়িতে সরাসরি বীজ পাঠানো হচ্ছে। ডিলার ও ব্যবসায়ীদের বাড়ি ও গুদামে অভিযান দিলে বীজের মজুদ পাওয়া যাবে।
    প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান,গত ১৬ নভেম্বর শনিবার দুপুরে চকপাড়া খাইরুল মাস্টারের বাড়িতে দুই ট্রাক ব্যাকের
    বীজ আলু নামানো হয়। এক সঙ্গে এতো
    বীজ কোথায় থেকে আসছে জানতে চাইলে শ্রমিকরা জানান, ব্র্যাকের বীজ ডিলার শাহীন মাস্টারের কাছে তারা এসব বীজ কিনেছেন। তবে ক্রয় রশিদ দেখতে চাইলে তারা দেখাতে পারেনি।
    অথচ শাহীন মাস্টারের দোকানে গিয়ে কৃষকরা আলু বীজ পাচ্ছে না-? ফলে প্রশ্ন উঠেছে শাহীন মাস্টারের নামে বরাদ্দকৃত ব্র্যাকের বিপুল পরিমাণ
    আলু বীজ গেলো কোথায়-? তার বিক্রয় রশিদ পর্যালোচনা করা হলে থলের বেড়াল বেরিয়ে আসবে। প্রত্যক্ষদর্শীরা আরো জানান,গত ১৫ নভেম্বর শুক্রবার রাতে কালীগঞ্জ হাটের ব্যবসায়ী লালু ১২০ বস্তা ব্র্যাকের আলু বীজ চড়া দামে কালোবাজারে বিক্রির সময় স্থানীয়রা জব্দ করে রনি নামের এক ব্যক্তির বাড়িতে জমা রেখে প্রশাসনকে অবগত করেন। তবে লালুর দাবি সে উচ্চ মুল্যে এসব বীজ মৌগাছির ব্র্যাকের আলু বীজ ডিলার কারীর কাছে থেকে কিনেছেন নিজের জমিতে রোপণ করার জন্য। জানতে চাইলে ডিলার কারী বলেন, তিনি বেশী দামে কোনো বীজ বিক্রি কেরননি। কিন্ত্ত রাব্বানী, রবিউল ও আলম নামের কয়েকজন কৃষক জানান, কালীগঞ্জ হাটে দোকান ভাড়া নিয়ে মৌগাছির ডিলার কারী বেশী দামে বীজ বিক্রি করছে।
    নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক কৃষক জানান, কালীগঞ্জ হাটের মেসার্স সুমাইয়া টেড্রার্স বাটুলের ভাড়া ঘরে (গুদাম) বিপুল পরিমাণ ব্র্যাকের আলু বীজ মজুদ করে রেখেছেন। এছাড়াও সরনজাই বাজারের মাওলানা সিরাজুল ইসলামের বাড়িতে বিপুল পরিমাণ আলু বীজ মজুদ রয়েছে। এমনকি গোকুল গ্রামে শাহীন মাস্টারের বাড়িতে বিপুল পরিমাণ আলু বীজ মজুদ রয়েছে।শাহীন মাস্টার দুই দিন যাবত দোকান বন্ধ রেখেছেন।এদিকে কৃষি বিভাগের দাবি, সংকট নয় একশ্রেণির মুনাফালোভী অসাধু বীজ ব্যবসায়ীদের কারসাজির কারণেই আলু বীজের দাম বেশি নেওয়ার অভিযোগ তুলছেন কৃষকরা।
    কিন্তু ভুক্তভোগী কৃষকরা বলছেন ভিন্ন কথা। তাদের দাবি, এ বছর সরকারি-বেসরকারি প্রতি কেজি ‘এ’ ও ‘বি’ গ্রেডের উচ্চ ফলনশীল আলু বীজ প্রকারভেদে ৭৮ থেকে ৮০ টাকা মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে। কিন্তু বাজারে ওই দামে কাঙ্খিত বীজ মিলছে না। আলু বীজ আর স্টকে নেই বলে ‘বুকিং বন্ধ’ সাইন বোর্ড ঝুলিয়ে দিয়েছেন সংশ্লিষ্ট ডিলাররা। অথচ অভিযোগ আছে, ১০০ থেকে ১১০’ টাকা কেজিতে ওই বীজই মিলছে স্থানীয় খুচরা ব্যবসায়ীদের কাছে। আবার ব্যাপক চাহিদা থাকায় অসাধু ব্যবসায়ীরা গোপনে ট্রাকে করে গ্রামে গ্রামে নিয়ে গিয়ে নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বেশি দামে আলু বীজ বিক্রি করছেন এমন অভিযোগ অহরহ। এতে প্রশ্ন উঠেছে ডিলারেরা যদি বীজ না পাই,তাহলে খুচরা ব্যবসায়ীরা বীজ পাচ্ছেন কোথায় ? নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ইউপি সদস্যর অভিযোগ, ডিলারদের কারসাজির কারণেই কৃষকরা বেশি দামে আলু বীজ কিনতে বাধ্য হচ্ছেন। ডিলাররা স্পাই লাগিয়ে দাম চুক্তি করে খুচরা ব্যবসায়ীদের কাছে আলু বীজ সরবরাহ করেন। আর সেই বীজ তারা প্রতি বস্তায় ৬শ’থেকে ৮শ’ টাকা লাভ নিয়ে বাজারে ছাড়ে এভাবেই বীজের দাম বেড়ে যায়। তিনি বলেন,যদি বীজের সংকট থাকে তাহলে তো খুচরা দোকানে বীজ থাকার কথা নয়। এবিষয়ে জানতে চাইলে ব্র্যাকের বীজ ডিলার শাহীন মাস্টার বীজ মজুদ বা বেশী দামে বিক্রির অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।#

  • নেছারাবাদে আরামকাঠী সঞ্চয় ও ঋণদান সমবায় সমিতির ২২ তম” বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত

    নেছারাবাদে আরামকাঠী সঞ্চয় ও ঋণদান সমবায় সমিতির ২২ তম” বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত

    আনোয়ার হোসেন,
    নেছারাবাদ উপজেলা প্রতিনিধি //

    বরিশাল বিভাগীয়ধীন আরামকাঠী সঞ্চয় ও ঋণদান সমবায় সমিতি লিঃ এর
    সাধারণ সদস্যদের অংশগ্রহণে “২২ তম”
    বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
    ১৬ই নভেম্বর শনিবার সকাল দশটায় সমবায় সমিতির জলাবাড়ি প্রজেক্টের মাঝে ঐ বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

    অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মনিরুজ্জামান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও প্রশাসক নেছারাবাদ উপজেলা পরিষদ। বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন নেছারবাদ উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা মোঃ হাসান রকি, স্বরূপকাঠি পৌর বিএনপির আহবায়ক মোঃ শফিকুল ইসলাম সাবেক মেয়র স্বরূপকাঠি পৌরসভা।

    আমন্ত্রিত অতিথিদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন,সরকারি স্বরূপকাঠি পাইলট মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক জনাব মোঃ আমিনুল ইসলাম তালুকদার, স্বরূপকাঠি পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর ও পৌর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক জনাব মোঃ সাইফুল ইসলাম উজ্জ্বল। এছাড়াও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গরা উপস্থিত ছিলেন।

    আরামকাঠী সঞ্চয় ও ঋণদান সমবায় সমিতি লিঃ এর পরিচালক মোঃ রাহমাতুল্লাহ এর সভাপতিত্বে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন। পৌর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ন আহবায় সাইফুল ইসলাম উজ্জ্বল, এবং স্বরূপকাঠি প্রেসক্লাবের সাংবাদিক বৃন্দ।এছাড়াও সমবায় সমিতির সাধারণ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।পরে সমিতির সদস্যদের অংশগ্রহণে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

  • পীরগঞ্জে রাসায়নিক সার ও কীট নাশকের বিকল্প অনুজীব সার প্রকল্প উদ্বোধন

    পীরগঞ্জে রাসায়নিক সার ও কীট নাশকের বিকল্প অনুজীব সার প্রকল্প উদ্বোধন

    পীরগঞ্জ (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধি : ঠাকুরগাঁয়ের পীরগঞ্জে রাসায়নিক সার ও কীট নাশকের বিকল্প হিসেবে অনুজীব সার উৎপাদন প্রকল্পের উদ্বোধন করা হয়েছে। গতকাল দুপুরে উপজেলার সীমান্তবর্তী রনসিয়া চন্দ্রা গ্রামে এইচ কে বহুমূখী খামারে এ প্রকল্পের উদ্বোধন করেন জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক সিরাজুল ইসলাম। এ সময় টেকসই কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের দিনাজপুরের পরিচালক আবু রেজা মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান, মনিটরিং ও মুল্যায়ন কর্মকর্তা মশিউর রহমান, কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের সহকারী উপ-পরিচালক জাহাঙ্গীর আলম, প্রশিক্ষন কর্মকর্তা শামিমা নাজনীন, উপজেলা কৃষি অফিসার লায়লা আরজুমান বেগম, খামার মালিক আজাহারুল ইসলাম সহ কৃষি বিভাগের অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। পরে অনুজীব সার ব্যবহার করে খামারে আবাদ করা ধান, শাক সব্জি, মাল্টা, পেপে সহ বিভিন্ন ফসলের খেত পরিদর্শন করেন অতিথিরা।
    এ সময় কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা গনমাধ্যমকে জানান, রাসায়নিক সার ও কীটনাশক ছাড়াই জৈব পদ্ধতিতে উপকারী অনুজীব উৎপাদন করে কয়েক বছর ধরে ফসল চাষাবাদে সফলতা লাভ করেছেন কৃষক আজাহারুল ইসলাম। তার উৎপাদিত অনুজীব সার রায়সনিক সারের বিকল্প এবং নিরাপদ খাদ্য উৎপাদনে অত্যন্ত কার্যকর। কৃষকদের মাঝে এ সারের ব্যবহার বাড়াতে কৃষি বিভাগের পরামর্শে আজাহারুল ইসলাম তা বাণিজ্যিক ভাবে উৎপাদনের উদ্যোগ নিয়েছেন। এ সার ব্যবহার করার জন্য আমরা কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করছি। এ সারের ব্যবহার বাড়লে রাসায়নিক সার ও কীটনাশকের উপর নির্ভরতা কমার পাশাপাশি নিরাপদ খাদ্য উৎপাদন নিশ্চিত হবে। সেই সাথে মাটির স্বাস্থ্য ঠিক থাকবে।

  • জিয়া পরিষদের বিলুপ্ত কমিটির সদস্য গোদাগাড়ীর শরিফুলের সাথে সাংগঠনিক সম্পর্ক না রাখার কেন্দ্রীয় কমিটির নির্দেশ

    জিয়া পরিষদের বিলুপ্ত কমিটির সদস্য গোদাগাড়ীর শরিফুলের সাথে সাংগঠনিক সম্পর্ক না রাখার কেন্দ্রীয় কমিটির নির্দেশ

    নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহীঃ জিয়া পরিষদ কেন্দ্রীয়কমিটির দপ্তর সম্পাদক গিয়াস উদ্দিন আহম্মদ স্বাক্ষরিত ( ১৫ নভেম্বর) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানিয়েছেন, জিয়া পরিষদ কেন্দ্রীয়কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক গত ১ বছর পূর্বে জিয়া পরিষদের রাজশাহী জেলা কমিটি বিলুপ্ত ঘোষনা করা হয়। তার পরেও বিলুপ্ত কমিটির সদস্য, গোদাগাড়ী উপজেলার পাকড়ী ইউনিয়নের নারায়নপুর গ্রামের শাকিল আহম্মেদের বিরুদ্ধে সংগঠনের নাম ভাঙিয়ে বিভিন্ন রকম কার্যক্রমে জড়িত থাকার সুনির্দিষ্ট অভিযোগ দৃষ্টিগোচর হয়েছে।
    রাজশাহী জেলা জিয়া পরিষদের বিলুপ্ত কমিটির সদস্য মোঃ শরিফুল আহম্মদের সাথে কোন প্রকার সাংগঠনিক সম্পর্ক না রাখার জন্য জিয়া পরিষদের কেন্দ্রীয়কমিটির মহাসচিব প্রফেসর ড. মোঃ এমতাজ হোসেন নির্দেশনা প্রদান করেছেন।

    এ নির্দেশনার কপি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিবসহ বিভিন্ন দপ্তরে দেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।

    মোঃ হায়দার আলী
    নিজস্ব প্রতিবেদক,
    রাজশাহী।

  • নড়াইলে পুলিশের পৃথক অভিযানে তিনজন গ্রেফতার

    নড়াইলে পুলিশের পৃথক অভিযানে তিনজন গ্রেফতার

    উজ্জ্বল রায়, নড়াইল জেলা প্রতিনিধি:

    নড়াইলে দুটি পৃথক অভিযানে পঁচিশ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট চল্লিশ গ্রাম গাঁজা ও নগদ এক লক্ষ ষাটষট্টি হাজার সাতশত পঁচাআশি টাকাসহ তিনজন গ্রেফতার। মাদক ব্যবসায়ের সাথে জড়িত মোঃ আরাফাত আলী মুসল্লী (২৯) নামের একজন মাদক কারবারিকে গ্রেফতার করেছে নড়াইল জেলার লোহাগড়া থানা পুলিশ। গ্রেফতারকৃত মোঃ আরাফাত আলী মুসল্লী (২৯) নড়াইল জেলার লোহাগড়া থানাধীন কুন্দশী গ্রামের মৃত ফজলুর রহমান মুসল্লীর ছেলে।উজ্জ্বল রায়, নড়াইল জেলা প্রতিনিধি জানান, শুরুবার (১৪ নভেম্বর) নড়াইল জেলার লোহাগড়া পৌরসভাধীন ৫নং ওয়ার্ডের কুন্দশী শাকিনস্ত কুন্দশী মাছের আড়তের পশ্চিম পাশে নড়াইল টু ঢাকা মহাসড়কের দক্ষিণ পাশে আসামি মোঃ আরাফাত আলী মুসল্লীর বাড়িতে যাওয়ার পায়ে চলার রাস্তার উপর হতে তাকে আটক করা হয়। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে লোহাগড়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আশিকুর রহমানের তত্ত্বাবধানে এসআই (নিঃ) মোঃ রাজু আহমেদ ও এএসআই; (নিঃ) মোঃ ছদরুল আলম সঙ্গীয় ফোর্সসহ অভিযান চালিয়ে মোঃ আরাফাত আলী মুসল্লীকে গ্রেফতার করে। এ সময় ধৃত আসামির নিকট থেকে অবৈধ মাদকদ্রব্য পঁচিশ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট জব্দ করা হয়। এ সংক্রান্তে লোহাগড়া থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা রুজু করা হয়েছে।
    অপর একটি অভিযানে কুলসুম বেগম; (৬০) ও মোসাঃ চায়না বেগম (৫২) নামের দুইজন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে নড়াইল লোহাগড়া থানার পুলিশ। গ্রেফতারকৃত কুলসুম বেগম (৬০) নড়াইল জেলার লোহাগড়া থানাধীন গোপিনাথপুর(ব্যাপাড়ীপাড়া) গ্রামের মৃত বিল্লুর খানের স্ত্রী ও মোসাঃ চায়না বেগম(৫২) একই গ্রামের মৃত আশরাফ খানের স্ত্রী। (গত ১৪ নভেম্বর) নড়াইল জেলার লোহাগড়া পৌরসভাধীন গোপিনাথপুর ব্যাপাড়ীপাড়া কুন্দশী ব্রীজের নিচে চায়না বেগমের বসত বাড়ী থেকে তাদেরকে আটক করা হয়। লোহাগড়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আশিকুর রহমানের তত্ত্বাবধানে এসআই (নিঃ) এফ.এম হাসিবুর রহমান ও সঙ্গীয় ফোর্সসহ অভিযান চালিয়ে আসামী কুলসুম বেগম (৬০) ও মোসাঃ চায়না বেগম (৫২) কে গ্রেফতার করে। এ ধৃত আসামিদের হেফাজতে হতে ৪০(চল্লিশ) গ্রাম গাঁজা ও নগদ এক লক্ষ ষাটষট্টি হাজার সাতশত পঁচাআশি টাকা জব্দ করা হয়। এ সংক্রান্তে লোহাগড়া থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা রুজু করা হয়েছে। আসামিদেরকে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। নড়াইল জেলা পুলিশ সুপার কাজী এহসানুল কবীর’র নির্দেশনায় মাদকমুক্ত নড়াইল গড়ার লক্ষ্যে জেলা পুলিশ আন্তরিকভাবে কাজ করে যাচ্ছে।

  • আদিতমারী থানায় ওপেন হাউজ ডে অনুষ্ঠিত

    আদিতমারী থানায় ওপেন হাউজ ডে অনুষ্ঠিত

    মো.হাসমত উল্লাহ,লালমনিরহাট।।

    লালমনিরহাটের আদিতমারী থানায় ওপেন হাউজ ডে অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে লালমনিরহাট জেলার পুলিশ সুপার মোঃ তরিকুল ইসলাম, কে থানার অফিসার ইনচার্জ আলী আকবর, ফুলেল শুভেচ্ছা প্রদান করেন।

    ওপেন হাউজ ডে অনুষ্ঠানে জেলা পুলিশ সুপার মোঃ তরিকুল ইসলাম, এর সভাপতিত্বে এলাকার সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়। জেলার পুলিশ সুপার অত্যন্ত মনোযোগের সহিত এলাকাবাসীর অভিযোগ এবং পরামর্শ শুনেন এবং জেলাবাসীকে একটি সন্ত্রাস ও মাদকমুক্ত পরিবেশ উপহার দিতে সকলকে এগিয়ে আসার আহবান করেন।

     

    উক্ত ওপেন হাউজ ডে  উপস্থিত ছিলেন মোঃ আলমগীর হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস্), এ কে এম  ফজলুল হক,  এ-সার্কেল, আলী আকবর, অফিসার ইনচার্জ, মোজ্জাফর হোসেন, পুলিশ পরিদর্শক তদন্ত, এস আই ইমরান, সেকেন্ড অফিসার,এস আই রেজাউল আলম, এ এস আই, কনস্টেবল, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ সহ আরো অনেকে। 

    হাসমত উল্লাহ ।।

  • মুন্সীগঞ্জে মিরকাদিমে নবচেতনা স্পোর্টস এসোসিয়েশনের  অভিষেক

    মুন্সীগঞ্জে মিরকাদিমে নবচেতনা স্পোর্টস এসোসিয়েশনের অভিষেক

    লিটন মাহমুদ,

    মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধিঃ

    মুন্সীগঞ্জ সদরের মিরকাদিম পৌরসভায় ক্রিড়া সংগঠন নবচেতনা স্পোর্টস এসোসিয়েশনের নতুন কমিটির অভিষেক অনুষ্ঠান হয়েছে।

    পৌর এলাকার রিকাবী বাজারে
    ১৫ নভেম্বর (শুক্রবার) সন্ধ্যায় সংগঠনের নিজস্ব কার্যালয়ে দোয়া অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু করে।

    পরে এক আলোচনা সভা ও মতবিনিময় অনুষ্ঠিত হয়।
    এতে সংগনটির সভাপতি মো:আল হেলাল রয়েলের সভাপতিত্বে অন্যদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন
    নবচেতনা স্পোর্টস এসোসিয়েশনের
    উপদেষ্টা মোঃ রকিব হোসেন মাদবর, মোঃ আবু হানিফ, শেখ মিজানুর রহমান মিজান, সুমন পাল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো: মনির হোসেন সজিব,সাংগঠনিক সম্পাদক আরিফ হোসেন বাবু,
    ক্রিড়া সম্পাদক মো: রনি খান, কোষাধ্যক্ষ জাকির পাটোয়ারী ও সমাজ কল্যান সম্পাদক রনক
    প্রমুখ।

    এ সময় ভার্চুযালে বক্তব্য দেন প্রতিষ্ঠাতা সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাতা প্রবাসী রোমান কবির ও সিনিয়র সহ-সভাপতি শাহাদাত হোসাইন সহ প্রবাসীরা।

  • নতুন ধানের নবান্ন ‍উৎসব গ্রাম বাংলার ঘরে ঘরে

    নতুন ধানের নবান্ন ‍উৎসব গ্রাম বাংলার ঘরে ঘরে

    চারঘাট (রাজশাহী) প্রতিনিধিঃ

    বাংলাদেশের একটি প্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী উৎসব হলো নবান্ন উৎসব। মাঠে মাঠে সোনালী ধানের সমারোহ, বাতাসে দোল খাচ্ছে কৃষকের স্বপ্ন। নতুন আমন ধানের মৌ মৌ ঘ্রাণ। চলছে ধান কাটা ও মাড়াইয়ের ধুম। ফলন যেমনই হোক, কৃষকের মুখে ধানকাটার গান মনে করিয়ে দেয় নবান্ন উৎসবের কথা।

    অগ্রহায়ণ শব্দের অর্থ বর্ষ শুরুর মাস। আর অগ্রহায়ণের প্রথম দিনটিই বাংলাদেশে নবান্ন যাপনের দিন হিসেবে পরিচিত। দেশের প্রাচীনতম উত্সবগুলোর একটি নবান্ন উৎসব।

    কার্তিক পেরিয়ে নীরবে আবির্ভাব ঘটে অগ্রহায়ণের। একসময় বাঙালির নতুন বছর শুরু হতো অগ্রহায়ণ মাস দিয়ে, তাই এ মাসের নাম হয়েছে অগ্রহায়ণ। এ মাসের প্রথম দিনে উদ্‌যাপিত নবান্নই বাঙালির ঐতিহ্যবাহী শস্যোত্সব। বাংলার কৃষিজীবী সমাজে শস্য উৎপাদনের বিভিন্ন পর্যায়ে যেসব অনুষ্ঠান ও উৎসব পালিত হয়ে থাকে, নবান্ন তার অন্যতম। নবান্নের শব্দগত অর্থ ‘নতুন অন্ন’। নতুন আমন ধান কাটার পর সেই ধান থেকে প্রস্তুত চালের প্রথম রান্না উপলক্ষে আয়োজিত উৎসবই নবান্ন। সাধারণত, অগ্রহায়ণ মাসে আমন ধান পাকার পরে এই উৎসব হয়। ঋতুবৈচিত্র্যে হেমন্ত আসে শীতের আগে। কার্তিক আর অগ্রহায়ণ মাস নিয়েই হেমন্ত ঋতু।

    বাংলা বর্ষপঞ্জি অনুযায়ী অগ্রহায়ণ অষ্টম মাস হিসেবে বিবেচিত হলেও হেমন্ত ঋতুর দ্বিতীয় এ মাসের প্রথম দিনটিই বাংলাদেশের নবান্ন। বাংলার ঘরে ঘরে নবান্ন উৎসব উদ্‌যাপন করার জন্য মেয়ে-জামাইসহ আত্মীয়দের নিমন্ত্রণ করে নতুন চালের পিঠা ও পায়েস রান্না করে ধুমধামের সঙ্গে ভূরিভোজের আয়োজন করা হয়। গ্রামের বধূরা অপেক্ষা করেন বাপের বাড়িতে নাইওরে গিয়ে নবান্ন যাপনের জন্য। পিঠা, পায়েস, মুড়ি-মুড়কি আর নতুন চালের ভাতের সুগন্ধে ভরে ওঠে মন।

    কার্তিক মাসের শুরু থেকেই দেশের বিস্তীর্ণ জনপদে ধান কাটা শুরু হয়ে যায়। এ সময়ে কোনো বাড়িতে দেখা যায় ঢেঁকিতে চাল কোটা হচ্ছে পিঠার জন্য, কোনো বাড়িতে তৈরি হচ্ছে পায়েস। ধর্মাচারের অঙ্গ হিসেবে বাঙালি হিন্দু সম্প্রদায়ের কৃত্য, প্রথা ও নানা রীতিতে নতুন অন্ন পিতৃপুরুষ, দেবতা, কাক ইত্যাদিকে উৎসর্গ এবং আত্মীয়স্বজনকে পরিবেশন করার পরেই গৃহকর্তা ও পরিবারবর্গ নতুন গুড়ে রান্নাসহ নতুন অন্ন গ্রহণ করে থাকেন। বিশেষ লৌকিক প্রথা অনুযায়ী নতুন চালের তৈরি খাদ্যসামগ্রী কাককে নিবেদন করা নবান্নের একটি অঙ্গ। প্রচলিত বিশ্বাস হচ্ছে, কাকের মাধ্যমে ওই খাদ্য মৃত ব্যক্তির আত্মার কাছে পৌঁছে যায়।

    কাকের উদ্দেশ্যে দেওয়া নৈবেদ্যকে বলে ‘কাকবলী’। অতীতে পৌষসংক্রান্তির দিনও গৃহদেবতাকে নবান্ন নিবেদন করার প্রথা ছিল। বিশ্বাস করা হয়ে থাকে, নতুন ধান উৎপাদনের সময় পিতৃপুরুষ অন্ন প্রার্থনা করে থাকেন। এ কারণেই পার্বণ কৃত্য অনুযায়ী নবান্নে শ্রাদ্ধানুষ্ঠানও করা হয়ে থাকে কোথাও কোথাও। তবে এসব প্রাচীন প্রথা এখন আর খুব একটা দেখা যায় না।

    মোঃ মোজাম্মেল হক
    চারঘাট, রাজশাহী।