পাইকগাছা (খুলনা) প্রতিনিধি \
পাইকগাছায় ওয়াশ সিস্টেমস ফর হেলথ প্রকল্পের প্রকল্প অবহিতকরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। দাতা সংস্থা ওয়াটার এইড এর আর্থিক সহযোগিতায় উন্নয়ন সংস্থা নবলোক প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে। বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে নবলোকের নির্বাহী পরিচালক কাজী রাজিব ইকবাল এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত অবহিতকরণ সভায় উপস্থিত ছিলেন, ওসি (অপারেশন) রঞ্জন কুমার গাইন, উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ অসীম কুমার দাশ, উপজেলা প্রকৌশলী শাফিন শোয়েব, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার শাহজাহান আলী শেখ, শিক্ষা অফিসার বিদ্যুৎ রঞ্জন সাহা, মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা রেশমা আক্তার, সহকারী যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা জিএম বাবলুর রহমান, পৌর নির্বাহী কর্মকর্তা লালু সরদার, নির্বাহী প্রকৌশলী নূর আহম্মদ, প্রাক্তন অধ্যাপক জিএমএম আজাহারুল ইসলাম সহ ওয়াটার এইড, নবলোক, এসএমভি, হেলভেটাস, ডিএসকে সহ বিভিন্ন এনজিও প্রতিনিধি, ইউনিয়ন পরিষদের সচিব, জনপ্রতিনিধি ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
Category: Uncategorized
-

পাইকগাছায় ওয়াশ সিস্টেমস ফর হেলথ প্রকল্পের অবহিতকরণ সভা অনুষ্ঠিত
-

বাজার সিন্ডিকেট বেপরোয়া, বেড়েই চলছে নিত্যপণ্যের দাম
মোঃ হায়দার আলীঃ যেখানে রাজনীতি বা অর্থনীতি, সেখানে নৈতিকতা নেই’, কথাটি বলেছেন কার্ল উইলহেম ফ্রেডরিক শ্লেগেল। বাস্তবতা দেখে মনে হয়, এই কথাটা শ্লেগেল সম্ভবত বাংলাদেশের জন্যই বলেছিলেন। আমাদের দেশের অর্থনীতিতে নৈতিকতা বলতে কিচ্ছু নেই। কৃষক ঠকছে, ঠকছে সাধারণ মানুষ। বড় বড় কোম্পানি ও আড়তদারদের কাছে জিম্মি হয়ে আছে সবাই। কোনো সরকারই যেন অদৃশ্য দেয়াল ভেদ করে এদের কাছে যেতে পারছে না।
আওয়ামী লীগের শাসনামলে সাধারণ মানুষের একটা বড় অভিযোগ ছিল সবজি ও অন্যান্য নিত্যপণ্যের মূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ে। দাম সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে চলে গিয়েছিল। নিন্মবিত্ত ও শ্রমিকশ্রেণীর মানুষেরা বড় রকমের বিপদে পড়ে গিয়েছিল। আমরা ইতিহাস থেকে জানি, নিন্মশ্রেণী ও শ্রমিকশ্রেণীর মানুষের দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেলে বিপ্লবের সূচনা হয়। প্রতিটা বিপ্লবের সফলতার দাবিদার হলো এই দুই শ্রেণী। তবে বাস্তবতা হলো, আন্দোলন সফল হওয়ার আগেও এদের যে অবস্থা থাকে, পরেও তাদের অবস্থার পরিবর্তন হয় না। বাজার নিয়ন্ত্রণ বলে অর্থনীতিতে একটি কথা থাকলেও সেটা আমাদের দেশে যেন অনুপস্থিত। যেভাবে পারছে দাম বাড়াচ্ছে দেখার যেন কেউ নেই। ক্রেতা সাধারণ পড়ছে মহাবিপদে। অতি মুনাফাখোর ব্যবসায়ীদের তৎপরতা রয়েছে বাজারে। অসাধু ব্যবসায়ীদের এই বাজার সিন্ডিকেটের কাছে জিম্মি হয়ে পড়ছে দেশের সাধারণ মানুষ। এ সিন্ডিকেট সব সময় ক্ষমতাধর। তারকে কোন সরকার যেন দমাতে পারছেন না। তাদের খঁটির জোর কোথায়?
দাম নিয়ন্ত্রণ করে বাজারকে সহনীয় পর্যায়ে আনার সরকারি চেষ্টায় কমতি নেই। সয়াবিন, পাম তেল, বেগুন, করলা, ফুলকপি, শিমসহ বিভিন্ন পণ্যের মূসক কমানো, ডিমসহ কিছু পণ্যের দাম ধরে দেয়া ইত্যাদি পদক্ষেপের একমাত্র টার্গেট বাজার নিয়ন্ত্রণ। অভিযানসহ নিয়ন্ত্রণমূলক আরো কিছু কাজও চলছে। কিন্তু, কাঙ্খিত ফল মিলছে না। বিশ্বে বাংলাদেশই এখন একটি দেশ, যেখানে প্রশাসনের চেয়েও সিন্ডিকেট শক্তিমান। চাল- তেল-ডিম-মাছ-সবজি এমন কি কচুর লতি-চ্যাপা শুঁটকিতেও সিন্ডিকেট। শ্রম বাজার, পরিবহন জগতেও সিন্ডিকেটের নাটাই। তা মাদকের কেনাবেচায়ও। এ থেকে মুক্তির কি উপায় নেই?
বাজারে গিয়ে মানুষ দিশাহারা। চড়া দামের জন্য বাজারে যাওয়া যাচ্ছে না। চাল, চিনি, পেঁয়াজ, তেল, আলু, সবজিসহ সবকিছু সিন্ডিকেটের নিয়ন্ত্রণে চলে গেছে। রাষ্ট্র সংস্কারের সমান্তরালে এই সিন্ডিকেট দমনও জরুরি। বাজার সিন্ডিকেট ভেঙে দেওয়া ও তাদের শাস্তির আওতায় আনার বিকল্প নেই। এরই মধ্যে চক্রটি বুঝিয়ে দিয়েছে, এরা দমবে না।
সাধারণ মানুষের জীবনযাপনের মৌলিক ও প্রধানতম উপকরণ হচ্ছে নিত্য খাদ্যপণ্য। এই খাদ্যপণ্যের মূল্য যখন ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে যায়, তখন জনরোষের সাথে দুর্বিষহ পরিস্থিতির সৃষ্টি না হয়ে পারে না। সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ-টিসিবি হিসাবে, এক সপ্তাহে, অর্থাৎ ৭ থেকে ১৪ অক্টোবরের মধ্যে ১২টি নিত্যপণ্যের দাম বেড়েছে। এ তালিকায় রয়েছে সয়াবিন তেল, পাম তেল, চালের কুঁড়ার তেল বা রাইস ব্র্যান অয়েল, আলু, ছোলা, পেঁয়াজ, রসুন, জিরা, দারুচিনি, ধনে, গরুর গোশত ও ডিম।
এ সরকারও মুক্তবাজার অর্থনীতির চর্চা করছে। এই ব্যবস্থায় ব্যবসা-বাণিজ্যে প্রতিযোগিতার মাধ্যমে অর্থনীতিতে গতিসঞ্চার এবং ভোক্তাসহ সব পক্ষের স্বার্থ রক্ষার কথা। কিন্তু, বাস্তবতা বড় নিষ্ঠুর। বেশ কিছু পণ্যের সরবরাহে ঘাটতি না থাকলেও সিন্ডিকেট সদস্যরা তাদের ক্রিয়াকর্ম ঠিকই কার্যকর করে ছাড়ছে। ভোক্তাদের কথা মাথায় রেখে গত ১৫ সেপ্টেম্বর মুরগি ও ডিমের দাম নির্ধারণ করে দেয় সরকার। কিন্তু তার বাস্তব প্রয়োগ ঘটছে না বাজারে। দফায় দফায় দামের ডিগবাজিতে হতভম্ব ক্রেতা সাধারণ। সেই অস্থিরতা কাটাতে এবার নতুন উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। কৃষি বিপণন অধিদপ্তর, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর ও পোল্ট্রি স্টেকহোল্ডাররা একত্রে বসে ডিমের যৌক্তিক উৎপাদন খরচসহ উৎপাদক, পাইকারি ও খুচরা পর্যায়ে ডিমের মূল্য নির্ধারণ করেছে।
একটি কুচক্রীমহল অতিরিক্ত মুনাফা লোটার চেষ্টা করলে ডিমের বাজারে অস্থিরতা দেখা দেয়। দেশ ও মানুষের বৃহত্তর স্বার্থে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবং মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে একাত্ম হয়ে পোল্ট্রি শিল্পের কেন্দ্রীয় সংগঠন ‘বিপিআইসিসি’ ১৫ দিনের যে বিশেষ কার্যক্রম হাতে নিয়েছে তাতে খামার থেকে প্রতিটি ডিম ১০ টাকা ৫৮ পয়সা, পাইকারিতে ১১ টাকা ১ পয়সা এবং খুচরা পর্যায়ে ১২ টাকায় পাওয়া যাবে বলে জানানো হয়। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়, কৃষি মন্ত্রণালয়, সরকারের বাজার তদারকি সংস্থা, ডিম উৎপাদনকারী বড় খামারি ও পাইকারি আড়ৎদারদের সম্মিলিত প্রচেষ্টা এ উদ্যোগকে সফল করবে বলে আশা করা হচ্ছিল। উল্লেখ্য, ডিমের দাম ইতোমধ্যে কিছুটা কমেছে। অন্যান্য পণ্যের দাম বাড়তির দিকে। এমতাবস্থায়, আর কী করতে পারে সরকার প্রশ্নটি এসে যাচ্ছে আপনা আপনি। পাল্টা প্রশ্ন আসছে সরকার কী তাহলে ব্যর্থ? না, তা মোটেই ভাবা যায় না। এ সরকার ব্যর্থ হলে আশা-ভরসার আর জায়গা থাকে না। এমন কি দেশের কী পরিস্থিতি হবে- তা ভাবনায়ও কুলানোর মতো নয়। বাজার সিন্ডিকেট ভাঙতে সবার সহযোগিতা চাওয়ার পাশাপাশি হুঙ্কার দিয়েছেন কোটা আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক, শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। বলেছেন, ‘তাদের দৌরাত্ম্য আমরা ভাঙব’। কামনা থাকবে, এ হুমকি-হুঁশিয়ারিকে সফল করবেন তিনি এবং সরকার। এসব সিন্ডিকেট প্রতিদিন ‘নতুন নতুন পদ্ধতি’ আবিষ্কার করে বলে মন্তব্যও করেছেন এই উপদেষ্টা।
রোগ যখন ধরতে পেরেছেন, সেইদৃষ্টে এখন ওষুধ প্রয়োগের অপেক্ষা। হোক তা মেডিসিন বা সার্জিকেল। বলতেই হয়, মেডিসিন বা ডাকদোহাইর ঝাড়ফুঁকে এরা দমবে না। কেস একদম সার্জিকেল। সার্জনের ভূমিকায় যেতেই হবে সরকারকে। বাজার নিয়ন্ত্রণে টিসিবির মাধ্যমে খোলাবাজারে পণ্য বিপণন, বাজার মনিটরিং ইত্যাদি যথাযথভাবে বাস্তবায়ন করতেই হবে। পেছনে তাকানোর কোনো সুযোগ নেই। কোনো অজুহাত বা কাউকে দায়ী করারও আর অবকাশ নেই। মানুষ এসব শুনতে চায় না। তারা চায় অ্যাকশন।
অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদের বক্তব্যেও তা স্পষ্ট। সম্ভবত পাবলিক পাল্স ধরতে পেরেছেন এই অর্থনীতিবিদ ও অ্যাকাডেমিশিয়ান। তিনি বলেছেন, বাজারে ডিমসহ বিভিন্ন পণ্যের অতিরিক্ত দামের জন্য সিন্ডিকেটের কথা বলে পার পাওয়া যাবে না। এরা নিশ্চয়ই সরকারের চেয়ে শক্তিশালী নয়। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমম্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহও রোগ ধরে বলেছেন, কারওয়ান বাজারে ডিম ট্রাকে থাকা অবস্থাতেই চারবার হাতবদল হয়। এখন পর্যন্ত এই সরকার কোনো সিন্ডিকেট ভাঙতে পারেনি। শুধু সিন্ডিকেটের সাইনবোর্ড পরিবর্তন হয়েছে। সিন্ডিকেট ভেঙে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ না করতে পারলে এই অভ্যুত্থানের প্রাথমিক মাহাত্ম্য কী?
ছাত্র আন্দোলনের আরেক সমন্বয়ক রাসেল আহমেদ বলেছেন, ‘গত ১৫ বছর ধরে ফ্যাসিবাদের দোসর লুটেরা ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট তৈরি করেছে। তারাই এখন অন্তর্বর্তী সরকারকে বিপদে ফেলতে কোনও কারণ ছাড়াই নিত্যপণ্যের দাম বাড়িয়ে দিচ্ছে। অবিলম্বে সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্য বন্ধে প্রশাসনকে কঠোর হতে হবে।’ পরিবহন খাতে চাঁদাবাজির জন্য নয়; নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে বিগত সরকারের আমলের ন্যায় বর্তমানেও বহাল তবিয়তে থাকা সিন্ডিকেটের কারণে। এই সিন্ডিকেট নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম মনগড়া বৃদ্ধি করছে। এতে বিপাকে পড়ছেন ভোক্তারা।
এখন পরিবহন খাতে চাঁদাবাজি হচ্ছে না। পুলিশ, শ্রমিক নেতা কিংবা দলীয় কোনো পারপাসে চাঁদাবাজি নেই। ট্রাক ভাড়াও আগের চেয়ে কমেছে। তারপরও নিত্যপণ্যের দাম বাড়তে থাকার কারসাজি একদম না বোঝার বিষয় নয়। বিগত সরকারের আমলে বড় বড় যে সকল সিন্ডিকেট ছিল, তারা এখনো রয়েছে। আর তাদের মনগড়া সিদ্ধান্তের কারণেই নিত্যপণ্যের দাম দিনকে দিন বাড়ছে। তবে, কি বাজার সিন্ডিকেট ভাঙতে ছাত্র-জনতাকে আবারো সক্রিয় হতে হবে? সরকার পতনের পর ছাত্ররা যেভাবে বাজার তদারকি করেছিল, সেটি আবারো নিয়মিত করতে হবে?
বলার অপেক্ষা রাখছে না, গণঅভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতন হলেও বাজার সিন্ডিকেটবাজ ও চাঁদাবাজদের পতন হয়নি। নিত্যপণ্যকে সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে নিয়ে যেতে যারপরনাই সক্ষমতা দেখিয়েই চলছে তারা। সরকারের এখন পর্যন্ত কার্যক্রম ঘুরছে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের চেষ্টায়। দমনের কার্যকর পদক্ষেপ এখনো নেয়া হয়নি। সরকার বিভিন্ন সংস্কারের জন্য কমিশন করেছে। কিন্তু এখন সবচেয়ে বড় সমস্যা নিত্যপণ্যের দামে আগুন নেভানোর কোনো কমিশন করেনি। সরবরাহ বৃদ্ধিতে আমদানির অনিয়ম দূর করতে দেশে একটি কমিশন কিন্তু আছে। প্রতিযোগিতা কমিশন নামের কমিশনটির কাজ হচ্ছে বাজারে প্রতিযোগিতার ক্ষেত্রে বিরূপ প্রভাব সৃষ্টিকারী রীতি-নীতি নির্মূল করার পাশাপাশি প্রতিযোগিতা উৎসাহিত করা। ব্যবসা-বাণিজ্যের স্বাধীনতা নিশ্চিত করাও তাদের কাজ। এই পরিস্থিতিতে কমিশনটিকে কাজে লাগানো যেতে পারে। বাজারে কোথায় ও কীভাবে প্রতিযোগিতা বিনষ্ট হচ্ছে বা একচেটিয়া তৈরি হচ্ছে, তা চিহ্নিত করে আইনি উদ্যোগ নিতে পারে এই কমিশন।
তারা ব্যবসায়ীদের জবাবদিহির আওতায় আনতে পারে। বাড়তি দামে বাজারে ভোক্তার রীতিমতো বোবাকান্না চলছে। এরই মধ্যে মার্চে শুরু হচ্ছে রমজান। আর এই মাসকে ঘিরে এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। কারসাজি করে রমজাননির্ভর পণ্যে বাড়তি মুনাফা করতে থাবা বসিয়েছে। সিন্ডিকেট করে ৪ মাস আগ থেকেই বাড়াচ্ছে দাম। এমন পরিস্থিতিতে এখন থেকেই এক প্রকার বিচলিত সরকার।
সূত্র জানায়, এবারের সরকার অরাজনৈতিক সরকার। স্বল্প পরিসরে উপদেষ্টা দিয়ে দেশ পরিচালনা করা হচ্ছে। এতে সিন্ডিকেট আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। ধারণা করা হচ্ছে রোজায় পণ্যের দাম আরও বাড়বে। তাই পণ্যের দাম কমাতে সরকার কঠোর অবস্থানে না গিয়ে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে সমঝোতার দিকে হাঁটছে। বাজার তদারকিতে হুমকি-ধমকি ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে দিয়ে বাজার মনিটরিংয়ে এক প্রকার পিছু হটার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বড় কয়েক আমদানিকারকের সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে বাজার নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই তিনটি কাজ করতে গিয়ে নীতিনির্ধারকরা দেখবেন-বাজারে পণ্যের দাম যৌক্তিক নাকি অযৌক্তিক পর্যায়ে আছে। পাশাপাশি বাজারে হস্তক্ষেপ করা দরকার আছে কিনা, তা বিশ্লেষণ করে বের করবেন। এতেও যদি পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হয়, তাহলে কঠোর অবস্থানে গিয়ে বাজার নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করা হবে।
এছাড়া পণ্যের দাম সহনীয় করতে কঠোরতায় না গিয়ে সরকার ব্যবসায়ীদের নানা ধরনের সুবিধা দিচ্ছে। পণ্য আমদানিতে এলসি মার্জিন উঠিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করছে। ব্যাংক থেকে যে কোনো পরিমাণ ঋণ নিয়ে ব্যবসায়ীরা পণ্য আমদানি করতে পারবেন। এজন্য পর্যাপ্ত ডলার সরবরাহও নিশ্চিত করা হচ্ছে। তাছাড়া ইতোমধ্যে কিছু পণ্যে আমদানিতে শুল্ক কমানো ও শূন্য শুল্ক সুবিধাও দেওয়া হয়েছে। এতে আমদানি খরচ কমলেও বাজারে দাম কমছে না। সরকারের দেওয়া এসব সুবিধা চলে যাচ্ছে ব্যবসায়ীদের পকেটে।
এদিকে বাজারে শৃঙ্খলা ফেরাতে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরসহ বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের টাস্কফোর্স অভিযান পরিচালনা করছে। ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে পণ্য বিক্রি কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। ভর্তুকি মূল্যে বিক্রি করা হচ্ছে কৃষি পণ্য। এর মধ্যেও রোজা শুরুর কয়েক মাস আগেই সিন্ডিকেটের কারসাজিতে রোজা নির্ধারিত পণ্যের দাম বাড়তে শুরু করেছে। খুচরা বাজারের বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, খুচরা পর্যায়ে প্রতি কেজি ছোলা মানভেদে বিক্রি হচ্ছে ১৩০-১৪০ টাকা। যা সাত দিন আগে বিক্রি হয়েছে ১২৫-১৩০ টাকা। সপ্তাহের ব্যবধানে এই পণ্যটির দাম বেড়েছে ৫-১০ টাকা।
পাশাপাশি ৭ দিনের ব্যবধানে সব ধরনের ভোজ্যতেলের দাম বেড়েছে। বিক্রেতারা জানান, প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন বিক্রি হচ্ছে ১৬৫ টাকা। যা ৭ দিন আগেও ১৬০ টাকা ছিল। বোতলজাত প্রতি লিটার সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ১৬৭-১৭০ টাকা। যা এক সপ্তাহ আগেও ১৬৫-১৭০ টাকা ছিল। এছাড়া দুই লিটারের বোতলজাত সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ৩৪০ টাকা। যা ৭ দিন আগেও ৩৩৫ টাকা ছিল। পাশাপাশি খোলা পাম তেল বিক্রি হচ্ছে ১৫৬ টাকা। যা এক সপ্তাহ আগেও ১৫০ টাকা ছিল। আর পাম অয়েল সুপার বিক্রি হচ্ছে লিটারপ্রতি ১৬০ টাকা। যা আগে ১৫৪ টাকা ছিল।
এছাড়া খুচরা পর্যায়ে প্রতি লিটার বোতলজাত রাইসব্রান তেল বিক্রি হচ্ছে ২০০-২১০ টাকা। যা এক সপ্তাহ আগে লিটারপ্রতি বিক্রি হয়েছে ১৮৫-১৯৫ টাকা। সঙ্গে পাঁচ লিটারের বোতলজাত রাইসব্রান তেল বিক্রি হচ্ছে ৯৮০-১০৫০ টাকা। যা ৭ দিন আগেও ৮৮০-৯২০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।
শুধু জেলা পর্যায়ে নয়, উপজেলা পর্যায়েও টাস্কফোর্স কমিটি ব্যাপকভাবে বাজার মনিটরিং করছে। পাশাপাশি ভ্রাম্যমাণ আদালতও পরিচালনা করছে জেলা প্রশাসন। বর্তমান সরকারের নির্দেশনা-যে কোনো মূল্যে সিন্ডিকেট ভেঙে দ্রব্যমূল্য স্বাভাবিক পর্যায়ে নিয়ে আসা। টাস্কফোর্সের সদস্যরা প্রতিদিনই বিভিন্ন বাজার মনিটরিং করছেন। তারা এখনো সর্বোচ্চ কঠোরতা দেখাচ্ছেন না। দাম অস্বাভাবিক অবস্থা থেকে স্বাভাবিকে না এলে আগামী দিনগুলোতে টাস্কফোর্স আরও কঠোরভাবে আইন প্রয়োগ করবে। প্রয়োজনে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সিলগালা করে দেবে।
আমদানি হওয়ার পরও বাজারে পেঁয়াজের দাম আবার বেড়েছে। আমদানিকারকরা কোনো কারণ ছাড়াই পেঁয়াজের দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন। এক সপ্তাহের ব্যবধানে নগরীর খুচরা বাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজ ১০ থেকে ১৫ টাকা বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। দেশি পেঁয়াজ প্রতি কেজি মানভেদে ১৩০ থেকে ১৪০ টাকায় এবং আমদানি করা পেঁয়াজ মানভেদে ১২০ থেকে ১২৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পাইকারি বাজারে দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১২৫ টাকার বেশি দামে। আমদানি করা পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১১০ টাকা থেকে ১১৫ টাকা দরে। তবে মানভেদে ৫ টাকা কমবেশি রয়েছে।
পেঁয়াজের মতো আলুর দামও বেড়েছে। রিয়াজউদ্দিন বাজারে গুদামভর্তি আলু থাকার পরও বেড়েছে দাম। খুচরা বাজারে আলু বিক্রি হচ্ছে ৬৫ থেকে ৭০ টাকায়। অথচ গত সপ্তাহে আলুর দাম ছিল ৫৫ থেকে ৬০ টাকা। আলুর সরবরাহ স্বাভাবিক রয়েছে। এছাড়া আলু আমদানিতে শুল্ক-কর সম্পূর্ণ প্রত্যাহার করা হয়েছে। কিন্তু আলুর বাজারে শক্তিশালী সিন্ডিকেট থাকায় দাম কমছে না।
মনে রাখতে হবে, ছাত্র-জনতা বিপ্লবের মাধ্যমে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার মসনদ তছনছ করে দিয়ে তাকে দেশছাড়া করেছে, সেখানে দায়িত্বশীলরা কেন ফ্যাসিস্টের অনুসারী বাজার সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ করতে পারছেন না? কেন তারা বিপ্লবী চেতনায় নিজেদের উজ্জীবিত করতে পারছেন না? সবাইকে মনে রাখা উচিত, এ সরকার গণঅভ্যুত্থানের ফসল এবং জনগণের আশা-আকাক্সক্ষার কেন্দ্রবিন্দু। বিপ্লবের যে প্রত্যাশা, তা সকলে এক হয়েই পূরণ করতে হবে।
কিছু অসাধু ব্যবসায়ী অধিক মুনাফা লাভের আশায় নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম বাড়িয়ে দেন। এটি সামাজিক, ধর্মীয় বা নৈতিকভাবে সমর্থনযোগ্য নয়। নিত্যপণ্যের দাম কমাতে সরকারের পক্ষ থেকে সব ধরনের কঠোর ও শাস্তিযোগ্যরউদ্যোগ নিতে হবে। তা ছাড়া সিন্ডিকেট ভাঙ্গা যাবে না।
-

র্যাব-১২ এবং র্যাব-১০ এর যৌথ অভিযানে প্রতারক শাহিদ শেখ ও নরুল হুদা’কে ফরিদপুর হতে গ্রেফতার
প্রেস বিজ্ঞপ্তি
র্যাব-১২ এবং র্যাব-১০ এর যৌথ অভিযানে সিরাজগঞ্জ জেলায় ‘পল্লী ফাউন্ডেশন’ নামক একটি ভুয়া এনজিও প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার ঘটনার প্রধান আসামি প্রতারক শাহিদ শেখ @ নরুল হুদা’কে ফরিদপুর হতে গ্রেফতার।
র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) প্রতিষ্ঠাকালীন সময় থেকেই দেশের সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সমুন্নত রাখার লক্ষ্যে সব ধরনের অপরাধীকে আইনের আওতায় নিয়ে আসার ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। জঙ্গী, সন্ত্রাসী, সংঘবদ্ধ অপরাধী, ছিনতাইকারী, জুয়ারি, মাদক ব্যবসায়ী, খুন এবং অপহরণসহ বিভিন্ন চাঞ্চল্যকর মামলার আসামি গ্রেফতারে র্যাব নিয়মিত অভিযান চালিয়ে আসছে।
১।গত ১৬ মে ২০২৪ খ্রিঃ তারিখ বেলা অনুমানিক ১২:৩০ ঘটিকায় ১। শাহিদ শেখ (৪৮) এবং ২। কবির শেখ (৪৫)সহ অজ্ঞাতনামা আরও ৫/৬ জন প্রতারক সিরাজগঞ্জ জেলার বেলকুচি থানাধীন মুকুন্দগাঁতী সাকিনস্থ রং শাকিল এর বসতবাড়ী ভাড়া গ্রহণ করে “পল্লী ফাউন্ডেশন” নামক একটি ভুয়া এনজিও খুলে। পরবর্তীতে প্রতারকচক্রটি শাহ আলম প্রামানিককে ঋণ প্রদান করবে মর্মে তার বসতবাড়ীতে গিয়ে তার নিকট থেকে ২০,১০০/- টাকা গ্রহণ করে এবং তাকে ২,০০,০০০/- টাকা ঋণ প্রদান করবে মর্মে জানায়। তারা একই এলাকায় হাফিজুল ইসলাম, ১০,৫০০/- টাকা, ফরিদুল ইসলাম ২০,১০০/- টাকা, আলমগীর ৩৩,২০০/- টাকাসহ আরো অনেকের কাছ থেকে সর্ব মোট ২,৩৫,৯০০/- টাকা গ্রহণ করে। এছাড়াও আরও অনেক এলাকা হতে প্রতারনা করে প্রায় কোটি টাকা গ্রহণ করে। গত ২০ মে ২০২৪ খ্রিঃ তারিখ সকাল অনুমানিক ০৯:০০ ঘটিকায় শাহ আলম প্রামানিক উক্ত আসামিদ্বয়ের নাম্বারে ফোন করলে তাদের নাম্বার বন্ধ পায় এবং ভাড়া বাসাটি তালাবদ্ধ অবস্থায় দেখতে পায়। তখন সে আশপাশের লোকজনদের আসামিদের বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে তারা কোন কিছু বলতে পারে না। উক্ত ঘটনায় অত্র এলাকার অনেক সাধারণ মানুষ আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়। উক্ত ঘটনায় ভুক্তভোগী শাহ আলম প্রামাণিক বাদী হয়ে বেলকুচি থানায় একটি প্রতারণা মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং-০৪, তারিখ-০৫/০৭/২০২৪ খ্রিঃ, ধারা-৪০৬/৪২০ দন্ড বিধি ১৮৬০। উল্লিখিত ঘটনাটি গত ০৫ জুলাই ২০২৪ খ্রিঃ তারিখে বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত হয় এবং বর্ণিত এলাকায় বাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।
২।এরই ধারাবাহিকতায় মোঃ কামরুজ্জামান পিপিএম, অধিনায়ক, র্যাব-১২, সিরাজগঞ্জ এর দিকনির্দেশনায় গত ১৩ নভেম্বর ২০২৪ খ্রি. বিকাল ০৪.০০ ঘটিকার সময় র্যাব সদর দপ্তরের গোয়েন্দা শাখার সহযোগিতায় র্যাব-১২, সদর কোম্পানি সিরাজগঞ্জ এবং র্যাব-১০, সিপিসি-৩ ফরিদপুর এর একটি চৌকস আভিযানিক দল ‘‘ফরিদপুর জেলার আলফাডাঙ্গা থানাধীন কুচিয়াগ্রাম বটতলা এলাকায়” একটি যৌথ অভিযান পরিচালনা করে সিরাজগঞ্জ জেলার বেলকুচি থানাধীন মুকুন্দগাতি এলাকার পল্লী ফাউন্ডেশন নামক ভুয়া এনজিও প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার ঘটনার প্রধান আসামি শাহিদ শেখ @নরুল হুদা’কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। এছাড়াও তার সাথে থাকা ০১টি মোবাইল ফোন ও নগদ ৫০০/- টাকা জব্দ করা হয়।
৩। গ্রেফতারকৃত আসামি মোঃ শাহীন শেখ @ নুরুল হুদা (৪৮), পিতা- মৃত ইউনুস সরদার, সাং- মুকুন্দগাতী (পল্লি ফাউন্ডেশন), থানা- বেলকুচি, জেলা- সিরাজগঞ্জ, স্থায়ী ঠিকানা- নওয়াপাড়া, ০৪ নং ওয়ার্ড, থানা- আলফাডাঙ্গা, জেলা- ফরিদপুর।
৪। গ্রেফতারকৃত আসামিকে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সিরাজগঞ্জ জেলার বেলকুচি থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
-

রাজশাহী-১ আসনে শরিফ উদ্দিনকে নিয়ে ঐক্যবদ্ধ বিএনপি
আলিফ হোসেন, তানোরঃ
রাজশাহী-১ (তানোর-গোদাগাড়ী) ভিআইপি এই সংসদীয় আসন অনেকের টার্গেট। ইতোমধ্যে আগামি জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে বিএনপির দলীয় মনোনয়ন পেতে এরই মধ্যে কেউ কেউ দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছেন। তবে এখানে মেজর জেনারেল (অবঃ) শরিফ উদ্দিনকে সহযোগিতা করার জন্য
বিএনপির নীতিনির্ধারণী মহল থেকে নেতাকর্মীদের বার্তা দেয়া হয়েছে নেতাকর্মীদের মুখে মুখে এমন আলোচনা রয়েছে। এদিকে এমন আলোচনার খবর ছড়িয়ে পড়লে বিএনপির রাজনীতিতে নয়া সমীকরণের সুত্রপাত হয়েছে। ফলে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার(সাবেক)সামরিক সচিব ও রাজনৈতিক উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য মেজর জেনারেল (অবঃ) শরিফ উদ্দিনকে নিয়ে বিএনপি ঐক্যবদ্ধ হয়ে মাঠ গোছানো শুরু করেছে। এতে তৃণমুলে পচ্ছন্দের শীর্ষে উঠে এসেছে মেজর জেনারেল (অবঃ) শরিফ উদ্দিন।
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে,
ইতিমধ্যে মনোনয়ন প্রত্যাশী কেউ কেউ খেলাধুলা, তাফসির মাহফিল এবং সামাজিক কর্মসুচির মাধ্যমে তৃণমূল নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের মনোযোগ আর্কষণের চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়ে দলের নীতিনির্ধারণী মহলের সঙ্গে যোগাযোগ বৃদ্ধির জন্য নানা কৌশল খুঁজে বের করার চেষ্টায় মরিয়া হয়ে উঠেছে। আবার কেউ টাকা ছড়িয়ে নেতা ও কর্মী-সমর্থকদের কাছে টানতে প্রাণপন চেষ্টা করছে। কিন্ত্ত বিএনপির আদর্শিক এবং মুল ধারার নেতা ও কর্মী-সমর্থকদের কাছে থেকে তেমন কোনো সাড়া না পেয়ে তারা রণে ভঙ্গ দিয়ে মাঠ ছাড়তে বাধ্য হয়েছে বলে একাধিক সুত্র নিশ্চিত করেছে।
জানা গেছে, রাজশাহী অঞ্চলে বিএনপির আদর্শিক রাজনীতি ও নেতৃত্বে বিএনপির ভাইস-চেয়ারম্যান সাবেক ডাকমন্ত্রী প্রয়াত ব্যরিষ্টার আমিনুল হক পরিবারের কোনো বিকল্প নাই। আগামি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এখানে বিএনপির দলীয় মনোনয়ন পাচ্ছেন মেজর জেনারেল অবঃ শরিফ উদ্দিন এটা প্রায় নিশ্চিত।
স্থানীয় রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহলের অভিমত, মেজর জেনারেল অবঃ শরিফ উদ্দিনের মতো নেতৃত্বরা মনোনয়ন নেয় না, তাদের সুপারিশে দু’ চারজনের মনোনয়ন হয়। ফলে রাজনীতিতে নেতৃত্বের প্রতিযোগীতায় শরিফ উদ্দিনের মতো নেতৃত্বকে হারানো যায় না, তারা যেকোনো রাজনৈতিক দলের কাছেই বড় সম্পদ। ফলে শরিফ উদ্দিনের মতো নেতৃত্বের সঙ্গে প্রতিযোগীতার নামে বিরোধ নয় তাদের সঙ্গে সমঝোতা করে চলতে এবং শিখতে হয়।ঠান্ডা-শিতল ঘরের রাজনৈতিক কলাকৌশল। আর যাদের এসব বোঝার ক্ষমতা নাই তারাই রাজনীতি থেকে ছিটকে পড়ে অতল গহবরে হারিয়ে যায়।
তৃণমুলের ভাষ্য, বাংলাদেশে এখন মাঠে-ঘাটে বগী আওয়াজ দিয়ে বা ভাড়া করা লোক দিয়ে সমাবেশ করে রাজনীতি হয় না।এখন ঠান্ড ঘরে বসে গরম কফির কাপে চুমুক দিয়ে টেলিভিশনের পর্দায় ফর্মুলা ওয়ান দেখতে দেখতে রাজনীতি হয়। এবিষয়ে তানোর উপজেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক হযরত আলী মাষ্টার বলেন, দেশের সর্ব বৃহত গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল বিএনপি। তিনি বলেন,দলের মনোনয়ন যে কেউ চাইতেই পারে এটা স্বাভাবিক ঘটনা। তবে এখানে মেজর জেনারেল অবঃ শরিফ উদ্দিনের মনোনয়ন নিশ্চিত। তিনি আরো বলেন, আমরা তার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ বিএনপি মাঠ গোছানোর কাজ শুরু করেছি। -

পিরোজপুরের নেছারাবাদে সুন্দরবন রক্ষায় যুব ফোরাম গঠনে রুপান্তরের সভা অনুষ্ঠিত
নেছারাবাদ উপজেলা প্রতিনিধি//
প্লাস্টিক ও পলিথিন দূষণসহ সুন্দরবন সুরক্ষায় পিরোজপুরের নেছারাবাদে যুব ফোরাম গঠন করা হয়েছে। ১৪ নভেম্বর, রবিবার দুপুরে উপজেলার হলরুমে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা রূপান্তরের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত এক অবহিতকরণ সভায় যুব এ ফোরাম গঠন করা হয়।
সভায় সভাপতিত্ব করেন রুপান্তরের প্রকল্প সমন্বয়কারী সভাপতিত্ব করেন অনুপ রায়। উক্ত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নেছারাবাদ উপজেলার নির্বাহী অফিসার মনিরুজ্জামান। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা তথ্য সেবা কর্মকর্তা কামরুন নিপু।
প্রকল্পের প্রজেক্ট অফিসার সাহিদা বানু সোনিয়া আক্তারের সঞ্চালনায় আরো উপস্থিত ছিলেন, স্বরূপকাঠি প্রেসক্লাবের সাংগঠনিক সম্পাদক আনোয়ার হোসেন।
সভায় ‘প্লাস্টিক ও পলিথিন দূষণ বন্ধ করি, সুন্দরবন রক্ষা করি’ এ স্লোগানকে সামনে রেখে শাকিল মাহমুদ ও সূর্বনা আক্তারকে যৌথভাবে আহ্বায়ক করে ৩১ সদস্যের যুব ফোরাম গঠন করা হয়।
-

ময়মনসিংহে দৈনিক সংবাদ সারাবেলার প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন
মোঃ সেলিম মিয়া ময়মনসিংহ (ফুলবাড়ীয়া) প্রতিনিধি :
ময়মনসিংহে ঝমকালো আয়োজনে দৈনিক সংবাদ সারাবেলার সপ্তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন করা হয়েছে । ৭ম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও ৮ম বর্ষে পদার্পণ উপলক্ষে বৃহস্পতিবার দুপুর একটায় ময়মনসিংহ ব্যুরো অফিসের আয়োজনে শহরের অলকা নদী বাংলা কমপ্লেক্সের ৪র্থ তলায় বিভাগের সকল জেলা প্রতিনিধিদের নিয়ে শুভেচ্ছা বিনিময় ও কেক কাটা হয়। এ সময় সমকালের প্রতিনিধি কবীর উদ্দিন সরকার হারুন, একাত্তর টিভির নুরুজ্জামান, কালের কন্ঠের আব্দুল হালিম, আমাদের সময়ের আব্দুল সাত্তার, মানব জমিনের জেলা প্রতিনিধি এনায়েতুল রহমান, আজকের পত্রিকার সেলিম হোসাইন, সংবাদ সারাবেলার বিভাগীয় ব্যুরো প্রতিনিধি মো: আবুল কালাম, জামালপুর জেলা প্রতিনিধি মাসুদুর রহমান, ফুলবাড়ীয়া উপজেলা প্রতিনিধি মো: সেলিম মিয়া, হালুয়াঘাট প্রতিনিধি তরিকুল আশরাফী, সোনালী কন্ঠের মো: হুমায়ুন কবীর লুটাস সহ বিভিন্ন গণ্যমান্য ও সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন। বিভাগীয় প্রতিনিধি আবুল কালাম তার বক্তব্যে বলেন, কোনো করপোরেশনের স্বার্থ রক্ষা করার জন্য এই পত্রিকার জন্ম হয়নি। এটি একটি আদর্শিক পত্রিকা। আমরা ন্যায় প্রতিষ্ঠার জন্য দাঁড়িয়েছি । অন্যায়ের সঙ্গে কখনো আপস করতে শিখিনি, আপস করব না ইনশাল্লাহ। -

শহীদ আবু সাঈদের দুই ভাই চাকরী ছেড়ে দিলেন
স্টাফ রিপোর্টার:- নিরেন দাস
বসুন্ধরা গ্রুপের দেওয়া চাকরি ছেড়ে দিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদ আবু সাঈদের দুই ভাই এর আগে গতকাল মঙ্গলবার ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে ই-মেইলে এবং ডাকযোগে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে চাকরি থেকে অব্যাহতি নেওয়ার বিষয়টি অবগত করে তারা দুজন পত্র প্রেরণ করেন।
গত মাসের ৯ অক্টোবর আবু সাঈদের ভাই রমজান আলীকে বাংলাদেশ প্রতিদিনের রংপুর ব্যুরো অফিসের জ্যেষ্ঠ নির্বাহী এবং আরেক ভাই আবু হোসেনকে টিভি চ্যানেল নিউজ-২৪ এর রংপুর ব্যুরো অফিসের জ্যেষ্ঠ নির্বাহীর পদে নিয়োগ দেয় বসুন্ধরা গ্রুপ।
আবু হোসেন জানান, তারা দুই ভাই ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে চাকরি ছেড়ে দিয়েছেন। বিষয়টি অবগত করতে বসুন্ধরা গ্রুপের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে ই-মেইল এবং ডাকযোগে অব্যাহতিপত্র পাঠিয়েছেন।
তিনি বলেন, গত মাসে নিয়োগপত্র হাতে পাওয়ার পর থেকে অফিসে সময় দিতে পারিনি। সংসার নিয়ে ব্যস্ত থাকতে হয়। এখন অফিসে সময় না দিয়ে মাস শেষে বেতন নেওয়ার আমাদের কোনো ইচ্ছে নাই। এ কারণে আমরা চাকরি থেকে অব্যাহতি নিয়েছি।
এর আগে চাকরি থেকে অব্যাহতি নেওয়ার বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। রাত পৌনে ১০টার দিকে আবু হোসেন তার ফেসবুক আইডিতে অব্যাহতিপত্র এবং ডাকযোগে পাঠানো খামের ছবি পোস্ট করেন।
সেখানে আবু হোসেন লিখেছেন, সন্মানিত ফেসবুক বন্ধুসহ সকলের প্রতি সালাম আসসালামু আলাইকুম। আপনারা সবাই আল্লাহর রহমতে নিশ্চয় ভালো আছেন। আপনারা নিশ্চয় অবগত আছেন আমি ও আমার বড় ভাই রমজান আলীকে গত ১ মাস পূর্বে বসুন্ধরা গ্রুপের ইস্ট ওয়েস্ট মিডিয়ার বাংলাদেশ প্রতিদিন ও নিউজ ২৪ সিনিয়র এক্সিকিউটিভ অ্যাডমিন পদে নিয়োগ প্রদান করে। পারিবারিক ও ব্যক্তিগত সমস্যার থাকার কারণে আমরা দুই ভাই আমি মো. আবু হোসেন ও রমজান আলী বসুন্ধরা গ্রুপের নিয়োগকৃত কাজে যোগদান না করেই আমরা দুই ভাই উক্ত চাকুরি হতে অব্যহতি নিয়েছি। আমি মো. আবু হোসেন ও রমজান আলী আজকের পর থেকে বসুন্ধরা গ্রুপের সাথে কোনো সম্পর্ক বা চুক্তি নাই। আমি ও আমার পরিবারের জন্য সকলে দোয়া করবেন। ধন্যবাদ। -

শার্শার গোগায় বিএনপি নেতার নিজস্ব অর্থায়নে ২১৫ টি পরিবারের মাঝে চাল বিতরণ
আজিজুল ইসলামঃ যশোরের শার্শার গোগায় বিএনপি নেতা সুলতান আলী নিজস্ব অর্থায়নে ২১৫ জন সুবিধাবঞ্চিত পরিবারের মাঝে ২০ কেজি করে চাল বিতরণ করেছেন।
বৃহস্পতিবার(১৪ নভেম্বর) বিকালে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এ চাউল বিতরণের উদ্বোধন করেন ৫ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপি নেতা সুলতান আলি।
এ সময় ২১৫ জন সুবিধাবঞ্চিত পরিবারের মাঝে ২০ কেজি করে চাল বিতরণ করা হয়।
সুলতাল আলী বলেন,দীর্ঘ ১৭ বছর গোগা ইউনিয়নে বিএনপির নেতাকর্মিরা সুবিধা বঞ্চিত ছিলো। এখন সুসময় এসেছে। অনেকদিন থেকে ইচ্ছা ছিলো সুবিধা বঞ্চিতদের মাঝে কিছু করতে।নিজস্ব অর্থায়নে তাদের মাঝে চাউল দিতে পেরে খুব খুশি হয়েছি। সবার কাছে তার জন্য দোয়া কামনা করে বলেন এ চাউল বিতরন অব্যাহত থাকবে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন,গোগা ৫ নং ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম,সাবেক সভাপতি সোলাইমান হোসেন,প্রচার সম্পাদক শফিকুল ইসলাম,বিএনপি নেতা অজিয়ার রহমান,ইক্রামুল হোসেন,আব্দুল ওহাব সহ এলাকার গণ্যমন্য ব্যক্তিবর্গ।
-

ঝিকরগাছায় সামান্য ভুলে পানিতে ডুবে শিশুর মৃ-ত্যু
আজিজুল ইসলামঃ যশোরের ঝিকরগাছায় সামান্য ভুলের কারণে পানিতে ডুবে আয়ান হোসেন নামের দুই বছর বয়সী এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে, বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে পৌর সদরের ৫নং ওয়ার্ড কীর্তিপুর গ্রামে।
নিহত আয়ান ওই গ্রামের পিন্টু রহমানের ছেলে। পরিবার সুত্রে জানাগেছে, সকালে ঘুম থেকে উঠে আয়ান উঠানে রাজহাঁসের সাথে খেলা করছিলো । এসময় ওর মা পপি খাতুন ছেলেকে উঠানে খেলতে দেখে রান্না ঘরে রুটি বানাচ্ছিল। এরই ভেতর কোন এক সময়ে আয়ান রাজহাঁস তাড়াতে তাড়াতে বাড়ির পিছনের ডুবার ধারে যায়। এবং ডোবায় পড়ে গিয়ে মারা যায় আয়ান। পরে খোঁজাখুজির এক পর্যায়ে ডোবায় তার লাশ ভেসে উঠতে দেখে স্থানীয়রা আয়ানের মা বাবাকে জানায়। পরে ডোবা থেকে আয়ানের লাশ উদ্ধার করা হয়।
আয়ানের বাড়িতে এখন শোকের মাতম চলছে।
-

নলছিটিতে ইঁদুর মারা ওষুধ খেয়ে দুই চাচাতো ভাই বোনের মৃ-ত্যু
ঝালকাঠি প্রতিনিধিঃ মোঃ নাঈম মল্লিক
ঝালকাঠির নলছিটিতে ইঁদুর মারার ওষুধ খেয়ে লামিয়া আক্তার(৪) ও রমজান হাওলাদার(৩) নামে দুই চাচাতো ভাই বোনের মৃত্যু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর )রাতে অসুস্থ অবস্থায় বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তাদের মৃত্যু হয়।বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নলছিটি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুস সালাম।
নিহতরা হলেন,উপজেলার কুলকাঠি ইউনিয়নের আখড়পাড়া এলাকার কামাল হাওলাদারের মেয়ে ও রানা হাওলাদারের ছেলে। তারা সম্পর্কে চাচাতো ভাই বোন।
পরিবার সূত্র জানা গেছে, বুধবার(১৩ নভেম্বর) দুপুরে দুইজন ঘড়ের ভিতর খেলা করছিল। এ সময় খাটের নিচে রাখা ইদুরের ওষুধ তারা খেয়ে ফেলে। পরে বিষয়টি তাদের পরিবারের লোকজন টের পেয়ে তাদের বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার রাতে তাদের মৃত্যু হয়।
নলছিটি থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুস ছালাম জানিয়েছেন,দুই শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।