Category: দেশজুড়ে

  • হাইপারটেনশন এ্যান্ড রির্সাচ সেন্টার রংপুর এর মাসিক কর্মি সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত

    হাইপারটেনশন এ্যান্ড রির্সাচ সেন্টার রংপুর এর মাসিক কর্মি সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত

    রংপুর থেকে আবু নাসের সিদ্দিক তুহিন।।

    হাইপারটেনশন এ্যান্ড রিসার্চ সেন্টার রংপুর,এর মাসিক কর্মি সমন্বয় সভা গতকাল হাইপারটেনশন এ্যান্ড রিসার্চ সেন্টার মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়েছে ।
    হাইপারটেনশন এ্যান্ড রিসার্চ সেন্টার রংপুর এর সিইও আনোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে উক্ত কর্মি সমন্বয় সভা পরিচালনা করেন হাইপারটেনশন এ্যান্ড রিসার্চ সেন্টার রংপুরের সহকারী ব্যাবস্থাপক তৌয়বুর রহমান।
    বক্তব্য রাখেন হাইপারটেনশন এ্যান্ড রিসার্চ সেন্টার রংপুর এর সিনিয়র মেডিকেল অফিসার ডাঃ কাওছার আহমেদ, সিনিয়র স্টাফ আফসার হোসেন, সহকারী ব্যবস্থাপক হিসাব নুরুন্নবী , পাবলিক রিলেশন অফিসার সাংবাদিক আবু নাসের সিদ্দিক তুহিন।
    মাসিক সমন্বয় সভায় কর্মির দায় দায়িত্ব, পরিস্কার পরিচ্ছন্ন, রোগীর সেবা প্রদান, উঠান বৈঠক, কর্মশালা,মেডিকেল ক্যাম্প,সাইন্টিফিক সেমিনার, সভা,ক্যাম্পইন, কাউন্সিলিং,ঈদ শুভেচ্ছা সহ সময়ের গুরুত্ব নিয়ে আলোচনা করা হয়।
    উল্লেখ্য হাইপারটেনশন এ্যান্ড রিসার্চ সেন্টার রংপুর দীর্ঘ দিন থেকে এরকমভাবে মাসিক কর্মি সমন্বয় সভা, উঠানবৈঠক করে আসছে এ পর্যন্ত ২৯৬ টি উঠানবৈঠক ও জনসচেতনতা মুলক সেমিনার করা হয়েছে।
    হাইপারটেনশন এ্যান্ড রিসার্চ সেন্টার রংপুরে ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপ এর রোগিরা ৫০ টাকা রেজিষ্ট্রেশন করে পরবর্তিতে আজীবন ৪০ টাকার বিনিময়ে নিয়মিত চিকিৎসা সেবা নিতে পারবেন এবং হাইপারটেনশন এ্যান্ড রিসার্চ সেন্টার রংপুর এর প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক ডাঃ মোঃ জাকির হোসেন বিগত ১৩ বছর ধরে নিবন্ধিত রোগিদেরকে ফ্রি চিকিৎসা সেবা দিয়ে আসছেন।

  • পঞ্চগড়ে হাটে পশু বেশি, ক্রেতা কম

    পঞ্চগড়ে হাটে পশু বেশি, ক্রেতা কম

    মোঃ বাবুল হোসেন পঞ্চগড় :
    পঞ্চগড়ের রাজনগর পশুর হাটে একটি উন্নত জাতের ষাঁড় গরু এনেছিলেন সদর উপজেলার কামাত কাজলদিঘী ইউনিয়নের ফুলপাড়ার মাসুদ রানা। তিনি ২২ মণ ওজনের গরুটির দাম হাঁকিয়েছেন ছয় লাখ টাকা। দুইজন ক্রেতা তার গরুটির দাম ৪ লাখ টাকা পর্যন্ত বললেও পরে আর কেউ কাছেও আসেনি। দাম কাঙ্খিত না হওয়ায় তিনি গরুটি বিক্রি না করেই ফিরিয়ে নিয়ে গেছেন।
    শহরের কামাতপাড়া এলাকার খামারি আবু তাহের ১০টি গরু এনেছিলেন। একেকটির ওজন ২০০ কেজিরও বেশি। প্রত্যেকটির দাম চেয়েছিলেন ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা করে। কিন্তু কোন ক্রেতাই তার গরুর দাম ১ লাখ ৫ হাজার টাকার বেশি বলেননি। এই দামে বিক্রি করলে লোকসান গুণতে হবে বলে জানান তিনি।
    দুপুরে পঞ্চগড় শহরের পূর্ব জালাসী এলাকার এই হাটে গিয়ে দেখা যায়, গরু উঠেছে প্রচুর। দূর-দূরান্ত থেকে ক্রেতাও এসেছেন। ক্রেতা-বিক্রেতাদের মধ্যে চলছে গরুর দর-কষাকষিও। কিন্তু দাম বনিবনা না হওয়ায় অধিকাংশ ক্রেতাই সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন সামনের হাটে আসার।
    সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, হাটে এবার মাঝারি আকারের গরু বেশি বিক্রি হচ্ছে। ফলে খামারীরা তাদের বড় আকারের গরু নিয়ে পড়েছেন বিপাকে। অন্যান্য বছর ঈদের আগে ব্যাপারীরা এই হাট থেকে বড় বড় গরু কিনে ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেটসহ দেশের বড় বড় শহরে নিয়ে যান। কিন্তু এবার বাইরের ব্যাপারীরা আসেননি।
    গরু ব্যবসায়ী মুসলিম উদ্দীন বলেন, হাটে বিভিন্ন আকারের পাঁচটি উন্নত জাতের গরু বিক্রি করতে এনেছি। তার মধ্যে মাত্র একটি গরু বিক্রি করেছি। বাইরের ব্যবসায়ী নেই বললেই চলে। আর স্থানীয় ক্রেতারা যে দাম বলছেন সেই দামে গরু বিক্রি করলে গরু প্রতি ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা লোকসান হবে। তাই বাধ্য হয়ে বাকী চারটি গরু ফেরত নিয়ে যাচ্ছি।
    চট্টগ্রাম থেকে এই হাটে গরু কিনতে এসেছেন নেজাম উদ্দীন ব্যাপারী। তার দাবি বিক্রেতারা বেশি দাম হাঁকাচ্ছেন। তিনি বলেন, আমি এই হাটে ৩৫টি গরু কেনার টার্গেট নিয়েছিলাম। কিন্তু দাম বেশি হওয়ায় সেই টার্গেট পূরণ নাও হতে পারে। বিকেল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত ১৫টি গরু কিনেছি।
    হাটের ইজারাদার মোশারফ হোসেন বলেন, হাটে প্রচুর গরুর আমদানি হয়েছে। কিন্তু বিক্রি খুবই কম। কোরবানির পশুর হাট সুষ্ঠুভাবে নিয়ন্ত্রণের জন্য হাটে পুলিশ সদস্যরা রয়েছেন। তাছাড়া জাল টাকা শনাক্তের জন্য হাটের বিভিন্ন জায়গায় কয়েকটি বুথ রয়েছে। এছাড়া অসুস্থ গরুর জন্য হাটে ভ্যাটেরিনারি চিকিৎসক রয়েছে।

  • কোম্পানীগঞ্জে  অটোরিকশা ও পিকআপ সংঘর্ষে নিহত ২

    কোম্পানীগঞ্জে অটোরিকশা ও পিকআপ সংঘর্ষে নিহত ২

    রফিকুল ইসলাম সুমন ( নোয়াখালী)

    নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার চরফকিরা ইউনিয়নের বিজয় নগর এলাকায় মালবাহী পিকআপ ও অটোরিকশা সংঘর্ষে পেয়ারা বেগম (৫৫) এবং মো. মিলন (৪৫) নামের দুই যাত্রী নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও ২ জন। ঘটনায় পিকআপ চালকসহ গাড়িটি আটক করেছে স্থানীয় লোকজন।সোমবার (৪ জুলাই) বিকেল পৌনে ৪টার দিকে চরফকিরা ৬নং ওয়ার্ড বিজয় নগর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

    নিহত পেয়ারা বেগম কোম্পানীগঞ্জের চরএলাহি ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের আলী আহমদের স্ত্রী এবং মো. মিলন কবিরহাট উপজেলার চাপরাশিরহাট ইউনিয়নের আবদুল মান্নানের ছেলে।আহতরা হচ্ছেন-চরএলাহীর সুজা মিয়ার ছেলে আলী আহম্মদ (৬৬) ও চরফকিরা ৫নং ওয়ার্ডের আবদুল হকের ছেলে খোকন (৩০)।

    চরফকিরা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জাহিদুল হক কচি বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, বিকেলে যাত্রী নিয়ে বিজয় নগরের দিকে আসছিল একটি অটোরিকশা। বিকেল পৌনে ৪টার দিকে বিপরীত দিক থেকে ছেড়ে আসা একটি দ্রুতগতির পিকআপভ্যান অটোরিকশাটিকে সামনে থেকে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলে অটোরিকশা যাত্রী মিলন নিহত ও আহত তিনজনকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে আরেক যাত্রী পেয়ারা বেগম মারা যান। আহত দুই জনকে ওই হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

    কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাদেকুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ঘটনায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

  • সেনবাগের মোহাম্মদপুরে প্যানেল চেয়ারম্যান কর্তৃক,বিচার প্রত্যাশী ১ সন্তানের জননীকে প্রাণনাশের হুমকি ও হয়রানির অভিযোগ

    সেনবাগের মোহাম্মদপুরে প্যানেল চেয়ারম্যান কর্তৃক,বিচার প্রত্যাশী ১ সন্তানের জননীকে প্রাণনাশের হুমকি ও হয়রানির অভিযোগ

    রফিকুল ইসলাম সুমন ( নোয়াখালী)

    নোয়াখালীর সেনবাগে ১ সন্তানের জননীর বিবাহ বিচ্ছেদের পর দেনমোহরের টাকা প্রাপ্তিতে বিলম্ব,ভুক্তভোগীকে প্রাননাশের হুমকি ও মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানিসহ নানা অভিযোগ উঠেছে ঐ এলাকার প্যানেল চেয়ারম্যানের প্রতি।এ বিষয়ে সরজমিনে গিয়ে ভুক্তভোগী, তার পরিবার ও মামলা সুত্রে জানা যায়, উপজেলার ৭ নং মোহাম্মদপুর ইউপির ৪ নং ওয়ার্ডস্থ, আসলাম কবিরাজ বাড়ীর রেজাউল হকের মেয়ে রিপনা আক্তার রিপুর সহিত ঢাকার রায়েরবাগ মুজাহিদ নগরের বাসিন্দা আবুল কালাম ভুঞার পুত্র ইকবাল হোসেনের সহিত বিগত ০৪/১২/২০১৬ তারিখে ১০ (দশ) লক্ষ টাকা কাবিনে মুসলিম শরীয়াহ মোতাবেক বিবাহ হয়।বিয়ের পর থেকে ইকবালের পরিবার প্রতিনিয়ত যৌতুকের জন্য রিপুকে মানসিক ও শারিরীক নির্যাতন করতো।বাবার বাড়ী থেকে যৌতুক নিতে অক্ষমতা প্রকাশ করায় গত ০৬/০৯/২০১৯ তারিখে ইকবাল রিপুকে তার বাবার বাড়ীতে রেখে চলে যায়।পরবর্তীতে ২১/১১/২০১৯ তারিখে উকিল নোটিশের মাধ্যমে তালাকনামা পাঠিয়ে দেয়।এসময় রিপু তার সন্তানের ভরনপোষণ ও দেনমোহরস্বত্তের টাকা প্রাপ্তি প্রসঙ্গে জানতে চাইলে, শশুর আবুল কালাম ভুঞা রিপুকে বলেন,তোমাকে আমরা ১ টাকা ও দিবো না। পারলে আদালতে মামলা করে টাকা নিও।এসময় আবুল কালাম আরো বলেন,আমার কাছে টাকা আছে, এদেশের সব আইন- আদালত, চেয়ারম্যান – মেম্বার আমার হাতের মুঠোয় থাকে।আমি যদি তোদের পরিবারকে কুকুরের মতো মেরে লাশ টুকরো টুকরো ও করে ফেলি, তোরা আমার কিছুই করতে পারবি না।

    রিপু তার নায্যপাওনা প্রাপ্তির দাবিতে যৌতুক নিরোধ আইনের ০৩ ধারায় বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ৪ নং আমলী আদালত, নোয়াখালীতে সি, আর ৪১/২০২১ ইং মামলা দায়ের করেন।যা এখনো চলমান রয়েছে। উক্ত মামলায় ইকবাল হোসেন গংরা আপোষ নিস্পতি করবে বলে জামিন নিয়ে আসলে ও অদ্যবধি পর্যন্ত এর কোন সুরাহা তারা করেনি।বরং স্থানীয় প্যানেল চেয়ারম্যান জহির হোসেন স্বপনের সহযোগিতায় ভুক্তভোগীর দেনমোহরের টাকা আত্মসাৎ করার উদ্দেশ্যে ভুক্তভোগীর স্বাক্ষর জাল করিয়া,৩০০ টাকার নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে ( যাহার নং ৯৬১১৩৬০-৬২) ভুয়া টাকা নেওয়ার রশিদ পত্র সৃজন করেন। ভুক্তভোগী রিপুকে টাকা বুঝিয়ে দিয়েছে বলে ছেলে পক্ষ মিথ্যা মামলা দায়ের করেন।পরবর্তীতে উভয় পক্ষের জবানবন্দীতে উক্ত মামলা শুনানী শেষে ইউনিয়ন পরিষদকে তদন্ত প্রতিবেদন পেশ করার নির্দেশ দেন বিজ্ঞ আদালত। এসময় স্থানীয় প্যানেল চেয়ারম্যান জহির হোসেন স্বপন (যাহার স্মারক নং মোহাম্মদপুর ইউপি/ সেনবাগ/ নোয়াখালী /০৫/২০২২,তাং ১৫/০২/২২ ইং)ভুক্তভোগীর স্বাক্ষর জাল করিয়া প্রতিবেদন পেশ করেন। উল্লেখ্য প্যানেল চেয়ারম্যান জহির হোসেন স্বপন বিগত বেশকিছু দিন যাবত মোবাইল ফোনে রিপু ও তার পরিবারের লোকজনকে পথে ঘাটে একা পেলে অপহরণ করবে,হাত পা ভেঙ্গে দিবে, লাশ পেলে দিবে ইত্যাদি বলে বারবার হুমকি প্রদর্শন করে আসছে। বর্তমানে রিপু ও তার পরিবারের সদস্যরা জীবনের নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। রিপনা আক্তার রিপু তার পরিবারের সকলের জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে, দেনমোহরের নায্যপাওনা অতি স্বত্তর বুঝিয়ে পেতে এবং লম্পট স্বৈরাচারী প্যানেল চেয়ারম্যান জহির হোসেন স্বপনের দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তি চেয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, নোয়াখালী জেলা প্রশাসক মহোদয়সহ প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট সকলের নিকট জোর দাবি জানান।এবিষয়ে জানতে চেয়ে যোগাযোগ করতে চাইলে প্যানেল চেয়ারম্যান জহির হোসেন স্বপনের
    মুঠোফোন(০১৮১৯-০৭৮২৩১)বন্ধ পাওয়া যায়।

  • মোংলায় গ্যাসের উদগীরণস্থল পরিদর্শনে জেলা প্রশাসন, দ্রুত ব্যবস্থা নিতে মন্ত্রণালয়ে চিঠি

    মোংলায় গ্যাসের উদগীরণস্থল পরিদর্শনে জেলা প্রশাসন, দ্রুত ব্যবস্থা নিতে মন্ত্রণালয়ে চিঠি

    বায়জিদ হোসেন, মোংলাঃ
    মোংলায় চিংড়ি ঘের থেকে উঠা গ্যাসের উদগীরণস্থল পরিদর্শন করেছেন বাগেরহাট জেলা প্রশাসন। সোমবার বিকেলে মিঠাখালী গ্রামের পূর্বপাড়ার বাসিন্দা দেলোয়ার শেখের চিংড়ি ঘেরের গ্যাসের উদগীরণ সরেজমিন পরিদর্শন করেন বাগেরহাটের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) খন্দকার মোঃ রেজাউল করিম ও জেলা এলজিআরডি’র নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ শরিফুজ্জামান। গ্যাসের উদগীরণস্থল পরিদর্শন করে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) খন্দকার মোঃ রেজাউল করিম বলেন, সেখানে আপতত খুব বেশি একটা ভয়ের কিছু নেই, তবে যদি উদগীরণ বেড়ে যায় সেক্ষেত্রে অবশ্যই ঝুঁকি রয়েছে। তাই উদগীরণস্থল থেকে লাইন টেনে যে রান্নাবান্না করা হচ্ছে সেটি বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে। কারণ এ থেকে দুর্ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। তিনি আরো বলেন, পর্যবেক্ষণে সেখানে গ্যাসের অস্তিত্ব আছে বলে মনে হয়েছে, কারণ বের হওয়া দাহ্য পদার্থে আগুন জ্বলছে। তাই দ্রুত সময়ের মধ্যে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাথে যোগাযোগ করা হচ্ছে। পরিকল্পিতভাবে এ গ্যাসের ব্যবহারের জন্য ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য মঙ্গলবার সকালেই ওই মন্ত্রনালয়ে লিখিত প্রতিবেদনও পাঠানো হবে।
    বাগেরহাট এলজিআরডি’র নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ শরিফুজ্জামান বলেন, ঘটনাস্থলে গ্যাসের অস্তিত্ব আছে। এখন বিশেষজ্ঞরা মাইনিং করে দেখবেন কত নিচে এবং কি পরিমাণ অর্থাৎ কত কিউসেক-মিউসেক গ্যাস রয়েছে। এবং তা লাভজনক হবে কিনা, লাভজনক হলে উত্তোলনের উদ্যোগ নিবেন সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়। এছাড়া এ গ্যাসের উদগীরণ ফোর্স বাড়লে তাতে ঝুঁকিও থাকছে। উল্লেখ্য, প্রায় ৬ বছর ধরেই মোংলার মিঠাখালী ইউনিয়নের এক নম্বর ওয়ার্ডের পূর্বপাড়ার দেলোয়ার শেখের পৌনে তিন বিঘার চিংড়ি ঘের থেকে এই গ্যাসের উদগীরণ হয়ে আসছে। ৬ বছর আগে ঘের মালিক ওই জমি থেকে বালু-মাটি উত্তোলনের জন্য ৬০ ফুট গভীরতার পাইপ বসালেই সেখান থেকে গ্যাস উঠতে থাকে। তখন তা কম হলেও গত সপ্তাহ থেকে তার উদগীরণ বেড়ে গেছে। আগে দুই এক জায়গা থেকে বের হলেও এখন তা সাত আট জায়গা থেকে বের হচ্ছে। বেশি পরিমাণ বের হওয়ায় গত সোমবারে সেখান থেকে লাইন টেনে তা দিয়ে বৃহস্পতিবার থেকে চুলায় রান্না করছেন দেলোয়ার পরিবার।

  • মোংলার চটেরহাটে জমে উঠেছে কোরবানির পশুর হাট

    মোংলার চটেরহাটে জমে উঠেছে কোরবানির পশুর হাট

    বায়জিদ হোসেন, মোংলাঃ
    মোংলার ঔতিহ্যবাহী চটেরহাট বাজারে কোরবানির পশুর হাট জমে উঠেছে। সোমবার সকাল থেকে মোংলার বৃহত্তর এ হাটে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে গরু আসতে শুরু করে।
    দুপুরের পরই কোরবানির পশু দিয়ে কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায় হাট। হাটে বড়, মাঝারি ও ছোট সাইজের প্রচুর গরু উঠলেও দাম চড়া থাকায় অনেক ক্রেতা ফিরে এসেছেন।
    কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে সোমবার ও বৃহস্পতিবার দুই দিন হাটে গরু, মহিষ, ছাগল, ভেড়া কেনাবেচা চলবে।
    সোমবার সকালে হাটে গিয়ে দেখা গেছে, প্রচুর কোরবানির পশুর আমদানি হয়েছে। মোটামুটি কেনাবেচা হয়েছে বলে, ক্রেতা-বিক্রেতারা জানিয়েছেন। তবে হাটে দেশীয় মাঝারি সাইজের গরুর চাহিদা বেশি ছিল। তাই এ জাতের গরুর দাম তুলনামূলক বেশি ছিল। হাটে সবচেয়ে বড় গরুর দাম হাঁকা হয়েছিল ৩ লাখ ২০ হাজার টাকা। উপজেলার নিতেখালী গ্রামের দেলোয়ার হোসেন ও গোয়ালীরমেঠ গ্রামের নূর মোহাম্মাদ শেখ জানান, তারা কোরবানির জন্য দেশি জাতের মাঝারি গরু কিনতে এসেছেন। কিন্তু বড় গরুর তুলনায় এ ধরনের গরুর দাম বেশি। তাই তার মতো অনেক ক্রেতাই ফিরে যাচ্ছেন। আগামী দিন জেলার অন্য কোনো হাটে যাবেন। এদিকে হাটের ইজারাদার ও বাজার কমিটির সভাপতি মোস্তফা কামাল ইজারাদার জানিয়েছেন, হাটের সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। ক্রেতা ও বিক্রেতারা যাতে প্রতারিত না হন সে জন্য মাইকে প্রচারণা চালানো হচ্ছে। পাশাপাশি উঠছে ছাগল ও ভেড়াও। হাটে প্রতিনিয়ত ভিড় বাড়ছে ক্রেতা দর্শনার্থীদের। তবে বিভিন্ন সাইজের গরু থাকলেও ক্রেতাদের চাহিদা মাঝারিতে।
    বিক্রেতারা জানান, ভিড় বাড়লেও খুব একটা ক্রেতা পাওয়া যাচ্ছে না। অল্প সংখ্যক বিক্রি হলেও মাঝারি সাইজের গরু নিচ্ছেন ক্রেতারা। বড় গরুর কেউ কিনতে চাইছেন না। তাই বিক্রিও হচ্ছে। ক্রেতারা মাঝারি সাইজের গরুর দিকে ঝুঁকছেন বেশি।

  • লালমনিরহাটে ২০০বোতল ফেন্সিডিলসহ মমিনুল গ্রেফতার

    লালমনিরহাটে ২০০বোতল ফেন্সিডিলসহ মমিনুল গ্রেফতার

    মো.হাসমত উল্ল্যাহ,লালমনিরহাট।।

    লালমনিরহাট জেলার কালীগঞ্জ থানাধীন ৮নং কাকিনা ইউনিয়নের রুদ্রেশ্বর মৌজা এলাকা হইতে অভিযান চালিয়ে ২০০বোতল ফেন্সিডিলসহ এক জনকে গ্রেফতার করেন।

    লালমনিরহাট কালীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি)এ টি এম গোলাম রসুল, এর নেতৃত্বে এসআই ইদ্রিস আলী,এ এস আই অজিত কুমার সরকার, ও সঙ্গীয় ফোর্স সহ কালিগঞ্জ থানাধীন ৮নং কাকিনা ইউনিয়নের রুদ্রেশ্বর এলাকায় অভিযান চলিয়ে ২০০ (দুইশত) বোতল মাদকদ্রব্য ফেন্সিডিল এবং ০১ টি আরটিআর ১৬০ সিসি মোটরসাইকেলসহ একজন কে গ্রেফতার করেন কালীগঞ্জ থানার পুলিশ।এবং ঘটনার স্থান থেকে সুকৌশলে পালিয়ে যায় এক জন।

    গ্রেফতারকৃত আসামি হলে মমিনুল ইসলাম(৩০), পিতা আনচার আলী,গ্রাম বান্দরকুড়া থানা কলীগঞ্জ জেলা লালমনিরহাট। গ্রেফতারকৃত আসামির বিরুদ্ধে কালীগঞ্জ থানায় একটি মামলা হয়। মামলা নং -০৩, ধারা- ২০১৮ সালের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইনের ৩৬(১) এর ১৩(গ)/৩৮/৪১ রুজু করা হয়।

    লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি)এ টি এম গোলাম রসুল, জানান গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কালিগঞ্জ থানাধীন কাকিনা ইউনিয়ন এলাকা হইতে অভিযান চালিয়ে ২০০বোতল ফেন্সিডিল এবং মোটরসাইকেলসহ এক জনকে গ্রেফতার করেন।

    হাসমত উল্ল্যাহ।।

  • মুন্সীগঞ্জ‌ে টঙ্গীবাড়ীরে  বিকাশের দোকান থেকে সাড়ে ২লাখ ১৮ হাজার  টাকা চুরি

    মুন্সীগঞ্জ‌ে টঙ্গীবাড়ীরে বিকাশের দোকান থেকে সাড়ে ২লাখ ১৮ হাজার টাকা চুরি

    মুন্সীগঞ্জ প্রতি‌নি‌ধি ঃ

    মুন্সীগঞ্জ জেলার টঙ্গীবাড়ী উপ‌জেলার দিঘীড়পাড় বাস ষ্ট‌্যান্ডে গত ২৬শে জুন (র‌বি বার ) দুপুর ১:২০ মি‌নি‌টে দি‌ঘীড়পাড় সংলগ্ন মেসার্স বেপারী ষ্টো‌র নামক বিকাশ ,ফ্লে‌কি্্র দোকান থেকে ২ লক্ষ ১৮ হাজার ৫০০ টাকা নিয়ে পালিয়েছে চোর চক্র। ঘটনাটি ওই দোকানে থাকা সিসিটিভি ক্যামেরায় ধারণ হয়েছে

    রবিবার (২৬ শে জুন ) রা‌ত ১১টায় এ তথ্য জানান ভুক্তভোগী বিকাশের দোকানদার মা‌লিক মোঃআক্তারউজ্জান এ ঘটনায় তিনি টঙ্গীবাড়ী থানা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।

    দোকানে থাকা সিসিটিভির ফুটেজে দেখা যায়, বিকাশের দোকানে এক জন ম‌্যাক পরে দোকানদার প্রবেশ ক‌রে,দোকা‌নের মা‌লিক মোঃআক্তারউজ্জান যোহ‌রে র নামাজ পড়ার জন‌্য পা‌শে মস‌জি‌দে যান সুযোগে ওই চোর চক্রের একজন ক্যাশে রাখা ২ লাখ ১৮হাজার ৫০০টাকা নিয়ে চলে যায়।

    ভুক্তভোগী দোকান মালিক মোঃআক্তারউজ্জান
    জানান, আমি শেষ হয়ে গিয়েছি। আমার দোকানের মূলধন চুরি হয়ে গেছে। আমি কিভাবে ব্যবসা করবো। আমার একটাই দাবি সিসিটিভির ফুটেজ দেখে তাদের ধরে আইনের আওতায় এনে শাস্তি দেওয়া হোক।

    এ বিষয়ে দিঘীড়পাড় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ আ‌রিফ হালদার বলেন, আমি ঘটনা জানার পর আ‌মি আক্তার বেপারী দোকা‌নে ছু‌টে যাই । এবং পু‌লিশ কে খবর দেই পুলিশ এসে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে গেছে। সিসিটিভির ফুটেজ দেখে চোরদের ধরার দাবি জানাচ্ছি।

    এ ব্যাপারে ‌দি‌ঘিড়পাড়পু‌লিশ ফা‌ড়ি ইনচার্জ মোঃশাহআলম বলেন, চুরির ঘটনায় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। দোকা‌নে থাকা সি‌সি টি‌ভির ফু‌টেজ পে‌য়ে‌ছি । চোরদের আটকের প্রক্রিয়া চলছে।

  • গৌরনদীতে ডাকাতদের সাথে পুলিশের গুলিবিনিময় চার ডাকাত গ্রেপ্তার

    গৌরনদীতে ডাকাতদের সাথে পুলিশের গুলিবিনিময় চার ডাকাত গ্রেপ্তার

    স্টাফ রিপোর্টার!! ডাকাতির প্রস্তুতিকালে আগ্নেয়াস্ত্র, গুলি, ধারালো অস্ত্র ও ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত সরঞ্জামাদি সহ আন্তঃজেলা ডাকাতদলের চার সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

    এ ঘটনায় গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে ডাকাতির প্রস্তুতি ও অস্ত্র আইনে পৃথক মামলা দায়ের করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে রবিবার দিবাগত রাত সাড়ে বারটার দিকে বরিশালের গৌরনদী উপজেলার ভুরঘাটা এলাকায়।
    গ্রেফতারকৃতরা হলো- বাকেরগঞ্জ উপজেলার বলইকাঠী গ্রামের সামসুল হক হাওলাদারের ছেলে সেলিম হাওলাদার ওরফে কাটারা সেলিম (৩৮), পশ্চিম চরামদ্দি গ্রামের শাহজাহান হাওলাদারের ছেলে মিজান ওরফে নিজাম (৪২), বলইকাঠী গ্রামের মৃত হাসেম হাওলাদারের ছেলে রফিকুল ইসলাম রানা (৪৫) ও বরগুনা সদর থানার বরইতলা এলাকার জব্বার সিকদারের ছেলে বাকের সিকদার (৩৭)। গ্রেপ্তারকৃত প্রত্যেকের নামে বিভিন্ন থানায় একাধিক ডাকাতি মামলা রয়েছে এরমধ্যে সেলিম হাওলাদার ওরফে কাটারা সেলিমের বিরুদ্ধে ১৩ টি, মিজান ওরফে নিজামের বিরুদ্ধে ৮টি ও অন্য দুইজনের বিরুদ্ধে ৩টি করে বিভিন্ন থানায় ডাকাতির মামলা রয়েছে।
    গৌরনদী মডেল থানার ওসি মোঃ আফজাল হোসেন জানান, একটি সংক্সঘবদ্ধ ডাকাত দল উপজেলার ভুরঘাটা এলাকায় ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছিলো। এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করে থানা পুলিশ। পুলিশের উপস্থিতি টেরপেয়ে গুলি চালায় ডাকাত দলের সদস্যরা। পুলিশও প্রায় ১০ রাউন্ড পাল্টা গুলি ছুড়ে। এতে কেউ হতাহত না হলেও আন্তঃজেলা ডাকাত দলের চার সদস্যকে একটি ওয়ানসুটার গান, পাঁচ রাউন্ড গুলি, ধারালো দা ও ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত সরঞ্জামাদি সহ গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় অভিযানিক দলের সদস্যরা।

    এ সময় আরও ৪/৫ জন ডাকাত পালিয়ে যায়।
    তিনি আরও জানান, গ্রেফতারকৃতরা পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গৌরনদী উপজেলার কেফায়েতনগর সহ বানারীপাড়া, ডাসার ও কাউখালী থানা এলাকায় ডাকাতির কথা স্বীকার করেছে।

    এ ঘটনায় পৃথক দুইটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। দুপুরে গ্রেফতারকৃতদের আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।

  • চিংড়ি ঘেরে গ্যাসের অস্তিত্ব ইউএনও’র ঘটনাস্থল পরিদর্শন, দুর্ঘটনা এড়াতে গ্রাম পুলিশ মোতায়েন

    চিংড়ি ঘেরে গ্যাসের অস্তিত্ব ইউএনও’র ঘটনাস্থল পরিদর্শন, দুর্ঘটনা এড়াতে গ্রাম পুলিশ মোতায়েন

    মোংলা (বাগেরহাট) প্রতিনিধিঃ
    মোংলার মিঠাখালী গ্রামের মধ্যপাড়ার বাসিন্দা দেলোয়ার শেখের (৩৫) চিংড়ি ঘেরে গ্যাসের অস্তিত্ব মিলেছে। শনিবার রাতে গ্যাস উদগিরণস্থল পরিদর্শন করে এসে সেখানে প্রাকৃতিক গ্যাসের এ অস্তিত্বের কথা জানিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কমলেশ মজুমদার। তিনি জানান, প্রাথমিক পর্যবেক্ষণে নিশ্চিত হওয়া গেছে এখানে গ্যাসের অস্তিত্ব রয়েছে। কারণ পৌনে তিন বিঘার এ চিংড়ি ঘেরের ৬/৭ জায়গা থেকে কম বেশি করে গ্যাস বুদবুদ করে বের হচ্ছে। আর সেখান থেকে সংযোগ নিয়ে দেলোয়ারের পরিবার রান্নাও করছেন। শনিবার রাতে সেই গ্যাস দিয়েও তারা ডিম সিদ্ধ করেছেন যেটা আমি নিজেই দেখেছি। তবে এ গ্যাসের ব্যবহার আর না বাড়ানোর জন্য ঘের মালিক দেলোয়ারকে নিষেধ করা হয়েছে। কারণ নতুন সংযোগ বাড়ানো হলে তাতে দুর্ঘটনার ভয় রয়েছে। এছাড়া দুর্ঘটনার ঝুঁকি এড়াতে সেখান থেকে দেলোয়ারসহ অন্য কেউও যাতে গ্যাসের ব্যবহার না করতে পারে সেজন্য গ্রাম পুলিশ মোতায়েনের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। গ্রাম পুলিশের পাশাপাশি মিঠাখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও ওই ওয়ার্ডের মেম্বরকে গ্যাস উদগিরণস্থল নজরদারী করতে বলা হয়েছে। এছাড়া সেখানে উৎসুক জনতার ঢল বন্ধেও তাদেরকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
    উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কমলেশ মজুমদার বলেন, ঘেরটিতে গ্যাসের অস্তিত্ব নিশ্চিত হওয়ার বিষয়টি বাগেরহাট জেলা প্রশাসক মহোদয়কে রিপোর্ট আকারে জানানো হয়েছে। তিনি বাপেক্সসহ সরকারের উর্ধতন মহলকে অবহিত করবেন। উর্ধতন কর্তৃপক্ষই এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন বলেও জানান তিনি।
    এদিকে চিংড়ি ঘেরে গ্যাসের অস্তিত্ব পাওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়ায় প্রতিদিন দুরদুরান্তের লোকজন তা দেখার জন্য সেখানে বিড় জমাচ্ছেন। এনিয়ে স্থানীয়দের মাঝে যেমনি উচ্ছ্বাস ও কৌতুহল রয়েছে তেমনি রয়েছে ভীতি এবং উৎকন্ঠাও। কারণ যদি গ্যাস হয়েই থাকে তাহলে যখন তখন দুর্ঘটনাও ঘটতে পারে। আবার বিশাল জায়গা নিয়ে গ্যাসের অস্তিত্ব মিললে তাদের জায়গা-জমি ও বাড়ীঘর ছেড়ে চলেও যেতে হতে পারে।
    এ নিয়ে উৎকন্ঠায় থাকা মিঠাখালীর পূর্বপাড়ার বাসিন্দারা বলছেন, গ্যাস থাকলেও তো আর দেলোয়ারের শুধু পৌনে তিন বিঘার ঘেরেই নয়, আশপাশের অনেক জায়গা জমি নিয়েই রয়েছে। তাতে তো ভয় কাজ করবেই। তাই আমরাও চাই এ বিষয়ে সরকার দ্রুত ব্যবস্থা নিয়ে যাই করার তাই করুক। সরকার আমাদের বাচিয়ে রেখেই যেন যা করার তাই করেন। আমরা যেন আমাদের প্রাপ্যটা পাই। কারণ গ্যাস পাওয়া গেলে তো আমাদের এলাকা ছেড়ে চলে যেতে হবে। সরকার লাভবান হবেন, আমরাও যেন ভালভাবে বেচে থাকতে পারি তারও ব্যবস্থা করবেন সরকার সেই দাবী আমাদের। মিঠাখালীর পুর্বপাড়া এলাকার বাসিন্দা ও ঘের মালিক দেলোয়ার শেখ বলেন, ৬ বছর আগে তার পৌনে তিন বিঘার চিংড়ি ঘেরের জমি থেকে বালু-মাটি উত্তোলনের জন্য একটি মিনি ড্রেজারের পাইপ বসাতে গেলেই সেখান থেকে এ গ্যাস উঠতে শুরু হয়। তখন তার বাবা বিষয়টি কেউকে না জানানোর জন্য পরিবারকে বলে তা গোপন রাখেন। এরপর দুই বছর আগে তার বাবা মারা যান। সেই থেকে গ্যাস উঠতে থাকলেও মুলত গত সপ্তাহখানেক ধরে ঘেরের বিভিন্ন জায়গা থেকে আরো বেশি পরিমাণে গ্যাস উঠতে শুরু হয়। গ্যাসের চাপ দেখে তা ব্যবহারের জন্য গত সোমবার সেখান থেকে পাইপ লাইন টানেন দেলোয়ার। আর বৃহস্পতিবার থেকে তা দিয়ে রীতিমত রান্নাবান্নার কাজ করছেন তার পুরো পরিবার। এ গ্যাসের অস্তিত্বের বিষয়ে তেল, গ্যাস, খনিজসম্পদ, বিদ্যৎ ও বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির মোংলার আহবায়ক মোঃ নুর আলম শেখ বলেন, বঙ্গোপসাগর ও সুন্দরবনসহ উপকূলীয় বিভিন্ন জায়গায় গ্যাসসহ নানাবিধ খনিজ সম্পদের অস্তিত্ব রয়েছে। কিন্তু বাপেক্সের উদাসিনতার কারণে তা সনান্ত, উত্তোলন ও ব্যবহার সম্ভব হচ্ছেনা। মিঠাখালীর দেলোয়ারের ঘেরে যে গ্যাসের অস্তিত্ব মিলেছে তাও অনেক আগে। আগে থেকেই বিষয়টি স্থানীয় প্রশাসন, জনপ্রতিনিধিদের জানানো হলেও তারা তাতে নজর দেয়নি। সরকারের কিংবা বাপেক্সের উচিৎ হবে ঘটনাস্থলে এসে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা।