Category: দেশজুড়ে

  • নড়াইলে কলেজ অধ্যক্ষ স্বপন কুমার বিশ্বাসকে অপদস্থ করার ঘটনায় গ্রেপ্তার নূর–নবী

    নড়াইলে কলেজ অধ্যক্ষ স্বপন কুমার বিশ্বাসকে অপদস্থ করার ঘটনায় গ্রেপ্তার নূর–নবী

    উজ্জ্বল রায়, নড়াইল থেকে:

    নড়াইলে কলেজ অধ্যক্ষকে অপদস্থ করার ঘটনায় নূর–নবী গ্রেফতার। নড়াইল সদর উপজেলার মির্জাপুর ইউনাইটেড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ স্বপন কুমার বিশ্বাসকে লাঞ্ছিত করার ঘটনায় অপর এক তরুণ গ্রেপ্তার হয়েছেন। গতকাল রোববার রাত সাড়ে ১১টার দিকে যশোরের মনিহার সিনেমা হলের সামনে থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
    গ্রেপ্তার নূর-নবী (৩৭) নড়াইল সদর উপজেলার কলোড়া ইউনিয়নের গোবরা গ্রামের মৃত ফয়েজ চৌকিদারের ছেলে। তিনি ভাড়ায় মোটরসাইকেল চালান। গতকাল রাতেই তাঁকে সদর থানায় নেওয়া হয়।
    পুলিশ জানায়, ঘটনার দিন নূর-নবী খুবই বেপরোয়া ছিলেন। তাঁকে সামাল দেওয়া কঠিন হচ্ছিল। এ নিয়ে ওই ঘটনায় পাঁচজন গ্রেপ্তার হলেন। এর আগে পুলিশ চারজনকে গ্রেপ্তার করে। তাঁরা হলেন নড়াইল সদর উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মনিরুল ইসলাম ওরফে রুবেল (২৭), ব্যবসায়ী মো. শাওন খান (২৮) ও ইজিবাইকচালক সৈয়দ রিমন আলী (২২) এবং খুলনার সরকারি বিএল কলেজে স্নাতক (সম্মান) শেষ বর্ষের ছাত্র রহমতুল্লাহ বিশ্বাস (২৪)। তাঁদের মধ্যে প্রথম তিনজনের বাড়ি সদর উপজেলার মির্জাপুর গ্রামে। আর রহমতুল্লাহের বাড়ি রুখালি গ্রামে।
    পুলিশ আরও জানায়, আগে গ্রেপ্তার হওয়া ওই চার আসামির প্রত্যেকের তিন দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। আজ সোমবার তাঁদের রিমান্ড শুরু হবে। ওই ঘটনায় ২৭ জুন পুলিশ বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ১৭০ থেকে ১৮০ জনের নামে মামলা করে।
    রোববার রাতে নূর-নবীকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মাহামুদুর রহমান সোমবার সকাল ১০টায় জানান, তাঁকে কিছুক্ষণের মধ্যে আদালতে নেওয়া হবে।
    প্রসঙ্গত, গত ১৭ জুন ওই কলেজের একাদশ শ্রেণির এক শিক্ষার্থী নিজের ফেসবুকে ভারতের ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল বিজেপির বহিষ্কৃত মুখপাত্র নূপুর শর্মাকে প্রণাম জানিয়ে ছবিসহ একটি পোস্ট দেন।
    এ নিয়ে উত্তেজনা তৈরি হলে ১৮ জুন অধ্যক্ষ স্বপন কুমার বিশ্বাস কলেজশিক্ষক, ওই শিক্ষার্থীর বাবা ও কলেজ পরিচালনা পরিষদের কয়েক সদস্যকে ডেকে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেন। আলোচনায় নেওয়া সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, কলেজ ক্যাম্পাসে পুলিশ ডেকে শিক্ষার্থীকে তাদের কাছে সোপর্দ করা হয়। পুলিশ সদস্যরা ওই শিক্ষার্থীকে ক্যাম্পাস থেকে নিয়ে যেতে চাইলে উত্তেজিত ছাত্র ও বহিরাগত কয়েকজন বাধা দেন। তখন জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারকে বিষয়টি জানানো হয়।
    বিকেল চারটার দিকে শিক্ষক স্বপন কুমার বিশ্বাস ও ওই শিক্ষার্থীকে কলেজের দ্বিতীয় তলার একটি কক্ষ থেকে বের করা হয়। নিচতলার কলাপসিবল গেটের সামনে আনার পর তাঁদের গলায় জুতার মালা পরিয়ে দেওয়া হয়।

  • একজন সৎ, জনবান্ধব কর্মকর্তা তারাকান্দার এসিল্যান্ড জিন্নাত শহীদ পিংকি

    একজন সৎ, জনবান্ধব কর্মকর্তা তারাকান্দার এসিল্যান্ড জিন্নাত শহীদ পিংকি

    ষ্টাফ রিপোর্টারঃ
    সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারীদের বিরুদ্ধে জনগণের অভাব ও অভিযোগই কেবল শোনা যায় নিত্য। তবে তাদের মাঝে ব্যতিক্রমও পাওয়া যায় অ‌নেক‌ জন‌কে। যারা নিজের ওপর অর্পিত দায়িত্ব নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করে জনগণের আস্থারস্থল হয়ে ওঠে।

    নি‌জের আন্তরিক সেবা দ্বারা হয়রানি থেকে মুক্তি দেন মানুষকে, নিজের সরকারি দপ্তরকে করে তোলেন জনবান্ধব। তেমনই একজন ময়মনসিংহের তারাকান্দার এসিল্যান্ড জিন্নাত শহীদ পিংকি। জেলার তারাকান্দা উপজেলার এই উপ‌জেলা সহকারী ক‌মিশনার (ভূ‌মি) জিন্নাত শহীদ পিংকি উপজেলায়
    গত ২০২১সালের ১১ই এপ্রিল ময়মনসিংহের তারাকান্দা উপজেলায় সহকারী কমিশনার (ভূমি) পদে
    দায়িত্ব গ্রহনের পর থেকে মানুষের সেবায় স্বচ্ছ ও দুর্নীতি মুক্ত ভূমি সেবার মানকে জনকল্যাণে জনগণের দোরগোড়ায় পৌছে দেওয়ার মাধ্যমে এখানে সবার কাছে জনবান্ধব কর্মকর্তা হয়ে উঠে‌ছেন।

    তারাকান্দার এসিল্যান্ড জিনাত শহিদ পিংকি তার মেধা ও কর্ম দক্ষতা দিয়ে কাজ করে ইতিমধ্যে তিনি জনবান্ধব কর্মকর্তা হিসেবে ব্যাপক সুনাম অর্জন করে‌ছেন।তারাকান্দা উপজেলার ভূমি অফিস থেকে অনিয়ম-দূর্নীতি প্রতিরোধ করে মডেল ভূ‌মি অ‌ফিসে রুপান্তরিত করতে নিরলস ভাবে কাজ করে চলেছেন তি‌নি। ‌তারাকান্দা উপজেলার ভূমি অফিসে উপ‌জেলা সহকারী ক‌মিশনার (ভূ‌মি) জিন্নাত শহীদ পিংকি যোগদা‌নের পর উপ‌জেলার ও ইউনিয়ন ভূ‌মি অফিসের দৃশ্যপট পাল্টে গেছে গতিশীল হয়েছে কাজ, দূর হয়েছে ভূ‌মির মা‌লিক‌দের হয়রানি ও ভোগান্তি।

    মুজিব বর্ষ এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে সরকারের বরাদ্ধকৃত গৃহহীন-ভূমিহীন মানুষের জন্য গৃহীত কর্মসূচি বাস্তবায়নে প্রকৃত গৃহহীনদের যাছাই-বাছাই করে স্বচ্ছভাবে ঘর বরাদ্দ দেওয়ার মাধ্যমে উপজেলার গরীব হত-দরিদ্র অসহায়দের মুখে হাসি ফুটিয়েছেন এসিল্যান্ড জিনাত শহীদ পিংকি। এছাড়াও তিনি বাল্যবিবাহ বন্ধে জনগণের মাঝে জনসচেতনতা বৃদ্ধি করেছেন।

    ‌তারাকান্দা উপ‌জেলা সহকারী ক‌মিশনার (ভূ‌মি) জিন্নাত শহীদ পিংকি ময়মনসিংহ বিভাগের নেত্রকোনা জেলার সদর উপজেলার সাকুয়া গ্রামের সন্তান। বাবা-মায়ের একমাত্র সন্তান জিন্নাত শহীদ পিংকি ৩৫ তম বিসিএস ব্যাচ এ উত্তীর্ণ হয়ে প্রশাসন ক্যাডার সার্ভিসে যোগ দিয়ে ময়মনসিংহের জেলা প্রশাসক (ডিসি) এর প্রতিনিধি হিসেবে সরকারের বিভিন্ন আইনের অধীনে ভূমি ব্যবস্থাপনা ও ভূমি উন্নয়ন কর আদায়ের কাজ করায় ও ভূমি সংক্রান্ত যে কোন সমস্যার সমাধানে ভূমিকা রাখা, তারাকান্দা উপজেলার ভূমি উন্নয়ন কর আদায়,হয়রানি মুক্ত পরিবেশে নামজারী জমা খারিজ সম্পন্ন করার মাধ্যমে স্বচ্ছ ও দুর্ণীতি মুক্ত ভূমি ব্যবস্থাপনাকে জনকল্যাণে জনগণের দোরগোড়ায় পৌছে দেওয়ার বিশেষ অবদান রাখায় সারাদেশের ৬৪জেলায় ৬৪ জন সহকারী কমিশনার ভূমি’র মাঝে ময়মনসিংহ জেলায় শ্রেষ্ঠত্বের পদকে মুল্যায়ন করেছে মন্ত্রণালয়।

    তারাকান্দায় উপ‌জেলা সহকারী ক‌মিশনার (ভূ‌মি) যোগদা‌নের আগে তি‌নি কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার পদে সফলতার সাথে দায়িত্ব পালন করেন।

    তারাকান্দা উপ‌জেলায় তিনি যোগদানের আগে যেখানে ছিল ভূমি অফিস মানেই ভোগান্তি, টাকার ছড়াছড়ি, সাধারণ মানুষের হয়রানি আর অসহায়তার জায়গা। উপ‌জেলা সহকারী ক‌মিশনার (ভূ‌মি) জিনাত শহীদ পিংকি যোগদা‌নের পর সেখানে একটি স্বচ্ছ, ও জবাবদিহিতামূলক সেবা কার্যক্রম পাওয়ার ব্যবস্থা করে। তার নেতৃত্বে তারাকান্দা ভূমি অফিস দালালমুক্ত হয়ে সেখানে তৈরি হয় আস্থার পরিবেশ। ইতিমধ্যে তারাকান্দা উপজেলার সাধারণ মানুষের মাঝে একজন জনবান্ধব ও সৎ কর্মকর্তা উপ‌জেলা সহকারী ক‌মিশনার (ভূ‌মি) জিনাত শহীদ পিংকি জন‌প্রিয়তা পে‌য়ে‌ছেন।

    তারাকান্দার রামপুর, বিসকা, কাকনীসহ ক‌য়েকটি ইউনিয়ন ভূ‌মি সহকারী জানায়, বর্তমান এসিল্যান্ড স্যার যোগদা‌নের পর থে‌কে আমা‌দের ব‌লে দি‌য়ে‌ছেন, সেবা গ্র‌হিতা‌দের কোন ধর‌নের ভোগা‌ন্তি দেওয়া যা‌বে না। কোন ধর‌নের আর্থিক লেন‌দেন কর‌লে অ‌ভি‌যোগ পে‌লে তা‌কে শা‌স্তি পে‌তে হ‌বে। তারাকন্দার সব গু‌লো ভূ‌মি অ‌ফিস এখন তার তত্বাবধা‌নে সেবা প্রদা‌নের ম‌ডেল। বিরামহীনভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। আগে যেখানে প্রতিটা নামজারি কাজ পড়ে থাকতো মাসের পর মাস। তিনি এসে সবাইকে আদেশ দিয়েছেন রাতদিন পরিশ্রম করে হলেও নিদিষ্ট সময়ের মধ্যে সমস্ত কাজ সম্পন্ন করতে হবে।

    স্থানীয় ক‌য়েকজ‌নের সা‌থে বললে তারা জানায়, আগে ভূ‌মি অ‌ফি‌সে টাকা ছাড়া কোন কাজ হ‌তো না। বর্তমান এসিল্যান্ড যোগদা‌নের পর থে‌কে ভূ‌মি অ‌ফি‌সের অ‌নিয়ম বন্ধ হ‌য়ে‌ছে। এখন নি‌দিষ্ট সম‌য়ে টাকা ছাড়া সেবা পা‌চ্ছে স্থানীয় জনগন। এসিল্যান্ড অফিস এমন ভাল হবে আমরা কল্পনাও করেনি। আসলে এ এসিল্যান্ড ম্যাডাম আসার পরে ভূমি অফিসের চিত্র পাল্টে গেছে, এমনই কথা বলছিলেন অনেকেই। সুশীল সমাজ তথা সাধারন জনগনের দাবী, এসিল্যান্ড জিন্নাত শহীদ পিংকির মত এমনই কর্মকর্তা যেন প্রতিটি অফিসে থাকে তাহলে দূর্নীতি অনেক অংশে লাঘব হবে।

    জিন্নাত শহীদ পিংকি তারাকান্দায় সহকারি কমিশনার (ভূমি) হিসেবে যোগদানের পর শুনানির মাধ্যমে স্থানীয় বিরোধ নিষ্পত্তি, স্বচ্ছতার সাথে ভূমি সেবা প্রদান, ভূমি সেবায় সহজীকরণ, সরকারি রাজস্ব আদায় বৃদ্ধিতে বিশেষ ভূমিকা রাখা, ভূমিহীন পরিবারগুলোর মধ্যে খাস জমি বরাদ্দের ব্যবস্থা করাসহ প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সম্মুখসারীর করোনা যোদ্ধার দায়িত্ব পালন করে জেলা জুড়ে ব্যাপক আলোচনায় আসেন তিনি।এছাড়া তিনি অনলাইন এ ভূমি উন্নয়ন কর আদায় কার্যক্রম কে বেগবান করার জন্য সকল ভুমি মালিকের ভূমি সংক্রান্ত তথ্য এন্ট্রি ও অনুমোদন কার্যক্রম সম্পন্ন করে তারাকান্দা উপজেলায় অনলাইন এ ভূমি উন্নয়ন কর আদায় শুরু করেছেন।

    তারাকান্দা উপ‌জেলা সহকারী ক‌মিশনার (ভূ‌মি) জিন্নাত শহীদ পিংকি জানায়, তারাকান্দা উপ‌জেলা ভূ‌মি অ‌ফিসে এসে জনগ‌ন যা‌তে সেবা নি‌তে কোন ধর‌নের ভোগা‌ন্তি‌তে না প‌রে নি‌দিষ্ট সম‌য়ে তা‌দের কাজ ক‌রে নি‌তে পা‌রে তার জন্য সবাত্বক চেষ্টা কর‌ছি। স্থানীয় জনগণ অনেকে না বুঝে দালাল কে অযথা টাকা দিয়া কাজ করাতে চায়। তাই তিনি বলেন দালাল ধরে প্রতারিত হবেন না। এছাড়া উত্তরাধিকার দের বঞ্চিত করে বিশেষ করে নারী ,শিশুদের বঞ্চিত করে কোনরকম নামজারি আবেদন মঞ্জুর করেন না।

  • পাথরঘাটায় জাতীয় শ্রমিক লীগের বর্ধিত সভা ও কর্মী সমাবেশ

    পাথরঘাটায় জাতীয় শ্রমিক লীগের বর্ধিত সভা ও কর্মী সমাবেশ

    পাথরঘাটা(বরগুনা)প্রতিনিধি: ৪ জুলাই সোমবার বিকেল পাঁচটায় বরগুনার পাথরঘাটায় জাতীয় শ্রমিক লীগের বর্ধিত সভা ও কর্মী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। পাথরঘাটা সংকল্প ট্রাস্ট এর পঞ্চম তলার সম্মেলন কক্ষে সাবেক পৌর কাউন্সিলর ও জাতীয় শ্রমিক লীগ পাথরঘাটা উপজেলার আহ্বায়ক মোস্তাফিজুর রহমান সোহেল এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বর্ধিত সভায় অন্যান্য মধ্যে বক্তব্য রাখেন,

    প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন আব্দুল হালিম মোল্লা ,আহবায়ক, জাতীয় শ্রমিক লীগ বরগুনা জেলা, বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জাতীয় শ্রমিক লীগ বরগুনা পৌর শাখার সভাপতি‌ মির্জা হুমায়ুন কবির বাচ্চু, মো:বশির আহমেদ সদস্য সচিব, জাতীয় শ্রমিক লীগ বরগুনা জেলা ,মুস্তাফিজুর রহমান সোহেল পাথরঘাটা পৌরসভার সাবেক ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও আহ্বায়ক জাতীয় শ্রমিক লীগ পাথরঘাটা উপজেলা শাখাসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।
    অনুষ্ঠান সঞ্চালক ছিলেন মো: অলিউর রহমান অলি যুগ্ন আহবায়ক জাতীয় শ্রমিক লীগ পাথরঘাটে উপজেলা শাখা।

    অমল তালুকদার।।

  • বানারীপাড়ায় শিক্ষা বৃত্তির চেক বিতরণ

    বানারীপাড়ায় শিক্ষা বৃত্তির চেক বিতরণ

    বিশেষ প্রতিবেদক।। সোমবার ০৪ জুলাই বেলা ১১ টায় বানারীপাড়া নির্বাহী কর্মকর্তার অফিস কক্ষে বেসরকারী সংস্থা কারসা ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে তাদের সদস্যদের সন্তানকে প্রথম ও দ্বিতীয় দফার শিক্ষা বৃত্তির চেক বিরতণ করেন প্রধান অতিথি ইউএনও রিপন কুমার সাহা। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা এনজিও সমন্বয় পরিষদের সভাপতি এটিএম মোস্তফা সরদার, সম্পাদক ও সিনিয়র সাংবাদিক এস মিজানুল ইসলাম। কারসা ফাউন্ডেশনের উপজেলা ম্যানেজার দুলাল সরদার জানান, প্রথম দফায় ১২ হাজার টাকার চেক পান মাদ্রাসার শিক্ষর্থী মোঃ মাহাথির আহমেদ এবং দ্বিতীয় দফায় ১২ হাজার টাকার চেক প্রদান করা হয় কলেজ শিক্ষার্থী মোসাম্মত লাবনীকে।#

    এস মিজানুল ইসলাম।।

  • ঠাকুরগাঁও জেলার শ্রেষ্ঠ গরু বারাকাত  ওজন ১১শ কেজি মূল্য ১৩ লাখ ক্রেতা খুজচ্ছেন খামারি জিল্লুর

    ঠাকুরগাঁও জেলার শ্রেষ্ঠ গরু বারাকাত ওজন ১১শ কেজি মূল্য ১৩ লাখ ক্রেতা খুজচ্ছেন খামারি জিল্লুর

    গীতি গমন চন্দ্র রায় গীতি।স্টাফ রিপোর্টার।।ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জে ৫ নং সৈয়দপুর ইউনিয়নের থুমনিয়া (সাহাপাড়া)গ্রামের রিয়াজুল ইসলামের পুত্র খামারি জিল্লুর রহমান তার নিজ হাতে পালিত ফ্রিজিয়ান গরু যার নাম দিয়েছেন বারাকাত।

    জানা যায়,জিল্লুর রহমান দীর্ঘ ৪ বছর ধরে খুব যত্নের সাথে বারাকাত কে পালন করেন বর্তমানে বারাকাতের ওজন আনুমানিক ১১০০ কেজি।বর্তমানে ঈদের বাজার চলায় জিল্লুর রহমান বারাকাত কে বিক্রয়ের জন্য ঢাকার গাবতলি গরু বাজারে বিক্রির উদ্দেশ্যে ৪ জুলাই ২০২২ সোমবার বারাকাত কে বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে ঢাকা গাবতলী গরু বাজারের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিবেন।

    জিল্লুর রহমানের গরু ঈদ উপলক্ষে কোন সন্মানিত ক্রেতা কিনতে চাইলে ০১৭৩৮৬২৫৯৬৬ গরু খামারি জিল্লুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন।

    এ বিষয়ে গরু ব্যবসায়ী জিল্লুরের সাথে কথা হলে তিনি সাংবাদিক কে জানান আমি বারাকাত কে বিক্রয়ের কোন ক্রেতা ঠাকুরগাঁওযে খুঁজে পাচ্ছি না তাই ৪ জুলাই ঢাকায় নিয়ে যাচ্ছি।কোন সন্মানিত ক্রেতা কিনতে চাইলে আমার ০১৭৩৮৫২৫৬৬ নাম্বারে যোগাযোগ করতে পারেন।

  • হাইপারটেনশন এ্যান্ড রির্সাচ সেন্টার রংপুর এর মাসিক কর্মি সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত

    হাইপারটেনশন এ্যান্ড রির্সাচ সেন্টার রংপুর এর মাসিক কর্মি সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত

    রংপুর থেকে আবু নাসের সিদ্দিক তুহিন।।

    হাইপারটেনশন এ্যান্ড রিসার্চ সেন্টার রংপুর,এর মাসিক কর্মি সমন্বয় সভা গতকাল হাইপারটেনশন এ্যান্ড রিসার্চ সেন্টার মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়েছে ।
    হাইপারটেনশন এ্যান্ড রিসার্চ সেন্টার রংপুর এর সিইও আনোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে উক্ত কর্মি সমন্বয় সভা পরিচালনা করেন হাইপারটেনশন এ্যান্ড রিসার্চ সেন্টার রংপুরের সহকারী ব্যাবস্থাপক তৌয়বুর রহমান।
    বক্তব্য রাখেন হাইপারটেনশন এ্যান্ড রিসার্চ সেন্টার রংপুর এর সিনিয়র মেডিকেল অফিসার ডাঃ কাওছার আহমেদ, সিনিয়র স্টাফ আফসার হোসেন, সহকারী ব্যবস্থাপক হিসাব নুরুন্নবী , পাবলিক রিলেশন অফিসার সাংবাদিক আবু নাসের সিদ্দিক তুহিন।
    মাসিক সমন্বয় সভায় কর্মির দায় দায়িত্ব, পরিস্কার পরিচ্ছন্ন, রোগীর সেবা প্রদান, উঠান বৈঠক, কর্মশালা,মেডিকেল ক্যাম্প,সাইন্টিফিক সেমিনার, সভা,ক্যাম্পইন, কাউন্সিলিং,ঈদ শুভেচ্ছা সহ সময়ের গুরুত্ব নিয়ে আলোচনা করা হয়।
    উল্লেখ্য হাইপারটেনশন এ্যান্ড রিসার্চ সেন্টার রংপুর দীর্ঘ দিন থেকে এরকমভাবে মাসিক কর্মি সমন্বয় সভা, উঠানবৈঠক করে আসছে এ পর্যন্ত ২৯৬ টি উঠানবৈঠক ও জনসচেতনতা মুলক সেমিনার করা হয়েছে।
    হাইপারটেনশন এ্যান্ড রিসার্চ সেন্টার রংপুরে ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপ এর রোগিরা ৫০ টাকা রেজিষ্ট্রেশন করে পরবর্তিতে আজীবন ৪০ টাকার বিনিময়ে নিয়মিত চিকিৎসা সেবা নিতে পারবেন এবং হাইপারটেনশন এ্যান্ড রিসার্চ সেন্টার রংপুর এর প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক ডাঃ মোঃ জাকির হোসেন বিগত ১৩ বছর ধরে নিবন্ধিত রোগিদেরকে ফ্রি চিকিৎসা সেবা দিয়ে আসছেন।

  • পঞ্চগড়ে হাটে পশু বেশি, ক্রেতা কম

    পঞ্চগড়ে হাটে পশু বেশি, ক্রেতা কম

    মোঃ বাবুল হোসেন পঞ্চগড় :
    পঞ্চগড়ের রাজনগর পশুর হাটে একটি উন্নত জাতের ষাঁড় গরু এনেছিলেন সদর উপজেলার কামাত কাজলদিঘী ইউনিয়নের ফুলপাড়ার মাসুদ রানা। তিনি ২২ মণ ওজনের গরুটির দাম হাঁকিয়েছেন ছয় লাখ টাকা। দুইজন ক্রেতা তার গরুটির দাম ৪ লাখ টাকা পর্যন্ত বললেও পরে আর কেউ কাছেও আসেনি। দাম কাঙ্খিত না হওয়ায় তিনি গরুটি বিক্রি না করেই ফিরিয়ে নিয়ে গেছেন।
    শহরের কামাতপাড়া এলাকার খামারি আবু তাহের ১০টি গরু এনেছিলেন। একেকটির ওজন ২০০ কেজিরও বেশি। প্রত্যেকটির দাম চেয়েছিলেন ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা করে। কিন্তু কোন ক্রেতাই তার গরুর দাম ১ লাখ ৫ হাজার টাকার বেশি বলেননি। এই দামে বিক্রি করলে লোকসান গুণতে হবে বলে জানান তিনি।
    দুপুরে পঞ্চগড় শহরের পূর্ব জালাসী এলাকার এই হাটে গিয়ে দেখা যায়, গরু উঠেছে প্রচুর। দূর-দূরান্ত থেকে ক্রেতাও এসেছেন। ক্রেতা-বিক্রেতাদের মধ্যে চলছে গরুর দর-কষাকষিও। কিন্তু দাম বনিবনা না হওয়ায় অধিকাংশ ক্রেতাই সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন সামনের হাটে আসার।
    সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, হাটে এবার মাঝারি আকারের গরু বেশি বিক্রি হচ্ছে। ফলে খামারীরা তাদের বড় আকারের গরু নিয়ে পড়েছেন বিপাকে। অন্যান্য বছর ঈদের আগে ব্যাপারীরা এই হাট থেকে বড় বড় গরু কিনে ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেটসহ দেশের বড় বড় শহরে নিয়ে যান। কিন্তু এবার বাইরের ব্যাপারীরা আসেননি।
    গরু ব্যবসায়ী মুসলিম উদ্দীন বলেন, হাটে বিভিন্ন আকারের পাঁচটি উন্নত জাতের গরু বিক্রি করতে এনেছি। তার মধ্যে মাত্র একটি গরু বিক্রি করেছি। বাইরের ব্যবসায়ী নেই বললেই চলে। আর স্থানীয় ক্রেতারা যে দাম বলছেন সেই দামে গরু বিক্রি করলে গরু প্রতি ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা লোকসান হবে। তাই বাধ্য হয়ে বাকী চারটি গরু ফেরত নিয়ে যাচ্ছি।
    চট্টগ্রাম থেকে এই হাটে গরু কিনতে এসেছেন নেজাম উদ্দীন ব্যাপারী। তার দাবি বিক্রেতারা বেশি দাম হাঁকাচ্ছেন। তিনি বলেন, আমি এই হাটে ৩৫টি গরু কেনার টার্গেট নিয়েছিলাম। কিন্তু দাম বেশি হওয়ায় সেই টার্গেট পূরণ নাও হতে পারে। বিকেল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত ১৫টি গরু কিনেছি।
    হাটের ইজারাদার মোশারফ হোসেন বলেন, হাটে প্রচুর গরুর আমদানি হয়েছে। কিন্তু বিক্রি খুবই কম। কোরবানির পশুর হাট সুষ্ঠুভাবে নিয়ন্ত্রণের জন্য হাটে পুলিশ সদস্যরা রয়েছেন। তাছাড়া জাল টাকা শনাক্তের জন্য হাটের বিভিন্ন জায়গায় কয়েকটি বুথ রয়েছে। এছাড়া অসুস্থ গরুর জন্য হাটে ভ্যাটেরিনারি চিকিৎসক রয়েছে।

  • কোম্পানীগঞ্জে  অটোরিকশা ও পিকআপ সংঘর্ষে নিহত ২

    কোম্পানীগঞ্জে অটোরিকশা ও পিকআপ সংঘর্ষে নিহত ২

    রফিকুল ইসলাম সুমন ( নোয়াখালী)

    নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার চরফকিরা ইউনিয়নের বিজয় নগর এলাকায় মালবাহী পিকআপ ও অটোরিকশা সংঘর্ষে পেয়ারা বেগম (৫৫) এবং মো. মিলন (৪৫) নামের দুই যাত্রী নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও ২ জন। ঘটনায় পিকআপ চালকসহ গাড়িটি আটক করেছে স্থানীয় লোকজন।সোমবার (৪ জুলাই) বিকেল পৌনে ৪টার দিকে চরফকিরা ৬নং ওয়ার্ড বিজয় নগর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

    নিহত পেয়ারা বেগম কোম্পানীগঞ্জের চরএলাহি ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের আলী আহমদের স্ত্রী এবং মো. মিলন কবিরহাট উপজেলার চাপরাশিরহাট ইউনিয়নের আবদুল মান্নানের ছেলে।আহতরা হচ্ছেন-চরএলাহীর সুজা মিয়ার ছেলে আলী আহম্মদ (৬৬) ও চরফকিরা ৫নং ওয়ার্ডের আবদুল হকের ছেলে খোকন (৩০)।

    চরফকিরা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জাহিদুল হক কচি বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, বিকেলে যাত্রী নিয়ে বিজয় নগরের দিকে আসছিল একটি অটোরিকশা। বিকেল পৌনে ৪টার দিকে বিপরীত দিক থেকে ছেড়ে আসা একটি দ্রুতগতির পিকআপভ্যান অটোরিকশাটিকে সামনে থেকে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলে অটোরিকশা যাত্রী মিলন নিহত ও আহত তিনজনকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে আরেক যাত্রী পেয়ারা বেগম মারা যান। আহত দুই জনকে ওই হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

    কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাদেকুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ঘটনায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

  • সেনবাগের মোহাম্মদপুরে প্যানেল চেয়ারম্যান কর্তৃক,বিচার প্রত্যাশী ১ সন্তানের জননীকে প্রাণনাশের হুমকি ও হয়রানির অভিযোগ

    সেনবাগের মোহাম্মদপুরে প্যানেল চেয়ারম্যান কর্তৃক,বিচার প্রত্যাশী ১ সন্তানের জননীকে প্রাণনাশের হুমকি ও হয়রানির অভিযোগ

    রফিকুল ইসলাম সুমন ( নোয়াখালী)

    নোয়াখালীর সেনবাগে ১ সন্তানের জননীর বিবাহ বিচ্ছেদের পর দেনমোহরের টাকা প্রাপ্তিতে বিলম্ব,ভুক্তভোগীকে প্রাননাশের হুমকি ও মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানিসহ নানা অভিযোগ উঠেছে ঐ এলাকার প্যানেল চেয়ারম্যানের প্রতি।এ বিষয়ে সরজমিনে গিয়ে ভুক্তভোগী, তার পরিবার ও মামলা সুত্রে জানা যায়, উপজেলার ৭ নং মোহাম্মদপুর ইউপির ৪ নং ওয়ার্ডস্থ, আসলাম কবিরাজ বাড়ীর রেজাউল হকের মেয়ে রিপনা আক্তার রিপুর সহিত ঢাকার রায়েরবাগ মুজাহিদ নগরের বাসিন্দা আবুল কালাম ভুঞার পুত্র ইকবাল হোসেনের সহিত বিগত ০৪/১২/২০১৬ তারিখে ১০ (দশ) লক্ষ টাকা কাবিনে মুসলিম শরীয়াহ মোতাবেক বিবাহ হয়।বিয়ের পর থেকে ইকবালের পরিবার প্রতিনিয়ত যৌতুকের জন্য রিপুকে মানসিক ও শারিরীক নির্যাতন করতো।বাবার বাড়ী থেকে যৌতুক নিতে অক্ষমতা প্রকাশ করায় গত ০৬/০৯/২০১৯ তারিখে ইকবাল রিপুকে তার বাবার বাড়ীতে রেখে চলে যায়।পরবর্তীতে ২১/১১/২০১৯ তারিখে উকিল নোটিশের মাধ্যমে তালাকনামা পাঠিয়ে দেয়।এসময় রিপু তার সন্তানের ভরনপোষণ ও দেনমোহরস্বত্তের টাকা প্রাপ্তি প্রসঙ্গে জানতে চাইলে, শশুর আবুল কালাম ভুঞা রিপুকে বলেন,তোমাকে আমরা ১ টাকা ও দিবো না। পারলে আদালতে মামলা করে টাকা নিও।এসময় আবুল কালাম আরো বলেন,আমার কাছে টাকা আছে, এদেশের সব আইন- আদালত, চেয়ারম্যান – মেম্বার আমার হাতের মুঠোয় থাকে।আমি যদি তোদের পরিবারকে কুকুরের মতো মেরে লাশ টুকরো টুকরো ও করে ফেলি, তোরা আমার কিছুই করতে পারবি না।

    রিপু তার নায্যপাওনা প্রাপ্তির দাবিতে যৌতুক নিরোধ আইনের ০৩ ধারায় বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ৪ নং আমলী আদালত, নোয়াখালীতে সি, আর ৪১/২০২১ ইং মামলা দায়ের করেন।যা এখনো চলমান রয়েছে। উক্ত মামলায় ইকবাল হোসেন গংরা আপোষ নিস্পতি করবে বলে জামিন নিয়ে আসলে ও অদ্যবধি পর্যন্ত এর কোন সুরাহা তারা করেনি।বরং স্থানীয় প্যানেল চেয়ারম্যান জহির হোসেন স্বপনের সহযোগিতায় ভুক্তভোগীর দেনমোহরের টাকা আত্মসাৎ করার উদ্দেশ্যে ভুক্তভোগীর স্বাক্ষর জাল করিয়া,৩০০ টাকার নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে ( যাহার নং ৯৬১১৩৬০-৬২) ভুয়া টাকা নেওয়ার রশিদ পত্র সৃজন করেন। ভুক্তভোগী রিপুকে টাকা বুঝিয়ে দিয়েছে বলে ছেলে পক্ষ মিথ্যা মামলা দায়ের করেন।পরবর্তীতে উভয় পক্ষের জবানবন্দীতে উক্ত মামলা শুনানী শেষে ইউনিয়ন পরিষদকে তদন্ত প্রতিবেদন পেশ করার নির্দেশ দেন বিজ্ঞ আদালত। এসময় স্থানীয় প্যানেল চেয়ারম্যান জহির হোসেন স্বপন (যাহার স্মারক নং মোহাম্মদপুর ইউপি/ সেনবাগ/ নোয়াখালী /০৫/২০২২,তাং ১৫/০২/২২ ইং)ভুক্তভোগীর স্বাক্ষর জাল করিয়া প্রতিবেদন পেশ করেন। উল্লেখ্য প্যানেল চেয়ারম্যান জহির হোসেন স্বপন বিগত বেশকিছু দিন যাবত মোবাইল ফোনে রিপু ও তার পরিবারের লোকজনকে পথে ঘাটে একা পেলে অপহরণ করবে,হাত পা ভেঙ্গে দিবে, লাশ পেলে দিবে ইত্যাদি বলে বারবার হুমকি প্রদর্শন করে আসছে। বর্তমানে রিপু ও তার পরিবারের সদস্যরা জীবনের নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। রিপনা আক্তার রিপু তার পরিবারের সকলের জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে, দেনমোহরের নায্যপাওনা অতি স্বত্তর বুঝিয়ে পেতে এবং লম্পট স্বৈরাচারী প্যানেল চেয়ারম্যান জহির হোসেন স্বপনের দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তি চেয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, নোয়াখালী জেলা প্রশাসক মহোদয়সহ প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট সকলের নিকট জোর দাবি জানান।এবিষয়ে জানতে চেয়ে যোগাযোগ করতে চাইলে প্যানেল চেয়ারম্যান জহির হোসেন স্বপনের
    মুঠোফোন(০১৮১৯-০৭৮২৩১)বন্ধ পাওয়া যায়।

  • মোংলায় গ্যাসের উদগীরণস্থল পরিদর্শনে জেলা প্রশাসন, দ্রুত ব্যবস্থা নিতে মন্ত্রণালয়ে চিঠি

    মোংলায় গ্যাসের উদগীরণস্থল পরিদর্শনে জেলা প্রশাসন, দ্রুত ব্যবস্থা নিতে মন্ত্রণালয়ে চিঠি

    বায়জিদ হোসেন, মোংলাঃ
    মোংলায় চিংড়ি ঘের থেকে উঠা গ্যাসের উদগীরণস্থল পরিদর্শন করেছেন বাগেরহাট জেলা প্রশাসন। সোমবার বিকেলে মিঠাখালী গ্রামের পূর্বপাড়ার বাসিন্দা দেলোয়ার শেখের চিংড়ি ঘেরের গ্যাসের উদগীরণ সরেজমিন পরিদর্শন করেন বাগেরহাটের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) খন্দকার মোঃ রেজাউল করিম ও জেলা এলজিআরডি’র নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ শরিফুজ্জামান। গ্যাসের উদগীরণস্থল পরিদর্শন করে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) খন্দকার মোঃ রেজাউল করিম বলেন, সেখানে আপতত খুব বেশি একটা ভয়ের কিছু নেই, তবে যদি উদগীরণ বেড়ে যায় সেক্ষেত্রে অবশ্যই ঝুঁকি রয়েছে। তাই উদগীরণস্থল থেকে লাইন টেনে যে রান্নাবান্না করা হচ্ছে সেটি বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে। কারণ এ থেকে দুর্ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। তিনি আরো বলেন, পর্যবেক্ষণে সেখানে গ্যাসের অস্তিত্ব আছে বলে মনে হয়েছে, কারণ বের হওয়া দাহ্য পদার্থে আগুন জ্বলছে। তাই দ্রুত সময়ের মধ্যে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাথে যোগাযোগ করা হচ্ছে। পরিকল্পিতভাবে এ গ্যাসের ব্যবহারের জন্য ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য মঙ্গলবার সকালেই ওই মন্ত্রনালয়ে লিখিত প্রতিবেদনও পাঠানো হবে।
    বাগেরহাট এলজিআরডি’র নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ শরিফুজ্জামান বলেন, ঘটনাস্থলে গ্যাসের অস্তিত্ব আছে। এখন বিশেষজ্ঞরা মাইনিং করে দেখবেন কত নিচে এবং কি পরিমাণ অর্থাৎ কত কিউসেক-মিউসেক গ্যাস রয়েছে। এবং তা লাভজনক হবে কিনা, লাভজনক হলে উত্তোলনের উদ্যোগ নিবেন সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়। এছাড়া এ গ্যাসের উদগীরণ ফোর্স বাড়লে তাতে ঝুঁকিও থাকছে। উল্লেখ্য, প্রায় ৬ বছর ধরেই মোংলার মিঠাখালী ইউনিয়নের এক নম্বর ওয়ার্ডের পূর্বপাড়ার দেলোয়ার শেখের পৌনে তিন বিঘার চিংড়ি ঘের থেকে এই গ্যাসের উদগীরণ হয়ে আসছে। ৬ বছর আগে ঘের মালিক ওই জমি থেকে বালু-মাটি উত্তোলনের জন্য ৬০ ফুট গভীরতার পাইপ বসালেই সেখান থেকে গ্যাস উঠতে থাকে। তখন তা কম হলেও গত সপ্তাহ থেকে তার উদগীরণ বেড়ে গেছে। আগে দুই এক জায়গা থেকে বের হলেও এখন তা সাত আট জায়গা থেকে বের হচ্ছে। বেশি পরিমাণ বের হওয়ায় গত সোমবারে সেখান থেকে লাইন টেনে তা দিয়ে বৃহস্পতিবার থেকে চুলায় রান্না করছেন দেলোয়ার পরিবার।