Category: দেশজুড়ে

  • স্বরূপকাঠিতে পৈত্রিক জমিতে ঘর তুলতে বাধা

    স্বরূপকাঠিতে পৈত্রিক জমিতে ঘর তুলতে বাধা

    আনোয়ার স্বরূপকাঠি প্রতিনিধি //

    স্বরূপকাঠির উত্তর কামারকাঠি এলাকায় সিদ্দিকুর রহমান নামে এক ব্যক্তির পৈত্রিক জমিতে ঘর তুলতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে তার প্রতিবেশীদের বিরুদ্ধে। সিদ্দিকুর রহমান পিরোজপুরে স্বরূপকাঠি উত্তর কামারকাঠি গ্রামের মৃত আমির হোসেন সরদার এর বড় ছেলে।

    ছিদ্দিকুর রহমান গত মঙ্গলবার স্বরূপকাঠি প্রেসক্লাবে লিখিত আকারে এ অভিযোগ করেন তার পৈত্রিক জমিতে ভেঙে পড়া ৫০বছরের পুরানো ঘরটি মেরামত করে গেলে জমির মালিকানা দাবি করে তার প্রতিবেশী আব্দুল রব ,আব্দুল হাই,আব্দুল ওহাব,আরেফিন গংরা বাধা দেয়।

    এ নিয়ে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সাথে সালিশ বৈঠক হলেও সমাধান হয়নি। পরে ছিদ্দিকুর রহমান থানায় অভিযোগ করেন। থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা উভয় পক্ষের উপস্থিতিতে ছিদ্দিকুর রহমানকে ঘর তোলার অনুমতি দেওয়া হয়। এরপর সে ঘর তোলার কাজ অব্যহত রাখলে অভিযুক্তরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মারমুখী অবস্থায় ঘর তুলতে পুনরায় বাধা দেয়। দুইমাস অতিবাহিত হলেও নিজের ঘরটি মেরামত করতে পারছেনা ছিদ্দিকুর রহমান।তাই আসু সমাধানের জন্য পুনরায় স্বরূপকাঠি পৌরসভার মেয়র বরাবর লিখিত অভিযোগ করে তিনি।

    এ বিষয়ে অভিযুক্তরা জানান,আমারা ওয়ারিশ সুত্রে এবং ক্রয় সুত্রে যায়গা পাবো আগে আমাদের যায়গা বুঝিয়ে দেয়া হোক তারপর ঘর তুলতে দিবো তার আগে না।

    পৌরসভার মেয়র গোলাম কবির জানান, জমি সংক্রান্ত জটিতলা থাকতেই পারে এবং একটা সালিসি ব্যবস্থা চলমান একটা ৫০বছরের পুরানো ঘরটি মেরামত করবে পারবেনা এটা অমানবিকতা। এটার পেছনে যারা বুদ্ধিদাতা ইন্ধনদাতা তারাই সমাজের কুচক্রী মহল। কিন্তু যারা ঘর তুলতে বাধা দিয়েছে কাজটা মোটেই ঠিক করেনি।তারা যদি যায়গা পায় সেটা তাদের অন্য যায়গা থেকে বুঝিয়ে দেয়া হবে। তাই বলে ঘর তুলতে বাধা দেয়াটা অমানবিক কাজ করা হয়েছে।

    এ নেছারাবাদ থানা (তদন্ত) অফিসার সোলায়মান হোসেন জানান, অভিযোগ পেয়ে মিমাংসার উভয়কেই ডেকেছিলাম কিন্তু অভিযুক্তারা সেটা মানেনা।এখন তারা যদি স্থানীয় ভাবে সমাধান করতে না পারে তাহলে মহামান্য আদালতের মাধ্যমে সমাধান করতে হবে ।

    বর্তমানে অভিযুক্তরা সিদ্দিকুর রহমান ও তার গংদের বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি প্রদর্শন করছে বলেও জানায় তিনি। তাই ছিদ্দিকুর রহমান ও তার পরিবারের সদস্যরা বর্তমানে নিরাপত্তা হীনতায় ভূগছে বলে জানায়।

  • পল্লীবন্ধু এরশাদ আজীবন গণতন্ত্র ও গণমানুষের কল্যাণে কাজ করেছেন-  জাপা নেতা জাহাঙ্গীর।।

    পল্লীবন্ধু এরশাদ আজীবন গণতন্ত্র ও গণমানুষের কল্যাণে কাজ করেছেন- জাপা নেতা জাহাঙ্গীর।।

    আরিফ রববানী, ময়মনসিংহ
    জাতীয় পার্টির (জাপা) ভাইস চেয়ারম্যান,ময়মনসিংহ মহানগর জাতীয় পার্টির সভাপতি এবং ময়মনসিংহ সদর আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য ও জাতীয় সংসদের বিরোধী দলীয় নেতা বেগম রওশন এরশাদের বিশ্বস্ত আস্থাভাজন জাহাঙ্গীর আহমেদ বলেছেন, পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ আজীবন গণতন্ত্র ও গণমানুষের কল্যাণে কাজ করেছেন। ১৯৯১ সালে ক্ষমতা ছেড়ে দেওয়ার পর থেকে জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত তিনি দেশের রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন।

    বৃহস্পতিবার (১৪ই জুলাই ) সকালে জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান মরহুম হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের ৩য় মৃত্যুবার্ষীকিতে তার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পন,দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় ও কালো পতাকা উত্তোলন কর্মসূচি শেষে জেলা ও মহানগর জাতীয় পার্টি আয়োজিত দোয়া ও আলোচনা সভায় বক্তৃতাকালে তিনি এ কথা বলেন।

    জাতীয় পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আহমেদ বলেন, এরশাদ বাংলাদেশের রাষ্টধর্মকে ইসলাম ধর্ম হিসাবে স্বীকৃতি দেওয়াসহ সব রাজনৈতিক দলের বাধা ও নিষেধ উপেক্ষা করেও পল্লীবন্ধু উপজেলা পদ্ধতি সৃষ্টি করেছেন।

    দেশের মানুষ এখন এর সুফল ভোগ করছে।
    তিনি বলেন, সব রাজনৈতিক দলের বিরোধীতার মুখেও জাতিসংঘে সৈন্য পাঠিয়েছিলেন এরশাদ।
    এখন শুধু সেনাবাহিনী নয়, বাংলাদেশের পুলিশ সদস্যরাও জাতিসংঘ মিশনে গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা রাখছে। দেশের রাজনীতিতে অসাধারণ জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন পল্লীবন্ধু।

    তিনি আরো বলেন, হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ সারা জীবন মানুষের কল্যাণে রাজনীতি করেছেন। খুব অল্প সময়ে তিনি ব্যাপক উন্নয়নের দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছিলেন। পল্লীবন্ধুর দরদী মন সব সময় দেশ ও মানুষের কল্যাণে নিবেদিত ছিল। তিনি সব সময় দেশকে গড়তে স্বপ্ন দেখতেন। আমরা পল্লীবন্ধুর অসমাপ্ত কাজ বাস্তবায়ন করতে কাজ করে যাব। সেই লক্ষে ময়মনসিংহের উন্নয়নের রুপকার, ময়মনসিংহের অহংকার, জাতীয় সংসদের বিরোধী দলীয় নেতা ও পল্লীমাতা বেগম রওশন এরশাদ এমপির নেতৃত্ব জাতীয় পার্টির সাংগঠনিক কার্যক্রম কে আরো শক্তিশালী করতে দলীয় নেতা-কর্মীদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার আহবান জানিয়ে তিনি পল্লীবন্ধুর রুহের মাগফিরাত কামনা করে দেশবাসীর কাছে দোয়া কামনা করেছেন।এসময় তিনি আরো বলেন, জাপাতে কোনো বিভেদ নেই। জাপা এখন আরও শক্তিশালী।

    এসময় তার সাথে জাতীয় পার্টির মাননীয় চেয়ারম্যান এর উপদেষ্টা ও ময়মনসিংহ জেলা জাতীয় পার্টির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ডা, কে আর ইসলাম, জাতীয় পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান ও ময়মনসিংহ মহানগর জাতীয় পার্টির সভাপতি জননেতা জাহাঙ্গীর আহমেদ, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা বিষয়ক সম্পাদক ডা, মুস্তাফিজুর রহমান আকাশ, জেলা জাতীয় পার্টির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মোশারফ হোসেন, কোতোয়ালি জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক ইদ্রিস আলী, ময়মনসিংহ মহানগর জাতীয় পার্টির সিনিয়র সহ-সভাপতি শরিফুল আলম তপন,মহানগর জাতীয় পার্টির সিনিয়র যুগ্ম সাধারন সম্পাদক শরিফুল ইসলাম খোকন, মহানগর জাতীয় পার্টির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ শাহজাহান, জেলা জাতীয় পার্টির সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট আব্দুল কাইয়ুম, ময়মনসিংহ জেলা জাতীয় ছাত্রসমাজের সাবেক সভাপতি শরিফ খান পাঠান মিল্টন, ময়মনসিংহ মহানগর জাতীয় স্বেচ্ছাসেবক পার্টির সভাপতি বাদশা মিয়া, ১২ নং ভাবখালী ইউনিয়ন এর সাবেক ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান রমজান আলী ,মহানগর জাতীয় পার্টির যুগ্ন প্রচার সম্পাদক মমিনুল ইসলাম মানিকসহ জাতীয় পার্টি ও বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

  • ময়মনসিংহে এরশাদের তয় মৃত্যুবার্ষীকি পালন করেছে  জেলা জাতীয় ছাত্র সমাজ।।

    ময়মনসিংহে এরশাদের তয় মৃত্যুবার্ষীকি পালন করেছে জেলা জাতীয় ছাত্র সমাজ।।

    ময়মনসিংহে উপজেলা পদ্ধতির প্রবর্তক ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ এর ৩য় মৃত্যুবার্ষিকী পালন করা হয়েছে।

    বৃহস্পতিবার বিকালে নগরীর ২নং ওয়ার্ড স্টেডিয়াম গেইট এলাকায় জাতীয় ছাত্র সমাজ ময়মনসিংহ জেলা শাখার আয়োজনে এ দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।

    ময়মনসিংহ জেলা জাতীয় ছাত্র সমাজের সভাপতি সাব্বির হোসেন বিল্লাল এরর সার্বিক ব্যবস্থাপনায় আয়োজিত এ মিলাদ মাহফিলে উপস্থিত থেকে প্রয়াত এরশাদের বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকান্ড নিয়ে আলোচনা করেন জাতীয় পার্টির মাননীয় চেয়ারম্যান এর উপদেষ্টা ও ময়মনসিংহ জেলা জাতীয় পার্টির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ডা, কে আর ইসলাম, জাতীয় পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান ও ময়মনসিংহ মহানগর জাতীয় পার্টির সভাপতি জননেতা জাহাঙ্গীর আহমেদ, জেলা জাতীয় পার্টির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মোশারফ হোসেন, ময়মনসিংহ মহানগর জাতীয় পার্টির সিনিয়র সহ-সভাপতি শরিফুল আলম তপন, কোতোয়াালী জাতীয় পার্টির সাধারন সম্পাদক ইদ্রিস আলী,মহানগর জাতীয় পার্টির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ শাহজাহান, জেলা জাতীয় পার্টির সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট আব্দুল কাইয়ুম, ময়মনসিংহ জেলা জাতীয় ছাত্রসমাজের সাবেক সভাপতি শরিফ খান পাঠান মিল্টনসহ জাতীয় পার্টি, যুবসংগতি ও ছাত্র সমাজের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ। পরে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান মরহুম হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের আত্মার মাগফেরাত কামনায় শরীক হয়ে তবারক বিতরণে অংশ নেন ময়মনসিংহ মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এহতেশামুল আলম ও ২নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সারোয়ার হোসেন সুখন সহ মহাজোট নেতৃবৃন্দ।
    উক্ত দোয়া মাহফিলে এ প্রয়াত রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ ও দেশবাসীর সার্বিক মঙ্গল কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।

  • এমপি ফারুক চৌধুরী ও অধ্যক্ষ সেলিম রেজার সংবাদ সম্মেলন: পেটানোর ঘটনা সত্য নয় দাবি

    এমপি ফারুক চৌধুরী ও অধ্যক্ষ সেলিম রেজার সংবাদ সম্মেলন: পেটানোর ঘটনা সত্য নয় দাবি

    নিজস্ব প্রতিবেদক : কলেজ অধ্যক্ষকে পেটানোর ঘটনা সত্য নয় দাবি করেছেন রাজশাহী-১ (তানোর-গোদাগাড়ী) আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব ওমর ফারুক চৌধুরী। একই সঙ্গে নিজে মারপিটের শিকার হননি বলেও দাবি করেছেন গোদাগাড়ী উপজেলার রাজাবাড়ি ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ সেলিম রেজা। বৃহস্পতিবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করে তারা এ দাবি করেন।
    রাজশাহী নগরের নগরীর নিউ মার্কেট এলাকায় এমপি ফারুক চৌধুরীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সেখানে বক্তব্য রাখেন এমপি ফারুক চৌধুরী ও অধ্যক্ষ সেলিম রেজা ছাড়াও মাটিকাটা ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুল আওয়াল রাজু।

    অধ্যক্ষ সেলিম রেজা বলেন, ‘ঈদ উপলক্ষে গত ৭ জুলাই আব্দুল আওয়াল রাজু আমাদের ফোন করে এমপির কার্যালয়ে আসতে বলেন। সেখানে ৭/৮ জন অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষ উপস্থিত হয়। পরে আমাদের অধ্যক্ষ ফোরামের কমিটি গঠন ও অভ্যন্তরীণ অন্যান্য বিষয় নিয়ে নিজেদের মধ্যে বাকবিতন্ডা হয়। এক পর্যায়ে আমাদের মধ্যে ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটে। এ সময় এমপি আমাদেরকে নিবৃত করেন। এছাড়া আর অন্য কোনো ঘটনা ঘটেনি সেখানে।’

    সংসদ সদস্য ওমর ফারুক চৌধুরী বলেন, অধ্যক্ষ ফোরামের অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে গত ৭ জুলাই তার কার্যালয়ে যা ঘটেছে তা বিকৃতি করে উপস্থাপন করা হয়েছে বিভিন্ন গণমাধ্যমে। একটি চক্র ইস্যু তৈরী করার জন্য মিথ্যা তথ্য সরবরাহ করে আমার সম্মানহানী করেছে।

    তিনি আরও বলেন, মূলত ঈদের আগে শুভেচ্ছা বিনিময়র করার জন্য অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষদের ডাকা হয়েছিল। সেখানে অভ্যন্তরীণ কোন্দলে জড়িয়ে পড়ে তারা। বিশেষ করে অধ্যক্ষ আব্দুল আওয়াল রাজু ও অধ্যক্ষ সেলিম রেজার মধ্যে ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটে। পরে আমি গিয়ে তাদের থামায়।

    উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার (৭ জুলাই) রাত ৯টার দিকে রাজশাহী নগরীর থিম ওমর প্লাজায় রাজশাহী-১ (গোদাগাড়ী-তানোর) আসনের সংসদ সদস্য ওমর ফারুক চৌধুরীর বিরুদ্ধে অধ্যক্ষ সেলিম রেজাকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করার অভিযোগ উঠেছে। যা গত মঙ্গলবার জানাজানি হয়। এর পর তা গণমাধ্যমে ছাপা হলে তোলপাড় শুরু হয়।

    বুধবার ঘটনাটি তদন্তে কমিটি গঠন করে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা আতাউর রহমান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মোল্লা মাহফুজ আল-হোসেনকে আহ্বায়ক করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
    বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বুধবার অধ্যক্ষ সেলিম রেজাকে মারধরের ঘটনা জানার পরই বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. মশিউর রহমান এই তদন্ত কমিটি গঠনের নির্দেশ দেন। কমিটিকে যত দ্রুত সম্ভব সরেজমিনে ঘটনা বিস্তারিত জেনে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশনা দেন উপাচার্য।

    নিজস্ব প্রতিবেদক,
    রাজশাহী।

  • মুন্সীগঞ্জ‌ে  টঙ্গীবাড়ী‌তে  উৎসবমুখর পরিবেশে এসএসসি-২০০০ ব্যাসের মিলনমেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে

    মুন্সীগঞ্জ‌ে টঙ্গীবাড়ী‌তে উৎসবমুখর পরিবেশে এসএসসি-২০০০ ব্যাসের মিলনমেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে

    মোঃ‌লিটন মাহমুদ মুন্সীগঞ্জঃ

    “” বন্ধুত্বের টানে,বন্ধুর পানে”” শ্লোগান ধারন করে মুন্সীগঞ্জের টংগীবাড়ীতে এসএসসি- ২০০০ ব্যাচের বন্ধুদের মিলন মেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
    বুধবার( ১৩ জুলাই) সকালে টংগীবাড়ী উপজেলার সোনারং পাইলট মডেল স্কুল মাঠ প্রাঙ্গনে দিনব্যাপী নানা আয়োজনের মধ্যদিয়ে দীর্ঘ ২২ বছর পর প্রথম ২০০০ ব্যাচের শিক্ষর্থীরা একত্রিত হয়।
    সকাল ৮টায় কেক কাটার মধ্যদিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। এরপর পদ্মা নদীতে নৌকাভ্রমণসহ বন্ধুদের নিয়ে নানান আয়োজন শেষে খেলাধুলা, নাচগানের মাধ্যমে বন্ধুরা একে অপরের সঙ্গে আনন্দে মেতো ওঠেন। দীর্ঘদিন যোগাযোগ না থাকায় অনুষ্ঠানে এসে অনেকেই আবেগাপ্লুত হয়ে পরেন।

  • ক্ষেতলালে প্রতিবন্ধী কিশোরীকে  ধর্ষনের চেষ্টায়  ৬৫ বছরের বৃদ্ধ শ্রীঘরে

    ক্ষেতলালে প্রতিবন্ধী কিশোরীকে ধর্ষনের চেষ্টায় ৬৫ বছরের বৃদ্ধ শ্রীঘরে

    এস এম মিলন জয়পুরহাট জেলা প্রতিনিধিঃ

    জয়পুরহাটের ক্ষেতলালে বুদ্ধি প্রতিবন্ধী কিশোরীকে (১৭) ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগে আবুল কাশেম (৬৫) নামের এক বৃদ্ধকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ।

    থানাসুত্রে জানা যায়, গতকাল ১২ই জুলাই বিকেল ৫টায় বুদ্ধি প্রতিবন্ধী ওই কিশোরী নিজ বাড়ির পাশে নানি ও ছোট ভাইয়ের সাথে বসে গল্প করছিল। একপর্যায়ে আসরের আযান দিলে নানি নামায পড়তে বাসায় যায়, সাথে ভুক্তভোগীর ছোট ভাইও চলে যায়। সে সুযোগে প্রতিবন্ধী কিশোরীকে একা পেয়ে প্রতিবেশি আবুল কাশেম (৬৫) বাড়ির পার্শ্বে খড়ের গাদার পিছনে নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করে।
    এসময় ওই প্রতিবন্ধীর চিৎকারে প্রতিবেশীরা তাকে উদ্ধার করে এবং অভিযুক্ত বৃদ্ধ কৌশলে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।

    পরে এবিষয়ে স্থানীয় ভাবে আপোষের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে ভুক্তভোগীর নানি পরদিন বুধবার থানায় অভিযোগ করেন। ওইদিন বিকেল ৫ টায় ক্ষেতলাল থানার এসআই রবিউল ইসলাম সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে উপজেলার ফোঁপরা (সুজাপুর) গ্রামে অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত আসামিকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠান।

    ক্ষেতলাল থানার অফিসার ইনচার্জ রওশন ইয়াদানি জানান, অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ায় অভিযান চালিয়ে আসামিকে গ্রেফতার করা হয়। আজ বুধবার তাকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।

  • বিরামপুরে সাবেক মেয়রের ভাতিজাকে মারপিট, বর্তমান মেয়রের দুই ভাইয়ের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ

    বিরামপুরে সাবেক মেয়রের ভাতিজাকে মারপিট, বর্তমান মেয়রের দুই ভাইয়ের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ

    জাকিরুল ইসলাম,
    দিনাজপুর, প্রতিনিধি:

    দিনাজপুরের বিরামপুর পৌরসভার সাবেক পৌর মেয়র লিয়াকত আলী সরকার টুটুলের ভাতিজাকে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ উঠেছে বর্তমান পৌর মেয়র আককাস আলীর দুই ভাই আবু আসলাম বাবু ও আব্দুর রাজ্জাকের বিরুদ্ধে।

    মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৫টার সময় পৌর শহরের ইসলামপাড়া মহল্লায় বর্তমান মেয়রের বাসভবনের পাশের মোড়ে এ মারপিটের ঘটনা ঘটে।

    এঘটনায় ভুক্তভোগী তাহসিন সালামের বাবা আব্দুস সালাম সরকার থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। সেটি প্রকাশ পায় বুধবার রাতে। তাহসিন সালাম ইসলামিক ইউনিভার্সিটি এন্ড টেকনোলজি (ও.আই.সি) ২য় বর্ষের আবাসিক ছাত্র।

    থানায় করা অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার বিকেলে তাহসিম সালাম মোটরসাইকেল নিয়ে ইসলামপাড়া মহল্লায় ফুফুর বাসায় বেড়াতে যাবার সময় বর্তমান পৌর মেয়রের বাড়ির সামনের মোড়ে পৌঁছিলে মেয়রের দুই ভাই আবু আসলাম বাবু ও আব্দুর রাজ্জাক পৃর্ব শত্রুতার জের ধরে তাহসিম সালামকে মোটরসাইকেলসহ রাস্তায় আটক করে। তাহসিম তার পরিচয় দেবার পর বাবু ও রাজ্জাক রাজনৈতিক কারণে তাহসিমকে এলোপাথারীভাবে মারধর করতে থাকে। এসময় তার মোটরসাইকেল রাস্তায় ফেলে দিয়ে ম্যানিব্যাগ জোরপূর্বক ছিনিয়ে নেয় এবং মোবাইল ফোন ভেঙ্গে ফেলে। প্রাণ বাঁচানোর তাগিদে তাহসিম চিৎকার করলে পথচারী ও স্থানীয়রা তাকে রক্ষা করে। পরে আবু আসলাম বাবু ও আব্দুর রাজ্জাক তাহসিমকে বিভিন্ন ধরনের ভয়-ভীতিসহ প্রাণ নাশের হুমকি দিয়ে চলে যায়। খবর পেয়ে তাহসিমের পিতা আব্দুস সালাম ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে আহত ছেলেকে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন।

    অভিযোগকারী আব্দুস সালাম সরকার জানান, আমার সন্তানদের পড়াশুনা ও ব্যাবসায়ীক কাজে আমি পরিবারসহ ঢাকায় থাকি। গত শনিবার ঈদ করতে আমরা বিরামপুরে আমার বড় ভাই সাবেক পৌর মেয়র আলহাজ্ব লিয়াকত আলী সরকার টুটুলের বাসায় আসি। অতঃপর মঙ্গলবার আমার ছেলে তাহসিম ইসলামপাড়ায় আমার বোনের বাড়িতে যাবার সময় রাজনৈতিক ও পূর্ব শত্রুতার জের ধরে আমাকেসহ আমার পরিবারের লোকজনদেরকে সামাজিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন ও লাঞ্ছিত করার উদ্দেশ্যে আমার ছেলেকে রাস্তায় আটকিয়ে মারধর করেছে। এবিষয়ে আমি থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি, আমি প্রশাসনের নিকট এঘটনার বিচার ও শাস্তি দাবী করছি।

    থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুমন কুমার মহন্ত জানান, অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

    প্রতিনিধি, দিনাজপুর।

  • বিয়ের কথা গোপন রেখে আমেরিকা প্রবাসির সাথে বিয়ের পিঁড়িতে নব বধূ

    বিয়ের কথা গোপন রেখে আমেরিকা প্রবাসির সাথে বিয়ের পিঁড়িতে নব বধূ

    স্টাফ রিপোর্টারঃ- নিরেন দাস

    রাজশাহী: আড়াই বছরের প্রেম এবং বিয়ের কথা গোপন রেখে আমেরিকা প্রবাসি ছেলের সাথে আবারও বিয়ের পিঁড়িতে বসতে যাচ্ছেন নব বধূ।

    জানা গেছে, পাবনা জেলার ফরিদপুর গ্রাম থেকে রাজশাহী সরকারী মহিলা কলেজে ভর্তি হন পুস্পিতা নামের এক যুবতী। এর কিছুদিন পরেই রাজশাহী মহানগরীর মতিহার থানার কাজলা অক্ট্রয় মোড় এলাকার শুভ সরকার নামের এক যুবকের সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে পুস্পিতার।

    আড়াই বছরের প্রেমের সম্পর্ক চলাকালীন সময় তাদের উভয় পরিবারের প্রায় সকল সদস্যের মাঝে বিষয়টি জানাজানি হয়। এতে যুবতীর পরিবার থেকে যুবকের সাথে বিবাহ্রে বিষয়ে মত-বিরোধ দেখা হয়। এরই মধ্যে যুবককে প্রত্যাখানের জন্য যুবতীকে চাপ দেয় তার পরিবাররের লোকজন।

    কিন্তু এই কপোত-কপোতী কেউ কাউকে ছাড়া বাঁচবেনা। তাই তারা সিদ্ধান্ত নেয় প্রেমের ইতি টেনে দ্রুত সময়ের বিবাহ্ করে সংসার শুরু করবে। এমন সিদ্ধান্তের পর তারা কোট ম্যারেজ করেন এবং বিয়ের বিষয়টি গোপন রাখেন।

    গত জুন মাসে পুস্পিতা শুভ’কে জানায়, সে তার বাবার বাড়ি যাবে। ফিরে এসে কোন মন্দিরে ধর্মিয় রিতি মেনে বিবাহ্ সম্পন্ন করে সংসার শুরু করবে।

    হাসিমুখে বিদায় দেয় সঞ্জিব। বাড়ি গিয়ে পুস্পিতা নিয়মিত ফোন দেয় শুভকে। তাদের আলাপ চারিতাও অব্যাহত থাকে।

    হটাৎ ২৮ জুন পুস্পিতা ফোন দেয়া বন্ধ করে দেয় শুভকে। আকাশ ভেঙ্গে পড়ে মাথায়। কি এমন হলো পুস্পিতা ফোন দেয়া বন্ধ করে দিলো ? কোন অসুখ করলো নাতো ? নাকি কোন বিপদ ? বিপদ বলতে তার বাড়ির লোকজন তাকে আটকে দিলো নাকি ? নাওয়া খাওয়া হারাম শুভ’র। সিদ্ধান্ত নিলো পাবনা যাবে শুভ। কারন তার যে কোন উপাই নেই। তাকে জানতেই হবে কি হয়েছে তার স্ত্রী পুস্পিতার ।

    মঙ্গলবার (১২ জুলাই) বিকেলে প্রাইভেটকার ভাড়া করে পাবনায় যায় শুভ। এ সময় তার সাথে ছিলো তার বড় ভাই, ছোট বোন জামাই ও প্রতিবেশি এক ভাই। পাবনা সদরে পুস্পিতার নানার বাড়ি গিয়ে দেখা গেল তাদের সকল আত্নিয়স্বজন সেখানে উপস্থিত রয়েছে।

    পুস্পিতা বাবা জানালেন, আমেরিকা প্রবাসি এক ছেলের সাথে পুস্পিতা আর্শিবাদ হয়ে গেছে। বিয়ের দিন তারিখ ঠিক করা হয়েছে। আর সব কিছুই হয়েছে পুস্পিতার ইচ্ছায়। তখনও বিশ্বাস করতে নারাজ শুভ। সে বলে আমি পুস্পিতার মুখে শুনবো। হাজির করা হলো পুস্পিতাকে।

    পুস্পিতা যা বল্লো তা শুনে সবাই হতভম্ব। সে সাফ জানালো বিয়ে তার নিজের পছন্দেই হচ্ছে। সে যে আড়াই বছর প্রেম করেছে তা তার ভুল ছিলো।

    ওই সময় শুভ পুস্পিতাকে তাদের সম্পর্ক নিয়ে কিছু প্রশ্ন করে, তার জবাবও সে স্বাভাবিক ভাবেই দেয়। শেষে পুস্পিতা শুভ’র উদ্দেশ্যে বলে, তুমি চাইলে আমি বিষ খাবো। তবুও তোমাকে আমি বিয়ে করতে পারবোনা বলে প্রস্থান করে সে।

    এ সময় মেয়ের মা, খালা কান্না জড়িত কন্ঠে বলেন, শুভ তুমি বাবা আমাদের মাফ করে দাও। তুমি যা চাও আমরা দেবো। শুধু মেয়েকে দিতে পারবোনা। একই কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে। শেষ পর্যন্ত অশ্রু বিসর্জনের মধ্য দিয়ে আড়াই বছরের প্রেম, ভালবাসা এবং বিয়ের ইতি টানেন প্রেমিক এবং স্বামী শুভ।

  • রাজশাহী মহানগরীতে কিশোর গ্যাংয়ের হামলায় স্কুল ছাত্র আহত: রামেকে ভর্তি

    রাজশাহী মহানগরীতে কিশোর গ্যাংয়ের হামলায় স্কুল ছাত্র আহত: রামেকে ভর্তি

    স্টাফ রিপোর্টারঃ- নিরেন দাস

    মাদক সেবনের জন্য টাকা প্রয়োজন। আর কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা টাকা চাইলেই তা দিতে হবে। যদি কেউ বলে টাকা নেই অথবা দেয়া যাবেনা, এমন কথা বললেই তার ঠিকানা মেডিকেল।

    সম্প্রতী বুধবার (১৩ জুলাই) ১০০ টাকা না দেয়ায় কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা পিয়াস (১৬) নামের এক স্কুল ছাত্রকে বে-ধড়ক পিটিয়ে আহত করেছে। এ সময় স্থানীয়রা এগিয়ে আসলে তারা পালিয়ে যায়। পরে ওই ছাত্রকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করেন। বর্তমানে সে রামেকের ৮নং ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

    আহত কিশোর পিয়াস, সে মহানগরীর চন্দ্রিমা থানার ছোট বনগ্রাম এলাকার মোঃ আজাদ আলীর ছেলে। সে টি.টি.সি’তে পড়াশোনা করে।

    বৃহস্পতিবার (১৪ জুলাই) দুপুরে আহত কিশোরের ভাই মোঃ রমজান আলী জানান, বুধবার সন্ধা ৭টার দিকে পিয়াস গরুর খাদ্য ভুশি কিনতে হাজরা পুকুর ভাই ভাই স্টোরে যায়। এ সময় কিশোর গ্যাংয়ের প্রধান জনৈক রাকিব আমার ছোট ভাইকে ডেকে ১০০টাকা চায়। পিয়াস টাকা নেই বলে তাকে জানায়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে কিশোর গ্যাংয়ের প্রধান জনৈক রাকিব, জনৈক জিম, রাব্বি, আশিক, ইমন, শুভ, রাকিব(২), সিয়াম সহ ১৪/১৫জন কিশোর স্কুল ছাত্র পিয়াসকে রাস্তা থেকে ধরে নিয়ে যায় হাজরা পুকুর খালেক কানার মাঠে। এরপর সেখানে তারা জিআই পাইপ, চাপাতি, চাকু দ্বারা শরীরের বিভিন্ন স্থানে ব্যপক আঘাত করে। তবে তার মাথার আঘাতগুলি গুরুতর। এরপর স্থানীয়দের সহযোগীতায় পিয়াসকে উদ্ধার করে রামেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে সে রামেকের ৮নং ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

    চিকিৎসা শেষে মহানগরীর চন্দ্রিমা থানায় মামলা করবেন বলেও জানান স্কুল ছাত্রের ভাই রমজান আলী।

    উল্লেখ্য, খালেক কানার মাঠটাই মূলত কিশোর গ্যাংয়ের টর্চার সেল। সেখানে তারা সন্ধার পর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত মাদক সেবন করে এবং টাকা চাইলে তাদের কথা রাখেনা এইরকম লোকজনকে মারধর করে। এভাবেই তারা ভয়ংকর হয়ে উঠছে। দিন দিন বাড়ছে তাদের অপরাধমূলক কর্মকান্ড।

    এ ব্যপারে জানতে চন্দ্রিমা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ এমরান আলীর মুঠো ফোনে একাধিকবার ফোন দেয়া হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। ফলে তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

  • কুমিল্লার দেবিদ্বার এলাহাবাদ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সম্পাদক পদ প্রত্যাশী কে এই  আক্তারুজ্জামান স্বপন?

    কুমিল্লার দেবিদ্বার এলাহাবাদ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সম্পাদক পদ প্রত্যাশী কে এই আক্তারুজ্জামান স্বপন?

    স্টাফ রিপোর্টার

    কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলার এলাহাবাদ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কমিটি নিয়ে চলছে নানা আলোচনা সমালোচনা।
    এরই মাঝে সম্প্রতি ওই ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হলেও অনুষ্ঠান স্থলে কমিটি ঘোষণা করা হয়নি। এতে কর্মীদের মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছে।
    তৃনমুল নেতাকর্মীদের প্রশ্ন অর্থের বিনিময়ে ওই ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের পদ লুফে নিতে চান আক্তারুজ্জামান স্বপন।জনতা ও তৃনমূলে দলের হাইকমান্ডের কাছে প্রশ্ন কে এই আক্তারুজ্জামান স্বপন?

    তিনি তো এই এলাকার বাসিন্দা না? তাহলে কিভাবে এই পদের জন্য তিনি লবিং তদবির করছেন?
    যারা দীর্ঘদিন ত্যাগ স্বীকার করে রাজনীতি করেছেন তাহলে তারা কি বঞ্চিত হবেন?
    তাকে তো এই এলাকায় কখনো রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত হতে দেখা যায়নি?
    আখতারুজ্জামান তো এই এলাকার বাসিন্দা না? তাহলে হঠাৎ করে এসে কিভাবে তিনি সাধারণ সম্পাদক হতে চান? তাছাড়া তাকে নিয়ে জেলা আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দের এতো আগ্রহই বা কেন?
    শেষ পর্যন্ত কি অর্থের বিনিময়ে তিনি সেই পদ পেয়ে যাবেন? স্থানীয় বাসিন্দা সহ আওয়ামী লীগের তৃণমূল নেতা কর্মীদের মাঝে এমন নানা প্রশ্ন এখন ঘুরপাক খাচ্ছে। আর ক্ষোভের জন্ম হচ্ছে।

    অনুসন্ধানে জানা যায়, সাম্প্রতিক সময়ে দেবিদ্বার উপজেলার এলাহাবাদ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলন শেষ হওয়ার পর কমিটি ঘোষণার কথা থাকলেও পরিবেশ পরিস্থিতি অনুকূলে না থাকায় সে সময় কমিটি ঘোষণা করা হয়নি।
    আর এ সুযোগে অর্থের বিনিময়ে আক্তারুজ্জামান ভূঁইয়া স্বপন নামে একজন বহিরাগত ব্যক্তি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের পদটি লুফে নেওয়ার জন্য মরিয়া হয়ে মাঠে নেমেছেন। স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা জানান, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রত্যাশী আখতারুজ্জামান ভূঁইয়া জেলার দাউদকান্দি উপজেলার বাসিন্দা।
    তিনি স্থায়ীভাবে ঢাকায় বসবাস করে আসছেন। তিনি কখনো এলাহাবাদ ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন না। এলাকার মানুষের সাথে নেই কোন সম্পৃক্ততা। সম্প্রতি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সম্মেলনের আগে নিজের ভোটার তালিকা সংশোধন করে মাইগ্রেশনের মাধ্যমে তিনি এলাহাবাদ ইউনিয়নের ভোটার হয়েছেন। বিপুল পরিমাণ অর্থের মালিক এই আখতারুজ্জামানকে নিয়ে অনেক আগ্রহ দেখা যাচ্ছে জেলা আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দের?
    তিনি ওই ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কাউন্সিলর না হলেও তাকে সাধারণ সম্পাদক পদে পদায়িত করার জন্য উঠে পড়ে লেগেছে একাধিক জেলার নেতা। স্থানীয়দের প্রশ্ন তাহলে এর নেপথ্যে কি বিপুল পরিমাণ অর্থ?
    আর অর্থের মালিক হলেই কি দলের এই গুরুত্বপূর্ণ পদ পাওয়া যায়? আখতারুজ্জামানকে নিয়ে এলাহাবাদ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের তৃণমূল নেতাকর্মীদের মাঝে চরম ক্ষোভ এবং বিতর্ক বিরাজ করছে।
    অভিযোগ রয়েছে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সম্মেলনের চার দিন আগে তিনি ভোটার তালিকা সংশোধন করে ওই ইউনিয়নের বাসিন্দা হয়েছেন। রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত না থেকেই ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের পদ লুফে নিতে চাচ্ছেন। তাকে ঐ পদ দেওয়া হলে তৃণমূল নেতাকর্মীদের মাঝে চরম বিভক্তি ক্ষোভ সৃষ্টি হতে পারে। এলাহাবাদ ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইমদাদুল হক বলেন, আখতারুজ্জামান স্বপন এই এলাকার বাসিন্দা নয়, তার জন্মস্থান দাউদকান্দি এলাকায়, সে ঢাকায় বসবাস করে, এলাহাবাদ এলাকায় কখনো আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে তিনি সম্পৃক্ত ছিলেন না, এখন টাকার বিনিময়ে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদ হাতিয়ে নিতে চান, আমরা তাকে কখনো গ্রহণ করবোনা, তাকে এ পদ দেওয়া হলে আমরা গণহারে পদত্যাগ করব।
    একই ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের সভাপতি মোঃ শাজাহান বলেন সম্মেলনের ৮-১০ দিন আগে আখতারুজ্জামান মাইগ্রেশন এর মাধ্যমে এই এলাকার বাসিন্দা হয়েছে। তাকে নিয়ে সিনিয়র নেতৃবৃন্দের আগ্রহ তৃণমূলে ক্ষোভ বাড়াচ্ছে। তাকে কোনভাবেই এই পদ দেওয়া ঠিক হবে না।এ ব্যাপারে আক্তারুজ্জামান স্বপন
    সকল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন আমি এলাহাবাদ ইউনিয়নের বাসিন্দা, অর্থের বিনিময়ে আমি কখনো পদ নিতে আগ্রহী নই,এটা আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার, আমি সাধারণ সম্পাদক পদ প্রত্যাশী হয়েছি, দল যোগ্য মনে করলে আমাকে এই পদ দিবে। এ বিষয়ে কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ম,রুহুল আমিন বলেন, তৃণমূল চায়না এমন কাউকে আমরা পদ দেবো না, অর্থের বিনিময়ে আওয়ামীলীগে কেউ পদ পায় না, যার বিষয় নিয়ে এতো বিতর্ক হচ্ছে তাকে নিয়ে আমরা ভালোভাবে যাচাই-বাছাই করবো এবং কোন প্রকার বিতর্ক থাকলে তাকে পদ দেওয়া হবে না।