Category: দেশজুড়ে

  • বয়সকে হার মানালেন ঠাকুরগাঁওয়ের আরেফা ৬২ তে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন

    বয়সকে হার মানালেন ঠাকুরগাঁওয়ের আরেফা ৬২ তে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন

    ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি ঃ৬২ যেনো কোন বয়সই না তার কাছে। এ বয়সে এসেও স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেছেন তিনি। কথা হচ্ছে ঠাকুরগাঁওয়ের আরেফা কে নিয়ে।
    মাত্র ৪ বছর বয়সে মাকে হারান আরেফা হোসেন। তার পর বয়স যখন আট তখন হারান বাবাকে। পাঁচ বোনের মধ্যে আরেফা ছিল তৃতীয়। অভিভাবক হিসেবে একমাত্র বড় বোন। কিন্তু এতেও ভাগ্যে আসে বিয়োগের বেদনা। অল্প বয়সে বড় বোনের বিয়ে হয়ে যায়। পরে তার বাকি তিন বোনসহ আশ্রয় হয় একটি অনাথ আশ্রমে।

    অনাথ আশ্রম থেকে ভর্তি হন মিশনারি স্কুলে। মাধ্যমিকে পড়াশোনা করার সময় বাংলা একটি সিনেমা দেখেন তিনি। যে সিনেমায় এক এতিম মেয়ে স্বেচ্ছায় মানুষকে সেবা দিচ্ছেন। সে সিনেমা থেকেই স্বপ্ন বুনতেন তিনিও একদিন সেবিকা হবেন। ১৯৭৬ সালে মাধ্যমিক পাস করে রাজশাহীর খ্রিস্টিয়ান মিশন হাসপাতালে ডিপ্লোমা ইন নার্সিং সায়েন্স অ্যান্ড মিডওয়াইফারিতে ভর্তি হন। সেখান থেকে ১৯৮১ সালে শেষ করে ১৯৮২ সালের ৬ জুন ঠাকুরগাঁও মহকুমা হাসপাতালে (বর্তমানে আধুনিক সদর হাসপাতালে) নার্স হিসেবে যোগদান করেন।

    চাকরির দুই বছর পরেই বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হোন তিনি। বছর না যেতেই কোলজুড়ে আসে সন্তান। বেড়ে গেলো আরও দায়িত্ব, কমে গেল সময়। একদিকে সংসারের ব্যস্ততা অন্যদিকে কর্মময় জীবন। এগুলো বাদ দিয়ে আলাদা কোন বিষয়ে মনোনিবেশ হওয়ার সুযোগ ছিল না তার। তবে মনে তার সুপ্ত বাসনা তাড়া করতো উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত হওয়ার। সেই স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিতে আবার শুরু করেন পড়াশোনা। বিএসসি করার জন্য ভর্তি হোন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত মহাখালী সেবা মহাবিদ্যালয়ে। সেখান থেকে স্নাতক শেষ করে ক্ষান্ত হননি তিনি, বরং চাহিদা বেড়েছে মাস্টার্স করার। চলতি বছরের ১৭ জুন অতীশ দীপঙ্কর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাস্টার্স সম্পন্ন করেছেন তিনি। ৬২ বছর বয়সে শিক্ষাগত সনদ অর্জনে যেন উচ্চ শিক্ষার স্বাদ শেষ বয়সে আশ্বাদন করলেন তিনি। এত বয়সে উচ্চ শিক্ষায় সাড়া পড়েছে জেলার শিক্ষার্থীদের মাঝে।

    ঠাকুরগাঁও পৌরসভার ইসলামবাগের বাসিন্দা আরেফা হোসেন। তিন বছর আগে স্বামীকে হারিয়ে বর্তমানে দুই ছেলে সন্তান নিয়ে পরিবার তার। ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে ৩৮ বছরের চাকরিজীবন শেষ করে ঠাকুরগাঁও নার্সিং সায়েন্স অ্যান্ড মিডওয়াইফারি কলেজে অধ্যক্ষ হিসেবে কর্মরত আছেন তিনি।
    আরেফা হোসেন বলেন, আমার জন্ম নওগাঁ জেলায়। সেখানেই আমাদের বাড়ি ছিল। আমরা পাচঁ বোন ছিলাম। ছোট বেলায় মা-বাবা মারা যায়। বড় বোন আমাদের দেখাশুনা করতেন। কিছুদিন পরে বড় বোনের বিয়ে হয়ে যায়। তখন আমাদের দেখাশোনা করার মত কেউ ছিল না। আমিসহ আমরা তিনবোন সেখানে এক অনাথ আশ্রমে থাকা শুরু করি। সেই অনাথ আশ্রমেই সময়টা কেটেছে। এক বদ্ধপরিকর জীবন কেটেছে আমাদের। আর যেহেতু এতিম সেহেতু এর বাইরে আলাদা ভাবে জীবন কাটানোর কোন সুযোগ হয়ে ওঠেনি। ছোটবেলা থেকে সবার মনে বড় হয়ে কিছু হওয়ার ইচ্ছে থাকে। তবে আমার স্বপ্ন বা ইচ্ছেটা ছিল একটু অন্যরকম। যেহেতু মিশনারি স্কুলে পড়াশোনা করেছি সেখানেই থেকেছি। আমি একটি বাংলা সিনেমা দেখেছিলাম। সিনেমায় এক বাবা-মা হারানো মেয়ে মানুষকে সেবা দিচ্ছেন। সেই সিনেমার সেই চরিত্র থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে আমিও মনে মনে ভেবেছিলাম যে আমিও মানুষের সেবা করব। সেবিকা হিসেবে আমিও মানুষের পাশে থাকব। তারপরে নার্সিং কলেজে ভর্তি হয়ে সেখানে পড়াশোনা শেষ করি।

    যখন মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়ে তখন খুব অসহায় হয়ে পরে। সে মানুষ যে পরিবারের হোক বা যতই ধনবান হোক। কথায় আছে স্বাস্থ্যই সম্পদ বা স্বাস্থ্যই সকল সুখের মূল। এ পেশায় থাকাকালীন বিভিন্ন রোগী ও তাদের পাশে দাঁড়ানোর সুযোগ হয়েছে। মানুষ হিসেবে মানুষের পাশে থেকে একজন সেবিকা পেশাটা মহৎ পেশা বলে আমি মনে করছি। যে পেশায় মানুষের খুব কাছ থেকে সহযোগিতা করা যায়।

    তিনি আরও বলেন, আমার ছোটবেলা থেকে স্বপ্ন ছিল উচ্চ শিক্ষা গ্রহণ করার। কিন্তু চাকরির পরে বিয়ে তারপর সন্তান হয়ে যায়। মনে হয়েছিল হয়তো আর উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত হতে পারব না। তবে আমার স্বামী আমার শক্তি জোগান দিয়েছেন। তার অনুপ্রেরণায় আমি উচ্চ শিক্ষা গ্রহণ করতে পারি। তিনি আমাকে বলেছিলেন উচ্চ শিক্ষার যেহেতু সুযোগ আছে তুমি ভর্তি হয়ে যাও। আমি এ বয়সে মাস্টার্স করেছি আমার স্বামীর অনুপ্রেরণায়। যদিও তিনি জানেন আমি মাস্টার্স করছি কিন্তু আমার সফলতা তিনি দেখে যেতে পারেননি। ২০১৯ সালে তিনি মারা গেছেন। আর আমি এ বছরে মাস্টার্স শেষ করে সনদ পেলাম। আসলে জীবন মানে সংগ্রাম। কথায় আছে যে রাধে, সে চুলও বাধে। আমার বড় ছেলে বলে আম্মু তুমি আর আমি একসাথে পিএইচডি করব। তারা অনেক খুশি হয়েছে।

    আরেফা হোসেনের ছোট ছেলে আদিব হোসেন বলেন, আম্মুর সফলতায় আমরা অনেক খুশি। আমরা সন্তান হিসেবে আম্মুকে নিয়ে গর্ববোধ করেছি। আমরা মা-ছেলে একসাথে পিএইচডি করব।

    ঠাকুরগাঁওয়ের জেলা প্রশাসক মাহবুবুর রহমান বলেন, তিনি প্রমাণ করে দিয়েছেন বয়স একটি সংখ্যা মাত্র। যদি স্বপ্ন দেখা যায় আর পরিশ্রম করা হয় তবে সফল হওয়া সম্ভব। আমি তার সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করছি। তিনি যেনো তার অর্জিত শিক্ষা নতুন প্রজন্মের কাছে বিলিয়ে দিতে পারেন।

  • লাশ গোসলের সময় দেখা গেলো পুরুষাঙ্গ কাটা, মৃত্যু নিয়ে রহস্য

    লাশ গোসলের সময় দেখা গেলো পুরুষাঙ্গ কাটা, মৃত্যু নিয়ে রহস্য

    মোঃ বাবুল হোসেন পঞ্চগড় :
    হঠাৎ করেই মারা যান রোস্তম আলী (৫৫) নামের এক ব্যক্তি। মৃত্যুটি স্বাভাবিক মৃত্যুই ধরে নেন এলাকাবাসী। এগিয়েও আসেন সবাই। নির্ধারণ করেন দাফন সূচীও। সব আনুষ্ঠানিকতা শেষে যখন মরদেহ গোসল করাচ্ছিলেন তখন দেখা যায় তার পুরুষাঙ্গ কাটা। এতে মৃত্যু নিয়ে তৈরি হয় রহস্যের গুঞ্জন।
    ঘটনাটি পঞ্চগড় সদর উপজেলার হাড়িভাসা ইউনিয়নের শালুকপাড়া গ্রামের। রোস্তম আলী সেখানকার মৃত আব্দুল হামিদের ছেলে।
    শুক্রবার ভোরে মারা যান রোস্তম আলী। পুরুষাঙ্গ কাটার বিষয়টি জানাজানি হলে স্থানীয়রা পুলিশ খবর দেন। পরে পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে।
    কথা হয় রোস্তম আলীর স্ত্রী আয়না বেগম জানান, তার স্বামী গত ৬ দিন আগে কাউকে না জানিয়েই নিজের পুরুষাঙ্গের অর্ধেক কর্তন করেন। পরে কাপড়ে রক্ত দেখে তাকে জিজ্ঞেস করলে তিনি বিষয়টি জানান। এ কদিন স্থানীয় পল্লী চিকিৎসক দ্বারা চিকিৎসা করানো হয়েছে। তার স্বামী মানসিক বিকারগ্রস্ত ছিলেন বলেও জানান তিনি।
    তিনি বলেন, মান সম্মানের ভয়ে কাউকে জানানো হয়নি। স্থানীয় চিকিৎসকরা হাসপাতালে নিয়ে যেতে বলছিলো, আজকে হাসপাতালে নেয়ার প্রস্তুতিও নিছিলাম। কিন্তু এর আগেইতো মারা গেলে।
    তবে স্থানীয়রা মৃত্যুটি রহস্যজনক দাবি করছেন। তারা বলছেন, নিজে থেকেই কেউ তার পুরুষাঙ্গ কেটে গোপণ রাখবে এটা হতেই পারেনা। তাছাড়া রোস্তম আলী সহজ সরল মানুষ ছিলেন। পরিকল্পিত কোন ঘটনা রয়েছে বলে তার স্ত্রী-সন্তানরা সঠিক চিকাৎসাও করাননি। সঠিক তদন্ত সাপেক্ষে রহস্য উদ্ঘাটনের দাবি জানান তারা।
    পঞ্চগড় সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) দীন মোহাম্মদ বলেন, মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। এঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা দায়েরের কথাও জানান তিনি।

  • কেন্দুয়ায় খেলার মাঠ রক্ষার দাবীতে প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত

    কেন্দুয়ায় খেলার মাঠ রক্ষার দাবীতে প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত

    হুমায়ুন কবির কেন্দুয়া (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি
    নেত্রকোনা জেলার কেন্দুয়ার বলাইশিমুল ইউনিয়নে বাইলশিমুল খেলার মাঠে নির্মাণ করা হচ্ছে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর।
    অপরদিকে শতবর্ষী বলাইশিমুল মাঠটি রক্ষার দাবীতে এলাকাবাসী করছেন দফায় দফায় আন্দোলন।

    শতবর্ষী বলাইশিমুল মাঠটি রক্ষার জন্য শান্তিপূর্ণ আন্দোলন কর্মসূচি হিসেবে শুক্রবার (২২ জুলাই) বিকালে আবারো বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন বলাইশিমুলবাসী।

    স্থানীয় বলাইশিমুল গ্রামের হাবীবুর রহমান মন্ডলের সভাপতিত্বে ও ময়মনসিংহ ব্রহ্মপুত্র সুরক্ষা আন্দোলনের সমন্বয়ক আবুল কালাম আল আজাদের পরিচালনায় প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, শিক্ষাবিদ ছৈয়দ রায়হান উদ্দিন, বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) নির্বাহী কমিটির সদস্য ফরিদুল ইসলাম ফিরোজ, কিশোরগঞ্জ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম জুয়েল, শিক্ষক সাজেদুর রহমান সেলিম, কিশোর পরিবেশ কর্মী দেলোয়ার হোসেন, দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী লোকমা সৃজন সহ স্থানীয় লোকজন বক্তব্য রাখেন।

    বক্তারা বলেন, আশ্রয়ণ প্রকল্পও হোক, আবার খেলার মাঠটিও অক্ষত থাকুক। অর্থাৎ অন্য কোনো স্থানে যেন এই প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হয়।

    এদিকে আশ্রয়ণ প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি কেন্দুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহমুদা বেগম শুক্রবার রাতে বলেন, এখানে ১ একর ৮৭ শতাংশ জমি ওই খেলার মাঠের ৭৬ শতাংশ জায়গা স্থানীয়দের অবৈধ দখলে ছিল। সেই জায়গা দখলমুক্ত করা হয়েছে।
    এছাড়া ২৩ ঘরের পরিবর্তে মাঠের দুইপাশে ১৯টি ঘর নির্মাণ করা হবে। যার ফলে আশ্রয়ণের ঘর নির্মাণে মাঠের কোনো ক্ষতি হবে না।

    তিনি আরো বলেন, জেলা প্রশাসক এবং মুখ্য সচিব মহোদয়ের মাধ্যমে বিষয়টি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করা হলে তিনি এখানেই আশ্রয়ণের ঘর নির্মাণের বিষয়ে সম্মতি জ্ঞাপন করেছেন বলেও তিনি সাংবাদিকদের জানান।

    হুমায়ুন কবির কেন্দুয়া নেত্রকোনা থেকে।

  • শ্যামনগর কাশিমাড়ীতে প্রয়াত ইস্রাফিল হোসেনের দোয়া ও স্মরণ সভা অনুষ্ঠিত

    শ্যামনগর কাশিমাড়ীতে প্রয়াত ইস্রাফিল হোসেনের দোয়া ও স্মরণ সভা অনুষ্ঠিত

    শ্যামনগর (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধিঃ সাতক্ষীরার শ‍্যামনগর উপজেলার কাশিমাড়ীতে ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচি (সিপিপি) এর সদস্য ও বৈদ্যুতিক মিস্ত্রি প্রয়াত ইস্রাফিল হোসেন এর মৃত্যুতে স্মরনসভা, দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

    শুক্রবার (২২শে জুলাই ) বিকেলে কাশিমাড়ী নতুন বাজারে মরহুমের পিতা মোঃ আব্দুল হামিদ মোড়লের সভাপতিত্বে ও বন্ধুমহলের উদ্যোগে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

    অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন হাফেজ মোঃ হাফিজুর রহমান। অনুষ্ঠানের প্রধান মেহমান হিসেবে আলোচনা পেশ করেন সাবেক নায়েবে আমির আলহাজ্ব হযরত মাওলানা মোঃ আব্দুল মজিদ সাহেব মুন্সীগঞ্জ। অন‍্যান‍্যদের মধ‍্যে আলোচনা পেশ করেন প্রাক্তন অধ‍্যক্ষ‍ আলহাজ্ব হযরত মাওলানা এ,ইউ,এম গোলাম বারী, মাওলানা গোলাম রসুল, মুফতি মাওলানা হিজবুল্লা সহ আরও অনেক ওলামায়ে কেরামগন। সমগ্র অনুষ্ঠানে সঞ্চালনায় ছিলেন হাফেজ মাওলানা কামরুজ্জামান। মিলাদ ও দোয়া পরিচালনা করেন আলহাজ্ব মাওলানা এ ইউ এম গোলাম বারী। উক্ত অনুষ্ঠানে মরহুমের পরিবারবর্গ বন্ধু মহল এবং এলাকাবাসী উপস্থিত হয়ে মরহুমের জীবনী সর্ম্পকে আলোকপাত করেন। সেই সাথে তার বিদ্রেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন।

  • পঞ্চগড়ে ট্রাক চাপায় নারীর মৃত্যু

    পঞ্চগড়ে ট্রাক চাপায় নারীর মৃত্যু

    মো; বাবুল হোসেন পঞ্চগড় :
    পঞ্চগড় ট্রাক চাপায় শাহনাজ পারভীন (৪০) নামে এক নারী নিহত হয়েছেন।
    শুক্রবার বিকেলে পঞ্চগড় জেলা শহরের ধাক্কামারা পুরাতন সড়ক ভবনের সামনে এই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত শাহনাজ দিনাজপুর উপশহর এলাকার সুমন ইসলামের স্ত্রী। স্বামীর সঙ্গে শাহনাজ পঞ্চগড়ে একটি বীমা কোম্পানিতে চাকুরি করতেন।
    স্থানীয়রা জানায়, বিকেলে স্বামীসহ মোটরসাইকেল যোগে একটি দাওয়াতে যোগ দেয়ার জন্য পঞ্চগড়ের বাড়ি থেকে রওনা হয় শাহনাজ। যাওয়ার পথে পঞ্চগড় করতোয়া সেতু পাড় হয়ে পুরাতন সড়ক ভবন এলাকায় পৌঁছালে পেছন থেকে একটি ট্রাক তাদের মোটরসাইকেলটিকে ধাক্কা দেয়। এতে পেছন থেকে ছিটকে পড়ে ট্রাকের নিচে চাপা পড়েন শাহনাজ।
    পরে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুরে পাঠালে পথেই তার মৃত্যু হয়।

  • শার্শায় ঘেরে বিষ দিয়ে মাছ মেরে ফেলার অভিযোগ , ১২ লক্ষধিক টাকার৷ মাছের ক্ষতি

    শার্শায় ঘেরে বিষ দিয়ে মাছ মেরে ফেলার অভিযোগ , ১২ লক্ষধিক টাকার৷ মাছের ক্ষতি

    আজিজুল ইসলামঃ যশোরের শার্শা উপজেলার পান বুড়ী গ্রামে একটি ঘেরে বিষ দিয়ে মাছ মেরে ফেলার ঘটনা ঘটেছে। পূর্ব শত্রুতার জের ধরে আহম্মদ আলী গাজি নামের এক মাছ চাষির মাছের ঘেরে বিষ দিয়ে মাছ নিধন করা হয়েছে। এতে আহম্মদ আলীর ১২ লাখ টাকার মতো মাছের ক্ষতি হয়েছে বলে ধারনা করা হচ্ছে।

    এব্যাপারে শার্শা থানা পুলিশকে লিখিত ভাবে জানানো হয়েছে। জানাগেছে, যশোরের শার্শা উপজেলার পানবুড়ি গ্রামের মৃত মান্দার গাজির ছেলে আহম্মদ আলী গাজি দীর্ঘ দিন মাছ চাষ করে আসছেন। সম্প্রতি একই গ্রামের বজলুর রহমানের ছেলে জাকির হোসেনের সাথে তার বিবাদ সৃষ্টি হয়। জাকির হোসেন আহম্মদ আলীকে ২/১ দিনের মধ্যে ঘেরের মাছ মেরে দেবার হুমকি দেয়। এরই জের ধরে বুধবার রাতে জাকির হোসেনের নেতৃত্বে একই গ্রামের হযরত আলীর ছেলে বিল্লাল হোসেন ও ওহাবের ছেলে শরিফুল ইসলাম শরীফ সহ ৫/৬ জন৷ দুর্বৃত্ত আহম্মদ আলীর ঘেরে বিষ ট্যাবলেট দিয়ে ঘেরের সব মাছ মেরে দেন। এর আগেও জাকির হোসেন কয়েক বার আহম্মদ আলীর ঘেরে বিষ দিয়ে মাছ নিধন করেছেন। জাকির হোসেন এলাকার প্রভাবশালী হওয়ায় আহম্মদ আলী সমাজপতিদের দ্বারেদ্বারে ঘুরেও কোন বিচার পাননি বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন।

    এব্যাপারে শার্শা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মামুন খান বলেন, অভিযোগ পেয়েছি, এবিষয়ে তদন্ত করে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

  • ২২ বছর ধরে পতাকা উড়িয়ে ইউরোপীয় রাষ্ট্রে ভ্রমণের দৃষ্টি আকর্ষণ সাইফুলের

    ২২ বছর ধরে পতাকা উড়িয়ে ইউরোপীয় রাষ্ট্রে ভ্রমণের দৃষ্টি আকর্ষণ সাইফুলের

    গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধিঃ
    গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় ২২ ধরে ইউরোপীয় রাষ্ট্রের পতাকা উড়িয়ে ভ্রমণের দৃষ্টি আকর্ষণ করে যাচ্ছে ফুটপাতে ঝালা চানাচুর বিক্রেতা সাইফুল ইসলাম।
    জানা গেছে, উপজেলার রামজীবন ইউনিয়নের নিজপাড়া গ্রামের মৃত নুরুন্নবী প্রামাণিকের ছেলে ঝালা চানাচুর বিক্রেতা সাইফুল ইসলাম দীর্ঘ ২২ বছর ধরে ভ্রমনের আকাঙ্ক্ষায় যুক্তরাষ্ট্রসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশের পতাকা উড়িয়ে দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করছে। বিশেষ করে পহেলা বৈশাখ, দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন দিবসে সাইফুল পতাকা উত্তোলন করে আসছে। পাশাপাশি সমাজের বিভিন্ন ধর্মের নারী ও পুরুষদের নিয়ে মুষ্টির চাল সমিতি গঠন করে তাদের ভাগ্যের পরিবর্তনের চেষ্টা করছে। এছাড়া সমিতির সদস্যদের একত্রিত করে তবারক ও পুরস্কার বিতরণ করেন। এ উপলক্ষে শুক্রবার সকালে রামজীবন ইউনিয়নের ভবানীপুর গ্রামের নয়া মিয়ার বাড়িতে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে বক্তব্য রাখেন, আ’লীগ নেতা বাবুল আহমেদ, সাদেকুল ইসলাম রঞ্জু, হাজী শাখাওয়াত হোসন, সারজিন প্রামাণিক প্রমূখ। পরে সদস্যদের মাঝে নিজ অর্থায়নে ছাতা বিতরণ করা হয়।

  • হরিপুরে বসত ঘরে চেতনা নাশক স্প্রে করে সর্বস্ব লুট

    হরিপুরে বসত ঘরে চেতনা নাশক স্প্রে করে সর্বস্ব লুট

    আনোয়ার হোসেন।।
    হরিপুর (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধি: ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুরে বসতঘরে চেতনানাশক স্প্রে করে নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকারসহ সর্বস্ব লুট করেছে দৃর্বৃত্তরা। উপজেলার ডাঙ্গীপাড়া ইউনিয়নের রনহাট্রা গ্রামের আলহাজ্ব মোঃ আঃ মালেক (জাপান) এর বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
    গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে রনহাট্রা গ্রামের মৃত আলহাজ্ব হিম্মত আলীর ছেলে আলহাজ্ব মোঃ আঃ মালেক (জাপান) এর পরিবারের সদস্যরা রাতের খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। গভীর রাতে দুর্বৃত্তরা জানালা দিয়ে ঘরে চেতনানাশক স্প্রে করে ভিতরে প্রবেশ করে নগদ ২ লক্ষ ২০ হাজার টাকা ও প্রায় ২৫ ভরি স্বর্ণ অলংকারসহ সর্বস্ব লুট করে পালিয়ে যায়। বুধবার সকালে বাড়ির পাশ্বের আত্মীয় স্বজনরা তাদেরকে উদ্ধার করে।
    হরিপুর থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ তাজুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

  • ক্ষেতলালে বিশিষ্ট ব্যবসায়ীর আওয়ামীলীগে যোগদান

    ক্ষেতলালে বিশিষ্ট ব্যবসায়ীর আওয়ামীলীগে যোগদান

    এস এম মিলন জয়পুরহাট জেলা প্রতিনিধিঃ

    জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল পৌর এলাকার শাখারুঞ্জ চৌধুরীপাড়া মহল্লার
    বিশিষ্ট ব্যবসায়ী নজরুল ইসলাম চৌধুরী উপজেলা আওয়ামীলীগের
    দলীয় কার্যালয়ে শুক্রবার (২২ জুলাই) বিকেলে শতাধিক কর্মী
    সমর্থক সহকারে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগে আনুষ্ঠানিকভাবে
    যোগদান করেছেন।
    উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আনোয়ারুজ্জামান তালুকদার
    নাদিমের সভাপতিত্বে ওই সভায় উপস্থিত ছিলেন, জয়পুরহাট জেলা আওয়ামীলীগের
    সদস্য ও উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান তাইফুল ইসলাম তালুকদার,
    উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম সরদার,
    সহ-সভাপতি জিএম মহিউদ্দিন, স্বপন কুমার রায়,পৌর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আনারুল ইসলাম সরদার, আলমপুর ইউনিয়ন
    আওয়ামীলীগের সভাপতি শফিকুল আলম তালুকদার প্রমূখ। উপজেলা
    আওয়ামীলীগের নেত্রীবৃন্দ নজরুল ইসলাম চৌধুরীকে ফুলেল তোড়া
    দিয়ে দলে আনুষ্ঠানিক ভাবে যোগদান করে নেন।

  • আগৈলঝাড়ায় সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামীসহ গ্রেফতার চার

    আগৈলঝাড়ায় সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামীসহ গ্রেফতার চার

    আগৈলঝাড়া থেকে
    বি এম মনির হোসেনঃ-

    বরিশালের আগৈলঝাড়ায় পুলিশ অভিযান চালিয়ে সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামীসহ চারজনকে গ্রেফতার করেছে আগৈলঝাড়া থানা পুলিশ
    আগৈলঝাড়া থানার পুলিশ পরিদর্শক তদন্ত মোঃ মাজহারুল ইসলাম সাংবাদিক দের জানান
    গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার রাতে অভিযান চালিয়ে উপজেলার সোমাইরপাড় গ্রামের আবুল হোসেন বক্তিয়ারের ছেলে মনির বক্তিয়ারকে(৪০) পুলিশ গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃত মনিরের বিরুদ্ধে আদালত চেক প্রতারণা মামলায় ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড এবং ১০লাখ ১৫হাজার ৭শ টাকা জরিমানার রায় প্রদান করেন। রায় ঘোষণার পর থেকেই মনির পলাতক ছিল। অন্যদিকে একই রাতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে উপজেলা সদর থেকে সিআর মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত পলাতক আসামী সমীর মন্ডল, রাংতা গ্রামে অভিযান চালিয়ে সিআর মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত পলাতক আসামী মোহম্মদ মোল্লা এবং বাশাইল গ্রাম থেকে জিআর মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত পলাতক আসামী মজিবর ঘরামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃতদের গতকাল শুক্রবার বরিশাল আদালতে এবং সাজাপ্রাপ্ত মনির বক্তিয়ারকে বরিশাল জেল হাজতে প্রেরন করা হয়েছে।