Category: দেশজুড়ে

  • শৈলকুপায় ইবি ছাত্রীর গোপনে গোসলের ভিডিও ধারণ নিয়ে তোলপাড়

    শৈলকুপায় ইবি ছাত্রীর গোপনে গোসলের ভিডিও ধারণ নিয়ে তোলপাড়

    ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ
    ঝিনাইদহের শৈলকুপার একটি ভাড়া ছাত্রীনিবাসে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া এক শিক্ষার্থীর গোসলের ভিডিও ধারণ করা হয়েছে। এঘটনায় নিরাপত্তহীনতায় থাকা ওই ছাত্রী মঙ্গলবার দুপুরে ইবি প্রক্টরের কাছে লিখিত অভিযোগ করে ভিডিও উদ্ধারের দাবী করেছেন। ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার রাতে শৈলকুপার শেখপাড়া বাজারের একটি ছাত্রীনিবাসে। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অফিস সূত্রে জানা গেছে, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় বর্ষের ওই ছাত্রী সোমবার রাত ৮টার দিকে শেখপাড়া বাজারের ইসলামী ব্যাংক শাখার পেছনের ছাত্রীনিবাসে গোসল করছিলেন। এ সময় শৈলকুপা উপজেলার শেখপাড়া এলাকার এক ছেলে তার গোসলের ভিডিও ধারণ করতে থাকে। ওই ছাত্রী ভিডিও করা দেখে চিৎকার দিয়ে উঠলে অভিযুক্ত ছেলেটি পালিয়ে যায়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ভুক্তভোগী ছাত্রী জানান, আমি যখন গোসল করি, তখন সময় একটা ছেলে বাইরে থেকে লাঠির মাথায় ক্যামেরা বেধে ভিডিও ধারণ করছিল। আমি বুঝতে পারলে সে পালিয়ে যায়। এখন আমি চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। ভিডিওটি উদ্ধার করতে আমি যথাযথ কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছি। এদিকে অভিযোগ উঠেছে, ওই ছাত্রী এবং তার সহপাঠীরা বিষয়টি রাতেই প্রক্টরকে জানালে প্রক্টরিয়াল বডির কেউ ঘটনাস্থলে যাননি। এছাড়া ইসলামী বিশ^বিদ্যালয় থানায় বিষয়টি জানালে তারা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন এলাকাটি তাদের এখতিয়ারের বাইরে। এ বিষয়ে ছাত্রীনিবাসের মালিক তহমিনা খাতুন মঙ্গলবার বিকালে জানান, সোমবার রাতে এমন একটি ঘটনা ঘটেছে। আমরা একটা ছেলেকে সন্দেহ করছি। এখন পুলিশ যদি সহায়তা না করে তবে মেয়েটি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এ বিষয়ে শৈলকুপা থানার ওসি আমিনুল ইসলাম মঙ্গলবার বিকালে জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যয়নরত মেয়েটি ঘটনার পর থেকে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। সে একটি ছেলেকে সন্দেহ করেছে। আমরা বিষয়টি শুনেছি। গোপনে করা ভিডিওটি উদ্ধারের চেষ্টা করছি বলেও ওসি জানান।

    ঝিনাইদহ
    আতিকুর রহমান।

  • ঝিনাইদহ  সমাবেশে শামসুজ্জামান দুদু নির্দলীয় তত্বাবধায়ক সরকার ও ব্যালট ছাড়া  ভোট করা হলে সমুচিত জবাব

    ঝিনাইদহ সমাবেশে শামসুজ্জামান দুদু নির্দলীয় তত্বাবধায়ক সরকার ও ব্যালট ছাড়া ভোট করা হলে সমুচিত জবাব

    ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ
    বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, এ বছর পরিবর্তনের বছর। আগামী বছর দেশের প্রধানমন্ত্রী হবেন দেশ নায়ক তারেক রহমান। যারা এখনো আমাদের উপর হামলা করছেন, মামলা দিচ্ছেন তাদের তো পালানোর কোন জায়গা নেই। তিনি বলেন, নির্দলীয় তত্বাবধায়ক সরকার ও ব্যালটের মাধ্যমে ভোট ছাড়া বিএনপি হাসিনা সরকারের আমলে কোন নির্বাচনে যাবে না। আর এই দুটির কোন একটি নিয়ে টালবাহানা করা হলে সমুচিত জবাব দেওয়া হবে। কারণ এই সরকার ভোট চোর ও পদে পদে মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে। তারা মানুষের সভা সমাবেশে বাধা দেয়, হামলা করে। তারা গনতন্ত্র হরণকারী হিসেবে বিশে^ পরিচিত, তারা কথা বলতে দেয়না। সর্বপরি বর্তমান নির্বাচন কমিশনার হাসিনার আজ্ঞাবহ। তাদের কথাবার্তায় প্রমান হয়েছে এই কমিশন দিয়ে দেশে কোন সুষ্ঠ অবাধ নির্বাচন হবে না। শামসুজ্জামান দুদু মঙ্গলবার বিকালে ঝিনাইদহ শহরের উজির আলী হাইস্কুল মাঠে বিএনপির এক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন। জ¦ালানী তেলের মুল্য বৃদ্ধি, তীব্র লোডসেডিং, হামলা, মিথ্যা মামলায় হয়রানী, ভোলায় দুই ছাত্রদল নেতা হত্যা ও যশোরে সাবেক মন্ত্রী তরিকুল ইসলামের বাড়িতে হামলার প্রতিবাদে ঝিনাইদহ জেলা বিএনপি এই বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করে। ঝিনাইদহ জেলা বিএনপির সভাপতি এড এম মজিদের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক জাহিদুজ্জামান মনার সঞ্চালনে প্রতিবাদ সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক বাবু জয়ন্ত কুমার কুন্ডু, সহ-তথ্য ও গবেষনা সম্পাদক আমিরুজ্জামান খান শিমুল, সাবেক এমপি আব্দুল ওহাব, জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সাজেদুর রহমান পাপপু, বিএনপি নেতা আক্তারুজ্জামান, সাবেক পৌর মেয়র আব্দুল মালেক, এড মুন্সি কামাল আজাদ পাননু, আলমগীর হোসেন আলম, আব্দুল মজিদ বিশ^াস, শাহজাহান আলী ও মাহবুবুর রহমান শেখর প্রমুখ নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন। শামসুজ্জামান দুদু আরো বলেন, এ সরকার ১০ টাকা কেজির চাল খাওয়াতে চেয়েছিল। কিন্তু চালের কেজি এখন ৮০ টাকা। ঘরে ঘরে চাকরীর কথা বলে ঘরে ঘরে অশান্তি সৃষ্টি করেছে। তিনি বলেন এই সরকার কতৃত্বাবাদী ও ফ্যাসিষ্ট সরকার। প্রতিবাদ করলেই তারা রক্ষিবাহিনীর আদলে হামলা করে। ভোলায় দুই ছাত্রনেতাকে হত্যা করেছে। যশোর উন্নয়নের কারিগর সাবেক মন্ত্রী তরিকুল ইসলামের বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করা হয়েছে। বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা অনিন্দ্য ইসলাম অমিতের উপর হামলা ও তার গাড়ি ভেঙ্গেছে। তিনি বলেন, ঝিনাইদহের এই বিশাল জনসমুদ্র বানচাল করতে আওয়ামীলী নিজেরাই নিজেদের অফিসে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে। পথে পথে রামদা বাহিনী মোতায়েন করে সমাবেমস্থলে আসা নেতাকর্মীদের উপর হামলা চালিয়েছে। ঝিনাইদহ জেলা বিএনপির সভাপতি এড এম মজিদ অভিযোগ করেন, আজকের সমাবেশে আসার সময় আ’লীগের রামদা বাহিনী আরাপপুর, ফুরসন্দি ও হামদহসহ বিভিন্ন এলাকায় হামলা চালিয়ে বহু বিএনপি নেতাকর্মীদের আহত করেছে।

    ঝিনাইদহ
    আতিকুর রহমান।

  • আগামি নির্বাচন আওয়ামী লীগের কাছে অগ্নিপরীক্ষাঃএমপি ফারুক চৌধুরী

    আগামি নির্বাচন আওয়ামী লীগের কাছে অগ্নিপরীক্ষাঃএমপি ফারুক চৌধুরী

    আলিফ হোসেন,তানোরঃ
    আগামি জাতীয় সংসদ নির্বাচন আওয়ামী লীগের জন্য অগ্নিপরীক্ষা, এ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে সবার আগে আমাদের ঐক্যর প্রয়োজন। দেশের উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে আওয়ামী লীগ সরকারের কোনো বিকল্প নাই। আগামী জাতীয় নির্বাচনে আবারো আওয়ামী লীগকে সরকার গঠন করতে হলে ঐক্যবদ্ধ আওয়ামী লীগের বিকল্প নেই, অতীতের সব মানঅভিমান ও ভেদাভেদ ভুলে জাতীয় স্বার্থে আমাদের সকলকে ঐক্যবদ্ধ
    হতে হবে, কারণ আগামীর নির্বাচন হবে চ্যালেন্জিং, এ জন্যই কে কি পেলাম আর পেলাম না সেটা নিয়ে ঘরে বসে থাকার সময় নেই। দেশের স্বার্থে, স্বাধীনতা রক্ষার স্বার্থে ও বাঙালী জাতীর জনক বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নে আমাদের এক হয়ে কাজ করতে হবে। কোন কারনে শেখ হাসিনা সরকার না থাকলে আবার দেশে জঙ্গিবাদ কায়েম হবে, আর এটাই বাস্তবতা। দেশে এখন মুশতাকের অনুসারীরা আওয়ামী লীগকে ধ্বংস করতে নানা পরিকল্পনা করছেন। মহামারী করোনা ভাইরাস ও রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধের কারনে বিশ্বের মোড়ল দেশগুলো অর্থনীতিতে তাল মাতাল, তারাও কিভাবে এই মন্দা থেকে মুক্তি পাওয়া যায় সে চিন্তায় বিভোর। আর আমাদের সরকার প্রধান বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও
    জননেত্রী শেখ হাসিনা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। গ্রামীণ দরিদ্র অসহায় মানুষের জন্য প্রতি মাসে ভিজিএফ, ভিজিডি, বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, গর্ভবতী ভাতা, অল্প মুল্যে দেশের প্রায় এক কোটির বেশি পরিবারকে বিশাল ভর্তুকির মাধ্যমে টিসিবির পণ্য দেওয়া, সিটি করপোরেশন ও পৌর এলাকার জন্য ওএমএসের চাউল এবং গ্রামীণ মানুষের জন্য প্রধানমন্ত্রীর খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির আওতায় বিগত কয়েক বছর ধরে দশ টাকা কেজিতে চাউল বিক্রি। অবশ্য এবার সেটাকে ১৫ টাকা কেজি ধরে প্রতিমাসে ৩০ কেজি করে চাউল কিনতে হবে। এতকিছুর পরও আপনারা যদি আওয়ামী লীগের বা শেখ হাসিনার পক্ষে না থাকেন তাহলে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম অন্ধকার দেখবে। জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে আলহাজ্ব ওমর ফারুক চৌধুরী এমপি এসব কথা বলেন। জানা গেছে,৩১ আগষ্ট মঙ্গলবার কামারগাঁ ইউনিয়ন (ইউপি) আওয়ামী লীগ সভাপতি ও চেয়ারম্যান ফজলে রাব্বী ফরহাদের সভাপতিত্বে ও সম্পাদক সুফি কামাল মিন্টুর সঞ্চালনায় এবং কামারগাঁ ইউপি আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে আয়োজিত জাতীয় শোক দিবস-২০২২ উপলক্ষে মাদারীপুর বাজার শেখ রাসেল স্মৃতি সংসদ চত্ত্বরে আয়োজিত দোয়া ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সাংসদ আলহাজ্ব ওমর ফারুক চৌধুরী এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি শরিফ খান।অন্যান্যদের মধ্যে আরো উপস্থিত
    ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাইনুল ইসলাম স্বপন, সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ প্রদীপ সরকার,উপজেলা চেয়ারম্যান লুৎফর হায়দার রশিদ ময়না, ভাইস চেয়ারম্যান সোনিয়া সরদার ও আবু বাক্কার সিদ্দিক , চান্দুড়িয়া ইউপির চেয়ারম্যান ইউপি আওয়ামী লীগ সভাপতি মজিবুর রহমান, পাঁচন্দর ইউপি আওয়ামী লীগের সভাপতি ও চেয়ারম্যান আব্দুল মতিন, বাধাইড় ইউপির চেয়ারম্যান ও ইউপি আওয়ামী লীগের সম্পাদক আতাউর রহমান, মুন্ডুমালা পৌর আওয়ামী লীগের সম্পাদক আমির হোসেন আমিন, উপজেলা যুবলীগের সম্পাদক জুবায়ের ইসলাম, তালন্দ ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান আবুল কাশেম, আলহাজ্ব সাইদুর রহমান সরকার আবু সাইদ, স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহবায়ক শামসুল ইসলাম, জেলা বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগের সভাপতি জিমি কাটার রণি, সম্পাদক ইন্জিনিয়ার মাহাবুর রহমান মাহাম, সাংগঠনিক সম্পাদক মইফুল ইসলাম ও পঙ্কজ কুমার হালদারপ্রমুখ। এদিকে আলোচনা সভা ও দোয়া শেষে দুঃস্থদের মাঝে খাবার বিতরণ করা হয়েছে।

  • পাবনা প্রতিশ্রুতির উদ্যোগে ঢালারচরের উপকারভোগীদের মাঝে গরু বিতরণ

    পাবনা প্রতিশ্রুতির উদ্যোগে ঢালারচরের উপকারভোগীদের মাঝে গরু বিতরণ

    এম এ আলিম রিপনঃ পাবনা জেলার বেড়া উপজেলার ঢালারচর ইউনিয়নের উপকারভোগীদের ২৯-৩০ আগস্ট দুইদিন ব্যাপী গরু পালন বিষয়ক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। পাবনা প্রতিশ্রুতির উদ্যোগে ও বাংলাদেশ এনজিও ফাউন্ডেশনের অর্থায়নে ঢালারচর উচ্চ বিদ্যালয়ের হলরুমে অনুষ্ঠিত ওই প্রশিক্ষণে ইউনিয়নের কাকশিমুল গ্রামের হতদরিদ্র ১৩ জন নারী উপকারভোগী অংশগ্রহন করেন। পরে মঙ্গলবার প্রশিক্ষণের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে ওই গ্রামের হতদরিদ্র ০৮ জন নারী উপকারভোগীদের মাঝে বকনা বাছুর গরু বিতরণ করেন বেড়া উপজেলা সহকারী কমিশনার(ভূমি) রিজু তামান্না । ঢালারচর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কোরবান আলীর সভাপতিত্বে ও পাবনা প্রতিশ্রুতির সহকারী পরিচালক মো. ওয়ালিদ হাসানের স ালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন বেড়া উপজেলা প্রাণীসম্পদ অফিসার ডাঃ মো.মিজানুর রহমান ও উপজেলা সমাজসেবা অফিসার মো.রফিকুল ইসলাম। এ সময় পাবনা প্রতিশ্রুতির পরিচালক মো.মনির হোসেন, অডিট অফিসার কায়নাত রশিদ ও পাবনা প্রতিশ্রুতির ত্রিমোহনী শাখার শাখা ব্যবস্থাক মোস্তাফিজুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, পরবর্তী বাজেট বরাদ্দ প্রাপ্তির পরে প্রশিক্ষণে অংশগ্রহনকারী অপর হতদরিদ্র ৫ জন নারী উপকারভোগীর মাঝে গরু বিতরণ করা হবে।

    ক্যাপশনঃ পাবনা প্রতিশ্রুতির উদ্যোগে মঙ্গলবার বেড়ার হতদরিদ্র ০৮ জন নারী উপকারভোগীদের মাঝে গরু বিতরণ করেন উপজেলা সহকারী কমিশনার(ভূমি) রিজু তামান্না।

    এম এ আলিম রিপন
    সুজানগর(পাবনা)প্রতিনিধি।

  • নওগাঁয় খাদ্যমন্ত্রীর প্রেস ব্রিফিং

    নওগাঁয় খাদ্যমন্ত্রীর প্রেস ব্রিফিং

    নওগাঁ প্রতিনিধি : খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার এমপি বলেছেন আগামী ১লা সেপ্টেম্বর থেকে সারাদেশে ওএমএস ও খাদ্যবান্ধব এবং টিসিবি’র কার্ডহোল্ডারদের মধ্যে নায্যমূল্যে চাল ও আটা বিক্রি কার্যক্রম শুরু করা হচ্ছে। দেশে পর্যপ্ত চাল মজুদ থাকা সত্বেও সম্প্রতি হঠাৎ করে বাজারে চালের মূল্য কেজি প্রতি ৫ থেকে ৬ টাকা পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে। ভোক্তাদের অসুবিধার কখা বিবেচনা করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে সারাদেশে মানবিক এই কর্মসূচী গ্রহন করা হচ্ছে।

    খাদ্যমন্ত্রী মঙ্গলবার বেলা ১১টায় নওগাঁ সার্কিট হাউস মিলনায়তনে খাদ্য বিভাগ আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিং-এ কথা বলেছেন। তিনি বলেছেন ইতিপূর্বে সারাদেশে ৮১৩টি কেন্দ্রে প্রতিদিন ১ মেট্রিক টন করে চাল সরবরাহ করা হতো। আগামী ১লা সেপ্টেম্বর থেকে দেশে ২ হাজার ৩শ ৬৩টি কেন্দ্রে প্রতিদিন ২ মেট্রিক টন করে চাল সরবরাহ করা হবে। এসব কেন্দ্রে টিসিবি’র কার্ডহোল্ডারদের অগ্রাধিকার দেয়া হবে।

    খাদ্যমšী¿ বলেছেন দেশে বর্তমানে ১৯ লক্ষ ৫০ হাজার ৫৩১ মেট্রিক টন খাদ্য মজুদ রয়েছে। খাদ্যশষ্য সংগ্রহ অভিযানের আরও দু’দিন বাঁকী রয়েছে। অর্থাৎ এ দু’দিনে আরও ৫০ হাজার মেট্রিক টন খাদ্য সংগৃহিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। একটি মহল সরকারের ভাবমূর্তি বিনষ্ট করতে সাধারন মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করার লক্ষেই এই অপতৎপরতা চালাচ্ছে। কিন্তু জনবান্ধব সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ষড়যন্ত্রকারীদের সকল অপতৎপরতা নস্যাৎ করে সাধারন মানুষের মুখে হাসি ফুটাতে যার কিছু করা দরকার তার সব কিছু করে যাচ্ছেন।

    খাদ্যমন্ত্রী বলেছেন আগামী ১লা সেপ্টেম্বর থেকে প্রতিটি ওএমএস কেন্দ্রে টিসিবি’র কার্ডধারীদের প্রতি কেজি চাল ৩০ টাকা মূল্যে মাসে দু’বার ৫ কেজি করে চাল দেয়া হবে। টিসিবি’র কার্ড নাই এমন সাধারন মানুষদের এন আই ডি কার্ডের বিপরীতে একই পরিমাণ চাল দেয়া হবে। এ ছাড়াও খাদ্যবান্ধব কর্মসূচীর আওতায় সারাদেশে ৫০ লক্ষ পরিবারকে প্রতি কেজি ১৫ টাকা মূল্যে প্রতি পরিবারকে মাসে ৩০ কেজি করে চাল বিতরন করা হবে। অপরদিকে ঢাকা মহানগরে ৫০টি ট্রাকে উন্মুক্তভাবে চাল বিক্রি করা হবে। ট্র্কাসেল কর্মসূচীতে প্রতিদিন প্রত্যেকটি ট্রাকে ২ মেট্রিক টন করে চাল ওএমএস-এর আওতায় বিক্রি করা হবে বলে প্রেসব্রিফিং এ জানিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী। একই ব্যক্তি যাতে বার বার এসব কর্মসূচীতে চাল আটা সংগ্রহ করতে না পারে সে জন্য টিসিবি কার্ডহোল্ডারদের কার্ডে সীলমোহর দেয়া হবে। অপরদিকে সাধারন ভোক্তাদের জাতীয় পরিচল পত্রে অনুরুপভাবে সীলমোহর প্রদান করা হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

    খাদ্যমন্ত্রী বলেন দেশে চলতি আউশ মওসুমে এ যাবৎকালের সর্বোচ্চ পরিমাণ ধান উৎপাদিত হচ্ছে। একদিকে আউশের পর্যাপ্ত উৎপাদন অপরদিকে বিপুল সংখ্যক মানুষকে ওএমএস এবং খাদ্যবান্ধব কর্মসূচীর আওতায় সম্পৃক্ত করা হচ্ছে। কাজেই বাজারে ইতিমধ্যেই চালের দাম কমতে শুরু করেছে। খুব শীঘ্রই চালের দাম স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে চলে আসবে।

    এ সময় নওগাঁ সদর আ্সনের সংসদ সদস্য ব্যারিষ্টার নিজাম উদ্দিন জলিল জন, মন্ত্রী’র একান্ত সচিব মোঃ শহিদুজ্জামানসহ খাদ্য বিভাগের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।#

    রওশন আরা পারভীন শিলা
    নওগাঁ জেলা প্রতিনিধি

  • বানারীপাড়ায়  বাল্য বিয়ে প্রতিরোধে “মেয়ে আমার অহংকার, আঠারোর আগে বিয়ে নয়” শ্লোগানে তথ্য কার্ড বিতরণ

    বানারীপাড়ায় বাল্য বিয়ে প্রতিরোধে “মেয়ে আমার অহংকার, আঠারোর আগে বিয়ে নয়” শ্লোগানে তথ্য কার্ড বিতরণ

    এস মিজানুল ইসলাম। বিশেষ প্রতিবেদক।।
    সোমবার ২৯ আগস্ট বিকেল ৪ টায় বানারীপাড়া উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চল চাখার ইউনিয়নের কৃষ্ণপুর গ্রামের সেকেন্দার হাওলাদারের বাড়ীর উঠানে কিশোরীদের অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তথ্য কার্ড বিতরণ করা হয়।
    ব্রাক আয়োজিত সামাজিক ক্ষমতায়ন ও আইনী সুরক্ষা কর্মসূচির ৫ নং পল্লী সমাজের কিশোরীদের এ কার্ড প্রদান করা হয়। বাল্য বিয়ে প্রতিরোধে তথ্য কার্ডের শ্লোগান ছিল “মেয়ে আমার অহংকার, আঠারোর আগে বিয়ে নয়”। অভিভাবক, কিশোরী সহ জনসচেতনতার ওই তথ্য কার্ড বিভিন্ন বাড়ীর ফটকে লাগানো হয়। তথ্য কার্ড বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার রিপন কুমার সাহা।
    চাখার ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মোঃ সিদ্দিকুর রহমানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা এনজিও সমন্বয় পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সিনিয়র সাংবাদিক এস মিজানুল ইসলাম, ইউপি সদস্য আব্দুল জলিল খান, প্রকল্পের জেলা ম্যানেজার জয় মালা মন্ডল, সহযোগী অফিসার লিপী ঘরামী প্রমূখ।#

    এস মিজানুল ইসলাম।

  • গোদাগাড়ীর মাটিকাটা ইউপি চেয়ারম্যান সোহেল রানা গনপিটুনি খেয়ে পালিয়ে গেলেন।

    গোদাগাড়ীর মাটিকাটা ইউপি চেয়ারম্যান সোহেল রানা গনপিটুনি খেয়ে পালিয়ে গেলেন।

    নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী : রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলা মাটিকাটা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সোহেল রানা বেশকিছুদিন থেকে একাধারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও গোদাগাড়ী -তানোরের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব ওমর ফারুক চৌধুরীকে নিয়ে বিভিন্ন নেতিবাচক কথা বলাবলি করে আসছেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ও বিভিন্ন স্থানে।

    তিনি বিভিন্ন সংস্থার তালিকাভুক্ত মাদক ব্যবসায়ী। মাদক ব্যবসা করে শূন্য থেকে কোটিপতি হয়েছেন এলাকায় ব্যপক অভিযোগ রয়েছে। গত ২৫ আগষ্ট বিদিরপুর উত্তরা বালিকা বিদ্যালয় মাঠে ১৫ আগষ্টের আলোচনা ও দোয়া অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যের সময় সোহেল চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম, দুর্নীতির কথা বলেন এলাকাবাসী। এসময় এমপি ওমর ফারুক চৌধুরী বলেন, আপনারা যদি মাদক ব্যবসায়ী, চোরাকারবারি কে ২/৫শ টাকা বিনিময়ে ভোট দিয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত করেন তার কাছ থেকে কিভাবে ভাল সেবা পাবেন। তার নিকট হতে চারিত্রিক সনদ কিভাবে নিবেন।

    তিনি চেয়ারম্যান হওয়ার পর পরই নারী কেলেংকারীতে জড়িয়ে পরেন। খোজ নিয়ে জানা যায়, তিনি অনেক আগে থেকেই পর নারীতে আসক্ত। কিছুদিন আগে ছয়টি ভূয়া প্রজেক্ট দেখিয়ে মাটিকাটা ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ২২ লক্ষ টাকা আত্মসাত করেন।

    এটা অন্যান্য ইউপি সদস্যরা জানতে পারলে ইউনিয়ন পরিষদে চাঞ্চল্যকর কর পরিবেশ তৈরি হয়। ইউপি সদস্যরা অভিযোগ করেন এবং সেটা ডিসি অফিসে এখন তদন্তধীন অবস্থায় রয়েছে।
    এসব বিষয়কে কেন্দ্র করে সাধারন জনতা ও দলীয় নেতাকর্মীরা ক্ষিপ্ত হয়ে চেয়ারম্যান সোহেল রানার কাছে জানতে যায় অপপ্রচার গুলো তিনি কেন চালাচ্ছেন। এমতাবস্থায় চেয়ারম্যান সোহেল রানা তার ক্যাডার বাহিনীদের ফোনে ডাকেন। এতে সাধারণ জনগন ও দলীয় নেতাকর্মী ঐক্যবদ্ধ হয়ে চেয়্যারমান সোহেল রানা ও তার ক্যাডার বাহিনীকে গণধোলাই দিলে চেয়ারম্যান সোহেল রানা ও তার ক্যাডাররা পরিষদ থেকে পালিয়ে রক্ষা পান।

    এবিষয়ে গোদাগাড়ী উপজেলার মাটিকাটা ইউপি চেয়ারম্যান সোহেল রানাকে একাধিক বার ফোন দেয়া হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

    নিজস্ব প্রতিবেদক
    রাজশাহী।

  • ইউনিয়ন পর্যায়ে ব্যতিক্রমী উদ্যােগ পটিয়ায় হোল্ডিং ট্যাক্সের টাকায় অবকাঠামো উন্নয়ন

    ইউনিয়ন পর্যায়ে ব্যতিক্রমী উদ্যােগ পটিয়ায় হোল্ডিং ট্যাক্সের টাকায় অবকাঠামো উন্নয়ন

    মহিউদ্দীন চৌধুরীঃ চট্টগ্রামের পটিয়ায় জনগণের পরিশোধিত হোল্ডিং ট্যাক্সের অর্থে গ্রামীণ
    অবকাঠামো উন্নয়ন কাজ শুরু হয়েছে উপজেলার কুসুমপুরা ইউনিয়ন পরিষদে। ওই
    এলাকার ৯টি ওয়ার্ডে জনগণ থেকে আদায়কৃত টাকার বিপরীতে ১৪টি প্রকল্প বাস্তবায়নের কর্মযজ্ঞ শুরু হয়েছে। ব্যতিক্রমী এ আয়োজনকে ঘিওে কুসুমপুরার
    উন্নয়ন নিয়ে নতুন রূপে স্বপ্ন দেখছেন এলাকার জনগণ। পটিয়া উপজেলা নির্বাহী
    কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ আতিকুল মামুনের সঙ্গে পরামর্শ করেই হোল্ডিং ট্যাক্সের অর্থে কুসুমপুরায় চলছে ১৪টি প্রকল্পের কাজ। মঙ্গলবার সকালে কুসুমপুরা ইউনিয়ন পরিষদ মিলনায়তনে আনুষ্ঠানিকভাবে
    মতবিনিময় সভার মাধ্যমে জনসম্মুখে ব্যক্তিক্রমী এ উদ্যোগের বিষয়টি তুলে ধরেন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. জাকারিয়া ডালিম। এসময় উপস্থিত ছিলেন
    ইউনিয়ন পরিষদের সচিব রাজিব কুমার মিত্র, ইউপি সদস্য রওশন আরা রোজি, পারভিন আকতার, আকলিমা আকতার, মো.সালাহ উদ্দিন, মো. নুরুল ইসলাম, খোরশেদ
    আলম, ফজলুল কাদের, জাকির আহমদ প্রকাশ রশিদ, শওকত আকবর, মো. নেজাম উদ্দীন,
    আবদুর রহিম, এম নুরুল ইসলাম।
    চলমান প্রকল্প গুলোর মধ্যে রয়েছে-কুসুমপুরা মাহতাব আকবর সওদাগর সড়ক আরসিসি ঢালাই, কুসুমপুরা গাউছিয়া তৈয়বীয়া মাদ্রাসা সংলগ্ন এইচবিবি সড়ক সংস্কার, থানা মহিরা জোনামা ফকির এইচবিবি সড়ক সংস্কার, কুসুমপুরা ডা:
    সেলিমের বাড়ি সড়ক আরসিসি ঢালাই, বিনানিহারা ফজলুল কাদের হিরু মেম্বারের বাড়ি সড়ক আরসিসি ঢালাই, উত্তর হরিণখাইন আসমত আলী বাড়ি সড়ক এইচবিবি দ্বারা
    নির্মাণ, দক্ষিণ হরিণখাইন আবদুল আলিম সওদারের নতুন বাড়ি সড়ক টাইলস দ্বারা উন্নয়ন, গোরণখাইন ডা: জাফরের বাড়ি সড়ক আরসিসি দ্বারা উন্নয়ন, মনসাগাউছিয়া মুক্তার মসজিদেও চলাচল সড়কের পাশের্^ ড্রেইন নির্মাণ, মনসা আজিম
    মা পুকুর সংযোগ সড়ক আরসিসি ঢালাই, মেহেরআর্টি সেলিম নিজামী সড়ক আরসিসি ঢালাই, দক্ষিণ মনসা মরহুম ফজল আহমদ সড়ক আরসিসি ঢালাই, বিনানিহারা গুন্নু
    মাতব্বরের বাড়ির সম্মুখে সার্বজনীন গভীর নলকূপ স্থাপন, গোরণখাইন হাজী মনির আহমদ মিয়ার বাড়ির সম্মুখে সাবর্জনীন গভীর নলকুপ স্থাপন। মত বিনিময়কালে কুসুমপুরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাকারিয়া ডালিম জানান,
    ‘জনগণের টাকায়-জনগনের উন্নয়ন’ এ শ্লোগান বাস্তবায়ন করতে কুসুমপুরা ইউনিয়নের প্রতিটি ওয়ার্ডে উন্নয়নের কর্মযজ্ঞ শুরু হয়েছে। সব উন্নয়নকাজ দৃশ্যমান হলে কুসুমপুরার চেহারা পাল্টে যাবে। এলাকার সাড়ে ৫ হাজার বাড়ি
    হোল্ডিং ট্যাক্সের আওতায় এসেছে। তাদের কাছ থেকে কর বাবদ নগদ ১২ লাখ ৯০ টাকা আদায় করা হয়েছে এবং বকেয়া রয়েছে প্রায় সাড়ে ৮ লাখ টাকা। পর্যায়
    ক্রমে ইউনিয়নের প্রতিটি পরিবারকে গৃহকরের আওতায় আনা হবে এবং হোল্ডিং ট্যাক্সের অর্থে গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন করা হবে। এজন্য তিনি সকলের
    সহযোগিতা কামনা করেন।

  • গবাদি পশু ও ২টি বসতঘর পুড়ে ছাই, থানায় অভিযোগ দায়ের

    গবাদি পশু ও ২টি বসতঘর পুড়ে ছাই, থানায় অভিযোগ দায়ের

    সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি
    সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে নারিকেলতলা গ্রামে গবাদি পশু ও ২টি বসতঘর পুড়ে ছাইয়ের ঘটনায় ভূমি খোকো মজনু মিয়াকে প্রধান আসামী করে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
    উল্লেখিত, রোববার (২৮ আগস্ট) দিবাগত রাত ৩টার দিকে ওই গ্রামের জহির মিয়ার বাড়িতে এ অগ্নিকা-ের ঘটনা ঘটে। পরে খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট প্রায় আধা ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
    স্থানীয় সূত্রে জানাযায়, রানীগঞ্জ ইউনিয়নের নারিকেলতলা গ্রামের মঈন উদ্দিন মিয়ার ছেলে জহির মিয়ার বসতঘরে রাত ৩টার দিকে তারা আগুন দেখতে পান। তখন আশপাশের লোকজন মিলে আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন। পরে জগন্নাথপুরের ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট এসে প্রায় আধা ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
    বাড়ির মালিক জহির মিয়া বলেন, আমার প্রতিপক্ষ মজনু মিয়ার সাথে দীর্ঘদিন যাবত উক্ত ঘর ও ভূমি নিয়ে আদালতে মামলা মোকদ্দমা চলছে। বর্তমানেও আপিল মামলা নং ৩৯/২১ আদালতে চলমান রয়েছে। উক্ত মজনু মিয়া এলাকায় ভূমি খেকো মামলাবাজ হিসেবে পরিচিত এলাকায় তার বিরুদ্ধে ভূমি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে আদালতে ও থানায় মামলা মোকদ্দমা চলমান রয়েছে। গতবছর আমার ভাইয়ের গাড়িতে আগুন দিয়েছিল। এবার আমার সবকিছু শেষ করে দিয়েছে। আমি রাত ৩টায় আমার গোয়ালঘরে আগুন দেখতে পাই। অসহায় হয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করি। এর মধ্যে গরু বের করতে পারলেও ৪টি ভেড়া ও ঘরের সকল মালামাল পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এতে আমার প্রায় ৩ লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে। আমি এ ঘটনার বিচার চাই।
    জগন্নাথপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মিজানুর রহমান বলেন, আগুন লাগার বিষয়ে জহির মিয়া বাদী হয়ে মজনু মিয়াকে প্রধান আসামী করে অভিযোগ দায়ের করেছেন। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

  • সুনামগঞ্জ জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামীলীগের ৪ জনের  নাম আলোচনায়

    সুনামগঞ্জ জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামীলীগের ৪ জনের নাম আলোচনায়

    কে এম শহীদুল,সুনামগঞ্জ :

    জেলা পরিষদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ক্ষমতাসীন আওযামীলীগের নেতাকর্মীদের
    মাঝে ব্যাপক উৎসাহ ও উদ্দীপনা দেখা দিয়েছে। ইতিমধ্যে অনেকেই প্রার্থী
    হিসেবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে জানান দিচ্ছেন।
    সুনামগঞ্জ জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে দলীয় মনোয়ন পেতে দৌড় ঝাপ
    শুরু করেছেন অনেকেই। তাদের মধ্যে বর্তমান জেলা পরিষদ প্রশাসক ও সাবেক
    চেয়ারম্যান, জেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি আলহাজ্ব নুরুল হুদা
    মুকুট, সাবেক এমপি ও জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আলহাজ্ব মতিউর রহমান,
    সুনামগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক ও জেলা আওয়ামীলীগের সহ-
    সভাপতি ক্লিন ইমেজের রাজনীতিবিদ নোমান বখত পলিন, জেলা আওয়ামীলীগের
    সহ-সভাপতি ও সুনামগঞ্জ জজ কোর্টের পিপি ড. খায়রুল কবির রুমেন প্রমুখ।
    তবে অপর দিকে জেলা বিএনপি’র কোন প্রার্থী জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পদে
    নির্বাচনের উল্লেখযোগ্য নাম এখন পর্যন্ত প্রকাশিত হয়নি। সুনামগঞ্জ জেলা
    পরিষদ নির্বাচনে ১ জন চেয়ারম্যান, ১২ উপজেলায় ১২টি ওয়ার্ডে ১২ সাধারন
    সদস্য এবং মহিলাদের জন্য ১২টি ওয়ার্ডের ৪টি সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদে ৪জন
    নির্বাচিত হওয়ার কথা রয়েছে। জেলার ৮৮টি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, মেম্বার
    ও মহিলা মেম্বার এবং ১২ উপজেলার ১২জন চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা
    ভাইস চেয়ারম্যান এবং ৪টি পৌরসভার ৪জন মেয়র, প্রতিটি ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও
    সংরক্ষিত আসনের মহিলা সদস্যরা ভোটার হিসেবে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ
    করবেন। তবে প্রার্থীরা তাদের ভোট দিতে পারবেন না। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী
    মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার শেষ সময় ১৫ সেপ্টেম্বর। মনোনয়নপত্র বাছাই ১৮ সেপ্টেম্বর,
    প্রত্যাহারের শেষ সময় ২৫ সেপ্টেম্বর এবং প্রতীক বরাদ্দ ২৬ সেপ্টেম্বর এবং
    নির্বাচন অনুষ্ঠিত হইবে ১৭ অক্টোবর ২০২২ইং তারিখে। জেলা পরিষদ নির্বাচনের
    ভোট গ্রহণ করা হবে ইভিএমের মাধ্যমে। অবশ্য সম্প্রতি নির্বাচন কমিশনের
    সঙ্গে সংলাপে অংশ নিয়ে প্রধান বিরোধী দল জাতীয় পার্টি এই নির্বাচন
    ব্যালট পেপারে মাধ্যমে গ্রহনের দাবী জানিয়ে আসছেন। ইভিএমে হলে ভোটে অংশ
    নেবে না বলেও ইসিকে জানিয়েছে জাপা। ২০০০ সালে তৎকালীন সরকার নতুন করে
    জেলা পরিষদ আইন প্রণয়ন করে। এরপর জোট সরকারের আমলে কোনো উদ্যোগ
    গ্রহন করা হয়নি। পরে ২০০৯ সালে আওয়ামীলীগ সরকার পুনরায় ক্ষমতায় আসার পর
    ২০১১ সালে প্রশাসক নিয়োগ দিয়ে জেলা পরিষদের কার্যক্রম পরিচালনা করেন। এরপর প্রথমবারের মতো স্থানীয় এই সরকারে নির্বাচন হয় ২০১৬ সালের ২৯ ডিসেম্বর।
    সে সময় ৬১টি জেলায় (তিন পার্বত্য জেলা বাদে) নির্বাচন হয়েছিল। এর মধ্যে
    ১৯টি জেলায় চেয়ারম্যান প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত
    হয়েছিল। সুনামগঞ্জ জেলা পরিষদ নির্বাচনে বর্তমান জেলা আওয়ামীলীগের
    সাধারন সম্পাদক ব্যারিস্টার এম এনামুল কবির ইমন দলীয় মনোনয়ন পেয়ে ৪২০ ভোট
    পেয়ে বর্তমান জেলা পরিষদের প্রশাসক আলহাজ্ব নুরুল হুদা মুকটের কাছে। ঐ
    নির্বাচনে আওয়ামীলীগের দুই হেভিয়েট প্রার্থীর মধ্যে তুমুল লড়াই হয়েছিল
    এবং বিএনপি’ কিংবা জাতীয় পার্টি ঐ নির্বাচনে অংশ গ্রহন করেনি। তারই
    ধারাবাহিকতায় এবারও তেমনটাই লক্ষ্য করা যাচ্ছে। জেলা পরিষদের মেয়াদ আরও আগেই
    শেষ হলেও আইন সংশোধনসহ অন্যান্য জটিলতার কারণে ভোট নিতে পারেনি
    নির্বাচন কমিশন। স্থানীয় এই সরকারের আইনটি সংশোধনের পর ১৭ এপ্রিল
    স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব মোহাম্মদ তানভীর
    আজম ছিদ্দিকী স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে প্রশাসক বসানো হয়েছিল।
    এতে বলা হয়েছিল, দেশের ৬১টি জেলা পরিষদের মেয়াদ পাঁচ বছর পূর্ণ হওয়ায়
    নির্বাচিত পরিষদগুলো বিলুপ্ত করা হয়েছিল।
    এ অবস্থায় জেলা পরিষদের প্রশাসক নিয়োগের আগে প্রত্যেক জেলা পরিষদের
    প্রশাসনিক ও আর্থিক ক্ষমতা পরিচালনার জন্য প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা অথবা
    ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাদের দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল। জেলা পরিষদের
    প্রশাসক নিয়োগের বিষয়টি যোগ করে জেলা পরিষদ আইনের সংশোধনী চলতি
    বছরের ৬ এপ্রিল সংসদে পাস করা হয়। এরপর সংশোধনীর গেজেট প্রকাশিত
    হয়েছিল ১৩ এপ্রিল।
    জেলা পরিষদ নির্বাচন আইনানুযায়ী, সংশ্লিষ্ট জেলার অধীনে যতগুলো স্থানীয়
    সরকার প্রতিষ্ঠান রয়েছে, সেগুলোর সদস্যরাই জেলা পরিষদ সদস্যদের ভোট দিয়ে
    নির্বাচিত করতেন। অর্থাৎ পৌরসভার মেয়র, কাউন্সিলর, মহিলা কাউন্সিলর, উপজেলা
    পরিষদের চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন পরিষদের
    চেয়ারম্যান, মেম্বার ও মহিলা মেম্বাররা ভোট দিয়ে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, সদস্য ও
    মহিলা সদস্য নির্বাচিত করবেন। সংশোধিত আইনে জেলার প্রতিটি উপজেলাতে
    একজন করে সাধারন সদস্য, ৩টি উপজেলা নিয়ে একটি সংরক্ষিত মহিলা ওয়ার্ডে
    একজন করে মহিলা সদস্য নির্বাচিত হবেন।