Category: দেশজুড়ে

  • কিশোর কিশোরী ক্লাবের সমন্বয়কারী‌দের  টাকা ফেরত ম‌হিলা অ‌ধিদপ্ত‌র

    কিশোর কিশোরী ক্লাবের সমন্বয়কারী‌দের টাকা ফেরত ম‌হিলা অ‌ধিদপ্ত‌র

    আনোয়ার হোসেন।
    স্বরূপকাঠি প্রতিনিধি।।

    উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান নার্গিস জাহানের হস্তক্ষেপে কিশোর কিশোরী ক্লাবের
    সমন্বয়কারী‌দের জাল স্বাক্ষরে তুলে নেয়া টাকা ফিরিয়ে দিলেন মহিলা অধিদপ্তরের কর্মকর্তা সেলিনা বেগম ও হিসাব রক্ষক মো.সরোয়ার হোসেন। গত ১৩ আগষ্ট স্বরূপকাঠি উপ‌জেলার ম‌হিলা অ‌ধিদপ্তরে কি‌শোর কি‌শোরী ক্লা‌বের সমন্বয় কারিদের ভাতার টাকা জাল সাক্ষর করে আত্মসাৎ করেন মহিলা অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা এই শিরোনামে
    বাংলাদেশ বুলেটিন, দৈনিক আজকের সুন্দরবন,এবং একাধিক অনলাইন পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ হওয়ার পর তাদের টাকা ফেরত দিলেন ম‌হিলা অ‌ধিদপ্ত‌রের অ‌ভিযুক্ত ঐ দুই কর্মকর্তা।

    স্বরূপকা‌ঠি পৌরসভা এবং ১০ টি ইউ‌নিয়‌নের সংর‌ক্ষিত আস‌নের একজন ক‌রে নির্বা‌চিত ম‌হিলা জনপ্র‌তি‌নি‌ধি‌কে সমন্বয়কারী হি‌সে‌বে সাম‌য়িক নি‌য়োগ দেয়া হয়। এ‌দের‌কে প্র‌তিমা‌সে ২হাজার টাকা ক‌রে ভাতা দেয়া মহিলা অধিদপ্তর ।

    আর সেই ভাতার টাকা স‌ঠিক ভা‌বে না পাওয়া এবং তা‌দের স্বাক্ষর জাল ক‌রে টাকা উ‌ত্তোলন ক‌রে নেয়ার অ‌ভি‌যোগ ক‌রলে সন্বয়কারীদের বক্তব্য এবং জাল সাক্ষরের তথ্য প্রমান সহ বাংলাদেশ বুলেটিন পত্রিকা সংবাদ প্রকাশ ক‌রে।

    সন্বয়কারীদের ম‌ধ্যে না‌সিমা আক্তার, বিউ‌টি, মারজান, প‌লি, সান‌জিদা আক্তার, হোসনেয়ারা আরো কয়েকজন জানান, আপনাদের পত্রিকায় সংবাদ প্রকা‌শের কার‌নেই আমরা আমা‌দের পা‌রিশ্র‌মিক ফেরত পে‌য়ে‌ছি।

    তারা আরো জানান, স্বরূপকাঠি উপ‌জেলা ম‌হিলা অ‌ধিদপ্ত‌রের স্থায়ী ক‌মি‌টির সভাপ‌তি ও উপ‌জেলা ভাইস চেয়ারম্যান না‌র্গিস জাহা‌নকে আমরা বিষয়টি জানিয়েছিলাম।আপনাদের নিউজ এবং মধ্যস্ততায় তার অ‌ফি‌সে ব‌সে টাকা ফেরত পেয়েছি ।

    তারা আরো ব‌লেন, রে‌ভি‌নিউ স্টা‌ম্পের উপর পূ‌র্বের করা জাল স্বাক্ষ‌রের নি‌চে নতুন করে স্বাক্ষর নি‌য়ে মোট ৪৩২০০ টাকা ফেরত দেয়া হয় আমাদের।

    এ বিষয়ে অ‌ধিদপ্ত‌রের হিসাবরক্ষক স‌রোয়ার হো‌সেন ব‌লেন, একটা সমস্যা হ‌য়ে‌ছি‌লো ত‌বে সেটা আমরা সমন্বয় কারিদের টাকা ফেরত দি‌য়ে সমন্বয় ক‌রে নিয়েছি। কাকে কতো টাকা দিয়েছেন জানতে চাইলে বলে সেটা মোবাইলে বলা যাবেনা সাক্ষাতে বলবো।

    এ বিষয়‌ ম‌হিলা ভাইস চেয়ারম্যান নার‌গিস জাহান বলেন, টাকা ফেরত দি‌য়ে তারা যে অপরাধ করেছে সেটা প্রমান ক‌রে দি‌য়ে‌ছেন। অপরাধ প্রমান হওয়ার পর কি ব্যবস্থা নি‌য়ে‌ছেন জান‌তে চাই‌লে তি‌নি ব‌লেন, টাকা ফেরত দেয় হ‌য়ে‌ছে ত‌বে অ‌ভিযুক্ত‌দের বিরু‌দ্ধে কি ব্যবস্থা নেয়া হবে সেটা উপ‌জেলা চেয়ারম্যানের রয়েছেন মহিলা অধিদপ্তরের উর্ধতন কর্মকর্তা রয়েছে তারা বিষয়টি দেখবেন আশা করি।

  • সাতক্ষীরা বাইপাস সড়কে মস্তক বিহীন চা বিক্রেতার লাশ উদ্ধার

    সাতক্ষীরা বাইপাস সড়কে মস্তক বিহীন চা বিক্রেতার লাশ উদ্ধার

    মো:আজিজুল ইসলাম(ইমরান)
    সাতক্ষীরার বাইপাস সড়ক এলাকায় রাস্তার ধারে জলাশয় থেকে একটি মস্তক বিহীন গলাকাটা লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। বুধবার(৩১ আগস্ট) সকাল ৮ টার দিকে পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে।
    স্থানীয়রা জানিয়েছেন, বুধবার সকাল ৭টার দিকে বাইপাস সড়ক সংলগ্ন মাছের ঘেরের পাশে রাস্তায় তাজা রক্ত ও সেখানে একটি জুতো পড়ে থাকতে দেখা যায়। খোঁজাখুজির এক পর্যায়ে লোকজন পার্শ্ববর্তী জলাশয়ে এক ব্যক্তির গলাকাটা লাশ দেখতে পান। এসময় সদর থানায় খবর দেওয়া হলে পুলিশ এসে ৮টার দিকে ওই লাশ উদ্ধার করে।
    খবর পেয়ে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপার কাজী মনিরুজ্জামান ও সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মীর আসাদুজ্জামান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
    সদর থানার উপপরিদর্শক লোকমান হোসেন জানান, ধারনা করা হচ্ছে দুর্বৃত্তরা তাকে অন্য জায়গা থেকে ধরে এনে বাইপাস সড়কের উপর জবাই করে হত্যার পর লাশ জলাশয়ে ফেলে দিয়েছে।

    সাতক্ষীরা সদর থানার উপপরিদর্শক লোকমান হোসেন জানান, গলাকাটা লাশটি শহরের সুলতানপুরের চা ব্যবসায়ি ইয়াছিন আলীর। নিহতের বয়স আনুমানিক ৩৫ বছর।
    পুরাতন সাতক্ষীরায় তার চায়ের দোকান আছে।

    তবে লাশ উদ্ধার হলেও মাথা পাওয়া যায়নি। বুধবার ভোরের কোন এক সময়ে তাকে জবাই করা হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে একটি জুতা উদ্ধার করা হয়েছে। লাশের ময়না তদন্তের জন্য সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে বলে জানান তিনি।

  • চট্টগ্রাম মমতা মাতৃসদন-২ থেকে চুরি যাওয়া নবজাতক শিশু উদ্ধার অপহরণকারী সহ(৫) আসামি গ্রেফতার

    চট্টগ্রাম মমতা মাতৃসদন-২ থেকে চুরি যাওয়া নবজাতক শিশু উদ্ধার অপহরণকারী সহ(৫) আসামি গ্রেফতার

    মোঃ শহিদুল ইসলাম
    সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টারঃ

    মমতার নবজাতক চুরির ঘটনা প্রেসব্রিফিংয়ে জানাচ্ছেন উপ- পুলিশ কমিশনার (বন্দর জোন) শাকিলা সুলতানা
    .
    আনোয়ারা বার খাইন এলাকা থেকে ভোরের দিকে
    ইপিজেড‌ থানা পুলিশের অভিযানে মূল আসামি শিমু দাশ সহ ৫জন আটক কে করেছেন বলে নবাগত ওসি আব্দুল করিম জানিয়েছেন।

    মঙ্গলবার (৩০আগষ্ট) দুপুরে চট্টগ্রাম নগরীর ইপিজেড থানা এক প্রেসব্রিফিংয়ে বন্দরটিলাস্থ মমতা মাতৃসদন থেকে নবজাতক চুরির ঘটনা প্রসঙ্গ বলেন মূল আসামি শিমু দাশ (শিমু মল্লিক) দীর্ঘদিন ধরে নিঃসন্তান হয়ে পরিবারের মাধ্যমে নির্যাতন ও নিপীড়নের শিকার হচ্ছেন,তা পরিবারের সদস্যদের খুশি করতেই মমতার অফিসার মোঃ মোর্শেদ আলমের সহায়তা পরিকল্পনা করে একদিনের নবজাতক চুরির ঘটনা ঘটিয়েছে।
    এতে তার স্বামী রিমল মল্লিক ও মমতার ম্যানেজার মোঃ মোর্শেদ আলম, সহকারী মমতা মাতৃসদন-২ এর সুপার ভাইজার),২।মোঃ সেলিম (৩৯),মমতা মাতৃসদন-২ এর সিকিউরিটি গার্ড), ৩। মোঃ আবুল কাশেম (৩০),সহ আরো২/৩জন লোক এই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগ/এজাহার দায়ের করেন নবজাতক শিশুর পিতা মোঃ শহিদুল ইসলাম (২৯)। মামলার সূত্রে জানা গেছে, প্রধান আসামি শিমু দাশ, স্বামী রিমল মল্লিক এর গ্রামের বাড়ি আনোয়ারা উপজেলার পূর্ব বারখাইন এলাকায়। এদিকে বাদী(শিশুর) পিতা শহিদুল ইসলাম এর গ্রামের বাড়ি ও আনোয়ারা উপজেলার ৩নং রায়পুর ইউনিয়নে।
    এদিকে অপর এক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের তথ্য দিয়ে এডিসি বন্দর বলেছেন, মমতার স্টাফদের সহায়তা প্রচুর অর্থের বিনিময়ে ঐ শিশুকে চুরি করে আনোয়ারা উপজেলার পূর্ব বারখাইন এলাকায় নিয়ে নিজের সন্তান হিসেবে পরিচিত করে মূল আসামি শিমু দাশ তার শ্বাশুড়ি কে খবর দেয়।
    এব্যাপারে মমতার সিনিয়র সহ- পরিচালক মিসেস স্বপ্না তালুকদার বলেন, আমি খবর পেয়ে থানায় এসে মূল বিষয়টি জেনে ছি। পুলিশ জানায় তার অফিসের স্টাফদের সহায়তা এই চুরির ঘটনা ঘটেছে। তিনি বলেন,কেউ অন্যায় করলে তাকে অবশ্যই আইনের আওতায় আনা হবে।
    বাদী শহিদুল ইসলাম বলেছেন, দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা সহ কঠোর শাস্তির দাবি জানান।
    ইপিজেড থানার ওসি আব্দুল করিম বলেন, থানার সংগীয় ফোর্স সহ দীর্ঘ ৩৫ঘন্টা অভিযানে মূল আসামি শিমু দাশ সহ ৫ সন্দেহজনক আসামিদের আটক করে মামলা নং ২৯/২৯,২০২২ইং দায়ের করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। শিশুটিকে
    তার পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে হয়েছে।

  • টঙ্গীবাড়ীতে যুবলীগ নেতার উপর হামলার  প্রতিবাদে আওয়ামী লীগের প্রতিবাদ সভা

    টঙ্গীবাড়ীতে যুবলীগ নেতার উপর হামলার প্রতিবাদে আওয়ামী লীগের প্রতিবাদ সভা

    মুন্সীগঞ্জ(টঙ্গীবাড়ী )প্রতিনিধি – মুন্সীগঞ্জের টঙ্গীবাড়ী উপজেলার হাসাইল বানারী ইউনিয়নের পদ্মার শাখা নদী থেকে অবৈধ ভাবে মাটি উত্তোলন ও মাদকের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করায় উপজেলা যুবলীগের কার্যকরী সদস্য মীর হোসেন সিকদারের উপর সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে প্রতিবাদ সভা করেছে হাসাইল বানারী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ,যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগের অন্যান্য অঙ্গ সংগঠন।

    হাসাইল বানারী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল হাওলাদার এর সভাপতিত্বে ও ১ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহিন দেয়ানের সঞ্চালনায় মঙ্গলবার বিকেল ৪ঃ৩০ মিনিটে দাতারা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠ প্রাঙ্গনে এ প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

    এ সময় প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল হালিম শেখ।
    প্রতিবাদ সভায় উপস্থিত ছিলেন হাসাইল বানারী ইউনিয়ন আওয়ামী নেতা,বাবু সিকদার,কাইয়ুম শেখ,আজগর মেলকার,সালাম মেলকার,সাবেক আওয়ামী লীগ নেতা মালেক শেখ,ইব্রাহিম ঢালী, ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক জিএম ইকবাল,ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুল দেওয়ান,সাধারণ সম্পাদক নিশাদ মেলকার সহ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ,যুবলীগ, ছাত্রলীগ সহ অন্যান্য অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

    উল্লেখ্য গত (২০ আগস্ট ২০২২) পদ্মা নদী থেকে অবৈধ ভাবে মাটি উত্তোলন ও মাদকের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করায় টঙ্গীবাড়ী উপজেলা যুবলীগের কার্যকরী সদস্য মীর হোসেন সিকদারের উপর হাসাইল বানারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বিএনপি নেতা নুরুজ্জামান দেওয়ান ও তার ছেলে ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাফিউর দেওয়ান গংরা হামলা চালিয়ে আহত করে।

  • তারাকান্দায় ইউএনও’র সহযোগীতা পেয়ে খুশী বিশ্ববিদ্যালয় চান্সপ্রাপ্ত মেধাবী শিক্ষার্থী আকাশ

    তারাকান্দায় ইউএনও’র সহযোগীতা পেয়ে খুশী বিশ্ববিদ্যালয় চান্সপ্রাপ্ত মেধাবী শিক্ষার্থী আকাশ

    ষ্টাফ রিপোর্টারঃ
    বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার স্বপ্ন পূরণে দারিদ্র্যকে বাঁধা হতে দেয়নি রিকশা চালকের ছেলে মেধাবী শিক্ষার্থী তারাকান্দা উপজেলার কাকনী ইউনিয়নের আকাশের। স্বপ্ন পূরণে তার পাশে দাঁড়িয়েছেন মানবিক উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিজাবে রহমত।

    ইউএনও মিজাবে রহমত এর সহযোগিতায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্সপ্রাপ্ত পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগে ভর্তি হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মেধাবী শিক্ষার্থী আকাশ মিয়া। সে তারাকান্দা উপজেলার কাকনী ইউনিয়নের বাশতলা গ্রামের এক দরিদ্র পরিবারের সন্তান। তার বাবার নাম আব্দুল বারেক। বাবা রিকশা চালিয়ে কোন রকম সংসার চালায় । বর্তমানে তিনি শারিরীকভাবে কাজ করতে অনেকটাই অক্ষম। অভাব অনটনের সংসারে কষ্ট করে নিজের স্কুল-কলেজের গন্ডি পেরিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা দিয়ে পদার্থ বিজ্ঞান বিষয়ে চান্স পেয়েছেন আকাশ।তবে অর্থাভাবে তার বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়ার স্বপ্ন অনিশ্চিত হয়ে পড়ে। এমন দুঃখ-দুদর্শার মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার স্বপ্ন থেকে পিছু হটার উপক্রম মেধাবী এই শিক্ষার্থীর।

    দরিদ্র পরিবারের দারিদ্র্যকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পাওয়ায় উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে অভিনন্দনসহ আর্থিক সহযোগিতা প্রদান করেছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিজাবে রহমত। এ সময় উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এডভোকেট ফজলুল হক, উপজেলা কৃষি অফিসার, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা, উপসহকারী পাট উন্নয়ন কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।

    এ ব্যাপারে মেধাবী শিক্ষার্থী জানান, দরিদ্র পিতা-মাতার অভাব অনটনের সংসারে অনেক কষ্ট করে আমাকে লেখাপড়া করতে হয়েছে। স্কুল জীবন থেকেই স্বপ্ন ছিল বিশ্ববিদ্যালয় পড়বো। স্বপ্ন পূরণের সেই সুযোগ পেয়েছি। তবে এ দুঃসময়ে ইউএনও স্যার পাশে এসে না দাঁড়ালে, সহযোগিতার হাত না বাড়ালে হয়তো আমার দীর্ঘদিনের লালিত স্বপ্ন স্বপ্নই থেকে যেতো। আমি ইউএনও মিজাবে রহমত স্যার এর নিকট চিরকৃতজ্ঞ। ভবিষ্যতে আমি প্রশাসন ক্যাডারের একজন কর্মকর্তা হয়ে পরিবারের হালধরার পাশাপাশি দেশের জন্য কাজ করতে চাই। তবে এখনো অনেকটা পথ যেতে হবে। এ জন্য প্রয়োজন অনেকের সহযোগিতা।

    উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিজাবে রহমত বলেন, অর্থাভাবে একটি মেধাবী ছেলের সুন্দর ভবিষ্যত এবং স্বপ্ন কখনো নষ্ট হতে পারে না। আমরা যারা সমাজের দায়িত্বশীল জায়গায় রয়েছি সমাজের প্রতি আমাদের অনেক দায়িত্ব এবং কর্তব্য রয়েছে। সেই দায়িত্ববোধ থেকে গরিব মেধাবী শিক্ষার্থী আকাশকে বিশ্ববিদ্যালয় পড়ার সুযোগ করে দিতে তার পাশে দাঁড়িয়েছি। সে দেশের স্বনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়ার সুযোগ পেয়েছে। এটা জেনে উপজেলা নির্বাহী অফিসার হিসাবে নিজেকে ধন্য মনে করছি। তবে লক্ষে পৌছানোর জন্য তার অনেক সহযোগিতার প্রয়োজন। এ বিষয়ে আমি স্থানীয় অনেককেই তার পাশে দাঁড়ানোর জন্য অনুরোধ জানিয়েছি।

    উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিজাবে রহমত বলেন, তার যে আর্থিক অবস্থা ভাল নেই এটা কোন বাধা না, মনোবলটাই আসল। তার উচ্চ শিক্ষা চালিয়ে যেতে সব রকম সহযোগিতা করা হবে।

    তাছাড়া মাননীয় গৃহায়ণ ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ এমপি মহোদয়ও তার জন্য সকল প্রকার সহযোগিতা দেয়ারও প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন।

  • জিয়াউর রহমানের প্রত্যক্ষ ষড়যন্ত্রে  বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করা হয়েছিল-সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী

    জিয়াউর রহমানের প্রত্যক্ষ ষড়যন্ত্রে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করা হয়েছিল-সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী

    সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ এমপি বলেছেন, কথিত আছে যে রাজধানী ঢাকার চন্দ্রিমা উদ্যানে জিয়াউর রহমানকে সমাহিত করা হয়েছে। কিন্তু তার মৃতদেহ কেউ দেখেনি। সেখানে জিয়া নাকি অন্য কোন মানুষ বা প্রাণিকে সমাহিত করা হয়েছে এ নিয়ে সবার মাঝে সংশয় রয়েছে। তাই বেগম জিয়ার কাছে আমার প্রশ্ন আপনি স্বামী ভেবে কাকে শ্রদ্ধা জানান? সেখানে কি জিয়ার মৃতদেহ রয়েছে নাকি অন্য কোন পরপুরুষের। এ বিষয়ে আশু বিজ্ঞানভিত্তিক তদন্ত হওয়া জরুরি। বেগম খালেদা জিয়াকে এ তদন্ত কমিটির প্রধান করা যেতে পারে। আমরা এ ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করবো।

    সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য অফিসার
    ফয়সল হাসান এর প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানা গেছে-
    প্রতিমন্ত্রী বুধবার (৩১আগষ্ট)সকালে রাজধানীর বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর এর নলিনীকান্ত ভট্টশালী প্রদর্শনী গ্যালারিতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এঁর ৪৭তম শাহাদতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস-২০২২ উপলক্ষ্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগিতায় বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর আয়োজিত স্বেচ্ছায় রক্তদান এবং বিনামূল্যে রক্তের গ্রুপ ও ডায়াবেটিক পরীক্ষা কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য প্রদানকালে এ প্রশ্ন রাখেন।

    বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর পর্ষদ এর সভাপতি অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ আবুল মনসুর ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তৃতা করেন বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর এর মহাপরিচালক মোঃ কামরুজ্জামান।

    প্রধান অতিথি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ’র তত্ত্বাবধানে জিয়াউর রহমানের প্রত্যক্ষ ষড়যন্ত্রে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছিল। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু জানতে পেরেছিলেন তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হচ্ছে কিন্তু তিনি স্বপ্নেও ভাবতে পারেননি কোন বাঙালি তাঁকে হত্যা করতে পারে। সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যে যারা ছিল তাদের খুঁজে বের করতে কমিশন গঠন করা হচ্ছে। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন যে কমিশন কাজ শুরু করলে জিয়াউর রহমান, আ স ম আবদুর রব, কর্ণেল তাহের, কবি আল মাহমুদ সহ যারা বঙ্গবন্ধু হত্যার নেপথ্যে ছিল বা এর ক্ষেত্র প্রস্তুত করেছিল তাদের মুখোশ জাতির সামনে উন্মোচিত হবে।

    বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সংস্কৃতি বিষয়ক সচিব মোঃ আবুল মনসুর বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর আজীবন সংগ্রাম ও আত্মত্যাগের বিনিময়ে আমরা বাংলাদেশ নামক একটি স্বাধীন সার্বভৌম ভূখণ্ড পেয়েছি। স্বেচ্ছায় রক্তদানকে একটি মানবিক, আত্মত্যাগ ও সেবামূলক কাজ উল্লেখ করে সচিব বলেন, এর মাধ্যমে রক্ত দানকারীদের মধ্যে বৃহৎ আত্মত্যাগের অনুপ্রেরণা সৃষ্টি হবে এবং মানবিক মানুষ হিসাবে পথচলাকে সুগম করবে।

  • ত্রিশালে রাত ৮টার পর মার্কেট বন্ধে ইউএনও’র  অভিযানে ৩ মামলায় জরিমানা ৩১হাজার

    ত্রিশালে রাত ৮টার পর মার্কেট বন্ধে ইউএনও’র অভিযানে ৩ মামলায় জরিমানা ৩১হাজার

    ষ্টাফ রিপোর্টারঃ
    ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলায় বিভিন্ন বাজারের অনেক দোকানি রাত ৮ টার পর দোকান বন্ধ করার সরকারি নির্দেশ অমান্য করে। এমন অসঙ্গতির খবর পেয়ে মঙ্গলবার (৩০শে আগস্ট) রাতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আক্তারুজ্জামান এর নেতৃত্বে বাজারে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান চলে। এ সময় ৩টি দোকান দোকানকে একত্রিত হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। অপর দিকে অতিরিক্ত বৈদ্যুতিক বাতি ব্যবহারের মাধ্যমে বিদ্যুৎ অপচয় না করার জন্য কয়েক দোকানকে মৌখিকভাবে সতর্ক করে দেন ইউএনও। এসময় তিনি ডিজেল,কেরোসিন,সয়াবিনসহ দ্রব্যমুল্যের নিয়ন্ত্রণে রাখতেও নির্দেশনা দেন।

    ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান দেখে বাজারের অন্যান্য দোকানিরা শাটার বন্ধ করে পালিয়ে যায়। ম্যাজিস্ট্রেট আক্তারুজ্জামান বাজারের ব্যবসায়ীদের সতর্ক করে দেন।

    জানা গেছে, সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক রাত ৮ টার পরে ত্রিশাল উপজেলার বাজারে শপিংমল, দোকানপাট ও আলোকসজ্জা বন্ধের লক্ষ্যে মঙ্গলবার অভিযান চালানো হয়। অভিযানে আরো অংশ নেন ত্রিশালে কর্মরত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য ও বিদ্যুতের কর্মকর্তাগণ।

    উপজেলা নির্বাহী অফিসার আক্তারুজ্জামান বলেন, সরকার বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে যত্নবান হওয়ার জন্য রাত ৮টার পর সকল দোকানপাট, বিপণিবিতান বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। সেই সঙ্গে অতিরিক্ত আলোকসজ্জা না করারও নির্দেশ দিয়েছেন। কিন্তু ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো সেই নির্দেশ উপেক্ষা করে নির্ধারিত সময়ের পরও দোকানপাটগুলো খোলা রাখছে এবং কোন কোন দোকানে অতিরিক্ত অরোকসজ্জা ব্যবহার করে যাচ্ছে। এ সংবাদ পেয়েই তিনি অভিযানে নেমেছেন। তিনি আরো জানান, সরকার ঘোষিত নির্দেশনা বাস্তবায়নে এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।

  • স্বরপকাঠিতে যুবলীগ ছাত্রলীগের বাঁধায় বিএনপির সমাবেশ পন্ড

    স্বরপকাঠিতে যুবলীগ ছাত্রলীগের বাঁধায় বিএনপির সমাবেশ পন্ড

    স্বরপকাঠি (পিরোজপুর) প্রতিনিধি,

    যুবলীগ ও ছাত্রলীগের বাঁধার মুখে স্বরূপকাঠিতে বিএনপির সমাবেশ পন্ড। বিএনপির প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে সমাবেশের আয়োজন করে স্বরূপকাঠি উপজেলা বিএনপি ও সহযোগী সংগঠন। নেতা কর্মীরা সমাবেশ স্থালে আসতে শুরু করলে ছাত্রলীগ যুবলীগ কর্মীরা বাঁধা দেয় ফলে নেতা কর্মিরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায় এবং সমাবেশে অংশগ্রহণ না করে ফিরে যেতে বাধ্য হয়।

    বুধবার সকালে উপজেলা সদরের জগন্নাথকাঠি দক্ষিণপাড় বন্ধরে দলীয় কার্যালয়ে প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে সমাবেশের আয়োজন করা হয়। স্বরূপকাঠি পৌর বিএনপির সভাপতি মো. শফিকুল ইসলাম ফরিদের সভাপতিত্বে সমাবেশে শুরু হওয়ার পূর্বেই তারা সরকার বিরোধী স্লোগান দিতে শুরু করলে যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা বাধা দেয়ায় সমাবেশে আগত লোকজন ছোটাছুটি শুরু করে।

    এদিকে সমাবেশে যোগদান করতে পিরোজপুর জেলা বিএনপির আহবায়ক আলমগীর হোসেন বেশকিছু নেতাকর্মী ট্রলার যোগে ওই সমাবেশে যোগদান করতে যাওয়ার পথে যুবলীগ নেতা শহীদুল ইসলাম রিপনের নেতৃত্বে, সোহেল আহমেদ, মোঃ সোহেল পারভেজ, স্বেচ্ছাসেবক লীগের শহিদুল ইসলাম মিন্টু, স্বরুপকাঠী উপজেলা ছাত্রলীগের নেতা অনিক আচার্য্য, শ্যামল দত্ত, এবং পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি মিঠুন আচার্য্য অনুজ, তানভীর সজিব বিএনপির সমাবেশ কে প্রতিহত করে।

    ছাত্রলীগ নেতা অনিক বলেন, ৭৫ এর ১৫ই আগষ্ট, ১৭ই আগষ্ট সারাদেশে সিরিজ বোমা হামলা, ২১ ই আগষ্ট গ্রেনেড হামলা করে জননেত্রী শেখ হাসিনা আপাকে হত্যার চেষ্টা, নিহত আইভি রহমান সহ অসংখ্য নেতাকর্মী এই শোকের মাসে শহীদ হয়েছেন। তাই বিএনপির কোন প্রোগ্রাম কে মেনে নিতে পারছিলো না ছাত্রলীগ, যুবলীগ এবং স্বেচ্ছাসেবকলীগের নেতাকর্মীরা এ জন্য তাদের উপর চড়াও হয়ে তাদের প্রতিহত করে ছত্রভঙ্গ করে বিএনপির প্রোগ্রাম বাঞ্চাল করে দেওয়া হয়।পরে আমরা শহীদুল ইসলাম এর নেতৃত্বেে বিক্ষোভ মিছিল বের করি।

    স্বরূপকাঠি উপজেলা প্রতিনিধি।।

  • বঙ্গবন্ধু, প্রধানমন্ত্রী ও সজিব ওয়াজেদ জয়কে নিয়ে কটুক্তি করায় রাজশাহীতে তথ্য প্রযুক্তি আইনে মামলা

    বঙ্গবন্ধু, প্রধানমন্ত্রী ও সজিব ওয়াজেদ জয়কে নিয়ে কটুক্তি করায় রাজশাহীতে তথ্য প্রযুক্তি আইনে মামলা

    এস এম মিলন জয়পুরহাট জেলা প্রতিনিধিঃ

    বঙ্গবন্ধু,গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী, বাংলাদেশ ও আওয়ামীলীগের সভাপতি শেখ হাসিনা ও সজীব ওয়াজেদ জয় কে নিয়ে সোশাল মিডিয়া ফেসবুকে মানহানীকর কটুক্তি করায়,জয়পুরহাট জেলার সাংবাদিক আঃ রাজ্জাক বাদী হয়ে রাজশাহী সাইবার ট্রাইব্যুনালে আদালতে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে আইনজীবী মামুনুর রশীদ জন এর মাধ্যমে তিনি মামলাটি করেন।আদালতের জ্যেষ্ঠ বিচারক মামলাটি আমলে নিয়েছে।

    সুত্রে জানা যায়, (৩ আগস্ট) সজীব ওয়াজেদ জয়কে কটূক্তি করে পোস্ট দেন তিনি একমাত্র বিজ্ঞানি যুক্তরাষ্ট্রে বসে বাংলাদেশ থেকে ৩ কোটি টাকা বেতন পান তিনি। বিশ্বের একমাত্র মহা বিজ্ঞানি (২০ আগস্ট) বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম হত্যাকারি বলেন। (২১ আগস্ট) মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে পোস্ট দেন গণতন্ত্রকে হত্যা করে ভারতের হাতে তুলে দেন ইত্যাদি রাস্ট্র বিরোধী বক্তব্য দেন সুনামগঞ্জ জেলার ধর্মপাশা উপজেলার মাইজবারি গ্রামের আঃ কুদ্দুস চৌধুরীর ছেলে আমিনুল হক চৌধুরী। তার নামে ফেসবুক আইডি থেকে।

    এবিষয়ে মামলার বাদী আঃ রাজ্জাক, জানান বর্তমানে দেশে স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তি বিভিন্ন ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় সমাজের কুলাঙ্গার পথভ্রষ্ট কিছু যুবক ইদানীং তাদের দোসরদের কুপরামর্শে বঙ্গবন্ধু,বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সজীব ওয়াজেদ জয় এর বিরুদ্ধে মানহানীকর কুরুচিপূর্ণ বক্তব্যে সোশাল মিডিয়া দেয়া সহ উন্নয়ন কর্মকান্ডকে প্রশ্নবিদ্ধ করার ষড়যন্ত্র করছে।
    আমি বিষয়টি সোশাল মিডিয়া ফেসবুকে দেখার পর আমার নজরে আসলে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে একটি এজাহার দায়ের করি। পরে বিঙ্গ আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে তদন্ত সাপেক্ষে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটি মামলা রজু করেন।

    এজাহারে’র বিষয়ে বাদী পক্ষের আইনজীবী মামুনুর রশীদ জন বলেন। আসামি আমিনুল ইসলাম হক চৌধুরী তার নিজ আইডিতে বঙ্গবন্ধু, প্রধানমন্ত্রী ও সজিব ওয়াজেদ জয়কে সোশাল মিডিয়া বিভিন্ন ভাবে কুট উক্তি করায় আদালতের নজরে এনেছি বিজ্ঞ আদালত আজ বুধবার ৩১ আগস্ট মামলাটি নিয়েছে। মামলা নং ৪৭ / পি/২২

  • ঐক্যবদ্ধ কলম সৈনিক সাংবাদিকরা কখনো হামলা মামলা ও মৃত্যুর ভয় করেন না

    ঐক্যবদ্ধ কলম সৈনিক সাংবাদিকরা কখনো হামলা মামলা ও মৃত্যুর ভয় করেন না

    হেলাল শেখঃ সারাদেশে ঐক্যবদ্ধ কলম সৈনিক সাংবাদিকরা কখনো হামলা, মামলা ও মৃত্যুর ভয় করেন না। সাংবাদিক কোনো কচুপাতার পানি নয় যে বাতাসে পড়ে যাবে আর সহজ সরল মানুষ না যে, অপরাধীদের ভয় করবে, পেশাগত দায়িত্ব ছেড়ে সহজেই ঘরে ফিরবে না প্রকৃত কলম সৈনিক যোদ্ধারা। দেশের গণমাধমের প্রকাশক ও সম্পাদকসহ প্রকৃত সাংবাদিকরা অনেকেরই ইতিহাস জানেন যে, কে কেমন। সারাদেশেই একের পর এক প্রকৃত সাংবাদিকদের উপর নৃশংস হামলা-মামলা, হত্যার ঘটনা ঘটছে, এসব ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন সাংবাদিক নেতারা।
    আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সাংবাদিক সংস্থা’র ঢাকা বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও আশুলিয়া সাংবাদিক সমন্বয় ক্লাবের সভাপতি মোঃ সাইফুল ইসলাম জয় (হেলাল শেখ) বলেন, আমরা সাংবাদিকরা ঐক্যবদ্ধ আছি, সাংবাদিকদেরকে কেউ ভয় দেখাবেন না-সাংবাদিকরা কোনো কচু পাতার পানি নয় যে, সহজেই বাতাসে পড়ে যাবে। অনেকেই ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে হামলা-মামলায় জড়িত হয়ে থাকেন, তবে ভয় করবেন না কলম সৈনিকরা। সাংবাদিকদের উপর নৃশংস হামলা-মামলা, হত্যার হুমকি’র বিরুদ্ধে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। সেই সাথে শুধু কলম ক্যামেরা প্রদর্শন করলেই কেউ লেখক বা সাংবাদিক হওয়া যায় না। নিউজ লেখতে হবে এবং সংশ্লিষ্ট মিডিয়ায় সেই সংবাদ প্রকাশ করলেই সাংবাদিক দাবি করতে পারেন, ভয় করলে সাংবাদিকতা করা যায় না। নতুনদেরকে সাংবাদিকতার আদর্শলিপি বইসহ বেশি বেশি বই পড়তে হয়, লিখতে হবে, জানতে হবে এবং নিজে সচেতন হতে হবে। অন্যদেরকে সচেতন করতে প্রচারণা চালিয়ে যেতে হবে। তিনি আরও বলেন, সোর্স হয়ে কাজ করা আর সাংবাদিকতা একরকম না।
    দেশ ও জাতির বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালায় এমন দুষ্টু ব্যক্তিদের আইনের আওতায় আনতে হবে। তথ্যপ্রমানবিহীন মানুষের বদনাম ছড়ায়-সেই ষড়যন্ত্রকারীদের ধ্বংস নিশ্চিত। কলম সৈনিকরা কখনো কারো মিথ্যা সংবাদ লিখে প্রকাশ করে না। যারা কলম হাতে নিয়ে মিথ্যা কোনকিছু লিখে তা প্রচার করে, এটাকে অপপ্রচার বলা হয়। এই প্রকৃতির অমানুষগুলো দেশ ও জাতির শক্র। দেশের ভেতরে যারা দেশ ও জাতিকে নিয়ে ষড়যন্ত্র করছে তাদেরকে আটক করে আইনের আওতায় আনা হোক বলে অভিমত প্রকাশ করেন অনেকেই। প্রকৃত সাংবাদিকদের নিয়ে একটি মহল গভীর ষড়যন্ত্র করছে। গণমাধ্যমে কাজ করতে হলে পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সাথে বন্ধুত্ব সম্পর্ক রাখতে হবে। নতুন সাংবাদিকদের সাংবাদিকতার আদর্শলিপি বই পড়া প্রয়োজন, প্রকৃত সাংবাদিকতা করলে তা দেশ ও জাতির জন্য মঙ্গল। সাংবাদিকরা ঐক্যবদ্ধ না থাকার কারণেই আজ তারা বিভিন্ন হামলা মামলার শিকার হচ্ছেন। সাংবাদিকতা একটি মহান পেশা, সাংবাদিক শব্দ সহজ হলেও এই পেশা সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ, আবার সম্মানজনক বলা হয়। দেশ ও জাতির কল্যাণে কাজ করলেও কেউ সাংবাদিকদের কল্যাণে কাজ করেন না, এটা জাতির জন্য লজ্জাজনক।
    সাংবাদিকরা ৩৬৫ দিনে এক বছর কিন্তু সাংবাদিকদের জীবনে কোনদিন ছুটি নেই। ৩৬৪ দিন একজনের পক্ষে সংবাদ প্রকাশ করবে এতে তার লোক বলা হয়, আর ১দিন যদি ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে কোনো সংবাবাদ প্রকাশ হয় তখন সাংবাদিক জাতির বিবেককে গালি দিয়ে বলা হয় সাংবাদিকরা খারাপ, এটা কোন ধর্ম আর কোন বিচার?। অনেকেই নিজেদেরকে বড় মনে করেন, নিজেদের স্বার্থের জন্য শক্রতা সৃষ্টি করেন আর একজন অন্যজনের ক্ষয়ক্ষতি করার চেষ্টায় ব্যস্ত থাকেন এটা আমাদের ভুল হচ্ছে। সবাই ঐক্যবদ্ধ ও সমন্বয় করে কাজ করার মধ্যে আনন্দ আছে। আমাদের লেখার মধ্যেও অনেক ভুল হয়। এই জন্য সাংবাদিকদের সাংবাদিকতার আদর্শলিপি পড়া দরকার। বিশেষ করে “কলম সৈনিক অর্থাৎ সাংবাদিক দেশ ও জাতির বিবেক, ঝুঁকিপূর্ণ জেনেও সাংবাদিকরা পেশাগত দায়িত্ব পালন করেন,বিশেষ সম্মান অর্জন করার জন্য কিন্তু সম্মান অর্জন না হয়ে আরও বদনাম হচ্ছে। শুধুমাত্র মানুষের সুখ, দুঃখ, আনন্দ বেদনা, দুর্ঘটনাসহ সকল বিষয়ে জাতির কাছে তুলে ধরতে সাংবাদিকরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করেন। পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় সাংবাদিকদের অবশ্যই চোখ কান খোলা রেখে কাজ করতে হবে।
    সাংবাদিকরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পেশাগত দায়িত্ব পালন করেও কারো মনজয় করতে পারেন না কেন? ছোট একটি ভুল করলেই সাংবাদিকদের উপর হামলা, মামলা করা হয়, এমনকি হত্যার শিকার হতে হয়। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সবাইকে বলা হয় সাংবাদিকদের সহযোগিতা করবেন, কিন্তু তার উল্টো দেখা যায়, পুলিশ সাংবাদিক কি কখনো বন্ধু হতে পেরেছেন? কেউ কি খবর নিয়েছেন যে, সাংবাদিকরা কেমন আছেন? কোনো সহযোগিতা লাগবে কি না?। সাংবাদিকরাই আজকাল মানবেতর জীবনযাপন করছেন। জনগণের কল্যাণে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পেশাগত দায়িত্ব পালন করে থাকেন সাংবাদিকরা, এর বিনিময়ে কি পাচ্ছেন তারা? নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন অনেক সাংবাদিক, হয়রানিমূলক মামলার শিকার হচ্ছেন অনেকেই, যার কোনো হিসাব নেই। বাংলাদেশে প্রায় ১৮কোটি জনগণ, সেই তুলনায় আইনশৃঙ্খা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য ও সাংবাদিকের সংখ্যা অনেক কম। ধন্যবাদ জানাই তাদেরকে যারা মানুষের কল্যাণে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করছেন। “পুলিশ, সাংবাদিক” আইনজীবি ও জনপ্রতিধিগণ, এই চারটি শব্দের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ হলো “কলম সৈনিক অর্থাৎ সাংবাদিক”। বিশেষ করে সাংবাদিকতার আদর্শলিপি’র বেশিরভাগ শব্দ আছে যা সাংবাদিকদের জন্য জানা অতি জরুরি-যেমনঃ সংবাদের উৎসহের মত সংবাদের উপাদান কি? মানুষ এবং প্রকৃতি, মানুষের আশা-আকাঙ্খা, আনন্দ, বেদনা, সুখ-দুঃখ, সমস্যা ও সম্ভাবনাই সংবাদের মূল প্রতিপাদ্য। এর সাথে সম্পৃক্ত সকল বিষয়ই সংবাদের উপাদান। যেমনঃ কুকুর যদি মানুষকে কামড়ায় তা কোনো সংবাদ নয়, আর মানুষ যদি কুকুরকে কামড়ায় বা অপ্রত্যাশিত কিছু অপকর্ম করে তা সংবাদ হয়। নিয়মের ব্যতিক্রম ঘটনা, অন্যায় অবিচার, যা মানুষের অধিকারকে হরণ করে, এরকম অনেক বিষয়কে সংবাদ বলা যেতে পারে। সাংবাদিক সবাইকে তথ্য জানার অধিকার আছে, তবে কারো সাথে বিবাদ বা শক্রতা করে সাংবাদিকতায় সাফল্য আসতে পারে না। সাংবাদিকরা সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে, এতে স্বাধীনভাবে সাংবাদিকতা করা সহজ হবে বলে অনেকেরই অভিমত। সাংবাদিককে সাংবাদিকতার আদর্শলিপি পড়তে হবে, সেই সাথে সর্বশেষ সংশোধনীসহ তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইন ম্যানুয়েল বই এবং ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের বইসহ বেশি বেশি বই পড়তে হবে। অনেকেই জানেন না যে, ১/ সাংবাদিক মানে জাতির বিবেক। ২/ সাংবাদিক মানে দেশ প্রেমিক। ৩/ সাংবাদিক মানে কলম সৈনিক। ৪/ সাংবাদিক মানে জাতির দর্পণ। ৫/সাংবাদিক মানে জাতির সেবক। ৬/সাংবাদিক মানে শিক্ষিত জাতি। ৭/সাংবাদিক মানে স্বাধীনভাবে কাজ করা। ৮/সাংবাদিক মানে সম্মানিত জাতি। ৯/ সাংবাদিক মানে তদন্তকারী। ১০/ সাংবাদিক মানে আইন বিষয়ে জানা। ১১/ সাংবাদিক মানে সিস্টেম পরিবর্তন করা। ১২/ সাংবাদিক মানে সকল তথ্য বিষয়ে জানা। ভয়কে জয় করে সাংবাদিকতা করার মধ্যে সৈনিক হিসেবে দেশপ্রেম আছে এটা সবাইকে মানতে হবে। সাংবাদিকরা তাদের পেশাগত দায়িত্ব পালন করেন বলেই মানুষের ঘরের সুন্দরী নারী ও অর্থ সম্পদ নিরাপদে থাকে, বাকিটা ইতিহাস।