Category: আবহাওয়া

  • পটুয়াখালীর পায়রাসহ সব সমূদ্র বন্দর ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত

    পটুয়াখালীর পায়রাসহ সব সমূদ্র বন্দর ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত

    এস আল-আমিন খাঁন পটুয়াখালী।

    গত দুইদিনে জেলার কলাপাড়া উপজেলার আবহাওয়া অফিস সর্বোচ্চ ৫১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছে নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষ।

    আবহাওয়া অফিস জানিয়েছেন উত্তরপশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন উপকূলীয় এলাকায় একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে। যার প্রভাবে পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সংলগ্ন বঙ্গোপসাগর বেশ উত্তাল রয়েছে।

    এদিকে সক্রিয় মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর এলাকায় গভীর সঞ্চালনশীল মেঘমালা তৈরী অব্যাহত রয়েছে। এজন্য উপকূলীয় এলাকা দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যাওয়ার শংকায় পটুয়াখালীর পায়রাসহ সব সমূদ্র বন্দর সমূহকে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। সকল মাছধরা ট্রলার সমূহকে নিরাপদ স্থানে থাকতে বলা হয়েছে।

    এ বিষয়ে আলীপুর-কুয়াকাটা মৎস্য সমবায় সমিতির সভাপতি লতাচাপলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আনছার উদ্দিন মোল্লা জানান, আবহাওয়া অফিস থেকে সতর্ক সংকেত পাওয়ার পরে মহিপুর শিব্বারিয়া নদীতে সমুদ্রে মাছধরা অনেক ট্রলার আশ্রয় নিয়েছে। বাকি মাছ ধরার ট্রলার কিনারে চলে আসছে বলে জানান তিনি।

  • ঘূর্ণিঝড় “মোখা” মোকাবেলায় গোপালগঞ্জে ২২৬টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত

    ঘূর্ণিঝড় “মোখা” মোকাবেলায় গোপালগঞ্জে ২২৬টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত

    স্টাফ রিপোর্টার, গোপালগঞ্জ : অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় “মোখা” মোকাবেলায় গোপালগঞ্জে ২২৬টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত করা হয়েছে। উদ্ধার কাজের জন্য ৩১৯৫ জন স্বেচ্ছাসেবক, ৭১ টি মেডিকেল টিম প্রস্তুত রাখার পাশাপাশি ৬টি নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলা হয়েছে।

    আজ শনিবার (১৩ মে) দুপুরে গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসক কাজী মাহাবুবুল আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

    ইতোমধ্যে সকল পর্যায়ের জন প্রতিনিধি, সকল দপ্তরের কর্মকর্তা ও স্বেচ্ছাসেবকদের নিয়ে জেলা ও উপজেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

    সভায় জেলা প্রশাসক কাজী মাহাবুবুল আলম জানান, ঘূর্ণিঝড় “মোখা” মোবাবেলায় ব্যাপক প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। প্রস্তুত রাখা হয়েছে ২২৬টি আশ্রয় কেন্দ্র। উদ্ধার কাজের জন্য ৩ হাজার ১৯৫ জন স্বেচ্ছাসেবক ও ৭১টি মেডিকেল টিমঃ প্রস্তুর রাখা হয়েছে। এ ছাড়া খোলা হয়েছে ৬টি নিয়ন্ত্রণ কক্ষঃ। জি আর ক্যাশ ৮ রক্ষ ৫ হাজাট টাকা, ৪’শ ৮০ মেট্রিক টন জি আর চাল ও ৪ হাজারটি কম্বল বরাদ্দ করা হয়ছে।

    ঘূর্ণিঝড় “মোখা” মোকাবেলায় ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সসহ সংশ্লিষ্ট সকল বিভাগকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনাও প্রদান করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

    গোপালগঞ্জে সিভিল সার্জন নিয়াজ মোহাম্মদ জানান, জেলার ৭১টি ইউনিয়নে ৭১টি মেডিকেল টিম প্রস্তুত রাখা হয়েছে। খাবার স্যালাইন ও ঔষধ পয্যাপ্ত রাখা হয়েছে। জেলার ৫ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অপারেশন থিয়েটারও প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

    গোপালগঞ্জ আবাহওয়া অফিসের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবু সুফিয়ান বলেন, গোপালগঞ্জে ঘূর্ণিঝড় “মোখা’র” কিছুটা প্রভাব পড়বে। দমকা হাওয়ার সাথে বৃস্টিপাত হবার সম্ভবনা রয়েছে। #

  • তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৬ দশমিক ১ ডিগ্রিতে

    তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৬ দশমিক ১ ডিগ্রিতে

    মুহম্মদ তরিকুল ইসলাম, তেঁতুলিয়া প্রতিনিধিঃ পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় দুইদিন মৃদু শৈত্যপ্রবাহের পর আবারও মাঝারি শৈত্যপ্রবাহের কবলে পড়েছে শীতের জেলা প গড়। শনিবার (১৪ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় সর্বনি¤œ ৬ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিস।

    শুক্রবার (১৩ জানুয়ারি) অ লটির সর্বনি¤œ তাপমাত্রা ছিল ৮ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আরও দুয়েকদিন সর্বনি¤œ তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থাকবে বলে জানায় তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিস।

    সপ্তাহজুড়ে মৃদু থেকে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহের প্রভাবে ঘনকুয়াশা আর হিমশীতল বাতাস বয়ে চলেছে অবিরাম। এতে হাড় কাঁপানো শীত অনুভূত হচ্ছে। তবে প্রতিদিনের মত শনিবার সকাল ৯টার পর সূর্যের মুখ দেখা দিয়েছে। ঝলমলে রোদে স্থানীয়দের মাঝে কিছুটা স্বস্তি দেখা গেছে। কিন্তু টানা শৈত্যপ্রবাহে ছিন্নমূল, খেটে খাওয়া, দিনমজুর ও নি¤œ আয়ের মানুষ দুর্ভোগে রয়েছে।

    তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ রাসেল শাহ বলেন, শনিবার সকাল ৯টায় সর্বনি¤œ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। আরও দুয়েকদিন সর্বনি¤œ তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

    মুুহম্মদ তরিকুল ইসলাম।।

  • পঞ্চগড়ে  চলছে মৃদু শৈত্য প্রবাহ

    পঞ্চগড়ে চলছে মৃদু শৈত্য প্রবাহ

    বাবুল হোসেন পঞ্চগড় ;
    পঞ্চগড়ে চলছে কোন কোনে বাতাস সহ কুয়াশা ও মৃদু শৈত প্রবাহ গত কয়েকদিন ধরে উঠানামা মাঝে মাঝে এক পসলা রোদ দেখা দিলেও থাকে না বেশিক্ষণ। যারা দিনে আনে দিনে খান মানুষেরা চরম কষ্টের দিনাতিবাদ করছে করছে। বয়স্ক শিশুরা ঠান্ডা জনিত কারণে হয়ে বিভিন্ন অসুখে আক্রান্ত হয়ে পঞ্চগড়ে আধুনিক সদর হাসপাতালে প্রতিদিন চিকিৎসা নিতে দেখা যাচ্ছে। নির্দিষ্ট কাজের চেয়ে ঘর থেকে বের হন না সাধারণ মানুষ তেতুলিয়া আবহাওয়া অধিদপ্তর কর্মকর্তা রাসেল শাহ জানান আজ সকাল ৯ ঘটিকার সময়
    ৯.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে এরমধ্যে উঠা নামাও করছে আরো কয়েকদিন চলবে।

    মোঃ বাবুল হোসেন পঞ্চগড় জেলা প্রতিনিধি

  • তাপমাত্রা নেমেছে ৯ডিগ্রিতে তেঁতুলিয়ায় বইছে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ

    তাপমাত্রা নেমেছে ৯ডিগ্রিতে তেঁতুলিয়ায় বইছে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ

    মুহম্মদ তরিকুল ইসলাম, তেঁতুলিয়া প্রতিনিধিঃ সর্বউত্তরের জেলা প গড়ের তেঁতুলিয়ায় ৯ ডিগ্রিতে নেমেছে তাপমাত্রা। বুধবার (২৮ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় ৯ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে বলে জানিয়েছেন তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়া পর্যবেক্ষক রোকনুজ্জামান। বর্তমানে এটি দেশের সর্বনি¤œ তাপমাত্রা।

    আবহাওয়া অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, গত বছর ১২ ডিসেম্বর থেকে ২৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত ১০ এর নিচে তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছিল। এ বছর বুধবার ৯ ডিগ্রিতে নেমেছে তাপমাত্রা। গত বছর এ সময়ে ৮ এর ঘরে তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছিল।
    তাপমাত্রা কমানোর কারণে তীব্র শীত অনুভব হচ্ছে। মঙ্গলবার বিকেল ৪টার পর থেকেই বইতে থাকে উত্তরের হিমেল হাওয়া। হাওয়ায় নেমে আসে শীত। মঙ্গলবার বেলা ১১টা পর্যন্ত জেলা জুড়ে কুয়াশা আর শিশির ঝরতে দেখা যায়। গ্রামে শহরের হাটবাজারগুলোতে খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণ করতে দেখা গেছে।

    কনকনে শীতের কারণে বিপাকে পড়েছেন বিভিন্ন শ্রেণির খেটে খাওয়া মানুষ। কনকনে শীতের কারণে কাজে যেতে কষ্ট হচ্ছে অনেকের। তবে পেটের তাগিদে কাউকে নদীতে পাথর তুলতে, কাউকে চা-বাগানে আবার কাউকে দিনমজুরের কাজ করতে যেতে দেখা গেছে।

    উপজেলার বুড়াবুড়ি ইউনিয়নের চৌধুরীপাড়া গ্রামের ৯১ বছর বয়সী আবুল হোসেন বলেন, গত কয়েকদিন আগে তেমন ঠান্ডা না থাকলেও পহেলা পৌষ থেকে প্রচন্ড ঠান্ডা। গরম কাপড় পড়লেও ঠান্ডা দূর হচ্ছে না।

    মহানন্দায় পাথর উত্তোলনকারী রবিউল ইসলাম বলেন, বরফ গলা নদীর পানি এমনিতেই ঠান্ডা। তার মধ্যে গত চারদিন ধরে তীব্র শীত। যার কারণে কাজে যেতে কষ্ট হচ্ছে। গতকাল থেকে ঘরে বসে আছি।

    প্রচন্ড শীতের কারণে চা বাগানের গাছের পরিচর্যা করতে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে চা শ্রমিকদের। তারা জানান, ভাই কদিন ধরে বরফের মতো ঠান্ডা। বাগানে গাছের ছাটাই করতে গিয়ে হাত-পা অবশ হয়ে আসে। তাই কয়েকদিন ধরে কাজে যেতে পারছি না।

    এদিকে বেড়েছে শীতজনিত নানা ব্যাধি। হাসপাতাল, ক্লিনিকগুলোতে জ্বর-সর্দি, কাশি, অ্যাজমা, সাইনোসাইটিস, ইসনোফিলসহ বিভিন্ন শীতজনিত রোগীর ভিড় জমাতে লক্ষ্য করা গেছে। শীতে করোনার প্রকোপ বাড়ার আশঙ্কা থাকায় চিকিৎসকরা রোগীদের স্বাস্থ্যবিধি মানার পরামর্শ দিচ্ছেন।

    চিকিৎসকরা বলছেন, আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে হাসপাতাল গুলোতে রোগীর চাপ বেড়েছে। এমনিতে শীত মৌসুমে আবহাওয়া শুষ্ক থাকায় বাতাসে জীবাণুর পরিমাণ বেড়ে যায়। শীতজনিত রোগ হিসেবে সর্দি-কাঁশি, শ্বাসকষ্ট বেশি হয়ে থাকে। আর শিশু ও বয়োজ্যেষ্ঠরা শীতজনিত রোগে বেশি আক্রান্ত হয়। তাই এ সময়টাতে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করতে পারলে কিছুটা হলেও সুরক্ষা মিলবে।

    তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ ছুটিতে থাকায় আবহাওয়া পর্যবেক্ষক রোকনুজ্জামানের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, কদিন ধরেই তাপমাত্রা অনেকটা কমেছে। আজ (২৮ ডিসেম্বর) তাপমাত্রা ৯ দশমিক ২ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। ভোর ৬টায় রেকর্ড করা হয়েছিল ৯ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা। গত বছর আজকের দিনে সর্বনি¤œ ৮ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছিল। তিনি আরোও বলেন, গত শনিবার (২৪ ডিসেম্বর) থেকে মঙ্গলবার (২৭ ডিসেম্বর) পর্যন্ত সর্বনি¤œ তাপমাত্রা ১০ এর মধ্যে ছিল একদিন কেবল ১১তে লক্ষ্য করা গেছে। গতকাল মঙ্গলবার সর্বনি¤œ ১০ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং বিকাল ৫টায় সর্বোচ্চ ২৩ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল।

    মুহম্মদ তরিকুল ইসলাম।।

  • দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা পঞ্চগড়ে

    দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা পঞ্চগড়ে

    মোহাম্মদ বাবুল হোসেন পঞ্চগড় :
    আগামী ১৪ এবং ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে দেশের বেশ কয়েকটি অঞ্চলে শৈত্যপ্রবাহ হতে পারে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। রোববার (১১ ডিসেম্বর) সকালে আবহাওয়াবিদ মো. ওমর ফারুক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

    এ সময় তিনি বলেন, বঙ্গোপসাগরে আরও একটি লঘুচাপের শঙ্কা তৈরি হয়েছে, যা সর্বোচ্চ নিম্নচাপে রূপ নিতে পারে। এ লঘুচাপটি তৈরি হলেও ঘূর্ণিঝড় হওয়ার সম্ভাবনা নেই।

    তিনি আরও বলেন, আগামী ১৬ বা ১৭ ডিসেম্বর লঘুচাপটি দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে তৈরি হতে পারে। তবে বাংলাদেশে এর প্রভাব আসার সম্ভাবনা নেই। এ ছাড়া ডিসেম্বরের দিকে আমাদের এখানে পশ্চিমা বাতাসের জোর থাকার কারণে বেশির ভাগ লঘুচাপ বা নিম্নচাপ আসতে পারে না। তবে আমরা আশা করছি, এটি লঘুচাপ থেকেই বিদায় নেবে।

    মো. ওমর ফারুক বলেন, আগামী ২০ ডিসেম্বরের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হারে তাপমাত্রা কমার সম্ভাবনা নেই। মাঝখানে সামান্য তাপমাত্রা কমলেও তা আবার বাড়বে। তবে আগামী ১৪ এবং ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে দেশের কিছু অঞ্চলে শৈত্যপ্রবাহ আসতে পারে। তবে এটি উল্লেখযোগ্যভাবে আসবে না।

    এছাড়া, রোববার সকালে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে তেঁতুলিয়া ১১ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বশেষ রেকর্ড করা সর্বোচ্চ তাপমাত্রা সীতাকুন্ড ও শ্রীমঙ্গলে ৩১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের কোথাও কোনো বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়নি।

  • দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা তেঁতুলিয়ায়

    দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা তেঁতুলিয়ায়

    মোহাম্মদ বাবুল হোসেন পঞ্চগড় ;
    দেশের উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে জেঁকে বসেছে শীত। পাল্লা দিয়ে কমছে তাপমাত্রাও। হিমালয় থেকে আসা পাহাড়ি হিমেল হাওয়ার সঙ্গে রাত থেকে সকাল পর্যন্ত ঘন কুয়াশায় ঢাকা পড়ে থাকে পুরো জেলা।

    শুক্রবার (২ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় জেলার তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে ১২ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে, যা দেশের সর্বনিম্ন বলে জানিয়েছেন আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ।

    হিমালয়ের কাছে হওয়ায় পঞ্চগড়ে বরাবরই শীতের প্রকোপ বেশি থাকে। শীতকালে বেশির ভাগ সময় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বিরাজ করে প্রান্তিক এ জেলায়।

    দিনে রোদের তীব্রতা থাকলেও সন্ধ্যা নামার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে শীত। রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে কুয়াশাও। ভোর পর্যন্ত কুয়াশাচ্ছন্ন থাকছে বিভিন্ন এলাকা। তীব্র শীতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ছে জনজীবন।

  • সমুদ্র বন্দরসমূহকে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত

    সমুদ্র বন্দরসমূহকে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত

    দেশের সমুদ্র বন্দরসমূহকে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে তবে বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থিত সুস্পষ্ট লঘুচাপটি ওড়িষ্যা উপকূলের অদূরে উত্তরপশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। এর প্রভাবে অনাবৃষ্টির এলাকাগুলোতে শুরু হয়েছে বৃষ্টি। এ বৃষ্টি থাকবে আরও দুইদিন। এদিকে ৪ বন্দরে ৩ নম্বর সতর্কতা সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

    মঙ্গলবার সকাল ৬টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় ১৩ দশমিক ৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে পটুয়াখালী আবহাওয়া অফিস। সকালে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ মো. রাহাত হোসেন।

    তিনি বলেন, আরও দুদিন বৃষ্টিপাত থাকবে। এতে বর্তমানে বৃষ্টি সংকটে আমন মৌসুমের প্রতিকূল পরিবেশ কিছুটা হলেও লাঘব হবে। সমুদ্রে মেঘমালার কারণে উপকূলী বাতাসের বেগ কিছুটা বেড়েছে।

    সাগরের লঘুচাপটি আরও ঘণীভূত হতে পারে। পটুয়াখালী পায়রা সমুদ্র বন্দরসহ, উত্তর বঙ্গোপসাগর ও বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় ঝড়ো হাওয়া বয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছে আবহাওয়া অফিস।

    চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরসমূহকে ৩ নম্বর (পুন:) তিন নম্বর স্থানীয় সতর্কতা সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারসমূহকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল নির্দেশ দিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর।

  • কুড়িগ্রামে তাপপ্রবাহে জনজীবন অতিষ্ঠ

    কুড়িগ্রামে তাপপ্রবাহে জনজীবন অতিষ্ঠ

    এম এস সাগর,

    কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি

    দেশের উত্তরের জেলা কুড়িগ্রামের টানা দুই সপ্তাহের তীব্র তাপদাহে জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। প্রচণ্ড গরমের সাধারণ ও কর্মজীবী মানুষেরা অস্বস্তিতে পড়েছেন। তাপমাত্রা জনিত কারণে শিশু ও বৃদ্ধরা চরম দুর্ভোগে। প্রখর রোদের ঘাম ঝরানো তাপমাত্রার কারণে শ্রমজীবী ও নিম্ন আয়ের মানুষজন চরম বিপাকে। বিশেষ করে তীব্র রোদের তাপের কারণে দিনমজুর, রিকশাচালক, ঠেলা ও ভ্যানচালকরা কাজ করতে পারছেন না। ফলে তীব্র তাপদাহে অনেকে অলস সময়ও পার করতে দেখা গেছে। আবার অনেকেই জীবন-জীবিকার তাগিদে প্রচণ্ড তাপদাহ উপেক্ষা করে কাজে বেরিয়েছেন।

    তীব্র গরমে বয়স্ক, শিশুরা পড়েছে সব থেকে বেশি ভোগান্তিতে। একটু স্বস্তি পেতে ঠান্ডা শরবত, পানি, আইসক্রিম খেয়ে তৃষ্ণা মেটানোর চেষ্টা সাধারণ মানুষের। বৃষ্টিহীন তীব্র গরমে আগামী ৭২ ঘণ্টা পর্যন্ত নেই কোনো সুখবর। গেল এক সপ্তাহ ধরে এ জেলায় তাপমাত্রা গড়ে ৩৫ ডিগ্রির মধ্যে ওঠানামা করছে। তিন-চার দিন আরো তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ার শঙ্কা রয়েছে। বৃষ্টিপাত না হওয়ায় এর প্রভাব পড়তে শুরু করেছে জীব-বৈচিত্র্যের ওপর। এমন প্রচণ্ড গরমে নাভিশ্বাস উঠেছে জেলাবাসীর। এতে করে সবচেয়ে বিপাকে পড়েছেন খেটে খাওয়া মানুষ। একটু শীতলতার জন্য শিশু-কিশোর সবাই পুকুর-নদী-বিলে ছোটাছুটি করছে।

    অসহনীয় প্রচণ্ড গরমে গ্রামাঞ্চল কিংবা শহরে শিশু, বয়স্কদের জ্বর-সর্দি- ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়ার প্রকোপ বাড়ছে। তাপের কারণে নানা বয়সীদের দেখা দিয়েছে চর্ম রোগও। তীব্র তাপদাহে কয়েক দিন থেকে জেলার ৯টি উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের হাট-বাজারে মানুষের সমাগম কিছুটা কমেছে। প্রচণ্ড গরমেই অনেকে ব্যবসা-প্রতিষ্ঠান বন্ধও রেখেছেন।

    জেলার নাগেশ্বরী সদরের ভ্যান ও রিস্কা চালক অনেকে জানান, প্রচণ্ড তাপদাহের কারণে ঠিকমতো কাজে যেতে পারছি না। গরমে কাজ করতে না পেরে আয় কমে গেছে। আগে দিনে ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা আয় করা যেত। এখন প্রচণ্ড গরমের কারণে সারা দিনে ২০০ টাকা আয় করা মুশকিল হয়ে পড়েছে।

    কুড়িগ্রাম রাজারহাট আবহাওয়া অধিদপ্তরের পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুস সবুর মিয়া জানান, আগামী দুই থেকে তিন দিনের মধ্যে বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভাবনা নেই। টানা বৃষ্টিপাত না হওয়ায় দিনের তাপমাত্রা আরো বৃদ্ধি পাবে। কুড়িগ্রামে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৪ থেকে ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে বিরাজ করছে।
    এ বিষয়ে লাইফ দেয়া যেতে পারে।