Category: দেশজুড়ে

  • হাসপাতালে ফ্যান সংকট, গরমে বিপাকে রোগীরা

    হাসপাতালে ফ্যান সংকট, গরমে বিপাকে রোগীরা

    মোঃ বাবুল হোসেন পঞ্চগড় :
    তীব্র দাবদাহ আর ভ্যাপ্সা গরমে দুর্বিসহ হয়ে উঠেছে রংপুরসহ গোটা উত্তরাঞ্চলের জনজীবন। হাসফাঁস অবস্থা বিরাজ করছে প্রাণীকূলে। এরই মধ্যে বেড়েই চলেছে সর্দি-জ্বরসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্তদের সংখ্যা। তাই সেবা নিতে প্রতিদিনই পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতাল ভিড় বাড়ছে মানুষদের। কিন্তু ফ্যান সঙ্কটের কারণে সেবা নিতে এসে দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন তারা।
    পেটের ব্যাথা নিয়ে হাসপাতালের মেডিসিন ওয়ার্ডে (পুরুষ) ভর্তি হয়েছেন জাহাঙ্গীর আলম (৩০)। কিন্তু প্রচণ্ড গরমে ফ্যানের বাতাস না থাকায় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে তাকে। অনেকটা আক্ষেপ নিয়েই তিনি বলেন, ‘পেটের ব্যাথার চেয়েও যেন বেশি অসহনীয় এই গরম। অথচ, আমার বেডের ওপরে সিলিংফ্যান নেই। সারাদিন ছটফট করে পার করেছি। রাতটা কিভাবে কাটাবো ভেবে পাচ্ছিনা।’
    শনিবার (১৬ জুলাই) রাতে সরেজমিনে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, মেডিসিন ওয়ার্ডে (পুরুষ) ১০টি ফ্যানের মধ্যে চারটি নষ্ট হওয়ায় তা খুলে নেওয়া হয়েছে। একটি ফ্যান অকেজো অবস্থায় রয়েছে অনেকদিন ধরে। বাকি পাঁচটি ফ্যানদিয়ে চলছে রোগীদের চিকিৎসা। ফলে অনেক রোগীকেই টেবিল ফ্যান অথবা হাতপাখা ব্যবহার করতে দেখা গেছে।
    একই অবস্থা হাসপাতালের অন্য ওয়ার্ডগুলোতেও। হাসপাতালের মহিলা সার্জারি ওয়ার্ডে ৮টি ফ্যানের মধ্যে রয়েছে ৫টি ফ্যান। মহিলা মেডিসিন ওয়ার্ডে ৬টির মধ্যে নেই একটি, শিশু ওয়ার্ডে ১০টির মধ্যে তিনটি ফ্যান অকেজো অবস্থায় রয়েছে।
    হাসপাতালের পুরুষ ওয়ার্ডে কথা হয় রাসেল নামে এক রোগীর মা আমিরন বেগমের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘ফ্যান না থাকায় রোগীদের পাশাপাশি তাদের স্বজনরাও কষ্ট পাচ্ছে। তাই বাধ্য হয়ে বাড়ি থেকে টেবিল ফ্যানটি নিয়ে এসেছি। যাতে আমার অসুস্থ ছেলের কষ্ট একটু হলেও কম হয়।’
    তেঁতুলিয়ার বুড়াবুড়ি এলাকার নুর জামাল তার ৫ বছর বয়সী ছেলেকে নিয়ে গত চার দিন ধরে হাসপাতালে ভর্তি। তিনি বলেন, ‘আমাদের শিশু ওয়ার্ডের চার নম্বর বেডে দেওয়া হইছিলো। কিন্তু বেডের উপরে সিলিং ফ্যান নেই। ফলে এই গরমে খুব ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।’
    পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডা. কাওসার আহমেদ সিলিংফ্যান সঙ্কটের বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, ‘বজ্রপাতে অনেকগুলো সিলিংফ্যান নষ্ট হয়ে গেছে। আমাদের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে না থাকায় আমরা গণপূর্ত বিভাগকে লিখিত আকারে জানিয়েছি এবং ৪৯ টি ফ্যানের চাহিদা দিয়েছি। আমরা তাদের প্রতিনিয়ত বলছি ফ্যানগুলো খুব দ্রুত প্রয়োজন। যেহেতু অনেকগুলো ফ্যানের বিষয় এজন্য হয়তো সময় লাগছে তাদের।’
    পঞ্চগড়ের সিভিল সার্জন ডা. রফিকুল হাসান বলেন, হাসপাতালে ৪৯টি সিলিংফ্যানের প্রয়োজন। ফ্যানগুলোর দাম পড়বে দেড় লাখ টাকা। যা আমাদের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে। এজন্য আমরা প্রায় ১৫ দিন আগে গণপূর্ত বিভাগকে চাহিদা দিয়েছি। কিন্তু এখন পর্যন্ত তারা কোন উদ্যোগ নেয়নি। তবে গতকাল গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলীর সঙ্গে আমার কথা হয়েছে, খুব দ্রুতই এই সঙ্কট নিরসনের আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।
    পঞ্চগড় গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মনিরুজ্জামান সরকার বলেন, ‘এই মুহূর্তে সবগুলো ফ্যান হয়তো রিপ্লেস করা সম্ভব না। কারণ, আমাদের অর্থবছর শেষ হয়ে গেছে। নতুন অর্থবছর চলছে। যেগুলো রিপ্লেস না করলেই নয় সেগুলো দ্রুত রিপ্লেস করে দেবো এবং বাকিগুলোর বিষয়ে পরে সিদ্ধান্ত নেবো।’

  • পাইকগাছায় পুকুরে ডুবে শিশুর মৃত্যু

    পাইকগাছায় পুকুরে ডুবে শিশুর মৃত্যু

    পাইকগাছা(খুলনা) প্রতিনিধি।।
    খুলনার পাইকগাছায় পুকুরে ডুবে মোস্তাকিম (০৪) নামে শিশুর মৃত্যু হয়েছে।সে উপজেলার দেলুটি ইউনিয়নের তেলিখালী গ্রামের মকবুল বিশ্বাসের ছেলে। সোমবার বেলা ১১ টার দিকে তাদের নিজেদের পুকরে পড়ে যায়। এ সময় তার মা ইউনিয়ন পরিষদে ছিল। বাবা মকুবুল শিশুকে কোথাও না পেয়ে খুঁজতে থাকে। এক পর্যায়ে না পেয়ে পুকুরে নেমে শিশুটিকে খুঁজতে থাকে এবং সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করে। তাৎক্ষণিকভাবে শিশুটিকে পার্শ্ববর্তী বটিয়াঘাটা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। এ সময় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত্যু ঘোষনা করেন। বিষয়টা নিশ্চিত করেন স্থানীয় জিয়াবুনিয়া সমবায় সমিতির সভাপতি ভোল্টন ভন্ডল।পাইকগাছা থানা ওসি জিয়াউর রহমান জানান,ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়েছে। থানায় অস্বাভাবিক মৃত্যু জনিত মামলা হয়েছে।

    প্রেরকঃ
    ইমদাদুল হক,
    পাইকগাছা,খুলনা।

  • নড়াইলে বাড়িঘর ও মন্দিরে হামলার ঘটনায় গ্রেফতার ৫ জনের ৩ দিনের রিমান্ড

    নড়াইলে বাড়িঘর ও মন্দিরে হামলার ঘটনায় গ্রেফতার ৫ জনের ৩ দিনের রিমান্ড

    জান্নাতুল বিশ্বাস.নড়াইল!! নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার দিঘলিয়া এলাকায় সাহাপাড়ার বাড়িঘর ও দোকান ভাংচুর এবং দু’টি মন্দিরে হামলার ঘটনায় গ্রেফতার পাঁচজনকে তিনদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। সোমবার (১৮ জুলাই) বিকেলে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোরশেদুুল আলমের আদালতে
    মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা লোহাগড়া থানার এসআই মিজানুর রহমান সাতদিনের রিমান্ড আবেদন করলে বিচারক শুনানি শেষে তিনদিন করে মঞ্জুর করেন।

    আসামিরা হলেন, তালবাড়িয়া গ্রামের মো.সাঈদ মেখ (৫৫), দিঘলিয়া গ্রামের মো.রাসেল মৃধা (৩৮), লুটিয়া গ্রামের কবির গাজী (৪০), বাটিকাবাড়ী গ্রামের রেজাউল শেখ (৪০) ও বয়রা গ্রামের মো.মাছুম বিল্লাহ (৩৪)।

    সাহাপাড়ার বাড়িঘর ও দোকান ভাংচুর এবং দু’টি মন্দিরে হামলার ঘটনায় রোববার রাতে ২০০ থেকে ২৫০ জনকে আসামি করে লোহাগড়া থানায় মামলা দায়ের করেন এসআই মিজানুর রহমান। মামলা দায়েরের পরে রোববার বিকেলে দুইজন ও সোমবার সকালে
    তিনজনসহ পাঁচজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

    এদিকে ওইদিন (১৬ জুলাই) রাত ৯টা ১৫ মিনিটে দিঘলিয়া গ্রামের সালাহ উদ্দিন কচি সরদার বাদি হয়ে লোহাগড়া থানায় আকাশের নামে ‘ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করে দাঙ্গা সৃষ্টির অপরাধ’ সংক্রান্ত মামলা দায়ের করেন। শনিবার (১৬
    জুলাই) রাতে খুলনা থেকে আকাশ সাহাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। রোববার (১৭জুলাই) পুলিশের পাঁচদিনের রিমান্ড আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত আকাশ সাহার তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।

    পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত শুক্রবার (১৫ জুলাই) লোহাগড়া উপজেলার দিঘলিয়া সাহাপাড়ার কলেজছাত্র আকাশ সাহার ফেসবুকে মহানবীকে (সাঃ)নিয়ে কটূক্তির ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ রয়েছে। বিষয়টি ওইদিন জুম্মার নামাজের পর বিভিন্ন পেশার মানুষের নজরে আসে। এরপর বিক্ষুদ্ধলোকজন আকাশ
    সাহার গ্রেফতার ও বিচার দাবিতে তাদের বাড়ির সামনে বিক্ষোভ করেন। ওইদিন বিকেল থেকে উত্তেজনা আরো বাড়তে থাকে।

    বিক্ষুদ্ধ লোকজন একপর্যায়ে সাহাপাড়ার গোবিন্দ সাহা, তরুণ সাহা, দিলীপ সাহা, পলাশ সাহার বাড়িসহ৫-৬টি বাড়িঘর ভাংচুর করেন। এর মধ্যে গোবিন্দা সাহার বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। আগুনে দুই রুম বিশিষ্ট টিনের ঘরটি পুড়ে গেছে। এছাড়া সাহাপাড়ার মন্দিরের চেয়ার ও সাউন্ডবক্স এবং আখড়াবাড়ি
    মন্দিরের টিনের চালা ভাংচুরসহ ইট ছুঁড়েছে বিক্ষুদ্ধরা। পরিস্থিতি
    নিয়ন্ত্রণে ঘটনাস্থলে বিপুল সংখ্যক পুলিশ ও র‌্যাব মোতায়েন রয়েছে। এছাড়া পুলিশ কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি করেছে।

    মো জান্নাতুল বিশ্বাস
    নড়াইল প্রতিনিধি।।

  • চারঘাট প্রেস ক্লাবের সভাপতি এস এম মোজাম্মেল হকের মৃত্যুতে, পুঠিয়া, সাংবাদিক সমাজের শোক

    চারঘাট প্রেস ক্লাবের সভাপতি এস এম মোজাম্মেল হকের মৃত্যুতে, পুঠিয়া, সাংবাদিক সমাজের শোক

    পুঠিয়া-রাজশাহী,প্রতিনিধিঃ
    চারঘাট প্রেস ক্লাবের সভাপতি এস এম মোজাম্মেল হক সোমবার (১৮ জুলাই) রাত্রি ২ টা ৩০ মিনিটে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আই. সি. ইউ) চিকিৎসাধীন থাকাবস্থায় মৃত্যুবরণ করেছেন। ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। তার মৃত্যুতে পুঠিয়া সাংবাদিক সমাজের সকল সদস্য শোক জানিয়েছে। মরহুমের শোক-সন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা ও সহমর্মিতা জ্ঞাপন করে তাঁর বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন। মরহুম মোজাম্মেল হক, চারঘাটের প্রথম কমিউনিটি অনলাইন পত্রিকা দৈনিক চারঘাট ডটকম এর প্রধান উপদেষ্টা, চারঘাট প্রেসক্লাবের সভাপতি, উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও দৈনিক ইত্তেফাকের চারঘাট প্রতিনিধি ও চারঘাট মহিলা ডিগ্রি কলেজের প্রভাষক ছিলেন। মরহুমের জানাজার নামাজ আজ দুপুর ২ টায় গোপালপুর কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে অনুষ্ঠিত হবে।#

    মাজেদুর রহমান( মাজদার)
    পুঠিয়া রাজশাহী।

  • বাঁশ কাটতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে নিহত ১

    বাঁশ কাটতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে নিহত ১

    মোঃ বাবুল হোসেন পঞ্চগড় ঃ
    পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলায় বাঁশ কাটতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে সামিউল ইসলাম (৫৫) নামে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে।
    সোমবার (১৮ জুলাই) দুপুরে উপজেলার বোদা সদর ইউনিয়নের মাঝগ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত সামিউল একই গ্রামের দবিরুল ইসলামের ছেলে।
    পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বিদ্যুৎ লাইনের পাশে বাঁশ কাটছিল সামিউল। এক পর্যায়ে কাটা বাঁশটি বিদ্যুতের তারে সঙ্গে লেগে গেলে সামিউল বিদ্যুতায়িত হয়ে আটকে যায়। কিছুক্ষণ পর স্থানীয়রা তাকে বাঁশের সাথে আটকে থাকতে দেখে সেখান থেকে দ্রুত উদ্ধার করে বোদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
    বোদা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু সাঈদ চৌধুরী বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ওই ব্যক্তির মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

  • পঞ্চগড়ে ক্ষণজন্মা নায়ক রহমানের ১৭ তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ

    পঞ্চগড়ে ক্ষণজন্মা নায়ক রহমানের ১৭ তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ

    মোঃ বাবুল হোসেন পঞ্চগড় :
    পঞ্চগড়ের কিংবদন্তীতুল্য ক্ষণজন্মা নায়ক রহমান
    বাংলাদেশের চিত্র জগতের ঝড়ের মত নায়ক রহমানের উদ্দ্যাম প্রবেশ। তিনি শুধু চিত্র নায়কই ছিলেন না, সফল
    পরিচালকও ছিলেন। শৈশবে চঞ্চল মতি সম্পন্ন ছিলেন তিনি । শৈশবেই নাটক,থিয়েটারের প্রতি আকৃষ্ট ছিলেন
    তিনি।এই প্রথিতযশা নায়কের ১৯৩৭ সালে আটোয়ারী থানার রাধানগর ইউনিয়নের রসেয়া গ্রামে জন্ম। রসেয়া
    প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে পঞ্চম শ্রেণী পাশ করে ঠাকুরগাও হাই স্কুলে ভর্তি হন। ঠাকুরগাও থেকে তিনি
    মেট্রিক পাশ করেন। তারপর তিনি দিনাজপুর সুরেন্দ্রনাথ কলেজে ভর্তি হন। দিন্জপুরে তাকে ভাল
    লাগেনি পরে তিনি পাবনা এডওয়ার্ড কলেজে ভর্তি হন। তার বাবার নাম ছিল হাফেজ উদ্দীন আহম্মদ।হাফেজউদ্
    দীন আহম্মদ অত্যন্ত রাগী লোক ছিলেন। পুত্রের সংগে প্রায়ই বনিবনা হতো না। পিতার সাথে কথা কাটাকাটি
    করে একদিন বাড়ি থেকে বেরিয়ে গেলেন। চাকুরী নিলেন ঢাকার শাহবাগ হোটেলে। শাহবাগে একটি বছর
    কেটে গেল। তারপর তিনি বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হলেন রাজশাহীর আব্দুল মজিদ(এস.ডি.ও)মহকুমা প্রশাসকের
    মেয়ে কুমকুমকে। কুমকুমের ভাল নাম জুলেখা বানু। বিবাহের পর একটি বছর শাহবাগ হোটেলেই কেটে যায়।
    ১৯৫৯ সালে তিনি প্রথম অভিনয় জগতে প্রবেশ করেন। তার প্রথম সিনেমা ‘ এ দেশ তোমার আমার ’ (১৯৫৯) ঢাকার চিত্র জগতের যাত্রালগ্নেই এই বরেণ্য চিত্র নায়ক রহমান দর্শকের হৃদয় জয় করে নেন। তার পুরো নাম আব্দুর রহমান।পরবর্তীকালে নবাগত এই রহমান নায়ক হয়ে উঠেন ঢাকার উত্তম কুমার।‘ এ দেশ তোমার আমার’ ছবিতে তিনি ছিলেন জমিদার পুত্রের চরিত্রে। অদ্যাবধি এদেশে যতগুলি সিনেমা জুটি সৃষ্টি হয়েছে
    তারমধ্যে সর্বাপেক্ষা জনপ্রিয় জুটি রহমান-শবনম জুটি। নায়ক রহমানের ‘ রাজধানীর বুকে ’ ছবিটি খুবই হিট
    করে এবং গোটা পাকিস্তানে আলোড়ন সৃষ্টি করে। তার ছবিগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো ‘ চান্দা ’, ‘ তালাশ ’, ‘ দর্শন ’, ‘ হারানো দিন ’, ‘ জোয়ার ভাটা ’, ‘ চলো মান গায়ে ’। তালাশ এবং চান্দা ছায়াছবি তৱকালীন সমগ্র পাকিস্তানে ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করে। রহমান অভিনীত তৃতীয় ছবি মুস্তাফিজ পরিচালিত ‘ হারানো দিন ’ মুক্তি পায় ১৯৬১ সালে যাহা দেশ-বিদেশে প্রচুর সুনাম অর্জন করে। ঐসময় শবনম- রহমান
    জুটি কলকাতার উত্তম- সুচিত্রার মতো জনপ্রিয় হয়ে উঠে। কিন্তু হায়! ১৯৬৩ সালে ‘ প্রীত না জানে রীত ’ছবি
    সুটিং এর সময় সিলেটে এক দুর্ঘটনায় তার একটি পা হারিয়ে ফেলেন। তিনি পাকিস্তানী নায়িকা দীবার
    বিপরীতে ‘ মিলন ’ ছবিতে অভিনয় করেন। মিলন মুক্তি পায় ১৯৬৩ সালে, বাহানা ১৯৬৫ , ইন্দন ১৯৬৬, দর্শন ১৯৬৭ কংকন ১৯৬৯, রাজধানীর বুকে ১৯৬০ সালে। নায়ক রহমান নি:সন্দেহে প্রতিভাবান চিত্র শিল্পী এবং পরিচালক ছিলেন। রহমানের কোন পুত্র সন্তান ছিল না। তার পাঁচ মেয়ে। বড় মেয়ে লুবনা, তারপর তোনামি, চামপুল, ললি ও লোপা । পাঁচ মেয়ের মধ্যে ললি শ্রীলংকায় থাকে। বাকী চার মেয়েই আমেরিকার নাগরিকত্বপ্রাপ্ত। সাত- আট বছর ধরে এই মহা নায়ক উচ্চ রক্তচাপ জনিত কারনে চলাফেরা করতে পারেননি। অতিব দু:খের বিষয় সরকারিভাবে তার কোন খোজ-খবর নেয়া হয়নি। অবশেষে এই প্রথিতযশা মহা নায়ক শত শত ভক্তকে কাঁদিয়ে ২০০৫ সালের ১৮ জুলাই না ফেরার দেশে চলে যান। তিনি বেচে না থাকলেও শত কোটি ভক্তের হৃদয়ে বেঁচে থাকবেন অনাদি, অনন্তকাল। মৃত্যুকালে তার ছোট মেয়ে লোপা সাথে ছিল। বর্তমানে তাঁর পারিবারিক কবরস্থান রসেয়া শায়িত আছেন। এই কদর বুঝবে না সে দেশে গুণী মানুষ কখনো জন্মায় না। নায়ক রহমানের মেয়ের হাতে প্রতিষ্ঠিত বর্তমান বাংলাদেশ এপোলো হাসপাতাল রয়েল পার্ক।

  • কুড়িগ্রামে স্বাধীনতা বিরোধীর সড়ষন্ত্রে শহীদ মিনার নির্মাণে বারবার বাধাঁ

    কুড়িগ্রামে স্বাধীনতা বিরোধীর সড়ষন্ত্রে শহীদ মিনার নির্মাণে বারবার বাধাঁ

    এম এস সাগর,

    কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি:

    কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার শিমুলবাড়ী (চওড়াবাড়ী) এলাকায় স্বাধীনতা বিরোধী (নিষিদ্ধ জামায়াত)’র সড়ষন্ত্রে “শিমুলবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শহীদ মিনার নির্মাণে বারবার বাধাঁ প্রদান। উপজেলা প্রশাসন ও শিক্ষা কর্মকর্তা বলছেন পতাকা স্ট্যান্ডের পাশে শহীদ মিনার নির্মাণের কথা। কিন্তু তারপরেও শহীদ মিনার নির্মাণে বাধাঁ দিচ্ছে স্বাধীনতা বিরোধীরা।

    সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে, কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার শিমুলবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ১৯৫৬সালে ২একর ৩২শতক জমিতে স্থাপিত হয়ে সু-নামের শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালিত হয়ে আসছে। উপজেলার ১৪৯টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে সর্বোচ্চ জমি অত্র প্রতিষ্ঠানে। অপরদিকে স্বাধীনতা যুদ্ধের শহীদের স্মরণে সরকারী নির্দেশক্রমে প্রতিটি বিদ্যালয়ের ন্যায় শিমুলবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রুমা বেগম প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার নির্মাণ কাজ শুরু করা মাত্র শিমুলবাড়ী (চওড়াবাড়ী) এলাকায় স্বাধীনতা বিরোধী মৌলবাদীর সাবেক আমির সামছুল হক তার পুত্র কায়ুম মিয়া ও মাদক মামলার আসামী সফিকুল ইসলাম সড়ষন্ত্র করে স্থানীয় যুব-তরুণদের উস্কিয়ে দিয়ে “শিমুলবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শহীদ মিনার নির্মাণে বারবার বাধাঁ প্রদান করে আসছে।

    শিমুলবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রুমা বেগমের অভিযোগের প্রেক্ষিতে ২৯জুন উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা এবং স্থানীয় জন-প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে বিদ্যালয়ের মাঠ মেপে খেলার মাঠ ঠিক রেখে পতাকা স্ট্যান্ডের পাশে শহীদ মিনার নির্মাণের জন্য প্রধান শিক্ষক কে নির্দেশ প্রদান করেন। তারপরেও উক্ত স্বাধীনতা বিরোধীরা সরকারী নির্দেশনা কে বৃদ্ধাঙ্গালী দেখিয়ে আবারও শহীদ মিনার নির্মাণ কাজে বাধাঁ প্রদান করছে এবং বিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম নষ্টসহ শিক্ষকদের হেনস্তা করার পায়তারা চালাচ্ছে।

    প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা জানান, আশেপাশের বিদ্যালয়গুলোতে শহীদ মিনার থাকলেও আমাদের বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার নাই। তার কারণে জাতীয় দিবসে শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে পারি না।

    অভিভাবকরা জানান, স্বাধীনতা বিরোধী মৌলবাদীরা বারবার শিমুলবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শহীদ মিনার নির্মাণে বাধাঁ প্রদান করছে। অতি দ্রুতই শহীদ মিনার নির্মাণের দাবি তাদের।

    স্থানীয় বীর মুক্তিযোদ্ধারা জানান, শিমুলবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শহীদ মিনার নির্মাণ কাজ শুরু হলেও স্থানীয় কিছু মৌলবাদী ছেলেরা বারবার শহীদ মিনার নির্মাণে বাধাঁ প্রদান করে আসছে। শহীদ মিনার মানেই স্বাধীনতা যুদ্ধের শহীদের স্মরণ করা।

    শিমুলবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এডহক কমিটির দাতা সদস্য নজির হোসেন জানান, এলাকার জামায়াত শিবিরের ছেলেরা শহীদ মিনার নির্মাণে বারবার বাধাঁ প্রদান করছেন।

    শিমুলবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রুমা বেগম জানান, সরকারী নির্দেশনা মতে বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার নির্মাণ কাজ শুরু করলে এলাকার কতিপয় কিছু ছেলে নির্মাণ কাজে বাধাঁ দেয়। পরবর্তীতে উপজেলা প্রশাসন ও শিক্ষা কর্মকর্তা কে অবহিত করায় তারা জন-প্রতিনিধিদের নিয়ে শহীদ মিনার নির্মাণের স্থান নির্ধারণ করেন। তারপরেও নির্মাণ কাজ বন্ধ।

    উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আশরাফুজ্জামান (ভারপ্রাপ্ত) বলেন, শহীদ মিনার বারবার নির্মাণে বাধাঁর বিষয়টি জেনে উপজেলা প্রশাসন সহ বিদ্যালয়ে যাই এবং মাঠ মেপে পতাকা স্ট্যান্ডের পাশে শহীদ মিনারের জায়গা নির্ধারণ করি। পরবর্তীতে প্রধান শিক্ষক কাজ শুরু করলেও আবারও শহীদ মিনার নির্মাণে বাধাঁ আসে।

    কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, বিষয়টি জেনেছি। শহীদ মিনার নির্মাণের বিধাঁ প্রদানকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

  • হবিগঞ্জে বাস-মাইক্রোবাস সংঘর্ষে ৪ জন নিহত

    হবিগঞ্জে বাস-মাইক্রোবাস সংঘর্ষে ৪ জন নিহত

    হবিগঞ্জ প্রতিনিধি।।
    হবিগঞ্জের মাধবপুরে বাস, মাইক্রোবাস সংঘর্ষে নারীসহ চারজন নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছেন অন্তত ১০ জন।

    সোমবার (১৮ জুলাই) দুপুর ৩টার দিকে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের বাখরনগর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

    নিহতরা হলেন- নেত্রকোনার মদন উপজেলার ফতেহপুর গ্রামের আব্দুর রউফের ছেলে মুরাদ মিয়া (২২), একই গ্রামের সুরুজ মিয়ার স্ত্রী দিনারী বেগম (৪০), ইমরুল মিয়ার স্ত্রী হেলেনা বেগম (২৫)। অপর একজনের নাম-পরিচয় জানা যায়নি।

    প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সিলেট থেকে ঢাকাগামী আল মোবারাকা পরিবহনের একটি বাস বাখরনগর এলাকায় পৌঁছালে বিপরীতমুখী একটি মাইক্রোবাসের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। এ সময় পেছন থেকে একটি ট্রাক মাইক্রোবাসটিকে ধাক্কা দেয়। এ সময় দুজন ঘটনাস্থলে মারা যান। আহত ১০জনকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক দুজনকে মৃত ঘোষণা করেন।

    শায়েস্তাগঞ্জ হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সালেহ আহাম্মেদ বলেন, নিহতদের মরদেহ উদ্ধার করে সদর হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।

    আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। দুর্ঘটনাকবলিত গাড়িগুলো উদ্ধারের পর মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।

  • ঢাকা -সিলেট মহাসড়কে বাস ও নোহা সংঘর্ষে নিহত ৩ আহত ২০

    ঢাকা -সিলেট মহাসড়কে বাস ও নোহা সংঘর্ষে নিহত ৩ আহত ২০

    হবিগঞ্জ প্রতিনিধি।।
    ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের মাধবপুর উপজেলার বাখরনগরে যাত্রীবাহী বাস ও নোহার সংঘর্ষে তিনজন নিহত হয়েছেন। এসময় কমপক্ষে ২০ জন আহত হয়েছে।
    পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস এর সদস্যরা হতাহতদের উদ্ধার করে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেছে।
    এর মাঝে আশংকাজনক অবস্থায় ৪ জনকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।
    ১৮ জুলাই দুপুর ৩টার দিকে এ দূর্ঘটনা ঘটে।

    পুলিশ ও আহত সূত্রে জানা যায়, ঢাকাগামী আল মোবারক পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাসের সাথে সিলেটগামী যাত্রীবাহী নোহার সংঘর্ষ হলে এই হতাহতের ঘটনা ঘটে।
    এসময় মহাসড়কে আধঘন্টা যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকে। খবর পেয়ে হাইওয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস এর সদস্যরা হতাহতদের উদ্ধার করে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে প্রেরণ করে। এর মাঝে তিনজন নিহত হয়। যাদের পরিচয় এখনও পাওয়া যায়নি। তবে আহত চারজনকে সিলেট প্রেরণ করা হয়েছে।

    সৈয়দ মশিউর রহমান হবিগঞ্জ।।

  • মধুপুরের বিভিন্ন এলাকার মানুষ ঠান্ডা জ্বরে আক্রান্ত

    মধুপুরের বিভিন্ন এলাকার মানুষ ঠান্ডা জ্বরে আক্রান্ত

    আঃ হামিদ মধুপুর টাঙ্গাইল প্রতিনিধিঃ

    টাঙ্গাইলে মধুপুর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ঘরে ঘরে ঠান্ডা জ্বরে আক্রান্ত হচ্ছে সব বয়সের মানুষ। এতে করে ফার্মেসী গুলোতে বেড়েছে নাপা বা প্যারাসিটামল ওষুধের ব্যাপক চাহিদা। আগের তুলনায় ঠান্ডা জ্বর জনিত সিরাপের দাম বেশি নেওয়ার অভিযোগও করেছেন অনেকে। চিকিৎসা সংশ্লিষ্টদের দাবি,বন্যা ও প্রচণ্ড গরমের কারণে ঘরে ঘরে মানুষ জ্বর ও ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। ছোট শিশু থেকে শুরু করে যুবক ও প্রবীণরাও এই জ্বরে আক্রান্ত হচ্ছেন। সিজেনারী বা ভাইরাস জনিত জ্বর সাধারণত ৩/৫ দিন স্থায়ী হয়। এই জ্বরে পরিবারের একজন আক্রান্ত হলে অন্যজনেরও আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, সেক্ষেত্রে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ঔষধ খেতে হবে। বাচ্চাদের ক্ষেত্রে কিছুক্ষণ পরপর তোয়ালে বা গামছা পানিতে ভিজিয়ে শরীর মুছে দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকগন। নিদিষ্ট সময়ের মধ্যে জ্বর না কমলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, মধুপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সহ কমিউনিটি ক্লিনিক ও শহরের কয়েকটি বেসরকারি ক্লিনিকে বিগত দিনের তুলনায় গত এক সপ্তাহ ধরে জ্বর ও ঠান্ডাজনিত রোগীর সংখ্যা কয়েকগুন বেড়েছে। বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা রোগীদের চিকিৎসা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে চিকিৎসকদের।এ জ্বরে আক্রান্ত হলে ভয়ের কোন কারণ নেই বলে জানিয়েছেন তারা।