Category: দেশজুড়ে

  • ডেপুটি স্পীকার এর মৃত্যুতে বিরোধীদলীয় নেতার শোক

    ডেপুটি স্পীকার এর মৃত্যুতে বিরোধীদলীয় নেতার শোক

    প্রেস বিজ্ঞপ্তিঃ
    বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পীকার ফজলে রাব্বি মিয়া এঁর মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ এমপি।

    দীর্ঘ নয় মাস দুরারোগ্য ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে নিউইয়র্কের মাউন্ট সিনাই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার পর শুক্রবার স্হানীয় সময় বিকাল ৪ ঘটিকায় মৃত্যুবরণ করেন ডেপুটি স্পীকার ( ইন্না-লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৬ বছর।

    শনিবার (২৩জুলাই)বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের
    মাননীয় বিরোধীদলীয় নেতার সহকারী একান্ত সচিব মামুন হাসান প্রেরিত এক শোক বিবৃতিতে
    বিরোধীদলীয় নেতা বলেন, মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে ফজলে রাব্বী মিয়া ১১ নং সেক্টরে যুদ্ধ করেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতার পক্ষ্যে বৈশ্বিক জনমত গড়ে তুলতে কাজ করেন প্রয়াত এ বীর মুক্তিযোদ্ধা।পেশায় আইনজীবী ফজলে রাব্বী মিয়া রাজনীতির সঙ্গে সক্রিয়ভাবে যুক্ত ছিলেন এবং একাধিকবার তিনি জাতীয় সংসদ সদস্য হিসাবে নির্বাচিত হয়ে দেশের জন্য কাজ করেছেন।

    বিরোধীদলীয় নেতা আরও বলেন,মহান মুক্তিযুদ্ধ ও সংসদীয় গণতন্ত্রে ডেপুটি স্পীকারের অবদান জাতি চিরদিন শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ রাখবে।তাঁর মৃত্যুতে রাজনৈতিক অঙ্গণে অপূরনীয় ক্ষতি হলো যা সহসা পূরণ হওয়ার নয়।

    বিরোধীদলীয় নেতা মরহুমের বিদেহী আত্নার মাগফেরাত কামনা করেন এবং শোকাহত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।

    উল্লেখ্য,ফজলে রাব্বি মিয়া বাংলাদেশ সরকারের আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের প্রতিমন্ত্রী, জাতীয় সংসদের হুইপ, আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রনালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি এবং দ্বিতীয় মেয়াদে জাতীয় সংসদে ডেপুটি স্পীকারের দায়িত্ব পালন করেন।

    অ্যাডভোকেট ফজলে রাব্বি মিয়া মৃত্যুকালে তিন কন্যা ও নাতি নাতনীসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।

  • মরিচবুনিয়ায় আলহাজ্ব আসমত আলী নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ভূতুড়ে ম্যানিজিং কমিটির অভিযোগ।

    মরিচবুনিয়ায় আলহাজ্ব আসমত আলী নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ভূতুড়ে ম্যানিজিং কমিটির অভিযোগ।

    পটুয়াখালী প্রতিনিধি ঃ

    নীতিমালা উপেক্ষা করে পটুয়াখালী সদর উপজেলার মরিচবুনিয়া ইউনিয়নে দক্ষিণ বাজারঘোনা আলহাজ্ব আসমত আলী নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ম্যানিজিং কমিটি গঠনের অভিযোগ উঠছে। চলছে ৯ম ও ১০ম শ্রেনীর শিক্ষার্থীদের পাঠদান,অভিযোগ উঠেছে বিদ্যালয়ের কোমলমতি শিশুদের কাছ থেকে উঠানো হচ্ছে বিদ্যুৎ বিলের টাকা,জন প্রতি নেয়া হচ্ছে ১০ টাকা করে। গত (০২-০৯-২০১৮ ইং) সাল থেকে অত্র বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করে আসছেন শিক্ষক জব্বার মাস্টার, জব্বার মাস্টার ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের চেয়ারে বসার পর অত্র নিম্ন মধ্যমিক বিদ্যালয়ে পাঠদান করানো হচ্ছে ৯ম ও ১০ম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের নেয়া হচ্ছে মাসিক বেতন ও নানান প্রকার মাসিক ও বার্ষিক ফি।

    একাধিক অভিবাবক বলেন,ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের সীমাহীন আর্থিক দূর্নীতি ধামাচাপা দিতে এ কমিটি করা হয়েছে । উক্ত বিদ্যালয়ের ছাত্র ছাত্রীদের অভিভাবক মন্নান সিকদার জানান, বিদ্যালয়ে ছাত্রদের পানি খাবার জন্য একটি টিউবওয়েল ব্যবস্থা করেন শিক্ষা অফিস কিন্তু সেখানেও টিউবওয়েল স্থাপনার জন্য কোমলমতি শিশুদের কাছ থেকে নেয়া হয়েছিল জন প্রতি চাঁদা এবং দিতে হচ্ছে প্রতি মাসের বিদ্যুৎবিল । অপরদিকে উক্ত নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে স্কুল চলাকালীন সময়ে দেখা যায় ৯ম ও ১০ম শ্রেণীর ছাত্র ও ছাত্রীদের চলছে পাঠদান। কিভাবে একটি নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ৯ম ও ১০ম শ্রেনীর ছাত্র ছাত্রী আসলো এমন প্রশ্নে অত্র বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের উত্তর রহস্য জনক, তার দাবি অত্র প্রতিষ্ঠানকে বাচাঁতে উপর মহলে আলোচনা করে এ পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে সম্প্রতি অত্র বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা ও জমিদাতা এবং ছাত্র ছাত্রীদের অভিভাবকগনকে না জানিয়ে করা হয়েছে নাটকীয় ভাবে একটি ম্যনিজিং কমিটি। ভূতুড়ে ভাবে তৈরি করা এ কমিটিকে কেন্দ্র করে অত্র বিদ্যালয়ের অভিভাবক ও স্থানীয় সাধারন এবং বিদ্যালয়ের জমিদাতা প্রতিষ্ঠাতাদের মধ্যে চলছে ব্যপক উত্তেজনা ও সমালোচনা। ম্যানিজিং কমিটি নিয়ে উক্ত কমিটির সদস্য সচিব বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মোঃ জব্বার মাস্টার বলেন, সময় সল্পতার জন্য চার সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি করে মনিরুজ্জামান টিটু মৃধাকে অত্র বিদ্যালয়ের এডহাক কমিটির সভাপতি করা হয়েছে এতে আমাদের শিক্ষা নীতিমালার সকল শর্ত মেনে করা হয়েছে বলে তিনি জানান,তবে কমিটি নির্বাচনের কোন প্রকার নথি পত্র দেখাতে পারেননি উক্ত কমিটির সদস্য সচিব ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো: জব্বার মাষ্টার ।শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে বিদ্যুৎবিল নেয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, যে বিল আসে তা সকল ছাত্র-ছাত্রী দেয় না তবে কিছু শিক্ষার্থী দিলেও বাকিরা তা দেন না বলে প্রতিবেদককে তিনি জানান। অপরদিকে গোপনীয় ভাবে এডহাক কমিটি করা হয়েছে বলে অত্র বিদ্যালয়ের শিক্ষক এবং উক্ত কমিটির সদস্য মাওলানা আবুল হোসেন বলেন, ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের কথায় আমার ভোটার কার্ড দিয়েছিলাম তিনি তা দিয়ে গোপনে যে কমিটি করবেন তা আমার জানা নেই, তবে সার্বিক বিষয়ে পরে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আমাকে মুঠোফোনে উক্ত বিষয়ের সত্যতা নিশ্চিত করেন। খোঁজ নিয়ে দেখাযায় অত্র বিদ্যালয়ে ৯ম ও ১০ম শ্রেনীর শিক্ষার্থীদের ভর্তি করলেও তারা এসএসসি পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করছেন ” হাজীখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয় ” থেকে এবং নিয়মিত হাজিরা খাতায় তাদের রোল কল করা হচ্ছে “” দক্ষিণ বাজারঘোনা আলহাজ্ব আসমত আলী নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে। রাতের আধাঁরে তৈরী করা এডহাক কমিটির বিষয়ে অত্র বিদ্যালয়ের আশে পাশের স্থানীয় জনতা এবং অত্র বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা আলহাজ মো: মোশারফ হোসেন সিকদারের বড় ছেলে আলহাজ্ব মো: জাকির সিকদার বলেন,অত্র বিদ্যালয়ের পূর্বের কমিটির বিরুদ্ধে নানান অভিযোগে কোর্টে মামলা থাকা অবস্থায় কিভাবে আবার হঠাৎ করেই কাউকে কিছু না বলে নতুন কমিটি গঠন করেন ভারপ্রাপ্ত শিক্ষক জব্বার মাষ্টার এটা ক্ষমতার অপব্যবহার ছাড়া আর কিছুই না তাছাড়া বর্তমান সরকারের অধিনে যেখানে সকল শিশুসহ শিক্ষার্থীদের লেখা পড়া বাধ্যতা মূলক করতে সরকার নানা মুখি পদক্ষেপ গ্রহন করছেন প্রতিনিয়ত, সেখানে কিভাবে অত্র বিদ্যালয়ের কোমলমতি শিশুদের কাছ থেকে বিদ্যৎবিল নিচ্ছেন অত্র বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ,আমরা এর দ্রুতসময়ে সঠিক তদন্ত করে বিচার ও প্রতিকার দাবি করছি । অত্র বিদ্যালয়ের আরেক শিক্ষার্থী আতিকুর রহমানের পিতা অভিবাবক হানিফ সরদার বলেন, রাতের আধাঁরে কমিটি গঠন করে প্রধান শিক্ষক অত্র বিদ্যালয়ে এক নায়তন্ত্র কায়েম করতে এবং তার সকল খারাপ কর্মযগ্য নিরবিগ্ন ভাবে চালাতে পারবেন বলে রাতের আধারেঁ অবৈধ ভাবে এডহাক কমিটি গঠন করেছে, আমরা আত্র বিদ্যালযের সকল ছাত্র ছাত্রীদের মঙ্গলের জন্য উক্ত কমিটি দ্রুত সময়ে বিলুপ্ত দেখতে চাই তাছাড়া তার বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে চাঁদা ও নিয়ম বহির্ভূত ভাবে ৯ম ও ১০ম শ্রেনীর ছাত্র ভর্তি বিষয়ে দ্রুত তদন্ত সাপেক্ষ ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য দাবি জানাই।

  • বেতার মহাপরিচলকের মৃত্যুতে মধুমালা রেডিও ক্লাবের শোক

    বেতার মহাপরিচলকের মৃত্যুতে মধুমালা রেডিও ক্লাবের শোক

    প্রেস বিজ্ঞপ্তি:

    বাংলাদেশ বেতারের মহাপরিচালক আহম্মদ কামরুজ্জামান এর মৃত্যুতে মধুমালা রেডিও ক্লাব, চাঁপাইনবাবগঞ্জ শোক প্রকাশ করেছেন। মধুমালা রেডিও ক্লাব সভাপতি ও কেন্দ্রীয় বেতার শ্রোতা ক্লাবের সদস্য মোঃ শাহাদাত হোসেন এক বিজ্ঞপ্তিরর মাধ্যমে বাংলাদেশ বেতারের মহাপরিচালক জনাব আহম্মদ কামরুজ্জামান এর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করে তার পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান এবং মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন। ক্লাব সভাপতি শোক প্রকাশ করে বলেন বাংলাদেশ বেতারের মহাপরিচালক আহম্মদ কামরুজ্জামান আধুনিক বেতার এবং ডিজিটাল প্রচার মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। তাঁর মৃত্যুতে বেতার শ্রোতারা এক জনপ্রিয় ব্যক্তিকে হরালো।
    উল্লেখ্য, জনাব আহম্মদ কামরুজ্জমান ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২২ জুলাই শুক্রবার রাতে ইন্তেকাল করেছেন।

    বার্তা প্রেরক: মোঃ শাহাদাত হোসেন।।

  • চাটখিলে হাসপাতাল কেবিনে রোগী ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগে থানায় মামলা

    চাটখিলে হাসপাতাল কেবিনে রোগী ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগে থানায় মামলা

    রফিকুল ইসলাম সুমন (নোয়াখালী)

    চাটখিল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডাক্তার সেজে কেবিনে ঢুকে রোগীকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগে চাটখিল থানায় এজাহার দায়ের করা হয়েছে। শুক্রবার বিকেলে চাটখিল উপজেলা কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার তাহামিনা আক্তার বাদী হয়ে দায়েরকৃত এজাহারে অভিযুক্ত মঞ্জুরুল হায়দার জনিকে আসামি করা হয়েছে।হাসপাতালের কেবিনে ঢুকে রুবিকে ধর্ষণের চেষ্টার ঘটনায় পুরো চাটখিলে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। ডাক্তার তাহমিনা আক্তারের অভিযোগ সূত্রে জানাগেছে, সানজিদা আক্তার ( ২৪) নামের গৃহবধূ জ্বর জনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে গত ১৯ শে জুলাই সকাল সাড়ে ৭টার দিকে চাটখিল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ২য় তলার ১ নং কেবিনে ভর্তি হয়। ২০ শে জুলাই দুপুর সোয়া ১২ টার দিকে মঞ্জুরুল হায়দার জনি পিতা মৃত শাহাদত উল্লাহ ঠিকান সুন্দরপুর ( হারিছ ভবন ৬ষ্ঠ তলা), থানা চাটখিল নোয়াখালী, সানজিদার কেবিনে প্রবেশ করে। এ সময় সানজিদার কেবিনে থাকা তার আত্মীয়দের লুঙ্গি ও গামছা ক্রয় করার অজুহাতে দোকানে পাঠিয়ে দেয় জনি। কেবিনের দরজা বন্ধ করে সানজিদার শরীরের স্পর্শকাতরস্থানে হাত দিয়ে তাকে যৌন হয়রানী করে এবং ধর্ষণের চেষ্টা করে। সানজিদার ডাক চিৎকারে হাসপাতালের অন্যান্য রোগী ও কর্তব্যরতরা ছুটে আসলে জনি পালিয়ে যায়।

    এ রিপোর্ট লেখার সময় শুক্রবার রাত ৮টা ৩৭ মিনিটে চাটখিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা গিয়াস উদ্দিনের সাথে যোগাযোগ করলে, তিনি বলেন, হাসপাতালে রোগীকে ধর্ষণের চেষ্টার ঘটনায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা হয়েছে। চাটখিল থানার মামলা নং ১৩। ওসি গিয়াসউদ্দিন বলেন, অভিযুক্ত জনিকে গ্রেফতার করার জন্য পুলিশ অভিযান পরিচালনা করছে।

    এদিকে কেবিনে ঢুকে রোগীকে ধর্ষণের চেষ্টার ঘটনা তদন্তের জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ খন্দকার মোস্তাক আহমেদ একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন। মেডিকেল অফিসার ডাঃ তাহমিনা আক্তার কে প্রধান করে ৪ সদস্য বিশিষ্ট এ কমিটিতে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক কর্মকর্তা ডাঃ শহিদুল ইসলাম নয়নকে সদস্য হিসেবে রাখা হয়েছে। চার কর্ম দিবসের মধ্যে কমিটিকে রিপোর্ট জমা দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে। কমিটির এক সদস্য নয়া বঙ্গবাজার কে জানান শনিবার সকাল ৯’টায় কমিটির বৈঠক হবে।

    উল্লেখ্য মঞ্জুরুল হায়দার জনি চাটখিল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডিপ্লোমা ডাক্তার মনিরুল হায়দারের ছোট ভাই। তাছাড়া হাসপাতালে সামনেই রয়েছে হায়দার মেডিকেল নামে তাদের একটি ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান। অভিযোগ রয়েছে মনিরুল হায়দার মনির তার ডিউটি বাদ দিয়ে হায়দার মেডিকেলে বসেই বেশী সময় ব্যয় করেন। এখানে বসেই তিনি ওষুধ বেচাকেনা করে থাকেন। এছাড়া তিনি যেসব প্রেসক্রিপশন দেন এগুলোর ওষুধ তার দোকান থেকে ক্রয় করার জন্য রোগীদের উপদেশ দিয়ে থাকেন।

  • নোয়াখালীর সোনাইমুড়িতে নারীর নগ্ন ভিডিও ধারণ, ডিবি পুলিশের হাতে আটক ১

    নোয়াখালীর সোনাইমুড়িতে নারীর নগ্ন ভিডিও ধারণ, ডিবি পুলিশের হাতে আটক ১

    রফিকুল ইসলাম সুমন( নোয়াখালী)

    নোয়াখালীতে প্রেমের ফাঁদে ফেলে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন, গোপনে নগ্ন ভিডিও ধারণ, তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেখিয়ে টাকা ও স্বর্ণালংকার আদায়সহ একাধিক নারী অপহরণ মামলার আসামি মোরশেদ আলম রুবেল (৩৫) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে জেলা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)।শুক্রবার (২২ জুলাই) দুপুরে জেলার সোনাইমুড়ী উপজেলার আটিয়াবাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

    জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাইফুল ইসলাম শনিবার (২৩ জুলাই) সকালে গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
    আটক রুবেল সোনাইমুড়ী উপজেলার আটিয়াবাড়ি এলাকার মৃত. আব্দুল মান্নানের ছেলে।

    পুলিশ সূত্রে জানা যায়, রুবেলের সঙ্গে ৫ মাস আগে মোবাইলে এক নারীর পরিচয় হয়। পরিচয় একসময় প্রেমের সম্পর্কে রূপ নেয়। সে সম্পর্কের সূত্র ধরে সুকৌশলে ওই নারীকে চৌমুহনী থ্রি-স্টার হোটেলে এনে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হয় এবং গোপনে তার নগ্ন ভিডিও ধারণ করে রুবেল। পরবর্তীতে রুবেল তার ধারণ করা ভিডিও ওই নারীর মুঠোফোনে পাঠায় এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে বিভিন্ন সময় সে নারী থেকে নগদ ৮৫ হাজার টাকা, এক জোড়া কানের দুল ও একটি স্বর্ণের চেইন আদায় করে এবং আরও টাকার জন্য চাপ দিতে থাকে।

    ভুক্তভোগী ওই নারী এ বিষয়ে নোয়াখালী পুলিশ সুপার বরাবর লিখিত অভিযোগ করলে পুলিশ সুপার জেলা গোয়েন্দা শাখাকে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য নির্দেশ দেন।ওসি মো. সাইফুল ইসলাম জানান, আটকের সময় রুবেলের কাছ থেকে স্বর্ণের ১ জোড়া কানের দুল, ১টি চেইন ও নগ্ন ভিডিও ধারণে ব্যবহৃত মোবাইল সেটটি জব্দ করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

  • বানারীপাড়ায় র‌্যাব-৮ এর অভিযানে বিপুল পরিমান ফেন্সিডিল ও গাঁজা উদ্ধার

    বানারীপাড়ায় র‌্যাব-৮ এর অভিযানে বিপুল পরিমান ফেন্সিডিল ও গাঁজা উদ্ধার

    বানারীপাড়া(বরিশাল)প্রতিনিধি॥

    বরিশাল র‌্যাব-৮’র বিশেষ অভিযানে বানারীপাড়ায় ১৯৫ বোতল ফেন্সিডিল ও সাড়ে ২৮ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়েছে। জানা যায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বানারীপাড়ার শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী সোহেল মোল্লা ওরফে ল্যাংটা সোহেলের বাড়িতে অভিযান পরিচালনা করে র‍্যাব- ৮। গতকাল শুক্রবার বিকাল ৫টায় বরিশাল র‌্যাব-৮’র কম্পানি কমান্ডার মেজর জাহাঙ্গির আলমের নেতৃত্বে এক দল র‌্যাব সদস্যরা বানারীপাড়া পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের মহিষাপোতা গ্রামে ল্যাংটা সোহেলের বাড়িতে অভিযান পরিচালনা করেন। ওই সময় র‌্যাব সদস্যদের উপস্থিতি টের পেয়ে মাদক ব্যবসায়ী সোহেল মোল্লা ওরফে ল্যাংটা সোহেল (৩৫),তার সহযোগী শাহাদাত হোসেন (২৭) ও হারুন হাওলাদার (৩৩) পালিয়ে যেতে সক্ষম হয় । অভিযানেকালে ১৯৫ বোতল ফেন্সিডিল ও সাড়ে ২৮ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়। এই ঘটনায় রাতে বরিশাল র‌্যাব-৮’র ডিএডি আ.মতিন বাদী হয়ে তিন জনকে আসামী করে বানারীপাড়া থানায় মাদকদ্রব্য আইনে মামলা দায়ের করেন।

    উল্লেখ্য শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী ল্যাংটা সোহেল দীর্ঘদিন যাবৎ বানারীপাড়া ও পার্শ্ববর্তী উপজেলায় মাদক ব্যাবসা করে আসছে।
    ইতিপুর্বে সোহেল বিভিন্ন সময় র‌্যাব ও পুলিশের হাতে অবৈধ অস্ত্র ,ফেন্সিডিল,ইয়াবা ও গাঁজাসহ বিভিন্ন সময় গ্রেফতার হলে কিছুদিন হাজতবাস করে আইনের ফাঁকফোকর দিয়ে বেড়িয়ে এসে সে পুনরায় মাদক ব্যবসা পরিচালনা করে।

    এদিকে এলাকাবাসী সোহেল ও তার সহযোগীদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।

  • আশুলিয়ার ইয়ারপুর ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের ৩নং হা-মীম গেট রাস্তার নির্মাণ কাজের উদ্বোধন

    আশুলিয়ার ইয়ারপুর ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের ৩নং হা-মীম গেট রাস্তার নির্মাণ কাজের উদ্বোধন

    হেলাল শেখঃ ঢাকার আশুলিয়ার ইয়ারপুর ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের ৩নং হা-মীম গেট রোডসহ বিভিন্ন রাস্তার নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেছেন যুবলীগ নেতা ইয়ারপুর ইউপি’র ৬নং ওয়ার্ডের নবনির্বাচিত মেম্বার মোঃ জলিল উদ্দিন ভুঁইয়া (রাজন)।
    বৃহস্পতিবার (২১ জুলাই ২০২২ইং) সকাল ৯টায় প্রথমে আশুলিয়ার ইয়ারপুর ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের ৩নং হা-মীম গেট মসজিদের ৩০০ ফিট রাস্তার নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেন মোঃ জলিল উদ্দিন ভুঁইয়া (রাজন) মেম্বার। আশুলিয়া থানার ইয়ারপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও ৬নং ওয়ার্ডের নবনির্বাচিত মেম্বার, স্থানীয় মান্নান ভুঁইয়াসহ এলাকাবাসী ইয়ারপুর ইউনিয়ন পরিষদের স্বর্ণপদক প্রাপ্ত চেয়ারম্যান সৈয়দ আহমেদ ভুঁইয়া’র রোগ মুক্তি কামনায় দোয়া করেন।
    এরপর ইয়ারপুর ইউনিয়নের চিত্রশাইল কাঁঠালতলা বাজারের রাস্তার নির্মাণ কাজের পরিদর্শন করেন! নতুন মেম্বার মোঃ জলিল উদ্দিন ভুঁইয়া (রাজন) বলেন, আমি যুবলীগের রাজনীতি করছি, বর্তমানে ইয়ারপুর ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের মেম্বার নির্বাচিত হয়ে মানুষের কল্যাণে সেবামূলক কাজ করে খুবই ভালো লাগছে। আমি নতুন মেম্বার তাই সবার সহযোগিতা ও দোয়া কামনা করছি, আমি যেন সঠিকভাবে মানুষের সেবা করতে পারি। তিনি আরও বলেন, আমাদের ইয়ারপুর ইউনিয়নের সম্মানিত চেয়ারম্যান জনাব সৈয়দ আহমেদ ভুঁইয়া অসুস্থ্য আমরা সবাই তার সুস্থতা কামনায় সবার কাছে দোয়া চাই।

  • প্রতিবেশীকে ফাঁসাতে গিয়ে নিজেই ফেঁসে গেলেন অস্ত্র মামলায়

    প্রতিবেশীকে ফাঁসাতে গিয়ে নিজেই ফেঁসে গেলেন অস্ত্র মামলায়

    ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ
    জমি নিয়ে সজল হোসেনের বিরোধ ছিল প্রতিবেশি সুমনের। তাই ফন্দি আঁটে সুমনকে ফাঁসানোর। বিরোধর জের ধরে সজল হোসেন দেশী অস্ত্র ও গুলি দিয়ে প্রতিবেশি সমুনকে ফাঁসাতে যায়, কিন্তু নিজের জালে জড়িয়ে এখন শ্রীঘরে সজল। ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার রাতে ঝিনাইদহ সদর উপজেলার শ্যামনগর গ্রামে। র‌্যাব সজলকে আটক করে অস্ত্র মামলায় চালান দিয়েছে। গ্রেফতারকৃত সজল পার্শবর্তী বড়বাড়ী গ্রামের প্রবাসী শফি উদ্দিনের ছেলে। ঝিনাইদহ র‌্যাবের কোম্পানী কমান্ডার মেজর মোহাম্মদ শরিফুল আহসান জানান, জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে ওই গ্রামের সুমন হোসেনের সাথে প্রতিবেশী সজল মিয়ার দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। রাতে দেশীয় অস্ত্র ও গুলি দিয়ে সুমনকে ফাঁসানোর চেষ্টাকালে র‌্যাবের একটি অভিযানিক দল সজলকে আটক করে। উদ্ধার করে একটি দেশীয় ওয়ান শুট্যার গান ও ১ রাউন্ড গুলি। এ ঘটনায় র‌্যাবের পক্ষ থেকে মামলা দায়ের করে আসামীকে সদর থানায় সোপর্দ করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সজল অস্ত্র দিয়ে প্রতিপক্ষকে ফাঁসানের বিষয়টি স্বীকার করেছেন।

    ঝিনাইদহ
    আতিকুর রহমান।।

  • ঝিনাইদহে ধান বোঝাই ট্রাকে ভারতীয় ফেনসিডিল

    ঝিনাইদহে ধান বোঝাই ট্রাকে ভারতীয় ফেনসিডিল

    ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ
    ঝিনাইদহের মহেশপুরে একটি ধান বোঝাই ট্রাক থেকে দেড়’শ বোতল ভারতীয় ফেনসিডিল উদ্ধার করেছে মহেশপুরের ৫৮ বিজিবি। এ সময় ট্রাকের ড্রাইভার পলাশকে আটক করা হয়। পলাশ মহেশপুরের কুল্লা সাহেবপাড়ার রবিউল ইসলামের ছেলে। ৫৮ বিজিবির অতিরিক্ত পরিচালক তসলিম মোহাম্মদ তারেক জানান, গোপন সুত্রে খবর পেয়ে উপজেলার কুশাডাঙ্গা গ্রামে অভিযান চালায় বিজিবি সদস্যরা। এ সময় সীমান্ত থেকে আসা একটি ধান বোঝাই ট্রাক তল্লাসী করে ট্রাকের মধ্যে ১৫০ বোতল ভারতীয় ফেন্সিডিল পায়। ট্রাকসহ চালককে বিজিবি আটক করে মহেশপুর থানায় সোপর্দ করেছে। বিজিবি সুত্রে জানা গেছে, ভারত থেকে এই ফেনসিডিলের চালান আনার সঙ্গে জড়িত মহেশপুরের হানিফপুর গ্রামের আলী কদরের দুই ছেলে মোঃ জহিরুল ইসলাম ও মোঃ রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধেও মামলা করা হয়েছে।

  • সুজানগরে বিদ্যালয়ের ঝুঁকিপূর্ণ ঘরে চলছে কোমলমতি শিশু শিক্ষার্থীদের পাঠদান

    সুজানগরে বিদ্যালয়ের ঝুঁকিপূর্ণ ঘরে চলছে কোমলমতি শিশু শিক্ষার্থীদের পাঠদান

    এম এ আলিম রিপন,সুজানগরঃ পাবনার সুজানগরের ৭৪ নং শান্তিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ঝুঁকিপূর্ণ একটি সেমিপাকা ঘরে চলছে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের পাঠদান। বিদ্যালয়ের এ ঘরটি এতই ঝুঁকিপূর্ণ যে, সব সময় দুর্ঘটনার আতঙ্কে থাকেন শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।বৃহস্পতিবার সরেজমিন পরিদর্শন ও শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ১৯৭০ সালে সুজানগর উপজেলার দুলাই ইউনিয়নের শান্তিপুর গ্রামে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়। পরবর্তী সময়ে একটি সেমিপাকা ঘর এবং ২০০৭ সালে ৩ কক্ষবিশিষ্ট একটি একতলা ভবন নির্মাণ করা হয়। এর মধ্যে পাকা একতলা ভবনের ১টি কক্ষ ব্যবহূত হয় প্রধান শিক্ষক ও অন্য শিক্ষকদের জন্য, অপর দুইটি কক্ষ এবং বিদ্যালয়ের ঝুঁকিপূর্ণ সেমিপাকা ঘরে চলছে শিক্ষার্থীদের পাঠদান। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটিতে শিক্ষার্থীর সংখ্যা দুইশতাধিক । শিক্ষক রয়েছেন ৪ জন। বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্রী শ্রাবন্তী আক্তার জানায়, বিদ্যালয়ের ফাটলধরা শ্রেণীকক্ষে ক্লাস করতে ভয় হয়। বৃষ্টির সময়ে উপরের টিন দিয়ে ছুঁয়ে পানি পড়ে মেঝেতে এছাড়া দরজা জানালাগুলো ভাঙা থাকায় বৃষ্টি হলে বাতাসের তোড়ে শ্রেণীকক্ষে পানি ঢুকে বই-খাতা ভিজে যায়। এ কারণে অনেক সময় স্কুলে আসি না।শিক্ষার্থীদের অভিভাবকেরা জানান, বিদ্যালয়ের পাশেই ব্যক্তিমালিকানা জমিতে কোন ধরণের নিয়মনীতি না মেনে স্থানীয় প্রভাবশালীমহল পুকুর খনন করে সেখানে মাছ চাষ করায় পুকুরের পাড় ভেঙ্গে বিদ্যালয়ের পুরাতন ঘরটি আরও বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে। বর্তমানে যে অবস্থা দেখা যাচ্ছে যে কোন সময় ঘরটি ভেঙ্গে পরতে পারে ।এ কারণে বাচ্চাদের বিদ্যালয়ে পাঠিয়ে আতঙ্কে থাকতে হয়। বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক শফিউল আলম জানান, সেমিপাকা ঘরটির শ্রেণি কক্ষগুলো জরাজীর্ণ হয়ে পড়েছে। ফলে সব সময় দুর্ঘটনার আতঙ্কে থাকেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। অবস্থা দিনদিন ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে। বিকল্প কোনো ব্যবস্থা না থাকায় বাধ্য হয়ে ঝুঁকিপূর্ণ ঘর জেনেও পাঠদান চালু রাখার স্বার্থে সেখানে ক্লাস নেওয়া হচ্ছে। এ কারণে সন্তানদের স্কুলে পাঠিয়ে আতঙ্কে থাকেন অভিভাবকরাও । এ বিষয়ে বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি রায়হান উদ্দিন খান জানান, বিস্তৃত ফাটল দেখা দেওয়ায় ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে বিদ্যালয়ের সেমিপাকা ঘরটি। ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় অনেক অভিভাবক তাদের ছেলেমেয়েকে বিদ্যালয়ে আসতে দিতে চান না। ঘরটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করে বিকল্প কোনো ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করা হয়েছে। উপজেলা শিক্ষা অফিসার আব্দুল জব্বার জানান, বিদ্যালয়ের ঝুঁকিপূর্ণ ঘরটি আমাদের তদারকিতে আছে। জরুরি ভিত্তিতে নতুন ভবন নির্মাণের জন্য আমরা জোর প্রচেষ্টা চালাচ্ছি। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো.রওশন আলী জানান, ইতিমধ্যে উপজেলা প্রকৌশলীকে সরেজমিনে পরিদর্শন করে বিদ্যালয়ের ঘরটি ঝুঁকিপূর্ণ হলে পরিত্যক্ত ঘোষণা করতে বলা হয়েছে। সুজানগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কমিটির সভাপতি শাহীনুজ্জামান শাহীন জানান, বিদ্যালয়ের কোমলমতি শিক্ষার্থীদের পাঠদান চালু রাখতে এবং নতুন ভবন না হওয়া পর্যন্ত অস্থায়ী ভিত্তিতে বিকল্প কোন ব্যবস্থা করা যায় কিনা সে বিষয়ে অতি দ্রুতই পদক্ষেপ গ্রহন করা হবে। এদিকে বিদ্যালয়েযেকোনো সময় ঘটতে পারে বড় কোনো দুঘর্টনা । তাই বিদ্যালয়ের এ দুরাবস্থা থেকে উত্তরণের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

    এম এ আলিম রিপন
    সুজানগর(পাবনা)প্রতিনিধি।