Category: দেশজুড়ে

  • গোদাগাড়ীতে  জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ ২০২২ এর কার্যক্রম শুরু হয়েছে

    গোদাগাড়ীতে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ ২০২২ এর কার্যক্রম শুরু হয়েছে

    নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী :নিরাপদ মাছে ভরবো দেশ বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ’’ এই স্লোগানে রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলায় জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ ২০২২ শুরু হয়েছে। মৎস্য সপ্তাহ উপলক্ষে শনিবার (২৩ জুলাই বেলা ১১ টায় উপজেলা প্রশাসন ও মৎস্য অধিদপ্তরের আয়োজনে উপজেলা মিলনায়তনে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভা হয়।

    মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. জানে আলম।

    মতবিনিময় সভায় জানানো হয়, জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ উপলক্ষে প্রথমদিন (২৩ জুলাই) মাইকিং এর মাধ্যমে ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা। দ্বিতীয়দিন (২৪ জুলাই) প্রান্তিক পর্যায়ের মৎস্যচাষী ও মৎস্যচাষীদের সাথে মতবিনিময়। তৃতীয়দিন (২৫ জুলাই) সফল মৎস্যচাষীদের পুরস্কার প্রদান। চতুর্থদিন (২৬ জুলাই) অবৈধ জালের বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা। পঞ্চমদিন (২৭) উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় মৎস্যচাষীদের মাছ চাষ বিষয়ক পরামর্শ সেবা প্রদান ও পুকুরের মাটি পরীক্ষা। ৬ষ্ঠদিন (২৮ জুলাই) মৎস্যচাষীদের মাঝে মৎস্য খাদ্য বিতরণ এবং সপ্তমদিন (২৯ জুলাই) জাতীয় মৎস্য সপ্তাহের মূল্যায়ন ও সমাপনি অনুষ্ঠান।
    মতবিনিময় সভায় জানানো হয়, উপজেলায় মাছের মোট উৎপাদন ৮ হাজার ৭ শত ১৪.০২ মে.টন । মাছের বার্ষিক চাহিদা ৬ হাজার ৫ শত ২২ মে.টন। উদ্বৃত হচ্ছে ২ হাজার ১ শত ৯২.০২ মে.টন।

    এছাড়াও মৎস্য উৎপাদন উপলক্ষে মাছ সঠিক ভাবে রক্ষণাবেক্ষণ সহ মাছ উৎপাদনের জন্য নানা দিক নিয়ে আলোচনা করা হয়। মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা বরুণ কুমার মন্ডল, গোদাগাড়ী প্রেসক্লাবের সভাপতি এবিএম কামারুজ্জামান বকুল, মহিশালবাড়ী মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক, সিনিয়র সাংবাদিক কলামিষ্ট মোঃ হায়দার আলী, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল বাতেন, পৌর প্রেসক্লাবের সভাপতি শহিদুল ইসলাম, উপজেলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক জামিল আহমেদ, মানিক, আসরাফ বাবু, ইসাহাক আলীসহ বিভিন্ন পত্রিকায় কর্মরত সাংবাদিকবৃন্দ।

    মোঃ হায়দার আলী
    নিজস্ব প্রতিবেদক,রাজশাহী।

  • মধুপুরে  জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ উদযাপন উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলন ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

    মধুপুরে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ উদযাপন উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলন ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

    আঃ হামিদ মধুপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধিঃ

    “নিরাপদ মাছে ভরবো দেশ বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ” এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে টাঙ্গাইলের মধুপুরে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ-উদযাপন উপলক্ষে সাংবাদিকদের সাথে উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মো: তারিকুল ইসলাম সংবাদ সম্মেলন ও মতবিনিময় সভা করেন।
    উপজেলা মৎস্য দপ্তরের আয়োজনে শনিবার (২৩ জুলাই) সকাল ১১টায় মৎস্য কর্মকর্তার হলরুমে আয়োজিত উক্ত সংবাদ সম্মেলন ও মতবিনিময় সভায় বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকগন উপস্হিত ছিলেন।
    মতবিনিময় সভায়, জলাশয় সংরক্ষণে সচেতনতা সৃষ্টি, বিলুপ্তপ্রায় জাতের মৎস্য চাষে গুরুত্ব আরোপসহ বিভিন্ন দিক তুলে ধরে আলোচনা করেন মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ তারিকুল ইসলাম। এসময় তিনি এক সপ্তাহ ব্যাপি
    জাতীয় মৎস্য সপ্তাহে সকল দিবসে গনম্যাধম কর্মিগনকে উপস্থিত থাকার আহবান করেন।
    উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ তারিকুল ইসলাম সাংবাদিকদের আরও বলেন, এ বছর উপজেলা পর্যায়ে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ উপলক্ষে মাইকিং ,ব্যানার, পোষ্টার,ফেসটুন ইত্যাদি মাধ্যমে ব্যাপক প্রচারণা, সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভা, উদ্বোধনী র‍্যালী ও আলোচনা সভা, সফল মৎস চাষীদের পুরস্কার বিতরণ, মাছের পোনা অবমুক্ত করন ,প্রামান্য চিত্র প্রদর্শন, মৎস্য চাষীদের সাথে বিভিন্ন বিষয়ে বিশেষ পরামর্শ প্রদান,পুকুরের মাটি ও পানি পরিক্ষা সহ মৎস্য সপ্তাহের সমাপনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।

  • শেরপুরে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ উপলক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়

    শেরপুরে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ উপলক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়

    মাসুম বিল্লাহ, শেরপুর (বগুড়া) প্রতিনিধিঃ
    বগুড়ার শেরপুরে উপজেলা প্রশাসন ও সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তার দপ্তরের আয়োজনে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ উপলক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার ২৩ জুলাই সকাল ১০ টায় উপজেলা হলরুম পরিষদের মতবিনিময় অনুষ্ঠিত হয়। শেরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মইনুল ইসলামের সভাপতিত্বে এ সময় উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মাসুদ রানা সরকার, উপজেলা কৃষি অফিসার ভারপ্রাপ্ত মোছা: জান্নাতুল ফেরদৌস, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি সাইফুল বারী ডাবলু, সাপ্তাহিক বিজয় বাংলা পত্রিকার সম্পাদক আকরাম হোসাইন, সাপ্তাহিক তথ্য মেলার সম্পাদক সুজিত বসাক, উপজেলা শিক্ষা অফিসার নজমুল হক, মহিলা বিষয়ক অফিসার সুবীর পাল, যুব উন্নয়ন অফিসার বিজয় চন্দ্র দাস, উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতির দীপক কুমার, সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম শরিফ, শেরপুর প্রেসক্লাবের সাহিত্য সম্পাদক আব্দুল ওয়াদুদ, কার্যনির্বাহী সদস্য অশোক কুমার সরকার, শেরপুর অনলাইন প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আবু জাহের, শেরপুর উপজেলা প্রেসক্লাবের দপ্তর সম্পাদক কর্মকার কৃষ্ণ, সাংবাদিক নাহিদ আল মালেক, শাকিল আহমেদ, এরশাদ হোসেন, বাদশা, সৌরভ অধিকারী শুভ, যোবায়ের হোসেন, আব্দুল মমিন, মাহফুজ আহমেদ প্রমুখ

  • শেরপুর পৌরসভার ৫৯ কোটি ৩৭ লাখ ৪০ হাজার টাকার বাজেট ঘোষণা

    শেরপুর পৌরসভার ৫৯ কোটি ৩৭ লাখ ৪০ হাজার টাকার বাজেট ঘোষণা

    মাসুম বিল্লাহ শেরপুর বগুড়া প্রতিনিধিঃ
    শেরপুর পৌরসভার ২০২২-২৩ অর্থ বছরের জন্য ৫৯ কোটি ৩৭ লাখ ৪০ টাকার বাজেট ঘোষণা করা হয়েছে। ২৩ জুলাই শনিবার সকালে জেলা পরিষদ মিলনায়তন হাজিপুর শেরপুর পৌরসভার মেয়র আলহাজ্ব জানে আলম খোকার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বাজেট ঘোষণা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন আলহাজ্ব হাবিবুর রহমান এম পি।
    অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আহসান হাবীব আম্বিয়া, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান কে এম মাহবুবার রহমান হারেজ, শেরপুর থানার ওসি (তদন্ত) সনাতন চক্রবর্তী, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও সাপ্তাহিক আজকের শেরপুর পত্রিকার সম্পাদক আলহাজ্ব মুন্সী সাইফুল বারী ডাবলু, বগুড়া জজ কোর্ট এর অতিরিক্তি পি পি আবুল কালাম আজাদ, বদরুল ইসলাম পোদ্দার ববি, আশরাফুল ইসলাম, কাউন্সিলবৃন্দ।

  • হবিগঞ্জে ২০ কেজি গাঁজাসহ   মাদক ব্যবসায়ী গ্রেপ্তার

    হবিগঞ্জে ২০ কেজি গাঁজাসহ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেপ্তার

    হবিগঞ্জ প্রতিনিধি।।

    হবিগঞ্জে পুলিশ সুপার এস এম মুরাদ আলির নির্দেশনায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে মাধবপুর থানা পুলিশ ২০ কেজি গাঁজা সহ এক মাদক বিক্রেতাকে গ্রেফতার করেছে। ২৩ জুলাই রাত টায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মাধবপুর থানার আন্দিউরা গ্রামের জনৈক মতিন খন্দকারের দোকানের সামনে হতে মাদক বিক্রেতাকে গাঁজা সহ গ্রেফতার করা হয়।

    গ্রেফতার মাদক বিক্রেতা হচ্ছে মোঃ আঃ বাছির(৩৪), পিতা- মৃত জাহেদ আলী, গ্রাম- উত্তর বেজুরা,থানা- মাধবপুর।

  • জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ উপলক্ষে টঙ্গীবাড়ীতে সাংবাদিক সম্মেলন

    জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ উপলক্ষে টঙ্গীবাড়ীতে সাংবাদিক সম্মেলন

    মোঃ‌লিটন মাহমুদ মুন্সীগঞ্জঃ

    জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ উপলক্ষে মুন্সীগঞ্জের টঙ্গীবাড়ীতে সাংবাদিকদের সাথে সংবাদ সম্মেলন ও মত বিনিময় সভা করেছে উপজেলা মৎস্য অধিদপ্তর। শনিবার (২৩-০৭-২০২২)ইং বেলা ১১ টায় উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তার কার্যালয়ে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

    সংবাদ সম্মেলনে মৎস্য বিভাগের বিভিন্ন কার্যক্রম তুলে ধরেন উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোসাম্মত নিগার সুলতানা।
    এ সময় উপস্থিত ছিলেন টঙ্গীবাড়ী উপজেলা মৎস্য সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মোঃ শাহিন কবির,সিনিয়র সাংবাদিক টিটু চৌধুরী, বিক্রমপুর টঙ্গীবাড়ী প্রেসক্লাবের কোষাধ্যক্ষ সাংবাদিক আপন সরদার, সাংবাদিক লিটন মাহমুদ,জসিম শেখ, আনিছুর রহমান রলিন সহ ক্ষেত্র সহকারী আবুল হোসেন প্রমুখ।

  • জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ ২০২২ সপ্তাহব্যাপী কার্যক্রম উপলক্ষে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভা

    জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ ২০২২ সপ্তাহব্যাপী কার্যক্রম উপলক্ষে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভা

    মো.হাসমত উল্লাহ,লালমনিরহাট।।।

    নিরাপদ মাছে ভরবো দেশ বঙ্গবন্ধুর দেশ বাংরাদেশ এই প্রতিপাদ্ধ সামনে রেখে লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলায় জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ ২০২২ সপ্তাহব্যাপী কার্যক্রম উদযাপিত শুর হয়েচ্ছে।গত ২৩জুলাই ২০২২ইং শনিবার প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরও ২৩ -২৯ জুলাই ২০২২ খ্রি জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ ২০২২ উদযাপিত হতে যাচ্ছে। আজ থেকে শুরু সপ্তাহব্যাপী এ আয়োজন ।

    মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে বাংলাদেশ স্বাধীন হবার দুই বছর পরে কুমিল্লায় এক জনসভায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান “মাছ হবে দ্বিতীয় বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনকারী সম্পদ” এ মর্মে ঘোষনা দেন। আজ বাংলাদেশে তৈরী পোশাক শিল্পের মতই মৎস্য ও মৎস্যজাত দ্রব্য রপ্তানি করে প্রচুর পরিমানে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করে থাকে। শুধু তাই নয় গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর আমিষের ৬০ শতাংশ যোগান দেয় মাছ।

    কালীগঞ্জে উপজেলায় জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ ২০২২ মতবিনিময় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কালীগঞ্জ উপজেলার নির্বাহি কর্মকর্তা মো.আব্দুল মান্নান, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ফেরদৌস আহমেদ, উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মো: সাইয়েদুল মোফাচ্ছালীন,অবসর প্রাপ্ত অধ্যাপক উত্তর বাংলা কলেজ এস এম মোসোয়ারুল ইসলাম,কালীগঞ্জ প্রেস ক্লাব সভাপতি আমিরুল ইসলাম হেলা,রিপোর্টার্স ক্লাব সভাপতি মোকলেছুর রহমান টুকু, মঞ্জুরুল ইসলাম,ফারুক হোসেন,হাসমত উল্লাহ,সহ কালীগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন ইলেকট্রনিকস ও প্রিন্ট সিডিয়ার সাংবাদিক উপস্থিত ছিলেন।

    হাসমত উল্লাহ।।

  • শোক আর শ্রদ্ধা সংসদের ডেপুটি স্পিকার এড,ফজলে রাব্বী মিয়া আর নেই

    শোক আর শ্রদ্ধা সংসদের ডেপুটি স্পিকার এড,ফজলে রাব্বী মিয়া আর নেই

    রংপুর থেকে বিভাগীয় প্রতিনিধি আবু নাসের সিদ্দিক তুহিন। —

    দেশের জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার(সাঘাটা-ফুলছড়ি)গাইবান্ধা-৫ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট মো. ফজলে রাব্বী মিয়া আর নেই (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
    শুক্রবার (২২ জুলাই) দিবাগত রাত ২টার দিকে (নিউইয়র্ক সময় বিকেল ৪টা) যুক্তরাষ্ট্রের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
    ডেপুটি স্পিকার দীর্ঘ নয় মাস দুরারোগ্য ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে ঐ হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। মৃত্যুর সময় তার বড় মেয়ে ফাহিমা রাব্বী রিটা ও একান্ত সচিব তৌফিকুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
    ফজলে রাব্বী মিয়া ১৯৪৬ সালের ১৫ এপ্রিল গাইবান্ধা জেলার সাঘাটা উপজেলার ভরতখালী সংলগ্ন গটিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম ফয়জার রহমান এবং মাতার নাম হামিদুন নেছা।
    ১৯৫৮ সালে পাকিস্তানের সামরিক শাসক আইয়ুব খান মার্শাল ল জারি করলে তার বিরোধিতার আন্দোলনে নেমে প্রথম আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন ফজলে রাব্বী মিয়া। তখন তিনি কেবল অষ্টম শ্রেণির ছাত্র।
    ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে ফজলে রাব্বী মিয়া মুক্তিযুদ্ধে যোগদান করেন। তিনি ১১নং সেক্টরে যুদ্ধ করেন। এছাড়া বাংলাদেশের স্বাধীনতার পক্ষে বৈশ্বিক জনমত গড়ে তুলতে তিনি কাজ করেছেন।
    ফজলে রাব্বী মিয়া ১৯৮৬ সালের তৃতীয়, ১৯৮৮ সালে চতুর্থ, ১৯৯১ সালের পঞ্চম ও ১৯৯৬ সালে ১২ জুন সপ্তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গাইবান্ধা-৫ আসন থেকে জাতীয় পার্টির প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। পরে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগে যোগ দিয়ে ২০০১ সালে অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পরাজিত হন।
    ২০০৮ সালে নবম, ২০১৪ সালে দশম ও ২০১৯ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গাইবান্ধা-৫ আসন থেকে তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
    ১৯৯০ সালে আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্বও পালন করেছেন তিনি। দশম জাতীয় সংসদ থেকে তিনি ডেপুটি স্পিকার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।
    এর আগে, ২০২০ সালে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় সদ্য প্রয়াত ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়ার স্ত্রী আনোয়ারা বেগম মারা যান।
    প্রয়াত ডেপুটি স্পিকার তিন মেয়ে, নাতি-নাতনিসহ অসংখ্য আত্মীয়-স্বজন ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
    সাফল্য সাহিত্য সংস্কৃতি পরিবার বাংলাদেশ সহ সকল মহল থেকে শোকবার্তা জানিয়েছেন ।

  • ঝিনাইগাতীর গজনী পর্যটন কেন্দ্রের প্রবেশ পথে টোল আদায় ঘর নেই, বিপাকে ইজারাদার

    ঝিনাইগাতীর গজনী পর্যটন কেন্দ্রের প্রবেশ পথে টোল আদায় ঘর নেই, বিপাকে ইজারাদার

    মোঃ তারিফুল আলম তমাল
    শেরপুর,জেলা,প্রতিনিধিঃ

    শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার পর্যটন কেন্দ্র গজনী অবকাশের প্রবেশ পথে টোল আদায় ঘর নেই । ফলে অবকাশ কেন্দ্রে আগত দর্শনার্থীদের কাছ থেকে টোল আদায়ের ক্ষেত্রে নানান জটিলতার পাশাপাশি চরম বিপাকে পরতে হচ্ছে অবকাশ কেন্দ্রের ইজারাদারকে।জানা গেছে, ভারতের মেঘালয় রাজ্যের সীমান্ত ঘেঁষে অবস্থিত প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি খনিজ ও বনজ সম্পদে ভরপুর ঝিনাইগাতী উপজেলার গারো পাহাড়। এ গারো পাহাড়ের সৌন্দর্যকে ঘিরে ১৯৯৩ সালে তৎকালীন প্রাকৃতিক প্রেমি জেলা প্রশাসক আতাউর রহমান মজুমদার প্রায় ৫০ একর পাহাড়ি জমির উপর গড়ে তুলেন একটি পিকনিক স্পর্ট। মৌজার নামানুসারে এর নামকরন করা হয় গজনী অবকাশ কেন্দ্র। কেন্দ্রটি গড়ে তোলার পর থেকে দর্শনার্থীদের ঢলনামে এ অবকাশ কেন্দ্রে। সারাদেশ থেকে আগত দর্শনার্থীদের ভীড়ে মুখরিত হয়ে উঠে গজনী অবকাশ বিনোদন কেন্দ্রটি। আগত দর্শনার্থীদের কাছ টোল আদায়ের লক্ষে,উপজেলা পরিষদ ভবনের সামনে রাস্তার পাশে একটি টোল আদায় ঘর নির্মাণ করা হয়। এ ঘরে বসে গত প্রায় ২ যুগ ধরে ভ্রমনপিপাষুদের কাছ থেকে টোল আদায় করে আসছিলো উপজেলা প্রশাসন। জানা গেছে, চার দিক থেকে রাস্তা- ঘাটের উন্নয়ন হওয়ায় উপজেলা পরিষদের সামনের টোল আদায় ঘরটি অকার্যকর হয়ে পরে। এছাড়া গত কয়েকবছর ধরে অবকাশ কেন্দ্রটি প্রশাসনের পক্ষ থেকে ইজারা দেয়া হচ্ছে। জানা গেছে, এ অবকাশ কেন্দ্র থেকে প্রতিবছর সরকারের ঘরে আসছে অর্ধকোটি টাকার রাজস্ব। কিন্তু অবকাশ কেন্দ্রের প্রবেশ প্রথে আজো নির্মিত হয়নি টোল আদায় ঘর। ফলে ইজারাদারের লোকদের টোল আদায়ের ক্ষেত্রে নানা জটিলা, বিড়ম্বনা ও ভোগান্তিতে পড়ছে হচ্ছে।গজনী অবকাশ কেন্দ্রের ইজারাদার মোঃ ফরিদ আহম্মেদ বলেন,গজনী অবকাশ কেন্দ্রের প্রবেশ পথে টোল আদায় ঘর নির্মাণ করা জরুরি হয়ে পরেছে। অন্যথায় লোকসানে পড়তে হবে তাদের। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফারুক আল মাসুদ বলেন, জেলা প্রশাসনের সাথে কথা বলে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

  • আইন শৃংখলা উন্নয়নে  জনসাধারণকেও এগিয়ে আসতে হবে- ময়মনসিংহে ওসি কামাল।।

    আইন শৃংখলা উন্নয়নে জনসাধারণকেও এগিয়ে আসতে হবে- ময়মনসিংহে ওসি কামাল।।

    ময়মনসিংহ কোতোয়ালি মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি শাহ কামাল আকন্দ বলেন, শুধু অভিযান চালিয়ে, মামলা দিয়ে ও গ্রেপ্তার করে এলাকা থেকে মাদক, জঙ্গি ও সন্ত্রাসীসহ বড়-বড় অপরাধগুলো নির্মূল করা সম্ভব নয়। এর জন্য প্রয়োজন সর্বস্তরের জনসাধারণের সম্মিলিত উদ্যোগ। আইন শৃংখলার উন্নয়নে পুলিশের পাশাপাশি এলাকার জনসাধারণকে এগিয়ে আসারো আহবান তিনি।

    শনিবার (২৩জুলাই)রাত ১০.০০ টায়
    চরপাড়া নয়াপাড়া এলাকায় অপরাধ নিয়ন্ত্রণে এলাকার সাবেক এবং বর্তমান কাউন্সিলর এবং বিশিষ্ট ব‍্যক্তিবর্গের সাথে এক মত বিনিময় সভায় ওসি কামাল এসব কথা বলেন।

    তিনি বলেন, জনতার সহযোগিতা ছাড়া উন্নয়নের পথের এ তিনটি বাধা দূর করা সম্ভব নয়। ওসি শাহ কামাল আকন্দ বলেন, ‘উন্নয়নের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ পৃথিবীর এক অবাক বিস্ময়। এ উন্নয়নের ম্যাজিশিয়ান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কিন্তু পরিতাপের বিষয় হলো, কিছু কিছু অমানুষ এ উন্নয়নের পথে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তারা আমাদের মাদক দিয়ে, সন্ত্রাস দিয়ে, জঙ্গি দিয়ে ফাঁসিয়ে দিতে চাইছে। তারা চায় না এ দেশের উন্নয়ন হোক। তিনি বলেন, ‘জনগণের সহায়তায় পুলিশ ইতিমধ্যে জঙ্গিবাদ নিয়ন্ত্রণ করতে পেরেছে, বর্তমানে আমাদের টার্গেট মাদক নির্মূল করা। মাদকের কারণে খুন,রাহাজানী বৃদ্ধি পাচ্ছে, তাই আমরা মাদক,খুন,হত্যাসহ সকল প্রকার অপরাধের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছি। এ যুদ্ধে আমরা জয়ী হতে চাই। এ জন্য সমাজের সর্বস্তরের মানুষের সাহায্য চাই। কেননা জনগণের সম্পৃক্ততা ছাড়া পৃথিবীতে কোনো দেশের পুলিশ সাফল্য অর্জন করতে পারেনি। তিনি আরো বলেন, ‘আমরা যে সব তথ্য পাই তার ৯৯ ভাগ তথ্য দেয় জনগণ। এ জন্য জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আমরা কাজ করতে চাই। ওসি বলেন, টেকসই উন্নয়নের জন্য প্রয়োজন টেকসই শান্তি। আর টেকসই শান্তি আসে টেকসই নিরাপত্তা থেকে। পুলিশ জনগণকে টেকসই নিরাপত্তা দিতে কাজ করে যাচ্ছে। ‘জনগণের সম্পৃক্ততা ছাড়া সমাজ থেকে মাদক, খুন,জঙ্গি সন্ত্রাস নির্মূল করা সম্ভব নয়। পাশের ঘরে আগুন লাগলে আমাদেরও নিরাপত্তা বিঘ্নিত হবে। আমরা যদি একজন ব্যক্তিকে মাদক, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ থেকে সরিয়ে আনতে পারি, তবে সেটা হবে সত্যিকারের দেশপ্রেমের কাজ। এসময় তিনি জানান- কোতুয়ালী মডেল থানা এলাকার প্রতিটি পুলিশ ফাঁড়ি, বিট পুলিশিং কার্যালয় হবে মানুষের সেবার কেন্দ্র । একজন মানুষ নিরুপায় হয়েই থানায় যায়। এসব সেবা কার্যালয়ে এসে হাসিমুখে মানুষ যেন কাঙ্ক্ষিত সেবা পায় তিনি সেই প্রতিশ্রুতিও ব্যক্ত করেন। এসময় চড়পাড়া এলাকার সাবেক ও বর্তমান কাউন্সিলরসহ আওয়ামী লীগ ও বিভিন্ন রাজনৈতিক সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ছাড়াও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গরা উপস্থিত ছিলেন।

    জানা যায়, পুলিশ নিয়ে অনেকের বিরূপ ধারণা থাকলেও ময়মনসিংহের কোতোয়ালী মডেল থানার ওসি শাহ কামাল আকন্দ,একজন ব্যতিক্রমধর্মী পুলিশ অফিসার। প্রতিনিয়ত তিনি সহকর্মী ও সাধারণ জনগণের আদর্শগত ভিন্নতা মেনে নিয়ে পরস্পরের সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছেন। পুলিশ জনগণের বন্ধু । তিনি এই বাক্যটির উৎকৃষ্ট নিদর্শন। তিনি অন্যতম একজন আদর্শ পুলিশ অফিসার যিনি কোতোয়ালি মডেল থানায় যোগদানের পর থেকে আধুনিকতা, প্রযুক্তি ও সততা দিয়ে অপরাধ দমন করার চেষ্টা করেন। পুলিশ জনতার, জনতা পুলিশের এই শ্লোগানকে বাস্তবে রূপ দিয়েছেন। কোতোয়ালীবাসীর সকল শ্রেণির মানুষের চোখে একজন সৎ, আদর্শবান, ন্যায়নিষ্ঠ ও গরিবের বন্ধুসুলভ পুলিশ অফিসার। অধিকাংশ মানুষই তাকে গরিবের বন্ধু হিসাবে জানেন। তিনি তাঁর সততা, ন্যায়নিষ্ঠা ও তার বিচক্ষণ বুদ্ধিমত্তা দিয়ে তার দায়িত্বরত এলাকা মাদক, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ ও দখল বাজদের হাত থেকে মুক্ত করেছেন। তার চোখে ধনী-গরিব, রিক্সাচালক হতে সব শ্রেণিপেশার মানুষ সমান। তিনি শুধু একজন পুলিশ কর্মকর্তাই নন পাশাপাশি অনেক সামাজিক কর্মকান্ডে তিনি অবদান রেখেছেন। পুলিশে যোগদানের পর থেকেই তিনি একে একে অপরাধ দমনে সক্রিয় ভূমিকা পালন করে যাচ্ছেন । তার সুনিপুণ দক্ষতার মাধ্যমে সুষ্ঠ তদন্তের ফলে দোষীরা খুব দ্রুতই আইনের আওতায় চলে এসেছে এবং তাদের শাস্তিও হয়েছে। এলাকার মানুষ জন বলেন- তিনি একজন সৎ ও অন্যায়ের কাছে আপোষহীন পুলিশ অফিসার হিসাবে পরিচিত। চড়পাড়া এলাকাবাসী বলেন, তিনি আমাদের বন্ধু তার অক্লান্ত পরিশ্রমে আজ আমাদের এলাকা মাদক, চাদাঁবাজ, দখলবাজ, ইভটিজার, জঙ্গি, অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী মুক্ত। আ,লীগের এক নেতা বলেন, তাঁর মতো একজন সৎ, ন্যায়নিষ্ঠা এবং অন্যায়ের বিরুদ্ধে বজ্রকন্ঠী আওয়াজ তোলা পুলিশ অফিসার পেয়ে আমরা সত্যিই ধন্য।

    ওসি কামাল এসময় সকলকে আশ্বস্ত করে বলেন- সম্প্রতি ঘটে যাওয়া আবির হত্যাকারীদের দ্রুতই বিচারের আওতায় আনা হবে। যাতে করে এ ধরনের ঘটনার পূনরাবৃত্তি ময়মনসিংহে আর না ঘটে।

    তিনি বলেন-ময়মনসিংহ একটি অসাম্প্রদায়িক ও শান্তিপ্রিয় জেলা। এই জেলায় কেউ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট ও বিশৃঙ্খলা করার চেষ্টা করলে দাঁতভাঙ্গা জবাব দেওয়া হবে। তিনি বলেন-কেউ যদি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকসহ অন্যান্য মাধ্যমে ধর্ম অবমাননা, কটুক্তি, মন্তব্য করে ও সমাজের শান্তি বিনষ্ট হয় এমন কোন কাজ করে তাহলে আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়া যাবে না। আবেগের বশবতী হয়ে অথবা উদ্দেশ্য প্রণোদিত ভাবে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানলে ও শান্তি বিনষ্ট করলে তার জন্য দেশে প্রচলিত আইন আছে। আইন অবমাননাকারীকে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে তুলে দিবেন। আইন নিজের হাতে তুলে না নিতে তিনি সকলের প্রতি আহবান জানান।