Category: দেশজুড়ে

  • সুজানগরে মুখের মাস্কে চেতনানাশক স্প্রে ব্যবহার করে দুই ব্যবসায়ীর টাকা ছিনতাই

    সুজানগরে মুখের মাস্কে চেতনানাশক স্প্রে ব্যবহার করে দুই ব্যবসায়ীর টাকা ছিনতাই

    এম এ আলিম রিপনঃ পাবনার সুজানগরে মুখের মাস্কে চেতনানাশক স্প্রে ব্যবহারের মাধ্যমে দুই গরু ব্যবসায়ীকে অজ্ঞান করে ৯৭ হাজার টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার দুপুর ১টার দিকে সুজানগরের চিনাখড়া- বেড়া মহাসড়কে ঘটনাটি ঘটে । এ ঘটনায় গুরুত্বর অসুস্থ দুই গরু ব্যবসায়ী সুজানগর পৌরসভার মানিকদীর গ্রামের মৃত রস্তম বিশ্বাসের ছেলে আমজাদ বিম্বাস(৪৩) ও একই এলাকার ফজেল হোসেনের ছেলে জাহেদ হোসেন (৩৫) বর্তমানে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে গরু ব্যবসায়ী জাহেদ হোসেনের ভাই ডাঃ ইউনুস জানান, এদিন ওই দুইজন ব্যবসায়ী নিজ বাড়ী হতে গরু কিনতে বেড়া হাটের উদ্দেশে সিএনজি যোগে রওনা হন। পরে চিনাখড়া থেকে একটি যাত্রী পরিবহন বাসে উঠলে তাদের মুখে মাস্ক না থাকায় একজন অপরিচিত ব্যক্তি দুইটি মাস্ক নিয়ে এসে সেটি মুখে লাগিয়ে বাসের সিটে বসতে বললে ব্যবসায়ীরা মাস্ক পড়ে বাসের সিটে বসে পড়েন। এর কিছুক্ষণ পরে অচেতন হয়ে পড়লে তাদের দুইজনের কাছ থেকে ৯৭ হাজার টাকা নিয়ে বাস থেকে নেমে যায় ছিনতাইকারী দলের সদস্যরা। কিছুক্ষণ পরে বাসের কন্ডাক্টর ভাড়া নিতে আসলে দেখেন ওই দুইজন ব্যবসায়ী অজ্ঞান হয়ে পড়ে রয়েছেন । এ সময় কাশিনাথপুর নামক স্থানে অজ্ঞান অবস্থায় তাদেরকে নামিয়ে দিয়ে বাসটি তাদের গন্তব্যের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। পরবর্তীতে ওই দুই গরু ব্যবসায়ীর স্বজনেরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে পাবনা সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। এ ব্যাপারে বুধবার থানার ওসি আব্দুল হাননান জানান,বিষয়টি সম্পর্কে তিনি অবগত নন। এবং এখন পর্যন্ত কোন লিখিত অভিযোগও পাইনি, অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

    এম এ আলিম রিপন
    সুজানগর(পাবনা)প্রতিনিধি।।

  • সুজানগরে গাঁজাসহ যুবলীগ নেতা আটক

    সুজানগরে গাঁজাসহ যুবলীগ নেতা আটক

    এম এ আলিম রিপন ঃ পাবনার সুজানগর উপজেলার ভাঁয়না ইউনিয়ন আওয়ামী যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মানিক প্রামানিককে (৪৫) গাঁজাসহ আটক করেছে পুলিশ। সে ভাঁয়না ইউনিয়নের চর চলনা(চরপাড়া) গ্রামের মৃত আনছার আলী প্রামানিকের ছেলে। সুজানগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল হাননান জানান, মঙ্গলবার রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে আট গ্রাম গাঁজা সহ তাকে স্থানীয় চরপাড়া থেকে আটক করা হয়। তার বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা হওয়ায় বুধবার পাবনা কোর্টে প্রেরণ করা হয়েছে। এ বিষয়ে সুজানগর উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি সরদার রাজু আহমেদ ও সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান জানান, দলের ভাবমূর্তি নষ্ট ও শৃঙ্খলা ভঙ্গের কারণে মানিক প্রামানিকের বিরুদ্ধে দলীয় গঠনতন্ত্র মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

    এম এ আলিম রিপন
    সুজানগর(পাবনা)প্রতিনিধি।।

  • পাথরঘাটার নতুন ইউএনও সুফল চন্দ্র গোলদারের পরিচিতি সভা অনুষ্ঠিত

    পাথরঘাটার নতুন ইউএনও সুফল চন্দ্র গোলদারের পরিচিতি সভা অনুষ্ঠিত

    পাথরঘাটা (বরগুনা) প্রতিনিধি: ৩ আগষ্ট বুধবার বেলা ১১টায় পাথরঘাটার নতুন ইউএনও সুফল চন্দ্র গোলদারের পরিচিতি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

    প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার টিএম শাহ আলমের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন উপজেলা চেয়ারম্যান মোস্তফা গোলাম কবির, বীরমুক্তিযোদ্ধা এম এ খালেক,ওসি আবুল বাসার, পৌর মেয়র আনোয়ার আকন,হাজী জালাল উদ্দিন মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ স্বপন পাল, প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক অমল তালুকদার,বনিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অরুন কর্মকার,ঈমাম সমিতির মোঃ আবুল কালাম আজাদ, এডভোকেট মশিউর রহমান, মাধ্যমিক একাডেমিক সুপারভাইজার মনিরুল ইসলাম,মা: শিক্ষক সমিতির সভাপতি তরিকুল ইসলাম রেজা এবং প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি ছগীর হোসেন সহ অতিথি বৃন্দ।

    এসময় অনুষ্ঠানের সভাপতি ও নবনিযুক্ত উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা সুফল চন্দ্র গোলদার বলেন, আপনাদের সকল কাজে রাত কিংবা দিনে আমাকে পাবেন । কোনো ধরনের সমস্যা হলে সরাসরি আমার অফিসের নম্বরে ফোন দিবেন। আমাকে সহযোগিতা করবেন।

    অমল তালুকদার।।

  • ভারতে প্রবেশের সময় মহেশপুর সীমান্তে ১৮ জন আটক

    ভারতে প্রবেশের সময় মহেশপুর সীমান্তে ১৮ জন আটক

    ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ
    অবৈধ ভাবে সীমান্ত পার হওয়ার সময় ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার জুলুলী গ্রাম বুধবার ১৮ জন পরুষ, নারী ও শিশুকে আটক করেছে মহেশপুর ৫৮ বিজিবি। এর মধ্যে ১০ জন পুরুষ, দুইজন শিশু ও ৬ জন নারী রয়েছে। ৫৮ বিজিবির অতিরিক্ত পরিচালক তসলমি মোঃ তারেক বুধবার দুপুরে প্রেরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ খবর জানানো হয়। প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, বুধবার সকাল ৬টার দিকে মহশেপুর ৫৮ ব্যাটালয়িনের অধিনস্ত মাটিলা বিওপির টহল দল জলুলী গ্রাম থেকে তাদের আটক করে। আটককৃতরা হলেন, বরিশালের উজিরপুরের জামবাড়ি গ্রামের বীনা মজুমদার (৩৫), কয়ো মজুমদার (১৭), জয় মজুমদার (১৩), কালবিলা গ্রামের নগিম মজুমদার (২০), গোপালগঞ্জের সাতপাড়া গ্রামের মৃনাল কীত্তনীয়া (৩৭), প্রভাতী কীত্তনীয়া (৩০), মিষ্টি কীত্তনীয়া (১১), প্রান্ত কীত্তনীয়া (০৭), মোঃ সাতক্ষিরার মিঠাবাড়ি গ্রামের তানভীর হোসনে (২৫), নড়াইলের গোবরা গ্রামের মোঃ আজজিুর রহমান (৩৪), সুনামগঞ্জের রসুলগঞ্জের মোঃ সুজন মিয়া (৩৩), শার্শার অগ্রভুলোট গ্রামের নাওয়াজ শরীফ (১৯), যশোরের নওয়াপাড়ার দিয়াপাড়া গ্রামের মোঃ শরীফ (১৬), শার্শার গোগা গ্রামের মোঃ রইচ মোল্লা (২৫), ডুমুরিয়ার খামারবাটি গ্রামের প্রসেঞ্জিত হালদার (২৮), খুলনার খালিশপুরের গোয়ালপাড়া গ্রামের আশরাফুল ইসলাম (৩৪), আফ্রদিী (৪) ও বাগেরহাটের মোড়লগঞ্জ উপজেলার বলভদ্রপুর গ্রামের বিল্লাল ফকির।

    ঝিনাইদহ
    আতিকুর রহমান।।

  • র‌্যাব-১২’র অভিযানে সিরাজগঞ্জের সলঙ্গায় ১৪(চৌদ্দ) কেজি গাঁজাসহ ০১ জন মাদক ব্যবসায়ী আটক

    র‌্যাব-১২’র অভিযানে সিরাজগঞ্জের সলঙ্গায় ১৪(চৌদ্দ) কেজি গাঁজাসহ ০১ জন মাদক ব্যবসায়ী আটক

    প্রেস বিজ্ঞপ্তি।।

    র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব) প্রতিষ্ঠাকালীন সময় থেকেই দেশের সার্বিক আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সমুন্নত রাখার লক্ষ্যে সব ধরণের অপরাধীকে আইনের আওতায় নিয়ে আসার ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। জঙ্গী, সন্ত্রাসী, সংঘবদ্ধ অপরাধী, ছিনতাইকারী, জুয়ারি, মাদক ব্যবসায়ী, খুন, এবং অপহরণসহ বিভিন্ন চাঞ্চল্যকর মামলার আসামী গ্রেফতারে র‌্যাব নিয়মিত অভিযান চালিয়ে আসছে।

    এর ধারাবাহিকতায় ০৩/০৮/২০২২ খ্রিঃ সকাল ০৬.১০ ঘটিকায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র‌্যাব-১২ এর স্পেশাল কোম্পানীর একটি চৌকষ আভিযানিক দল সিরাজগঞ্জ রোড হইতে বগুড়া গামী মহাসড়কস্থ সলঙ্গা থানাধীন কুমাসপুর মৌজার সাহেবগঞ্জের জনৈক প্রাণ গোবিন্দ ঘোষ এর ‘স’ মিলের সামনে একটি যাত্রীবাহী পরিবহনে মাদক বিরোধী অভিযান চালিয়ে ১৪(চৌদ্দ) কেজি গাঁজাসহ ০১ জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে।

    গ্রেফতারকৃত আসামীঃ মোঃ শাহীন মিয়া(৩২), পিতা- মৃত লুদু মিয়া, সাং-হাড়িয়া সরকারবাড়ী, থানা-মাধবপুর, জেলা-হবিগঞ্জ।

    গ্রেফতারকৃত মাদক ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করত উদ্ধারকৃত আলামতসহ তাহাকে সিরাজগঞ্জ জেলার সলঙ্গা থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

    প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, এই মাদক ব্যবসায়ী দীর্ঘদিন যাবত আইন প্রয়োগকারী সংস্থার চোখ ফাঁকি দিয়ে সিরাজগঞ্জ জেলার বিভিন্ন এলাকায় অবৈধ নেশাজাতীয় মাদকদ্রব্য ক্রয়-বিক্রয় করে আসছিল।

    এ ধরণের মাদক উদ্ধার অভিযান সচল রেখে মাদকমুক্ত সোনার বাংলা গঠনে র‌্যাব-১২ বদ্ধপরিকর।

    র‌্যাব-১২ কে তথ্য দিন – মাদক , অস্ত্রধারী ও জঙ্গিমুক্ত বাংলাদেশ গঠনে অংশ নিন।

    সূত্র ও বিস্তারিতঃ

    এম. রিফাত-বিন-আসাদ

    মেজর

    মিডিয়া অফিসার

    র‌্যাব-১২

    মোবা-০১৭৭৭-৭১১২৫৮

  • নড়াইলের মির্জাপুর কলেজের লাঞ্ছিত ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ স্বপন কুমার বিশ্বাসকে ফুল দিয়ে বরণ

    নড়াইলের মির্জাপুর কলেজের লাঞ্ছিত ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ স্বপন কুমার বিশ্বাসকে ফুল দিয়ে বরণ

    উজ্জ্বল রায়, নড়াইল থেকে:
    নড়াইলের মির্জাপুর কলেজের লাঞ্ছিত ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ স্বপন কুমার বিশ্বাসকে ফুল দিয়ে বরণ।
    দেড় মাস পর কর্মস্থলে ফিরেছেন নড়াইলের মির্জাপুর ইউনাইটেড ডিগ্রি কলেজের লাঞ্ছিত অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) স্বপন কুমার বিশ্বাস। বুধবার (৩ আগস্ট) দুপুরে কলেজে যোগদান করেন তিনি। তাকে কলেজ গেটে ফুলেল শুভেচ্ছা জানিয়েছেন কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ কলেজ পরিচালনা পর্ষদের সদস্যরা।

    এ সময় উপস্থিত ছিলেন নড়াইল-১ আসনের সংসদ সদস্য কবিরুল হক মুক্তি, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক আবদুস সালাম হাওলাদার, রেজিস্টার মাহমুদ আল হোসেন, আইন বিভাগের পরিচালক সিদ্দিকুর রহমান, কলেজ মনিটারিং ও মূল্যায়ন বিভাগের পরিচালক রফিকুল আকবর, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট সুবাস চন্দ্র বোস, কলেজ পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি অ্যাডভোকেট অচিন চক্রবর্ত্তী, নড়াইল সদর থানার ওসি (চলতি দায়িত্বে) মাহমুদুর রহমান, বীরমুক্তিযোদ্ধা এসএ মতিন, বীরমুক্তিযোদ্ধা সাইফুর রহমান হিলু, বিছালী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান হেমায়েত হোসেন ফারুকসহ জেলা ও পুলিশ প্রশাসনের কর্মকর্তারা।

    ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ স্বপন কুমার বিশ্বাস বলেন, দীর্ঘদিন পর কলেজে যোগদান করে খুব ভালো লাগছে। আমার সঙ্গে যে অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটেছে, সেটা আমি ভুলে যেতে চাই। সবার সহযোগিতায় এখন থেকে কলেজের সার্বিক কার্যক্রম চালিয়ে যাব। আমার দুঃসময়ে যারা পাশে ছিলেন, তাদের সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।

    এর আগে গত ২৪ জুলাই এক মাস ৫দিন পর মির্জাপুর কলেজে উচ্চ মাধ্যমিক দ্বিতীয় বর্ষে পাঠদান শুরুর মধ্যদিয়ে কলেজটি চালু হয়।

    নড়াইল সদর থানার ওসি (চলতি দায়িত্বে) মাহমুদুর রহমান জানান, অধ্যক্ষকে লাঞ্ছিতসহ সহিংসতার মামলায় এ পর্যন্ত নয়জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এর মধ্যে মির্জাপুর কলেজের চার ছাত্র আছেন। এরা সবাই কারাগারে আছেন। এদিকে ফেসবুকে কটূক্তির অভিযোগে গ্রেফতারকৃত কলেজছাত্র রাহুল রায় দেবও কারাগারে।

    পুলিশ ও কলেজ সূত্রে জানা গেছে, মির্জাপুর ইউনাইটেড ডিগ্রি কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্র রাহুল দেব রায় নিজের ফেসবুক আইডিতে ভারতের বির্তকিত রাজনৈতিক নেত্রী নূপুর শর্মার ছবি ব্যবহার করে লেখেন-প্রণাম নিও বস ‘নূপুর শর্মা’ জয় শ্রীরাম। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত ১৮ জুন বিক্ষুদ্ধ জনতা কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ স্বপন কুমার বিশ্বাস এবং শিক্ষার্থী রাহুল দেব রায়কে জুতার মালা পরিয়ে দেয়। এ ঘটনায় উত্তাপ পরিবেশ সৃষ্টি হলে ১৯ জুন থেকে কলেজটি বন্ধ করে দেয়া হয়। #

  • বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ও ১৫ আগষ্ট

    বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ও ১৫ আগষ্ট

    লেখকঃ মোঃ হায়দার আলীঃ মহান ও নিবেদিত পেশা হিসেবে শিক্ষকতা সর্বজন স্বীকৃত। মানুষ গড়ার কারিগর হিসেবেই মনে করা হয় শিক্ষকদের। পাঠদানে আত্ম-নিয়োগ, শিক্ষার্থীদের মধ্যে নিহিত থাকা সুপ্ত মেধা জাগ্রত করা, দুঃস্থ ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের নিজের অর্থ ব্যয়ে দেশ সেরা হিসেবে গড়ে তোলা শিক্ষকও দেশে বিরল নয়।
    এ জন্যই সমাজে শিক্ষকরা সবচেয়ে বেশি সম্মানিত, শিক্ষার্থীরাও যুগে যুগে স্মরণ রাখেন।
    পেশা হিসেবে শিক্ষকতা সর্বজন স্বীকৃত। মানুষ গড়ার কারিগর হিসেবেই মনে করা হয় শিক্ষকদের। পাঠদানে আত্ম-নিয়োগ, শিক্ষার্থীদের মধ্যে নিহিত থাকা সুপ্ত মেধা জাগ্রত করা, দুঃস্থ ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের নিজের অর্থ ব্যয়ে দেশ সেরা হিসেবে গড়ে তোলা শিক্ষকও দেশে বিরল নয়। আজ কেন? শিক্ষক সমাজ অবহেলিত, লাঞ্চিত হচ্ছে। দিন দিন যেন শিক্ষক সমাজ তলানীতে নেমে যাচ্ছে এব্যপারে লিখার জন্য বিভিন্ন তথ্য উপাত্ত নিয়ে বসলাম, লেখাটি শেষ না হতেই চলে আসলো ভয়াবহ শোকের মাস ১৫ আগষ্ট। তাই লিখার থিম পরিবর্তন করে এ বিষয়ে আল্লাহ নাম নিয়ে লিখা শুরু করলাম।

    এবার নতুন মাত্রা যোগ হয়েছে মুজিববর্ষ, ৫ আগষ্ট শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের ৭৩ তম জন্মবার্ষিকী, ৮ আগ বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেসা মুজিব এর ৯২ তম জন্মবার্ষিকী ও ১৫ আগষ্ট আওয়ামীলীগ এর অঙ্গসংগঠনগুলি মাসব্যপি কর্মসূচি পালনের ঘোষনা দিয়েছেন। তাই ১৫ আগষ্ট ও শেখ মুজিব সম্পর্কে আমি লিখার লোভ সামলাতে পারলাম না। মানব জাতি মানব সভ্যতার ধারাবাহিক ইতিহাসের ধারায় এমন কিছু দুঃখজনক, বেদনাদায়ক, হৃদয় গ্রাহী ঘটনা সংযোজিত হয়েছে যা অধ্যায়ন করলে মন শুধু ব্যথিত ও মর্মহত হয় । আর এ সব ঘটনা সংঘটনের নায়কদের উদ্দেশ্যে মন থেকে বেরিয়ে আসে নানা ধিক্কারজনক উক্তি। ইতিহাসের পাতা থেকে জানা যায় এমন কিছু মহাস্থানের জীবন এই পূথিবীতে অকালে ঝরে গেছে, যাদের এই অপমৃত্য বিবেকই কোন অবস্থাতেই মেনে নিতে পারে না । মানব জাতি ও মানব সভ্যতার চিরকল্যানকামী এ রকম এক মহপুরুষের নাম সর্বকালের শ্রেষ্ট বাঙ্গালী, জাতির জনক বর্তমান প্রধান মন্ত্রী, জননেত্রী শেখ হাসিনার পিতা শেখ মুজিবুর রহমান।

    ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস। ১৯৭৫ সালের এ দিনে মানব ইতিহাসের বর্বরতম হত্যা কান্ডের স্বীকার হয় সর্বকালের শ্রেষ্ট বাঙ্গালী জাতির জনক শেখ মুজিবুর রহমান। ঘাতকেরা শুধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা করে খ্যান্ত হননি তার সাথে প্রাণ দিতে হয়ে ছিল বঙ্গবন্ধুর সহধর্মিনী বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেসা মুজিব, পুত্র ক্যাপ্টেন শেখ কামাল, লে. শেখ জামাল, স্কুল ছাত্র ছোট শিশু শেখ রাশেল, পুত্রবধু সুলতানা কামাল ও রোজি কামাল, বঙ্গবন্ধুর সহোদর শেখ নাসের, কৃষকনেতা অব্দুর রব সেরনিয়াবাত, যুবনেতা শেখ ফজলুল হক মনি, তার অন্ত:সত্ত্বা স্ত্রী আরজু মনি, বেবী সেরনিয়াবাত, সুকান্ত বাবু, আরিফ, আব্দুল নঈম খান রিন্টুসহ পরিবারের ১৮জন সদস্যকে হত্য করা হয়। হত্যা করা হয় বঙ্গবন্ধুর সামরিক সচিব কর্ণেল জামিলকে। ঘাতকদের নিক্ষিপ্ত কামানের গোলার আঘাতে মোহম্মদপুরে একটি পরিবারের বেশ কয়েকজন প্রাণ হারান। শেখ হাসিনা ও তার বোন শেখ রেহেনা দেশে বাইরে থাকায় প্রাণে বেঁচে যান। সকল হত্যাই দু:খজনক ও নিন্দনীয়।

    ১৫ আগষ্ট এ দেশের এ জাতীর জন্য একটি দু:খজনক অধ্যয়। ১৯৪০ দশকের মাঝামাঝি থেকে ১৯৭১ সালের ২৫ শে মার্চ পর্যন্ত তিনি বাঙ্গালী জাতির কান্ডারী ছিলেন, যিনি পর্যায়ক্রমিক আন্দোলন স্বাধীন স্বার্বভৌম বাংলাদেশের অভ্যুদয়কে অবশ্যম্ভাবী করে তুলেছিলেন সেই বঙ্গবন্ধু শেখ শেখ মুজিবুর রহমানের দূরদর্শী, গতিশীল এবং ঐন্দ্রজালিক সাহসী নেতৃত্বে এই ভূ-খন্ডের মানুষ হাজার বছরের পরাধীনতার শৃঙ্খল ভেঙ্গে ছিনিয়ে এনেছিলেন স্বাধীনতার রক্তিম সূর্য্য। বাঙালি পেয়েছে লাল সবুজের পতাকার নিজস্ব জাতিরাষ্ট্র।

    যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশে বঙ্গবন্ধু যখন সমগ্র জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করে সোনার বাংলা গড়ার সংগ্রামে নিয়োজিত তখনই তাকে হত্যা করা হয়। সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশে জন্য গণতান্ত্রিক উত্তরণের কেবল তৈরী হচ্ছিল, বঙ্গবন্ধুর মৃত্যু সেটা মুছে দিল। বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী শক্তি বাঙালির ঐতিহ্য, সংস্কৃতি, কৃষ্টি ও অগ্রযাত্রাকে স্তদ্ধ করা অপপ্রয়াস চালায়। অসাম্প্রদায়িক গনতান্ত্রিক বাংলাদেশের রাষ্ট্র কাঠামোকে ভেঙে ফেলাই ছিল তাদের মূল লক্ষ্য। হত্যাকান্ডের সঙ্গে জড়িত স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি শুরু করে হত্যা, ক্যু ও ষড়যন্ত্রের রাজনীতি। জনগনের ভোটে নর্বাচিত সরকারকে হটিয়ে সংবিধান স্থগিত করে মার্শাল ল জারি করা হয়। সেনা শাসক জিয়উর রহমাকে দিয়ে গণতন্ত্রকে হত্যা করে দেশে কায়েম করে সামরিক শাসন।

    একটি সুচিন্তিত গনতান্ত্রিক আন্দোলনের মাধ্যমে জাতীয় অধিকার প্রতিষ্ঠা যে সম্ভাব শেখ মুজিবুর রহমান তার প্রমান সমগ্র পৃথিবীর সামনে তুলে ধরেছিলেন। তার সব চাইতে বড় কৃতিত্ব হলো তিনি আমাদের বাঙ্গালী জাতিসত্ত্বাকে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হয়েছিলেন। এ প্রক্রিয়া আপনা আপনি শুরু হয়নি বাঙালীর দীর্ঘদিনের আন্দোলন ও সংগ্রামের অমোঘ পরিণত হিসেবে স্বাধীন বাংলাদেশের জন্ম হয়েছিল, বঙ্গবন্ধু শুধু বাঙালীর বন্ধু ও অধিনায়ক ছিলেন না, তিনি ছিলেন পথপ্রদর্শক ও মহান নেতা। তাছাড়া বঙ্গবন্ধুর আগ্রহ শুধু রাজনৈতিক স্বাধীনতাতেই সীমাবদ্ধ ছিল না তিনি চেয়েছিলেন বহুদলীয় গণতান্ত্রিক সভ্যতা, সার্বজনীন শিক্ষা ব্যবস্থা, সব মানুষের মানবাধিকারের স্বীকৃতি। তার চিন্তা ধারার সঠিক মূল্য শুধু বাংলাদেশে নয় সমগ্র পৃথিবীও স্বীকার করে। বঙ্গবন্ধু একদিনে অভিভূত হয়নি।
    যৌবনে রাজনৈতিক কর্মী থেকে শুরু করে পর্যায়ক্রমে স্বাধীন রাষ্ট্রের স্বপ্নদ্রষ্টা ও স্থপতি ছিলেন। যে মানুষটি দীর্ঘদিনের সাংগঠনিক কার্যক্রম, ত্যাগ, আন্দোলন এবং চূড়ান্ত পর্বে মুক্তি সংগ্রমে সফল নেতৃত্ব দিয়ে একটা বিশাল জনগোষ্ঠির জন্য একটা মুক্ত স্বাধীন স্বদেশ এনে দিতে পারেন তিনি তিনি কোনভাবেই শুধু মাত্র একটা দলের সম্পদ বা নেতা হতে পারেন না। তিনি ছিলেন জাতির সম্পদ। এ মহান নেতাকে যারা হত্যা করেছেন তারা দেশ, জাতি ও বিশ্বের অনেক ক্ষতি করেছেন যা আজও পূরণ হবার নয়।

    স্বাধীনতা বঞ্চিত মানুষের অধিকার আদায়ে আপোষহীন সকল রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করে, দেশের মানুষের জন্য নিজের জাগতিক সব সুখ বিসর্জন, পরিবার পরিজনের চেয়ে মানুষের জন্য বেশী আকুলতা-সব বৈশিষ্ট্য ছিল দীর্ঘদেহী এই ক্ষণজন্মা পুরুষের। পলিমাটি বিধোত এ অঞ্চলের মানুষের মনও এমনধারা সহজেই আমরা ভুলে যাই শত্রুতা। আর তাই যারা এ দেশের স্বাধীনতার বিরুদ্ধে, মানুষের বিরুদ্ধে,ষড়যন্ত্র করেছে তাদের সেই অপরাধও নিজের মানবিক গুনের ফলে তেমন করে আমলে নেননি বৃহৎহৃদয়ের এ সিংঘপুরুষ।
    বিভিন্নমূখী চক্রান্তকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর হতে পারেননি এ কোমল হৃদয়ের মানুষটি। আর তারই মাসুল গুনেছেন নিজের এবং পরিজনদের রক্ত দিয়ে। শোকের মাস আগষ্ট এ মাসে শ্রোদ্ধা জানাই এই মহাপুরুষকে। বঙ্গবন্ধু এবং সামর্থক। রাজনীতির খাতিরে যে যাই বলুক না কেন চরমবিরোধীরাও প্রকাশ্যে না হলেও নিজ বিবেকের কাছে নিশ্চয়ই বঙ্গবন্ধু না হলে বাংলাদেশ নামের এই ভূখন্ডের জন্ম হতো না এটা স্বীকার করবেনই। জাতির দুর্ভোগ্য, পিতৃ হত্যার বিচার তো দূরের কথা, পিতৃ হত্যার বিচার যেন না করা যায়, না হয় সে লক্ষ্যে ইনডেমিনিটি পর্যন্ত দেয়া হয়ে ছিল। পুরস্কৃত করা হয়েছল আত্মস্বীকৃত খুনিদের।

    সব প্রকার রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় দেয়া হয়েছিল নারী ও শিশু হত্যাকারীদের। পরিবেশ পরিস্থিতির কারণে এদেশের সাধারণ মানুষ এ বেদনা বুকে চেপে অপেক্ষা করেছে কলঙ্কতিলক মোচনের। আমাদের সৌভাগ্য জাতির ললাট থেকে এ কলঙ্কতিলক মোচনের কাজটি শুরু হয়েছে। আত্মস্বীকৃত খুনিদের কয়েক জনের দন্ড কার্যকর হওয়ায় আংশিক বিচার কাজ শুরু হয়েছে। খুনিদের মধ্যে যারা এখনও বিদেশে পালাতক তাদের দেশে নিয়ে এসে দন্ড কার্যকর করতে পারলে আমরা স্বস্তির পুরো নিশ্বাস নিবো। আর একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বঙ্গবন্ধুর কোন বিশেষ আদালতে নয় সাধারণ আদালতেই বিচার হয়েছে বঙ্গবন্ধু হত্যাকারীদের। বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনার সরকার এখন ক্ষমতায়।
    যারা বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করেছিল, হাতের নাগালে বঙ্গবন্ধুর স্বজন-পরিজন, রাজনৈতিক ঘনিষ্ঠজন, সমরিক সচিব, নারী, শিশু নির্বিশেষে সবাইকে যারা হত্যা করেছিল তাদের লক্ষ্য ছিল একটাই- বঙ্গবন্ধুকে মুছে দেয়া। কিন্তু ওই মূর্খরা বুঝেনি এক মজিবের রক্ত থেকে এদেশে লক্ষ মজিব জন্ম নেবে সেটাও কল্পলা করতে পারেনি। আজকে জননন্দিত প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা পিতার অসম্পূর্ণ কাজ সম্পূর্ণ করতে নিজেকে উৎসর্গ করেছেন সেদিনে থেকে চক্রান্তকারীদের টার্গেটে পরিণত হয়েছেন শেখ হাসিনা। একাধিকবার তার প্রাণনাশের চেষ্টা করা হয়েছে। তার সুযোগ্য পুত্র সজিব ওয়াজেদ জয়কেও হত্যার চক্রান্ত করা হয়েছে কিন্তু ব্যর্থ হয়েছে কুচক্রী মহল।

    শেখ হাসিনা পিতার মতই অকুতোভয় কন্যা কাজ করে যাচ্ছেন নিজের লক্ষ্য পূরণে। দেশের গন্ডি পেরিয়ে আন্তজাতিক অঙ্গনে শেখ হাসিনা এখন উদাহরণযোগ্য নেতৃত্ব, রোল মডেল। তাই অনেক দেশ তাকে অনুকরণ অনুসরণ করছেন। পাশাপাশি একথাও মনে রাখতে হবে ষড়যন্ত্রকারিরাও এখনও থেমে নেই। বর্তমান প্রধান মন্ত্রী, বঙ্গবন্ধুর কন্যা, জননেত্রী শেখ হাসিনার কাছে সবার প্রত্যশা বাংলার মানুষকে যেন আর কোন বেদনাভার বইতে না হয়। ষড়যন্ত্রকারীদের প্রতি নমনীয় না হয়। পেট্রোল বোমার আগুনে আর একটিও প্রাণ যেন না যায়। কথিত আন্দালনের নামে আর একজন নিরহ মানুষের প্রাণ অকালে ঝরে না যায়। পাশাপাশি জনদুর্ভোগ লাগবে শেখ হাসিনার সরকার যেন আরও উদ্যোগী হয়। মাদক ও দুর্নীতিমুক্ত, ক্ষুধামুক্ত মধ্যম আয়ের দেশ গড়তেই হবে। বঙ্গবন্ধুর বাকী ক্ষুনিদের দেশে নিয়ে এসে রায় কর্যকর করা জরুরী প্রয়োজন বলে দেশবাসী শোকের মাসে মনে করেন।

    শোকাবহ এই মাসে নিজের পরিবারের বেদনার স্মৃতি তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যিনি এই দেশটাকে স্বাধীন করেছিলেন, তাকে হত্যা করা হয়। আমার মাকে হত্যা করা হয়। যিনি সারা জীবন বঙ্গবন্ধুর পাশে থেকে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করেছিলেন।’

    তিনি বলেন, ১৫ আগস্ট হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যে মোশতাক-জিয়ার হাত ছিল। তাদের সখ্যতা ও সম্পর্কে এটা পরিষ্কার। ফারুক-রশিদ বিবিসিতে যে ইন্টারভিউ দিয়েছে সেখানে তারা বলেছে, জিয়াউর রহমান যে উপ-সামরিক প্রধান ছিল তার সঙ্গে তাদের যোগাযোগ ছিল যে সফল হতে পারলে তাদের সমর্থন দেবে, সঙ্গে থাকবে।’

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জিয়ার পথ ধরে জেনারেল এরশাদ এই খুনিদের রাজনীতি করার অধিকার দেয়। তাদের চেয়ে এক ধাপ এগিয়ে বেগম খালেদা জিয়া ১৯৯৬ সালে নির্বাচনে ক্ষমতায় এসে বিরোধী দলের নেতা বানান। ৯৬ সালে আমরা যখন প্রথমবার ক্ষমতায় আসি তখন এই বিচারের রায়ের দিন খালেদা জিয়া হরতাল দেয়। যাতে বিচারক আদালতে আসতে না পারেন।’ তিনি বলেন, ‘২০০১ এ খালেদা জিয়া ক্ষমতায় এসে এই খুনিদেরকে আবার পৃষ্ঠপোষকতা করে। এই ধরনের কর্মকাণ্ড প্রমাণ করে ১৫ আগস্টে জাতির পিতাকে হত্যার পর স্বাধীনতা বিরোধীরাই কিন্তু ক্ষমতাটা দখল করে।’

    বহু প্রত্যাশার, বহু আকাংখার এ সরকার যার নেতৃত্বে আছেন বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনা- সেই সরকার যেন বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নে সক্ষম হয়। একটি দারিদ্রক্ষুধা মুক্ত সুন্দর বাংলাদেশের যে স্বপ্ন বঙ্গবন্ধু দেখেছিলেন। শেখ হাসিনার সরকার সে স্বপ্ন পূরণে সফল হবেন ইনসাল্লাহ। এটাই দেশবাসী প্রত্যশা করেন।

    মো: হায়দার আলী।।

  • জয়পুরহাটে যুবদলের বিক্ষোভ মিছিল

    জয়পুরহাটে যুবদলের বিক্ষোভ মিছিল

    স্টাফ রিপোর্টারঃ- নিরেন দাস

    ভোলায় পুলিশের সঙ্গে বিএনপির নেতাকর্মীদের সংঘর্ষে স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা আবদুর রহিম নিহত ও অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী গুলিবিদ্ধ হওয়ার প্রতিবাদে জয়পুরহাটে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে জেলা যুবদল।
    বিকেলে বিক্ষোভ মিছিলটি শহরের স্টেশন এলাকা থেকে বের হয়ে সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে জেলা বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে গিয়ে শেষ হয়।
    এ সময় সংক্ষিপ্ত সমাবেশ বক্তব্য রাখেন জেলা কেন্দ্রীয় যুবদলের সাবেক সহ-সাধারণ সম্পাদক (রাজশাহী বিভাগ) ওবায়দুর রহমান সুইট, জেলা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক আবু রাইহান উজ্বল, যুগ্ম আহবায়ক মোনজুরে মওলা পলাশ, রেজভী আহমেদ, সদস্য সচিব মোক্তাদুল হক আদনান, সদস্য মহিদুল ইসলাম রাজিব, আতিকুর রহমান সোহাগ, জয়পুরহাট জেলা ছাত্রদলের সভাপতি মামুনুর রশীদ প্রধান প্রমুখ।

  • ছিনতাই করা চলন্ত বাসে যাত্রীদের ৩ ঘণ্টা জিম্মি করে ডাকাতি ও ধর্ষণ

    ছিনতাই করা চলন্ত বাসে যাত্রীদের ৩ ঘণ্টা জিম্মি করে ডাকাতি ও ধর্ষণ

    আঃ হামিদ মধুপুর টাঙ্গাইল প্রতিনিধিঃ

    কুষ্টিয়া থেকে যাত্রী নিয়ে চট্টগ্রাম যাচ্ছিল ঈগল পরিবহণ নামে একটি বাস। বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিমপাড়ে পৌঁছালে এতে ১০-১২ জন যাত্রী ওঠেন। যাত্রীবেশে ওঠা এই যাত্রীরা বাসটির নিয়ন্ত্রণ নিয়ে বাকি যাত্রীদের জিম্মি করে ফেলে। হাত-মুখ ও চোখ বেঁধে অস্ত্রের মুখে টানা তিন ঘণ্টা জিম্মি করে রাখা হয় যাত্রীদের। এই পুরো সময় বাসটি চলন্ত অবস্থায় ছিল। এর মধ্যেই চলে ডাকাতি ও ধর্ষণ। মধুপুরের কাছে এসে বাসটি দুর্ঘটনার শিকার হলে স্থানীয়রা এসে যাত্রীদের উদ্ধার করেন।
    বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিমপাড় থেকে ছিনতাই করা বাসের যাত্রীদের সর্বস্ব লুটের পর নারী যাত্রীদের পালাক্রমে ধর্ষণের এ ঘটনা ঘটেছে আজ বুধবার ভোরে। আন্তজেলা ডাকাত দলের সদস্যদের এই ভয়াবহ কাণ্ডের শিকার হয়েছেন কুষ্টিয়া-চট্টগ্রাম চলাচলকারী ঈগল পরিবহনের যাত্রীরা।
    বাস যাত্রীদের কাছ থেকে জানা যায়, গতকাল মঙ্গলবার কুষ্টিয়া থেকে ঈগল পরিবহনের একটি বাস অন্তত ২৫ জন যাত্রী নিয়ে চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসে। বাসটি বঙ্গবন্ধু সেতু পার হলে যাত্রীবেশী ডাকাতেরা অস্ত্রের মুখে ঘুমন্ত যাত্রীদের হাত-মুখ ও চোখ বেঁধে জিম্মি করে। এর পর যাত্রীদের কাছে থাকা মোবাইল, টাকা, স্বর্ণালংকার লুট করে নেয়। পরে ডাকাত দলের সদস্যেরা গাড়িতে থাকা নারী যাত্রীদের ধর্ষণ করে বলে জানান একাধিক যাত্রী।
    টানা তিন ঘণ্টা যাত্রীদের ওপর চালানো নির্যাতনের পর টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলার রক্তিপাড়া নামক স্থানে এসে বাসটির গতি থামিয়ে ডাকাত দল নেমে যায়। মুহূর্তের মধ্যেই চোখ-মুখ ও হাত বাঁধা যাত্রীদের নিয়ে বাসটি রাস্তার পাশের বালুর ঢিবিতে কাত হয়ে পড়ে দুর্ঘটনার শিকার হয়। স্থানীয়রা এগিয়ে এসে তাঁদের উদ্ধার করেন।
    কুষ্টিয়া থেকে ছেড়ে আসা বাসটিতে নাটোরের বড়াই গ্রামের বাসিন্দা ফল ব্যবসায়ী হাবিবুর রহমান যাত্রী হন রাত ১০টায়। তিনি নাটোরের তরমুজ চত্বর থেকে বাসে ওঠেন। তিনি আমড়া, কাঁঠাল ও তাল ঢাকায় বিক্রি করার জন্য নিয়ে যাচ্ছিলেন।
    ঈগল পরিবহনে অনেক দিন ধরে নিয়মিত যাতায়াত করা এই ভুক্তভোগী যাত্রী বলেন, ‘আমরা বাসে উঠে ঘুমিয়ে পড়েছিলাম। আমাদের বাসটি সিরাজগঞ্জের কাছাকাছি “দিবারাত্রি হোটেলে” রাতের খাবারের জন্য বিরতি দেয়। বাসের অনেকেই ওই হোটেলে খাবার খান। আমিও ওই বাসের সুপারভাইজার রাব্বি ও সহযোগী দুলালের সাথে বসে খাবার খেয়েছি। আগে যে চালক বাস চালাতেন, আজ সেই চালক ছিলেন না। কড্ডার মোড়ে আসার পর গেঞ্জি, শার্ট পরা ১০-১২ জন যাত্রী ওঠেন। তাঁদের প্রত্যেকেরই পিঠে ব্যাগ ছিল। তাঁরা বাসের খালি সিটগুলোতে বসে পড়েন। বাসটি বঙ্গবন্ধু সেতু পার হওয়ার পর যাত্রীবেশে ওঠা এই ডাকাত দলের সদস্যেরা অন্য ঘুমন্ত যাত্রীদের অস্ত্রের মুখে একে একে বেঁধে ফেলে। একই সঙ্গে প্রত্যেক যাত্রীর চোখ ও মুখ বেঁধে জিম্মি করে বাসের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয় তারা। এমনকি শিশুদেরও একই কায়দায় বেঁধে রাখে তারা। পরে সব যাত্রীর কাছ থেকে মোবাইল, টাকা, গয়না লুট করে নেয়। তার পর নারী যাত্রীদের ওপর পাশবিক নির্যাতন চালায়।’
    হাবিবুর রহমান বলেন, ‘আমার পাশে বসা নারীকে চার দফায় ধর্ষণ করা হয়েছে বলে আমি অনুধাবন করতে পেরেছি। আমরা অসহায় ছিলাম। হাত, মুখ, চোখ বাঁধা ছিল। কিছুই করতে পারিনি। টানা তিন ঘণ্টা আমরা ওই বাসটিতে জিম্মি ছিলাম। বাসটি কোথা থেকে কোথায় নিয়ে যাচ্ছে, আমরা কিছুই জানি না। দুর্ঘটনায় শিকার হওয়ার পর আমরা জানতে পারি, টাঙ্গাইলের মধুপুরের রক্তিপাড়া এলাকায় আছি।’
    এদিকে খবর পেয়ে কুষ্টিয়া থেকে মধুপুরে আসেন ঈগল পরিবহনের ব্যবস্থাপক আয়নাল হোসেন। গাড়িটির চালক ও সহযোগীদের বরাত দিয়ে তিনি বলেন, ‘মির্জাপুরের পাকুল্লা এলাকার একটি ফাঁকা মাঠে বাসটি ঘুরিয়ে টাঙ্গাইলের দিকে নিয়ে নেওয়া হয়। পরবর্তীতে বাসটিকে ময়মনসিংহের মহাসড়কের মধুপুরের দিকে নেয় ডাকাতেরা।’
    বাসের নারী যাত্রী কুষ্টিয়ার দৌলতপুর থানার তারাগুনিয়া গ্রামের শিল্পী বেগম বলেন, ‘আমি আমার অসুস্থ মেয়েকে চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নিয়ে যাচ্ছিলাম। আমাদের সবাইরে হাত, মুখ, চোখ বাইন্দা ডাকাতরা সব লুট কইরা নিছে। আমার স্বামী পিয়ার আলিকে ছুরি দিয়ে আঘাত করছে। আমার কাছ থিকা ৩০ হাজার টাকা নিয়া গেছে।’ ওই বাসে থাকা অন্য নারী যাত্রীরা নির্যাতনের শিকার হয়েছেন বলে জানান তিনি।
    বাসটিতে করে বেসরকারি চাকরিজীবী নারায়ণগঞ্জের বাসিন্দা আব্দুর রশিদ নাটোর থেকে বাড়ি যাচ্ছিলেন অসুস্থ মাকে দেখার জন্য। সঙ্গে ছিল বেতনের ২২ হাজার ৮০০ টাকা। এর মধ্যে ১০০ টাকা রেখে বাকি পুরো টাকাই ডাকাতেরা নিয়ে গেছে বলে জানান তিনি।
    বাসযাত্রী হাবিবুর রহমান বলেন, ‘স্থানীয় বাসিন্দারা আমাদের উদ্ধার করেছেন। রক্তিপাড়া জামে মসজিদের ইমাম আমাকে নাশতাও করিয়েছেন।’সংবাদ পেয়ে মধুপুর থানা-পুলিশ তাঁদের উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। গাড়িতে থাকা দেশীয় অস্ত্র উদ্ধারের কথা স্বীকার করেছেন মধুপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) এনামুল হক। বিকেল ৫টায় ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, ডিবি পুলিশের একটি দল তদন্তকাজ চালাচ্ছে। পুলিশের সহযোগিতায় একদল উদ্ধারকর্মী বাসটি উদ্ধার করছেন। টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে থানায় এসে বাসযাত্রী ও সংশ্লিষ্টদের জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন। এ সময় ময়মনসিংহ থেকে আসা ডিএনএ পরীক্ষাগারের কর্মীদের থানায় অবস্থান করতে দেখা গেছে।
    এ ব্যাপারে মধুপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মাজহারুল আমিন বলেন, ‘ঘটনাটি তদন্তাধীন। বাসের এক যাত্রী বাদী হয়ে মামলা করবেন বলেও জানিয়েছেন।’

  • পানছড়িতে মনসা পুঁথিপাঠে নারীদের জমজমাট আসর

    পানছড়িতে মনসা পুঁথিপাঠে নারীদের জমজমাট আসর

    মিঠুন সাহা,খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি।

    খাগড়াছড়ির পানছড়িতে মনসাপূজা উপলক্ষে বিভিন্ন এলাকা থেকে এসে বাড়ির উঠানে দলবেঁধে বসে মনসার পুঁথি পাঠ করছেন নারীরা।এই সময় বিভিন্ন গানের সুরের সঙ্গে একজন নারী পুঁথির কলি পাঠ করছেন এবং অন্য নারীরা তাতে ঠোঁট মিলিয়ে গেয়ে যাচ্ছেন।

    ০৩ আগষ্ট (বুধবার) বেলা ৪টার সময় পানছড়ি আদি ত্রিপুরা পাড়া এলাকায় মহাশ্মশান শিব মন্দির কমিটির সভাপতি পূর্ণ আশ্চর্য এর বাড়িতে নারীদের এই আসরের এ দৃশ্য দেখা যায়।

    জাতি-বর্ণ নির্বিশেষে হিন্দু সম্প্রদায় দেবী মনসার পূজা আষাঢ়-শ্রাবণ মাসে পালন করে। বর্ষার প্রকোপে এ সময় সাপের বিচরণ বেড়ে যায়, তাই সাপ থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য ভক্তকূল দেবীর আশ্রয় প্রার্থনা করে। এছাড়া ধন-সম্পদ, সন্তান-সন্তুতির জন্য সর্পদেবীর ভক্ত তার দ্বারস্থ হয়। মনসা একজন লৌকিক দেবী। তবুও তার অসাধারণ জনপ্রিয়তার কারণে হিন্দু সমাজের সকল সম্প্রদায় তাকে দেবী হিসেবে মর্যাদা দেয়। মনসার পূজা উপলক্ষে খাগড়াছড়ির পানছড়ি উপজেলার গ্রামীণ নারীরা শ্রাবণ মাসের প্রথম দিন থেকে শেষ দিন পর্যন্ত বাড়ি বাড়ি ঘুরে মনসার পুঁথি পাঠ করেন। পুঁথিপাঠের আসরের এ আয়োজন চলে আসছে কয়েক যুগ ধরে। সংসারের কাজকর্ম সেরে বেলা তিনটা থেকে পুঁথিপাঠে অংশ নেন নারীরা।

    সবিতা সাহা (৫০) বলেন,আমরা অনেক বছর যাবত মনসার পূজা উপলক্ষে আমরা পুঁথি পাঠ করি। আমি ছোট বয়স থেকে মা–কাকিমাদের সঙ্গে পুঁথিপাঠের আসরে যেতাম। এখন গ্রামের বউ–ঝিদের সঙ্গে পালা করে গ্রামের বাড়ি বাড়ি গিয়ে পুঁথি পাঠ করি।’

    পানছড়ি মহাশ্মশান কমিটির সভাপতি পূর্ণ আশ্চর্য বলেন, মনসার পুঁথিপাঠের বিষয়টি শুধুই ধর্মীয় আনুষ্ঠানিকতা নয়, এটি একই সঙ্গে সংস্কৃতির অংশ। মনসার কাহিনি নিয়ে কালজয়ী সাহিত্য রচিত হয়েছে। তবে অঞ্চলভেদে পুঁথি ও তার পঠনরীতি আলাদা। শ্রাবণ মাসের প্রথম দিন থেকে এই পুঁথিপাঠ আরম্ভ হয়, চলে মাসব্যাপী।

    পালাগান, কবিগান ও পুঁথিপাঠের আসর মানুষের মাঝে দারুণ প্রভাব ফেলে। অসাম্প্রদায়িক চেতনার বিকাশে গ্রামীণ ও লোকজ সংস্কৃতির এ ধরনের অনুষ্ঠানে নানা বর্ণের মানুষের ভিড় থাকত চোখে পড়ার মতো। একসময় গ্রামেগঞ্জে প্রতিনিয়ত এসব অনুষ্ঠান হলেও কালের বিবর্তনে তা হারিয়ে যাচ্ছে।