Category: দেশজুড়ে

  • ময়মনসিংহে হারিয়ে যাওয়া  ১৫টি মোবাইল উদ্ধার করে জনতার প্রশংসায় কোতোয়ালী পুলিশ।

    ময়মনসিংহে হারিয়ে যাওয়া ১৫টি মোবাইল উদ্ধার করে জনতার প্রশংসায় কোতোয়ালী পুলিশ।

    আরিফ রববানী ময়মনসিংহ।।
    কোতোয়ালী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ শাহ্ কামাল আকন্দ (পিপিএমবার) এর নির্দেশে অপরাধ নির্মূল ও আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ রাখতে প্রতিদিন নিয়মিত অভিযান চালিয়ে আসছে কোতোয়ালী মডেল থানা পুলিশ।

    ময়মনসিংহ জেলা পুলিশ সুপার মোহাঃ আহমার উজ্জামান (পিপিএম-সেবা)(অতিরিক্ত ডিআইজি পদে পদন্নোতি প্রাপ্ত) এর দিক-নির্দেশনায় পরিচালিত কোতোয়ালি মডেল থানার এই অভিযানে অপরাধীরা আতঙ্কে থাকায় সাধারণ মানুষের মাঝে স্বস্তির নিঃশ্বাস শুরু হয়েছে।

    এরই অংশ হিসেবে বুধবার (১০ আগস্ট ২০২২) তারিখ সকাল পর্যন্ত কোতোয়ালী মডেল থানায় জিডিকৃত হারিয়ে বা খোয়া যাওয়া ১৫টি মোবাইল উদ্ধার করে প্রকৃত মালিকদের কাছে মোবাইলগুলো ফিরিয়ে দিয়েছেন কোতোয়ালী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ শাহ্ কামাল আকন্দ (পিপিএম-বার)। এদিকে দীর্ঘদিন পর হারানো মোবাইল ফোন ফিরে পেয়ে খুশি মোবইল ফোনের প্রকৃত মালিকগণ।

    কোতোয়ালী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ শাহ্ কামাল আকন্দ (পিপিএম-বার) এর নির্দেশে কোতোয়ালী মডেল থানার এএসআই আমীর হামজার মাধ্যমে এই মোবাইল গুলো উদ্ধার করেছে। বুধবার সকালে কোতোয়ালী মডেল থানার (ওসি) শাহ্ কামাল আকন্দ প্রকৃত মোবাইল মালিকদের কাছে হস্তান্তর করেন। খোয়া যাওয়া মোবাইলের মালিকগণ তাঁদের মোবাইল ফোনটি হাতে পেয়ে খুব খুশি।

    খোয়া যাওয়া মোবাইলের মালিকগণের মধ্য হতে রাজমিস্ত্রী হাসান মিয়া বলেন, আমি গরিব মানুষ, কিছু কিছু টাকা জমিয়ে খুব কষ্ট করে মোবাইল কিনেছিলাম। তিনি ধরেই নিয়েছিলেন ফোনটি আর ফিরে পাবেন না। তবে ৫ মাসেরও বেশি সময় পার হওয়ার পর ফোনটি উদ্ধার হওয়ায় পুলিশকে ধন্যবাদ জানান তিনি।

    ছোয়া মণি বলেন, ১ মাস আগে আমার মুঠোফোন হারিয়ে যায়, অনেক খোঁজাখুঁজির পরে না পেয়ে আমরা থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছিলাম। হঠাৎ করে গতকাল কল দিয়ে জানানো হয়েছে যে আমাদের ফোন পাওয়া গেছে। হারানো মুঠোফোন হাতে পেয় পুলিশের এই তৎপরতায় আমরা খুব খুশি। এএসআই আমীর হামজাকে ধন্যবাদ জানাই।

    এদিকে ওসি মোঃ শাহ্ কামাল আকন্দ বলেন, বেশিরভাগ মোবাইল হারানো এবং চুরির ঘটনা থানায় অভিযোগ হলে আমরা সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে উদ্ধারের চেষ্টা করি। হারানো বা চুরি হওয়া মোবাইলগুলো জেলার ভেতরে থাকলে উদ্ধার করা সহজ হয়। বাহিরের জেলা হলে বিষয়টি সময় সাপেক্ষ হয়ে যায়। অপরাধ দমন ও মানুষের সেবা দানের ক্ষেত্রে পুলিশের সক্ষমতা অনেক গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে।

    তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহারের মধ্য দিয়ে মুঠোফোন উদ্ধারসহ অপরাধীদের শনাক্তে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন। কোতোয়ালী পুলিশের এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে। এএসআই আমীর হামজা বলেন, পুলিশ কর্মকর্তারা নানা কাজে ব্যস্ত থাকেন। তারপরও আমরা পেশাদার। অভিযোগ পেলে হারানো বা খোয়া যাওয়া মোবাইল ফোন উদ্ধারে আন্তরিকতার সঙ্গে চেষ্টা করি। তথ্য ও প্রযুক্তির সহায়তায় অনেক মোবাইল ফোন উদ্ধার করে দিয়েছি।

    এছাড়াও হারিয়ে যাওয়া প্রকৃত মোবাইল মালিকরা হলেন ফারুক, ছোয়া মণি (ছাত্রী), বিল্লাল মাকসুদুর, নাঈমুর, হাসান মিয়া (রাজমিস্ত্রী) কুদ্দুস, আরিফ (অটোচালক), আনোয়ারুল ইসলাম, হাসান মিয়া, সম্পা সরকার, নারী উদ্যোক্তা, ইসতিয়াক, মিজান, সেলিম, বদরুল আমিন, (সাংবাদিক) হারিয়ে যাওয়া মোবাইল ফেরত পেয়ে তাদের সকলের চোখেমুখে আনন্দের ঝিলিক। পরিশেষে কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশকে অসংখ্য ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন খোয়া যাওয়া ১৫টি মোবাইল ফোনের প্রকৃত মালিকগণ।

  • সেবা গ্রহীতাদের চা,বিস্কুট, শিশুদের চকলেটে আপ্যায়ন হয় ময়মনসিংহে কোতোয়ালি মডেল থানায়

    সেবা গ্রহীতাদের চা,বিস্কুট, শিশুদের চকলেটে আপ্যায়ন হয় ময়মনসিংহে কোতোয়ালি মডেল থানায়

    আরিফ রববানী ময়মনসিংহ।।
    ময়মনসিংহের কোতোয়ালী মডেল ​থানায় সেবা নিতে আসা মানুষের হাসি মুখে অভ্যর্থনার পাশাপাশি চকলেট দিয়ে আপ্যায়ন করেন থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শাহ কামাল আকন্দ। তিনি থানায় আগতদের অপ্যায়নের জন্য টেবিলের উপরেই রেখে দিয়েছেন চকলেট। যেকোনো প্রয়োজনে থানায় আসা প্রত্যেক সেবা গ্রহীতাদের সাথে থাকা ছোট্টমনিরাও আপ্যায়ন হিসাবে পাচ্ছেন চকলেট।

    পুলিশের কাছ থেকে এমন ব্যবহার ও আপ্যায়ন যেন আগামীতেও অব্যাহত থাকে ওসির কাছে এমন প্রত্যাশা এলাকাবাসীর।

    কোতুয়ালী মডেল থানায় সেবা নিতে আসা জনৈক সেবা গ্রহীতা বলেন,তিনি স্বামীর সাথে বিরোধের ঘটনায় কিছুদিন আগে থানায় গিয়েছিলাম। টাকা-পয়সা ছাড়াই মামলা করেছি। আমাকে চা আপ্যায়নের পাশাপাশি আমার সাথে থাকা আমার শিশু সন্তানকেও উপহার হিসেবে দিয়েছেন চকলেট। ওসির এমন ব্যবহার পেয়ে আমরা খুবই আনন্দিত।

    থানার ইন্সপেক্টর অপারেশন ওয়াজেদ আলী জানান, শাহ কামাল আকন্দ স্যার ওসি হিসাবে কোতোয়ালি মডেল থানায় যোগদান করার পর থেকেই থানায় আসা মানুষকে চা বিস্কুট আপ্যায়নের পাশাপাশি সাথে কোন শিশু কিশোর থাকলে চকলেট দিয়ে আপ্যায়নের নিয়ম চালু করেছেন। তাই থানায় এরকম ব্যবহার ও আপ্যায়ন পেয়ে সেবা গ্রহনকারীরাও খুশি। এছাড়া তিনি প্রতিটি মানুষের সাথে খারাপ ব্যবহার না করার জন্যও সবাইকে সতর্ক করেছেন।

    ওসি শাহ কামাল আকন্দ এ প্রতিনিধি কে বলেন, থানায় কেউ শখ করে ঘুরতে আসে না। মানুষ বিপদে পড়লেই থানায় আসে। তাই তাদের সেবা প্রদানের পাশাপাশি ছোট্ট শিশুদেরকে চকলেট দিয়ে আপ্যায়ন করার ব্যবস্থা করেছি। কারণ, থানায় আগত এমন সেবা গ্রহীতারা রয়েছে যাদের বাড়ী দূরে,আমার সাথে সাক্ষাত করার জন্য অপেক্ষা করে,মামলার তদন্তসহ দায়িত্ব পালনে অনেকসময় থানার বাইরে থাকতে হয়। তাই সবাইকে চা-বিস্কুট দিয়ে আপ্যায়নের ব্যবস্থা আর সাথে শিশুদের জন্য চকলেট এর ব্যবস্থা করেছি। এছাড়া জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতার পরপরই দেশের পুলিশ বাহিনীকে জনগণের পুলিশ হিসেবে গড়ে তোলার জন্য নানা উদ্যোগ গ্রহণ করেছিলেন,তার সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নে পুলিশবাহিনি কে জনগণের পুলিশ হিসাবে মানুষদের ভালবাসার নিদর্শন সরূপ এই ব্যবস্থা। থানায় সেবা নিতে গিয়ে ওসির এমন আপ্যায়নে জনতার কাছে প্রশংসার দাবীদার হয়ে উঠেছেন ওসি শাহ কামাল আকন্দ।

  • পঞ্চগড় গাঁজাসহ মাদক ব্যাবসায়ী গ্রেফতার

    পঞ্চগড় গাঁজাসহ মাদক ব্যাবসায়ী গ্রেফতার

    মো: বাবুল হোসেন পঞ্চগড় ;
    গোপন সংবাদ এর ভিত্তিতে এসআই আলতাফ হোসেন সরকারের নেতৃত্বে বিশেষ মাদক উদ্ধার অভিযান পরিচালনা কালে ০৫ নং চাকলাহাট ইউপিস্থ কেকুপাড়া গ্রাম হতে মোছাঃ রিনা পারভীন (৩২),পিতা-মৃতঃ আব্দুল গফুর, স্বামী – রুহুল আমিন, সাং- চাকলাহাট

    মেহেরপাড়া,থানা-পঞ্চগড় সদর, জেলা- পঞ্চগড়কে ৯০০ গ্রাম গাঁজা সহ হাতেনাতে গ্রেফতার করে। উক্ত বিষয়ে পঞ্চগড় সদর থানায় একটি নিয়মিত মামলা রুজু হয়েছে।

  • ময়মনসিংহে ওসি কামালের নেতৃত্বে কড়া নিরাপত্তায় আশুরার তাজিয়া মিছিল অনুষ্ঠিত।

    ময়মনসিংহে ওসি কামালের নেতৃত্বে কড়া নিরাপত্তায় আশুরার তাজিয়া মিছিল অনুষ্ঠিত।

    আরিফ রববানী ময়মনসিংহ
    পুলিশের কড়া নিরাপত্তায় ময়মনসিংহে পালিত হয়েছে
    ইসলামি চন্দ্র বর্ষপঞ্জির প্রথম মাস মুহররমের দশম দিন পবিত্র আশুরা। দিবসটি যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপনের লক্ষে কারবালার যুদ্ধে শাহাদাৎ হওয়া প্রিয় নবী হযরত মোহাম্মদ (সাঃ) এর নাতি হোসাইন ইবনে আলী ও তার পরিবারের সদস্যদের স্মরণে মিলাদ মাহফিল ও তাজিয়া মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (৮আগষ্ট) দুপুরে নগরীর গাঙ্গিনার পাড়ে এই মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। পরে একটি তাজিয়া মিছিল গাঙ্গিনার পাড় থেকে শুরু হয়ে স্টেশন রোড হয়ে মহারাজা রোড দিয়ে ছোট বাজার হয়ে জেলা স্কুল মোড় ঘুরে বাউন্ডারি রোড হয়ে নতুন বাজার মোড় ঘুরে আবারো গাঙ্গিনার পাড় এসে পিলখানায় গিয়ে শেষ হয়। মিছিলকে কেন্দ্র করে সকল ধরনের নাশকতা প্রতিরোধ, আইন শৃংখলা নিয়ন্ত্রণে ময়মনসিংহ সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ শাহিনুল ইসলাম ফকির, কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি মোঃ শাহ কামাল আকন্দ, পিপিএম (বার) এর নেতৃত্বে পুলিশের একটি টিম কড়া নিরাপত্তা জোরধার করেন। এসময় কোতোয়ালী মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) ফারুক হোসেন,ইন্সপেক্টর অপারেশন ওয়াজেদ আলী, ১নং ফাড়ির ইনচার্জ এসআই আনোয়ার হোসেন, এসআই দেবাশীষ সাহা ও জেলা গোয়েন্দা ডিবি’র এসআই শরীফ হায়দার সহ পুলিশ নিরাপত্তা রক্ষায় কঠোরভাবে দায়িত্ব পালন করেন। ফলে অনাকাঙ্ক্ষিত কোন ঘটনা ছাড়াই শান্তিপুর্ণভাবে তাজিয়া মিছিলটি শেষ হয়। এছাড়া পাটগুদাম আটকে পড়া পাকিস্তানি ক্যাম্প থেকে পৃথকভাবে আরেকটি মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। মিছিলটি ক্যাম্প থেকে বের হয়ে নগরীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে আবারো পাটগুদাম ক্যাম্পে গিয়ে শেষ হয়।

    উল্ল্যেখ্য-পবিত্র আশুরা একটি গুরুত্বপূর্ণ ইসলামি দিবস যা ইসলামি চন্দ্র বর্ষপঞ্জির প্রথম মাস মুহররমের দশম দিনে অনুষ্ঠিত হয়। আশুরা কারবালার যুদ্ধে হোসাইন ইবনে আলী ও তার পরিবারের সদস্যদের শাহাদাতকে চিহ্নিত করে। শিয়া মুসলিমরা এই দিনে নবি মুহাম্মাদের নাতি এবং তার পরিবারের সাথে ঘটে যাওয়া বিয়োগান্তক ঘটনাকে স্মরণ করে।

  • ফেন্সিডিল ও মোটরসাইকেলসহ গ্রেফতার দুই

    ফেন্সিডিল ও মোটরসাইকেলসহ গ্রেফতার দুই

    মো.হাসমত উল্ল্যাহ,লালমনিরহাট।।

    লালমনিরহাট জেলার হাতীবান্ধা থানার ভেলাগুড়ি ইউপির মধ্য কাদমা মৌজায় বিশেষ অভিযান চালিয়ে ১২২বোতল মাদকদ্রব্য ফেন্সিডিল ও মোটরসাইকেল উদ্ধারসহ দুইজন কে গ্রেফতার করেন হাতীবান্ধা থানার পুলিশ।

    লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি)শাহ আলম, এর নেতৃত্বে এসআই (নিঃ)/মোঃ হারুন অর রশিদ, ও সঙ্গীয় ফোর্স সহ হাতীবান্ধা থানাধীন ভেলাগুড়ি ইউপির মধ্য কাদমা মৌজাস্থ দইখাওয়া হইতে সোনারদিঘী গামী কাঁচা রাস্তা উপর হইতে ১২২ বোতল মাদকদ্রব্য ফেনসিডিল এবং মাদক বহনকারী ০১(এক) টি রেজিঃ বিহীন কালো রংয়ের HONDA X BLADE ১৬০ সিসি মোটরসাইকেলসহ দুই জন কে গ্রেফতার করেন।

    গ্রেফতারকৃত আসামিরা হলেন সাদেকুল ইসলাম(২৩),পিতা নুরুজ্জামান, গ্রাম বনচৌকি ৬ নং ওয়ার্ড ভেলাগুড়ি ইউনিয়ন। রাকিবুল ইসলাম(২২),পিতা মৃত ওমর ফারুক,গ্রাম দইখাওয়া ৬নং ওয়ার্ড গোতামারী ইউনিয়ন, উভয়ের থানা হাতীবান্ধা জেলা লালমনিরহাট।গ্রেফতারকৃত আসামির বিরুদ্ধে হাতীবান্ধা থানার মামলা হয়। মামলা নং ১৫, তারিখ – ধারা – ৩৬(১) সারণির ১৩(গ)/৩৮/৪১ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১৮ রুজু করা হয়।

    হাতীবান্ধা থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) শাহ আলম, জানান গোপন সংবাদের ভিত্তিতে হাতীবান্ধা থানার ভেলাগুড়ি ইউনিয়নের মধ্য কাদমা মৌজায় বিশেষ অভিযান চালিয়ে ১২২ বোতল মাদকদ্রব্য ফেন্সিডিল এবং ১টি মোটরসাইকেল সহ দুই জনকে গ্রেফতার করেন হাতীবান্ধা থানার পুলিশ।

    হাসমত উল্ল্যাহ।।

  • সুন্দরবনের খালে গোসল করতে নেমে কুমিরের সাথে লড়াই করে প্রাণে বেঁচে এলো কলেজ ছাত্র

    সুন্দরবনের খালে গোসল করতে নেমে কুমিরের সাথে লড়াই করে প্রাণে বেঁচে এলো কলেজ ছাত্র

    মোংলা (বাগেরহাট) প্রতিনিধি
    সুন্দরবনের খালে গোসল করতে নেমে কুমিরের সাথে লড়াই করে প্রাণে বেঁচে এলো অনার্স পড়ুয়া এক যুবক। মঙ্গলবার দুপুরে সুন্দরবনের ঢাংমারী খালে গোসল করতে নামলে একটি কুমির আক্রমণ করে ওই যুবককে। এরপর ধস্তাধস্তি ও চোখে আঙ্গুল দিয়ে কুমিরটিকে দুর্বল করতে পেরে প্রাণে বেঁচে এসেছে যুবকটি।
    পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের চাঁদপাই রেঞ্জের (মোংলা) ঢাংমারী ষ্টেশন কর্মকর্তা মোঃ সাইফুল বারী জানান, সুন্দরবনের ঢাংমারী খালে মঙ্গলবার দুপুরে গোসল করতে নামেন পূর্ব ঢাংমারী এলাকার খ্রীষ্টান পাড়ার বাসিন্দা নজির হাওলাদারের ছেলে রাজু হাওলাদার। বনের খালে গোসল করতে নামতেই একটি কুমির তার উপর আক্রমণ করে। এ সময় কুমিরটি রাজুর ডান পায়ের হাটুর উপরের দিকে কামড়ে ধরে। তখন রাজু কুমিরটির সাথে ধস্তাধস্তি করার এক পর্যায়ে কুমিরের চোখে আঙ্গুল ঢুকিয়ে দেয়। কুমিরের চোখে আঘাত করলে কুমিরটি রাজুর পায়ের কামড় ছেড়ে দেয়। তখন সে দ্রুত উপরে উঠে আসে। আর কুমিরটি খালে ডুব দিয়ে চলে যায়। তিনি বলেন, কুমিরের কামড়ে রাজুর পায়ের ক্ষত জায়গায় চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। সে এখন সুস্থ ও বাড়ীতে আছেন। তিনি আরো বলেন, ঘটনার সময় খালে ভাটা থাকায় পানি কম ছিলো, ভরা জোয়ার থাকলে কুমির কামড়ে ধরে পানির গভীরে নিয়ে গেলে বাঁচার কোন সম্ভাবনাই থাকতো না। তিনি আরো জানান, পূর্ব সুন্দরবন সংলগ্ন খুলনার দাকোপ উপজেলার বানীশান্তা ইউনিয়নের পূর্ব ঢাংমারী এলাকার খ্রীষ্টানপাড়ার বাসিন্দা নজির হাওলাদারের ছেলে রাজু হাওলাদার খুলনার একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অনার্স পড়েন। তাদের বাড়ীটি পূর্ব সুন্দরবনের ঢাংমারী খালের পাশেই। বাড়ীতে আসার পর রাজুকে খালে নেমে গোসল করতে নিষেধ করেন তার পরিবার। তারপর সেই নিষেধ না মেনে খালে গোসল করতে নামলেই এ ঘটনা ঘটে।
    এদিকে বন কর্মকর্তা মোঃ সাইফুল বারী বলেন, ঢাংমারী খালে প্রায় সব সময়ই বড় বড় দুইটি কুমির দেখা যায়। তাই বনবিভাগের পক্ষ থেকে খালের পাড়ের আশপাশের মানুষদেরকে খালে নামতে নিষেধ করা হচ্ছে প্রতিনিয়তই। তারপরও তারা তা না শুনে খালে গোসল ও মাছ অরতে নামেন। যার ফলে মাঝে মধ্যেই এমন দুর্ঘটনার শিকার হন এখানকার মানুষেরা।

  • মধুপুরে বাজার কমিটির লোকজনের হাতে সাংবাদিক বাবুল রানা আহত

    মধুপুরে বাজার কমিটির লোকজনের হাতে সাংবাদিক বাবুল রানা আহত

    আব্দুল হামিদ।।

    মধুপুর টাঙ্গাইল প্রতিনিধিঃ

    টাঙ্গাইলের মধুপুরের জলছত্র বাজার কমিটি দ্বারা রাস্তা দখল করে ভ্যানে আনারস বিক্রি করে গাড়ি চলাচলে বাধা সৃষ্টি এর প্রতিবাদ করতে গিয়ে বাজার কমিটি দ্বারা পরিচালিত লোকজনের হাতে বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক সোসাইটি কেন্দ্রীয় কমিটির সহকারী সম্পাদক ও প্রেসক্লাব মধুপুর এর সাধারণ সম্পাদক বাবুল রানা গুরতর আহত হয়েছেন। মঙ্গলবার( ৯ আগষ্ট) দুপুরে ডাক্তার দেখিয়ে ময়মনসিংহ থেকে ফেরার পথে জলছত্র ময়মনসিংহ রোড বন্ধ করে আনারস বিক্রি করতে আনা একটি অটো ভ্যান তার প্রাইভেট কারে লাগিয়ে দেয়।

    এঘটনার প্রতিবাদ করতে গেলে কয়েকজন লোক তাকে এলোপাতাড়ি ভাবে কিল-ঘুষি মারতে থাকে পরবর্তীতে তার গাড়ির ড্রাইভার তাকে উদ্ধার করতে গেলে তাকেও কিল-ঘুষি মারতে থাকে। পরে অরণখোলা পুলিশ ফাড়িতে খবর দিলে খবর পেয়ে পুলিশ এসে তাকে উদ্ধার করে। পুলিশ এলে তারা পালিয়ে যায়।

    জলছত্র আনারসের নিদিষ্ট বাজার থাকা সত্ত্বেও তার টাঙ্গাইল ময়মনসিংহ সড়কে ভ্যান দিয়ে জরুরি রোগী সহ জনসাধারণের চলাচল বিঘ্নিত করছে। প্রতিবাদ করায় অনেক পথচারীকে প্রায় প্রতিদিনই তারা মারধর করছে বলেও জানা যায়।

    প্রেসক্লাব মধুপুরের সাংবাদিকগন সহ বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক সোসাইটি বিএমএসএস এর পক্ষ থেকে এই ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে ঘটনার সহিত জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবী জানিয়েছেন সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান খন্দকার আছিফুর রহমান, মহাসচিব মো: সুমন সরদার সহ সকল কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ।

  • পটিয়ায় আহলে বাইতে রাসূল (ﷺ)স্বরণে শোহাদায়ে কারবালা মাহফিল অনুষ্ঠিত

    পটিয়ায় আহলে বাইতে রাসূল (ﷺ)স্বরণে শোহাদায়ে কারবালা মাহফিল অনুষ্ঠিত

    মহিউদ্দীন চৌধুরী।
    নিজস্ব প্রতিনিধিঃ চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলার বড়লিয়া ইউনিয়নে পূর্ব পেরলা গাউছিয়া কমিটি বাংলাদেশ ও পূর্ব পেরলা বায়তুন নূর জামে মসজিদ পরিচালনা কমিটি ও এলাকা বাসীর যৌথ উদ্দৌগে আহলে বাইতে রাসূল (ﷺ)স্বরণে ৫দিন ব্যাপি শোহাদায়ে কারবালা মাহফিলের
    ১ম দিবস অনুষ্ঠিত হয়।
    পূর্ব পেরলা বায়তুন নূর জামে মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি মো-রফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে এ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।এতে প্রধান বক্তা ছিলেন মাওলানা জয়নাল আবেদিন (খতিব পূর্ব পেরলা বায়তুন নূর জামে মসজিদ)
    বিষেশ বক্তাঃ মাওলানা ইলিয়াস (ইমাম, পূর্ব পেরলা বায়তুন নূর জামে মসজিদ)
    বিষেশ অতথি ছিলেন :-মোহাম্মদ হাফেজ আহম্মেদ সভাপতি পূর্ব পেরলা গাউছিয়া কমিটি ।
    উক্ত মাহফিলে আরো উপস্থিত ছিলেন এলাকার মুরব্বি সহ পূর্ব পেরলা গাউছিয়া কমিটির সকল নেতৃবৃন্দসহ অনেকেই।

  • সেনবাগে মাদক ও ওয়ারেন্টভূক্ত সাজাপ্রাপ্ত আসামীসহ গ্রেফতার  ৩

    সেনবাগে মাদক ও ওয়ারেন্টভূক্ত সাজাপ্রাপ্ত আসামীসহ গ্রেফতার ৩

    রফিকুল ইসলাম সুমন (নোয়াখালী)

    নোয়াখালীর সেনবাগে থানা পুলিশের বিশেষ অভিযানে সাজাপ্রাপ্ত আসামী আবুল কাশেম, ও ইয়াবা সহ মোঃ আব্দুল্লাহ আল মামুন (২৫),তানভীরুল আজগর তাহিম (২১)সহ ৩ জন কে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ এসময় তাদের কাছ থেকে ১শত ২ পিস ইয়াবা উদ্ধার করে। সোমবার রাতে পৃথক অভিযান পরিচালনা করে তাদের কে করা হয়।

    আবুল কাশেম উপজেলার ছাতারপাইয়া ইউনিয়নের পূর্ব ছাতারপাইয়া গ্রামের মৃত-মন্তাজ মিয়ার পুত্র। মামুন উপজেলার মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ রাজারামপুর ফরাজী বাড়ির আব্দুল মান্নান এর পুত্র ও তাহিম পার্শ্ববর্তী ফেনী জেলার দাগনভূঁইয়া উপজেলার চন্ডিপুর গ্রামের পাটোয়ারি বাড়ি জাকির হোসেন আলমগীর এর পুত্র।
    ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে সেনবাগ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ইকবাল হোসেন পাটোয়ারী জানান গ্রেফতারদের বিচারক আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরন করা হয়েছে।

  • চোরের পেছনে লগ্নি কাটান চট্টগ্রামের ৩ স্বর্ণ ব্যবসায়ী

    চোরের পেছনে লগ্নি কাটান চট্টগ্রামের ৩ স্বর্ণ ব্যবসায়ী

    মহিউদ্দীন চৌধুরীঃ
    চট্টগ্রাম নগরের বন্দর থানাধীন মুনির নগরের আনন্দবাজার মান্নান বিল্ডিংয়ে চুরির পরিকল্পনা হয়েছিল দেওয়ানহাটের মিস্ত্রীপাড়া মনিহার জুয়েলার্স ও রাজ জুয়েলার্সে। গত ১৪ জুলাই আব্দুল মান্নানের বাসা থেকে
    চুরি হওয়া স্বর্ণ কিনে নিয়েছিলেনও চট্টগ্রামের পাঁচ স্বর্ণ ব্যবসায়ী। তবে এটি বিচ্ছিন্ন কোনো ঘটনা নয়, বরং সোনা চুরির বড় এ নেটওয়ার্ক চট্টগ্রাম নগর থেকে উত্তর ও দক্ষিণ জেলা পর্যন্ত বিস্তৃত। এমন এক ঘটনায় চোরাই সোনা কেনার অপরাধে ডবলমুরিং থানা পুলিশ মনিহার জুয়েলার্সের মালিক সুদীপ্ত সেন (২৩) ও রাজ জুয়েলাইসের মালিক অঞ্জন ধরকে (৪০) গ্রেফতার করেছে।
    পুলিশ বলছে, পাঁচ স্বর্ণ ব্যবসায়ীর সংশ্লিষ্টতা পেলেও, তিন স্বর্ণ ব্যবসায়ী এ চুরির ঘটনায় লগ্নি খাটিয়েছেন।
    এ চুরির ঘটনায় পুলিশ চোরের পেছনে টাকা খাটানো সুদীপ্ত সেনের পিতা চট্টগ্রামের বোয়ালখালীর পেতনশাহ মাজার গেইট এলাকার মোহছেন আউলিয়া জুয়েলার্সের মালিক শিমুল সেন বাসু জড়িত।

    পুলিশ জানিয়েছেন, তারা চোরচক্রের কাছ থেকে ৪০ ভরি স্বর্ণালঙ্কার ও সাড়ে ৫২ হাজার টাকা উদ্ধার করে।

    মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বন্দর থানার উপ-পরিদর্শক আব্দুল্লাহ আল নোমান জানান, নগরের আনন্দবাজার এলাকার আব্দুল মান্নান গত ১২ জুলাই স্বপরিবারে কক্সবাজারে বেড়াতে যান। তিনি গত ১৪ জুলাই কক্সবাজার থেকে ফিরে দেখেন তাঁর বাসা চুরি হয়ে গেছে। চোরের দল তাঁর বাসা থেকে ৯ ভরি স্বর্ণালঙ্কার ও ১ লাখ টাকা নিয়ে যায়। এ ঘটনায় আব্দুল মান্নান বাদি হয়ে বন্দর থানায় মামলা নং-১৬, তারিখ-১৬/৭/২০২২ দায়ের করেন। এতে অজ্ঞাতনামা কয়েকজনেক আসামি করা হয় । তদন্তে নেমে বন্দর থানা পুলিশ তথ্যপ্রযুক্তির সহযোগিতায় অপরাধীদের চিহ্নিত করে। এরমধ্যে চোরচক্রের অন্যতম হুতা মাসুদ ও মোহাম্মদ খোকনকে গ্রেফতার করে। তাদের দেওয়া তথ্যে ২৭ জুলাই মনিহার জুয়েলার্সের মালিক সুদীপ্ত সেনকে গ্রেফতার করে। সে পটিয়া থানার ধলঘাট ইউনিয়নের শিমুল সেনের পুত্র। একই সময় রাজ জুয়েলার্সের মালিক অজ্ঞন ধরকে গ্রেফতার করে।

    বন্দর থানা পুলিশের কয়েকটি নির্ভরযোগ্য সূত্র জানিয়েছে, চুরির ঘটনার মূল পরিকল্পনায় ছিলেন সুদীপ্ত সেন ও তার বাবা শিমুল সেন। মনিহার জুয়েলার্সে বসে হয় চুরির পরিকল্পনা। সুদীপ্ত ও তার পাশের দোকান রাজ জুয়েলার্সের মালিক আঞ্জনকে পুলিশ ধরার পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে চুরির ঘটনা এবং রহস্য বেরিয়ে আসে।

    সুদীপ্তের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, কোতোয়ালী থানার হাজারী লেইনের জুয়েলারি মার্কেট কাঞ্চন শিল্পালয় ও দয়াময় গোল্ড টেস্টিং এ অভিযান চালিয়ে মান্নানের বাসা থেকে চুরি যাওয়া স্বর্ণালঙ্কার উদ্ধার করে পুলিশ।
    সুদীপ্তের বাবা শিমুল সেনের সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ছেলে না জেনে চোরচক্র থেকে স্বর্ণ কিনে ফেঁসে গেছেন। তিনি বলেন, আমাদের দুটি প্রতিষ্ঠানে এর আগে এমন ঘটনা ঘটেনি।

    অনুসন্ধানে জানা গেছে , চুরি-ছিনতাই কিংবা ডাকাতি করা স্বর্ণালঙ্কার অপরাধীদের কাছ থেকে কিনে নেন সুদীপ্ত ও তার বাবাসহ জুয়েলারি ব্যবসায়ীদের একটি সিন্ডিকেট। অপরাধীরা স্বর্ণালঙ্কার ওই সিন্ডিকেটের কাছে কম দামে বিক্রি করে। তারপর নতুন আকৃতিতে আবার বাজারে আসে এসব স্বর্ণালঙ্কার। চোর চক্রের সদস্যরা কেউ কখনো গ্রেফতার হলে তাদের পরিবার চালানো থেকে শুরু করে জেল থেকে বের করার দায়িত্বও নেন সুদীপ্ত,তার বাবা শিমুল সেন বাসু ও অঞ্জনের সমন্বয়ে গড়া চক্রটি।

    উপ-পরিদর্শক আব্দুল্লাহ আল নোমান বলেন, সুদীপ্ত
    এর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, চুরি-ডাকাতি করা স্বর্ণালঙ্কার কেনা-বেচার সঙ্গে জড়িত সিন্ডিকেটের সদস্যদের নাম-ঠিকানা সংগ্রহ করা হবে।