Category: দেশজুড়ে

  • পাইকগাছায় পাউবো’র সম্পত্তি দখলকারী সেলিমের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশিত হওয়ায় উচ্ছেদ আবেদনকারীকে প্রাণনাশের হুমকি; থানায় জিডি

    পাইকগাছায় পাউবো’র সম্পত্তি দখলকারী সেলিমের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশিত হওয়ায় উচ্ছেদ আবেদনকারীকে প্রাণনাশের হুমকি; থানায় জিডি

    পাইকগাছা(খুলনা) প্রতিনিধি।।
    পাইকগাছার ১৬নং পোল্ডারে অবস্থিত বাইশারাবাদ স্লুইস গেটের খালাসি ঘর ও সরকারি সম্পত্তি জবর দখলকারী সেলিম সরদার গং এর বিরুদ্ধে পতিকায় সংবাদ প্রকাশিত হওয়ায় উচ্ছেদ আবেদনে স্বাক্ষরকারী মোঃ আমানুল্লাহ কে ভয়ভীতি ও প্রাণ নাশের হুমকি প্রদান করা হয়েছে। এ ঘটনায় মোঃ আমানুল্লাহ ৭ আগস্ট শনিবার
    দখলকারী সেলিম সরদারের নামে থানায় সাধারণ ডায়েরী করেছেন। ডায়েরী নম্বর- ৩৪৫।
    জানা গেছে, পাউবো’র স্লুইস গেটের সরকারি সম্পত্তি মোঃ সেলিম সরদার ও তার পিতার আবু বক্কর সরদার জবর দখল করে বাড়ী ও দোকান ঘর নির্মান পূর্বক ব্যবসা করছে। রাস্তা সংলগ্ন দোকান ঘর নির্মান করায় চলাচলের বিঘœ সৃষ্টি হওয়ায় এলাকার লোকজন এ সরকারি সম্পত্তি দখল মুক্ত করার জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর গণস্বাক্ষরিত একটি অভিযোগ দাখিল করে। এ বিষয় নিয়ে বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হলে জবর দখলকারী সেলিম সরদারের গাত্রদাহ ও দৌড় ঝাপ শুরু হয়। ৭ আগস্ট শনিবার বিকালে গণস্বাক্ষরিত উচ্ছেদ আবেদনে স্বাক্ষরকারী আমানউল্লাহকে কঁচুবুনিয়া মসজিদের পাশে দেখা পেয়ে সেলিম সরদার তার লোকজন নিয়ে তার বিরুদ্ধে কেন অভিযোগ করেছে বলে গালিগালাজ করতে থাকে। কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে মারতে উদ্যোত হলে তার চিৎকারের পাশের লোকজন এগিয়ে আসে। এ সময় সেলিম তাকে খুন জখমের হুমকিসহ মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী করবে বলে চলে যায়। এ ঘটনায় আমানুল্লাহ সুবিচার পাওয়ায় জন্য থানায় সাধারণ ডায়েরী করেছেন।

    প্রেরকঃ
    ইমদাদুল হক,
    পাইকগাছা,খুলনা।

  • পাইকগাছায় বৃষ্টির অভাবে অনাবাদি ক্ষেত,শঙ্কায় আমন চাষিরা

    পাইকগাছায় বৃষ্টির অভাবে অনাবাদি ক্ষেত,শঙ্কায় আমন চাষিরা

    ইমদাদুল হক,পাইকগাছা,খুলনা।।
    বর্ষার ভরা মৌসুমে পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাত না হওয়ায় আমন ক্ষেত নিয়ে বিপাকে পড়েছেন পাইকগাছার কৃষকরা। বর্ষাকাল শেষ হতে চলেছে, আমন চাষের উপযোগী বৃস্টি হচ্ছে না। আর ুআশানুরূপ বৃষ্টি না হওয়ায় কয়েক হাজার হেক্টর জমিতে এখনো আমন চারা রোপণ করা সম্ভব হয়নি। বর্ষার মৌসুমেও বৃষ্টিপাত না হওয়ায় নিরুপায় কৃষকরা বাধ্য হয়ে শ্যালো মেশিন দিয়ে পুকুর-বিল থেকে পানি দিয়ে আমন ধানের চারা অনেক কষ্টে রোপণ করেছিলেন। তখন ধারণা করেছিলেন বৃষ্টি হবে। সেচ দিয়ে যেসব জমিতে চারা রোপণ করেছে এখন সেসব জমিতে পানি সেচ দিয়ে চারা বচিয়ে রাখতে হিমশিম খাচ্ছে কৃষক। গত বছর আগস্টে যে পরিমাণ বৃষ্টিপাত হয়েছে, চলতি মৌসুমে এখন পর্যন্ত এর এক-চতুর্থাংশও হয়নি। এ কারণে সেচ দিয়ে আমন চাষ করতে অধিক খরচ পড়ছে কৃষকদের। পানির অভাবে আমন আবাদ নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছে কৃষক।
    পাইকগাছা উপজেলা বিভিন্ন ইউনিয়ন ঘুরে দেখা গেছে, আমন চারা রোপণের সময় ফুরিয়ে এলেও পানির অভাবে চারা লাগাতে পারেনি অধিকাংশ কৃষক। অনেকে সেচ দিয়ে চারা রোপণ করলেও পানির অভাবে রোপণকৃত চারা হলুদ হয়ে যাচ্ছে, চারা মরে যাচ্ছে। কয়েক হাজার হেক্টর জমি অনাবাদি পড়ে আছে। বীজতলায় চারার বয়স বাড়ছে কিন্ত বৃষ্টির অভাবে জমি চাষ করতে পারছেন না । যে সকল কৃষকরা সেচ দিয়ে জমি চাষ করে চারা রোপণ করেছিলেন, এখন তাঁদের প্রতি সপ্তাহে সেচ দিয়ে চারা বাচিয়ে রাখতে হচ্ছে। এ কারণে বাড়তি খরচ গুণতে হচ্ছে কৃষকদের। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ১০টি ইউনিয়নে এবছর ১৭ হাজার ২৫৩ হেক্টর জমিতে রোপা আমনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ হলেও এখন পর্যন্ত ১৩০ হেক্টর জমিতে চারা রোপণ করা সম্ভব হয়েছে। আর বীজতলা ৯৯৫ হেক্টর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ হলেও বীজতলা হয়েছে মাত্র ২৫৫ হেক্টর। বীজতলার জন্য কৃষক বীজধান ক্রয় করেছে তবে পানির অভাবে জমি আবাদ করতে পারেনি। পাইকগাছা গদাইপুরের কৃষক আব্দুল আজিজ জানান, বীজ ধান কিনেছে, বৃস্টির অভাবে বীজতলা করতে পারেনি। সময় পার হয়ে যাচ্ছে আমন চাষের। গত বছর এসময় আমন ধানের চারা লাগানো শেষ হয়েছিল আর এ বছর শুরু করতে পারেনি বৃস্টির অভাবে। রাড়ুলীর কৃষ্ণপদ রায়, সবুর, করিমসহ কয়েকজন কৃষক জানান, বৃস্টির অভাবে জমিতে আমন চাষ শুরু করতে পারিনি। হঠাৎ করে একটু বৃষ্টির দেখা দিলেও তাতে খুব একটা লাভ হচ্ছে না। যেটুকু বৃষ্টি হচ্ছে, তাতে জমি ভিজছে না। অন্যদিকে চারার বয়স বেড়ে যাওয়ায় বাধ্য হয়ে সেচ দিয়ে চারা বাচিয়ে রাখতে হচ্ছে। এতে চিন্তার শেষ নেই। বিরাশির কৃষক সবুর জানান,চাষের সময় চলে যাচ্ছে তাই সেচ দিয়ে চারা রোপন করতে বিঘাপ্রতি খরচ হচ্ছে ৮ থেকে ১০ হাজার টাকা। তারপর বন্যা ও খরার ঝুঁকি তো আছেই। কৃষি অফিস ও কৃষকরা ধারণা করছে, কয়েক দিনের মধ্যে বৃস্টি না হলে উচু জমিতে এবছর আর আমন চাষ করা সম্ভাব হবে না। অনাবাদি থেকে যাবে জমি। তবে মাছ চাষের লীজ ঘেরে নাবী জাতের আমনের চারা লাগানো যাবে।—উপজেলা কৃষি অফিসার মোঃ জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আমনের আবাদ হয় বর্ষাকালে। বৃস্টি নির্ভর আমনের চাষাবাদ। কমপক্ষে ৪০০ মিলিমিটার বৃষ্টির প্রয়োজন হয় আমনের চারা রোপণ করতে। কিন্তু গত এক মাসে থেমে থেমে বৃষ্টি হয়েছে মাত্র ১৫০ মিলিমিটারের মতো। আর সেই কারণে অনেক জমি পতিত আছে। বৃষ্টির সময় এখনও রয়েছে। তবে কৃষকদের জমিতে সেচ দিয়ে ধান রোপণ করার পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। তবে সেচ দিয়ে চাষ করতে কৃষকদের একটু খরচ বাড়বে। বৃষ্টি হলে তাদের জন্য কাজটি অনেক সহজ হতো। আর অনাবৃষ্টির কারণে অনেক জায়গায় বীজতলা নষ্ট হয়েছে। তাই কৃষকদের নাবী জাতের বীজতলা তৈরি করতে বলা হচ্ছে। মাঠপর্যায়ে আমাদের কর্মীরা কৃষকদের পরামর্শ দিচ্ছে। বৃষ্টি হলে এ অবস্থার দ্রুত উন্নতি হবে।

  • পীরগঞ্জে বিনামূল্যে হাঁস মুরগি বিতরণ

    পীরগঞ্জে বিনামূল্যে হাঁস মুরগি বিতরণ

    পীরগঞ্জ ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি: ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জে “পারিবারিক ভাবে হাঁস-মুরগি করলে,পালন অর্থনৈতিক স্বচ্ছলতা ও আমিষের চাহিদা হবে পূরণ” এই প্রতিবাদ্য কে সামনে রেখে ৫০ জন দুঃস্থ,অসচ্ছল পরিবারের মাঝে দুটি করে হাঁস-মুরগি বিতরণ করা হয়েছে। বাংলাদেশ পল্লী ফেডারেশনের আয়োজনে বুধবার সকালে উপজেলার মিলন বাজার আদর্শ কেজি স্কুল মাঠে অনুষ্ঠিত হয়।
    বাংলাদেশ পল্লী ফেডারেশনের চেয়ারম্যান সাংবাদিক আব্দুর রহমানের সভাপতিত্বে বিতরন অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন উপজেলা উপ-সহকারি প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা আহসান হাবিব, ইউনেস্কো ক্লাব ঠাকুরগাঁও জেলার সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক জিয়াউর রহমান, উপজেলা প্রেস ক্লাবের সহ-সভাপতি সাংবাদিক এন এন রানা,পীরগঞ্জ অনলাইন জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক আবু তারেক বাঁধন প্রমুখ্য,
    এ সময় বীর মুক্তিযোদ্ধা সোলেমান আলী, ইউপি সদস্য কেরামত (আমীন), অগ্রদূত পল্লী পাঠাগারের সভাপতি রিপন আলী সবুজ সহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন ।
    অনুষ্ঠানে হাঁস-মুরগি পালনের ক্ষেত্রে রোগ বালাইয়ের বিষয়ে দিক নিদের্শনা মূলক আলোচনা করেন উপজেলা উপ-সহকারি প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা আহসান হাবিব।

    পীরগঞ্জ, ঠাকুরগাঁও

  • নড়াইলে নানা আয়োজনে এসএম সুলতানের জন্মবার্ষিকী পালিত

    নড়াইলে নানা আয়োজনে এসএম সুলতানের জন্মবার্ষিকী পালিত

    উজ্জ্বল রায়. নড়াইল থেকে:

    নড়াইলে বরেণ্য চিত্রশিল্পী এসএম সুলতানের ৯৮তম জন্মবার্ষিকী পালিত হয়েছে। বুধবার (১০ আগস্ট) সকালে দিনটি পালন উপলক্ষে জেলা প্রশাসন ও এস এম সুলতান ফাউন্ডেশনের আয়োজনে এস এম সুলতান কমপ্লেক্স ( শিল্পীর নিজস্ব বাস ভবনে) কোরআনখানি, দোয়া মাহফিল, শিল্পীর সমাধিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ, ফিরে দেখা সুলতান ভিডিওচিত্রের উদ্বোধন, শিশুদের চিত্রাঙ্কন, রচনা প্রতিযোগিতা, আর্ট ক্যাম্প ও পুরস্কার বিতরনী অনুষ্ঠিত
    জেলা প্রশাসন, জেলা পুলিশ, এস এম সুলতান ফাউন্ডেশন, জেলা শিল্পকলা একাডেমি, নড়াইল জেলা প্রেসক্লাব, এস এম সুলতান আর্ট কলেজ, এস এম সুলতান বেঙ্গল চারু ও কারুকলা মহাবিদ্যালয়, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট, মূর্ছনা সংগীত নিকেতনসহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে শিল্পীর সমাধিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হয়। এসময় শিল্পীর বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়। পরে শিশুদের অংশগ্রহনে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।
    এসব অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন-জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান, পুলিশ সুপার প্রবীর কুমার রায় পিপিএম (বার), অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ফকরুল হাসান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো রিয়াজুল ইসলাম, পৌর মেয়র আঞ্জুমান আরা, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাদিয়া ইসলাম, এস এম সুলতান সংগ্রহশালার কিউরেটর তন্দ্রা মুখার্জী, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি ও জেলা শিল্পকলা একাডেমির সাধারণ সম্পাদক মলয় কুমার কুন্ডু, নড়াইল জেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি খায়রুল আরেফিন রানা, এস এম সুলতান বেঙ্গল চারু ও কারুকলা মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ অনাদি বালা বৈরাগী, এস এম সুলতান চারু ও কারুকলা ফাউন্ডেশনের চেযারম্যান শেখ হানিফ সহ অনেকে।
    উল্লেখ্য, ১৯২৪ সালের ১০ আগস্ট নড়াইলের মাছিমদিয়ায় বাবা মেছের আলী ও মা মাজু বিবির ঘরে জন্মগ্রহণ করেন এসএম সুলতান। অসুস্থ অবস্থায় ১৯৯৪ সালের ১০ অক্টোবর যশোর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করার পর নড়াইলে প্রিয়জন্মভূমিতে তাকে চিরনিদ্রায় শায়িত করা হয়।#

  • জোয়ার ও বর্ষনে স্লুইজ ভেঙে ভেসে গেছে মৎস্য ঘের , সমুদ্রের জেলেরা নিরাপদে।

    জোয়ার ও বর্ষনে স্লুইজ ভেঙে ভেসে গেছে মৎস্য ঘের , সমুদ্রের জেলেরা নিরাপদে।

    পাথরঘাটা (বরগুনা)প্রতিনিধি:
    পাথরঘাটা সদর ইউনিয়নের রুহিতা-টেংরা এলাকার হাজীরখাল এলাকার স্লুইজ বিচ্ছিন্ন হয়ে বেশ কয়েকটি মাছের ঘের ভেসে গেছে। প্রচন্ড বৃষ্টিপাত এবং জোয়ারের পানির তোরে স্লুইজ এলাকার এই ঘেরগুলো তলিয়ে যায় বলে স্থানীয় এমাদুল হক বাদল দফাদার এবং হাফেজ মাসুম সহ স্থানীয় বাসিন্দারা জানান।

    এছাড়াও উপকূলের বিভিন্ন স্থানের জেলে ও ট্রলার নিখোঁজ থাকলেও বরগুনার পাথরঘাটার জেলেরা রয়েছেন নিরাপদে।
    দাবী জেলা ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরীর।

    বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টায় তার সঙ্গে কথা হয় আমাদের এ প্রতিনিধির। এসময় তিনি বলেন, অন্যান্য এলাকার বেশ কজন জেলে ও ট্রলার নিখোঁজ থাকলেও পাথরঘাটার জেলেরা রয়েছেন নিরাপদে। সমূদ্র উপকূলে দূর্যোগপূর্ন আবহাওয়া এবং তিন নম্বর সতর্ক সংকেত ঘোষনার সঙ্গে সঙ্গেই এখানকার মাছধরা ট্রলার ও জেলেরা নিরাপদ আশ্রয়ে চলে এসেছেন বলে জেলেট্রলার মালিকদের বরাত দিয়ে তিনি এখবর নিশ্চিত করেন।

    অপরদিকে পাথরঘাটার একজন গণমাধ্যমকর্মী তারিকুল ইসলাম রাকিব কাজী জানান, একটি ট্রলার নিখোঁজ এবং ওই ট্রলারের একজন জেলে উদ্ধারের ঘটনা ঘটেছে। দুর্যোগপূর্ন বৈরী আবহাওয়ার মধ্যে তিনি সন্ধ্যায় এমন খবর পেয়ে যাত্রা করেছেন তিনি সেই খবর সংগ্রহে। তবে এরিপোর্ট তৈরি কালে বিস্তারিত আর কিছু জানা সম্ভব হয়নি।

    এদিকে পাথরঘাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুফল চন্দ্র গোলদার বলেন, আমি একটি জরুরী মিটিং নিয়ে ব্যস্ত আছি তবে কোনো বেরিবাধ বিচ্ছিন্ন হওয়ার কিংবা ট্রলার ডুবির খবর পাওয়া যায়নি।

    পাথরঘাটা উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোকছেদুল আলম বলেন,এখন পর্যন্ত কোনো ট্রলার ডুবি কিংবা জোয়ারের জলে প্লাবিত হয়েছে এমন খবর আমরা পাইনি।

    উপজেলা চেয়ারম্যান মোস্তফা গোলাম কবির বলেন, মাছধরা জেলেদের নিখোঁজ কিংবা ট্রলার ডুবির কোনো খবর নাই তবে জোয়ারের পানি এবং বৃষ্টির পানি বৃদ্ধিতে কোথাও কোথাও ঘের তলিয়ে গেছে এমন কিছু বিচ্ছিন্ন খবর আছে।

    অমল তালুকদার।।

  • ঈদগাঁওতে সাংবাদিক কে হত্যার হুমকি-চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে থানায় জিডি

    ঈদগাঁওতে সাংবাদিক কে হত্যার হুমকি-চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে থানায় জিডি

    মোঃ কাউছার ঊদ্দীন শরীফ ঈদগাঁওঃ

    কক্সবাজারের ঈদগাঁওর সাংবাদিক শেফাইল উদ্দিন কে হত্যার হুমকি দিয়েছে এক মাদক ব্যবসায়ী।
    বুধবার ( ১০ আগষ্ট) এ ঘটনায় ঈদগাঁও থানায় লিখিত সাধারণ ডায়েরী করা হয়েছে। সাংবাদিক শেফাইল উদ্দিন ঈদগাঁও প্রেসক্লাবের সিনিয়র সহ-সভাপতি, বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম ঈদগাঁও উপজেলা শাখার সভাপতি।
    জানা যায়, উপজেলার ঈদগাঁও ইউনিয়নের দক্ষিণ মাইজ পাড়া এলাকার চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী ও মাদকাসক্ত খোকইন্না দীর্ঘদিন ধরে মাদক বিক্রি করে এলাকার পরিবেশ নষ্ট করে আসছে এবং সে মদ গাঁজা সেবন করে এলাকার লোকজনকে গালি গালাজ করে অতিষ্ঠ করে তুলেছে। সংবাদ কর্মী শেফাইল উদ্দিন এ সবের প্রতিবাদ করলে তাকে প্রকাশ্যে হত্যার হুমকি ধমকি দিচ্ছে এ মাদক ব্যবসায়ী। এ ঘটনায় শেফাইল উদ্দিন থানায় সাধারণ ডায়েরী করে। ডায়রী নং-৩৭২ ।
    এ চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী খোকন প্রকাশ খোকইন্নাকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান স্থানীয়রা।

  • মধুপুরে  সাংবাদিক বাবুল রানাকে মারপিট থানায় অভিযোগ

    মধুপুরে সাংবাদিক বাবুল রানাকে মারপিট থানায় অভিযোগ

    আবদুল হামিদ।
    মধুপুর টাঙ্গাইল প্রতিনিধিঃ

    টাঙ্গাইলের মধুপুরের জলছত্র এলাকায় সাংবাদিক বাবুল রানাকে মারপিট করে আহত করার ঘটনায় মধুপুর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।জানা যায়, মঙ্গলবার( ৯ আগষ্ট) দুপুরে ডাক্তার দেখিয়ে সাংবাদিক বাবুল রানা ময়মনসিংহ থেকে ফেরার পথে জলছত্র ময়মনসিংহ রোড বন্ধ করে আনারস বিক্রি করতে আনা একটি অটো ভ্যান তার প্রাইভেট কারে লাগিয়ে দেয়।
    এঘটনার প্রতিবাদ করতে গেলে কয়েকজন লোক তাকে এলোপাতাড়ি ভাবে কিল-ঘুষি মারতে থাকে পরবর্তীতে তার গাড়ির ড্রাইভার তাকে উদ্ধার করতে গেলে তাকেও কিল-ঘুষি মারতে থাকে। পরে অরণখোলা পুলিশ ফাড়িতে খবর দিলে খবর পেয়ে পুলিশ এসে তাকে উদ্ধার করে। পুলিশ এলে তারা পালিয়ে যায়।
    জলছত্র আনারসের নিদিষ্ট বাজার থাকা সত্ত্বেও তারা টাঙ্গাইল ময়মনসিংহ সড়কে ভ্যান দিয়ে জরুরি রোগী সহ জনসাধারণের চলাচল বিঘ্নিত করছে। প্রতিবাদ করায় অনেক পথচারীকে প্রায় প্রতিদিনই তারা মারধর করছে বলেও জানা যায়। সাংবাদিক বাবুল রানা প্রেসক্লাব মধুপুরের সাধারন সম্পাদক।
    এঘটনায় প্রেসক্লাব মধুপুরের সভাপতি আঃ হামিদ সহ সকল সাংবাদিকগন এই ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে ঘটনার সহিত জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবী জানিয়েছেন। সন্ধায় মধুপুর থানার ওসি মাজহারুল আমিন এর সহিত সাক্ষাত করলে সাংবাদিকদের জানান, লিখিত অভিযোগ পেয়েছি এ ঘটনার সহিত জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হবে।

  • বাহুবলে প্রাইভেট কার চাপায় বৃদ্ধা নিহত

    বাহুবলে প্রাইভেট কার চাপায় বৃদ্ধা নিহত

    হবিগঞ্জ প্রতিনিধি।। হবিগঞ্জের বাহুবলে প্রাইভেট কার চাপায় নেছা খাতুন নামের এক বৃদ্ধা নিহত হয়েছেন। বুধবার ১১ আগস্ট দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে উপজেলার মিরপুর-শ্রীমঙ্গল সড়কের বিহারীপুর ফার্ম গেইট নামক স্থানে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় স্থানীয় লোকজন ধাওয়া করে প্রাইভেট কারটি আটক করলেও চালক পালিয়ে যায়।

    জানা যায়, বাহুবল উপজেলার বিহারীপুর গ্রামের মৃত আজগর আলীর স্ত্রী নেছা খাতুন মিরপুরে ডাক্তারের কাছে যেতে ফার্ম গেইট নামক স্থানে রাস্তার পাশে গাড়ির জন্য অপেক্ষা করছিলেন। এসময় হঠাৎ শ্রীমঙ্গল থেকে নরসিংদীগামী (ঢাকামেট্রো-গ-৩১-৪৬৮১) একটি প্রাইভেট কার ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয় এবং চাকার সাথে করে অন্তত পক্ষে তিনশ মিটার পর্যন্ত নিয়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই ওই নারীর মৃত্যু হয়।

    এ সময় লোকজন ধাওয়া করে প্রাইভেট কারটি মিরপুরে আটক করতে সক্ষম হয়। তবে চালক পালিয়ে যায়। এছাড়া কিছু সময় সড়কে যানবাহন চলাচল ব্যাহত হয়।

    খবর পেয়ে কামাইছড়া পুলিশ ও লসনা হাইওয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে। লসনা হাইওয়ে থানার এএসআই রাকিব বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

  • সুন্দরগঞ্জে সরকারি দলের বাঁধারমুখে জাতীয় পার্টির বিক্ষোভ পন্ড

    সুন্দরগঞ্জে সরকারি দলের বাঁধারমুখে জাতীয় পার্টির বিক্ষোভ পন্ড

    গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধিঃ
    জ্বালানি তেল ও সারসহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন উর্দ্ধগতির প্রতিবাদে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে ছাত্রলীগ ও যুবলীগ বাঁধা দেওয়ায় জাতীয় পার্টির বিক্ষোভ মিছিল পন্ড হয়েছে।
    বুধবার সকালে জাপা ও তার অঙ্গ সংগঠনের আয়োজনে উপজেলা জাতীয় পার্টির কার্যালয়ের সামন থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হওয়ার প্রস্তুতি নেয়। এসময় রাস্তায় পা রাখা মাত্রই সরকারি দলের ছাত্রলীগ ও যুবলীগ যৌথভাবে বাঁধা দিলে বিক্ষোভ মিছিলটি সেখানেই পণ্ড হয়ে যায়। পরে এনিয়ে হাতাহাতি শুরু হলে পুলিশ এসে উভয়পক্ষকে ছাড়িয়ে দেয়।
    এব্যাপারে উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ন আহবায়ক রতন মিয়া বলেন,সারা বিশ্বের দ্রব‍্যমূল‍্যের উর্দ্ধগতি বাংলাদেশও এর বাইরে নয়,জাতীয় পার্টি বিক্ষোভ সমাবেশের আগেই প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে কটুক্তি করে এবং সুন্দরগঞ্জের সাধারণ মানুষের মনে যেন বিভ্রান্তির সৃষ্টি না হয় সেজন্য তাদের বিক্ষোভে বাঁধা দেওয়া হয়।

    এঘটনায় জাপার দহবন্দ ইউনিয়ন সভাপতি মুন্সী আমিনুল ইসলাম সাজু বলেন, আমরা পার্টি অফিসে আলোচনা সভা করে প্রথমে ফটোসেশনের জন্য রাস্তায় দাঁড়ানোর সাথে সাথে আওয়ামী লীগের ছেলেরা এসে বাঁধা দেয়। একারণে আমরা আর বিক্ষোভ করিনি। পৌর জাতীয় পার্টির সভাপতি ও পৌর মেয়র আব্দুর রশিদ সরকার ডাবলু বলেন, ওনারা কিছু করে যদি মজা পায় পাউক। তবে তেমন কিছু ঘটেনি।
    এবিষয়ে সুন্দরগঞ্জ থানার তদন্ত ওসি এমএ আজিজ জানান,জাতীয় পার্টির বিক্ষোভ সমাবেশে ছাত্রলীগের কর্মীদের মধ্যে একটা গন্ডগোলের সম্ভবনা ছিল এরকম উদ্ভট পরিস্থিতিতে পুলিশ দু’পক্ষকে সরিয়ে দেয়। তবে কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।

  • পানছড়িতে মহাশ্মশান কমিটির উদ্যোগে জমজমাট মনসা পুঁতির আসর

    পানছড়িতে মহাশ্মশান কমিটির উদ্যোগে জমজমাট মনসা পুঁতির আসর

    মিঠুন সাহা,খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি

    খাগড়াছড়ির পানছড়িতে মনসাপূজা উপলক্ষে বিভিন্ন এলাকা থেকে এসে বাড়ির উঠানে দলবেঁধে বসে মনসার পুঁথি পাঠ করছেন নারীরা।এই সময় বিভিন্ন গানের সুরের সঙ্গে একজন নারী পুঁথির কলি পাঠ করছেন এবং অন্য নারীরা তাতে ঠোঁট মিলিয়ে গেয়ে যাচ্ছেন।

    ১০ আগষ্ট (বুধবার) বেলা ৪টার সময় পানছড়ির মহাশ্মশান শিব মন্দির কমিটির উদ্যোগে শিব মন্দিরের উঠানে গ্রামীন নারীদের আবারও পুঁতি পাঠের এই আসরের দৃশ্য দেখা যায়।

    জাতি-বর্ণ নির্বিশেষে হিন্দু সম্প্রদায় দেবী মনসার পূজা আষাঢ়-শ্রাবণ মাসে পালন করে। বর্ষার প্রকোপে এ সময় সাপের বিচরণ বেড়ে যায়, তাই সাপ থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য ভক্তকূল দেবীর আশ্রয় প্রার্থনা করে। এছাড়া ধন-সম্পদ, সন্তান-সন্তুতির জন্য সর্পদেবীর ভক্ত তার দ্বারস্থ হয়। মনসা একজন লৌকিক দেবী। তবুও তার অসাধারণ জনপ্রিয়তার কারণে হিন্দু সমাজের সকল সম্প্রদায় তাকে দেবী হিসেবে মর্যাদা দেয়। মনসার পূজা উপলক্ষে খাগড়াছড়ির পানছড়ি উপজেলার গ্রামীণ নারীরা শ্রাবণ মাসের প্রথম দিন থেকে শেষ দিন পর্যন্ত বাড়ি বাড়ি ঘুরে মনসার পুঁথি পাঠ করেন। পুঁথিপাঠের আসরের এ আয়োজন চলে আসছে কয়েক যুগ ধরে। সংসারের কাজকর্ম সেরে বেলা তিনটা থেকে পুঁথিপাঠে অংশ নেন নারীরা।

    গীতা কর্মকার (৫০) বলেন,আমরা অনেক বছর যাবত মনসার পূজা উপলক্ষে পুঁথি পাঠ করি। আমি ছোট বয়স থেকে মা মাসিদের সঙ্গে পুঁথিপাঠের আসরে যেতাম। এখন গ্রামের বউ–ঝিদের সঙ্গে পালা করে গ্রামের বাড়ি বাড়ি গিয়ে পুঁথি পাঠ করি।’

    পানছড়ি মহাশ্মশান কমিটির সভাপতি পূর্ণ আশ্চর্য ও সাধারণ সম্পাদক প্রহ্লাদ সাহা বলেন, মনসার পুঁথিপাঠের বিষয়টি শুধুই ধর্মীয় আনুষ্ঠানিকতা নয়, এটি একই সঙ্গে সংস্কৃতির অংশ। মনসার কাহিনি নিয়ে কালজয়ী সাহিত্য রচিত হয়েছে। তবে অঞ্চলভেদে পুঁথি ও তার পঠনরীতি আলাদা। শ্রাবণ মাসের প্রথম দিন থেকে এই পুঁথিপাঠ আরম্ভ হয়, চলে মাসব্যাপী।

    পালাগান, কবিগান ও পুঁথিপাঠের আসর মানুষের মাঝে দারুণ প্রভাব ফেলে। অসাম্প্রদায়িক চেতনার বিকাশে গ্রামীণ ও লোকজ সংস্কৃতির এ ধরনের অনুষ্ঠানে নানা বর্ণের মানুষের ভিড় থাকত চোখে পড়ার মতো। একসময় গ্রামেগঞ্জে প্রতিনিয়ত এসব অনুষ্ঠান হলেও কালের বিবর্তনে তা হারিয়ে যাচ্ছে।