Category: দেশজুড়ে

  • জয়পুুরহাটে চুরি হওয়ার কয়েক ঘন্টার মধ্যে চোর চক্রের চারজন আটকসহ ২৪ টি মোবাইল ফোন উদ্ধার

    জয়পুুরহাটে চুরি হওয়ার কয়েক ঘন্টার মধ্যে চোর চক্রের চারজন আটকসহ ২৪ টি মোবাইল ফোন উদ্ধার

    স্টাফ রিপোর্টারঃ- নিরেন দাস

    জয়পুরহাট জেলা শহরের কেন্দ্রীয় মসজিদ মার্কেটের একটি মোবাইলের দোকানে চুরির ঘটনায় ৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় তাদের কাছ থেকে ২৪ টি স্মার্টফোন উদ্ধার করা হয়েছে।

    গত বৃহস্পতিবার (১১ আগস্ট) দুপুর ১২ টার দিকে প্রেস ব্রিফ্রিং করে জয়পুরহাট সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) একেএম আলমগীর জাহান এসব তথ্য জানান।

    এর আগে গতকাল বুধবার সকালে কেন্দ্রীয় মসজিদ মার্কেটের লাবীব টেলিকম নামের একটি মোবাইলের দোকানে চুরির ঘটনা ঘটে। এতে নগদ ২ লাখ ৩২ হাজার টাকা ও ৮৪ টি স্মার্টফোন চুরি হয়েছে বলে থানায় মামলা করেছেন দোকানটির মালিক রুহুল আমিন।

    আটককৃতরা হলেন, কুমিল্লার হোমনা থানার চান্দেরচর গ্রামের মৃত মনির ভূঁইয়া মো. মিজান (২২), একই জেলার মুরাদনগর উপজেলার যাত্রাপুর গ্রামের মৃত জাহাঙ্গীরের ছেলে মো. শুকুর (২২), চট্টগ্রামের হালিশহর থানার কেতুয়া মসজিদ রামপুরা এলাকার মৃত রফিকুল ইসলামের ছেলে মো. সজিব (২৮) ও কুমিল্লার মুরাদনগরের দড়িকান্দি গ্রামের আঃ সাত্তারের ছেলে মো. আদিস (২২)।

    দোকান মালিক-কর্মচারী ও পুলিশ জানিয়েছে, মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮ টায় দোকান বন্ধ করা হয়। পর দিন বুধবার সকাল সাড়ে ৯টায় কর্মচারীরা দোকান খুলতে গিয়ে দেখেন, দোকান ঘরের উত্তর দিকের সার্টারের দরজায় নতুন একটি তালা দেওয়া আছে। কর্মচারীরা পশ্চিম দিকের সার্টারের দরজা খুলে দোকান ঘরের ভেতরে মালামাল এলোমেলো অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখতে পায়। এ সময় তারা দেখেন দোকানে একটি স্মার্ট ফোনও নেই। ক্যাশে টাকাও নেই। পরে পুলিশকে ঘটনাটি জানানো হয়। পুলিশ এসে দোকান পরির্দশন করেন।

    এদিকে বুধবার সকাল ৯ টায় জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের নিয়মিত অভিযান পরিচালনার সময় জয়পুরহাট-মেকামতলা আঞ্চলিক মহাসড়কের কালাই উপজেলায় ২৪ টি স্মার্ট ফোনসহ ৪ জন ব্যক্তিকে আটক করে। পরে আটকদের জয়পুরহাট থানায় হস্তান্তর করা হয়।

    জয়পুুরহাট সদর থানার (ওসি) একেএম আলমগীর সাংবাদিকদের জানান, চোর চক্ররা নির্দিষ্ট কোনো এলাকায় বসবাস করেন না। তারা বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে বস্তি এবং ক্রাইম জোন এলাকা বেছে নিয়ে ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করেন। এরপর বড় ধরনের ডাকাতি কিংবা চুরি করে পালিয়ে যান। জয়পুরহাটে তিনমাস আগে এসে চুরির পরিকল্পনা করে তারা।

    ওসি আরও তিনি বলেন, চুরির ঘটনায় দোকান মালিক রুহুল আমিন বাদী হয়ে থানায় মামলা করেছেন। চোর চক্রের ৪ জন আটক আছে এবং ২৪ টি ফোন উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনার সাথে জড়িতদের আটকের জন্য পুলিশি তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে।

  • স্কুল ফাঁ‌কি দেয়ার অ‌ভিযোগ

    স্কুল ফাঁ‌কি দেয়ার অ‌ভিযোগ

    মো; বাবুল হোসেন পঞ্চগড়ঃ
    বোদা উপজেলার শহীদ মুক্তিযোদ্ধা প্রেমহরি সরকা‌রি প্রা‌থ‌মিক বিদ‌্যাল‌য়ের সহকারী শিক্ষ‌িকা মোছা.শামীমা নাহরীনের বিরু‌দ্ধে স্কুল ফাঁ‌কি দেয়ার অ‌ভিযোগ উ‌ঠেছে।
    মাসে দুই থেকে চার দিন স্কুল আসে দুই-একটি ক্লাস নিয়ে হাজিরা খাতায় সাক্ষর করে চলে যান তিনি। বিষয়টি প্রধান শিক্ষক থেকে শিক্ষা অফিসার সবাই জানলেও প্রভাবশালী হওয়ায় কেউ কোন আইনি পদক্ষেপ নেয়নি।
    উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মাসুদ হাসান বলছেন, অনুপস্থিতির বিষয়ে জানা নাই। যে ছুটি নিয়েছে সেটা অর্জিত,মেডিকেল ছুটির বিষয়ে গত মাসে যে ছুটি চেয়েছেন আমরা সেটা জেলা শিক্ষা অফিসারের মাধ্যমে সিভিল সার্জনের কাছে আবেদন কবর মেডিকেল বোর্ড বসানোর।তারা সিদ্ধান্ত নিবেন তিনি অসুস্থ কি-না।
    শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও স্থানীয়রা জানান, মাসে দুই থেকে একবার স্কুলে আসে ক্লাস নিয়ে সাক্ষর করে চলে যান। মাসের পর মাস স্কুল ফাঁকি ও ছুটিতে বিপাকে অন্য শিক্ষকরা। অভিযোগ রয়েছে প্রভাবশালী হওয়ায় স্কুল ফাঁকি দেন তিনি।নামের জন্যই চাকুরী ধরে রেখেছেন দাবী তাদের।
    জানা গেছে, ২০১৬ সালের ২৯ জুন নিয়োগ পেয়ে যোগদান করে পঞ্চগড় সদর উপজেলার বালিয়াডাঙ্গী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৩০ মার্চ ২০১৮ পর্যন্ত কর্মরত ছিলেন। সেখানে তিনি সরকারি ছুটি বাদে নৈমিত্তিক ছুটি নিয়েছেন ১৫ দিন, দুই দফায় মেডিকেল ছুটি নিয়েছেন ৬ মাস কিন্তু ছুটি কাটিয়েছেন ৭ মাস ৭ দিন,এবং স্কুলে অনুপস্থিত ছিলেন ৩৩ দিন।
    পরে বদলি হয়ে একই উপজেলার মালিপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৩১ মার্চ ২০১৮ থেকে ১৯ জানুয়ারী ২০১৯ পর্যন্ত কর্মরত ছিলেন। সেখানে সরকরি ছুটি বাদে ২০ দিন মেডিকেল ও নৈমিত্তিক ১৭ দিন ছুটি নিয়েছেন।
    ২২ জানুয়ারী ২০১৯ থেকে এখন পর্যন্ত তিনি বোদা উপজেলার বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ প্রেমহরি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কর্মরত। সেখানে দেড় বছর করোনাকালীন ছুটি ও সরকারি ছুটি বাদে ৯ বার মেডিকেল ও নৈমিত্তিক ছুটিতে ৬ মাস কাটিয়েছেন,
    চাকুরীতে যোগদানের পর থেকে এ পর্যন্ত ৬ বছর ১ মাসের মধ্যে দেড় বছর করোনাকালীন ছুটি, সরকারি ছুটি বাদে মেডিকেল ছুটি ৩৮৮,নৈমিত্তিক ৬৭ এবং অনুপস্থিত ছিলেন ৩৪ দিন।
    ব্যাক পেইনসহ বিভিন্ন সমস্যার কারণে মেডিকেল ছুটি নিয়েছেন বলে জানান, অভিযুক্ত সহকারী শিক্ষিকা মোছা.শামীমা নাহরীন।তবে অনুপস্থিতির বিষয়ে জানতে চাইলে মুঠোফোনে ফোন কেটে দেন।
    পরে বার বার ফোন করেও ধরেননি তিনি।
    স্কুলের প্রধান শিক্ষক সুদেব চন্দ্র রায় জানান,
    গ ত বছর গুলোতে সমস্যা ছিল তবে এবছর ছুটি বা কোন অনিয়ম করেনি এবং আমিও কোন ছাড় দেইনি।
    জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো.শহীদুল ইসলাম জানান, মেডিকেল ছুটি ডাক্তারের পরামর্শ পত্রসহ আবেদন করবে।কর্তৃপক্ষের সন্দেহ হলে মেডিকেল বোর্ডে পাঠানো হবে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য।বার বার মেডিকেল ছুটি নেয়ার বিষয়ে তিনি বিষয়টা ভালো লক্ষ্মণ না বলে উল্লেখ করেন। ৬ বছরে ১২ বার মেডিকেল ছুটির বিষয়টি দেখতে চেয়েছেন বলে আশ্বাস দেন তিনি।

  • পঞ্চগড়ে পেট্রোল পাম্পে ওজনে কারচুপি জরিমানা আদায়

    পঞ্চগড়ে পেট্রোল পাম্পে ওজনে কারচুপি জরিমানা আদায়

    মোঃ বাবুল হোসেন পঞ্চগড় ঃ
    পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার ময়দানদিঘী এলাকায় সমবায় সমিতি মোটর শ্রমিক ফিলিং স্টেশনকে ৩৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ আগস্ট) দুপুরে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের সহকারি পরিচালক এ জরিমানা করেন।

    জানা যায়, পেট্রোল ও অকটেন মাপে কম দেওয়ার দায়ে এ জরিমানা করা হয়। পরবর্তীতে মেশিন ঠিক করে তেল বিক্রির জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের সহকারী পরিচালক পরেশ চন্দ্র বর্মন জানান, ওজনে কারচুপির দায়ে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনের ৪৮ ধারা অনুযায়ী এ জরিমানা করা হয়।

  • অপসাংবাদিকতা বন্ধ করতে প্রকাশক ও সম্পাদকসহ প্রকৃত সাংবাদিকদের সহযোগিতা দরকার

    অপসাংবাদিকতা বন্ধ করতে প্রকাশক ও সম্পাদকসহ প্রকৃত সাংবাদিকদের সহযোগিতা দরকার

    হেলাল শেখঃ সারাদেশে অপসাংবাদিকতা বন্ধ করতে হলে প্রকাশক ও সম্পাদকসহ প্রকৃত সাংবাদিকদের সহযোগিতা দরকার এবং সরকার চাইলে অপসাংবাদিকদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে পারে। দেশে একের পর এক প্রকৃত সাংবাদিকদের উপর নৃশংস হামলা-মামলা, হত্যার ঘটনা ঘটছে, এসব ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন সাংবাদিক নেতারা। সাংবাদিকরা হচ্ছে দেশ ও জাতির বিবেক। প্রকৃত সাংবাদিকরা কোনো চোর ডাকাত নয় যে, তাদেরকে আটক করে চুড়ি পড়াতে হবে। কেন সাংবাদিকদের ষড়যন্ত্রের শিকার হতে হয়। সাংবাদিক নিখোঁজ গুম ও হত্যাকারীদেরকে গ্রেফতার করাসহ সঠিক বিচার চায় সাংবাদিক নেতারা।
    আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সাংবাদিক সংস্থা’র ঢাকা বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ সাইফুল ইসলাম জয় (হেলাল শেখ) বলেন, সাংবাদিকরা ঐক্যবদ্ধ না থাকার কারণে অনেকেই ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে হামলা-মামলায় জড়িত হয়ে থাকেন। সাংবাদিকদের উপর নৃশংস হামলা-মামলা, হত্যার হুমকি’র বিরুদ্ধে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। সেই সাথে বলছি, শুধু কলম ক্যামেরা প্রদর্শন করলেই কেউ লেখক বা সাংবাদিক হওয়া যায় না। নিউজ লেখতে হবে এবং সংশ্লিষ্ট মিডিয়ায় সেই সংবাদ প্রকাশ করলেই তিনি সাংবাদিক দাবি করতে পারেন। নতুন সাংবাদিকদেরকে সাংবাদিকতার আদর্শলিপি বইসহ বেশি বেশি বই পড়তে হবে, লিখতে হবে, জানতে হবে এবং নিজে সচেতন হতে হবে, অন্যদেরকে সচেতন করতে প্রচারণা চালিয়ে যেতে হবে। তিনি আরও বলেন, সোর্স হয়ে কাজ করা আর সাংবাদিকতা একরকম নয়।
    বিশেষ করে যারা মানুষের ভালো কিছু করা দেখতে পারে না, দেশ ও জাতির বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালায়, তথ্যপ্রমানবিহীন মানুষের বদনাম ছড়ায়-সেই ষড়যন্ত্রকারীদের ধ্বংস নিশ্চিত। কলম সৈনিকরা কখনো কারো মিথ্যা সংবাদ লিখে প্রকাশ করে না। যারা কলম হাতে নিয়ে মিথ্যা কোনকিছু লিখে তা প্রচার করে, এটাকে অপপ্রচার বলা হয়। এই প্রকৃতির অমানুষগুলো দেশ ও জাতির শক্র। দেশের ভেতরে যারা দেশ ও জাতিকে নিয়ে ষড়যন্ত্র করছে তাদেরকে আটক করে আইনের আওতায় আনা হোক বলে অভিমত প্রকাশ করেন অনেকেই। প্রকৃত সাংবাদিকদের নিয়ে একটি মহল গভীর ষড়যন্ত্র করছে। গণমাধ্যমে কাজ করতে হলে পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সাথে বন্ধুত্ব সম্পর্ক রাখতে হবে। নতুন সাংবাদিকদের সাংবাদিকতার আদর্শলিপি বই পড়া প্রয়োজন, প্রকৃত সাংবাদিকতা করলে তা দেশ ও জাতির জন্য মঙ্গল। সাংবাদিকরা ঐক্যবদ্ধ না থাকার কারণেই আজ তারা বিভিন্ন হামলা মামলার শিকার হচ্ছেন। সাংবাদিকতা একটি মহান পেশা, সাংবাদিক শব্দ সহজ হলেও এই পেশা সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ, আবার সম্মানজনক বলা হয়। দেশ ও জাতির কল্যাণে কাজ করলেও কেউ সাংবাদিকদের কল্যাণে কাজ করেন না, এটা জাতির জন্য লজ্জাজনক।
    সাংবাদিকরা ৩৬৫ দিনে এক বছর কিন্তু সাংবাদিকদের জীবনে কোনদিন ছুটি নেই। ৩৬৪ দিন একজনের পক্ষে সংবাদ প্রকাশ করবে এতে তার লোক বলা হয়, আর ১দিন যদি ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে কোনো সংবাবাদ প্রকাশ হয় তখন সাংবাদিক জাতির বিবেককে গালি দিয়ে বলা হয় সাংবাদিকরা খারাপ, এটা কোন ধর্ম আর কোন বিচার?। অনেকেই নিজেদেরকে বড় মনে করেন, নিজেদের স্বার্থের জন্য শক্রতা সৃষ্টি করেন আর একজন অন্যজনের ক্ষয়ক্ষতি করার চেষ্টায় ব্যস্ত থাকেন এটা আমাদের ভুল হচ্ছে। সবাই ঐক্যবদ্ধ ও সমন্বয় করে কাজ করার মধ্যে আনন্দ আছে। আমাদের লেখার মধ্যেও অনেক ভুল হয়। এই জন্য সাংবাদিকদের সাংবাদিকতার আদর্শলিপি পড়া দরকার। বিশেষ করে “কলম সৈনিক অর্থাৎ সাংবাদিক দেশ ও জাতির বিবেক, ঝুঁকিপূর্ণ জেনেও সাংবাদিকরা পেশাগত দায়িত্ব পালন করেন,বিশেষ সম্মান অর্জন করার জন্য কিন্তু সম্মান অর্জন না হয়ে আরও বদনাম হচ্ছে। শুধুমাত্র মানুষের সুখ, দুঃখ, আনন্দ বেদনা, দুর্ঘটনাসহ সকল বিষয়ে জাতির কাছে তুলে ধরতে সাংবাদিকরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করেন। পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় সাংবাদিকদের অবশ্যই চোখ কান খোলা রেখে কাজ করতে হবে।
    সাংবাদিকরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পেশাগত দায়িত্ব পালন করেও কারো মনজয় করতে পারেন না কেন? ছোট একটি ভুল করলেই সাংবাদিকদের উপর হামলা, মামলা করা হয়, এমনকি হত্যার শিকার হতে হয়। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সবাইকে বলা হয় সাংবাদিকদের সহযোগিতা করবেন, কিন্তু তার উল্টো দেখা যায়, পুলিশ সাংবাদিক কি কখনো বন্ধু হতে পেরেছেন? কেউ কি খবর নিয়েছেন যে, সাংবাদিকরা কেমন আছেন? কোনো সহযোগিতা লাগবে কি না?। সাংবাদিকরাই আজকাল মানবেতর জীবনযাপন করছেন। জনগণের কল্যাণে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পেশাগত দায়িত্ব পালন করে থাকেন সাংবাদিকরা, এর বিনিময়ে কি পাচ্ছেন তারা? নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন অনেক সাংবাদিক, হয়রানিমূলক মামলার শিকার হচ্ছেন অনেকেই, যার কোনো হিসাব নেই।
    বাংলাদেশে প্রায় ১৮কোটি জনগণ, সেই তুলনায় আইনশৃঙ্খা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য ও সাংবাদিকের সংখ্যা অনেক কম। ধন্যবাদ জানাই তাদেরকে যারা মানুষের কল্যাণে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করছেন। “পুলিশ, সাংবাদিক” আইনজীবি ও জনপ্রতিধিগণ, এই চারটি শব্দের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ হলো “কলম সৈনিক অর্থাৎ সাংবাদিক”। বিশেষ করে সাংবাদিকতার আদর্শলিপি’র বেশিরভাগ শব্দ আছে যা সাংবাদিকদের জন্য জানা অতি জরুরি-যেমনঃ সংবাদের উৎসহের মত সংবাদের উপাদান কি? মানুষ এবং প্রকৃতি, মানুষের আশা-আকাঙ্খা, আনন্দ, বেদনা, সুখ-দুঃখ, সমস্যা ও সম্ভাবনাই সংবাদের মূল প্রতিপাদ্য। এর সাথে সম্পৃক্ত সকল বিষয়ই সংবাদের উপাদান। যেমনঃ কুকুর যদি মানুষকে কামড়ায় তা কোনো সংবাদ নয়, আর মানুষ যদি কুকুরকে কামড়ায় বা অপ্রত্যাশিত কিছু অপকর্ম করে তা সংবাদ হয়। নিয়মের ব্যতিক্রম ঘটনা, অন্যায় অবিচার, যা মানুষের অধিকারকে হরণ করে, এরকম অনেক বিষয়কে সংবাদ বলা যেতে পারে। সাংবাদিক সবাইকে তথ্য জানার অধিকার আছে, তবে কারো সাথে বিবাদ বা শক্রতা করে সাংবাদিকতায় সাফল্য আসতে পারে না। সাংবাদিকরা সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে, এতে স্বাধীনভাবে সাংবাদিকতা করা সহজ হবে বলে অনেকেরই অভিমত।
    সাংবাদিককে সাংবাদিকতার আদর্শলিপি পড়তে হবে, সেই সাথে সর্বশেষ সংশোধনীসহ তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইন ম্যানুয়েল বই এবং ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের বইসহ বেশি বেশি বই পড়তে হবে। অনেকেই জানেন না যে, ১/ সাংবাদিক মানে জাতির বিবেক। ২/ সাংবাদিক মানে দেশ প্রেমিক। ৩/ সাংবাদিক মানে কলম সৈনিক। ৪/ সাংবাদিক মানে জাতির দর্পণ। ৫/সাংবাদিক মানে জাতির সেবক। ৬/সাংবাদিক মানে শিক্ষিত জাতি। ৭/সাংবাদিক মানে স্বাধীনভাবে কাজ করা। ৮/সাংবাদিক মানে সম্মানিত জাতি। ৯/ সাংবাদিক মানে তদন্তকারী। ১০/ সাংবাদিক মানে আইন বিষয়ে জানা। ১১/ সাংবাদিক মানে সিস্টেম পরিবর্তন করা। ১২/ সাংবাদিক মানে সকল তথ্য বিষয়ে জানা। তিনি আরও বলেন, ফেসবুকে আঙ্গল দিয়ে দুই লাইন লিখে পোস্ট করলেই সাংবাদিক হওয়া যায় না, বর্তমানে ফেসবুক লেখক ও সাংবাদিকরা কিছু নেতাদের ফেসবুক নেতায় পরিণত করেছে যা জাতির জন্য খুবই লজ্জাজনক।

  • ১২ কোটি টাকা ব্যায়ে  সড়কের নির্মান কাজে দুর্নীতি রাতের আধারে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছিল ব্লাক টপ

    ১২ কোটি টাকা ব্যায়ে সড়কের নির্মান কাজে দুর্নীতি রাতের আধারে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছিল ব্লাক টপ

    ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ
    দিনে খোড়া হচ্ছে সড়ক। রাস্তার উপরের কালো পাথর (ইষধপশঃড়ঢ়) রাখা হচ্ছে দুই পাশে। আর রাতের আধারে ট্রাকে করে তা সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে অন্য কোথাও। এভাবে রাস্তার ‘ব্লাক টপ’ ক’দিন ধরে সরিয়ে পর অবশেষে জনতার হাতে আটক হয় ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের ট্রাক ড্রাইভার। ঘটনাটি ঘটেছে ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডু উপজেলার লালন সড়কের নির্মান কাজে। নিয়ম অনুযায়ী উপরের ব্লাক টপ সড়কেই থাকার কথা। কর্তৃপক্ষ বলছেন, এগুলো সরিয়ে নেওয়া নিয়ম বহির্ভূত। সিডিউল অনুযায়ী এগুলো সড়কেই থাকার কথা। উপজেলা এলজিইডি দপ্তরের তথ্যমতে, শহরের দোয়েল চত্তর মোড় থেকে বাকচুয়া পর্যন্ত সড়কটির ১১.২৩০ কিলোমিটার পুনর্নির্মাণের জন্য ২০২০-২০২১ অর্থ বছরে ১২ কোটি ৪১ লাখ ৩৪ হাজার ১৮৮ টাকার টেন্ডার আহবান করা হয়। ইপিআইসি-কপোতাক্ষি জেভি নামে ঢাকার একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজটি পায়। কার্যাদেশ অনুযায়ী কাজ শুরু করার কথা একই বছরের ১২ আগষ্ট। আর নির্মাণ কাজ শেষের মেয়াদ ২০২৩ সালের ২ জানুয়ারি। কার্যাদেশের দীর্ঘ এক বছরেও কাজ শুরু না হওয়ায় সড়কটিতে জনসাধারণের ভোগান্তি নিয়ে বিভিন্ন্ পত্রপত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়। চলতি বছরের জুলাই মাসে শুরু করা হয় সড়কটির নির্মান কাজ। তবে চলছে ধীর গতিতে। এরই মধ্যে অভিযোগ উঠেছে নির্মাণ কাজে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের অনিয়ম নিয়ে। গত সোমবার (৮ আগষ্ট) গভীর রাতে নিয়ম বহির্ভূতভাবে সড়কের ওপরের কালো পাথর সরিয়ে নেওয়ার সময় বাধা দেয় স্থানীয় জনতা। তাঁরা দুই ট্রাক ড্রাইভারকে আটক করে খবর দেয় এলজিইডি কর্তৃপক্ষকে। পরে সেখানে পাঠানো হয় পুলিশ। প্রথমে তারা দুই ট্রাকচালককে আটক করলেও পরে তাদের ছেড়ে ওেয়া হয়। ঝিনাইদহ এলজিইডি কর্তৃপক্ষ বলছেন, উপরের ওই কালো পাথর সড়কের অংশ। সেগুলি সড়কেই ব্যবহার করার কথা। সরিয়ে নেওয়ার কোনো নিয়ম নেই। হরিণাকুন্ডু শহরের চাতাল মোড় এলাকার নৈশপ্রহরী মঈনুদ্দিন হোসেন বলেন, এক সপ্তাহ ধরে প্রতিদিন রাতের বেলা ট্রাকে করে এগুলো চুরি করে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে এই পাথর সড়কেই থাকবে এমন বিষয় জানতে পেরে স্থানীয় জনসাধারণ রাতে পাথরভর্তি দুটি ট্রাক আটক করে। ওই এলাকার ব্যবসায়ী লিটন বলেন, এই পাথর সড়কেই বালি ও খোয়ার সাথে মিশিয়ে পরে সড়কের নির্মাণ কাজে দেওয়ার কথা। কিন্তু ঠিকাদার সেটি না করে এগুলো সরিয়ে নিয়ে যায়। ফলে প্রথমেই নি¤œমানের কাজ করায় এলাকাবাসী প্রতিবাদ শুরু করেন। স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর বাবুল আক্তার বলেন, ওই দিন রাতে আমি ঘটনাস্থলে ছিলাম। অসৎ উদ্দেশ্যে রাতের আধারে পাথর সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। তাই সরিয়ে নিয়ে সড়কের অন্য খারাপ জায়গায় দিচ্ছি। উপজেলা প্রকৌশলী রাকিব হাসান বলেন, ঘটনাটি আমি রাতেই শুনেছি। সেখানে আমি অফিসের লোক পাঠিয়েছিলাম। মঙ্গলবার সকালে আমি নিজেও সরজমিনে সড়কটির নির্মাণ কাজ পরিদর্শন করে ওপরের কালো পাথর সরিয়ে নেওয়ার সত্যতা পেয়েছি। সিডিউল অনুযায়ী এই অংশ সরিয়ে নেওয়ার কোনো বিধান নেই। এগুলো সড়কের সম্পদ সড়কেই থাকবে। প্রথমে সড়কের ওপরের অংশ খুড়ে সেখানে সমান করে তারপর রোলার দিয়ে ম্যাকাডাম করতে হবে। সবশেষে কার্পেটিং হবে। এই অনিয়মের বিষয়ে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ইউএনও সুস্মিতা সাহা বলেন, রাতে ঘটনাটি জানার পর আমি কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি ব্যবস্থা নিতে। জনগুরত্বপূর্ণ এই সড়কের নির্মাণকাজে কোনো অনিয়ম সহ্য করা হবে না। এ বিষয়ে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের বক্তব্য জানতে সংশ্লিষ্ট কাউকে পাওয়া যায়নি।

    ঝিনাইদহ
    আতিকুর রহমান।

  • ঝিনাইদহ সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন সেলের সাফল্য চুরি হওয়া ২৮ মোবাইল উদ্ধার

    ঝিনাইদহ সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন সেলের সাফল্য চুরি হওয়া ২৮ মোবাইল উদ্ধার

    ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ
    ঝিনাইদহ পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন সেল ২৮টি চুরি হওয়া ও হারিয়ে যাওয়া মোবাইল ফোন উদ্ধার করেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার উদ্ধারকৃত এসব ফোন প্রকৃত মালিকদের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হয়। এ উপলক্ষ্যে ঝিনাইদহ পুলিশ সুপার অফিসে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ঝিনাইদহের পুলিশ সুপার ও সদ্য পদোন্নতিপ্রাপ্ত অতিরিক্ত ডিআইজ মুনতাসিরুল ইসলাম প্রধান অতিথি হিসেবে উদ্ধারকৃত ২৮টি ফোন মালিকদের কাছে হস্তান্তর করেন। এ সময় ঝিনাইদহ সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবুল বাশার, সাইবার ক্রাইম ইউনিটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবু রাসেলসহ সাইবার ক্রাইম ইউনিটের সদস্য বৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। মোবাইল ফোন বিতরণকালে পুলিশ সুপার মুনতাসিরুল ইসলাম বলেন, খুলনা রেঞ্জের ডিআইজি ডঃ খন্দকার মহিদ উদ্দিন, বিপিএম বার এর নির্দেশনায় ঝিনাইদহ জেলায় একটি সাইবার ক্রাইম ইউনিট গঠিত হয়। এই ইউনিট সাইবার অপরাধ দমনে সাইবার অপরাধ সম্পর্কিত বিভিন্ন কাজ করে থাকে। তারই অংশ হিসেবে জুলাই মাসে চুরি হওয়া ও হারিয়ে যাওয়া বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ২৮ টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করে, যার আনুমানিক মূল্য ছয় লাখ ত্রিশ হাজার টাকা।

  • পাইকগাছায় নির্মিত হচ্ছে তাবলীগ জামাতের মারকাজ মসজিদ

    পাইকগাছায় নির্মিত হচ্ছে তাবলীগ জামাতের মারকাজ মসজিদ

    পাইকগাছা (খুলনা) প্রতিনিধি।।
    খুলনা জেলার পাইকগাছা-কয়রা উপজেলার মধ্যবর্তী স্থানে নির্মিত হতে যাচ্ছে তাবলীগ জামাতের মারকাজ মসজিদ। ইতোমধ্যে মসজিদ নির্মাণের জন্য জমি ক্রয় করা হয়েছে। খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে মসজিদের কাজ শুরু করা হবে বলে মসজিদ কত্পক্ষ জানিয়েছে। উল্লেখ্য, মসজিদ টি হবে পাইকগাছায প্রথম নিজাম উদ্দীন মারকাজ মসজিদ। পাইকগাছা ও কয়রা উপজেলায় তাবলিগ জামাতের সদস্যদের সমবেত হওয়ার সুবিধার্থে দুই উপজেলার মধ্যবর্তী স্থানে মসজিদ নির্মাণের জন্য স্থান নির্ধারণ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে গত ৩ আগস্ট পাইকগাছা উপজেলার শিববাটী ব্রীজ পার হয়ে কয়রা অভিমুখে চকবগুড়া মৌজায় প্রধান সড়কের মাঝে প্রায় ১ একর জমি ক্রয় করা হয়েছে। উম্মে হাবিবা (রাঃ) মাদরাসার
    সহ-সভাপতি মুজিবর রহমান মল্লিক জানান, খুলনা ও পাইকগাছা-কয়রার ইউনিট থেকে সম্মিলিত প্রচেষ্টায় মসজিদটি নির্মাণ করা হচ্ছে। হাকিম শাহাদাৎ হুসাইন জানান, নিজাম উদ্দীন মারকাজ মসজিদ ভারতের দক্ষিণ দিল্লির পশ্চিমে নিজাম উদ্দীন অবস্থিত। এটি তাবলিগ জামাতের আলমী মারকাজ ও বৈশ্বিক কেন্দ্র স্থল। আমরা অনেকেই সেখানে গিয়েছি। সেখানকার অনুগত তাবলিগ জামাতের অংশ হিসেবে পাইকগাছা-কয়রার দু’উপজেলার জন্য শিববাটী ব্রিজ পার হয়েই অত্র মসজিদটি নির্মাণ করা হচ্ছে। মসজিদের নির্মাণ কাজ শেষ হলে অত্র এলাকার
    তাবলিগ সমাবেশ এখানে হবে। মসজিদ থেকে ইসলাম প্রচারের কাজ প্রচারিত হবে। দেশ-বিদেশ থেকে মানুষ ইসলাম শেখার জন্য অত্র মসজিদে আসবে।

  • পাইকগাছায় খড়িয়া নবারুণ মাধ্যঃ বিদ্যালয়ের সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন সমরেশ সরকার

    পাইকগাছায় খড়িয়া নবারুণ মাধ্যঃ বিদ্যালয়ের সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন সমরেশ সরকার

    পাইকগাছা(খুলনা) প্রতিনিধি।। পাইকগাছায় লস্কর ইউনিয়নের খড়িয়া নবারুণ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি নির্বাচিত হয়েছে সমরেশ সরকার। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস সুত্র জানান,কমিটি সংশ্লিষ্টদের ঐক্যমতের ভিত্তিতে তিনি সভাপতি নির্বাচিত হন। প্রিজাইডিং অফিসারের দায়িত্ব পালন করেন একাডেমীক সুপারভাইজার মীর নুরে আলম সিদ্দিকী। বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক দীপক চন্দ্র সরকার জানান, ম্যানেজিং কমিটি সংশ্লিষ্টরা হলেন,প্রতিষ্ঠাতা সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান সরদার দরির উদ্দীন,দাতা সদস্য গোপাল চন্দ্র সরকার,অভিভাবক সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন সমরেশ সরকার, ইউপি সদস্য পরমানন্দ সানা, রবীন্দ্রনাথ ঢালী, অমিয় মন্ডল, মহিলা সদস্য কাকলী মন্ডল,শিক্ষক প্রতিনিধি স্বপন কুমার হালদার,কিশোর কুমার রায় ও দিপালী মন্ডল।

    ইমদাদুল হক,
    পাইকগাছা,খুলনা।

  • রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে প্রতি কেজি কাঁচা মরিচের মূল্য ডাবল সেঞ্চুরি  পার

    রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে প্রতি কেজি কাঁচা মরিচের মূল্য ডাবল সেঞ্চুরি পার

    রাজশাহী থেকে মোঃ হায়দার আলী।।রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে কাঁচা মরিচের সাথে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে প্রতিটি পণ্যের দাম। সঙ্কটের অজুহাতে বাজারে হু হু করে বাড়ছে কাঁচা মরিচের দাম। কয়েক দিনের ব্যবধানে দাম বাড়ানো হয়েছে কেজি প্রতি ২০০ থেকে ২৪০ টাকা।

    রাজশাহীর পাইকারি বাজারে একপাল্লা কাঁচা মরিচদদদ ১ হাজার ১০০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর খুচরা বাজারে প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে প্রায় ২২০ টাকা থেকে ২৪৫ টাকা।

    এদিকে সবজি বাজারেও প্রায় সব নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়ছে আকাশছোঁয়া গতিতে। ডলারের দর বৃদ্ধি ও রিজার্ভ সাশ্রয়ে আমদানি নিরুৎসাহিত করায় সব ধরনের আমদানি পণ্যের দাম বেড়েছে। জালানী তেলের মূল্য হঠাৎ করে বৃদ্ধি পাওয়ায় সকল পুন্যের দাম বাড়ছে কয়েক গুন। এর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে দেশে উৎপাদিত পণ্যের দামও। করোনার পরবর্তী সময়ে এবং অর্থনৈতিক মন্দায় মানুষের আয় বাড়েনি। বরং অনেক ক্ষেত্রে কমেছে। এতে করে স্বল্প ও মধ্য আয়ের মানুষ চাহিদা অনুযায়ী পণ্য কিনতে পারছে না। এতে তাদের জীবনে নাভিশ্বাস উঠেছে।

    জানা যায়, হঠাৎ কাঁচা মরিচের সঙ্কট দেখা দিয়েছে। এ সঙ্কটকে পুঁজি করে কয়েক দিনের ব্যবধানে নিত্যপণ্যটির দাম বাড়ানো হয়েছে কেজিপ্রতি ৯০ টাকা থেকে ১০০ টাকা। কাঁচা মরিচের সঙ্কটে প্রভাব পড়েছে শুকনো মরিচেও। বাজারে দেশি শুকনা মরিচের কেজি ৩৫০-৪০০ টাকা এবং ভারতীয় মরিচ ৪২০-৪৬০ টাকা।
    আজ সকালে গোদাগাড়ীর বিভিন্ন কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা গেছে, খুচরা বাজারে কাঁচা মরিচ ২৪০-২৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। অথচ গত কয়েক দিন আগেও দাম ছিল ১৪০-১৫০ টাকা।
    আড়তদাররা জানান, চাহিদার তুলনায় সরবরাহ নেই বললেই চলে। আগে প্রতিদিন বিভিন্ন এলাকা থেকে কাঁচা মরিচ আসত।

    ফলে চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম থাকায় স্বাভাবিকভাবেই দাম বাড়ছে। বৃষ্টির কারণে উৎপাদন কম হওয়ায় কাঁচা মরিচ আসছে না। বাজারে যেসব মরিচ পাওয়া যাচ্ছে তা জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা। এ কারণে বেড়েছে পরিবহণ খরচ। তাই বেড়েছে মরিচের দাম। অতিবৃষ্টির কারণে কিছু এলাকায় কাঁচা মরিচের ক্ষেত নষ্ট হয়েছে। ফলে নিত্যপণ্যটির দাম বাড়ছেই।

    মোঃ হায়দার আলী
    রাজশাহী।

  • পটিয়ার রাজবল্লব দিঘীতে আকর্ষণীয় বড়শি পাশ

    পটিয়ার রাজবল্লব দিঘীতে আকর্ষণীয় বড়শি পাশ

    নিজস্ব প্রতিনিধিঃ আগামী ২৭ শে আগষ্ট ঐতিহ্যবাহী পটিয়ার শান্তিরহাট হতে ডানে বুধপুরা বাজার সংলগ্ন
    রাজবল্লব দিঘীতে আকর্ষণীয় বড়শি পাশ অনুষ্ঠিত হবে। আসন নির্ধারনী লটারির সময় ২৬ শে আগষ্ট শুক্রবার রাত ৪ ঘটিকায় অনুষ্ঠিত হবে। টিকেট মূল্যঃ ২৫০০০ টাকা।যোগাযোগের ঠিকানাঃ
    সেলিম রেজা,মোবাইল নাম্বারঃ ০১৮৮৬৩৭৩৭৬২ হালিশহর। মোহাম্মদ ইউচুপ মোবাইল নাম্বারঃ ০১৮৭২১৮৩৫০২ বহদ্দারহাট। আরিফুর রহমান সুমন মোবাইল নাম্বারঃ ০১৮১৮৯১৫৯৭৪ মুরাদপুর।
    মোহাম্মদ ফোরকান মোবাইল নাম্বারঃ ০১৮১৮২৩৮৩২৩ আগ্রাবাদ।এম ইদ্রিচ চৌধুরী অপু মোবাইল নাম্বারঃ ০১৬১৩৩২০০৪০ ABETS।