Category: দেশজুড়ে

  • নড়াইলে শারীরিক প্রতিবন্ধীকে হাতুড়ি পেটা চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু

    নড়াইলে শারীরিক প্রতিবন্ধীকে হাতুড়ি পেটা চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু

    উজ্জ্বল রায়, নড়াইল থেকে:

    নড়াইলে শারীরিক প্রতিবন্ধীকে হাতুড়িপেটায় গুরুতর আহত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়েছে। শনিবার (১৩ আগস্ট) রাতে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। এর আগে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ওই কিশোরকে হাতুড়ি পেটা করে প্রতিপক্ষের লোকজন। নিহতের নাম জুয়েল ভূঁইয়া (১৮) সে সদর উপজেলার বাঁশগ্রাম ইউনিয়নের কর্মচন্দ্রপুর গ্রামের পান্নু ভূঁইয়ার পূত্র।
    স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কর্মচন্দ্রপুর গ্রামে সিকদার ও ভূঁইয়া বংশের মধ্যে দীর্ঘদিন যাবত আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দ্বন্দ্ব চলছিলো। জুয়েল বাড়ির পার্শ্ববর্তী মাদ্রাসা বাজারে একটি দোকানে কর্মচারি হিসেবে কাজ করেন। উজ্জ্বল রায়, নড়াইল থেকে জানান, প্রতিদিনের মতো মঙ্গলবার (৯ আগস্ট) সকাল ৯টার দিকে বাড়ি থেকে ভ্যানযোগে দোকানে আসছিলেন। পথিমধ্যে বেদভিটা নামক স্থানে পৌছালে কর্মচন্দ্রপুর গ্রামের ইয়াসিন, ফিরোজ, হাফজসহ ৬ জন নিরীহ জুয়েলের পথ গতিরোধ করে হাতুড়ি দিয়ে মাথায়, বুকেসহ শরীরের বিভিন্ন জায়গায় গুরুতর যখম করে। পরে তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার সন্ধ্যায় মৃত্যু বরণ করেন জুয়েল। অভিযুক্তদের সাথে যোগাযোগ এর চেষ্টা করা হলেও পাওয়া যায়নি।
    এ ঘটনায় জুয়েলের চাচা মান্নান ভূঁইয়া বাদি হয়ে ঘটনার রাতেই সদর থানায় মামলা করেন। নড়াইল সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি (চলতি দায়িত্বে) মাহমুদুর রহমান নিহতরে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আমিসহ পুলিশ ঘটনাস্থলে রয়েছি। আসামীদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান চলছে।
    তিনি আরও বলেন, এ মামলার প্রধান আসামি কর্মচন্দ্রপুর গ্রামের ওসমান সিকদারের পূত্র আতিয়ার সিকদারকে ওই সময় গ্রেপ্তার করা হয়েছিলো।

  • কিংবদন্তি সাংবাদিক গোলাম সারওয়ারের ৪র্থ মৃত্যুবার্ষিকীতে দোয়া মোনাজাত

    কিংবদন্তি সাংবাদিক গোলাম সারওয়ারের ৪র্থ মৃত্যুবার্ষিকীতে দোয়া মোনাজাত

    আব্দুল আউয়াল
    বানারীপাড়া(বরিশাল)প্রতিনিধি:

    একুশে পদক প্রাপ্ত সমকাল ও যুগান্তরের প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক প্রয়াত গোলাম সারওয়ারের চতুর্থ মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বানারীপাড়ায় বিভিন্ন স্থানে দোয়া মোনাজাতের আয়োজন করা হয়। এ উপলক্ষে বানারীপাড়ার বেগম ফজিলাতুন্নেছা এতিমখানা ও বানারীপাড়া এতিমখানায় কোরানখানী ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। দোয়া মোনাজাত শেষে ওই দুই এতিমখানায় এতিমদের মাঝে দুপুরের খাবারের ব্যবস্থা করা হয়। বেগম ফজিলাতুন্নেছা এতিমখানায় মাওলানা আমজাদ হোসাইন ও বানারীপাড়া এতিমখানায় পরিচালক মাওলানা আব্দুস সালাম মোনাজাত পরিচালনা করেন। দোয়ায় অংশ নেন গোলাম সারওয়ারের মেঝ ভাই বানারীপাড়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি গোলাম সালেহ মঞ্জু মোল্লা, বানারীপাড়া এম এ লতিফ বহুমুখী আলিম মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা মাহামুদুল হাসান,আব্দুল বাসেত, হাফেজ রাকিব হোসেন, সমকাল প্রতিনিধি মো. নজরুল ইসলাম, মহসীন আকন নান্টু, গোলাম সারওয়ারের ভাতিজা গোলাম কিবরিয়া সৈকত, গোলাম মুক্তাদীর শাওন, সাংবাদিক আব্দুল আউয়াল, উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সম্পাদক মো. মেহেদী হাসান উজ্জল, মো, হারুন অর রশিদ, মো. মিন্টু প্রমুখ। রাতে বানারীপাড়া হাইস্কুল জামে মসজিদে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে। প্রসঙ্গত গোলাম সারওয়ার ১৩ আগস্ট ২০১৮ সালের এই দিনে ৭৫ বছর বয়সে সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন ।গোলাম সারওয়ার ষাটের দশকে সাংবাদিকতাকে পেশা হিসেবে গ্রহণ করেন। তখন থেকে টানা পাঁচ দশকের বেশি সময় তিনি এ পেশায় মেধা, যুক্তিবোধ, পেশাদারিত্ব, দায়িত্বশীলতা, অসাম্প্রদায়িক চিন্তা-চেতনার নিরবচ্ছিন্ন চর্চার মাধ্যমে নিজেকে এবং বাংলাদেশের সংবাদপত্রকে অনন্য উচ্চতায় প্রতিষ্ঠিত করেন। মরহুম গোলাম কুদ্দুস মোল্লা ও মরহুম সিতারা বেগমের জ্যেষ্ঠ সন্তান গোলাম সারওয়ার বাংলাদেশের মুক্তচিন্তা, প্রগতিশীল মূল্যবোধ আর মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষে আজীবন সোচ্চার ছিলেন।
    দেশের সাংবাদিকতায় প্রতিষ্ঠানতুল্য ব্যক্তিত্ব গোলাম সারওয়ার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগ থেকে স্নাতক সম্মানসহ এমএ ডিগ্রি অর্জন করেন। ঢাবিতে ছাত্র অবস্থায় ১৯৬২ সালে চট্টগ্রামের দৈনিক আজাদীর বিশ্ববিদ্যালয় সংবাদদাতা হিসেবে সাংবাদিকতা পেশায় তাঁর অভিষেক। একই বছর দৈনিক সংবাদের সহ-সম্পাদক হিসেবে যোগ দেন তিনি। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ পর্যন্ত সংবাদে কর্মরত ছিলেন। এরপর মহান মুক্তিযুদ্ধে যোগ দেন। মুক্তিযুদ্ধে তিনি নিজ এলাকা বরিশালের বানারীপাড়ায় সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন।মুক্তিযুদ্ধের পর কয়েক মাস বানারীপাড়া ইউনিয়ন ইনস্টিটিউশনে প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭২ সালে দৈনিক ইত্তেফাকে জ্যেষ্ঠ সহ-সম্পাদক হিসেবে যুক্ত হন। ১৯৯৯ সাল পর্যন্ত যথাক্রমে প্রধান সহ-সম্পাদক, যুগ্ম বার্তা সম্পাদক ও বার্তা সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। গোলাম সারওয়ার দৈনিক যুগান্তরেরও প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক।দেশের দৈনিক সংবাদপত্রগুলোর সম্পাদকদের প্রভাবশালী সংগঠন বাংলাদেশ সম্পাদক পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ছিলেন গোলাম সারওয়ার। মেধা, নিষ্ঠা ও দক্ষতায় উৎকর্ষের কারণে গোলাম সারওয়ারকে অনেকেই ‘সাংবাদিকদের শিক্ষক’ হিসেবে অভিহিত করেন। তিনি ছিলেন এ দেশের সংবাদপত্রে সাফল্য ও পেশাদারিত্বের প্রতীক।
    সৃজনশীল সাহিত্যেও ছিল তাঁর সাবলীল বিচরণ। তিনি ছিলেন একজন দক্ষ ছড়াকার। তাঁর লেখা বইয়ের মধ্যে রঙিন বেলুন, সম্পাদকের জবানবন্দি, অমিয় গরল, আমার যত কথা এবং স্বপ্ন বেঁচে থাক উল্লেখযোগ্য।

    সাংবাদিকতায় অনন্য ভূমিকার জন্য ২০১৪ সালে একুশে পদক, ২০১৬ সালে কালচারাল জার্নালিস্টস ফোরাম অব বাংলাদেশের (সিজেএফবি) আজীবন সম্মাননা ও ২০১৭ সালে আতাউস সামাদ স্মারক ট্রাস্ট আজীবন সম্মাননা লাভ করেন তিনি।

  • তেঁতুলিয়ায় বেক্সিমকো ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেড এর সুপারভাইজার কর্তৃক মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত

    তেঁতুলিয়ায় বেক্সিমকো ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেড এর সুপারভাইজার কর্তৃক মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত

    তেঁতুলিয়া (পঞ্চগড়) প্রতিনিধিঃ পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় বেক্সিমকো ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেড এর সুপারভাইজার কর্তৃক দায়ের করা মামলাকে ষড়যন্ত্রমূলক ও মিথ্যা মামলা দাবি করে সংবাদ সম্মেলন করেছে ভুক্তভোগী পরিবার ও এলাকার সংক্ষুব্দ সাধারণ মানুষ।

    শুক্রবার (১২ আগস্ট ২০২২) বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে উপজেলার দেবনগড় ইউনিয়নের বাংলাচন্ডি গ্রামের পাকা রাস্তার পশ্চিম পার্শ্বে জুয়েলের দোকানের সামনে সংবাদ সম্মেলন করে এই দাবি করেন তাঁরা। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষে মোছাঃ আরফিনা আক্তার।

    লিখিত বক্তব্যে তিনি অভিযোগ করেন, বেক্সিমকো ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেড এর সুপারভাইজার কর্তৃক তার পরিবারের উপর গত বৃহস্পিতিবার (২৮ জুলাই) তেঁতুলিয়া মডেল থানায় ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলা করা হয়েছে। এই মামলাটি সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন। মূলত কোম্পানির মিডিয়া গুলোর মাধ্যমে তার পরিবারের উপর হয়রানি ও সম্মানহানী এই ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন মামলাটি করেছেন। তিনি বলেন, সাবেক জেলা- জলপাইগুড়ি, পরবর্তীতে দিনাজপুর, হাল জেলা- পঞ্চগড় মধ্যে সাবেক পরগনা-বোদা, থানা- তেঁতুলিয়া, সাবেক তালুক ভজনপুর দেবনগড় মধ্যে জেএলনং-৩২ এর সি.এস ১১০ ও ১৬৪নং খতিয়ানের ষোল আনায় মালিক ছিলেন তার বড়আব্বা সদরতুল্ল্যা। পরবর্তীতে সদরতুল্ল্যা মারা যাওয়ার পর মালিক প্রাপ্ত হোন ছেলে মসির উদ্দিন। মসির উদ্দিন মালিকপ্রাপ্ত হওয়ার পর এই দুই খতিয়ানের ১২ দশমিক ১৩ একর জমি ষোল আনায় শান্তিপূর্ণভাবে ভোগদখল করাকালীন শিশু সন্তান গুলজারকে রেখে কঠিন রোগে আক্রান্ত হয়। এতে এস.এ রেকর্ড জরিপের সময় আজিম উদ্দিন, আকবর আলীসহ আরো কয়েকজন ব্যক্তি অসাধু রেকর্ড কর্মচারীর সহিত যোগসাজস করে কোনো প্রকার দলিলাদি ছাড়াই এস.এ ৫৫০ ও ৫৬০ নং খতিয়ানে অবৈধভাবে রেকর্ডভুক্ত হোন। এই দুই খতিয়ানের ষোল আনা সম্পত্তি পূর্বপুরুষ তো বটেই গুলজার হোসেন প্রায় ৫০/৬০ বছর যাবৎ শান্তিপূর্ণভাবে ভোগদখল করে আসছেন জানা যায়।
    এসময় ভুক্তভোগী পরিবারসহ গ্রামের প্রায় দেড় শতাধিক পুরুষ-মহিলা সাধারন মানুষ ও মুরুব্বিরা উপস্থিত ছিলেন।

    গ্রামবাসীর মধ্যে রেজিবুল ইসলাম, ওমিরুল ইসলাম, মাহাবুব আলম এরশাদসহ আরো অনেকে বলেন- গুলজার হোসেনের উপর যে মামলাটি করা হয়েছে এই মামলাটি সম্পূর্ণ ষড়যন্ত্রমূলক এবং মিথ্যা। গ্রামবাসী এই ষড়যন্ত্রমূলক ও মিথ্যা মামলার ভয়ে আতঙ্কে রয়েছেন। তাঁরা বলেন, কোম্পানির মিডিয়াদের সহযোগিতায় এই ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলাটি গুলজারের পরিবারের উপর করা হয়েছে। এতে গ্রামবাসী অনেকেই গুলজারের পরিবারের উপর এই মিথ্যা মামলা থেকে রেহাই দিতে পঞ্চগড় বিজ্ঞ আদালতকে দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন।

    মামলার আসামী মামুন বলেন, সি.এস ১১০ ও ১৬৪ এর এস.এ ৫৫০ ও ৫৬০ নং খতিয়ানের ষোল আনা জমাজমি তাদেরই ভোগদখলে আছেন। শান্তিতে ভোগদখলে থাকাকালীন এস.এ খতিয়ানে অবৈধভাবে রেকর্ড ভুক্ত ব্যক্তিগণ ইতোপূর্বে স্থানীয় গ্রাম আদালতে তার পিতা গুলজার হোসেনের নামে অভিযোগ করেন। পরে অভিযোগকারী ব্যক্তি রেকর্ড স্বত্তে¡র কোন কাগজপত্রাদি উপস্থাপন না করে দখলবিহীন জমাজমি বেক্সিমকো ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেড কোম্পানির নিকট বিক্রয় করেন। পরে কোম্পানি তাদের (মামুনের) ভোগদখলীয় জমাজমি বেদখল করার পাঁয়তারা শুরু করেন। এরই রেশ ধরে তাদের উপর ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানিতে রেখে জেলহাজতে পাঠিয়ে বিজ্ঞ সহকারী জজ আদালত, তেঁতুলিয়া পঞ্চগড়ের অস্থায়ী ও অন্তবর্তীকালীন নিষেধাজ্ঞার আদেশকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে দখলের পাঁয়তারায় লিপ্ত আছেন বলে জানিয়েছেন।

    এই মামলায় জেলহাজতে থাকা রেজিবুল ইসলামের স্ত্রী সবুরা বেগম বলেন, বেক্সিমকো ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেড কোম্পানি তাঁর শ্বশুরের পরিবারের উপর মিথ্যা মামলা দিয়েছেন। যেদিন কোম্পানির ঘটনা ঘটেন সেদিন তার ননদের বিয়ের দিন ছিলেন। কিছু ‘মামলা মিথ্যা হয়, তাই বলে যে এই মামলাটা এতই মিথ্যা’ বলতে তিনি বুঝিয়েছেন, ননদের নতুন বরকে এই মামলায় আসামী করেন বেক্সিমকো ইঞ্জিনিয়ারিং লিঃ এর সুপারভাইজার খাদেমুল ইসলাম। তিনি আরোও বলেন, কেউ নিজের বোনের বিয়ের দিনে এই ধরণের ঘটনা ঘটাতে পারেন না। মিডিয়াদের কারণে তার শ্বশুরের উপর এই মামলা করা হয়েছে।
    এ ব্যাপারে বেক্সিমকো ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেড এর সুপারভাইজার খাদেমুল ইসলামকে মুঠোফোনে ফোন দিয়ে ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে, এ বিষয়টি সাক্ষাতে বলতে হবে এবং উর্ধ্বতন কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে জানাবেন জানান। পরে তিনি ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্ত করতে বলেন, আপনি সঠিক তথ্য পাবেন। তিনি বলেন, কোম্পানি সঠিকের উপরে আছে, প্রয়োজন হলে কোম্পানিই করবে না।

  • আইনের ভেতর থেকেই সুনামগঞ্জ বাসীর সেবা করার চেষ্টা করেছি- বিদায়ী পুলিশ সুপার

    আইনের ভেতর থেকেই সুনামগঞ্জ বাসীর সেবা করার চেষ্টা করেছি- বিদায়ী পুলিশ সুপার

    সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি: সুনামগঞ্জের পুলিশ সুপার ও সদ্য পদোন্নতিপ্রাপ্ত অতিরিক্ত ডিআইজি মোঃ মিজানুর রহমান বিপিএম বলেছেন আমি দীর্ঘ তিন বছর সুনামগঞ্জে দায়িত্ব পালন করেছি এই সময়ে আইনের ভেতর থেকেই সুনামগঞ্জ বাসীর সেবা করার চেষ্টা করেছি। একজন সেবা প্রার্থী যেন সঠিক বিচার পান তার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করেছি। কতটুকু করতে পেরেছি তা সুনামগঞ্জ বাসীই ভাল জানেন।
    ১৩ আগষ্ট শনিবার রাত ৮ টায় সুনামগঞ্জ রিপোর্টার্স ইউনিটির উদ্যোগে সুনামগঞ্জ জেলার পুলিশ সুপার ও সদ্য পদোন্নতিপ্রাপ্ত অতিরিক্ত ডিআইজি মোঃ মিজানুর রহমান বিপিএম এর বদলী জনিত বিদায় সম্বর্ধনা অনুষ্ঠানে সম্বর্ধিত অতিথি’র বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সুনামগঞ্জ রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি লতিফুর রহমান রাজুর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক হিমাদ্রি শেখর ভদ্রের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জয়নাল আবেদীন, সুনামগঞ্জ রিপোর্টার্স ইউনিটির সহ সভাপতি সেলিম আহমদ তালুকদার, আল হেলাল,সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান পীর, এমরানুল হক চৌধুরী, মাসুম হেলাল, কর্ণ বাবু দাস প্রমুখ। পরে সম্বর্ধিত অতিথি’র হাতে সম্মাননা প্রদান করেন সুনামগঞ্জ রিপোর্টার্স ইউনিটির সদস্য গণ।

  • মধুপুরে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন

    মধুপুরে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন

    মধুপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি:

    টাঙ্গাইলের মধুপুরে ইয়ামাহা সেলস সেন্টারের সত্বাধিকারি মো.আইয়ূব আলীর (আরিফ) বিরুদ্ধে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (১৩ আগষ্ট) সকালে মধুপুর শহরের বাসস্টান্ড আনারস চত্বরে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে থ্রি হুইলার মাহিন্দ্রা গাড়ি চালকরা এ মানববন্ধন করেন।
    মানববন্ধনে অংশ গ্রহন কারিরা জানান,উপজেলার প্রায় ৩০ জন মাহিন্দ্র্রা চালকদের বিরুদ্ধে মিথ্যা চেক ডিজঅনারের মামলা দিয়ে হয়রানি করছেন আইয়ুব আলী(আরিফ)। চালকরা কেউ কেউ টাকা পরিশোধ করেছেন আবার কারো কিস্তি চলমান রয়েছে। এদের মধ্যে ৫/৭ জনের মাহিন্দ্রা গাড়ি আটকিয়ে দিয়েছেন ইয়ামাহা সেলস সেন্টারের
    স্বত্বাধিকারী আইয়ুব আলী আরিফ।
    কিস্তিতে নেয়া মাহিন্দ্রা গাড়ির মালিক মোছা.ফাহিমা ৪ লাখ ৪৮ হাজার ৫শ টাকার মধ্যে ৩ লাখ ৫৯ হাজার টাকা পরিশোধ করার পরও মাত্র ৯০ হাজার টাকার জন্য আইয়ুব আলী বাদী হয়ে আদালতে মামলা করেছেন। মামলায় ৪ লাখ ৪৮ হাজার ৫শ টাকার রায় হয়েছে।
    ফাহিমার স্বামী মাহিন্দ্রা চালক মো,শফিকুল ইসলাম জানান,৯০ হাজার টাকার মধ্যে প্রায় সাড়ে চার লাখ টাকা না দিতে পারায় পলাতক হয়ে মানবেতন জীবনযাপন করতে হচ্ছে।
    চালক মো.ইয়াসিন আলী জানান,৩ বছরের মাসিক কিস্তিতে টাকা পরিশোধ কারার কথা থাকলেও ২ বছরের মাথায় আমার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। আদালতের আদেশে ৩ লাখ ১০ হাজার টাকা হাই কোর্টের চালান ফরমের মাধ্যমে জমা দিয়েছি।
    মধুপুর ইয়ামাহা সেলস সেন্টারের সত্বাধিকারি মো.আইয়ূব আলীর (আরিফ) জানান,অভিযোগকারিরা ইয়ামাহা সেলস সেন্টারের থ্রি হুইলার মাহিন্দ্রা গাড়ির ক্রেতা। তারা সময়মত টাকা পরিশোধ না করায় তাদের বিরেুদ্ধে আইগত ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।

  • পটিয়ার খরনায় প্রতি পক্ষের হামলায় আহত ৪, গ্রেপ্তার ১

    পটিয়ার খরনায় প্রতি পক্ষের হামলায় আহত ৪, গ্রেপ্তার ১

    পটিয়া প্রতিনিধিঃ পটিয়ার খরনায় প্রতিপক্ষের হামলায় ৪ জন আহত হয়েছেন। আহতরা হলেন, রাসেল বিন তাহের (৩০), মোহাম্মদ ফয়সল বিন তাহের (২৫), তাকি তাজওয়ার তাসিন (১৯), মোহাম্মদ নাজিম উদ্দীন (৩০)। গত সোমবার রাত আটটার দিকে পটিয়ার খরনা ৫ নং ওয়ার্ড আনু মিয়া মেম্বারের বাড়ি সড়কে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় মো: আবু তাহের বাদী হয়ে ৮ জন নামীয় ও অজ্ঞাত নামা আরো ৮/১০ জনকে আসামী করে পটিয়া থানায় মামলা দায়ের করে। পুলিশ ওইদিন রাতেই অভিজান চালিয়ে মো আবু তৈয়ব (২২) এজাহার নামীয় এক আসামীকে গ্রেপ্তার করে। সে দক্ষিণ খরনা গ্রামের আশরাফ আলীর পুত্র। জানা গেছে, হাজী আবু তাহেরের মৌরশী ১৪৪ শতক জায়গা জোর পূর্বক লোকজন নিয়ে আসহাব মিয়া গং দখল করার চেষ্টা করে আসছে। এ ধারাবাহিকতায় গত ৮ আগস্ট আবু তাহেরের অসুস্থ স্ত্রীকে তার সন্তানরা হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা শেষে বাড়ি নেওয়ার পথে প্রতিপক্ষরা দেশীয় অস্ত্র শস্ত্র নিয়ে সিএনজি গতিরোধ করে। এক পর্যায়ে এলোপাতাড়ি হামলা চালিয়ে ৪ জন কে গুরুতর আহত করে। সেখান থেকে স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে বিজিসি ট্রাস্ট হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে তাদের অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করে। বর্তমানে তারা সেখানে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে বলে পরিবার সূত্রে জানা যায়। এ ঘটনায় আবু তাহের বাদী হয়ে পটিয়া থানায় মামলা করলে পুলিশ অভিজান চালিয়ে এজাহার নামীয় আসামী মো আবু তৈয়বকে গ্রেপ্তার করে। পটিয়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে প্রেরণ করে। আদালতের বাদী পক্ষের আইনজীবী মো ফোরকান জানান, আসামী আবু তৈয়ব কে আদালতে হাজির করা হলে বিজ্ঞ আদালত তার জামিন আবেদন মঞ্জুর না করে জেল হাজতে প্রেরন করেন। মামলার বাদী আবু তাহের অভিযোগ করেন আসামীদের হুমকিতে তার পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছে। তিনি তার পরিবারের নিরাপত্তার জন্য পুলিশের উর্ধত্বন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করে বলেন আসহাব মিয়া গং শুধু আমার নয় ইতোপূর্বে এক মুক্তিযোদ্ধার জায়গা ও জোর দখল করার চেষ্টা করছিলো। আমরা এ ব্যাপারে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে পটিয়া থানার তদন্তকারী কর্মকর্তা আবদুল জলিল জানান, এ ঘটনায় পুলিশ অভিযান চালিয়ে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে। অন্য আসামীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।।

  • পুঠিয়ার বানেশ্বরের নাদের আলী স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষের কক্ষে তালা

    পুঠিয়ার বানেশ্বরের নাদের আলী স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষের কক্ষে তালা

    পুঠিয়া,( রাজশাহী) প্রতিনিধিঃপুঠিয়ার বানেশ্বরের নাদের আলী স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষের কক্ষে তালা দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটির সভাপতি মাহাবুব আলম বাবু শেখ।

    গতকাল বৃহস্পতিবার (১১ আগস্ট) দুপুরের সভাপতি ও অধ্যক্ষের দন্দের ফলে এ তালা ঝুলিয়ে দিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। পরে শনিবার (১৩ আগস্ট) সকালে প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ নুরুল আমিন নান্নু তার কক্ষে গিয়ে তালা দেখে তিনি তার স্টাফের কক্ষে গিয়ে অবস্থান নেন।

    বিষয়টি জানাজানি হলে এলাকার সচেতন মহল প্রতিষ্ঠানের অভিভাবকগণ এবং গভার্নিং বডির সদসরা এর প্রতিবাদ শুরু করে। এসময় উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এতে দুইপক্ষ প্রতিষ্ঠানটির আঙ্গিনায় অবস্থান নিলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনের বাহিরে চলে যাওয়ার আশঙ্কায় পুঠিয়া থানা পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। খবর পেয়ে পুঠিয়া থানা পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।

    এসময় এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গের চাপে সভাপতি বাবু শেখ তার ঘনিষ্ঠজন এস এল শামসুল আলম বাবুর মাধ্যমে অধ্যক্ষের কক্ষের তালা খুলে দেন। বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটির পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে বলে অধ্যক্ষ নুরুল আমিন নান্নু জানান, গত বছরের ১৩ নভেম্বর তারিখে মাহাবুব আলম বাবু শেখ তার প্রতিষ্ঠানের সভাপতি নিযুক্ত হন।

    তিনি অষ্টম শ্রেণী পাস হওয়ায় আমি তার সভাপতি নিয়োগ নিয়ে প্রতিবাদ শুরু করি। এছাড়াও তিনি আমার প্রতিষ্ঠানের রেজুলেশন বই নিজের কব্জায় নিলে দন্দ শুরু হয়।

    পরে আমি আদালতের দারস্ত হই। আদালত আমার মামলাটি খারিজ করায় তিনি গতকাল অবৈধ ভাবে আমাকে বরখাস্ত করেন। যা সম্পূর্ণ আইন পরিপন্থি। এছাড়াও গভার্ণিং বডির ১২ সদস্যসের মধ্যে ৮ জন সদস্য ইতি মধ্যে পদত্যাগ করেছে।

    এতে বর্তমান কমিটির বৈধতা নিয়ে অধ্যক্ষ প্রশ্ন তুলেন। এ বিষয়ে প্রতিষ্ঠানের সভাপতি মাহাবুব আলম বাবু শেখ বলেন, আমি সভাপতি হওয়ার পর বেশ কয়েটি মিটিং করি।

    এছাড়াও সকল শিক্ষক ও কর্মচারীদের দিয়ে একটি মতবিনিময় সভাতে অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে অনিয়ম, দুর্নীতি ও তার সেচ্ছাচারিতার বিষয়ে অভিযোগ পাওয়া যায়।

    এছাড়াও স্কুল এন্ড কলেজ শাখাকে এক করার প্রস্তাব আসলে সেটা রেজুলেশন করা হলে অধ্যক্ষ রেজুলেশন মোতাবেক কাজ না কারায় আমি রেজুলেশন বহি নিজের আয়ত্তে নিয়েনি।

    এছাড়াও অধ্যক্ষ সাহেব অমিসহ তিনজন শিক্ষকের বিরুদ্ধে ২০ লক্ষ টাকার চাঁদার চাওয়ার অভিযোগে একটি মামলা করেন। সেটাও গত সপ্তাহের আদালত খারিজ করে দেন।

    এছাড়াও অধ্যক্ষকে অবৈধ ভাবে বরখাস্তের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি সকল প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে তাকে বরখাস্ত করেছি। এছাড়াও তিনি বলে, বর্তমানে অধ্যক্ষ প্রতিষ্ঠানে অবৈধভাবে অবস্থান করছেন। এছাড়াও আমি দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষকের কাছে রেজুলেশন বহি দিয়ে দিয়েছি বলে এ সভাপতি জানান।

  • আগৈলঝাড়া উপজেলা প্রেসক্লাবের উদ্যোগে পেয়ারা বাগান ভ্রমণ

    আগৈলঝাড়া উপজেলা প্রেসক্লাবের উদ্যোগে পেয়ারা বাগান ভ্রমণ

    বি এম মনির হোসেনঃ-

    বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলা প্রেসক্লাবের ও মাদারীপুরের ডাসার প্রেসক্লাবের সদস্য সহ আরো সাংবাদিক দের নিয়ে আনন্দ ভ্রমণে পেয়ারা বাগানে গত কাল ১৩ আগস্ট শনিবার সকালে গিয়ে ছিলেন। আনন্দ ভ্রমণে সফর সংগীরা হলেন আগৈলঝাড়া উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি এইচ এম মাসুম, সাধারণ সম্পাদক বি এম মনির হোসেন, সহ-সভাপতি শফিকুল ইসলাম, ডাসার প্রেসক্লাবের সভাপতি সৈয়দ রাকিবুল ইসলামসহ ডাসার আগৈলঝাড়ার সাংবাদিক গন।

  • পঞ্চগড়ে সিদ্দিকী টি এস্টেট বিভিন্ন প্রজাতির গাছ কাটলো দুর্বৃত্তরা

    পঞ্চগড়ে সিদ্দিকী টি এস্টেট বিভিন্ন প্রজাতির গাছ কাটলো দুর্বৃত্তরা

    মোঃ বাবুল হোসেন পঞ্চগড়;
    পঞ্চগড় সদর চাকলাহাট ইউনিয়নের দক্ষিণ ভাটিয়াপাড়া গ্রামে অবস্থিত সিদ্দিকী টি এস্টেট বিভিন্ন প্রজাতির প্রায় ৫ হাজার গাছ কেটে সাবার করেছে দুর্বৃত্তরা । শুক্রবার (১২ আগস্ট) রাত আনুমানিক ১২টা থেকে ভোর ৪টার মধ্যে বাগানে দুর্বৃত্তরা গাছ কর্তন
    চালিয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে ।

    কৃষি বান্ধব সরকারের দেশে এই অমানবিক কাজ মেনে নিতে পারছেন না অনেকেই। ওই বাগানের মালিক আমেরিকা প্রবাসী মোঃ মিজানুর রহমান সিদ্দিকী(রঞ্জু)। তিনি পঞ্চগড় জেলার তেঁতুলিয়া উপজেলার সদর ইউনিয়নের বাসিন্দা । ২০০৭ সালে তিনি এই টি এস্টেট প্রতিষ্ঠা করেন। বাগানে রয়েছে গরুর খামার সহ ফ্রুট প্রজেক্ট । ফ্রুট প্রজেক্টে দেশী বিদেশী নানা ধরনের ফল গাছে ভরপুর । বাগানে স্থায়ীভাবে ৬জন এবং কাজ অনুযায়ী অস্থায়ী ভাবে প্রায় ৫০/৬০ জন শ্রমিকের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে । রাতের আধারে গাছ কর্তন করে দুর্বৃত্তদের অমানবিকতায় হতস্তব্ধ হয়েছেন এস্টেট
    কর্মরত সহ স্থানীয়রা ।

    এব্যাপারে বাগান ম্যানেজার মোঃ আনিছুর রহমান আনিস জানান, সুপারি,পেঁপে, নারিকেল, পেয়ারা, মেহগনি গাছ মিলে প্রায় ৫ হাজার গাছ কর্তন করেছে দুর্বৃত্তরা । আমার কারো সাথে কখনো মনোমালিন্য হয় নি। কি কারনে গাছ গুলো কর্তন করা হয়েছে আমি ধারনা করতে পারছি না। গাছ কাঠার খবর পেয়ে শুক্রবার (১২ আগষ্ট) বাগানটি সরজমিনে পরিদর্শন করেন পঞ্চগড় জেলা পুলিশ সুপার মোঃ ইউসুফ আলী, জেলা পরিষদ প্রশাসক ও জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ আনোয়ার সাদাত সম্রাট, সদর থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ মোঃ আব্দুল লতিফ মিঞা, সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ আমিরুল ইসলাম, স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ রবিউল ইসলাম সহ প্রশাসনের অনেকেই।

    বাগান ম্যানেজার বলেন যারা অন্যায় ভাবে আমাদের এই ক্ষতি করেছে তাদের আইনের আওতায় আনা হোক । আমরা ন্যায় বিচারের জন্য প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ করবো।

    এ বিষয়ে সদর থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ মোঃ আব্দুল লতিফ মিঞা জানান, আমরা ঘটনা স্থল পরিদর্শন করেছি। এখন পর্যন্ত লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে ।

  • রাজশাহীতে মাদক সম্রাট জিয়ারুল  ৪ কেজি ৪০০ গ্রাম হিরোইনসহ  গ্রেফতার করেছে  র‍্যাব-৫

    রাজশাহীতে মাদক সম্রাট জিয়ারুল ৪ কেজি ৪০০ গ্রাম হিরোইনসহ গ্রেফতার করেছে র‍্যাব-৫

    মোঃ হায়দার আলী, রাজশাহী থেকেঃ মাদকের ব্যবসা মানে চাঁপাই নবাবগঞ্জ, আর রাজশাহীর গোদাগাড়ী। মূল হোতাদের ধরতে মরিয়া আইন শৃঙ্খলা বাহনী। তারই ধারাবাহিকতায় আনুমানিক মূল্য ৪ কোটি ৫০ লাখ হেরোইনসহ আটক হলেন কথিত কৃষক জিয়ারুল ইসলাম।
    চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্তে অবস্থিত এক কৃষকের বাড়িতে গত শুক্রবার দিবাগত রাতে অভিযান চালিয়ে প্রায় সাড়ে ৪ কেজি হেরোইন উদ্ধার করেছে র‍্যাব-৫ ‌ রাজশাহীর একটি দল। উদ্ধার হওয়া এই হিরোইনের বাজার মূল্য প্রায় সাড়ে চার কোটি টাকা। এ সময় ওই বাড়ির মালিক কৃষক মো: জিয়ারুল ইসলামকে ( ৩৫ ) আটক করে র‍্যাব তবে কৌশলে পালিয়ে যায় তার সাথে থাকা অপর সহযোগী।

    জিয়ারুল চাঁপাইনবাবগঞ্জ থানাধীন চর কোদালকাটি জেলেপাড়া গ্রামের মৃত আব্দুর রহমানের ছেলে। শনিবার একপেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করে র‍্যাব-৫ ।‌ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, দীর্ঘদিন যাবত মাদক চোরাচালান চক্র আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে বর্ডার এলাকা হতে কৌশলে মাদকদ্রব্য চোরাচালান করে চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও রাজশাহী সীমান্ত হতে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে মাদক সরবরাহ করে আসছিল। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে জানা যায় সীমান্ত দিয়ে মাদক পাচার হয়ে এসে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে পৌঁছানোর আগে চক্রটির অন্যতম মূল হোতা জিয়ারুল বর্ডার হতে মাদক সংগ্রহ করে রাতে কিছু সময়ের জন্য তা মজুদ করে রাখে।
    এ তথ্যের তথ্যের ভিত্তিতে দূর্গম চর এলাকায় ৩ টি গ্রুপে বিভক্ত হয়ে র‍্যাবের অপারেশন দল দীর্ঘ ৮ থেকে ৯ ঘন্টা এ্যাম্বুশ করে বসে থাকে। অভিযানের এক পর্যায়ে রাত সাড়ে ৩ টায় জিয়ারুল ইসলামের বাড়ি ঘেরাও করে তল্লাশী কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। এসময় ওই বাড়ি থেকে একজন ব্যক্তি কৌশলে পালিয়ে যায়। তবে জিয়ারুলকে আটক করতে সক্ষম হয় র‍্যাব।
    আটকের পর জিয়ারুলকে জিজ্ঞাসাবাদে সে হেরোইন মজুদের কথা স্বীকার করে এবং তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে তার ঘরে প্লেন সিটের বাক্সের নিচে অভিনব কায়দায় লুকানো অবস্থায় ৪ কেজি ৪০০ গ্রাম হেরোইন উদ্ধার করা হয়। আসামী জিয়ারুলকে আরো জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, সে এবং পলাতক আসামী সংঘবদ্ধ মাদক চক্রের সাথে জড়িত। এই চক্রটির সদস্যরা বর্ডার এলাকায় কৃষিকাজের আড়ালে সীমান্তের ওপার হতে কৃষকের ছদ্মবেশে হেরোইন চোরাচালান করে আসছিলেন। এর আগেও বেশ কয়েকবার তারা এ পন্থায় মাদক সরবরাহ করেছে বলে স্বীকার করে।

    র‍্যাব-৫ ‌ এর অধিনায়ক রিয়াজ শাহরিয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, সীমান্তবর্তী এলাকায় তার বাড়ি হওয়ায় কৃষি কাজের আড়ালে সীমান্তবর্তী ভারতে প্রবেশ করে সেখান থেকে একটি সিন্ডিকেটের মাধ্যমে হিরোইন নিয়ে আসতো। উদ্ধার হও হিরোইনের বাজার মূল্য প্রায় সাড়ে চার কোটি টাকা। এই বিপুল অর্থের হেরোইন জিয়ারুলের মত কৃষকের একার পক্ষে আনা সম্ভব কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। জিয়ারুল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের লিস্টে থাকা চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী নয়। জিয়ারুলের পেছনে অন্য কেউ আছে কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

    মোঃ হায়দার আলী
    রাজশাহী।