Category: দেশজুড়ে

  • সংবাদ প্রচারের পর শেখ ফজিলেতুন্নেছা দাখিল মাদরাসা এমপিওভুক্ত ও জাতীয়করণ

    সংবাদ প্রচারের পর শেখ ফজিলেতুন্নেছা দাখিল মাদরাসা এমপিওভুক্ত ও জাতীয়করণ

    কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি:

    কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে শেখ ফজিলেতুন্নেছা দাখিল মাদরাসার নানা বিষয়ে একাধিকবার দৈনিক পত্রিকা ও অনলাইনে সংবাদ প্রচারের পর প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ ও এমপিওভুক্ত হয়েছে। তবে উপজেলা প্রশাসন বলছে মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের প্রজ্ঞাপন মতে সুপার শাহনুর আলম।

    কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার মধ্য কাশিপুর দাখিল মাদরাসার মৌলভী শিক্ষক আমিনুল ইসলাম শিক্ষকতার পাশাপাশি বিলুপ্ত দাসিয়ারছড়ার স্থানীয়র দাপটে শেখ ফজিলেতুন্নেছা দাখিল মাদরাসায় সুপার সেজে ১২জন শিক্ষক-কে চাকরি দেয়ার নামে কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে প্রভাব খাটিয়ে অফিস কক্ষ দখল করে নেয়াসহ অত্র মাদরাসার সুপার শাহনুর আলমের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করে প্রতিষ্ঠান ধ্বংসের পায়তারার বিষয়ে একাধিকবার দৈনিক পত্রিকায় ও অনলাইনে বন্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রচার হলে মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের নজরে এলে তারা তৎতক্ষণিক সকল ঘটনার অবসান করে প্রতিষ্ঠানকে জাতীয়করণ ও এমপিওভুক্ত অন্তর্ভুক্তসহ শাহনুর আলম কে সুপার পদে বহাল করে। মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড নির্বাহী কমিটি গঠনে ২জানুয়ারী ২০২২খ্রিঃ ১২৭৯স্মারকে প্রজ্ঞাপন জারি হয়েছে। এমপিওভুক্ত ও জাতীয়করণ অন্তর্ভুক্ত হওয়ায় বিলুপ্ত দাসিয়ারছড়ার বইছে আনন্দের বাতাস। প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত ও জাতীয়করণ হওয়ায় নিজেকে সুপার পরিচয় দিয়ে প্রভাব খাটিয়ে আবারো শেখ ফজিলেতুন্নেছা দাখিল মাদরাসার অফিস কক্ষ দখল করে নেয়াসহ প্রতিষ্ঠান ধ্বংসের পায়তারা করছেন মধ্য কাশীপুর দ্বি-মুখী দাখিল মাদরাসায় সহ-মৌলভী শিক্ষক আমিনুল ইসলাম।

    শিক্ষার্থীরা বলেন, প্রতিষ্ঠানটি এমপিওভুক্ত ও জাতীয়করণ সরকারি ঘোষণার হওয়ায় প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ।

    সহকারী শিক্ষকরা বলেন, প্রতিষ্ঠানটি এমপিওভুক্ত ও জাতীয়করণ সরকারি ঘোষণার পর থেকে আমিনুল ইসলাম মাদ্রাসা এসে অফিস দখল করে নিজেকে সুপার দাবি করে প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার ব্যাঘাত ঘটে আসছেন।

    মধ্য কাশিপুর দাখিল মাদ্রাসার সুপার আবেদ আলী বলেন, আমিনুল ইসলাম দীর্ঘদিন থেকে প্রতিষ্ঠানে আসেন না। শেখ ফজিলাতুন্নেছা দাখিল মাদ্রাসায় চাকরীর বিষয়ে তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদান করা হয়েছে।

    শেখ ফজিলাতুন্নেছা দাখিল মাদ্রাসার সুপার শাহনুর আলম বলেন, নিয়োগ বাণিজ্যসহ অসংখ্য দুর্নীতির অভিযোগে আমিনুল ইসলাম গত ৩০জুন ২০১৮সালে জেলা শিক্ষা অফিসার কাজী আব্দুল কাদেরের উপস্থিতে স্বহস্তে লিখিত ইস্তেফা দেন তিনি। প্রতিষ্ঠান সরকারী ঘোষণা হওয়ার পর থেকে মাদরাসার অফিস কক্ষ দখল করে শিক্ষার ব্যাঘাত ঘটাচ্ছে।

    মধ্য কাশীপুর দ্বি-মুখী দাখিল মাদরাসায় সহ-মৌলভী শিক্ষক আমিনুল ইসলাম বলেন, আমি এখনো মধ্য কাশিপুর দাখিল মাদ্রাসায় চাকরী ছাড়িনি। মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ আমার বিরুদ্ধে আইনি যা করার করতে পারে।

    ফুলবাড়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুমন দাস বলেন, শেখ ফজিলাতুন্নেছা দাখিল মাদ্রাসার সুপার শাহনুর আলম।

    জেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ শামছুল আলম জানান, প্রতিষ্ঠানকে জাতীয়করণ ও এমপিওভুক্ত অন্তর্ভুক্তসহ শাহনুর আলম কে সুপার পদে বহাল করে মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড নির্বাহী কমিটি গঠনে প্রজ্ঞাপন জারি হয়েছে।

  • শৈলকুপায় বাস চাপায় বাইসাইকেল আরোহী কৃষক নিহত

    শৈলকুপায় বাস চাপায় বাইসাইকেল আরোহী কৃষক নিহত

    ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ
    ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার আসাননগর নামক স্থানে বাস চাপায় আইয়ুব শেখ (৫০) নামের এক কৃষক নিহত হয়েছে। রোববার সকালে ঝিনাইদহ-কুষ্টিয়া মহাসড়কের শৈলকুপা উপজেলার ওই স্থানে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত আইয়ুব শেখ দুধসর গ্রামের মৃত হানিফ শেখের ছেলে। নিহতের ছেলে রাসেল শেখ জানান, রোববার সকালে ভাটই হাটে বাজার করতে যায় তার পিতা। বাজার শেষে বাইসাইকেল যোগে বাড়ি ফিরছিল। পথে ঘটনাস্থলে পৌঁছালে একটি বাস তাকে চাপা দিয়ে পালিয়ে যায়। সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে। ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের জরুরী বিভাগের চিকিৎসক জেসমিন আরা বলেন, আইয়ুব শেখ গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে এসেছিলো। হাসপাতালে আসার ১ ঘন্টা পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। ঝিনাইদহের আরাপপুর হাইওয়ে থানার ওসি মিজানুর রহমান জানান, দুর্ঘটনার পর ঘাতক যানটি পালিয়ে গেছে। মরদেহ হাসপাতালে রাখা হয়েছে। পরিবার থেকে অভিযোন না থাকলে তাদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

    ঝিনাইদহ
    আতিকুর রহমান।।

  • পাইকগাছার সোলাদানা ইউনিয়নে মরা কুচিয়া নদীর উপর ঝুঁকিপূর্ণ ব্রীজ; দূর্ঘটনার আশংখা

    পাইকগাছার সোলাদানা ইউনিয়নে মরা কুচিয়া নদীর উপর ঝুঁকিপূর্ণ ব্রীজ; দূর্ঘটনার আশংখা

    ইমদাদুল হক,পাইকগাছা,খুলনা।।
    খুলনার পাইকগাছা উপজেলার সোলাদানা ইউনিয়নের মরা কুচিয়া নদীর ওপর নির্মিত সেতুটির মূল কাঠামো থেকে খসে পড়ছে পলেস্তরা (প্লাষ্টার)। অতিরিক্ত লবণাক্ততাসহ নানা সংকটে সেতুটির অবস্থা এখন জীর্ণ-শীর্ণ। বিকল্প ব্যবস্থা না থাকায় এক প্রকার বাধ্য হয়েই সেতুটি দিয়ে চলাচল করছেন জনপদের অন্তত চারটি গ্রামের হাজারো মানুষ। যেকোন সময় সেতুটি ভেঙ্গে বড় ধরনের প্রাণঘাতি দুর্ঘটনার আশংকা করছেন স্থানীয়রা। এমন অবস্থায় সেতুটি পরিত্যক্ত ঘোষণার পাশাপাশি নতুন সেতু নির্মাণে সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকাবাসী।
    সরেজমিনে প্রতিবেদনকালে জানা যায়, উপজেলার সোলাদানা ইউনিয়নের কুচিয়া নদীর দু’ তীরের টেংরামারী, উত্তর কাইনমুখী, দক্ষিণ কাইনমুখী ও দিঘাসহ প্রত্যন্ত এলাকার বাসিন্দাদের চলাচলের সুবিধার্থে প্রায় ৩৫ বছর আগে সেতুটি নির্মাণ করেন, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মাজেদ সানা।
    দীর্ঘ দিনেও সংষ্কার না করায় অতিরিক্ত লবণাক্ততার কারণে এরই মধ্যে ফাঁটল ধরেছে সেতুর খুঁটি গুলোতে। রেলিং (গার্ডার) ভেঙ্গে পড়েছে তারও আগে। দৃশ্যত সেতুটির এখন কঙ্কালসার অবস্থা। তার উপর বিকল্প ব্যবস্থা না থাকায় প্রতিদিন সেখানকার কয়েকটি গ্রামের হাজারো মানুষ যানবাহনসহ চলাচল করছেন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে।
    দ্বীপ বেষ্ঠিত সোলাদানার উত্তর কাইনমুখী গ্রামের কিশোর মন্ডল বলেন, ইউনিয়নব্যাপী জালের মত ছড়িয়ে রয়েছে অসংখ্য ছোট-বড় নদী বা খাল। চারদিকে যতদূর চোখ যায় যেন পানি আর পানি। সুষ্ঠু যাতায়াত ব্যবস্থায় সেতুটিই তাদের একমাত্র ভরসা। তবে মূল অবকাঠামো হারিয়ে সেতুটি এখন রীতিমত ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় দাঁড়িয়ে এখনো এলাকাবাসীর অবিরাম সেবা দিয়ে যাচ্ছে। যেকোন সময় সেখানে প্রাণঘাতি দুর্ঘটনারও আশংকা করেন তিনি।
    দিঘার কল্লোল মন্ডল জানান, সেতুটির এ করুণ পরিণতি আরও ১০ বছর আগের। সেই থেকে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বাধ্য হয়েই যাতায়াত করছেন তারা। উপজেলা সদরসহ স্কুল-কলেজে পৌছাতে সেতুটিই তাদের একমাত্র ভরসা।
    দক্ষিণ কাইনমুখীর বিজন মন্ডল জানান, সেতুটি দিয়ে পণ্যবাহী যানবাহন চলাচল অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় অতিরিক্ত খরচ করে মালামাল বাড়িতে নিতে হয় তাদের।
    টেংরামারীর প্রশান্ত মন্ডলের আশংকা, যেকোনো সময় সেতুটি নদীর মধ্যে ধসে ঘটে যেতে পারে কোন বড় ধরনের প্রাণঘাতি দূর্ঘটনা। সেতুটি এখন রীতিমত মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। সম্পূর্ণ সেতুর পিলার বা খুঁটিগুলোসহ সমুদয় পলেস্তরা ধ্বসে পড়ছে। সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান এস এম এনামুল হক বলেন, ‘তিনি চেয়ারম্যান থাকাকালীন নতুন সেতুর প্রস্তাবনাসহ কাগজ-পত্র তৈরি করে উপজেলা নির্বাহী প্রকৌশলীর দপ্তরে পাঠিয়েছিলেন, সেটি এখনো পাশ হয়নি’।
    স্থানীয় বর্তমান ইউনিয়নের স্থানীয় বর্তমান ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল মান্নান গাজী বলেন, জনগুরুত্বপূর্ণ সেতুটি দিয়ে প্রতিদিন স্থানীয় ৪টি গ্রামসহ উপজেলার হাজারো মানুষ যাতায়াত করে। ঝুঁকিপূর্ণ সেতুটি পরিত্যক্ত ঘোষণার পাশাপাশি নতুন করে আরো একটি সেতু নির্মাণের দাবি তার। এ নিয়ে আগামী উপজেলা মাসিক উন্নয়ন সভায় উত্থাপনের কথাও জানান তিনি।
    পাইকগাছা উপজেলা প্রকৌশলী হাফিজুর রহমান বলেন, সাবেক চেয়ারম্যান এস এম এনামুল হক উপজেলা সমন্বয় সভায় একাধিকবার সেতুটির বিষয় উত্থাপন করলেও সেসময় পর্যাপ্ত অর্থাভাবে সেতুটির বাস্তবায়ন সম্ভব হয়নি। বর্তমানে সেতুটির অবস্থা বিবেচনায় অগ্রাধিকারভিত্তিতে সেতুটি খুব শীঘ্রই বাস্তবায়নের আশ্বাস দেন তিনি। এলাকাবাসী সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করে নতুন করে ব্রিজ নির্মাণের দাবি জানান।

    ইমদাদুল হক,
    পাইকগাছা,খুলনা।

  • প্রধান শিক্ষক যায় আর আসে বদলগাছীতে স্কুলের মালামাল চুরি ও লুটপাটের অভিযোগ সহাকারী শিক্ষক ও দপ্তরীর বিরুদ্ধে

    প্রধান শিক্ষক যায় আর আসে বদলগাছীতে স্কুলের মালামাল চুরি ও লুটপাটের অভিযোগ সহাকারী শিক্ষক ও দপ্তরীর বিরুদ্ধে

    রওশন আরা শিলা,নওগাঁ প্রতিনিধি : নওগাঁর বদলগাছী উপজেলার বিলাশবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আফতাব হোসেনকে দায়িত্বভার বুঝিয়ে না দিয়ে বাঁধাপ্রদান, বিদ্যালয়ের দলিলসহ জমি বন্ধক ও বিভিন্ন মালামাল চুরিসহ নানাভাবে হেনেস্থা করার অভিযোগ তুলেছেন বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক এ টি এম আব্দুল্লাহ ও তার ছোট ভাই দপ্তরী বুলবুল হোসেন এর বিরুদ্ধে। এসব ঘটনার সুষ্ঠ সমাধান চেয়ে উপজেলা শিক্ষা অফিসার বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন প্রধান শিক্ষক।

    অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, বিলাশবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক এ টি এম আব্দুল্লাহ গত ২২.০৩.২০১৯সাল পর্যন্ত ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন। সরকারি বিধি মোতাবেক কোন বিদ্যালয়ে শুন্য পদে প্রধান শিক্ষক যোগদান করলে সাথে সাথে তাকে সকল প্রকাল মালা-মাল,নথিপত্র,ফাইল,রেকর্ড ও তালাচাবিসহ সব কিছু বুঝিয়ে দেওয়ার নিয়ম। কিন্তু যোগদানের পর সহকারী শিক্ষক তার মত সব কিছু করতে থাকেন। বিভিন্ন ভাবে প্রধান শিক্ষকের উপর মানসিক নির্যাতন ও অত্যাচার শুরু করেন। কোন ভাবেই সে দায়িত্বভার ছাড়তে রাজি নয়। এলাকার অবিভাবক ও বিভিন্ন শিক্ষক এর কাছে থেকে প্রধান শিক্ষক জানতে পারেন আব্দুল্লাহর একটি সিন্ডিকেট, নেটওর্য়াক আছে, কোন প্রধান শিক্ষক এ বিদ্যালয়ে যোগদান করলেও সবোর্চ্চ ৬মাসের মধ্যে বদলী নিয়ে অন্যত্র চলে যায়। এই সিন্ডিকেটের মূল শিক্ষক আব্দুল্লাহ এখন পর্যন্ত বিলাশবাড়ী সরকারি প্রাথমিক কিদ্যালয়ে কখনো সরকারী শিক্ষক আবার কখনো প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। প্রধান শিক্ষক হিসেবে যোগদানের পর দীর্ঘ ৫মাস তার বিরুদ্ধে এক প্রকার যুদ্ধ করে কিছুদিন পূর্বে একটি স্টক রেজিষ্টার, কিছু মালা-মাল ও নথিপত্র দায়সাড়া ভাবে বুঝিয়ে দেয়। কিন্তু বিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র,ফাইলপত্র,রেকর্ড ও আলমিরাসহ সকল প্রকার তালাচাবি নিজের কাছে রেখে দেয়। ওই সহাকারী শিক্ষক এর বাড়ি একই গ্রামে (বিলাশবাড়ী) এবং তার ছোট ভাই বিদ্যালয়ের দপ্তরী কাম নৈশ্য প্রহরী । দুই ভাই মিলে প্রভাব বিস্তার করে বিদ্যালয়ের সম্পদ চুরি এবং ক্ষতি সাধন করে যাচ্ছে। প্রধান শিক্ষকের কোন নিষেধ-বারন শোনেনা এবং সঠিক ভাবে দায়িত্ব পালন করেনা। গভীর রাত পর্যন্ত বিদ্যালয়ে নৈশ্য প্রহরী তার বন্ধু ও পরিচিতদের নিয়ে আড্ডা দেয়। বিদ্যালয়ে ছাদে বন্যা দুর্গত মানুষদের জন্য সরকার কৃর্তক আশ্রয়কেন্দ্র নির্মান করা হয়েছিল। পরবর্তীতে সংস্কারের অভাবে অকেজো হয়ে যায়। আশ্রয় কেন্দ্রটি নিমানের্র সময় ২০মিলি,১৫মিলি,১০মিলি রড,স্টিলের ২০ফিট পাইব,প্লাষ্টিকের ২০ফিট পাইবসহ অন্যান্য উপকরণ ব্যবহার করা হয়। পরবর্তীতে আশ্রয়কেন্দ্রটি পুরাতন হয়ে গেলে পূর্বের প্রধান শিক্ষকগন ও এসএমসি কমিটির লোকজন মালামালগুলির হিসাব সংরক্ষণ করে ষ্টোর রাখা হয়।

    পরবর্তীতে করোনা কালীন সময়ে স্কুল বন্ধ থাকার কারনে সকারী শিক্ষক ও তার ভাই দপ্তরী মালামালগুলো রাতের অন্ধকারে বিক্রি করে দেয়। বিদ্যালয়ের ২০১৯সালের পূর্বের রেকর্ডপত্র, নথিপত্র,ফাইলপত্র অফিস কক্ষের আলমিরা থেকে চুরি করে বাড়িতে নিয়ে রেখেছে। উদ্দেশ্য প্রধান শিক্ষককে ফাঁসানো ও হেনেস্থা করা। বিদ্যালয়ের জমির দলিল ও বিদ্যালয়ের জমি অন্যোর কাছে টাকার বিনিময়ে বন্দক রেখেছে। জমির কোন কাগজপত্র না থাকায় জমি বে-দখল হয়েছে। কোন প্রকার খারিজ করা যাচ্ছেনা। শ্রেণীকক্ষের ৩২টি বে চুরি করা হয়েছে, পানির মটর, সেলিং ফ্যান,ইলেকট্রিক সুইজ,বাল্ব,তালাচাবি নষ্ট করা হয়েছে হয়রানি ও টাকা খরচ করানোর জন্য। বিভিন্ন ইস্যু তৈরি করে এলাকার বখাটে ছেলেদের দিয়ে পাঠদানে বাঁধা সৃষ্টি করে মানসিক নির্যাতন ও হেনেস্তার সৃষ্টি করছে। বর্তমানে উন্নয়ন মূলক কাজের সকল প্রকার অর্থ যৌথ হিসাব নং ( ব্যাংকে একাউন্টে ) জমা আছে। টাকা উত্তোলনের অভাবে কাজ করা যাচ্ছেনা। বিদ্যালয়ের সভাপতি ও সহ-সভাপতি চেকে স্বাক্ষরের জন্য ২০হাজার টাকা ঘুষ দাবি করে। এমন পরিস্থিতিতে গত জুলাই মাসের ১৭তারিখে উপজেলা শিক্ষা অফিসার এর কাছে অভিযোগ জানালেও কোন সুরাহা করা হয়নি। তাদের উদ্দেশ্য হচ্ছে তাদের ভয়ে ও অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে যেন অন্যত্র বদলি নিয়ে চলে যাই।

    অভিযোগকারী প্রধান শিক্ষক আফতাব হোসেন বলেন, দীর্ঘ ২০বছর ধরে সহাকারী শিক্ষক এ টি এম আব্দুল্লাহ এই স্কুলে কর্মরত আছেন। এখানে কোন প্রধান শিক্ষককে তিনি ঠিকতে দেয়না। এর আগেও বেশ কয়েকজন প্রধান শিক্ষক তার অত্যাচারে অন্যত্র বদলী নিয়ে চলে গেছেন। তার উদ্দেশ্যই হচ্ছে কোন প্রধান শিক্ষক না থাকলে সিনিয়র হিসেবে সে প্রধান শিক্ষকের দাযিত্বভার গ্রহণ করে বিদ্যালয়ের সম্পদ লুটপাট করে খেতে পারবে। আমি যেসব অভিযোগ করেছি তার সবগুলোর সঠিক। তদন্ত করলেই তাদের অনিয়ম ও দুর্নীতি বেড়িয়ে আসবে।

    অভিযোগের বিষয়ে বিদ্যালয়ের দপ্তরী বুলবুল হোসেন বলেন, আমার বিরুদ্ধে যে সব অভিযোগ করা হয়েছে। তা মিথ্যা ও বানোয়াট। আমি বিদ্যালয়ের কোন মালামাল চুরির সাথে জড়িত নয়। অবিযোগ পত্রে উল্লেখিত সকল মালামাল বিদ্যালয়ের ষ্টোররুমে সংরক্ষিত আছে। আমার উপর অর্পিত যেটুকু দায়িত্ব সেটাই সঠিক ভাবে পালন করার চেষ্টা করি।

    অভিযুক্ত সহকারী শিক্ষক এ টি এম আব্দুল্লাহ বলেন, প্রধান শিক্ষকই নানাভাবে আমাদের হেনেস্থা করছেন। প্রধান শিক্ষক হওয়ার কারনে যা মন চায় সেটাই করে। আমাদের অবগত না করেই স্কুলের সকল কাজে নিজেই সিন্ধান্ত নেয়। আমরা মাঝে মধ্যে এসবের প্রতিবাদ করার কারনে হয়তো উদ্দেশ্য প্রনোদিতভাবে আমাদের বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ করেছেন। স্কুলের কোন ডকুমেন্টস বা গুরুত্বপূর্ণ নথি নেই আমাদের কাছে নেই । আর যেসব জিনিসপত্র চুরির কথা বলা হয়েছে সেগুলো চুরি করার প্রশ্নই আসেনা।

    বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি শাম্মী আকতার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, প্রধান শিক্ষকের কাছে থেকে চেকে সই করার জন্য আমি ও সহ-সভাপতি আসলাম হোসেন ঘুষ দাবি করেছি এটা সঠিক নয়। তিনিই ( প্রধান শিক্ষক) স্কুলের নানা কাজে নিজেই একক সিন্ধান্ত গ্রহণ করে থাকেন। তদন্ত হোক সব বেরিয়ে আসবে সঠিকটা কি।

    বদলগাছী উপজেল শিক্ষা অফিসার ফজলুর রহমান বলেন, বিলাশবাড়ী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বিষয়ে অভিযোগটি জেলা শিক্ষা অফিসার বরাবর দিয়েছে। আমরা এর একটা কপি পেয়েছি। জেলা শিক্ষা অফিস হতে চিঠি এলেই আমরা তদন্ত করে যথাযথ ব্যাবস্থা গ্রহন করব। স্কুলের সুষ্ট পরিবেশ যেন বজায় থাকে সে ব্যাপারে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেয়া হবে।#

    রওশন আরা পারভীন শিলা
    নওগাঁ জেলা প্রতিনিধি।।

  • নড়াইলে প্রতিবন্ধীর মৃত্যু পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশের রাবার বুলেট নিক্ষেপ আটক ১২জন

    নড়াইলে প্রতিবন্ধীর মৃত্যু পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশের রাবার বুলেট নিক্ষেপ আটক ১২জন

    উজ্জ্বল রায়, নড়াইল জেলা প্রতিনিধি:

    নড়াইলে প্রতিবন্ধীর মৃত্যু: পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশের রাবার বুলেট নিক্ষেপ ১২জনকে আটক। নড়াইলে প্রতিবন্ধী জুয়েল ভূঁইয়া (১৮)কে মাথায় হাতুড়িপেটার ৩দিন পর খুলনা ৫শ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার (১৩ আগস্ট) সন্ধ্যা ৭টার দিকে মারা যায়। সেই ঘটনার রেশ ধরে ক্ষুদ্ধ এলাকাবাসি প্রতিপক্ষের ১০-১২টি বাড়ি ভাংচুর করেছে।
    এসময় নড়াইল থানার পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে ৬ রাউন্ড রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে।
    ঘর-বাড়ি ভাঙচুরের ঘটনার সাথে জড়িত থাকায় পুলিশ ১২জনকে আটক করেছে। জুয়েল ভূঁইয়া সদরের বাঁশগ্রাম ইউনিয়নের কর্মচন্দ্রপুর গ্রামের পান্নু ভূঁইয়ার পূত্র।
    স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সদর উপজেলার বাঁশগ্রাম ইউনিয়নের কর্মচন্দ্রপুর গ্রামে সিকদার ও ভূঁইয়া বংশের আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দীর্ঘদিন যাবত দ্বন্দ্ব চলে আসছিল।
    শারীরিক প্রতিবন্ধী জুয়েল বাড়ির পাশের মাদ্রাসা বাজারে একটি দোকানের কর্মচারি হিসেবে কাজ করতো।
    মঙ্গলবার (৯ আগস্ট) সকাল ৯টায় ভ্যানযোগে দোকানে আসার পথে বেদভিটা নামক স্থানে পৌছালে কর্মচন্দ্রপুর গ্রামের ইয়াসিন, ফিরোজ,হাফজসহ ৬জন তাকে হাতুড়ি দিয়ে মাথায়সহ শরীরের বিভিন্ন জায়গায় জখম করে। ঘটনা উল্লেখে জুয়েলের চাচা মান্নান ভূঁইয়া বাদি হয়ে মঙ্গলবার (৯ আগস্ট) রাতে সদর থানায় মামলা করেন।
    ঘটনার সাথে জড়িত মোট ৫ আসামিকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। ঘটনার পর জুয়েলের আর জ্ঞান ফেরেনি। খুলনা ৫শ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার (১৩ আগস্ট) সন্ধ্যায় তার মুত্যু হয়েছে।
    এ প্রসঙ্গে সদর থানার ওসি (চলতি দায়িত্বে) মোঃ মাহমুদুর রহমান রবিবার (১৪ আগস্ট) জনান, প্রতিবন্ধী জুয়েল ভূঁইয়ার মৃত্যুর পর এলাকার কিছু বিক্ষুদ্ধ ব্যাক্তি ৫-৬টি ঘর-বাড়ি ভাঙচুর করেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে পুলিশ ৬ রাউন্ড ফাঁকা রাবার বুলেট নিক্ষেপ করেছে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত আছে।

  • র‌্যাব-১২’র অভিযানে সিরাজগঞ্জের সদরে ০১ গ্রাম হেরোইন ও ৩৭ পিচ ইয়াবাসহ ০১ জন শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী আটক।

    র‌্যাব-১২’র অভিযানে সিরাজগঞ্জের সদরে ০১ গ্রাম হেরোইন ও ৩৭ পিচ ইয়াবাসহ ০১ জন শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী আটক।

    প্রেস বিজ্ঞপ্তি।
    র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব) প্রতিষ্ঠাকালীন সময় থেকেই দেশের সার্বিক আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সমুন্নত রাখার লক্ষ্যে সব ধরণের অপরাধীকে আইনের আওতায় নিয়ে আসার ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। জঙ্গী, সন্ত্রাসী, সংঘবদ্ধ অপরাধী, ছিনতাইকারী, জুয়ারি, মাদক ব্যবসায়ী, খুন, এবং অপহরণসহ বিভিন্ন চাঞ্চল্যকর মামলার আসামী গ্রেফতারে র‌্যাব নিয়মিত অভিযান চালিয়ে আসছে।

    এর ধারাবাহিকতায় ১৩/০৮/২০২২ ইং তারিখ রাত ১১.০০ ঘটিকার গোপন সাংবাদের ভিত্তিতে র‌্যাব-১২ এর সদর কোম্পানীর একটি চৌকষ আভিযানিক দল সিরাজগঞ্জ জেলার সিরাজগঞ্জ সদর থানাধীন উত্তর কান্দাপাড়া (তালুকদার পাড়া) মাদক ব্যবসায়ী স্বপন তালকদার তার দুইতলা বিশিষ্ট বিল্ডিং বসত বাড়ীর সামনে পাঁকা রাস্তার উপর এক মাদক বিরোধী অভিযান চালিয়ে ০১ গ্রাম হেরোইন ও ৩৭ পিচ ইয়াবাসহ ০১ জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে। এছাড়া ও তাহার নিকট হইতে মাদক ক্রয়-বিক্রয়ের কাজে ব্যবহৃত ০১ টি মোবাইল ও নগদ ৩০,৩০০/-(ত্রিশ হাজার তিনশত) টাকা জব্দ করা হয়।

    গ্রেফতারকৃত আসামীঃ মোঃ স্বপন তালুকদার (৩৮), পিতা-মৃত আব্দুর রশিদ তালুকদার, সাং উত্তর কান্দাপাড়া(তালুকদার পাড়া), থানা- সিরাজগঞ্জ সদর, জেলা- সিরাজগঞ্জ।

    প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, এই মাদক ব্যবসায়ী দীর্ঘদিন যাবৎ আইন প্রয়োগকারী সংস্থার চোখ ফাঁকি দিয়ে সিরাজগঞ্জ জেলার বিভিন্ন এলাকায় অবৈধ নেশাজাতীয় মাদকদ্রব্য ক্রয়-বিক্রয় করে আসছিল।

    গ্রেফতারকৃত মাদক ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করত উদ্ধারকৃত আলামতসহ তাহাকে সিরাজগঞ্জ জেলার সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

    এ ধরণের মাদক উদ্ধার অভিযান সচল রেখে মাদকমুক্ত সোনার বাংলা গঠনে র‌্যাব-১২ বদ্ধপরিকর।

    র‌্যাব-১২ কে তথ্য দিন – মাদক , অস্ত্রধারী ও জঙ্গিমুক্ত বাংলাদেশ গঠনে অংশ নিন।

    স্বাক্ষরিত

    মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান

    সহকারী পুলিশ সুপার

    মিডিয়া অফিসার

    র‌্যাব-১২

    মোবা-০১৭৭৭-৭১১২০৩

  • জাতীয় শোক দিবস পালনে আমিনপুরে প্রস্তুতিমূলক সভা

    জাতীয় শোক দিবস পালনে আমিনপুরে প্রস্তুতিমূলক সভা

    নিজস্ব প্রতিবেদক,সুজানগরঃ স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর ৪৭তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোকদিবস -২০২২ যথাযোগ্য মর্যাদায় পালনের লক্ষ্যে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ আমিনপুর থানার আহম্মদপুর,রাণীনগর ও ঢালারচর ইউনিয়ন শাখার উদ্যোগে এক প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল পৃথক পৃথকভাবে অনুষ্ঠিত শোক দিবস পালনের প্রস্তুতিমূলক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক কেন্দ্রীয় উপ কমিটির সম্মানিত সদস্য এবং আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পাবনা-২ আসনের সংসদ সদস্য পদে আওয়ামীলীগ দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী কামরুজ্জামান উজ্জল। বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন বেড়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও আমিনপুর থানা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল হক বাবু, সুজানগর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান কল্লোল ও বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ আমিনপুর থানা শাখার সভাপতি ইউসুফ আলী। অন্যান্যদের মাঝে বক্তব্য রাখেন আমিনপুর থানা আওয়ামীলীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা আনোয়ারা খাতুন,আহম্মদপুর ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক কামাল হোসেন মিয়া, রাণীনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি জিএম তৌফিকুল আলম পিযুষ,আহম্মদপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি সামছুর রহমান, রাণীনগর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ইমদাদুল হক, ঢালারচর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন, বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ সুজানগর উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান সাইদ, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ সুজানগর উপজেলা শাখার সভাপতি জাহিদুল ইসলাম তমাল ও সাধারণ সম্পাদক শেখ তুষার প্রমুখ। সভায় আগামী ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস যথাযথভাবে পালনে বিভিন্ন কর্মসূচি নেয়ার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

    এম এ আলিম রিপন
    সুজানগর(পাবনা)প্রতিনিধি

  • জাতীয় শোক দিবস পালনে আমিনপুরে আ.লীগের বিশেষ বর্ধিত সভা

    জাতীয় শোক দিবস পালনে আমিনপুরে আ.লীগের বিশেষ বর্ধিত সভা

    সুজানগর(পাবনা)প্রতিনিধিঃ স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর ৪৭তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোকদিবস -২০২২ যথাযোগ্য মর্যাদায় পালনের লক্ষ্যে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ আমিনপুর থানার আহম্মদপুর,রাণীনগর ও ঢালারচর ইউনিয়ন শাখার উদ্যোগে বিশেষ বর্ধিত সভা ও এক প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল পৃথক পৃথকভাবে অনুষ্ঠিত শোক দিবস পালনের প্রস্তুতিমূলক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক কেন্দ্রীয় উপ কমিটির সম্মানিত সদস্য এবং আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পাবনা-২ আসনের সংসদ সদস্য পদে আওয়ামীলীগ দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী কামরুজ্জামান উজ্জল। বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন বেড়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও আমিনপুর থানা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল হক বাবু, সুজানগর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান কল্লোল ও বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ আমিনপুর থানা শাখার সভাপতি ইউসুফ আলী। অন্যান্যদের মাঝে বক্তব্য রাখেন আমিনপুর থানা আওয়ামীলীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা আনোয়ারা খাতুন,আহম্মদপুর ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক কামাল হোসেন মিয়া, রাণীনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি জিএম তৌফিকুল আলম পিযুষ,আহম্মদপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি সামছুর রহমান, রাণীনগর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ইমদাদুল হক, ঢালারচর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন, বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ সুজানগর উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান সাইদ, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ সুজানগর উপজেলা শাখার সভাপতি জাহিদুল ইসলাম তমাল ও সাধারণ সম্পাদক শেখ তুষার প্রমুখ। সভায় আগামী ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস যথাযথভাবে পালনে বিভিন্ন কর্মসূচি নেয়ার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

    এম এ আলিম রিপন
    সুজানগর(পাবনা)প্রতিনিধি।।

  • বীরগঞ্জে জাতীয় পাটির বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত

    বীরগঞ্জে জাতীয় পাটির বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত

    দিনাজপুর প্রতিনিধি ঃ দিনাজপুরের বীরগঞ্জে জাতীয় পাটির বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

    উপজেলা জাতীয় পাটির সভাপতি ও জেলা জাপার যুগ্ন সাধারন সম্পাদক হাসান মোঃ নিজামুদৌলা মতির সভাপতিত্বে ১৩ আগষ্ট শনিবার সকাল ১১ টায় পৌর শহরের ফুড প্যালেস হোটেলে বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্যে রাখেন জাতীয় পাটির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক, দিনাজপুর জেলা জাপার যুগ্ন সাধারন সম্পাদক ও বোচাগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যন এ্যাডঃ মোঃ জুলফিকার হোসেন।

    উপজেলা জাপার ভারপ্রাপ্ত সাধারন সম্পাদক মোঃ নাজমুল ইসলাম (মিলন) এর পরিচালনায় বিশেষ অতিথি হিসাবে জাতীয় পাটির কেন্দ্রীয় কমিটি সদস্য ও ঠাকুরগাঁও জেলা জাপার সাধারন সম্পাদক রাজিউর রাজ (স্বপন চৌধুরী), জেলা জাপার মহিলা সম্পাদিকা ও দিনাজপুর পৌর সভার সাবেক কাউন্সিলর রোকেয়া বেগম লাইজু, জেলা জাতীয় যুব সংহতির সাধারন সম্পাদক নাসিম খাঁন পিরু, উপজেলা জাপার সহ-সভাপতি মিজানুর রহমান মিজু, আলহাজ মেঃ জয়নাল পাটোয়ারী, জাতীয় যুব সংহতির সাধারন সম্পাদক ও জাপা নেতা মাহাবুব আলম ও বীরগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের সভাপতি ও সম্পাদক বৃন্দ বক্তব্য রাখেন।

    মোঃ নাজমুল ইসলাম (মিলন)
    দিনাজপুর প্রতিনিধি।

  • ৪দিন পেরিয়ে গেলেও মালামাল উদ্ধারে ব্যর্থ পুলিশ বগুড়া-ঢাকা মহাসড়কে পুলিশের উপস্থিতিতেই মোবাইল ও টাকা ছিনতাই

    ৪দিন পেরিয়ে গেলেও মালামাল উদ্ধারে ব্যর্থ পুলিশ বগুড়া-ঢাকা মহাসড়কে পুলিশের উপস্থিতিতেই মোবাইল ও টাকা ছিনতাই

    রওশন আরা শিলা,নওগাঁ প্রতিনিধি ঃ নওগাঁ থেকে ৬ষ্ঠ শ্রেণী পড়–য়া অপহৃত শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করতে যাওয়ার পথে পুলিশ সদস্য ও ভিটকিমের পরিবারের নগদ ২৫ হাজার টাকাসহ ৪টি স্মার্টফোন ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। গত মঙ্গলবার (০৯ আগস্ট) দিবাগত রাত ৩টার দিকে বগুড়া-ঢাকা মহাসড়কের সিরাজগঞ্জ জেলার কড্ডার মোড় বাগবাড়ি এলাকায় এই ঘটনাটি ঘটে। পরবর্তীতে বুধবার (১০ আগস্ট) এবিষয়ে বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম থানায় একটি সাধারন ডায়েরী (জিডি) করেন নওগাঁ সদর মডেল থানার উপ পরিদর্শক (এস.আই) উজ্জ্বল হোসেন। ঘটনার ৪ দিন পেরিয়ে গেলেও ছিনতাইকৃত মালামাল উদ্ধার না হওয়ায় উদ্বিগ্ন ভুক্তভোগীরা।
    জানা যায়, নওগাঁ সদর উপজেলার শৈলগাছী ইউনিয়নের শৈলগাছী ঈদগাহপাড়া গ্রামের ৬ষ্ঠ শ্রেণীতে পড়–য়া শিক্ষার্থী গত সোমবার (০৮ আগস্ট) স্কুলে যাবার পথে নিখোঁজ হয়। এনিয়ে ওই শিক্ষার্থীর পরিবারের সদস্যরা সদর মডেল থানায় জিডি করলে পুলিশ তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় মেয়েটির অবস্থান ঢাকার উত্তরায় নিশ্চিত হয়। মঙ্গলবার (০৯ আগস্ট) রাত সাড়ে ১২ টার দিকে মাইক্রোবাস যোগে মেয়েটিকে উদ্ধার করতে রওনা দেন সদর মডেল থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) উজ্জ্বল হোসেন। মাইক্রোবাসে এস.আই উজ্জ¦ল হোসেন, শাপলা বেগম নামে এক নারী কনস্টেবল ও মেয়েটির পরিবারের সদস্যসহ ৫ জন ছিলেন। পথিমধ্যে দিবাগত রাত ৩ টার দিকে বগুড়া-ঢাকা মহাসড়কের সিরাজগঞ্জ জেলার কড্ডার মোড় বাগবাড়ি এলাকায় মাইক্রোবাসটি পৌঁছালে কয়েকজন ছিনতাইকারী সেটিকে থামায়। এরপর এস.আই উজ্জ্বল হোসেনসহ ওই মাইক্রোবাসে থাকা ভুক্তভোগীদের নগদ ২৫ হাজার টাকাসহ ৪টি স্মার্টফোন ছিনতাই করা হয়। পরে ছিনতাইকারীরা সেখান থেকে চলে গেলে আবারো মাইক্রোবাসটি ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হয়ে উত্তরা থেকে অপহৃত শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করে নওগাঁয় ফেরত আসেন।
    এবিষয়ে উপ পরিদর্শক (এস.আই) উজ্জ্বল হোসেন বলেন, অপহৃত ছাত্রীকে উদ্ধারে যাওয়ার পথে সিরজগঞ্জের কড্ডার মোড় বাগবাড়ি এলাকায় মাইক্রোবাসে ছিনতাইকারীরা আক্রমন করে। ওই মুহুর্তে আমাদের পুলিশ সদস্যসহ ভিকটিমের পরিবারের ৪টি স্মার্টফোন ও নগদ ২৫ হাজার টাকা ছিনতাই করা হয়েছে। এবিষয়ে পরের দিন ফোন হারিয়েছে মর্মে বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম থানায় একটি সাধারন ডায়েরী করেছি।

    সিরজগঞ্জ বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোসাদ্দেক হোসেন বলেন, কয়েকটি মোবাইল ছিনতাইয়ের ঘটনায় থানায় একটি সাধারন ডায়েরী করেছেন নওগাঁ সদর মডেল থানার এস.আই উজ্জ্বল হোসেন। ইতিমধ্যে ২ জন ছিনতাইকারীকে আটক করা হয়েছে। আশা করছি শীঘ্রই মোবাইলগুলো উদ্ধার করা যাবে।

    নওগাঁ সদর থানার মডেল ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম জুয়েল বলেন, ভিকটিম উদ্ধারে গিয়ে থানার কোন উপ পরিদর্শক (এস.আই) ছিনতাইয়ের শিকার হয়েছেন কি না? সেটা আমার জানা নেই।#

    রওশন আরা পারভীন শিলা
    নওগাঁ জেলা প্রতিনিধি।