Category: দেশজুড়ে

  • পানছড়িতে জোর পূর্বক জমি দখলের চেষ্টা ও অপতৎপরতার অভিযোগে বাজার ব্যবসায়ীদের মানববন্ধন

    পানছড়িতে জোর পূর্বক জমি দখলের চেষ্টা ও অপতৎপরতার অভিযোগে বাজার ব্যবসায়ীদের মানববন্ধন

    মিঠুন সাহা,খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি।।

    খাগড়াছড়ির পানছড়িতে আবদুল করিম নামের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে ভূমি জবর দখল করার উদ্দেশ্যে পরিচালিত বিভিন্ন ষড়যন্ত্রমূলক অপতৎপরতার বিরুদ্ধে মানববন্ধন ও পরবর্তীতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার এর মাধ্যমে জেলা প্রশাসক বরাবর সুবিচার পাওয়ার আশায় স্মারক লিপি দিয়েছে বাজার ব্যবসায়ীবৃন্দ।

    শনিবার (২০ আগষ্ট) সকাল ১০টার সময় পানছড়ি বাজারের প্রধান সড়কের পাশে এ মানববন্ধন করা হয়।এবং এই সময় ব্যবসায়ীরা দুই ঘন্টা দোকানপাঠ বন্ধ রাখেন।

    স্মারক লিপি ও মানববন্ধন এর বক্তব্য সূত্রে জানা যায়,পানছড়ি উপজেলার আবদুল করিম -পিতা মৃত আবদুল হাকিম একজন মামলাবাজ,
    ভূমিদস্যু,চাঁদাবাজ আত্মীয় স্বজনদের সম্পদ লুন্ঠনকারী। তিনি বিভিন্ন সময় হুমকি-ধমকিসহ ব্যবসায়ীদের হয়রানি করে আসছে মাসের পর মাস।

    স্মারক লিপি সূত্রে আরও জানা যায়, পানছড়ি বাজারের বন্দোবস্তী মামলা নং-০১ (ডি) ৮৭-৮৮ (পানছড়ি) এর ভূমি অধিগ্রহণ ও প্রজাস্বত্ব আইন ১৯৫০ এর ১৪৩ ধারা মতে জমির বিক্রেতা হিসেবে জেলা প্রশাসক খাগড়াছড়ি কর্তৃক ক্রেতা বাজার ফান্ড প্রশাসক (পানছড়ি বাজার সম্প্রসারণ প্রকল্প) এর নামে ১.১৩ একর ভূমি রেকর্ড সংশোধন আদেশ পাওয়ার প্রেক্ষিতে রেকর্ড সংশোধন করা হয়। ১৯৯৫৩৮ নং খতিয়ান সৃজন করা হয়।উক্ত প্লট দীর্ঘ দিন যাবত ব্যবসায়ীরা ভোগ-দখল করে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে।এবং নিয়মিত বিভিন্ন সরকারী রাজস্ব করও পরিশোধ করে আসছে ব্যবসায়ীরা।

    আয়োজিত মানববন্ধনে সদর ইউনিয়ন এর সাবেক চেয়ারম্যান নাজির হোসেন এর সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন বাজার ব্যবসায়ী উত্তম দেব,সাবেক মেম্বার জয় প্রসাদ দেব,সাবেক মেম্বার মনির হোসেন,অভিযুক্ত আব্দুল করিমের ভাই দুলাল মিয়া,ওবায়দুল হক আবাদ,সমীর সাহা সহ ব্যবসায়ীব্রন্দ।

    সমাবেশে বক্তারা বলেন উল্লেখিত ব্যক্তি একজন মামলাবাজ এবং দুর্নিতীবাজ। তিনি বিভিন্ন সময় অহেতুক আমাদের ভোগ দখলকৃত জায়গা তার বলে দাবী করেন। এবং একেক সময় তিনি একেকজনের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করে হয়রানি করেন ।এই সময় বক্তারা আরও অভিযোগ করেন মোঃআব্দুল করিম প্রকাশ্যে দোকানে আগুন লাগিয়ে দেবে বলে হুমকি দিয়ে আসছে।অবিলম্বে তার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণসহ আইনের আওতায় আনার দাবি জানানো হয় মানববন্ধনে।

  • ঝড় হাওয়া, বৃষ্টিতে  গোদাগাড়ীর মোশড়া ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসাসহ ঘরবাড়ীর ব্যপক ক্ষতি

    ঝড় হাওয়া, বৃষ্টিতে গোদাগাড়ীর মোশড়া ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসাসহ ঘরবাড়ীর ব্যপক ক্ষতি

    মোঃ হায়দার আলী, রাজশাহী থেকেঃ রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার প্রবল ঝড় বৃষ্টিতে মোশড়া ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসার টিনের চালা, মাটির ওয়াল পড়ে গেছে। দমকা হাওয়া ভারী বৃষ্টিতে ৩ নং পাকড়ী ইউনিয়ন পরিষদ এলাকার অনেক ঘর বাড়ি ক্ষতি হয়েছে। অধাপাঁকা, সবজিরও ব্যপক ক্ষতি হয়েছে।
    গত বৃহস্পতিবার রাত ৯ টার সময় পাকড়ী ইউনিয়নের উপর দিয়ে বয়ে যায় প্রবল ঝড় বৃষ্টি। ফলে ওই এলাকায় মোশড়া ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসার টিনের চাল ঝড়ে উড়িয়ে নিয়ে গেছে। বাতাসের গতি বেগ আস্তে আস্তে বাড়তে থাকয় একপর্যায়ে স্কুলের চাল উড়ে যায়।

    জানা গেছে, স্থানীয় এলাকাবাসীর সহযোগিতায়
    মোশড়া ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসাটি ২০০০ সালে স্থাপিত হয়ে ২০০৫ সালে পাঠদানের প্রাথমিক অনুমোদন লাভ করে এবং ২০০৮ সালে একাডেমিক স্বীকৃতি পায়। প্রতিষ্ঠানটি এখনো এমপিও ভুক্ত হয় নি।
    চারতলা একাডেমিক ভবন বরাদ্ধ পেয়েও জটিলতার করাণে সেটা নির্মান করা সম্ভাব হয় নি।
    বর্তমানে মাদ্রাসার শিক্ষার্থী সংখ্যা প্রায় ২৭০ জন।২০০৭ সাল হতে এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হতে শিক্ষর্থীরা দাখিল পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করছে এবং ফলাফল সন্তোষজনক। ২০২২ সালে ১৬ জন শিক্ষার্থী দাখিল পরীক্ষা পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করবে বালে জানা গেছে।

    স্থানীয়রা জানান, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ৯ টার দিকে বয়ে যাওয়া ঝড়ে টিন-শেড ঘরের চাল উড়ে গেছে। এতে চারটি শ্রেণিকক্ষ, অফিসকক্ষের টিনের চালা উড়ে যাওয়ায়় পাঠদানের পরিবেশ একেবারে নষ্ট হয়ে যায়। উপজেলা পিআইও আবু বাশির বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমান উল্লেখ করে আমাকে আবেদন দিলে আমি সেটি জেলা প্রশাসক মহোদয়ের নিকট পাঠাবো। তারা কিছু অনুদান পেতে পারেন।

    শনিবার সকালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মাদ্রাসাটির টিন-শেডের তৈরি ঘরের চালা নেই। টিনের চালা ও বেড়ার অংশ পাশের ফাঁকা জায়গায় পড়ে় আছে। ফলে কোনভাবে শ্রেণী কার্যক্রম চালু রাখা সম্ভাব নয় বলে এলাকাবাসি জানান।

    মোঃ হায়দার আলী
    রাজশাহী।

  • রাজশাহীর গোদাগাড়ীসহ চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্ত পথে দিয়ে আসছে মাদক বিনিময়ে  যাচ্ছে সোনা।

    রাজশাহীর গোদাগাড়ীসহ চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্ত পথে দিয়ে আসছে মাদক বিনিময়ে যাচ্ছে সোনা।

    রাজশাহী থেকে মোঃ হায়দার আলীঃ রাজশাহীর গোদাগাড়ী চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলাসহ বিভন্ন অঞ্চলের সীমান্ত পথে ব্যাপক হারে আসছে মাদক, বিনিময়ে ভারতে পাচার হয়ে যাচ্ছে স্বর্ণ। তবে সুনির্দিষ্ট তথ্যের অভাবে পাচারে লাগাম দিতে পারছে না আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। সাম্প্রতিক সময়ে রাজশাহী সীমান্তে স্বর্ণের একটি বড় একটি চালান আটক হলেও মূলহোতাদের
    এখনো ধরতে পারেনি পুলিশ।

    অভিযোগ উঠেছে, আলোচিত স্বর্ণ পাচার মামলায় পলাতক দুই আসামিকে এখনও গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। একইভাবে সম্প্রতি সীমান্তে মাদকের কয়েকটি বড় চালান র‌্যাব উদ্ধার করলেও এসব মাদকের মূল মালিকরা ধরা পড়েনি। ফলে সীমান্ত পথে বন্ধ হচ্ছে না মাদক ও স্বর্ণ পাচার। তবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তারা জানিয়েছেন তারা মাদক পাচার বন্ধে যেমন তৎপরতা চালাচ্ছে তেমনি সীমান্ত পথে স্বর্ণ পাচার প্রতিরোধেও কাজ করছেন।
    ওই সব মাদক ও সোনা পাচারকারীদের নদীর ওপারে এবং এপারে দুপারে বাড়ী থাকার সুবাধে এপারে অভিযান শুরু হলে ওপারে গিয়ে আত্নগোপন করে ওপারে অভিযান শুরু হলে তারা এপারে পালিয়ে আসেন। ফলে আইন শৃঙ্খলা বাহনীর অভিযান খুব একটা সফল হয় না। মাদক পাচারের সাথে যুক্ত কয়েক শ লোক স্বল্প সময়ে শূন্য থেকে কোটিপতি হয়েছেন। কেউ কেউ নির্বাচনে কালো টাকার প্রভাব খাটিয়ে হয়েছেন মেয়র, চেয়ারম্যান, কাউন্সিলর, মেম্বার, প্রভাবশালী রাজনৈতিক দলের নেতা পাতি নেতা, স্কুল কলেজ মাদ্রাসার কমিটির সভাপতি, সদস্য সঙ্গত কারণে তারা আইন প্রয়োগকারি সংস্থার সদস্যদের ধরাছোঁয়ার বাইরে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন সংস্থার সদস্যর তালিকভুক্ত মাদকব্যবসায়ীরা বীরদাপটে ঘুরে বেড়াচ্ছে দেখার যেন কেউ নেই। কিছুদিন পূর্বে মাদকবিরোধী অভিযান চলার সময় যেসব তালিকাভুক্ত মাদকব্যবসায়ীরা পালিয়ে গিয়েছিল ওইসব মাদকব্যবসায়ীরা এখন প্রশাসনের সাথে সুস্পর্ক রেখে চলেছেন বলে ব্যপক অভিযোগ রয়েছে।
    সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গত ২৪ ফেব্রুয়ারি রাজশাহীর গোদাগাড়ীর হাটপাড়া ঘাট দিয়ে সীমান্তের দিকে যাওয়ার পথে বিজিবির মহিষালবাড়ি সীমান্ত ফাঁড়ির জওয়ানরা সাতটি স্বর্ণের বারসহ মুক্তার হোসেন নামের একজনকে গ্রেফতার করেন।
    অভিযান পরিচালনাকারী বিজিবির সুবেদার আইনুদ্দীন জানান, মুক্তার হোসেন লুঙ্গির খুঁটের ভেতরে লুকিয়ে ৫৫ লাখ টাকা মূল্যের ৭টি স্বর্ণর বার নিয়ে খেয়া নৌকায় চড়ে সীমান্তের দিকে যাচ্ছিলেন। সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে মুক্তার হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার হওয়া মুক্তার হোসেনের বাড়ি গোদাগাড়ী সংলগ্ন আলাতুলি ইউনিয়নের বকচর গ্রামে। বিজিবি বাদী হয়ে গোদাগাড়ী থানায় একটি মামলা করেন।

    এদিকে, মামলার নথিপত্রে দেখা গেছে, মুক্তার হোসেন স্বর্ণসহ আটক হওয়ার পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে বিজিবিকে জানায়, এই ৭টি স্বর্ণের মালিক চাঁপাইনবাগঞ্জের চরবাগডাঙ্গার জহির (৪৭) ও হরিশপুর গ্রামের জমির আলী। মুক্তার আলীর জবানবন্দি মোতাবেক জহির ও জমিরকেও এ মামলায় আসামি করা হয়।
    এই মামলাটি তদন্ত করছেন রাজশাহীর এলআই বিজিবির এসআই তাজুল ইসলাম। তবে পুলিশ বিভিন্ন মহলের তদবিরের ফলে আলোচিত মামলাটির চার্জশিট দাখিল করতে পারেনি গত ৬ মাসেও। মামলাটির তদন্তের অগ্রগতি সম্পর্কে জানতে চাইলে গত মঙ্গলবার রাজশাহীর এলআই বিজিবির ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক সৌমিক কুণ্ডু এ প্রতিবেদকে বলেন, মামলাটির তদন্ত শেষ পর্যায়ে আছে। উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশমতো দ্রুত সময়ে চার্জশিট আদালতে জমা দেওয়া হবে।

    অন্যদিকে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রাজশাহী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্ত পথে ভারতে স্বর্ণ পাচার অব্যাহত রয়েছে। দুবাই ও চট্টগ্রামভিত্তিক একাধিক পাচার চক্রের সহযোগীরা রাজশাহী অঞ্চলেও সক্রিয় রয়েছে স্বর্ণ পাচারে। স্বর্ণ পাচারের টাকায় মাদক আসছে বাংলাদেশে বলে সংশ্লিষ্টদের অভিযোগ। স্বর্ণ ও মাদক সেইফ মাল হওয়ায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চোখকে সহজে ফাঁকি দিয়েই পাচার কাজ চালাচ্ছে সংঘবদ্ধ পাচারকারীরা।

    গভীর অনসন্ধানে জানা গেছে, ২০২০ সালের ২১ ডিসেম্বর রাজশাহী মহানগরীর ভদ্রায় ১৭ টি স্বর্ণর বার ছিনতাই হয়। এসব স্বর্ণ পাচারের জন্য চট্টগ্রাম থেকে রাজশাহীতে আনেন জেলার পুঠিয়ার দুই ভাই দ্বিজেন ধর ও জিতেন ধর। পরে পুলিশ ছিনতাই হওয়া স্বর্ণের ১৭টি বার উদ্ধার করেন। ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে- চট্টগ্রামের দুবাই পার্টির কাছ থেকে স্বর্ণের বারগুলো কিনে রাজশাহীতে আনা হয় ভারতে পাচারের জন্য। তার আগেই পথিমধ্যে ছিনতাই হয়। এই ঘটনায় নগরীর বোয়ালিয়া থানায় একটি মামলা হয়। গ্রেফতার করা হয় স্বর্ণ পাচারকারী জিতেন ধরকে।

    এদিকে, ২০১৭ সালের ১১ ডিসেম্বর রাজশাহীর গোদাগাড়ীর সীমান্তবর্তী সুলতানগঞ্জে মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর চাঁপাইনবাবগঞ্জগামী একটি মাইক্রোবাস থেকে ১৫টি স্বর্ণের বার উদ্ধার করে। এ ঘটনায় সিরাজগঞ্জ জেলার জানপুর গ্রামের লিটন আলী শেখকে (৩০) গ্রেফতার করা হয়।
    লিটন শেখ অভিযানিক দলকে জানায়, এসব স্বর্ণ সীমান্ত পথে ভারতে পাচারের জন্য নিয়ে যাচ্ছিল। এসব স্বর্ণের মালিক আনারুল ও আমিনুল নামের দুই ভাই। তবে বাহক আটক হলেও মালিকরা কেউ আজও ধরা পড়েনি।
    অন্যদিকে, ২০২০ সালের ১৪ অক্টোবর ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়কের পুঠিয়ার বেলপুকুর চেকপোস্টে ঢাকা থেকে চাঁপাইনবাবগঞ্জগামী বাসযাত্রীর স্যান্ডেলের ভেতর থেকে ১২টি স্বর্ণের বার উদ্ধার করে বিজিবি। আটক হওয়া ঢাকার ধামরাই উপজেলার চৌহাট গ্রামের আলাল আলীকে (৪৫) গ্রেফতার করা হয়। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে চাঁপাইনবাবগঞ্জের নয়নশুকা কামারপাড়া গ্রামের শুভ্র কর্মকার (২৭) ও বারঘরিয়ার মিলন হালদারকে গ্রেফতার করা হয়।
    ২০২০ সালের ৪ অক্টোবর নগরীর বর্ণালী মোড়ে ঢাকা থেকে চাঁপাইনবাবগঞ্জগামী একটি বাসের যাত্রী আজিজুল ও ফারুককে আটক করে তাদের কাছ থেকে ৪টি স্বর্ণর বার উদ্ধার করে পুলিশ। আসামিরা কাতার থেকে এসব স্বর্ণ আনেন। তারা এসব স্বর্ণ সীমান্ত পথে ভারতে পাচার করতেন বলে পুলিশকে জানায়।
    এদিকে, গত ১৩ আগস্ট রাতে রাজশাহী র‌্যাবের একটি দল গোদাগাড়ীর সীমান্তবর্তী চাঁপাইনবাবগঞ্জের আলাতুলির জেলেপাড়া চরের জিয়ারুলের বাড়ি থেকে সাড়ে ৪ কেজি বাউন সুগার বা উন্নতমানের হেরোইন জব্দ করে। গ্রেফতার করা হয় জিয়ারুলকে।
    জিয়ারুল র‌্যাবকে জানায়, এসব হেরোইন ভারতের লালগোলা থেকে তার কাছে আসে। গোদাগাড়ী হয়ে দেশের অন্যত্র পাচারের জন্য রাখা হয়েছিল। এসব হেরোইনের মালিকদের নাম পেলেও র‌্যাব গ্রেফতারের স্বার্থে তাদের নাম বলেনি।
    এদিকে, পুলিশ ও র‌্যাবের একাধিক কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, রাজশাহীর গোদাগাড়ী ও গোদাগাড়ী সংলগ্ন চাঁপাইনবাবগঞ্জের আলাতুলি এলাকাটি পদ্মার চরবেষ্টিত। এসব চরে ছোটবড় ১০টি গ্রাম রয়েছে সীমান্ত ঘেঁষে। এসব পথে একদিকে যেমন মাদকের চালান আসছে তেমনি বাংলাদেশ থেকে ভারতে পাচার হচ্ছে স্বর্ণ। আগে স্বর্ণ পাচারের বিনিময়ে গরু ও মাদক আসত। এখন গরু পাচার পুরোপুরি বন্ধ। ফলে স্বর্ণর বিনিময়ে আসছে মাদকের চালান।

    গোদাগাড়ী মডেল থানার ওসি মোঃ কামরুল ইসলাম বলেন, পুলিশের নিয়মিত কাজের সাথে মাদক ও সোনা পাচারকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে রয়েছে পুলিশ। এরা যতই শক্তিশালি হউক না কেন তারা ছাড় পাবে না।

    রাজশাহীস্থ র‌্যাব-৫ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল রিয়াজ শাহরিয়ার বলেন, ভারত থেকে মাদক পাচারের বিনিময়ে বাংলাদেশ থেকে ভারতে স্বর্ণ পাচার হচ্ছে বলেও আমরা খবর পাচ্ছি। সুনির্দিষ্ট তথ্য পাওয়ার চেষ্টা চলছে। সাম্প্রতিক সময়ে র‌্যাব-৫ বেশ কয়েকটি বড় অভিযান করে বিপুল মাদক উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে। কারা সীমান্ত পথে মাদক ও স্বর্ণ পাচারে জড়িত, তাদের শনাক্তে র‌্যাবের গোয়েন্দা দল মাঠে কাজ করছে। যুবসমাজ ও দেশের অর্থনীতির কথা বিবেচনা করে জরুরী ভিক্তিতে মাদক ও স্বর্ণ চোরাচালান বন্ধ হওয়া প্রয়োজন বলে সচেতন মহল মনে করেন।

    মোঃ হায়দার আলী
    রাজশাহী।

  • আহম্মদপুরে আওয়ামীলীগের নতুন অফিস উদ্বোধন

    আহম্মদপুরে আওয়ামীলীগের নতুন অফিস উদ্বোধন

    সুজানগর(পাবনা)প্রতিনিধি : পাবনার সুজানগর উপজেলা ও আমিনপুর থানার অর্ন্তগত আহম্মদপুর ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের নতুন কার্যালয় উদ্বোধন করা হয়েছে। শুক্রবার বিকাল ৫টায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে স্থানীয় চব্বিশ মাইল এলাকায় আওয়ামীলীগের নতুন এ কার্যালয় উদ্বোধন করেন ও উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক কেন্দ্রীয় উপ কমিটির সদস্য কামরুজ্জামান উজ্জল। প্রধান বক্তা ছিলেন সুজানগর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও পৌরসভার সাবেক মেয়র আলহাজ্ব আব্দুল ওহাব। বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন বেড়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও আমিনপুর থানা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল হক বাবু, সুজানগর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান কল্লোল,আমিনপুর থানা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি ও সাগরকান্দি ইউপি চেয়ারম্যান শাহীন চৌধুরী এবং সুজানগর পৌরসভার সাবেক মেয়র ও আওয়ামী যুবলীগ সুজানগর উপজেলা শাখার সাবেক সাধারণ সম্পাদক তোফাজ্জল হোসেন তোফা। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মাঝে বক্তব্য দেন আহম্মদপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক কামাল হোসেন মিয়া, মানিকহাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি শফিউল ইসলাম শফি, আহম্মদপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি শামসুর রহমান, দুলাই ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মালেক মাস্টার, ঢালারচর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন, রাণীনগর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ নেতা টুটুল কাজী, আহম্মদপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ নেতা আব্দুর রশিদ, সুজানগর উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান সাইদ, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি জাহিদুল ইসলাম তমাল ও সাধারণ সম্পাদক শেখ তুষার প্রমুখ। অনুষ্ঠানে স্থানীয় বিভিন্ন পর্যায়ের দলীয় নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।

    এম এ আলিম রিপন
    সুজানগর(পাবনা)প্রতিনিধি।।।

  • সুজানগরে স্বেচ্ছাসেবক দলের ৪২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত

    সুজানগরে স্বেচ্ছাসেবক দলের ৪২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত

    সুজানগর(পাবনা)প্রতিনিধিঃ বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের ৪২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন উপলক্ষ্যে বিভিন্ন কর্মসূচি পালিত হয়েছে। কর্মর্সচির মধ্যে ছিল আলোচনা সভা, দোয়া মাহফিল ও কেক কাটা। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দল সুজানগর পৌর শাখার উদ্যোগে ওই সকল কর্মসূচি পালন করা হয়। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দল সুজানগর পৌর শাখার আহ্বায়ক এস এম সুজাউদ্দিন সুজার সভাপতিত্বে ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দল সুজানগর পৌর শাখার সদস্য সচিব মো.বিপুল প্রামানিকের স ালনায় অনুষ্ঠিত স্বেচ্ছাসেবক দলের ৪২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন উপজেলা বিএনপি নেতা আহমেদ আলী লাটু প্রামানিক, উপজেলা কৃষকদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর মো.আনিসুর রহমান খোকন, সুজানগর উপজেলা যুবদলের যুগ্ন আহ্বায়ক আবু জাকারিয়া তরঙ্গ, সুজানগর পৌর যুবদলের যুগ্ন আহ্বায়ক ও পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর মো.আবুল কালাম আজাদ, পৌর স্বেচ্চাসেবক দলের যুগ্ন আহ্বায়ক আবুল হাশেম,সদস্য জাবেদ, রিপন,ফরহাদ, রঞ্জু, সাবেক ছাত্রনেতা কামরুল ইসলাম শান্ত, উপজেলা ছাত্রদলের প্রস্তাবিত আহ্বায়ক মো.আলম খান, প্রস্তাবিত সদস্য সচিব সাকিবুল ইসলাম সনি, উপজেলা প্রজন্ম দলের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক মো.আনাস হোসেন, যুবনেতা সন্টু খা,হবিবর রহমান, মাসুদ,রিপন, সিদ্দিক,শফিকুল,লতিফ,ছাত্রনেতা গাজী মাজহারুল ইসলাম, পৌর ছাত্রদলের প্রস্তাবিত আহ্বায়ক এস এম আফতাব আহমেদ , সাবেক পৌর ছাত্রদলের সদস্য শেখ সবুজ, ছাত্রদল নেতা ইব্রাহিম,আলহাজ্ব,ইমন হোসেন প্রমুখ। আলোচনাসভা শেষে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপ্রতি জিয়াউর রহমানের রুহের মাগফিরাত কামনা ও বিএনপির চেয়ারপার্সন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনা করে দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। শেষে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের ৪২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন উপলক্ষ্যে কেক কাটেন দলীয় নেতাকর্মীরা।

    এম এ আলিম রিপন
    সুজানগর(পাবনা)প্রতিনিধি।

  • জনতার দোরগোড়ায় পুলিশি সেবা,ময়মনসিংহে ওসি কামালের সফলতার ১বছরে খুশী সেবা গ্রহীতারা

    জনতার দোরগোড়ায় পুলিশি সেবা,ময়মনসিংহে ওসি কামালের সফলতার ১বছরে খুশী সেবা গ্রহীতারা

    আরিফ রববানী,ময়মনসিংহ।।
    আন্তরিকতা, কঠোর পরিশ্রম ও চৌকসতার সাথে ময়মনসিংহের কোতোয়ালী মডেল থানা এলাকায় পুলিশি সেবার মান বৃদ্ধির মাধ্যমে সাধারন মানুষের জান মালের নিরাপত্ত্বায় সফলতায় ১বছর পার করেছেন কেতোয়ালী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি শাহ কামাল আকন্দ। অক্লান্ত শ্রম আর মেধায় কোতোয়ালি মডেল থানা এলাকার আওতাভুক্ত সদর উপজেলাকে প্রায় মাদক শূন্য উপজেলা হিসেবে গড়তে সক্ষম হয়েছেন তিনি। এর আগে তিনি ময়মনসিংহ জেলা গোয়েন্দা শাখাসহ একাধিক থানায় অফিসার ইনচার্জ হিসাবে সফলতার সাথে দায়িত্ব পালন করে বহুবার শ্রেষ্ঠত্বের পুরস্কার পেয়েছেন।

    ময়মনসিংহ জেলা গোয়েন্দা শাখার ডিবি’র আলোচিত ওসি শাহ্ কামাল আকন্দ গত ২০২১ সালের ১৯শে আগষ্ট বৃহস্পতিবার জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) থেকে বিদায় নিয়ে বিকেলেই কোতোয়ালী মডেল থানায় ওসি হিসেবে যোগদান করেছেন। এর আগে গত ৩ বছর তিনি ডিবি’র ওসি হিসেবে সফলতার সাথে দায়িত্ব পালন করে ৬১ কোটি টাকার মাদক উদ্ধার ছাড়াও ৪৪ টি ক্লুলেস মার্ডার কেসের রহস্য উন্মোচন করে ময়মনসিংহ জেলাব্যাপী আলোচনার স্থান দখল করেন।

    ওসি হিসেবে শাহ্ কামাল আকন্দ জেলা গোয়েন্দা শাখায় দায়িত্বে থেকে যে সুনাম ও দক্ষতা দেখিয়েছেন, তাতে ময়মনসিংহবাসীর প্রত্যাশা ছিল তাকে যেন কোতোয়ালী মডেল থানায় ওসি হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়। অবশেষে কোতুয়ালী মডেল থানায় শাহ কামাল আকন্দের নিয়োগে সকল জল্পনা কল্পনার অবসান হয়েছে।কোতোয়ালি মডেল থানাতেও গত ১বছর দায়িত্ব পালনে ব্যাপক সুনাম অর্জনের পাশাপাশি বিভিন্ন মামলার রহস্য উদঘাটনে সফলতাও দেখিয়েছেন।

    কোতোয়ালি মডেল থানায় গত ১৯-০৮-২০২১ ইং তারিখে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে নিয়ে তিনি পুলিশি সেবার মান কে জনকল্যাণে জনগণের দোরগোড়ায় পৌছে দিতে থানার সকল পুলিশ কর্মকর্তাদের দিকনির্দেশনা দেন। থানার সকল অফিসারকে পুলিশ জনগণের বন্ধু, তাই বন্ধুর মত জনগণের পাশে থেকে জনগণের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করারও আহবান জানান তিনি।

    নবাগত ওসি শাহ কামাল আকন্দ- গত ০১বৎসর কোতোয়ালি মডেল থানায় দায়িত্বে থাকা অবস্থায় থানার আওতাধীন ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশন ও ১১ টি ইউনিয়নে অসংখ্য চাঞ্চল্যকর ও দুর্ধর্ষ চুরি, ডাকাতি, মাদক, ছিনতাই, হত্যা-গুম, চোরাচালান সহ লোমহর্ষক অপরাধের তাৎক্ষণিক তথ্য উদঘাটন ও অপরাধ নিয়ন্ত্রণে ময়মনসিংহ রেঞ্জ পুলিশ এ সফল পুলিশ কর্মকর্তা হিসেবে সকলের পরিচিত ও সমাদৃত। দায়িত্ব পালনে অভাবনীয় সফলতা ও শ্রেষ্ঠত্বের স্বীকৃতি স্বরূপ রেঞ্জ পুলিশ হতে একের পর এক লাগাতার পুরস্কৃত হন তিনি।

    কোতোয়ালী মডেল থানায় যোগদানের পর থেকেই তিনি চৌকসভাবে নিজস্ব বুদ্ধিমতা দিয়ে অপরাধীকে আইনের আওতায় এনেছেন। ময়মনসিংহের পুলিশ সুপারের নির্দেশনায় মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টর্লারেন্সের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে সদর থানায় কাজ শুরু করেন।আন্তরিকতা, কঠোর পরিশ্রম ও চৌকসতার জন্য তিনি সদর উপজেলাকে প্রায় মাদক শূন্য উপজেলা হিসেবে গড়তে সক্ষম হয়েছেন।আইনশৃঙ্খলায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখায় বহুবার পুলিশের মাসিক কল্যাণ সভায় জেলার শ্রেষ্ঠ ওসি নির্বাচিত হয়েছেন ময়মনসিংহের কোতোয়ালী মডেল থানার ওসি শাহ কামাল আকন্দ।

    এদিকে কোতোয়ালী মডেল থানায় ওসি হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর ময়মনসিংহের অপরাধী দমনে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করেন। এছাড়াও আইন শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ, অপরাধীকে আটক, জনগনকে করোনা সচেতনতামূলক কর্মকান্ডসহ বহুবিধ পদক্ষেপগুলো সফলতার সাথে পালন করার গৌরব অর্জন করেন তিনি। ওসি কামাল কোতোয়ালি মডেল থানায় যোগদানের পর থেকে যে কোন ঘটনার নিখুত তদন্ত করে মামলা দায়ের করায় অনেকেই মিথ্যা মামলা থেকেও রেহাই পেয়েছেন, আবার দীর্ঘদিনের ঝুলে থাকা মামলাগুলো নিষ্পত্তির বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ায় মানুষের মাঝে পুলিশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করতে সক্ষম হয়েছেন। ওসি শাহ কামাল আকন্দ আগামী দিনেও যথাযথ দায়িত্ব পালনে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।

  • ময়মনসিংহে বিদায়ী পুলিশ সুপার আহমার উজ্জামান কে কোতোয়ালি পুলিশের সংবর্ধনা।।

    ময়মনসিংহে বিদায়ী পুলিশ সুপার আহমার উজ্জামান কে কোতোয়ালি পুলিশের সংবর্ধনা।।

    ষ্টাফ রিপোর্টারঃ
    ময়মনসিংহ জেলা পুলিশ সুপার মোহা: আহমার উজ্জামান পিপিএম-সেবা এর অতিরিক্ত ডিআইজি পদে পদোন্নতিজনিত কারণে বদলী হওয়ায় তাকে বিদায় সংবর্ধনা জানানো হয়েছে। একই সাথে সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে পুলিশ নারী কল্যাণ সংঘ পুনাক এর সভাপতি মিসেস কানিজ আহমারকে।

    শুক্রবার (১৯ আগষ্ট) রাতে কোতোয়ালী মডেল থানা পুলিশ আয়োজিত বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ থেকে শুরু করে প্রশাসনের কর্মকর্তা, বিশিষ্ট নাগরিকরাও প্রশংসায় ভাসালেন বিদায়ী এ পুলিশ কর্মকর্তাকে। অভিন্ন কণ্ঠে স্মরণ করলেন জেলায় তার অবদানের কথা।

    কোতোয়ালী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি শাহ কামাল আকন্দের সভাপতিত্বে এবং ওসি অপারেশন ওয়াজেদ আলীর সঞ্চালনায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে পুলিশ সুপার আহমার উজ্জামানকে প্রশংসায় ভাসিয়ে ও শুভ কামনা জানিয়ে স্থানীয় রাজনৈতিক, প্রশাসনের কর্মকর্তা, বিশিষ্ট নাগরিকরা তাদের বক্তব্যে
    বলেন- বিদায়ী পুলিশ সুপার আহমার উজ্জামান কর্মের মূল্যায়ন হিসেবেই এত প্রশংসা তিনি কুড়িয়েছেন। সবার কাছেই তিনি প্রিয় মানুষ হতে পেরেছেন বলেই তিনি জেলার মানুষের হৃদয়ের মণিকোঠায় স্থান করে নিয়েছেন। পদোন্নতিও তার নিজের কর্মেরই ফসল। তারা বলেন- আহমার উজ্জামান জেলার পুলিশ সুপার হিসেবে দায়িত্বপালনকালে জেলাবাসীর জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিতে তিনি কাজ করেছেন একাগ্রচিত্তে। পুলিশি সেবা সাধারণ মানুষের দৌড়গোড়ায় পৌঁছে দিতে নিয়েছেন নানামুখী উদ্যোগ। যার সুফল পাচ্ছেন সকলেই।

    অনুষ্ঠানে থানার অধিকাংশ পুলিশ কর্মকর্তারা আবেগে আপ্লুত হয়ে পড়েন। দীর্ঘদিন আদর্শবান একজন পুলিশ সুপারের নির্দেশে জনগণকে সেবা দিতে পেরে তারা নিজেদের গর্বিত মনে করেন।

    কোতোয়ালি মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি শাহ কামাল আকন্দ বলেন,দীর্ঘ চাকরি জীবনে অনেক পুলিশ সুপারকে পেয়েছি, কিন্তু ময়মনসিংহ জেলা পুলিশ সুপার আহমাউজ্জামান স্যারের মতো একজন আদর্শিক অভিভাবক কখনো পাইনি। আজ স্যারের বিদায়লগ্নে মনে হচ্ছে কি যেনো হারাচ্ছি।

    সকলের বক্তব্য শেষে অনুভুতি ব্যক্ত করতে বিদায়ী মঞ্চে বক্তব্য দিতে গিয়ে বলেন, ‘আমার যাবতীয় যত প্রশংসা সবকিছুই সহযোদ্ধা-সহকর্মী পুলিশ কর্মকর্তাদের জন্য। সকলেই আমাকে এমনভাবে সহায়তা করেছে, তারা এমনভাবে দায়িত্বগুলো পালন করেছে যার ফলশ্রুতিতেই আমি আজ সম্মানিত বোধ করছি। এসময় তিনি আগামী দিনের সফলতার জন্য সকলের দোয়া প্রত্যাশা করেন।

    সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মাঝে বক্তব্য রাখেন-
    অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন)খন্দকার ফজলে রাব্বি,অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম)মোহাম্মদ রায়হানুল ইসলাম,অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি)ফাল্গুনী নন্দী,অতিঃ পুলিশ সুপার (ট্রাফিক)
    মোঃ হাফিজুর রহমান,অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সদর সার্কেল, শাহীনুল ইসলাম ফকির,কোতোয়ালি মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) ফারুক হোসেন,অপারেশন ইন্সপেক্টর ওয়াজেদ আলীসহ থানায় কর্মরত পুলিশ কর্মকর্তাগণ এবং ময়মনসিংহের রাজনৈতিক, সামাজিক ও বিভিন্ন পেশাশ্রেণীর ব্যক্তিবর্গরা।

  • শেখ হাসিনার ভিশন বাস্তবায়নে তৃর্ণমুল থেকে দলকে শক্তিশালী করতে চান সোমনাথ সাহা।।

    শেখ হাসিনার ভিশন বাস্তবায়নে তৃর্ণমুল থেকে দলকে শক্তিশালী করতে চান সোমনাথ সাহা।।

    আরিফ রববানী ময়মনসিংহ।।
    ময়মনসিংহ জেলা মটর মালিক সমিতির কোচ বিভাগের সম্পাদক, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য,গৌরীপুর উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ সভাপতি, ক্লিন ইমেজধারী সাবেক ছাত্রলীগ নেতা, ইতিবাচক রাজনীতির ধারক তরুণ আওয়ামী লীগ নেতা গৌরীপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদে তৃনমুলের নেতাকর্মীদের একমাত্র পছন্দের প্রার্থী সোমনাথ সাহা বলেছেন-ময়মনসিংহ বিভাগীসহ সারা দেশের উন্নয়নে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও সফল প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা যে স্বপ্ন দেখেন, তা বাস্তবায়নে শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে আওয়ামীলীগকে সাংগঠনিক ভাবে আরো এগিয়ে নিতে সকলের সহযোগীতায় সততা ও দক্ষতার সঙ্গে কাজ করতে চাই। তিনি বলেন-প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গৌরীপুরকে সন্ত্রাস,চাঁদাবাজমুক্ত,ফুটপাত দখলমুক্ত, খেলার মাঠ, যানযট ও মাদকমুক্ত উপজেলা উপহার দিতে চাই। এগুলো তাদের যৌক্তিক দাবি। আমরা যদি মিলেমিশে এক হয়ে সবাই কাজ করতে পারি তাহলে এ সমস্যা দূর করতে পারব।

    শুক্রবার (১৯আগষ্ট)সন্ধায় উপজেলার সহনাটী,মাওহা,অচিন্তপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ ও তৃনমূল আওয়ামীলীগ নেতৃবৃন্দের সাতে মতবিনিময় কালে আওয়ামী লীগ নেতা সোমনাথ সাহা এসব কথা বলেন।

    এসময় তিনি বলেন, ‘কথা বলা সহজ, কিন্তু করা কঠিন। সেই কঠিন কিন্তু কঠিন না যদি আমরা সবাই একসঙ্গে মিলেমিশে কাজ করি। তাই আমি কথা দিতে চাই আমার সততা এবং সাহস দিয়ে গৌরীপুর আওয়ামী লীগ কে সাংগঠনিকভাবে শক্তিশালী করার মাধ্যমে উপজেলাকে শেখ হাসিনার ঘাটি হিসেবে গড়ে তুলতে পারব। এসময় তিনি ঝিমিয়ে পড়া গৌরীপুর উপজেলা আওয়ামী লীগকে শক্তিশালীকরণের মাধ্যমে আগামী দিনে আবারো জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থীকে বিজয়ী করার লক্ষে গৌরীপুর উপজেলা আওয়ামী লীগ কে সাংগঠনিকভাবে আরো শক্তিশালী করতে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান জানান।

    শেখ হাসিনার ভিশন বাস্তবায়নে আওয়ামীলীগকে হাইব্রিড ও অনুপ্রবেশকারীমুক্ত করা জরুরি বলে জানিয়ে মতবিনিময়ে উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী সোমনাথ সাহা বলেন,দলে ত্যাগী ও অভিমানী নেতাকর্মীদের ফিরিয়ে আনার মাধ্যমে হাইব্রীড মুক্ত গৌরিপুর উপজেলা আওয়ামীলীগ গঠন করার জন্য তৃণমূল আওয়ামীলীগকে ঐক্যবদ্ধ হওয়া প্রয়োজন, যার জন্য ইউনিয়ন পর্যায়ে সকলে একসঙ্গে মিলেমিশে কাজ করতে হবে। উপজেলা আওয়ামীলীগকে ঐক্যবদ্ধ ও সুসংগঠিত করে দেশরত্ন শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করার জন্য সকলকে সাথে নিয়ে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করে যাবেন বলে প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

    এসময় উপস্থিত ছিলেন ৫নং সহনাটী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি শ্রী রুহি আচার্য্য, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সালাহ উদ্দিন কাদের রুবেল, ৪নং মাওহা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি নূর মোহাম্মদ কালন, ৩নং অচিন্তপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক সহ ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ ও অন্যান্য অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

  • সামাজিক সংগঠন “সেইভ দ্যা হাঙ্গার পিপল” এর কার্যকরী কমিটি গঠিত

    সামাজিক সংগঠন “সেইভ দ্যা হাঙ্গার পিপল” এর কার্যকরী কমিটি গঠিত

    মোঃ শহিদুল ইসলাম
    সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টারঃ

    সামাজিক সংগঠন “সেইভ দ্যা হাঙ্গার পিপল” কার্যকরী কমিটির সভা শুক্রবার নগরীর অস্থায়ী কার্য্যালয়ে সংগঠনের চেয়ারম্যান রুখসানা পারভীন রুবা’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। লায়ন মোহাম্মদ আবু ছালেহ্ এর সঞ্চালনায় উক্ত সভায় বক্তব্য রাখেন সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সোহেল হক, আবদুল নুর, আবদুল মন্নান, মুরাদ হোসেন প্রমুখ। সভায় উপস্থিত সকল সদস্যদের মতামতের ভিত্তিতে সংগঠনের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত সমূহ গৃহীত হয় এবং নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়।
    বিশিষ্ট নারী নেত্রী রুখসানা পারভীন রুবা কে চেয়ারম্যান ও সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সোহেল হক কে মহাসচিব এবং সংগঠক আবদুল নুর কে ভাইস চেয়ারম্যান, কবি ও সাংবাদিক লায়ন মোঃ আবু ছালেহ্ কে অর্থ সম্পাদক, সংগঠক আবদুল মন্নান কে সাংগঠনিক সম্পাদক, পেশাজীবি ডাঃ সজীব তালুকদার কে দপ্তর সম্পাদক, বিশিষ্ট কলামিস্ট নেছার আহমেদ খান কে প্রচার সম্পাদক, মোহাম্মদ মুরাদ হোসেন কে কার্যকরী সদস্য করে নয় সদস্য বিশিষ্ট কার্যকরী কমিটি ঘোষণা করা হয়। সভায় সংগঠনের উপদেষ্টা চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন কে নবগঠিত কমিটির পক্ষ হতে ফুলেল শুভেচছা জানানোর সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। উল্লেখ্য সেইভ দ্যা হাঙ্গার পিপল বিগত দুই বছর যাবৎ গরীব, দুস্থ, এতিম ও পথশিশুদের কল্যাণে কাজ করে আসছে। সমাজের অবহেলিত মানুষের জন্য কাজ করাই এই সংগঠনের মুল লক্ষ্য। নিম্নবিত্ত মানুষ ও শারিরীক ভাবে অক্ষম মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য সংগঠনের নিজস্ব অর্থায়নে হুইল চেয়ার প্রদান, খাদ্য বিতরণ, শিক্ষা সামগ্রী বিতরণ, শীতবস্ত্র বিতরণ ও এতিম দুস্থদের জন্য ভোজ আয়োজন করে আসছে “সেইভ দ্যা হাঙ্গার পিপল”।

  • ত্যাগীরাই পারবে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে; সুবিধাবাদীরা নয়

    ত্যাগীরাই পারবে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে; সুবিধাবাদীরা নয়

    পটিয়া প্রতিনিধিঃ পটিয়ার কুসুমপুরা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জাকারিয়া ডালিম বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলার স্বপ্ন তারাই বাস্তবায়ন করতে পারবে, যারা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ত্যাগী নেতাকর্মী।

    তাদের দ্বারা সম্ভব নয়, যারা সুবিধাবাদী। মুখে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের কথা বললেও, বাস্তবে তারা অন্য দল থেকে আগত এবং আওয়ামী লীগ বিরোধীদের আদর্শ লালন করে।

    তিনি গতকাল শুক্রবার ১৯ অগাস্ট কুসুমপুরা ইউনিয়ন বঙ্গবন্ধু পরিষদ আয়োজিত শোক দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা ও কাঙালী ভোজ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখছিলেন।

    জাকারিয়া ডালিম বলেন, তৃণমূল কর্মীরা ত্যাগী নেতাদের পছন্দ করে। তাদের ভালোবাসায় গত নির্বাচনে কুসুমপুরা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা বিপুল ভোটে তাকে জয়যুক্ত করায় তিনি তাদের ধন্যবাদ জানান।

    তিনি বলেন আমার ইউনিয়নের উন্নয়নের জন্য আমি সকল ত্যাগ স্বীকার করতে প্রস্তুত।

    অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পটিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক কাজী মোঃ মোর্শেদ

    কুসুমপুরা ইউনিয়ন বঙ্গবন্ধু পরিষদের আহবায়ক ইউসুফ খাঁনের সভাপতিত্বে এবং সদস্য সচিব আমিনুল ইসলাম লিটনের সঞ্চালনায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন , সাবেক ছাত্রনেতা মাঈনুদ্দীন মনির কুসুমপুরী, যুক্তরাষ্ট্র নিউ জার্সি আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এনামুল হক,।

    পটিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা ডাঃ জাহাঙ্গীর, কাসেম রাসেল, নুরুল ইসলাম চৌধুরী মেম্বার, জাহাঙ্গীর মেম্বার, ইউনুছ বাঙালি, শাহজাহান কিবরিয়া, ডাঃ শামসুল, পটিয়া উপজেলা যুবলীগ নেতা আলহাজ্ব খোরশেদ আলম মেম্বার, আবদুল মান্না রানা, জিয়া উদ্দিন বাবলু, ফজলুল কাদের হিরু মেম্বার, মোঃ রুবেল, শফিউল আজম, আব্বাস, শফি, খোরশেদ, বেলাল, শাহজাহান, দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগ নেতা আবুদল কাদের, উপজেলা ছাত্রলীগ নেতা সাজ্জাদ হোসেন, শাকিল, মেজবাহ, মামুন, বাপ্পু, সাইফু, রাকিব, পটিয়া উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নাফিস ইকবাল, কুসুমপুরা ইউনিয়ন ছাত্রলীগ সভাপতি মোঃ আরশেদ প্রমুখ।
    আলোচনা সভা শেষে ৩ হাজার মানুষের জন্য কাঙ্গালী ভোজের ব্যবস্থা করা হয়।