নিজস্ব প্রতিনিধিঃ চট্টগ্রাম জেলার শ্রেষ্ঠ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পটিয়া উপজেলার ছনহরা ষোড়শী বালা উচ্চবিদ্যালয়ে ১০ম ( সাধারণ ও ভোকেশনাল) ও ৯ম ভোকেশনাল শ্রেণির শিক্ষার্থীদের শিক্ষার মান উন্নয়নের এক অভিভাবক সমাবেশ প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ আবদুল গনি মাইজভান্ডারির সভাপতিত্বে বিদ্যালয়ের হলরুমে অনুষ্ঠিত হয়। সভায় দিক নির্দেশনামূলক বক্তব্য রাখেন বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের সভাপতি ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক ওছমান আলমদার, প্রধান শিক্ষক জনাব মোহাম্মদ আবদুল গনি, সহকারী প্রধান শিক্ষীকা সুকৃতি রানি দে,শ্রেণি শিক্ষিকা নাসরিন আকতার ,অভিভাবক সদস্য উত্তম বৈদ্য,মুজিবুর রহমান,অভিভাবকের পক্ষে ছনহরা ইউনিয়ন পরিষদের ৪, ৫ ও ৬ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত ইউপি সদস্য শাহিন আকতার, কাজী আবুল কালাম সওদাগর প্রমুখ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন শিক্ষক নিবেদন বিশ্বাস। এসময় বক্তারা বলেন,
শিক্ষার মানোন্নয়নে মা-বাবা তথা অভিভাবকদের ভূমিকা অপরিসীম। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ভালো ফলাফলের জন্য এককভাবে শিক্ষক যথেষ্ট নয়। এখানে অভিভাবকের ভূমিকাও একটি মুখ্য বিষয়। অভিভাবক এবং শিক্ষক উভয়ের প্রচেষ্টা একটি বিদ্যালয়ের শিক্ষার মান উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে পারে। অভিভাবকদের ক্ষেত্রে সন্তানদের সঠিকভাবে সাহায্য করার বিষয়ে যথাযথ জ্ঞান থাকে না। তাই স্কুলপড়ুয়া ছাত্রছাত্রীদের মেধা ও প্রতিভা বিকাশে স্কুলের যেমন দায়িত্ব রয়েছে তেমনি অভিভাবকদের নিবিড় তত্ত্বাবধানে তাদের মেধা বিকশিত হতে পারে। তাই অভিভাবকদের নিজ সন্তানদের প্রতিভা অন্বেষণে নিবিড় পর্যবেক্ষণ ও সুযোগ সৃষ্টি করা অতীব প্রয়োজন।
Category: দেশজুড়ে
-
ছনহরা ষোড়শী বালা উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের শিক্ষার মান উন্নয়নে অভিভাবক সমাবেশ
-
মধুপুরে আওয়ামীলীগের আয়োজনে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার প্রতিবাদে সমাবেশ অনুষ্ঠিত
আঃ হামিদ মধুপুর( টাঙ্গাইল) প্রতিনিধিঃ
আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ওপর ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার প্রতিবাদে সমাবেশ করেছে টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলা আওয়ামী লীগ। রোববার বিকেল হতে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে আওয়ামীলীগের নেতা কর্মীগন সমাবেশে যোগদেওয়ার জন্য অডিটোরিয়ামের সম্মুখে সমবেত হতে থাকে পরে সমাবেশটি এক জনসমুদ্রে পরিনত হয়। সন্ধায় মধুপুর অডিটরিয়ামে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠিত সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি খন্দকার শফিউদ্দিন মনি। প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ ছরোয়ার আলম খান আবু। এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন মধুপুর পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও পৌরসভার মেয়র সিদ্দিক হোসেন খান, উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি মহিষমারা ইউসনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান কাজী মোতালেব হোসেন, সহ সভাপতি শোলাকুড়ী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ইয়াকুব আলী, আওয়ামী লীগের যুগ্ন- সম্পাদক সাবেক মেয়র মাসুদ পারভেজ প্রমুখ। এসময় যুবলীগ, ছাত্রলীগ, কৃষকলীগ সহ সকল অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্হিত ছিলেন ।
বক্তৃতাগণ বলেন, নৃশংস ২১শে আগস্ট ২০০৪ সালের বিভীষিকাময় ভয়াল ও রক্তাক্ত আজকের এই দিনটি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কে হত্যার উদ্দেশ্যে বর্বরোচিত গ্রেনেড হামলা নিহত শহীদদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানাই। হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনা সেদিন আল্লাহর রহমতে প্রাণে বেঁচে ছিলেন বলে আজ বাংলাদেশের মানুষ সুখে শান্তিতে বসবাস করছে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের সকল উন্নয়ন গুলো দুর্বার গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। মধুপুর উপজেলা আওয়ামী লীগ সব সময় স্মরণ করে থাকে এই দিনটি কে। একুশে আগস্টে আইভি রহমানসহ যারা গ্রেনেডের হামলায় নিহত হয়েছেন ও বেঁচেও পঙ্গুত্ব জীবনযাপন করছেন তাদের জন্য দোয়া ও আলোচনা করা হয়।
অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক খন্দকার সামছুল আরেফিন শরিফ। -
গ্রেনেড হামলায় নিহতদের স্মরণে ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামী লীগের আলোচনা সভা ও দোয়া।।
আরিফ রববানী ময়মনসিংহ।।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা শেখ হাসিনা এবং আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের হত্যা করে দলকে নিশ্চিহ্ন করাই ছিল ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলার মূল লক্ষ্য। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা দেশে না থাকায় ষড়যন্ত্রকারীদের অসমাপ্ত কাজ সমাপ্ত করতেই বারবার শেখ হাসিনাকে টার্গেট করা হচ্ছে।রবিবার (২১ আগষ্ট) সকাল ১১ টায় টাউন হলে
২১ আগস্ট নারকীয় গ্রেনেড হামলা দিবস উপলক্ষে ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে দোয়া পুর্ববর্তী সংক্ষিপ্ত আলোচনায় দলীয় নেতারা একথা বলেন।ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এড জহিরুল হক খোকার সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট মোয়াজ্জেম হোসেন বাবুল এর সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন,ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামী লীগ এর সহসভাপতি এডভোকেট কবির উদ্দিন ভুঁইয়া, আলহাজ্ব মোমতাজ উদ্দিন মন্তা, যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক এম কদ্দুস, শওকত জাহান মুকুল, সাংগঠনিক সম্পাদক আহাম্মদ আলী আকন্দ, দপ্তর সম্পাদক আবু সাঈদ দীন ইসলাম ফখরুল, বন ও পরিবেশ সম্পাদক মিরন চৌধুরী, আইন বিষয়ক সম্পাদক এডভোকেট জালাল উদ্দীন খান, যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক আলহাজ্ব রেজাউল হাসান বাবু, সাংস্কৃতিক সম্পাদক মোস্তাফিজ বাশার ভাষানী,
সদস্য আলহাজ্ব হাবিবুর রহমান হাবিব, এডভোকেট ইমদাদুল হক সেলিম,এড জিয়াউল হক সবুজ সহ আওয়ামী লীগ সহ বিভিন্ন সহযোগী অঙ্গ সংগঠনে নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেনএসময় জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এড মোয়াজ্জেম হোসেন বাবুল বলেন, ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট রাজনীতির ইতিহাসের রক্তাক্ত ও কলঙ্কিত অধ্যায়। বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যার পরে যেভাবে জেলখানায় জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করে আওয়ামী লীগ ও বাংলাদেশকে নেতৃত্বশূন্য করার অপচেষ্টা করা হয়েছিল, ২১ আগস্টেও একই উদ্দেশ্য ছিল খুনি চক্রের। ওইদিন স্রষ্টার অশেষ রহমতে শেখ হাসিনা প্রাণে বেঁচে যান। সেদিন যা ঘটেছিল তা বাংলাদেশের রাজনীতিতে সবচেয়ে নৃশংস ও নিকৃষ্টতম অধ্যায়। সেই ভয়াবহ গ্রেনেড হামলার দেড় দশক পেরিয়ে গেলেও সেই বিকেলের রক্তের ক্ষত প্রতিটি মানুষের মনে এখনও দগদগে।
এর আগে দিবসটি উপলক্ষ্যে সকালে জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন, কালো পতাকা উত্তোলন; জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় নিহত আইভী রহমানসহ অন্যান্যদের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করে দোয়া মাহফিল করা হয়।
-
গোদাগাড়ীতে যুবলীগের আয়োজনে এক বিশাল বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত।
মোঃ হায়দার আলী, রাজশাহীঃ বঙ্গবন্ধু কন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে বর্বরোচিত ২১ আগস্ট গ্রেনেট হামলার প্রতিবাদে রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার শহিদ ফিরোজ চত্বরে ,যুবলীগের আয়োজনে এক বিশাল বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠান হয়।
রবিবার বিকালে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি উপেক্ষা নেতা কর্মী সমর্থাগণ গোদাগাড়ী পৌরসভা এলাকার প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন শেষে ফিরোজ চত্তর এলাকায় অনুষ্ঠিত এ বিক্ষোভ সমাবেশে উপজেলা চেয়ারম্যান ও যুবলীগের সভাপতি মোঃ জাহাঙ্গীর আলমের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সস্পাদক মাসুদ পারভেজ বিপ্লব, উপজেলা যুবলীগের অর্থবিষায়ক সম্পাদক ও দেওপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ বেলাল উদ্দিন সোহেল, গোদাগাড়ী যুবলীগের সাধারন সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন, সাবেক যুবলীগ নেতা শফিকুল ইসলাম সরকার, কৃষকলীগ নেতা হেলাল উদ্দিন প্রমূখ।
উল্লেখ্য ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেতা ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার সমাবেশে ভয়াবহ গ্রেনেড হামলার ঘটনা ঘটে। হামলায় বঙ্গবন্ধুকন্যা অল্পের জন্য রক্ষা পেলেও সেদিন প্রাণ হারান দলটির ২৪ নেতাকর্মী। তাদের মধ্যে আওয়ামী লীগের তৎকালীন মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের স্ত্রী আইভি রহমানও ছিলেন। আহত হন কয়েকশ। যাদের অনেকে শরীরে শত শত স্প্লিন্টার বয়ে নিয়ে বেড়াচ্ছেন। ভয়াবহ ওই হামলার দেড়যুগ পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত সমাবেশে বক্তাগণ বলেন, আওয়ামী লীগকে নিশ্চিহ্ন করতেই গ্রেনেড লানো হয়েছিল। বিএনপি-জামায়াতের বাধার কারণে গ্রেনেড হামলায় আহতদের চিকিৎসা দেওয়া হয়নি, এমন কি সংসদে রাখা হয়নি শোক প্রস্তাব।
ষড়যন্ত্রকারীরা আবারও আঘাতের প্রস্তুতি নিচ্ছে জানিয়ে নেতৃবৃন্দ দেশবাসীকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দেন। নির্বাচন এলেই নানা ষড়যন্ত্র শুরু হয় জানিয়ে বলেন, ২০০১ সালের কিছু সুশীল ও দুটি দেশের দূতাবাস কর্মীরা ষড়যন্ত্র করে আওয়ামী লীগকে হারিয়ে দিয়েছিল। বক্তাগণ আরো বলেন, বিশ্বের সব জায়গাতেই জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি। পৃথিবীতো আজকে গ্লোবাল ভিলেজ। আজকে আমরা একে অন্যের ওপর নির্ভরশীল। বিশ্বব্যাপী যেখানে পণ্যের দাম বেড়ে যাচ্ছে, আমরা তো এগুলোর বাইরে যেতে পারি না। সেই ধাক্কা আমাদের উপর এসে লাগছে।
দেশের এই অর্থনৈতিক অবস্থা বিবেচনা করে মাত্র ১৫ টাকা কেজিতে ১৫ লাখ মানুষকে চাল দেয়ার ঘোষনা কররছেন প্রধান মন্ত্রী শেখ হসিনা।
রেশন কার্ড এর ব্যবস্থা করা হবে। এক কোটি পরিবার এই রেশন কার্ড পাবে। এখান থেকে ন্যায্যমূল্য তারা তাদের পণ্য কিনতে পারবে। অচিরেই সরকার কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহন করবেন। বিএনপি জামায়াতের মিস্টি কথায় না ভুলে আওয়ামীলীগের সাথে থাকুন, শেখ হাসিনার সাথে থাকুন, ভাল কাজের সাথে থাকুন, উন্নয়নের সাথে থাকুন। পরি শেষে ২১ গ্রেনেড হামলায় নিহিত ও আহতদের জন্য বিশেষ মোনাজাত করা হয়।মোঃ হায়দার আলী
রাজশাহী। -
গোদাগাড়ী উপজেলাসহ উত্তরাঞ্চলের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে ঢোল কলমি বিলুপ্ত প্রায়।
মোঃ হায়দার আলী, রাজশাহী থেকেঃ
ঢোল কলমি, বেড়ালতা বা বেড়াগাছ নামেও পরিচিত। ঢোলকলমি হচ্ছে কনভলভালাসি পরিবারের এক ধরনের গুল্মজাতীয় উদ্ভিদ। এর কাণ্ড দিয়ে কাগজ তৈরি হয়। এই উদ্ভিদের ঔষধিগুণ বিরাজমান। ইংরেজি নাম: pink morning glory
বৈজ্ঞানিক নাম: Ipomoea carnea
বাংলাদেশের প্রায় প্রতিটি গ্রামের পথের ধারে, জলার পাশে, হাওর-বাঁওড়ে সর্বত্র এদের দেখতে পাওয়া যায়। গুল্মজাতীয় উদ্ভিদ, দ্রুত বর্ধনশীল এবং প্রতিকূল পরিবেশে বেঁচে থাকার ক্ষমতা আছে বলে গ্রামাঞ্চলে এই গাছ বাড়ি বা জমিতে বেড়া হিসেবে ব্যবহার করা হয়। ঢোলকলমির চাষ করতে হয় না। আর্দ্র পরিবেশে এর ডালপালা পড়ে থাকলেও আগাছার মতো এই গাছ জন্মে। এই গাছে দৃষ্টিনন্দন ফুল হয়। ফুল দেখতে মাইক বা ঘণ্টার আকৃতির। রং হয় হালকা বেগুনি ও সাদা। কথিত আছে, এই ফুলের আদি নিবাস সুদূর দক্ষিণ আমেরিকার পেরু ও বলিভিয়ায়। সেখানকার পাহাড়ি এলাকা থেকে স্প্যানিশ পাদরি সাহেবরা সপ্তদশ শতকে হিমালয়ের কাশ্মীর ও কাংড়া উপত্যকায় গির্জার বাগানে লাগানোর জন্য এটি নিয়ে আসেন। ধারণা করা হয়, সেখান থেকে ছড়িয়ে পড়ে গোটা ভারতবর্ষে। কলমি পরিবারের উদ্ভিদ হলেও ঢোলকলমি লতাজাতীয় নয়। ফাঁপা কাণ্ড নিয়ে ঢোলকলমি বেড়ে ওঠে।দেশে অযত্নে অবহেলায় জন্ম নেয়া ঢোলকলমি গাছের ফুল যেকোন বয়েসি মানুষের নজর কাড়বে। পাঁচটি হালকা বেগুনি পাপড়ির ফুল দেখতে বেশ আকর্ষণীয়। সারা বছরই ঢোল কলমির ফুল ফোটে। তবে বর্ষার শেষে শরৎ থেকে শীতে ঢোলকলমি ফুল বেশি দেখা যায়। একটি মঞ্জরিতে চার থেকে আটটি ফুল থাকে। ফুলে মধুর জন্য কালো ভোমরা আসে।
এ গাছ অল্পদিনের মধ্যেই ঘন ঝাড়ে পরিণত হয়। এ গাছ জমির ক্ষয়রোধ করে ও সুন্দর ফুল দেয়।দেশের গ্রামাঞ্চলে এই গাছ জমির বেড়া হিসেবে ব্যবহার করা হয়। অনেকে আবার জ্বালানি হিসেবেও ব্যবহার করে। নদীর তীরে কিংবা বিশাল ফসলের মাঠে ঢোল কলমি জন্মে পাখির বসার জায়গা করে দেয়। এ গাছে বসে পাখি পোকামাকড় খায়। ফুলের মধু সংগ্রহ করতে কালো ভোমরার আনাগোনা দেখা যায়। গ্রামের শিশুরা ঢোলকলমির ফুল দিয়ে খেলা করে।
এক সময় রাজশাহী গোদাগাড়ী উপজেলাসহ উত্তরাঞ্চলের গ্রাম অঞ্চলে অধিকংশ পরিবার ফসলের ক্ষেত, পুকুর ও বসতবাড়ির চারপাশে বেড়ার প্রধান উপকরণ হিসেবে এই ঢোল কলমি ব্যবহার করছে। কেউ কেউ কলমি গাছের সাথে নেট ও বাঁশের চটা ব্যবহার করে বেড়াকে শক্তিশালী করছে। অনেকেই অতিরিক্ত অংশ রান্নার কাজে জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করছে। ঢোল কলমির বীজ ও পাতায় বিষাক্ত উপাদান থাকে, এবং তেতো স্বাদের সাদা কষ থাকায় এর পাতা গরু ছাগল খায় না। তাই বেড়া হিসেবে এটা ব্যবহারের চাহিদা বেশি। ঢোল কলমি খরা ও বন্যায় সহনীয় বলে প্রতিকুল পরিবেশেও টিকে থাকতে পারে। সহজেই মারা যায় না, খাল বিল ডোবা এবং খোলামেলা পরিবেশে বংশবৃদ্ধি করে। কীটপতঙ্গভুক পাখি ঢোলকলমির ডালে বসে পোকা ধরে খায়। গত ৯০ দশকে পোকার ভয়ে এ গাছ ধ্বংস করার একটা হিড়িক পড়ে গিয়েছিল। দেশজুড়ে ভয়ংকর আতঙ্ক ছড়িয়েছিল ঢোলকলমি গাছে থাকা একধরনের পোকা। গুজব রটে যায়, এই পোকা এতটাই ভয়ংকর যে, কামড় দিলে মৃত্যু অবধারিত, এমন কি স্পর্শ লাগলেও জীবন বিপন্ন হতে পারে।
এইসব খবর রেডিও, টিভি, পত্রিকায় মহামারীর মৃত্যুর খবরের মত কবে কজন মরল কজন হাসপাতালে গেল সেরকম ভাবে প্রচারিত হয়েছিল মাসজুড়ে। সারাদেশে সাধারণ মানুষ গণহারে, এমন কি স্থানীয় প্রশাসনও ঢোলকলমি গাছ কেটে সাবার করেছিল। এই বিদঘুটে নামের পোকাটি যে ত্রাস সৃষ্টি করেছিলো আমাদের এই দেশে, তার জুড়ি মেলা ভার! শুধু গ্রামে না, ঢোল কলমি পোকার আতঙ্ক ছড়িয়ে গেছিলো খোদ ঢাকা শহরেও। এটা না কি খুব বিষাক্ত এক পোকা, যার সংস্পর্শে আসলেই নির্ঘাৎ মৃত্যু। আতঙ্ক এই পর্যায়ে পৌঁছেছিলো, যে ছোট বড় সবাই তটস্ত থাকতো কখন যেনো কি হয়। আতংক যখন চরম পর্যায়ে তখন টিভিতে একজন বিশেষজ্ঞ পোকাটি ধরে এনে নিজের হাতের উপর ছেড়ে দিয়ে হাটিয়ে, তারপর হাত দিয়ে পিষে মেরে দেখিয়ে প্রমাণ করেছিলেন যে এটি আসলে খুবই নিরীহ একটি কীট, মোটেও প্রাণ সংহারী নয়। এরপর থেকেই আতঙ্ক কেটে যায়।
ঢোলকলমি আতঙ্ক, গুজব এবং মিডিয়ার ভূমিকা এখন শিক্ষার বিষয়। এই ঢোল কলমি অথচ নদীতীর, খালপাড়ের মাটিকে শক্ত করে ধরে রাখা, ভূমিক্ষয় রোধ, ভাঙনরোধে ঢোলকলমি গাছের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে। ঢোলকলমি ফুল সারা বছরই ফোটে। তবে বর্ষার শেষ ভাগ থেকে শরৎ-শীতে প্রস্ফুটনের জোয়ার থাকে বেশি। একটি মঞ্জরিতে ৪-৮টি ফুল থাকে। ফানেলাকার আকৃতির ফুল। পাঁচটি হালকা বেগুনি বা হালকা গোলাপি পাপড়ি। ফুলে মধুর জন্য কালো ভোমরা আসে।পবা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ শফিকুল ইসলাম বলেন, ঢোল কলমি বেড়া এবং জ্বালানি হিসেবে বেশ ভালো। অনেক আগে থেকেই ব্যবহার হয়। চাষ ছাড়াই হয়, সহজে মরে না। এটা উৎপাদনে কোন খরচ হয় না।
গোদাগাড়ী উপজেলার মহিশালবাড়ী মহল্লার গৃহস্থ হাসেম শেখ বলেন, এটা খুবই উপকারী গাছ। এই আলহাজ্ব আব্দুল মাতিন বলেন, সবচেয়ে বড় সুবিধা হল গরু ছাগলে না খাওয়ায় এটা বেড়া হিসেবে ব্যবহার করা যায়। নদীতীর ভাঙন রক্ষা করে। অনেক সময় রান্নার কাজেও জ্বালানী হিসেবে ব্যবহার করা হয়।
বাংলাদেশের গ্রামাঞ্চলে প্রাকৃতিক বেড়া হিসেবে পরিচিত এই ঢোল কলমির। প্রাণ ও প্রকৃতি সুরক্ষায় মূল্যবান উদ্ভিদকে সংরক্ষণের ও সম্প্রসারণের জন্য সকলের উদ্যোগ গ্রহণ করা উচিত।মোঃ হায়দার আলী
রাজশাহী। -
সাধ আছে সাধ্য নেই
মিলন মিয়া ক্ষেতলাল উপজেলা প্রতিনিধ: ক্ষেতলাল উপজেলা ছোট তারা গ্ৰামের মেয়ে সুমাইয়া আক্তার।
সুমাইয়া মধ্যবিত্ত পরিবারের মেয়ে সে লেখাপড়ার পাশাপাশি গান ভাল গান করে। কিন্তূ সাধ আছে সাধ্য নেই হতদরিদ্র পরিবারের মেয়ে সুমাইয়া।
সুমাইয়া বলে আমি ভাল গান গাইতে পারি, কিন্তূ আমার পরিবার হতদরিদ্র হওয়ার কারণে আমি ভাল কিছু করতে পারি।
নেই ভাল গান গাওয়া মত সরঞ্জাম।
অত্র এলাকায় গিয়ে দেখা যায় গ্ৰামের ছোট বড় সবার মুখে শোনা যায় সুমাইয়া ভাল গান করে, কিন্তূ তার পরিবার সচ্ছল না হওয়ায় পিছিয়ে পড়ে সুমাইয়া।
সুমাইয়া বাবা শফিউল ইসলাম বলেন আমার মেয়ের প্রতিভা আছে কিন্তূ আমাদের সাধ্য নেই।
শফিউল ইসলাম বলেন আমার মেয়েকে আমি অনেক বড় প্লাটফর্মে দেখতে চাই, হয়তো দারিদ্র্যতার কারণে আমার সপ্ন হয়তো সপ্নই থেকে যাবে।
এতে শফিউল ইসলাম বলেন সমাজের বৃত্তবান কোনো মানুষ এগিয়ে আসলে আমার মেয়ে সুমাইয়া ভাল কিছু করতে পারবে।
সুমাইয়ার গান শুনে অত্র এলাকায় সহ তার গ্ৰামের সবাই মুগ্ধ।
সুমাইয়া সহ তার পরিবার সহযোগিতা কামনা করেন। -
মোংলায় ২১ আগষ্ট উপলক্ষে বিক্ষোভ মিছিল আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল
মোংলা প্রতিনিধি।
মোংলায় ছাত্র লীগের উদ্যোগে আলোচনা সভা বিক্ষোভ মিছিল ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার (২১ আগষ্ট) বেলা ১১ টায় মোংলা উপজেলা, পৌর ও কলেজ ছাত্র লীগের উদ্যোগে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। বিক্ষোভ মিছিলটি মোংলা উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয় থেকে বের হয়ে মোংলার গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলোর প্রদক্ষিণ করে দলীয় কার্যালয়ে এসে শেষ করে। পরে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা ছাত্র লীগের সভাপতি শিকদার ইয়াছিন আরাফাত’র সভাপতিত্বে , আলোচনা সভায় বক্তারা ২১ আগষ্টের হামলাকারীদের ফাঁসির দাবি জানান এবং হামলায় নিহত সকল শহীদদের আত্মার শান্তি কামনা করেন। বক্তারা বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যায় সাজাপ্রাপ্ত যেসব আসামী এখনো বিদেশে পালিয়ে আছে, তাদের দেশে ফিরে এনে রায় কার্যক্রমের দাবি জানাচ্ছি। ১৫ আগস্ট ও ২১ আগস্ট হামলায় পেছনে যারা ছিল, জীবিত বা মৃত যাই হোক না কেন, কমিশন গঠন করে তাদের সকলের নামের তালিকা জাতির সামনে তুলে ধরার দাবি জানাচ্ছি।
দেশের স্বাধীনতাকে মুছে ফেলতে চেয়েছিল খুনিচক্র। খুনিচক্রের সেই অপচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে। সকল চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করে বঙ্গবন্ধুকন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে, আরো এগিয়ে যাবে। আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন মোংলা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বাবু সুনীল কুমার বিশ্বাস, মোংলা পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি পৌর মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ আব্দুর রহমান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ ইব্রাহীম হোসেন, পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ কামরুজ্জামান জসিম, বাংলাদেশ ছাত্র লীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের উপদপ্তর সম্পাদক শেখ ইমরান হোসেন, মোংলা উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মো. ইস্রাফিল হাওলাদার, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি ইমরান বিশ্বাস, পৌর যুব মহিলা লীগের সভাপতি সুমী লীলা, উপজেলা ছাত্র লীগের সাধারণ সম্পাদক সজীব খান, পৌর ছাত্র লীগের সভাপতি কাজী রানা, সাধারণ সম্পাদক বাপ্পি শেখ, কলেজ ছাত্র লীগের সভাপতি সানি সাধারণ সম্পাদক রাসেল সহ মোংলা উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বৃন্দ, কাউন্সিলর বৃন্দ, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক বৃন্দ, সকল ইউনিয়ন ও পৌর ছাত্র লীগের সকল ওয়ার্ডের সভাপতি সাধারণ সম্পাদক সহ আওয়ামীলীগের বিভিন্ন ইউনিটের নেতাকর্মীরা। সভা শেষে ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলায় শহীদদের স্মরণে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। -
বানারীপাড়ায় রাতে ট্রলারের ধাক্কায় ব্রীজ ক্ষতি গ্রস্থ
বিশেষ প্রতিনিধি।
বরিশালের বানারীপাড়ায় রাতে ট্রলারের ধাক্কায় একটি আয়রন ব্রীজ ক্ষতি গ্রস্থ হওয়ায় জন চলাচলে দূর্ভোগ হচ্ছে। শনিবার ২০ আগষ্ট রাতে উপজেলার সৈয়দকাঠী ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের মালিকান্দা গ্রামের খালের পশ্চিম পাশে নির্মিত আয়রন ব্রীজটি মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এলাকাবাসী জানায়, ১৯ আগষ্ট শুক্রবার রাতে ট্রলারের ধাক্কায় ব্রীজটি দুমড়ে মুচড়ে যায়। এ জন্য ব্রীজের উপর দিয়ে জন চলাচল এবং ব্রীজটির নীচ থেকে কোন নৌকা, ট্রলার চলাচল করতে পারছে না। গুরুত্বপূর্ণ ব্রীজটি দিয়ে চলাচলে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা এবং সাধারণ মানষ দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। এলাকাবাসী যথাযথ কর্তৃপক্ষের নিকট আবেদন করেছে। এ ব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আনোয়ার হোসেন মৃধা জানান, অতি শীঘ্রই ব্রীজটি সংস্কারের ব্যবস্থা নেয়া হব। -
ক্ষেতলালে জাতীয় পার্টির দোয়া মাহফিল ও বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত
এস এম মিলন জয়পুরহাট জেলা প্রতিনিধিঃ
জয়পুহাটের ক্ষেতলালে কেন্দ্রিয় জাতীয়
পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের এমপির সড়ক দূর্ঘনা থেকে রক্ষা।
পল্লীবন্ধু হোসাইন মোহাম্মদ এরশাদ ও ক্ষেতলাল উপজেলা জাতীয় পার্টির
সাবেক সভাপতি মরহুম মোতালেব হোসেন, সাধারণ সম্পাদক মরহুম
আবু সাঈদসহ দলীয় নেতৃবৃন্দের রুহের মাগফিরাত কামনা করে রবিবার
বিকেল ৫টায় উপজেলা জাতীয় পার্টির অস্থায়ী কার্যালয়ে মিলাদ ও
দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা জাতীয়
পার্টির সভাপতি মাহফুজার রহমান।
পরে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের অস্বাভাবিক ঊদ্ধোগতির প্রতিবাদে
এবং কৃষকের উৎপাদিত ফসলের ন্যায্য মূল্যের দাবিতে উপজেলা জাতীয়
পার্টির সভাপতি মাহফুজার রহমানের নেতৃত্বে বিক্ষোভ সমাবেশ শেষে
বক্তব্য রাখেন। প্রধান অতিথি, জয়পুরহাট জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি
হেলাল উদ্দিন, প্রধান বক্তা জাতীয় পার্টির কেন্দ্রিয় কমিটির যুগ্ম
সাংগঠনিক সম্পাদক ও জেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক
তিতাস মোস্তফা। বিশেষ অতিথি জয়পুরহাট সদর উপজেলা সভাপতি
লোকমান হোসেন, পাঁচবিবি উপজেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি
মমতাজুর রহমান বাচ্চু, কালাই উপজেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি
এনামুল কবির, আক্কেলপুর উপজেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি এমএ ওহাব
চৌধুরী, জেলা জাতীয় ছাত্র সমাজের সভাপতি শামীম ইশতিয়াক জেম,
ক্ষেতলাল উপজেলা ছাত্র সমাজের নেতা মুকুল হোসেন প্রমুখ। -
ক্ষেতলালে কিটনাশক দোকানে সিঁদ কেটে ১০লক্ষাধিক টাকার মালামাল চুরি
এস এম মিলন জয়পুরহাট জেলা প্রতিনিধিঃ
জয়পুরহাটের ক্ষেতলালে কিটনাশক
দোকানে সিদ কেটে ১০ লক্ষাধিক টাকার মালামাল ও নগদ ১ লক্ষ টাকা
চুরির করেছে দূবৃত্তরা। শনিবার দিবাগত রাতে কোন এক সময় পৌর
এলাকার ইটাখোলা হাইস্কুল মাকের্টের মেসার্স আলিফ ট্রেডার্র্স
নামের কিটনাশকের দোকানে উল্লেখিত পরিমান মালামাল ও নগদ টাকা
চুরির ঘটনা ঘটে।
আলিফ ট্রেডার্সের স্বত্তাধিকারী ওসমানুজ্জামান বলেন, ইটাখোলা
হাইস্কুলের নৈশ্য প্রহরী তোফাজ্জল হোসেন ওই দিন সকালে মোবাইল
ফোনে জানান স্কুলে পরিত্যাক্ত ভবনের রুমের ভিতর থেকে আপনার দোকানে
দেয়ালে সিদ কেটেছে চোরেরা। খবর পেয়ে দোকান খুলে দেখি পূর্ব
দিকের দেয়ালে সিদ কেটে সিনজেন্টা এবং অন্যান্য কোম্পানির
কিটনাশক ও নগদ টাকাসহ প্রায় ১১ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়েছে।
এবষিয়ে ক্ষেতলাল থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রওশন ইয়াজদানী বলেন,
বাজারে নৈশ্য প্রহরী থাকা অবস্থায় এমন চুরির ঘটনা দূঃখ্যজনক। চুরির
মালামাল উদ্ধারের চেষ্টা চলছে, প্রকৃত অপরাধীকে চিহ্নিত করে আইনের
আওতায় আনা হবে।