Category: দেশজুড়ে

  • মঠবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদ পরিদর্শন করেন ত্রিশালের ইউএনও আক্তারুজ্জামান

    মঠবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদ পরিদর্শন করেন ত্রিশালের ইউএনও আক্তারুজ্জামান

    আরিফ রববানী ময়মনসিংহ।।
    ,বাল্যবিবাহ,মাদক নির্মুলসহ বিভিন্ন অনিয়ম,দুর্ণীতি প্রতিরোধ করে স্বচ্ছ ও জনবান্ধব, জবাবদিহিতা মোলক জনপ্রশাসন কে জনগণের দোরগোড়ায় উপহার দিতে ময়মনসিংহে
    ত্রিশাল উপজেলাধীন মঠবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদ পরিদর্শন করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার আক্তারুজ্জামান । এর আগে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আক্তারুজ্জামান মঠবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদে উপস্থিত হলে তাকে স্বাগত জানান পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল কদ্দুস মন্ডলের নেতৃত্বে ইউপি সচিব নুরুল ইসলাম ও ইউপি সদস্যসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গরা।

    উপজেলা নির্বাহী অফিসার আক্তারুজ্জামান ইউনিয়ন পরিষদের সব সদস্য ও গ্রাম পুলিশের সাথে মতবিনিময় করে। পরে ভোটার তালিকা হাল নাগাদ কার্যক্রম, ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কেন্দ্র, ভূমি অফিস পরিদর্শন করেন নবাগত ইউএনও আক্তারুজ্জামান। ইউএনও ইউনিয়নের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প ঘুরে ঘুরে দেখেন।এ সময় উপস্থিত ছিলেন ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল কদ্দুস মন্ডল, ইউপি সচিব নুরুল ইসলাম, বিভিন্ন ওয়ার্ডের সদস্য, গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, ইউনিয়ন স্বাস্থ্য সহকারী ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের ভিজিটর, ইউডিসির পরিচালক, গ্রাম আদালতের সহকারী ও গ্রাম পুলিশবৃন্দ।

    এসময় ইউএনও আক্তারুজ্জামান বলেন, মাদক ও বাল্য বিবাহ প্রতিরোধে ইউনিয়ন পরিষদের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। জনপ্রতিনিধি ও গ্রাম পুলিশেদের হাতের নাগালে এবং আসেপাশেই এই দু’টি অপরাধ সংঘটিত হয়। তারা ইচ্ছে করলেই এমনিতেই অপরাধ বন্ধ হয়ে যাবে।

    চেয়ারম্যান আব্দুল কদ্দুস মন্ডল বলেন, ইউনিয়নের ব্যবহৃত বিভিন্ন রেজিস্টার, নথিপত্র, হিসাবের বিবরণী, মাসিকসভা ও অন্যান্য সভার কার্যবিবরণী, নোটিশ ইস্যু কর্মচারী হাজিরা, ডিজিটাল সেন্টারের কার্যক্রমসহ সব বিষয়ে তদন্ত করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার আক্তারুজ্জামান। তিনি পরিষদের সাধারণ ও সংরক্ষিত আসনের নারী সদস্যদের অধিকার বিষয়েও তদন্ত করছেন।

    চেয়ারম্যান আব্দুল কদ্দুস মন্ডল আরও বলেন, আগামি দিনগুলোতে নাগরিক সেবার মান বাড়াতে এবং পরিষদের কার্যক্রম পরিচালনায় আরো আধুনিকায়নের জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়ার পরামর্শ দেন। পরিষদের দায়িত্ব পালনের প্রথম বছরে এই মূল্যায়ন আগামি দিনে নিজ দায়িত্ব পালন ও পরিষদ পরিচালনায় আরো শক্তি ও সাহস যোগাবে বলেও মনে করেন তিনি।

  • তারাকান্দায় বাজারে ইউএনও’র অভিযানে ৩৯হাজার টাকা জরিমানা আদায়।

    তারাকান্দায় বাজারে ইউএনও’র অভিযানে ৩৯হাজার টাকা জরিমানা আদায়।

    আরিফ রববানী,ময়মনসিংহ: তারাকান্দায় বাজারের নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য ও ইউরিয়া সার,জ্বালানিসহ কৃষিপন্যের ঊর্ধ্বগতিরোধে ও মুল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে বাজার মনিটরিং করেছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিজাবে রহমত ।

    বুধবার (২৪আগষ্ট) দুপুরে তারাকান্দা বাজারের বিভিন্ন দোকানে এই মনিটরিং করতে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিজাবে রহমত।

    এসময় মৎস্য খাদ্য ও পশু খাদ্য আইন ২০১০ মোতাবেক মৎস্য খাদ্য দোকানে ৩০হাজার টাকা,পণ্য বিক্রয়ে পাটের ব্যাগ ব্যবহার না করায় পণ্যে পাটজাত মোড়কের বাধ্যতা মূলক ব্যবহার আইন ২০১০ আইন মোতাবেক ৬হাজার টাকা,সার ব্যবস্থাপনা আইন ২০০৬ এর ১২ ধারা মোতাবেক সারের দোকানে ৩হাজার সহ সর্বমোট ৩৯হাজার টাকা জরিমানা আদায়সহ পণ্যের মূল্যতালিকা প্রদর্শণ না করায় একাধিক দোকানিকে মুল্যতালিকা প্রদর্শনের জন্য ও সরকার নির্ধারিত মূল্যের বেশি মূল্য না নেয়ার আহবান জানান নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিজাবে রহমত।

    এছাড়াও তিনি তেলের দোকান, মিষ্টির দোকান, কাঁচামালের দোকান, ঔষধের দোকান, ফল ও সব্জির দোকান,তেলের পাইকারি ক্রয় মুল্য কত এবং বর্তমানে বাজারে বিক্রয় মুল্য কত পরিদর্শন করে এসব যাচাই করেন। সরকার নির্ধারিত মূল্যের অতিরিক্ত মূল্যে বিক্রি না করতে ব্যবসায়ী নেতাদের ও ব্যবসায়ীদের নির্দেশনা দেন। সরকার নির্ধারিত মূল্যের অতিরিক্ত মূল্যে পণ্য বিক্রি করলে দায়ীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও সতর্ক করেন এই কর্মকর্তা।
    এসময় তার সাথে সহকারী কমিশনার ভূমি জিন্নাত শহিদ পিংকি, কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার জনাব কাওসার আহমেদ খান, মৎস্য কর্মকর্তা আবু বকর সিদ্দিক ও তারাকান্দা থানার সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

    মূল্য নিয়ে কারসাজি না করা এবং বাধ্যতামূলকভাবে পণ্যের ক্রয় রসিদ সংরক্ষণের বিষয়ে সার ব্যবসায়ীদের সতর্ক করা হয়। এ প্রসঙ্গে ইউএনও মিজাবে রহমত বলেন, নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য ও পশুখাদ্যের গুণগত মান বজায় রাখাসহ মূল্যের ঊর্ধ্বগতিরোধে এবং বাজারে ইউরিয়া সার মজুদ বন্ধে ও নির্ধারিত মূল্য বাস্তবায়ন এবং নিয়ন্ত্রণে রাখতে নিয়মিত এই মনিটরিং কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে । অসাধু ও অনৈতিক ব্যবসার ক্ষেত্রে জিরো টলারেন্স প্রদর্শন করা হবে বলেও জানান ইউএনও মিজাবে রহমত।

    এদিকে বাজারে দ্রব্যমূল্যের উর্ধগতি নিয়ন্ত্রণে ইউএনও’র অভিযানে সন্তুষ প্রকাশ সহ ধন্যবাদ জানাচ্ছেন তারাকান্দা উপজেলার সর্বস্তরের জনগণ।

  • গোদাগাড়ীতে ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ১৪৪ ধারা ভেঙ্গে জমি দখলের অভিযোগ।

    গোদাগাড়ীতে ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ১৪৪ ধারা ভেঙ্গে জমি দখলের অভিযোগ।

    হায়দার আলী,
    নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী : রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার পাকড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জালাল উদ্দীনের বিরুদ্ধে আদালতের ১৪৪ ধারা নিষেধাক্কা অমান্য করে জোরপূর্বক জমি দখল ও এলাকায় ত্রাস সৃষ্টি অভিযোগ উঠেছে। একটি পক্ষের হয়ে এমন অবৈধ কর্মকান্ডের অভিযোগ তুলে তাকে চেয়ারম্যানের পদ থেকে বরখাস্ত চেয়ে গত ২ আগস্ট রাজশাহী জেলা প্রশাসক বরাবার আবেদন করেছেন পাকড়ী ইউনিয়নের মোশড়া পাড়া গ্রামের আজাহার আলী।

    জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত আবেদন আজাহার আলী বলেন, গোদাগাড়ী উপজেলার ৩ নং পাকড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জালাল উদ্দীন একজন মাতাল ও সন্ত্রাসী। পাকড়ী ইউনিয়নের হাজী মানিকুল্লাহ্ ওয়াক্ফ এস্টেটের মোতওয়াল্লী আসিকুল ইসলাম চাঁদের নিকট থেকে এস্টেটের ৫১ বিঘা সম্পত্তি লিজ গ্রহণ করি এবং তার সাথে ৫ বছরের জন্য লিজ চুক্তি সম্পাদিত হয়। এক বছরের লিজ মানি বাবদ তিন লক্ষ ছয় হাজার টাকা প্রদান করা করি।

    এর পর থেকেই পাকড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জালাল উদ্দীনের সহযোগিতায় সেই সম্পত্তি থেকে বেদখল করার চেষ্টা করলে চেয়ারম্যানের সন্ত্রাসী বাহীনির বিরুদ্ধে রাজশাহী জেলা অতিরিক্ত ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ফৌজদারী কার্যবিধি ১৪৪ ধারা মোতাবেক মামলা দায়ের করা হয়। যার নং ৭৪১ পি/২২ (গোদাগাড়ী)। আদালত প্রতিপক্ষ আসিকুল, ইউপি চেয়ারম্যান জালাল উদ্দীন, রজব আলীসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে গত ১৩ জুলাই অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রোজ সাবিহা সুলতানা ১৪৪ ধারা আদেশ প্রদান করেন।

    এই ১৪৪ ধারার বিষয়টি চেয়ারম্যান অবহিত হওয়ার পর তার সন্ত্রাসী বাহীনিকে লিজকৃত সম্পত্তি জোর পূর্বক দখলের প্রকাশ্যে হুকুম দিলে তারা ওই সম্পত্তিতে লাঠি-লাদনা নিয়ে নেমে পড়ে এবং জমিতে কর্মরত আজাহার আলীর কামলাদেরকে লাঠি-লাদনা, হাসুয়াদিয়ে আঘাত করে রক্তাক্ত জখম করে। এর পর চেয়ারম্যানসহ তার সন্ত্রাসী বাহীনির বিরুদ্ধে আমলী আদালতে মামলা করা হয়। মামলায় চেয়ারম্যান জালাল উদ্দীন গত ২৪ ফেব্রুয়ারী আদালতে আত্নসমার্পন করে জামিন চাইতে গেলে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে জেলা হাজতে প্রেরণ করেন। সেই মামলায় ৭ দিন হাজত বাসের পর অস্থায়ী জামিন মঞ্জুর করেন।

    জামিনে মুক্তি পাওয়ার পর চেয়ারম্যানের সন্ত্রাসী তৎপরতা বৃদ্ধি পায়। চেয়ারম্যান তার সন্ত্রাসী বাহীনি দিয়ে খুন-জখমের হুমকি দিয়ে আজাহারের বাড়ীতে লাঠি,রড় ও হাসুয়া নিয়ে উপস্থিত হয়ে আজাহারের ছোট ভাই আবুল বাশার এবং ছোট ছেলে ইঞ্জিনিয়ার গুরুতর জখম করে। এই ঘটনায় পুনরায় চেয়ারম্যানসহ তার লোকজনকে আসামী করে মামলা দায়ের করা হয় । ওই মামলাতেও সে জামিন গ্রহণ করে। বর্তমানে চেয়ারম্যান আজাহার আলীসহ তার পরিবারকে মামলা তুলে না নিলে গ্রামে ঢুকতে দেওয়া হবে না বলে হুমকি অব্যহত রেখেছেন বলে আজাহার আলী ও তার পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা অভিযোগ করছেন।

    এই বিষয়ে পাকড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জালাল উদ্দীনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে এমন কোন তথ্য জানা নেই বা কোন নোটিশ আমার কাছে আসেনি। আর জমি দখলের বিষয়ে আমি জড়িত না। আজাহার আলী একের পর এক মামলায় আমাকে জাড়াচ্ছে। এসব বিষয় নিয়ে মিমাংসার উদ্যোগ নিলেও আজাহার আলী অনুপস্থিত ছিলেন। থানার ওসি এই বিষয়টি অবগত আছেন বলেও জানান।

    এই বিষয়ে গোদাগাড়ী থানার কাকনহাট তদন্ত কেন্দ্রের এসআই মতিউর রহমান বলেন, ১৪৪ ধারা জারির বিষয়ে যাদের নাম আছে তারা সকলেই অবগত আছেন এবং এর প্রতিবেদন আদালতে পাঠানো হয়েছে বলে জানান।

    চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অভিযোগের বিষয়ে রাজশাহী জেলা প্রশাসকের সাথে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোর চেষ্টা করা হলেও ফোনটি রিসিভ না করায় বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

    নিজস্ব প্রতিবেদক,
    রাজশাহী।

  • বাংলাদেশী যুবকে পিটিয়ে হত্যা ভারতীয় সীমান্তে

    বাংলাদেশী যুবকে পিটিয়ে হত্যা ভারতীয় সীমান্তে

    মোঃ বাবুল হোসেন পঞ্চগড়
    পঞ্চগড়ে সীমান্ত অতিক্রম করে ভারতে প্রবেশে করায় গরু চোর সন্দেহে সালাম (৩৫) নামে এক বাংলাদেশী যুবকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। দিনের আলোয় ভারতীয় এলাকার সীমান্তের চাবাগান থেকে ওই বাংলাদেশীকে যুবকে ধরে চোর সন্দেহে গণধোলাই দেয় ভারতীয় স্থানীয়রা।

    পঞ্চগড়ের সাতমেরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম রবি জানান, সালাম নামে ওই যুবক একজন গরু ব্যবসায়ী। এ ঘটনায় নিহতের পরিবার মরদেহ দেশে ফিরিয়ে আনতে বিজিবি কাছে সহায়তা চেয়ে একটি আবেদন করেছে। বিজিবি ও ভারতীয় সীমান্ত বাহিনীর (বিএসএফ) সাথে যোগাযোগ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করছে। আশা করি সকল প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ ফিরিয়ে আনা হবে।

    বিভিন্ন সূত্রে ও ভারতীয় গণমাধ্যমে জানা যায়, ওই বাংলাদেশি যুবক রাজগঞ্জ ব্লকের ভারত – বাংলাদেশ সীমান্ত এলাকার লাগোয়া ১৯৫ ব্যাটলিয়নের চাউলহাটি সংলগ্ন বড়ুয়া পাড়া গ্রামে বুধবার রাত তিনটা নাগাদ দুটি বাড়িতে গরুর চুরি করতে একদল চোরের সাথে ঢুকে। এসময় স্থানীয়রা টের পেয়ে চিৎকার করলে গরু রেখে চোরেরা পালিয়ে যায়।

    এসময় সীমান্ত লাগোয়া গ্রামে চা বাগানে চোরেরা আশ্রয় নিলে রাত থেকে সকাল পর্যন্ত গ্রামবাসীদের পাহারায় সকালের সূর্যের আলোয় তাকে ধরে স্থানীয়রা। একই সময় গ্রামবাসীদের গণধোলাইয়ের মৃত্যু হয় ওই বাংলাদেশি যুবকের। ভারতের রাজগঞ্জ থানার পুলিশ খবর পেয়ে বিষয়টি তদন্তে নেমেছে। এদিকে বিজিবিও বিষয়টি তদন্ত করে দেখছে বলে জানা গেছে।

    জানা যায়, মঙ্গলবার (২৩ আগস্ট) দিনগত গভির রাতে ভারতের জলপাইগুড়ি জেলার রাজগঞ্জ ব্লকের ভারত – বাংলাদেশ সীমান্ত এলাকার চাউলহাটি সংলগ্ন বড়ুয়া পাড়া গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটে। নিহত বাংলাদেশি যুবক সালাম পঞ্চগড় সদরের সাতমেরা ইউনিয়নের কাহারপাড়া এলাকার মৃত শহিদুল ইসলামের ছেলে।

  • নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়ে বাঁশের বেড়া দিয়ে বিদ্যালয়ের মাঠ দখল

    নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়ে বাঁশের বেড়া দিয়ে বিদ্যালয়ের মাঠ দখল

    মো:বাবুল হোসেন পঞ্চগড় ;
    নাতিকে বিদ্যালয়ের অফিস সহায়ক পদে নিয়োগ দিতে সমঝোতা হয়নি বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে। বিদ্যালয়ের মাঠ দখল করে বাঁশের বেড়া দিয়ে ঘেরা দিয়েছেন এক ব্যক্তি ঘটনাটি পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলায়।
    বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের মাঠের সব জমি তাদের দাবি করলেও ওই ব্যক্তির বাঁশের বেড়া দেওয়া অংশটুকু তাদের এদিকে মাঠে বেরা দেওয়ায় দৈনিক সমাবেশ ও খেলাধুলা করতে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে শিক্ষার্থীদের ঘটনার কয়েক দিন পেরিয়ে গেল বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নিতে দেখা যায়নি এতে শিক্ষার পরিবেশগত হওয়ার আশঙ্কা এলাকাবাসীর।

    পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলা বেংহারী বনগ্রাম ইউনিয়নের মানিকপুর উচ্চ বিদ্যালয় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠএকটি। মাঠের পশ্চিমে প্রাথমিক আর পূর্বে মাধ্যমিক বিদ্যালয়।

    মাধ্যমিক বিদ্যালয় অফিস সহায়ক পদে নিজের নাতি নিশাতকে নিয়োগ দিতে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সম্মত না হওয়ায গত ৮ আগস্ট নিজের দাবী করে ১৩ শতক জমি দখল করে নিয়েছে এলাকার দবির উদ্দিন এবং উক্ত জমির উপরে একটি বাটোয়ারা মামলা করেছেন আদালতে।
    তার দাবি ৫ লক্ষ টাকা নিয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলাম তার নাতিকে নিয়োগ না দিয়ে বেশি টাকা নিয়ে অন্য প্রার্থীকে নিয়োগের চেষ্টা করেছে। টাকা নেওয়ার কথা অস্বীকার করছেন প্রধান শিক্ষক তাই তারা এই ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হয়েছে। এমনকি নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ স্কুলে বিভিন্ন দপ্তরে দিয়েছেন লিখিত।

    নিয়োগ নিয়ে মাঠ দখলে পরিস্থিতির প্রতিষ্ঠানদুটি প্রায় ছয় শতাধিক শিক্ষার্থীর লেখাপড়ার পরিবেশ ব্যাহত হওয়ার পাশাপাশি কোমলমতি শিক্ষার্থীরা পড়েছেন দুশ্চিন্তায়।

    বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য ফরহাদ হোসেন বলেন বহু পুরনো এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান দুটি জমি রয়েছে।

    অথচ দবির উদ্দিন ও তার ছেলে বিদ্যালয়ের মাঠ দখল করে তাদের দাবি করেছেন।

    এদিকে দবির উদ্দিন বলেন এই বিদ্যালয়ের ছুটির জন্য জমি দিয়েছি আমরা ১৩ শতক জমি বিদ্যালয় দখলে ছিল আমরা বারবার বিষয়টি সুরাহা করার চেষ্টা করেছিলাম কিন্তু উনারা শোনেননি। সম্প্রতি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অফিস সহায়ক পদে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করলে আমার নাতি নিশাত আবেদন করে তাকে নেওয়ার বিপরীতে তারা বিদ্যালয় জমির বিষয়টি সমাধান করে দিবে বলে জানান জমির পাশাপাশি ৫ লাখ টাকা প্রধান শিক্ষককে দেই কিন্তু প্রধান শিক্ষক এখন টাকা নেওয়ার কথা অস্বীকার করেছেন এবং শফিকুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তির কাছে ১০ লাখ টাকা নিয়ে আমার নাতিকে নেবে না বলে জানিয়ে দেয়। আমাদেরকে কথা দিয়ে কথা রাখেন নি প্রধান শিক্ষক আমাদের জমি আমরা দখলে নিয়েছে। দবির উদ্দিনের ছেলে হুমায়ুন কবির বলেন এখানে নিয়োগ বাণিজ্য চলছে আমরা জমিদাতা আমার ছেলে উচ্চমাধ্যমিক পাশ করা আমার ছেলেকে নিবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে সরকার দলীয় লোক ছাড়া নিতে পারবে না তাই আমরা প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দিয়েছি।

    মানিকপীর দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলাম অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন এখনো নিয়োগ পরীক্ষায় হয়নি তারা টাকা দেওয়ার মিথ্যা অভিযোগ করেছে নিয়োগের বিষয়টি আলাদা জমি দখলের বিষয়টি আলাদা তারা আদালতে মামলা করেছেন বাটোয়ারা আদালতের রায় না আসার আগেই জমি দখল করল কেন তারা আমরা বিষয়টি মৌখিকভাবে প্রশাসনকে জানিয়েছি তবে খুব শীঘ্রই লিখিত অভিযোগ দিব। মাঠ দখলে জড়িতদের বিচার দাবী সহ দখলমুক্ত করার জন্য প্রশাসনসহ সকলের সহযোগিতা কামনা করছি।

    পঞ্চগড় বোদা উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা সোলেমান আলী বলেন জমি সংক্রান্ত বিষয়ে ভালো ভাবে কাগজপত্র না দেখে মন্তব্য করা ঠিক হবে না আমরা বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করব।

  • ডাক ও টেলিযোগাযোগ তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী মোস্তফা জব্বারের মুন্সীগঞ্জে সফর

    ডাক ও টেলিযোগাযোগ তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী মোস্তফা জব্বারের মুন্সীগঞ্জে সফর

    মোঃ‌লিটন মাহমুদ মুন্সীগঞ্জঃ

    গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের ডাক ও টেলিযোগাযোগ তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী মোস্তফা জব্বার মুন্সীগঞ্জ সফর করেছেন। ২৪ আগস্ট বেলা ১ টায় মুন্সিগঞ্জ সার্কিট হাউস মিলনায়তনে তিনি উপস্থিত হন।

    তার আগমন কে কেন্দ্র করে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নেওয়া হয়েছে নানা প্রস্তুতি। সার্কিট হাউস চত্তরে জেলা পুলিশের আয়োজনে প্যারেড ও সালাম প্রদর্শন করা হয়।এ সময় তিনি সালাম গ্রহন করেন।

    এতে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রসাশক( শিক্ষা ও আইসিটি) মো. কামরুল ইসলাম খান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ( প্রশাসন ও অর্থ) সুমন দেব।

    পরে সার্কিট হাউস মিলনায়তন থেকে দুপুর ২ টায় সদরের জাজিরা কুঞ্জ নগর ও বাঘাইকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শনে যান।

    সুবিধাবঞ্চিত প্রত্যন্ত অঞ্চলের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষা ব্যবস্থা ডিজিটাল করণ “ডিজিটাল ডিভাইস “সরবরাহ পরিদর্শন করেন তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।

    এছাড়াও সদরের রিকাবিবাজার পোস্ট অফিস পরিদর্শন শেষে সিরাজদিখান উপজেলায় পোষ্ট অফিস পরিদর্শন করেন।

    এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন ইউএইডি প্রোজেক্টের ডাইরেক্টর আব্দুল ওহাব, ডেপুটি প্রজেক্ট ডাইরেক্টর ইঞ্জিনিয়ার গোলাম সারোয়ার, পিটিআই সুপার দিল আফরোজ খানম, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হুসাইন মুহাম্মদ আল জুনায়েদ, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মাসুদ ভুইয়া সহ অন্যান্যরা।

  • সরকারি স্বরূপকাঠি পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের কোচিং ও গাইড বানিজ্য

    সরকারি স্বরূপকাঠি পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের কোচিং ও গাইড বানিজ্য

    আনোয়ার হোসেন।
    স্বরূপকাঠি(পিরোজপুর) প্রতিনিধি//

    সরকারি স্বরূপকাঠি পাইলট মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের এক শ্রেনীর শিক্ষকরা কোচিং ও গাইড বানিজ্য নিয়ে ব্যস্ত থাকেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। বানিজ্যিক মনোভাবাপন্ন এ ধরনের শিক্ষকরা বাড়িতে অথবা বিল্ডিং ভাড়া নিয়ে কোচিংসেন্টার খুলেবসেছেন। স্কুলের মতো গণহারে পড়ানো কোচিং করা শিক্ষার্থীদের প্রতি রয়েছে তাদের আলাদা দৃষ্টিভঙ্গি। নতুন শিক্ষার্থী আকর্ষণ করতে মাঝে মাঝে পিকনিকে নিয়ে যাওয়ার নামে ছাত্রী উধাও হওয়ার মতো অনাকাঙ্খিত ঘটনাও ঘটছে। পিকনিকে যেতে দরিদ্র অভিভাবকদের ওপর চাঁদার চাপ বেড়ে যায় বলে অভিযোগ রয়েছে।

    এদের মধ্যে আমিনুল ইসলাম নামে রাজনীতি সংশ্লিষ্ট এক প্রভাবশালী শিক্ষক নিজের লাইব্রেরীর মাধ্যমে অবাধে গাইড বই বানিজ্য চালিয়ে যাচ্ছেন ।একই শিক্ষার্থীকে একাধিক প্রকাশনীর গাইড কেনার পরামর্শ দেয় এসব শিক্ষকরা। এ ছাড়াও এক বিষয়ে পারদর্শী একজন শিক্ষক তার কোচিংয়ের শিক্ষার্থীকে সকল সাবজেক্ট পড়ানো হয়। স্থানীয়ভাবে প্রভাবশালী এ শিক্ষকদের কাছে না পড়লে নম্বর কম পাওয়ার ভয় থেকে শিক্ষার্থীরা অনেকটা বাধ্য হয়ে তাদের কোচিংয়ে পড়তে যান।

    অভিভাবকদের অভিযোগের সুত্রে অনুসন্ধানে জানাগেছে স্বরূপকাঠি পাইলট মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রায় এক ডজন শিক্ষক কোচিং বানিজ্যের সাথে জড়িত। এদের মধ্যে আমিনুল ইসলাম,জিয়াউল ইসলাম,আতাউর রহমান নিজ বাড়িতে এবং ভাড়া বিল্ডিংয়ের বিশাল স্পেস নিয়ে কোচিং সেন্টার খুলে বসেছেন। বিদ্যালয়ের পাঠ দানের মতো সারি সারি শিক্ষার্থী বসে একসাথে ক্লাশ করছে সেখানে।

    শিক্ষার্থী সংখ্যা বাড়ানোর প্রতিযোগিতায় মাঝে মাঝে ছাত্র ছাত্রীদের নিয়ে পিকনিকে ও য়ায় তারা। গত ১৮ অগষ্ট বৃহসপতিবার ওই তিন শিক্ষক মিলে তাদের শিক্ষার্থীদের নিয়ে উজিরপুরের সাতলা বিলে পিকনিকে যায়। সেখান থেকে অষ্টম শ্রেনীর এক ছাত্রী উধাও হয়ে যাওয়ার ঘটনায় তোলপাড় শুরু হয়। এ ঘটনায় ওই ছাত্রীর পরিবার থানায় অভিযোগ করেন। তার দুইদিন পরে ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করা হয়। এক সময় ছাত্রদলের সক্রিয় ক্যাডার সহকারী শিক্ষক আমিনুল ইসলাম এখন আওয়ামীলীগের কিছু নেতার ছত্র ছায়ায় লাইব্রেরী ব্যবসার নামে বিভিন্ন প্রকাশনী সংস্থার গাইড বিক্রি করছেন। আমিনুল এসব গাইডের একটি অংশ পাইলট বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ওপর চাপিয়ে দেন বলে অভিযোগ আছে।

    মাইদুল হাসান মাহিন নামের এক ছাত্রের অভিভাবক মিজানুর রহমান চান্দু বলেন,পিকনিকে যাওয়ার জন্য শিক্ষার্থীদের (বিশেষ করে ছাত্রীদের) ভোর পাঁচটায় ট্রলার ঘাটে আসতে বলা দায়িত্বজ্ঞান সম্পন্ন শিক্ষকদের কাজ হওয়া উচিৎ ছিল না। আর একজন অভিভাবক বলেন পিকনিকে যাওয়ার জন্য তার মেয়েকে ভোর পাঁচটায় মধ্যে ট্রলার ঘাটে আসতে নির্দেশ দেন শিক্ষকরা।শিক্ষার্থীরা এক কোম্পানীর গাইড কিনে পড়ার মধ্যেই ৫/৬ মাস পরে কিছু শিক্ষক অন্য একটি প্রকাশনীর বই ভালো এবং সেটি কিনতে পরামর্শ দেয়। এসব শিক্ষকরা গাইড বিক্রেতাদের কাছ থেকে সুবিধা পান বলে অভিভাবকদের অভিযোগ।

    এসব অভিযোগের বিষয় জিয়াউল ইসলাম ও আতাউর রহমান বলেন, সরকারি আইনে কোচিং বন্ধ করা হয়নি। তাছাড়া অভিভাবকরা তাদের
    সন্তানকে আমাদের কাছে পড়তে পাঠান। শিক্ষক আমিনুল ইসলাম আরো একধাপ এগিয়ে বলেন, সরকার গাইড বই বিক্রি নিষিদ্ধ করেনি। তার অনেক ক্লাশমেট প্রশাসনের উঁচুস্তরে চাকুরী করেন বলেও তিনি জাহির করেন।

    ওই বিদ্যালয়ের একজন সাবেক প্রধান শিক্ষক বলেন,বিদ্যালয়টি বেসরকারি থেকে সরকারি হওয়ার পরে কিছু শিক্ষক খেয়াল খুশী মতো চলেন। তিনি বলেন,রাজনৈতিকভাবে নিয়োগ পাওয়া কিছু শিক্ষক সহকর্মি মনে করে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষককেও গুরুত্ব দেন না।

    শিক্ষকদের এসব অনিয়মের বিষয় জানতে চাইলে সরকারি স্বরূপকাঠি পাইলট মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) মো. কামাল হোসেন বলেন,বিদ্যালয়ে নামে তারা পিকনিকে যায়নি। তবে এভাবে শিক্ষার্থীদের নিয়ে পিকনিকে যাওয়া ঠিক হয়নি বলেও তিনি স্বীকার করেন।

    এসব বিষয় নিয়ে বিদ্যালয়ের সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোশারেফ হোসেন বলেন, তিনি শিঘ্রই প্রধান
    শিক্ষকসহ অন্যান্যদের সাথে বসবেন এবং অনিয়ম করলে ব্যবস্থা নিবেন।

  • পঞ্চগড়ে ধর্ষণ মামলায় একজনের যাবজ্জীবন কারাদন্ড

    পঞ্চগড়ে ধর্ষণ মামলায় একজনের যাবজ্জীবন কারাদন্ড

    মোঃ বাবুল হোসেন পঞ্চগড়:
    একটি ধর্ষণ মামলায় এক যুবকের যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছে আদালত। তার নাম সাইদুল ইসলাম (৩২)। অপরদিকে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় মামলার অন্য দুই আসামিকে খালাস দেন ওই আদালত।মঙ্গলবার (২৩ আগস্ট) দুপুরে পঞ্চগড় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুন্যালের বিচারক বি এম তারিকুল কবির এই রায় দেন।

    আদালতে মামলার সূত্রে জানা যায়, ওই সাইদুল ইসলাম ২০১৩ সালে তেঁতুলিয়ার শালবাহান ইউনিয়নের এ্যাকুয়া ব্রিডার্স নামে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে রাজমিস্ত্রির কাজ করতে আসে। কাজের ফাঁকে প্রতিষ্ঠানটির পাশের বাড়ির এক তরুণীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন।

    একপর্যায়ে শালবাহান ইউনিয়নের ডাকবদলী গ্রামের জাহেদুল ইসলাম ও তার স্ত্রী পারভীনা বেগমের সহযোগিতায় তাদের বাড়িতে নিয়ে ওই তরুণীকে ধর্ষণ করে সাইদুল। পরে বিয়ের প্রলোভনে তাকে একাধিকবার ধর্ষণ করেন। এরই মধ্যে তরুণী অন্তঃসত্বা হয়ে পড়ে। পরে বিষয়টি বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হয়ে যায়।

    পরবর্তীতে ২০১৩ সালের ২৩ আগস্ট তরুণীর বাবা বাদী হয়ে তেঁতুলিয়া মডেল থানায় সাইদুল ইসলাম, জাহেদুল ইসলাম ও তার স্ত্রী পারভীন বেগমের বিরুদ্ধে মামলা করেন। তদন্ত সাপেক্ষে পুলিশ আদালতে মামলার অভিযোগপত্র দাখিল করেন এবং দীর্ঘ বিচার প্রক্রিয়া শেষে মামলার রায় ঘোষণা করা হয়। এদিকে ওই মামলার রায়ে আসামী জাহেদুল ইসলাম ও তার স্ত্রী পারভীনা বেগমকে বেকুসুর খালাস প্রদান করেন।

  • সাতক্ষীরার নবাগত পুলিশ সুপার হিসেবে যোগদান করলেন  কাজী মনিরুজ্জামান

    সাতক্ষীরার নবাগত পুলিশ সুপার হিসেবে যোগদান করলেন কাজী মনিরুজ্জামান

    মোঃআজিজুল ইসলাম(ইমরান)
    সাতক্ষীরার পুলিশ সুপার হিসেবে যোগদান করলেন কাজী মনিরুজ্জামান। আজ মঙ্গলবার ২৩ আগস্ট জেলার পুলিশ সুপার হিসেবে দায়িত্ব ভার গ্রহণ করেন তিনি।
    নবাগত পুলিশ সুপার কাজী মনিরুজ্জামান, সাতক্ষীরা জেলায় যোগদান করেই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্যে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন।
    নবাগত পুলিশ সুপারকে তার কার্যালয়ে ফুলেল শুভেচ্ছায় স্বাগত জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃসজিব খান (প্রশাসন ও অর্থ),অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কনক কুমার দাস (ক্রাইম এন্ড অপস) ও সদর সার্কেল,তালা সার্কেল, দেবহাটা সার্কেল, কালিগঞ্জ সার্কেল।
    নবাগত পুলিশ সুপার যোগদানের পর সাক্ষাৎ করেন অত্র জেলার আগত অতিথি আইজিপি মহোদয়ের সহধর্মিনীর সাথে এবং তিনি সকল অফিসার ইনচার্জ এবং সকল পদমর্যাদার পুলিশ সদস্যদের সাথেও সৌজন্য সাক্ষাৎকার ও মতবিনিময় করেন।

  • কালীগঞ্জে আইনি সহায়তা বিনা খরজের বিষয়ে প্রচারনা

    কালীগঞ্জে আইনি সহায়তা বিনা খরজের বিষয়ে প্রচারনা

    মো.হাসমত উল্লাহ,লালমনিরহাট।।।

    লালমনিরহাটের কালীগঞ্জে উপজেলার দলগ্রাম দ্বি-মুখী উচ্চ বিদ্যালয়ে, বিনা খরচে আইনি সহায়তার, প্রচারণা বাড়ানোর জন্য এক বিতর্ক প্রতিযোগিতার অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

    “বিনা খরচে নিন আইনি সহায়তা শেখ হাসিনার সরকার দিচ্ছে এই নিশ্চয়তা” ইউএসএআইডি’র প্রমোটিং পিস এন্ড জাস্টিস (পিপিজে)- প্রকল্পের আওতায় আরডিআরএস বাংলাদেশ লালমনিরহাট জেলার কালীগঞ্জ উপজেলায় দলগ্রাম দ্বি-মুখী উচ্চ বিদ্যালয়ে সরকারি আইনগত সহায়তা প্রদান বিষয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রচারণা বাড়াতে বিতর্ক প্রতিযোগিতার আয়োজন করে।

    উক্ত বিতর্ক প্রতিযোগিতায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আরডিআরএস বাংলাদেশ (পিপিজে)- প্রকল্পের ফিল্ড অফিসার সীমা রানী সাহা, প্রকল্প ব্যবস্থাপক মো: জাহাঙ্গীর আলম বিপস্ন,এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ সহ আরো অনেক।

    হাসমত উল্লাহ।।