Category: দেশজুড়ে

  • বীরগঞ্জে সিংড়া জাতীয় উদ্যানে উদ্ধারকৃত লাশের রহস্য উদঘাটন

    বীরগঞ্জে সিংড়া জাতীয় উদ্যানে উদ্ধারকৃত লাশের রহস্য উদঘাটন

    দিনাজপুর প্রতিনিধি – দিনাজপুর বীরগঞ্জের সিংড়া জাতীয় উদ্যান থেকে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির অর্ধগলিত লাশ উদ্ধারের ঘটনায় গ্রেফতারকৃত দুই যুবক আদালতে স্বীকারাক্তি জবাববন্দি প্রদান করেছেন।

    সরাসরি কিলিং মিশনে জড়িত গ্রেফতার যুবকের নাম হল শিশির চন্দ্র রায় (১৯) সে দিনাজপুর জেলার চিরিরবন্দর উপজেলার যতরঘু গ্রামের সাগর চন্দ্র রায়ের ছেলে। অপরজন রাশেদুল ইসলাম রাশেদ (২২) সে দিনাজপুর জেলার খানসামা উপজেলার আঙ্গারপাড়া গ্রামের ইসাহাক আলীর ছেলে।

    ২৫ আগস্ট বৃহস্পতিবার দুপুরে দিনাজপুর জেলার বীরগঞ্জ থানায় প্রেস ব্রিফিং এর মাধ্যমে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ খোদাদাদ হোসেন এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন বীরগঞ্জ থানা অফিসার ইনচার্জ সুব্রত সরকার ও মামলা তদন্তকারী অফিসার ওসি তদন্ত মোঃ মইনুল ইসলাম। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আরোও বলেন গত ২৩ আগষ্ট বিভিন্ন ডিভাইস ব্যবহার করে খানসামার পাকেরহাট এলাকা থেকে উক্ত দুই যুবককে গ্রেফতার করে। গ্রেফতার দুই যুবককে আলাদা আলাদা জিজ্ঞাসাবাদে তারা সরাসরি ঐ খুনের সাথে জড়িত বলে স্বীকার করে।

    গ্রেফতারকৃত দুই যুবকের বরাত দিয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আরোও বলেন, অটোচালক অবিনাশকে হত্যার পরিকল্পনা অনেকদিন ধরেই দিয়েছে শিশির ও রাশেদ। পরিকল্পনা অনুযায়ী ভিকটিম অবিনাশ রায় গত ১০ আগষ্ট সকালে গ্রেফতারকৃত যুবক শিশির ভিকটিম অবিনাশের অটোরিকশা ভাড়া নিয়ে নীলফামারীর বরুয়া থেকে খানসামার পাকের হাট আসে, পুর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী অপর যুবক রাশেদকে পাকেরহাট থেকে অটোরিকশায় উঠিয়ে নেয়। এরপর তারা অটোরিকশা যোগে তিন জন বীরগঞ্জ সিংড়া জাতীয় উদ্যানে যায়। সেখানে উদ্যানের ভিতরের রাস্তায় অটো রেখে জঙ্গলের গভীরে গিয়ে পুর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী অবিনাশের গলায় রশি পেচিয়ে চাকু দিয়ে গলায় আঘাত করে হত্যা করে। লাশ জঙ্গলে ফেলে অটো নিয়ে চিরিরবন্দরের রানিরবন্দর গিয়ে অটোরিকশাটি বিক্রি করে। তাদের তথ্য অনুযায়ী রানিরবন্দর হতে অটোটি উদ্ধার করা হয়। শিশির ও রাশেদ ৫৪ ধারায় হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তি মুলক জবাববন্দি প্রদান করেছে। পরে তাদেরকে কারাগারে প্রেরন করা হয়েছে।

    উল্লেখ , গত ১৫ই আগষ্ট উপজেলার সিংড়া জাতীয় উদ্যান থেকে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার পর বিকালে ভিকটিমের পরিবার এসে পরিধেয় বস্ত্র দেখে ভিকটিমের বড় ভাই উক্ত লাশ তার ছোট ভাই অবিনাশ রায়ের লাশ বলে সনাক্ত করে। ভিকটিম অবিনাশ রায় অটো চালক ছিল বলেও দাবি করেন তার বড় ভাই।

    মোঃ নাজমুল ইসলাম (মিলন)
    দিনাজপুর প্রতিনিধি।

  • অনেক ঘাতপ্রতিঘাতের পর শেখ হাসিনার নেতৃত্বে  আ’লীগ আবারও ঘুরে দাঁড়িয়েছে- ত্রিশালে মতিন সরকার।।

    অনেক ঘাতপ্রতিঘাতের পর শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আ’লীগ আবারও ঘুরে দাঁড়িয়েছে- ত্রিশালে মতিন সরকার।।

    আরিফ রববানী ময়মনসিংহঃ ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাবেক ছাত্রনেতা, ত্রিশাল উপজেলা পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান, সাবেক সফল সাংসদ আলহাজ্ব আব্দুল মতিন সরকার বলেছেন,১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের সদস্যদের হত্যা করে শুধুমাত্র একটি পরিবারকে হত্যা করা হয়নি, হত্যা করা হয়েছে একটি জাতিকে। কারণ বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর খুনি মোশতাক-জিয়ার নেতৃত্বে ইনডেমনিটি আইন পাস করে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার বন্ধ করা হয়। বঙ্গবন্ধুর কন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনার সরকার ক্ষমতায় গিয়ে যখন বঙ্গবন্ধুর খুনিদের ফাঁসি ও যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শুরু হয়, তখন বিএনপি-জামায়াত জোটের মাথা খারাপ হয়ে যায়। তারা আওয়ামী লীগকে ক্ষমতা থেকে সরানোর জন্য নানা ষড়যন্ত্র চালিয়ে যেতে থাকে। তাদের সেই ষড়যন্ত্র সফল হয়নি এবং আগামীতেও হবেনা।

    বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ত্রিশাল উপজেলা শাখার পক্ষ থেকে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালী, স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর ৪৭ তম শাহাদাৎ বার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে গৃহীত মাসব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে
    বৃহস্পতিবার (২৫আগস্ট) বিকালে উপজেলার বালিপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ ও সহযোগী অঙ্গ সংগঠন নেতৃবৃন্দের যৌথ উদ্যোগে বালিপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ মাঠে জাতীয় শোক দিবস উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভা, দোয়া মাহফিল ও গণভোজের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

    তিনি আরো বলেন, আজ আমাদের যে শোক,সেই শোককে শক্তিতে পরিণত করে, জাতির পিতা সোনার বাংলা গড়ার যে স্বপ্ন দেখেছিলেন, তাঁরই সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনা সে লক্ষ্যে এগিয়ে চলেছেন। সেটাই আমাদের বড় প্রাপ্তি এবং জাতির পিতার লালিত স্বপ্ন বাস্তবায়নের প্রত্যয় নিয়েই আমরা এগিয়ে যেতে চাই। সে লক্ষে সকল নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করারও আহবান জানান ত্রিশাল উপজেলা আওয়ামী লীগের কর্মীবান্ধব এই নেতা।

    বালিপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও পাঁচ বারের নির্বাচিত সফল চেয়ারম্যান,মেধাবী রাজনীতিবিধ গোলাম মোহাম্মদ বাদল এর সার্বিক তদারকি ও সহযোগীতায় আয়োজিত উক্ত শোক সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন-ত্রিশাল পৌরসভার মেয়র আলহাজ্ব এবিএম আনিসুজ্জামান আনিছ, জেলা আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক এডভোকেট জালাল উদ্দীন খান,ত্রিশাল উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব আবুল কালাম শামসুদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব ইকবাল হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য এড জিয়াউল হক সবুজ,জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সদস্য ফজলে রাব্বি,উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক এ এন এম শোভা মিয়া আকন্দ,সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আশরাফুল ইসলাম মন্ডল, সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান লুতফন্নেছা বিউটি,উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি ইব্রাহিম খলিল নয়ন প্রমূখ।

    সভায় উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক, সাবেক এমপি আব্দুল মতিন সরকার বলেন- ওদের ধারণা ছিলো বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যা করলেই আওয়ামীলীগকে এদেশ থেকে নিঃচিন্হ করা যাবে,তবে রাখে আল্লাহ মারে কে,আল্লাহর রহমতে বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহেনা জীবিত রয়েছেন। তিনি বলেন-অনেক ঘাতপ্রতিঘাতের পর শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আবার আওয়ামী লীগ ঘুরে দাঁড়ালো। ১৯৯৬ সালে তার নেতৃত্বে সরকার গঠন হলে ইনডেমনিটি বাতিল করে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার শুরু হলো। ২০০৯ সালে যদি আওয়ামী লীগ আবার ক্ষমতায় না আসতো তাহলে এ দেশে বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের ফাঁসি কার্যকর হতো না।

    ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হারুন অর রশিদ এর সঞ্চালনায় ও ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি শাহাদাত উল্লাহ আদনান এর সার্বিক সহযোগীতায় অনুষ্ঠিত সভায় অন্যান্যদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন- বালিপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক মেম্বার,সাবেক উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা ইসমাইল হোসেন মেম্বার,কানিহারী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শহীদ উল্ল্যাহ মাষ্টার, বইলর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান খন্দকার মশিউর রহমান শাহানশাহ, কাঁঠাল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা জাহাঙ্গীর তরফদার,উমর ফারুক, বালিপাড়া ইউনিয়ন যুবলীগের সাবেক সভাপতি হারুন অর রশিদ, সাধারন সম্পাদ মনিরুল হক,সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম সোহাগসহ উপজেলা ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ ও বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ। পরে আলোচনা সভা শেষে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সহ সকল শহীদদের আত্মার মাগফেরাত ও গণতন্ত্রের মানসকন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনার সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয় এবং গণভোজ বিতরণ করা হয়।

  • হাজতির স্ত্রীর সাথে অনৈতিক সম্পর্কের অভিযোগ কারারক্ষীর বিরুদ্ধে

    হাজতির স্ত্রীর সাথে অনৈতিক সম্পর্কের অভিযোগ কারারক্ষীর বিরুদ্ধে

    মোঃ বাবুল হোসেন পঞ্চগড় :
    পঞ্চগড়ে হাজতির স্ত্রীর সাথে অনৈতিক সম্পর্কের অভিযোগে সহকারী প্রধান কারারক্ষী আলী হোসেনকে বদলি ও বিভাগীয় মামলার সুপারিশ করেছে জেলা কারাগার।

    এবিষয়ে জেল সুপার বদরুদ্দোজা সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, সহকারী প্রধান কারারক্ষীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে।

    সেখানে অনৈতক অবস্থায় দেখতে পেয়ে নিরাপত্তা কর্মীদের সাথে বাকবিতন্ডা হলে কারাগারের সম্মানার্থে অন্য দুজন কারারক্ষী তাকে কারাগারে নিয়ে আসে কারাগার কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি অবহিত করে।

    বৃহস্পতিবার (২৫ আগস্ট)দুপুরে জেলা কারাগারের জেলার সফিকুল আলম এ তথ্য জানান। এর আগে গত বুধবার সকালে সহকারী প্রধান কারারক্ষী আলী হোসেন, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে ভ্রাম্যমাণ আদালতে একমাস সাজাপ্রাপ্ত হাজতির স্ত্রীকে নিয়ে পঞ্চগড় শহরের তালমা এলাকার হিমালয় পার্কে ঘুরতে যান তিনি।

    বিষয়টির সত্যতা পেলে তার বিরুদ্ধে বদলিসহ বিভাগীয় মামলার সুপারিশ করেন কর্তৃপক্ষ।
    অভিযুক্ত সহকারী প্রধান কারারক্ষী আলী হোসেন জানান, আমার সাথে জরুরী কথা আছে সে জন্য আমাকে পার্কে ডেকে নেয় ওই নারী।

  • পঞ্চগড়ে ইউনিয়ন পরিষদ রুমে আটক অবস্থায় যুবকের রহস্যজনক আত্মহত্যা

    পঞ্চগড়ে ইউনিয়ন পরিষদ রুমে আটক অবস্থায় যুবকের রহস্যজনক আত্মহত্যা

    মো; বাবুল হোসেন পঞ্চগড়
    সদর উপজেলার ১নং সদর ইউনিয়নে চুরির অপরাধে যুবককে ইউনিয়ন পরিষদে আটকে রাখার পর রহস্যজনক আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে বৃহস্পতিবার (২৫- আগস্ট) সকালে এই স্পর্শ কাতর ঘটনাটি ঘটে। মৃত যুবক মোঃ সুজন (২৫) ইউনিয়নের গোয়ালপাড়া গ্রামের মৃত কছিমদ্দিন কালু এ ছেলে । প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী স্থানীয় মসজিদের ব্যাটারি চুরির অভিযোগে মোঃ সুজন ইসলাম (২৫) ও মোঃ জাহেদুল হক (৩৭)’ কে ইউনিয়ন পরিষদের দ্বিতীয় তলায় আটকে রাখা হয়। সকালবেলা মোঃ সুজন ২৫ এর ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পেয়ে সদর থানা পুলিশের কাছে জানালে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতনদের জন্য পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেন । ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ ইমরান হোসেন বলেন, সুজনের বাড়ি আমার বাড়ির পাশে । তার পরিবারে স্ত্রী, দুই সন্তান একজন ছেলে একজন মেয়ে এবং তার মা আছে । সে নেশায় আসক্ত । সে নিয়মিতভাবে চুরির সাথে সম্পৃক্ত । কিছুদিন আগে তার একটা চুরির ঘটনা সবাই জানাজানি হলে সে কয়েকদিন যাবত বাসায় আসেনি। এমতাবস্থায় গতকালকে তাকে জগদল বাজারে দেখতে পেয়ে বাসায় আসতে বলি। সাথে একটা ছেলেকে দিয়ে তাকে বাসায় পাঠিয়ে দেই । পরে রাত্রে যখন আমি বাসায় ফিরি এসে দেখি বাসায় অনেক লোক সমাগম সৃষ্টি হয়েছে । পরবর্তীতে জনসম্মুখে এ স্থানীয় মসজিদের ব্যাটারি চুরির বিষয়টি স্বীকার করেন এবং তার সাথে জাহিদুল ইসলাম নামে এক যুবক জড়িত ছিল বলে জানান। পরে সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ও গ্রাম পুলিশের সহযোগিতায় তাকেও সেখানে উপস্থিত করা হয় । পরদিন সকালে সুজন মসজিদের ব্যাটারি ফিরিয়ে দেওয়ার কথা বললে সুজন ও তার সাথে থাকা জাহেদুল ইসলামকে ইউনিয়ন পরিষদ রুমে আটকে রাখার অনুরোধ জানান সস্থানীয়রা। সকলের অনুরোধে ইউনিয়ন পরিষদের দ্বিতীয় তলায় সুজন ও জাহিদুল কে পৃথক দুটি রুমে আটকে রাখা হয় । সেখানে তাদের দেখাশোনার জন্য দুইজন গ্রাম পুলিশকে দায়িত্বব দেওয়া হয় । সকাল আনুমানিক ৬.২০ মিনিটে গ্রাম পুলিশ বাজারে নাস্তা আনতে গেলে এ সময় গলায় গামছা পেচিয়ে সুজন আত্মহত্যা করে । পরে খবর পেয়ে দ্রুত ইউনিয়ন পরিষদে উপস্থিত হই ও সদর থানা পুলিশের কাছে বিষয়টি অবহিত করি । পুলিশ এসে ঝুলন্ত অবস্থায় থেকে লাশ নামিয়ে ময়নাতনদের জন্য পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেন । দায়িত্বরত গ্রাম পুলিশ দুজনের একজন বলেন , সকাল সাড়ে সাতটার সময় আমি বাসায় নাস্তা করার জন্য যাই এবং অপরজন বাজারে নাস্তা আনতে যায় সে ফিরে এসে দেখে সুজন গলায় গামছা পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেছে । তাৎক্ষণিক বিষয়টি চেয়ারম্যান সাহেব’কে অবহিত করি । রাত্রে যখন সুজন কে ইউনিয়ন পরিষদ রুমে আটকে রাখা হয় তখন সে প্যান্ট ও গেঞ্জি পড়া ছিল । তার সাথে গামছা আমি দেখিনি । দুজন ব্যক্তিকে ইউনিয়ন পরিষদ রুমে আটকে রেখে দুজন গ্রাম পুলিশ একসাথে বাইরে যাওয়াটাকে রহস্যজনক মনে করছেন অনেকেই । এমনকি তারা চুরি করে থাকলে তাদেরকে পুলিশের সোপর্দ না করে ইউনিয়ন পরিষদ রুমে সারারাত আটকে রাখা,যখন নিয়ে আসা হয় তখন গ্রাম পুলিশ তার কাছে গামছা দেখেনি পুরো বিষয়টি খুবই রহস্যজনক দাবি করছেন স্থানীয়রা । এতে এলাকায় বেশ চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। এ বিষয়ে সদর থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ মোঃ আব্দুল লতিফ মিঞা জানান, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের পর পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে । মৃতের পরিবারের পক্ষ থেকে কেউ কোন লিখিত অভিযোগ করেন নি । অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে । কেউ অভিযোগ করলে বা ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে ।

  • রাজশাহী জেলা পরিষদ নির্বাচনকে সামনে রেখে আ.লীগ নেতাদের দৌড়ঝাঁপ

    রাজশাহী জেলা পরিষদ নির্বাচনকে সামনে রেখে আ.লীগ নেতাদের দৌড়ঝাঁপ

    নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী : আগামী ১৭ অক্টোবর জেলা পরিষদ নির্বাচন। গত ২৩ আগস্ট ভোটের তফসিল ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশনা। তফসিল ঘোষণার পরই চেয়ারম্যান ও সদস্য প্রার্থী কে হচ্ছেন, তা নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে।
    খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রাজশাহী জেলা পরিষদ নির্বাচনের চেয়ারম্যান পদে সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে আওয়ামী লীগের পাঁচজন নেতার নাম জানা গেছে। তারা দলীয় মনোনয়ন চাইবেন। তবে এই নির্বাচন নিয়ে কোনো ভাবনা নেই বিএনপি ও জাতীয় পার্টিসহ অন্য দলগুলোর। এদের মধ্যে বিএনপি বর্তমান নির্বাচন কমিশনের অধীনে কোনো নির্বাচনে যেতে চাচ্ছেন না। এর আগে ২০১৮ সালে প্রথমবারের মতো জেলা পরিষদ নির্বাচন হয়। সেবারও বিএনপি নির্বাচনে অংশ নেয়নি।

    রাজশাহী জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আবুল হোসেন জানান, রাজশাহী জেলা পরিষদ নির্বাচনের চেয়ারম্যান পদের ভোটার সংখ্যা ১১৮৬ জন। উপজেলা চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান, ইউপি চেয়ারম্যান, ইউপি সদস্য, পৌরসভার মেয়র, পৌরসভার ওয়ার্ড কাউন্সিলর এবং সিটি করপোরেশনের মেয়র ও কাউন্সিলররা জেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোটার। তাদের ভোটে একজন চেয়ারম্যান ও ১২ জন সদস্য নির্বাচিত হবেন। ১২ জনের মধ্যে তিনজন সংরক্ষিত মহিলা সদস্য।

    রাজশাহীতে সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে যাঁদের নাম শোনা যাচ্ছে তাঁরা হলেন, রাজশাহী জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও বর্তমান প্রশাসক মোহাম্মদ আলী সরকার, রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর ইকবাল, জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও সাবেক এমপি রায়হানুল হক রায়হান, জেলা কৃষকলীগের সাবেক সভাপতি ও কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য রবিউল আলম বাবু এবং সাবেক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক আক্তারুজ্জামান আখতার।

    এই পাঁচজন পরিচ্ছন্ন রাজনীতিক হিসেবে রাজশাহীতে পরিচিত। তবে এই পাঁচজনের বাইরে আরও দু-একজন দলের কাছে প্রার্থিতা চাইতে পারেন। এদের মধ্যে গোদাগাড়ী উপজেলা বিএনপির তিন বারের দায়িত্ব পালনকারী সাবেক সভাপতি, বর্তমান কাঁকনহাট পৌরসভা আওয়ামীলীগের সভাপতি, কাঁকনহাট পৌরসভার সাবেক মেয়র আব্দুল মজিদ মাষ্টার, জেলা আওয়ামী লীগে সহসভাপতি এ্যাডভোকেট শরিফুল ইসলাম শরিফের নাম শোনা যাচ্ছে।

    এদের মধ্যে মীর ইকবাল বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং রবিউল আলম শহীদ পরিবারের সন্তান। রবিউলের বড় ভাই একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে শহীদ হন।

    মীর ইকবাল আওয়ামী লীগের জাতীয় পরিষদের সদস্য। তিনি ১৬ বছর রাজশাহী শহর ও নগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও যুগ্ম সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ২০০৪ সাল থেকে তিনি সহসভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
    মীর ইকবাল বলেন, ‘জীবনের শেষ সময়ে এসে নির্বাচনে অংশ নিতে চাচ্ছি। আশা করি দল আমাকে সেই সম্মান দেবে।’

    চারঘাটের বাসিন্দা রায়হানুল হক রায়হান ১৯৯৬ সালের উপনির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। পরের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেলেও ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থীর কাছে হেরে যান। প্রবীণ ও ত্যাগী নেতা হিসেবে তাঁকে নিয়েও আলোচনা চলছে।
    রায়হানুল হক বলেন, ‘আমার প্রার্থী হওয়ার ইচ্ছা আছে। এখন দল যা সিদ্ধান্ত দেবে, তা-ই হবে।’

    জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে গতবারও দলীয় মনোনয়ন চেয়ে রবিউল আলম বাবু। আশির দশকের সৈরাচার বিরোধী আন্দোলনের প্রথম সারির ছাত্র নেতা রবিউল আলম বাবু জেলা কৃষক লীগের টানা তিনবার সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন। বর্তমানে তিনি কৃষক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য। এছাড়াও তিনি রাজশাহী চেম্বার অব কমার্স ইন্ড্রাস্টির সাবেক পরিচালক। শহীদ পরিবারের সন্তান রবিউল আলম বাবুর বড় ভাই শামসুল আলম একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধে শহীদ হন।

    জেলার গোদাগাড়ী উপজেলার দেওপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান হিসেবে তিনবার দায়িত্ব পালন করেছেন আক্তারুজ্জামান আখতার। তিনি বলেন, ‘এই নির্বাচনে ভোটার স্থানীয় সরকারের জনপ্রতিনিধিরা। আমি তিনবার ইউপি চেয়ারম্যান থাকায় জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে আমার সম্পর্ক খুব ভালো। সে কারণেই জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে দলের মনোনয়ন চাচ্ছি।’

    রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল ওয়াদুদ দারা বলেন, ‘কেবল তফসিল ঘোষণা করা হলো। জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের সমন্বিত সিদ্ধান্তে প্রার্থীদের তালিকা কেন্দ্রে পাঠানো হবে। আওয়ামী লীগ সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন সমন্বয় করবেন। তারপরই প্রার্থীর ব্যাপারে একটা সিদ্ধান্ত হবে।’
    এই নির্বাচন নিয়ে কোনো ধরনের চিন্তাভাবনা নেই বলে জানিয়েছেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক এরশাদ আলী ঈসা। একই কথা জানিয়েছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির নেতা ও রাজশাহী সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র মোহাম্মদ মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল।

    নিজস্ব প্রতিবেদক,
    রাজশাহী।

  • বানারীপাড়ায় টেলিমেডিসিন প্রকল্পের তিন দিনের প্রশিক্ষণ সম্পন্ন

    বানারীপাড়ায় টেলিমেডিসিন প্রকল্পের তিন দিনের প্রশিক্ষণ সম্পন্ন

    এস মিজানুল ইসলাম।
    বিশেষ প্রতিবেদক।। তিন দিন ব্যাপী বানারীপাড়ায় হিউম্যান হেলথ্ হেল্পলাইন টেলিমেডিসিন প্রকল্পের মাঠ পর্যায়ের অপারেটরদের বৃহস্পতিবার বিকেলে নতুনমুখ মিলনায়তনে সম্পন্ন হয়েছে। সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বেসরকারি সংস্থা লাভ দাই নেইবার (
    এলটিএন) নির্বাহী পরিচালক মাহমুদা বেগম। সভাপতিত্ব করেন উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার অধ্যাপক মুজিবুল হক, বিশেষ অতিথি উপজেলা এনজিও সমন্বয় পরিষদের সম্পাদক ও
    সিনিয়র সাংবাদিক এস মিজানুল ইসলাম। উপস্থিত ছিলেন প্রকল্পের সমন্বয়কারী মোঃ মোফাজ্জেল হোসেন, ওয়ার্ডসান প্রকল্পের সমন্বয়কারী ফরিদা ইয়াসমীন মিল্কি, সিনিয়র প্রশিক্ষক বুলবুল আহম্মেদ, প্রমূখ। প্রশিক্ষণ শেষে অপারেটরদের মাঠ পর্যায়ে স্বাস্থ্য সেবা প্রদানে ফিল্ড ব্যাগ প্রদান করা হয়।#

  • বানারীপাড়ায় ইউএনওর মা লীয়া রানী সাহার পরলোকগমণ

    বানারীপাড়ায় ইউএনওর মা লীয়া রানী সাহার পরলোকগমণ

    বানারীপাড়া প্রতিবেদক ।। বানারীপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার রিপন কুমার সাহার মা লীয়া রানী সাহা (৭০) আর নেই। ২৫ আগস্ট বৃহস্পতিবার ভোর সোয়া ৪ টায় বানারীপাড়ায় ইউএনওর বাসভবনে তিনি পরলোকগমণ করেন। তিনি বার্ধক্যজনিত বিভিন্ন জটিল রোগে ভুগছিলেন। এসময় তিনি
    স্বামী, ২ কন্যা, ১ ছেলে, ১ নাতি ও ৪ নাতনিসহ অসংখ্য স্বজন ও গুনগ্রাহী রেখে যান। ওই দিন বিকালে খুলনা মহানগরীর রূপসা শ্মশানঘাটে তার শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়।
    এদিকে তার প্রয়াণে বরিশাল-২ আসনের সংসদ সদস্য মোঃ শাহে আলম, বরিশাল জেলা প্রশাসক জসীম উদ্দিন হায়দার, বানারীপাড়া উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব গোলাম ফারুক, পৌরসভার মেয়র অ্যাডভোকেট সুভাষ চন্দ্র শীল, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম সালেহ্ মঞ্জু মোল্লা,
    সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মাওলাদ হোসেন সানা, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান নুরুল হুদা, নারী ভাইস চেয়ারম্যান সৈয়দা তাসলিমা হোসেন ফ্রোরা, বানারীপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এসএম মাসুদ আলম চৌধুরী, উপজেলা মানবাধিকার কমিশনের সভাপতি এটিএম মোস্তফা সরদার, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি সুব্রত লাল কুন্ডু, প্রেস ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ও সিনিয়র সাংবাদিক এস মিজানুল ইসলাম ক্লাব সভাপতি রাহাদ সুমন, সাধারণ সম্পাদক সুজন মোল্লা, জেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক জাহিদ হোসেন, নতুনমুখ সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন মানিক, সম্পাদক মোঃ শাহজাহান সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও পেশাজীবী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ এবং উপজেলা প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ গভীর শোক ও শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন।#

  • লক্ষ্মীপুরে শহরের  যানজট নিরসনে  রাস্তায়  নামলেন এসপি

    লক্ষ্মীপুরে শহরের যানজট নিরসনে রাস্তায় নামলেন এসপি

    নাজিম উদ্দিন রানাঃলক্ষ্মীপুরে নবাগত পুলিশ সুপার মোঃ মাহফুজ্জামান আশরাফ যানজট নিরসনে লক্ষ্মীপুর শহর পরিদর্শন করেন। ২৫ আগস্ট (বৃহঃপতিবার) দুপুর ১২টা থেকে প্রায় ২ ঘন্টা ব্যাপী শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়কে পরিদর্শন করেন। এসময় অন্যান্যদের মধ্যে ছিলেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পলাশ কান্তি নাথ, মংনেথোয়াই মারমা,ডিআই-১ আজিজুর রহমান অনান্য কর্মকর্তাগন। এবং ব্যবসায়ীদের সাথে কুশল বিনিময় করেন। পরিদর্শনের সময় যানজটের দুর্ভোগ নিয়ন্ত্রণে সকল অফিসারদের বিভিন্ন দিকনির্দেশনা দিয়ে থাকেন। নবাগত পুলিশ সুপারের এসব উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে স্থানীয়রা বলেন,এই প্রথম পুলিশ সুপার প্রচন্ড রৌদ্রময় মুহূর্তে অধিকাংশ ডিপার্টমেন্টর কর্মকর্তাদের নিয়ে বাজার পরিদর্শন করেন। তিনি ফুটপাতের বিভিন্ন সামগ্রী বিক্রেতা ও ব্যবসায়ীদের খোঁজ খবর নেন। পুলিশ প্রশাসনের এধরণের তদারকিতে জনগণকে আরো কাছাকাছি মিশতে পারে বলে মনে করেন। পুলিশ সুপারের এই পরিদর্শনে লক্ষ্মীপুর শহরের সাধারণ মানুষ ও ব্যবসায়ীরা বলেন, যোগদানের মাত্র ২দিনের মাথায় এসপি সাহেব এভাবে আমাদের কাছাকাছি চলে আসবে ভাবতে পারিনি।আমরা আশবাদী বর্তমান এসপি লক্ষ্মীপুরের জন্য ভালো কাজ করবে।

  • বরিশালের গৌরনদীতে আইন শৃঙ্খলা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত

    বরিশালের গৌরনদীতে আইন শৃঙ্খলা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত

    বি এম মনির হোসেনঃ-

    বরিশালের গৌরনদী উপজেলা আইন শৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভা ২৫ আগস্ট বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলা পরিষদের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
    উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিপিন চন্দ্র বিশ্বাসের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সৈয়দা মনিরুন নাহার মেরী,
    গৌরনদী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আফজাল হোসেন, ভাইস চেয়ারম্যান নুরুজ্জামান ফরহাদ মুন্সী, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান জিনিয়া আফরোজ হেলেন, হাইওয়ে থানার ওসি শেখ বেলাল হোসেন, ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম হাফিজ মৃধা, ফারুক হোসেন মোল্লা, আবদুর রাজ্জাক হাওলাদার সহ সরকারি দপ্তরের বিভিন্ন কর্মকর্তারা।

  • শালিখায় নবাগত ইউএনও’র সঙ্গে রিপোর্টার্স ইউনিটির  শুভেচ্ছা বিনিময়

    শালিখায় নবাগত ইউএনও’র সঙ্গে রিপোর্টার্স ইউনিটির শুভেচ্ছা বিনিময়

    এইচ,এম রাজিব।

    মাগুরার শালিখায় নবাগত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইয়াসমিন মনিরার সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন শালিখা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাংবাদিকবৃন্দ। আজ বৃহস্পতিবার বিকাল ৩ টায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এ সভায় উপস্থিত ছিলেন শালিখা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি শহিদুজ্জামান চাঁদ, সাধারণ সম্পাদক মাসুম বিল্লাহ, সহ-সভাপতি সাইফুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক নাজমুল হক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এইচ এম রাজিব, কোষাধ্যক্ষ শাহিনুর রহমান, প্রচার সম্পাদক আবু হুরায়রাসহ-সংগঠনটির অন্যান্য সদস্যবৃন্দ। মতবিনিময়কালে সংগঠনের নেতৃবৃন্দ শালিখাবাসীর উন্নয়নে বিভিন্ন সমস্যা সমাধান ও সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে শালিখা উপজেলাকে একটি মডেল উপজেলায় পরিণত করতে নবাগত কর্মকর্তার সহযোগিতা কামনা করেন তারা। এসময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইয়াসমিন মনিরা বলেন, সাংবাদিকতা একটি প্রগতিশীল মহৎ পেশা এটি জাতির দর্পন যার মাধ্যমে একটি দেশের সমস্যা, সম্ভাবনা ও নানাবিধ বিষয় সম্পর্কে সম্যক ধারণা লাভ করা যায়। এছাড়াও মফস্বল সাংবাদিকতায় সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশিক্ষণের মাধ্যমে নিজেদের দক্ষতা উন্নয়নের পাশাপাশি আর্থিক স্বচ্ছলতা আননে অন্য পেশাকে ধারণ করার পরামর্শ দেন তিনি।