Category: দেশজুড়ে

  • গোদাগাড়ীতে রক্ষাগোলা গ্রাম সমাজ সংগঠনের কংগ্রেস অনুষ্ঠিত।

    গোদাগাড়ীতে রক্ষাগোলা গ্রাম সমাজ সংগঠনের কংগ্রেস অনুষ্ঠিত।

    মোঃ হায়দার আলী, রাজশাহী।। রাজশাহীর গোদাগাড়ীর রাজাবাড়ীতে ৩৫টি রক্ষাগোলা গ্রাম সমাজ সংগঠনের কংগ্রেস-২০২২ অনুষ্ঠিত হয়,

    শনিবার সকালে শ্রী সরল এক্কা’র সভাপতিত্বে
    প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিসিবিভিও’র সাধারণ সম্পাদক ও নির্বাহী প্রধান মো: সারওয়ার-ই-কামাল স্বপন, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টার ও সিসিবিভিও’র সভাপতি প্রফেসর মো: আবদুস সালাম। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালন করেন সিসিবিভিওর প্রকল্প সমন্বয়কারী ও রক্ষাগোলা সমন্বয় কমিটির সদস্য সচিব মো: আরিফ।

    অনুষ্ঠানটিতে জাতীয় পতাকা ও রক্ষাগোলা সমাজ সংগঠনের পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে উদ্বোধন করা হয়। কংগ্রেস সভা শুরুর প্রাক্কালে রক্ষাগোলা গ্রাম সমাজ সংগঠন সমূহের প্রয়াত নেতৃবৃন্দ ও সদস্যবৃন্দের আত্মার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে একমিনিট নিরাবতা পালন ও শোক প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়। উদ্বোধনী সমাবেশে অতিথিদের বক্তব্যে বক্তারা বলেন- আজকের এই কংগ্রেস রক্ষাগোলা গ্রাম সমাজ সংগঠসমূহের পারস্পারিক সম্পর্ক আরও দৃঢ় করবে। খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতের পাশাপাশি শিক্ষা, স্বাস্থ্য, সংস্কৃতি, ভূমিসহ অন্যান্য মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামকে আরও একধাপ এগিয়ে নিবে। বক্তারা আরও বলেন-রক্ষাগোলা মডেল গোদাগাড়ী উপজেলা তথা বরেন্দ্র অঞ্চলে বসবাসরত ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠির জনজাতি সমূহের আর্থ-সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও পরিবেশবগত অবস্থার পরিবর্তনে ছাতারমত কাজ করছে। এই পরিবর্তন জনগণ তথা কংগ্রেস সভায় উপস্থিত নেতৃবৃন্দের উপর নিরর্ভশীল। আপনারা সিসিবিভিও প্রদত্ত কর্মকৌশল, জ্ঞান ও দক্ষতা বৃদ্ধির যে প্রচেষ্টা তা যতটুকু গ্রহণ ও প্রয়োগ করতে পারবেন ঠিক ততটুকুকই আপনাদের পরিবর্তন হবে। সর্বপরি বক্তারা রক্ষাগোলা গ্রাম সমাজ সংগঠনসমূহের বার্ষিক কংগ্রেস-২০২২ এর সফলতা কামনা করেন।
    কংগ্রেসের ২য় পর্বে অলোচিত হয় ১. বিগত কংগ্রেস’র সিদ্ধান্তসমূহ পর্যালোচনা ২. রক্ষাগোলা গ্রাম সমাজ সংগঠনসমূহের বিভিন্ন সমস্যার (খাদ্য, ভূমি,স্বাস্থ্য, শিক্ষা, সংস্কৃতি) বাস্তব চিত্র ও সমাধানের সাম্ভাব্য কৌশল ও পদ্ধতি ৩. রক্ষাগোলা সংগঠনসমূহের গঠনতন্ত্র সংশোধন/সংযোজন ৪. রক্ষাগোলা সমন্বয় কমিটির ২০২২-২০২৩ সালের কর্ম-পরিকল্পনা তৈরী
    রক্ষাগোলা গ্রাম সমাজ সংগঠনের কংগ্রেস-২০২২ অনুষ্ঠানে ৩৫টি সংগঠন থেকে ২৯৫ জন নেতা-নেত্রী নারী-পুরুষ প্রতিনিধি হিসাবে অংশগ্রহণ করেন।

    মোঃ হায়দার আলী
    রাজশাহী।

  • রাজীবপুর ইউপি চেয়ারম্যানের দুর্নীতির ভিডিও ধারণে সাংবাদিকের উপর হামলা

    রাজীবপুর ইউপি চেয়ারম্যানের দুর্নীতির ভিডিও ধারণে সাংবাদিকের উপর হামলা

    এম এস সাগর,
    কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি

    কুড়িগ্রামের রাজীবপুর উপজেলায় রাজীবপুর প্রেক্লাবের কোষাধ্যক্ষ দৈনিক আমার সংবাদ ও চ্যানেল এস ও ডেইলী অবজারভার প্রতিনিধি রফিকুল ইসলামের উপর হামলা করেছে রাজীবপুর সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মিরন মোহাম্মদ ইলিয়াস এবং ইউপি সদস্যরা। ২৭আগষ্ট দুপুর ১টা ৩০মিনিটের দিকে রাজীবপুর ইউনিয়ন পরিষদে এ ঘটনা ঘটে।

    রাজীবপুর সদর ইউনিয়নে প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া দশ টাকা কেজি চালের অনলাইন নিবন্ধন হালনাগাদ শুরু হওয়ার পর থেকে রাজীবপুর সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মিরন মোহাম্মদ ইলিয়াস, ইউপি সচিব নুরুন্নবী ও ইউপি সদস্যরা মিলে কার্ড ধারীদের কাছ থেকে জোরপূর্বক বাড়ীর ট্যাক্সের নাম করে ১৫০টাকা করে দাবি করেন। ১৫০টাকা করে না দিলে অনলাইনে নিবন্ধন করতে নিষেধ করে দেয় ডিজিটাল সেন্টার উদ্যোক্তাকে।

    যারা ১৫০দিতে নারাজ তাদের কে অনলাইন করতে দেওয়া হবে না বলে হুমকি ধামকি দেয় চেয়ারম্যান, সচিব ও ইউপি সদস্যরা। পরে কার্ড ধারীদের সাথে বাকবিতন্ডা শুরু হয় ইউপি সদস্যদের সাথে। হট্টগোল দেখে যেখানে এগিয়ে যায় সাংবাদিক সহিজল ইসলাম সজল, মুরাদুল ইসলাম মুরাদ, আব্দুল্লাহ আল মামুন ও রফিকুল ইসলাম। সাধারণ জনতা সাংবাদিকদের দেখে এগিয়ে এসে ১৫০টাকার বিষয়ে মৌখিক অভিযোগ করে। এতে হাতে থাকাস্মার্ট ফোন দিয়ে ঘটনাটি ভিডিও শুরু করেন সাংবাদিক রফিকুল ইসলাম এবং ফেজবুকে লাইভ প্রচার করে মুরাদুল ইসলাম মুরাদ। তার ভিডিও করতে দেখে রাজীবপুর সদর ইউনিয়নের ৪নং ও ৩নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আনোয়ার ও শাহাব উদ্দিন চেয়ারম্যান মিরন মোহাসম্মদ ইলিয়াস এর হুকুমে সাংবাদিকের উপর চড়াও হোন এবং ধাক্কা দিয়ে সিড়ি থেকে ফেলে দেয়। পরে অন্যান্য ইউপি সদস্যরা একযোগে এসে এলোপাথারী মারপিট করে। মারপিট করেন ইউপি সদস্য শাহাব উদ্দিন, আনোয়ার হোসেন, আবুশামা দেওয়ান, শাহ আলম, ফরিজল হক, বাবুল আক্তার, আব্দুল হাই ও মহিলা সদস্যের স্বামী মিষ্টার এবং শাহাব উদ্দিন মেম্বরের ছেলেসহ অনেকেই। তার হাতে থাকা স্মার্ট ফোনটি ছিনিয়ে নেয় শাহ আলম মেম্বার। তিনি এখন গুরুতর আহত হয়ে রাজীবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হওয়ার পর সাময়িক চিকিৎসা দিয়ে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক।

    এ বিষয়ে হামলার শিকার সাংবাদিক রফিকুল ইসলাম বলেন, ছবি ও ভিডিও ধারণ করার কারণে আমরা উপর অতর্কিত হামলা করে। উপস্থিত শত শত কার্ডধারী, প্রেসক্লাবের সাধারণ সৎম্পাদক সজল, মুরাদ ভাই, দুই জন পুলিশ সদস্যের সামনে আমার উপর হামলা চালায়। কিছুদিন আগে আমি ইউনিয়ন পরিষদের দূর্নীতি অপকর্মের বেশকিছু নিউজ করেছিলাম। এরই জেরে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে ইউপি চেয়ারম্যান মিরন মোহাম্মাদ ইলিয়াস এর পরামর্শে আনোয়ার ও শাহাব উদ্দিন মেম্বর প্রথমে আঘাত হানে। পরে সব সদস্য মিথে আমাকে মারপিট করে। আজ যখন আমরা জানতে পারি কার্ড ধারীদের কাছ থেকে জোরপূর্বক ১৫০টাকা বাড়ীর ট্যাক্স নিচ্ছে তখন রাজীবপুর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সজল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মুরাদ ও বাংলাদেশ প্রেসক্লাব রাজিবপুর সভাপতি আষব্দুল্লাহ আল মামুন ভাইসহ ইউনিয়ন পরিষদে এগিয়ে যাই এবং ঘটনাটি ভিডিও করি, তখনই আমার উপর হামলা করে। রাজিবপুর থানা পুলিশ ও অন্যান্য সাংবাদিক না থাকলে আমাকে প্রাণে মেরে ফেলত। এ বিষয়ে রাজিবপুর থানায় একটি মামলা করেছি। সুষ্ঠ তদন্ত সাপেক্ষে এই হামলাকারীদের শাস্তির দাবী জানাই।

  • বিএনপির শাসন আমলে মোংলা বন্দর ছিলো আই,সি,ইউতে – হাবিবুন নাহার

    বিএনপির শাসন আমলে মোংলা বন্দর ছিলো আই,সি,ইউতে – হাবিবুন নাহার

    বায়জিদ হোসেন, মোংলা:
    বিএনপির শাসন আমলে মোংলা বন্দর ছিলো আই,সি,ইউতে বলে মন্তব্য করেছেন উপমন্ত্রী বেগম হাবিবুন নাহার। সস্মানিত অতিথির বক্তৃতায় উপমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর কণ্যা প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসে সেই বন্দরকে উজ্জীবিত করেছেন। দেশ মাতৃকার মুক্তির জন্য বঙ্গবন্ধুর সুদীর্ঘ ২৩ বছরের আন্দোলন সংগ্রামের কথা উল্লেখ করে রাজনীতিবিদ সহ সকলের বঙ্গবন্ধুর গুণাবলী আত্মস্থ করা ও আত্মবিশ্লেষণ করা প্রয়োজন। বক্তৃতায় তরুণ প্রজন্মকে বঙ্গবন্ধুর গুণাবলী অনুসরণ করে ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ বিনির্মাণে আত্মনিয়োগ করার আহ্বান জানান উপমন্ত্রী বেগম হাবিবুন নাহার। প্রধান অতিথির বক্তৃতায় বাগেরহাট জেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক হেমায়েত উদ্দিন ভুঁইয়া
    বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের একটাই লক্ষ্য ছিল পরাধীন জাতিকে স্বাধীন করা এবং দুঃখী বাঙালির মুখে হাসি ফোটানো। বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের মানুষকে নিজের চেয়েও বেশি ভালোবেসেছিলেন বলেই তিনি আজও প্রতিটি মানুষের হৃদয়ে অমর হয়ে আছেন। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর সাহসী ও দূরদর্শী নেতৃত্বের কারণেই আজ বাংলাদেশ স্বাধীন। বিশ্ব মানচিত্রে বাংলাদেশ একটি স্বাধীন ভূখণ্ড। জাতি হিসেবে আমাদের লক্ষ্য হবে বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে ধারণ করে বাংলাদেশকে এগিয়ে নেওয়া এবং তার সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পরিচালিত সরকারকে নিজ নিজ জায়গা থেকে সহযোগিতা করা। শনিবার (২৭ আগষ্ট) বিকেল ৫ টায় ইউনিয়নের দিগরাজ বাজারে উপজেলার বুড়িরডাঙ্গা ইউনিয়ন আ’লীগ এবং সকল সহযোগী সংগঠনের আয়োজনে স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭ তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে বুড়িরডাঙ্গা ইউনিয়ন আ’লীগের সভাপতি বাবু অর্ধেন্দু শেখর বিশ্বাস ও সাধারণ সম্পাদক শ্যামল কুমার দেওয়ান’র সভাপতিত্বে সঞ্চালনায় সস্মানিত অতিথি’র বক্তৃতা রাখেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক উপমন্ত্রী বেগম হাবিবুন নাহার (এমপি), প্রধান অতিথির বক্তৃতা রাখেন বাগেরহাট জেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক হেমায়েত উদ্দিন ভুঁইয়া, মোড়লগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান শাহি আলম বাচ্চু, জেলা আ’লীগের দপ্তর সম্পাদক অম্বরিশ রায়, খুলনা জেলা সেস্বাসেবকলীগ’র সভাপতি শেখ মো. আবু হানিফ, উপজেলা চেয়ারম্যান আবু তাহের হাওলাদার, মোংলা পোর্ট পৌরসভার মেয়র শেখ আঃ রহমান, উপজেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক মো.ইব্রাহীম হোসেন, উপজেলা ভাইচ চেয়ারম্যান মো. ইকবাল হোসেন, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মো. ইস্রাফিল হাওলাদার, বুড়িরডাঙ্গা ইউপি চেয়ারম্যান উদয় শংকর বিশ্বাস, পৌর আ’লীগের যুগ্ন-সাধারন সম্পাদক কাজী গোলাম হোসেন বাবলু, ইউপি চেয়ারম্যান উৎপল কুমার মন্ডল, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির উপ-দপ্তর সম্পাদক মো. ইমরান শেখ, ইউনিয় শ্রমিক লীগের সভাপতি জি এস টনি, প্রমূখ। এ সময় আওয়ামীলীগের বিভিন্ন ইউনিটের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। পরে বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গবন্ধু পরিবারের সদস্য সহ ‘৭৫-এর ১৫ আগস্ট শহীদদের রুহের মাগফিরাত কামনায় বিশেষ মোনাজাত করা হয়। মোনাজাতে দেশ ও জাতির সার্বিক উন্নয়ন ও অগ্রগতি কামনা করা হয়। পরে উন্নত মানের খাবার বিতরণ করা হয়।

  • ময়মনসিংহ জেলা পরিষদ নির্বাচনে  সদস্য পদে আরজুনা কবির এর ব্যাপক জনসংযোগ

    ময়মনসিংহ জেলা পরিষদ নির্বাচনে সদস্য পদে আরজুনা কবির এর ব্যাপক জনসংযোগ

    আরিফ রববানী ময়মনসিংহ।।
    জমে উঠেছে ময়মনসিংহ জেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রচার প্রচারণা। ভোর থেকে রাত পর্যন্ত ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন প্রার্থীরা। পোষ্টারে পোষ্টারে ছেয়ে গেছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম। চায়ের টেবিলে চলছে আলোচনা-সমালোচনার ঝড়।

    আগামী আগামী ১৭ অক্টোবর ২০২২ জেলা
    পরিষদের নির্বাচনকে ঘিরে ময়মনসিংহ জেলা পরিষদ এর প্রতিটি উপজেলায় বইছে নির্বাচনী আমেজ। যদিও প্রতীক হয়নি তবুও প্রার্থীরা জোরেশোরে নেমে পড়েছেন প্রচার প্রচারণায়। ছোটছেন ভোটারদের বাড়ি বাড়ি।

    প্রতিটি উপজেলায় মডেল ইউনিয়ন উপহার দিতে রাস্তাঘাট উন্নয়নসহ নানা উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভোটারদের মন জয় করার চেষ্টা করছেন প্রার্থীরা। জয়ের ব্যাপারে সবাই আশাবাদী হলেও সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যাপারে কেউ কেউ প্রশাসনের সহযোগিতা চেয়েছেন। তবে ভোটাররা প্রতিশ্রুতি চেয়ে প্রার্থীর যোগ্যতাকে যাচাই করে ভোট দেয়ার কথা ভাবছেন।

    ময়মনসিংহ জেলা পরিষদ নির্বাচনে সদস্য পদে বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ জাতীয় পরিষদের সদস্য,ময়মনসিংহ জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক মহিলা বিষয়ক সম্পাদক,সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। সদ্য বিদায়ী সাবেক জেলা পরিষদ সংরক্ষিত আসন( ২) সদস্য পদে
    আরজুনা কবীর আবারও জেলা পরিষদের নির্বাচনে প্রার্থী হিসেবে ভোটারদের দারে দারে ঘুরছেন।

    ইতিমধ্যে তিনি সদর, গৌরীপুর ও তারাকান্দা উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে ব্যাপক গণসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন। নির্বাচনী প্রচারনার অংশ হিসেবে নির্বাচনী এলাকার প্রতিটি ইউনিয়নের ভোটারদের বাড়ী, বাড়ী গিয়ে ভোট প্রার্থনা করছেন। ভোটারদের মন জয় করতে পেরেছেন বলে জানা যায়।
    প্রচারণার অংশ হিসেবে গত বৃহস্পতিবার আসন এলাকার তারাকান্দা উপজেলার কামারিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে নির্বাচনী প্রচারণা চালান তিনি।
    এর আগে নির্বাচনী এলাকার আওতাভূক্ত গৌরীপুর ও সদর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও মেম্বার দের সাথে বৈঠক করেছেন আরজুনা কবীর।

    আরজুনা কবির গত মেয়াদেও জেলা পরিষদের সদস্য হিসাবে দায়িত্ব পালন কালে নির্বাচনী এলাকার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, মসজিদ, মন্দির, রাস্তা ঘাট এর ব্যাপক উন্নয়ন কাজ করায় আসন্ন নির্বাচনেও টপ ফেবারিট প্রার্থী হিসেবে ভোটারদের আলোচনায় রয়েছেন। দক্ষ ও মেধাবী নারী নেত্রী আরজুনা কবির ময়মনসিংহ সদর উপজেলার সাবেক আকুয়া ইউনিয়নের জনপ্রিয় সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মরহুম আব্দুল কাদের কাদু মিয়ার পুত্র হুমায়ুন কবির ভুট্টোর স্ত্রী। তিনি এর আগে ময়মনসিংহ সদর উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ছিলেন।

  • পুলিশ পরিচয়ে সুজানগরের এক বিজিবির  সদস্যের কাছ থেকে ৮ লক্ষাধিক টাকা ছিনতাই

    পুলিশ পরিচয়ে সুজানগরের এক বিজিবির সদস্যের কাছ থেকে ৮ লক্ষাধিক টাকা ছিনতাই

    এম এ আলিম রিপন,সুজানগর ঃ পুলিশ পরিচয়ে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ(বিজিবি) এক সদস্যের কাছ থেকে ৮ লক্ষাধিক টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। ভুক্তভোগীর নাম শরিফুল ইসলাম, তিনি সুজানগর উপজেলা ও আমিনপুর থানার অর্ন্তগত আহম্মদপুর ইউনিয়নের মোবারকপুর গ্রামের হাবিবুর রহমানের ছেলে। এ ঘটনায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদস্য শরিফুল ইসলামের পিতা হাবিবুর রহমান আমিনপুর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। জানাযায়, শরিফুল ইসলাম গত বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার স্থানীয় জনতা ব্যাংক, কাশিনাথপুর শাখা থেকে ৭ লাখ ৯০ হাজার টাকা তোলেন। তার কাছে থাকা আরও ১৫ হাজারসহ মোট ৮ লাখ ৫ হাজার টাকা নিয়ে যাবার পথে আমিনপুর থানাধীন নান্দিয়ারা গোরস্থানের পাশে একটি মাইক্রোবাস তার গতি রোধ করে পুলিশ পরিচয়ে জোর করে গাড়িতে তোলেন এবং হাত-চোখ বেঁধে প্রায় ২ ঘণ্টা গাড়িতে বিভিন্ন জায়গায় ঘোরায়। এ সময় শরিফুলকে মারপিট করে অস্ত্রের মুখে একটি স্মার্ট ফোন ও ৮ লাখ ৫ হাজার টাকা ছিনিয়ে নিয়ে দুপুর একটার দিকে আহম্মদপুর ইউনিয়নের চব্বিশমাইল আলাদীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে গাড়ি থেকে ফেলে দিয়ে ছিনতাইকারীরা চলে যায়। ভুক্তভোগী শরিফুল ইসলাম জানান, তাঁকে গাড়ি থেকে ফেলে দেবার পরে তিনি গাড়ির পেছন থেকে নম্বরটি দেখে রাখেন যার নম্বর ১৩- ৬৯৩২। এ ব্যাপারে আমিনপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রওশন আলী জানান, ছিনতাইকারীদের সনাক্ত করতে ও মাইক্রোবাসটি জব্দ করতে পুলিশ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

    এম এ আলিম রিপন
    সুজানগর(পাবনা)প্রতিনিধি।

  • ঝিনাইদহে এমপিওভুক্ত স্কুলে শিক্ষক নেই ক্লাস নিচ্ছেন নাইটগার্ড

    ঝিনাইদহে এমপিওভুক্ত স্কুলে শিক্ষক নেই ক্লাস নিচ্ছেন নাইটগার্ড

    ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ
    ঝিনাইদহের শৈলকুপার একটি নতুন এমপিওভুক্ত নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে কোন শিক্ষক নেই। আর শিক্ষক হিসেবে যারা আছেন তাদের নিয়োগপত্র বা একাডেমিক সনদ নেই, নেই নিবন্ধন। ফলে শিক্ষার্থীদের পাঠদান করাচ্ছে বিদ্যালয়ের নাইটগার্ড, আয়া ও দপ্তরি। এতে শিক্ষার্থীদের শিক্ষার মান নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সেই সাথে দিনের পর দিন কমছে বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি। অভিযোগ উঠেছে, নিয়োগ বাণিজ্য করার জন্য প্রতিষ্ঠাকালিন শিক্ষকদের তাড়িয়ে দিয়ে বিদ্যালয়ের সভাপতি ও বর্তমান প্রধান শিক্ষক নাইটগার্ড দিয়ে ক্লাস নিচ্ছেন। একাবাসি জানায়, ২০১২ সালে শৈলকুপা উপজেলার নিত্যানন্দপুর গ্রামে হাজী মো: শামসুদ্দিন নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা হয়। প্রতিষ্ঠার পর থেকে সেখানে বিনা বেতনের নিয়মিত পাঠদান করাচ্ছেন শিক্ষক আসাদুজ্জামান, নাসিরুল ইসলাম, আমির হামজা, রচনা খাতুনসহ কয়েকজন শিক্ষক। প্রতিষ্ঠা কালিন প্রধান শিক্ষক নজরুল ইসলাম চাকরী ছেড়ে চলে গেছেন। সম্প্রতি ওই বিদ্যালয় এমপিওভুক্তি হলে সভাপতি সাহাবুল ইসলাম সাবু ও বর্তমান প্রধান শিক্ষক রনজিৎ কুমার বিশ্বাস প্রতিষ্ঠাকালিন শিক্ষকদের তাড়িয়ে দিয়ে নিয়োগ বাণিজ্যের পায়তারা করছেন। নতুন করে শিক্ষা অফিসের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে শিক্ষক চাহিদা পাঠিয়েছেন। এ অবস্থায় শিক্ষকশুন্য বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের ক্লাস নিচ্ছেন বিদ্যালয়ের দপ্তরি, নাইটগার্ড ও আয়া। সরেজমিনে বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, শিক্ষক না থাকায় স্কুলে উপস্থিতি একেবারেই কম। প্রতি ক্লাসে ৮ থেকে ১০ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। ঠিকমতো ক্লাস চলছে না। ৮ম শ্রেনীতে গিয়ে দেখা যায় বিদ্যালয়ের নাইটগার্ড আবু আহম্মেদ ক্লাস নিচ্ছেন। ১০ম শ্রেণীর ছাত্র অর্ণব রায় বলেন, আমাদের আগের যে শিক্ষক ছিল তাদের আসতে দেওয়া হচ্ছে না। আর কয়দিন পর আমাদের এসএসসি পরীক্ষা। কিন্তু এখন আমাদের ক্লাস নিচ্ছেন স্কুলের নাইটগার্ড রাশিদুল, দপ্তরি গোপাল ও আয়া নাসিমা আক্তার আদুরি। এভাবে চললে আমাদের পরীক্ষা তো খারাপ হবে। শারমিন খাতুন নামের এক ছাত্রী জানায়, আগে যেখানে আমাদের ক্লাসে ৪০/৫০ জন ছাত্র-ছাত্রী আসত। এখন সেখানে ৮/১০ জনও আসছে না। প্রিয়া খাতুন নামের একটি ছাত্রী জানায়, আমাদের আগের স্যাররা অনেক ভালো পড়াতেন। আমরা আগের স্যারদের ফেরত চাই। মনিরুল ইসলাম নামে এক অভিভাবক বলেন, প্রতিষ্ঠার পর যারা মেধা ও শ্রম দিয়ে বিদ্যালয়টি এ পর্যায়ে এনেছেন, তাদের বাদ দিয়ে বিদ্যালয়ের সভাপতি সাবু নিয়োগ বানিজ্যে করার জন্য পুরাতন শিক্ষকদের তাড়িয়ে দিলো। এটা খুবই অমানবিক। তিনি অভিযোগ করে বলেন, ইতিমধ্যে আয়া ও দপ্তরি পদে অনেক টাকা নিয়ে নিয়োগ দিয়েছে সভাপতি। বিদ্যালয়ের শিক্ষক আসাদুজ্জামান, আমির হামজা বলেন, আমরা এতদিন কষ্ট করে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করলাম। আজ আমাদের তাড়িয়ে দিচ্ছে। বিদ্যালয়টিতে নতুন শিক্ষক নিয়োগ দেওয়ার জন্য সভাপতি ও প্রধান শিক্ষক এই পায়তারা করছেন। তারা আরও অভিযোগ করে বলেন, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রনজিৎ ২০২০ সালে স্কুলে যোগদান করেন। কিন্তু ব্যাকডেটে ২০১৩ সালে তার নিয়োগ দেখানো হয়েছে। এটি তদন্ত করে দেখলে মুল ঘটনা বেরিয়ে আসবে। এ ব্যাপারে বিদ্যালয়ের সভাপতি সাহাবুল ইসলাম সাবু বলেন, বিদ্যালয়ের চাহিদা অনুযায়ী প্যাটার্ন পাঠানো হয়েছে। এখানে নিয়োগ বানিজ্য’র কিছুই নেই। জেলা শিক্ষা অফিসার শেখ মনিরুল ইসলাম বলেন, ২০০৫ সালের পর নিয়োগ পাওয়া শিক্ষকদের নিবন্ধন থাকতে হবে। ওই স্কুলের অনেক শিক্ষকের সনদ ও নিয়োগপত্র নেই। আমরা প্রাপ্ত চাহিদা ঢাকায় পাঠিয়েছি, এটা উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ দেখবে।

    ঝিনাইদহ
    আতিকুর রহমান

  • নড়াইলে দুটি মোটরসাইকেল মুখোমুখি সংঘর্ষে ৪ জন আহত একজনের অবস্থা আশংকাজনক

    নড়াইলে দুটি মোটরসাইকেল মুখোমুখি সংঘর্ষে ৪ জন আহত একজনের অবস্থা আশংকাজনক

    উজ্জ্বল রায়, নড়াইল জেলা প্রতিনিধি:

    নড়াইলে দু’টি মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে চারজন আহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (২৫ আগস্ট) দুপুরে নড়াইল-কালিয়া সড়কের মাথাভাঙ্গা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। আহতদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশংকাজনক। তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
    পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বৃহস্পতিবার দুপুর ১টার দিকে মাথাভাঙ্গা নামক স্থানে বিপরীত দিক থেকে আসা দু’টি মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। দুই মোটরসাইকেলের চারজন আরোহী রাস্তায় ছিটকে পড়ে গুরুতর আহত হন। এদের মধ্যে সদরের আউড়িয়া ইউনিয়নের বুড়িখালী গ্রামের শফিকুল ইসলামকে (২৭) নড়াইল সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
    এছাড়া জসিম (২৯) নামে অপরজনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। জসিমের মুখ ও মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাত লেগেছে। বাকি দু’জনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
    এ ব্যাপারে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি (চলতি দায়িত্ব) মাহমুদুর রহমান জানান, দুর্ঘটনার খবর তিনি শুনেছেন। তাদের ব্যাপারে খোঁজখবর নেয়া হয়েছে।

  • নওগাঁর সদ্য যোগদানকৃত এসপি’র প্রেসক্লাবের সদস্যদের সাথে মতবিনিময়

    নওগাঁর সদ্য যোগদানকৃত এসপি’র প্রেসক্লাবের সদস্যদের সাথে মতবিনিময়

    রওশন আরা শিলা, নওগাঁ জেলা প্রতিনিধিঃ-: নওগাঁর সদ্য যোগদানকৃত পুলিশ সুপার মুহাম্মদ রাশিদুল হক জেলা প্রেসক্লাবের সদস্যদের সাথে মতবিনিময় করেছেন। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় পুলিশ সুপারের মিলনায়তনে এই মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

    নবাগত পলিশ সুপার জেলার আইনশৃঙ্খলা ও সামাজিক বিষয়ে সার্বিক উন্নয়নে সাংবাদিকদের সহযোগিতা কামনা করেন। এ সময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কে এম এ মামুন খান চিশতি, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো: গাজিউর রহমান উপস্থিত ছিলেন।

    মতবিনিময় সভায় নওগাঁ জেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি মো: কায়েস উদ্দিন, সাধারন সম্পাদক শফিক ছোটন, দৈনিক করতোয়া প্রতিনিধি ও নির্বাহী সদস‍্য মো: নবির উদ্দিন, সহ-সভাপতি এ এস এম রাইহান আলম, সুলতানুল আলম মিলন, সাবেক সভাপতি এ‍্যাড. আনোয়ার হোসেন, সাবেক সাধারন সম্পাদক ফরিদুল করিম তরফদার, সাবেক সাধারন সম্পাদক শফিকুল ইসলাম, বাংলাভিশন প্রতিনিধি বেলায়েত হোসেন, এনটিভি প্রতিনিধি আসাদুর রহমান জয়, সাবেক সাধারন সম্পাদক নাছিমুল হক বুলবুল চ‍্যানেল ‘২৪ প্রতিনিধি হারুন উর রশিদ চৌধুরী, প্রথম আলো প্রতিনিধি ওমর ফারুক, প্রেসক্লাবের দপ্তর সম্পাদক রায়হান রাসেল, সংবাদ প্রতিনিধি কাজী কামাল হোসেনসহ অন্যান্যরা মধ্যে বক্তব্য রাখেন।

    জনাব রাশিদুল হক এর আগে তিনি নওগাঁয় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হিসেবে দায়িত্বপালন করেন। এখান থেকে পুলিশ সুপার হিসেবে পদোন্নতিপ্রাপ্ত হয়ে ঢাকায় যোগদান করেন।

    জনাব মুহাম্মদ রাশিদুল হক ২৫ তম বিসিএস এর মাধ্যমে সহকারি পুলিশ সুপার হিসেবে বাংলাদেশ পুলিশে যোগদান করেন। পুলিশের মাতৃভূমি সারদায় ১ বছরের মৌলিক প্রশিক্ষণ শেষে রাজশাহী জেলায় এএসপি প্রবেশনার হিসেবে ৬ মাসের বাস্তব প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। পরবর্তীতে তিনি ডিআইজি, খুলনা রেঞ্জ মহোদয়ের স্টাফ অফিসার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। এরপর তিনি সিনিয়র এএসপি ঈশ্বরদী সার্কেল হিসেবে যোগদান করে অত্যন্ত দক্ষতা ও সুনামের সাথে তার উপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করেন। তিনি অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হিসেবে পদোন্নতি প্রাপ্ত হয়ে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশন, আইভোরিকোস্ট এবং মালিতে কাজ করে তার কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ ২ বার ‘জাতিসংঘ পদক’ লাভ করেন।
    জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশন থেকে ফিরে তিনি কয়েক মাস হাইওয়ে পুলিশ বগুড়া রিজিওন এ সড়ক অবরোধের সময় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন । এরপর তিনি অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হিসেবে নওগাঁ জেলা পুলিশে যোগদান করে পেশাদারিত্ব ও আন্তরিকতার সাথে তার উপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করেন। পুলিশ সুপার হিসেবে পদোন্নতি প্রাপ্ত হয়ে তিনি বাংলাদেশ পুলিশের গুরুত্বপূর্ণ ইউনিট ঢাকা সিটিএসবি তে অত্যন্ত বিশ্বস্ততার সাথে তার উপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করেন।
    তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কৃতিত্বের সাথে স্নাতক (সম্মান) ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। তার নিজ জেলা চাঁপাইনবাবগঞ্জ।#

    রওশন আরা পারভীন শিলা
    নওগাঁ জেলা প্রতিনিধি।।।

  • নড়াইলের প্রথম নারী এসপি সাদিরা খাতুন’র খুলনা রেঞ্জ ডিআইজি’র সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ

    নড়াইলের প্রথম নারী এসপি সাদিরা খাতুন’র খুলনা রেঞ্জ ডিআইজি’র সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ

    উজ্জ্বল রায়, নড়াইলঃ

    নড়াইলের প্রথম নারী এসপি সাদিরা খাতুন’র খুলনা রেঞ্জ ডিআইজি’র সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ। নড়াইলের প্রথম নারী পুলিশ সুপার সাদিরা খাতুন ২৪ আগস্ট ২০২২ইং নড়াইল জেলার পুলিশ সুপার হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। ২৫ আগস্ট সকাল ১০.৩০ এর সময় তিনি রেঞ্জ ডিআইজি ড. খঃ মহিদ উদ্দিন, বিপিএম (বার) এর সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
    এ সময় রেঞ্জ ডিআইজি, খুলনা নড়াইল, চুয়াডাঙ্গা, সাতক্ষীরা, মাগুরা, ঝিনাইদহ জেলার পুলিশ সুপারগণকে ফুলেল শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান এবং আইন-শৃঙ্খলা বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা প্রদান করেন।
    এ সময় উপস্থিত ছিলেন মোঃ ইকবাল, অতিরিক্ত ডিআইজি (প্রশাসন ও অর্থ), মোঃ আতিকুর রহমান পিপিএম, অতিরিক্ত ডিআইজি (অপারেশনস্) খুলনা রেঞ্জ, কমান্ড্যান্ট (অতিরিক্ত ডিআইজি) আর আর এফ খুলনা এবং সদ্য যোগদানকৃত পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ্ আল-মামুন, পুলিশ সুপার, চুয়াডাঙ্গা, মোহাম্মদ আশিকুর রহমান, বিপিএম, পিপিএম (বার), পুলিশ সুপার, ঝিনাইদহ, কাজী মনিরুজ্জামান, পুলিশ সুপার সাতক্ষীরা, মোঃ মশিউদ্দৌলা রেজা, পুলিশ সুপার মাগুরাসহ সহ রেঞ্জ কার্যালয়ের অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ।

  • নড়াইলে প্রতারিত পটুয়াখালীর মেয়ে নীলা জায়গা পেলো স্বামী ঘরে

    নড়াইলে প্রতারিত পটুয়াখালীর মেয়ে নীলা জায়গা পেলো স্বামী ঘরে

    উজ্জ্বল রায়, (নড়াইল জেলা) প্রতিনিধিঃ

    নড়াইলের নড়াগাতী থানার মুলশ্রী গ্রামে প্রতারণার শিকার পটুয়াখালীর মেয়ে নীলা বেগমকে গ্রাম্য শালিসের মাধ্যমে স্বামীর ঘরে স্থান পেয়েছে। ২৫ আগষ্ট (বৃহস্পতিবার) রাতে পহরডাঙ্গা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মল্লিক মাহামুদুল ইসলাম, স্থাণীয় মাতুব্বর কাবুল মল্লিক ও ইউসুফ শিকদার সমন্বয়ে গঠিত শালিসী বোর্ড রাতে ওই গ্রামের কোবাদ শিকদারের বাড়ীতে গোপন শালিসের মাধ্যমে এ রায় দেন।
    ভুক্তভোগী নীলা বেগম কবিরের নাম ঠিকানা গোপন রেখে বিয়ে করায় পুনরায় তাদের সঠিক ঠিকানা দিয়ে বিয়ে না দেওয়ায় ওই রায়ে সন্তুষ্ট নয় বলে জানান। ২৬ (আগষ্ট) সকালে সরেজমিনে ওই এলাকায় গেলে শালিসীগণ জানান,তাদের আগের কোর্টের এফিডেভিট এবং নিকাহ রেজিষ্ট্রারের মাধ্যমে তাদের যে বিবাহ সম্পাদন হয়েছিলো সেই অনুযায়ী তারা স্বামী স্ত্রীর মর্যাদায় থাকবে। আমরা যাবতীয় কাগজ পত্র দেখে এ রায় দিয়েছি। তবে প্রতারণা করে ঠিকানা গোপন করায় কবিরের সাথে পুনরায় বিয়ে দেওয়ার ব্যপারে তারা কোন মন্তব্য করেননি।
    মুলশ্রী গ্রামের সাজ্জাদ ভূঁইয়া, রকিত শেখসহ অনেকে নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ওই মেয়ে ও কবির ঢাকায় চাকুরী করতো। প্রতিমাসে তাকে ১৫ হাজার টাকা দিত বলে শুনেছি। কবির বাড়ীতে আসার পর মোটরসাইকেল কিনবে শুনেছি এছাড়া তার মায়ের গলায় সোনার চেইনও দেখেছে তারা। ওই মেয়ে ওদের বাড়ীত উঠলে তা খুলে রেখেছে বলে তারা জানায়। তবে কবিরের আসল নাম-ঠিকানা উল্লেখ করে পুনরায় ছহিশুদ্ধভাবে মেয়েটিকে বিয়ে করা উচিৎ বলে তারা মনে করেন। এদিকে নীলা বেগমের শশুর বাড়ীতে গেলে সাংবাদিকদের সাথে অশোভন আচারণ করে। ভুক্তভোগীর সাথে দেখা করতে দেয়নি প্রতারক কবিরের স্বজনরা। তারা জানায়, শালিসের রায় মেনে তারা বউ ঘরে তুলেছে। এখন আর কোন সমস্যা নেই। তবে সঠিক নাম-ঠিকানায় পুনরায় কাবিনের মাধ্যম্যে তাদের বিয়ে করিয়ে নিবেন বলে বলে জানিয়েছেন কবিরের ভাইয়ের স্ত্রী।
    এ ব্যাপারে পহরডাঙ্গা ইউপি চেয়ারম্যান মল্লিক মাহমুদুল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যাক্তিদের নিয়ে আমরা বসেছিলাম তারা ২ মাস ঘর সংসার করেছে এটা সত্য তাই আমরা তাদের বলেছি যে তারা ঐ মেয়ে ঘরে তোলার জন্য। এবং ঘর সংসার করার জন্য। কবির ভূয়া আইডি কার্ড ও নাম ঠিকানা ভূল দিয়ে কাবিন করেছিলো, কিন্তু এখন সঠিক ঠিকানা দিয়ে বিয়ে পড়ানো হয়েছে কিনা জানতে চাইলে চেয়ারম্যান বলেন,না আমরা নতুন করে তার সঠিক ঠিকানা দিয়ে বিয়ে দেয়নি।আমরা ঝামেলায় যেতে চাচ্ছিনা। চেয়ারম্যান ও শালিসগনদের এমন শালিস করার জন্য এলাকায় শুরু হয়েছে গুঞ্জন।
    স্থানীয়রা বলেন,যারা এমন শালিস করেছে তারা দায়স্বারা বিচার করেছে।কবিরের সঠিক ঠিকানা পাওয়ার পরে কেনো তাদের নতুন করে কাবিন করানো হলোনা। এর কারন কি?ভুল ঠিকানা ও ভুল কাবিনে কি তারা সংসার করবে।তারা মনে করেন যারা এই শালিস করেছে তারা কবিরের পক্ষ নিয়ে করেছে।
    উল্লেখ্য যে, গত ২১ ও ২২ আগষ্ট দু’দিন ব্যাপি স্ত্রীর স্বীকৃতি না পেলে কবিরের বাড়ীতেই আত্মহত্যার হুমকি দিয়ে অবস্থান করে নীলা। অন্যের পরিচয়পত্রে নিজের ছবি লাগিয়ে প্রতারনা করে বিয়ে করেছিল নীলাকে। অতঃপর, কবিরের বন্ধুর সহায়তায় মুলশ্রী গ্রামের মোহর শেখের ছেলে কবিরের বাড়ীতে আসে নীলা। স্ত্রীর স্বীকৃতি পেতে আবার কবিরের বাড়িতে অবস্থান করে আত্মহত্যার হুমকি দিয়েছিল।