Category: দেশজুড়ে

  • স্বরূপকাঠি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নবগঠিত কমিটির মতবিনিময় সভা

    স্বরূপকাঠি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নবগঠিত কমিটির মতবিনিময় সভা

    স্বরূপকাঠি উপজেলা প্রতিনিধি //

    নেছারাবাদ উপজেলার স্বরূপকাঠি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নবগঠিত ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্যদের পরিচিত সভা ও প্রাথমিক শিক্ষার গুণগত মানোন্নয়ন শীর্ষক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে ৷

    শনিবার (২৬আগষ্ট)সকাল ১১টায় ২১নং স্বরূপকাঠি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অফিস কক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

    মতবিনিময় ও পরিচিতি সভা অনুষ্ঠানে নবগঠিত কমিটির ১১জন সদস্যদের সাথে সাবেক কমিটির পরিচয় করিয়ে দেন বর্তমান কমিটির সভাপতি ।পরে বিদ্যালয়ের পড়াশোনার মানোন্নয়ন বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়। বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির বর্তমান সদস্যরা হলেন, ওয়াহিদুজ্জামান মানিক( সভাপতি) ,ফুয়াদ হোসেন( সহ-সভাপতি), অন্যান্য সদস্যরা হলেন, মিঠুন আচার্য্য অনুজ, মোঃ শামসুলহক, দেবব্রত সমদ্দার, আনোয়ার হোসেন , মনিন্দ্রনাথ চক্রবর্তী , মারজান ফেরদৌস, শারমিন সুলতানা, মাহিনুর বেগম, ও সুজন সমদ্দার।

    ২১নং স্বরূপকাঠি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নবগঠিত সভাপতি ওয়াহিদুজ্জামান মানিক এর সভাপতিত্বে আরো উপস্থিত ছিলেন, সাবেক কাউন্সিলর সঞ্চয় দত্ত রতন, সরকারি স্বরূপকাঠি মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ভার প্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক কামাল হোসেন সাবেক কমিটির সহ-সভাপতি অসিম কর্মকার, সাবেক সদস্য সইটি,আজাদ সরদার, এবং অত্র স্কলের, শিক্ষক বৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

    উক্ত অনুষ্ঠানে স্কুলের উন্নয়নমূলক কার্যক্রম নিয়ে আলোচনা করা হয় ৷এ সময় স্বরূপকাঠি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নব-নিযুক্ত ম্যানেজিং কমিটির মাধ্যমে ভবিষ্যতে বিদ্যালয়ের সার্বিক সাফল্য কামনা করেন তারা।

    আনোয়ার হোসেন

    স্বরূপকাঠি উপজেলা প্রতিনিধি।।

  • স্বরূপকাঠি সড়কের পাশে তালের বীজ রোপন

    স্বরূপকাঠি সড়কের পাশে তালের বীজ রোপন

    স্বরূপকাঠি (পিরোজপুর) প্রতিনিধি :

    স্বরূপকাঠিতে বজ্রপাত ও পরিবেশের সুরক্ষায় জগন্নাথকাঠি টু চাঁদকাঠি সড়কের পাশে তালের বীজ রোপন করছে কেপি ফাউন্ডেশন নামে একটি অলাভজনক সামাজিক প্রতিষ্ঠান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ময়নুল হক রাসেল।

    আজ সোমবার অসিত বড়াল সহকারী কৃষি কর্মকর্তা এর সঞ্চালনায় গুয়ারেখা ১১ গ্রাম ইউনিয়ন পরিষদ এর পুরাতন ভবনের হল রুমে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
    হালিম ফকিরের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা চপল কৃষ্ণ নাথ,বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইউপি চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রব সিকদার, উপজেলা কৃষি সম্প্রসারন অফিসার সঞ্জয় হালদার, আওয়ামীলীগ নেতা বিমল মিস্ত্রি, মো. সেলিম ফকির, মিলন ফকির, আরিফ ফকির, রিয়াজ ফকির, বনি ফকির প্রমুখ।

  • সেনবাগে গ্রাহকের ৪০ লক্ষাধিক টাকা নিয়ে মতিমিয়ারহাট সমিতির দায়িত্বশীলরা উধাও

    সেনবাগে গ্রাহকের ৪০ লক্ষাধিক টাকা নিয়ে মতিমিয়ারহাট সমিতির দায়িত্বশীলরা উধাও

    রফিকুল ইসলাম সুমন (নোয়াখালী)

    নোয়াখালীর সেনবাগে শতাধিক গ্রাহকের সাধারণ সঞ্চয় ও বিভিন্ন মেয়াদী ডিপিএস এর জমানো প্রায় ৪০ লক্ষাধিক টাকা নিয়ে সমিতির দায়িত্বশীলরা উধাও হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। সরজমিনে গিয়ে অর্ধশতাধিক ভুক্তভোগী ও এলাকাবাসী সুত্রে জানা যায়, উপজেলার মতিমিয়ার হাট বাজারে অবস্থিত “মতিমিয়ার হাট বহুমুখী সমবায় সমিতি লিঃ ( রেজিঃ নং ঃ নোয়া -১৫৮) নামে একটি সমিতি বিগত ৮ -১০ বছর যাবত ঐ এলাকার মানুষদের আকর্ষণীয় লভ্যাংশ দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে সাপ্তাহিক ও মাসিক সাধারণ সঞ্চয় এবং বিভিন্ন মেয়াদী ডিপিএস এর অর্থ আদায় করে আসছিলো। কিন্তু বিগত ২ বছরের ও অধিক সময় যাবত সমিতির অফিস বন্ধ করে দিয়ে গ্রাহকদের নিকট হতে অর্থ আদায় কার্যক্রম স্থগিত করে দিয়েছে সমিতির দায়িত্বশীলরা।এমন পরিস্থিতিতে বিপাকে পড়েন প্রায় শতাধিক গরীব ও হতদরিদ্র গ্রাহক।এমন পরিস্থিতিতে সমিতির সদস্যরা, সভাপতি জাকির হোসেন, সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন, কোষাধ্যক্ষ ডাঃ স্বপন ও আদায়কারী শহিদুল্লাহর নিকট বার বার তাদের জমাকৃত সঞ্চয়ের টাকা উত্তোলন করার আবেদন করে ও অদ্যবধি পর্যন্ত পাননি।
    উপরন্তুু আদায়কারী শহিদুল্লাহর অনেকের টাকা ফেরৎ দিবে বলে তাদের হিসাব বই নিয়ে জব্দ করে বর্তমানে গা ঢাকা দিয়েছেন।গ্রাহকদের অভিযোগ প্রায় শতাধিক গ্রাহকের ৪০ লক্ষাধিক টাকা নিয়ে বর্তমানে সমিতির দায়িত্বশীলরা পলাতক রয়েছেন এবং টাকা আত্মসাৎ এর বিষয়ে একে অপরকে দুষছেন।

    এবিষয়ে জানতে চাইলে সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেনকে ফোন দিলে, তিনি সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে বার বার ফোন কেটে দেন এবং একপর্যায়ে মোবাইল ফোন বন্ধ করে দেন।সমিতির আদায়কারী শহিদুল্লাহকে ফোন দিলে তিনি তার স্ত্রী ও মেয়েকে দিয়ে ফোন রিসিভ করান এবং তারা বলেন শহিদুল্লাহ বাড়ীতে নেই। এদিকে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে স্থানীয় ইউপি সদস্য আবু সাঈদ মুঠোফোনে গণমাধ্যমকে জানান, গত ২ বছর ধরে এই এলাকার বিভিন্ন বাড়ীতে গেলেই নারী – পুরুষদের এই অভিযোগ শুনতে হয়। সমিতির দায়িত্বশীলরা এলাকায় থাকেন না। তাই এ ব্যাপারে আমরা কিছুই করার নেই।

    সমিতির ভুক্তভোগী সদস্যরা সাংবাদিকদের জানান, তাদের কষ্টার্জিত সঞ্চিত টাকা ফেরৎ পেতে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করছেন এবং এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর অভিযোগ করার প্রক্রিয়া চলছে।

  • ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সংস্কারের দাবিতে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাম‌নে মানববন্ধন

    ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সংস্কারের দাবিতে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাম‌নে মানববন্ধন

    মোঃ‌লিটন মাহমুদঃ

    সাংবাদিকদের কণ্ঠরোধে শাস্তি, জেল ও ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানার আইন রোধ করার এবং ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সংস্কারের দাবি জানিয়েছে ফেডারেশন অব বাংলাদেশ জার্নালিস্ট অর্গানাইজেশন নামের একটি সাংবাদিক সংগঠন।

    সোমবার (২৯ আগস্ট) সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে অনুষ্ঠিত এক মানববন্ধন থেকে এ দাবি জানানো হয়।

    মানববন্ধনে অর্গানাইজেশনের মহাসচিব এস এম হানিফ আলী বলেন, ২০০৫ সালে প্রেস কাউন্সিল প্রস্তাবিত আইন যা তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে ২০১৯ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর সর্বসাধারণের মতামতের জন্য প্রকাশ করা হয়। ২০২০ সালের ৯ জানুয়ারি তথ্য সচিবের সভাপতিত্বে তথ্য মন্ত্রণালয়ে চূড়ান্ত করা হয়। সর্বশেষ ২০২২ সালের ২০ জুন মন্ত্রী পরিষদ বৈঠকে নীতিগত ভাবে অনুমোদন দেওয়া হয়।

    তিনি বলেন, বর্তমানে আইনটি সরকারের কাছে প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। আমাদের প্রস্তাবনা, এই আইনে সাংবাদিকদের ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানা ও জেল প্রদানের বিষয় রাখা হয়েছে। এই আইন আরও যাচাই-বাছাই করার জন্য সময় না নিয়ে, তড়িগড়ি করে পাস না করার জন্য দাবি জানাচ্ছি। সাংবাদিকদের অধিকার রক্ষা, পেশাদারিত্বের ক্ষেত্রে মুক্ত গণমাধ্যমের বৈশ্বিক দাবি বাস্তবায়নে সংবাদপত্র সংশ্লিষ্ট ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সংস্কার করতে হবে এবং বর্তমানে যে মামলাগুলো হয়েছে তা প্রেস কাউন্সিলে হস্তান্তর করতে হবে এবং প্রেস কাউন্সিলের অনুমতি ছাড়া কোনো সাংবাদিককে গ্রেপ্তার করা যাবে না।

    এস এম হানিফ আলী বলেন, সাংবাদিকদের পেশাগত নিরাপত্তায় প্রেস কাউন্সিল আইন যুগোপযোগী ও শক্তিশালী করে অভিন্ন নীতিমালা প্রণয়ন করে সাংবাদিক সংগঠনগুলোকে প্রেস কাউন্সিলের অধীনে নিবন্ধন করতে হবে। একটি উপজেলায় একটি সংগঠনের মাধ্যমে সব সাংবাদিকের অধিকার ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। একটি মাত্র কেন্দ্রীয় সংগঠনের মাধ্যমেই এর বাস্তবায়নে আইন প্রণয়ন করতে হবে এবং কল্যাণ ট্রাস্টের কালো আইন বাতিল করে দেশের সব সাংবাদিককে এর সদস্য করে সুযোগ-সুবিধা দিতে হবে।

    মানববন্ধনে ফেডারেশন অব বাংলাদেশ জার্নালিস্ট অর্গানাইজেশনের সভাপতি এস এম মোর্শেদসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা উপজেলা পর্যায়ের সাংবাদিক সহ মুন্সীগঞ্জ রিপোর্টার্স ইউনিটির সাধারন সম্পাদক মোঃ রুবেল, কার্যকরী সদস্য কাজী বিপ্লব হাসান, আনিচুর রহমান রলিন, লিটন মাহমুদ, অর্থ বিষয়ক সম্পাদক মোঃ ফরহাদ মিয়া, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক নাসিমা সুলতানা রিতা ও মোঃ শামীম উক্ত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সংস্কারের দাবিতে মানববন্ধনে উপস্হিত ছি‌লেন ।

  • লালমনিরহাটে ফেনসিডিলসহ ৩জন গ্রেফতার

    লালমনিরহাটে ফেনসিডিলসহ ৩জন গ্রেফতার

    মো.হাসমত উল্ল্যাহ,লালমনিরহাট।।

    লালমনিরহাট জেলার হাতীবান্ধা থানার দক্ষিন গোতামারী মৌজায় বিশেষ অভিযান চালিয়ে মাদকদ্রব্য ফেনসিডিলসহ তিনজন কে গ্রেফতার করেন হাতীবান্ধা থানার পুলিশ।

    লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি)শাহা আলম, এর নেতৃত্বে এসআই (নিঃ) মোঃ আবু বক্কর সিদ্দিক, ও সঙ্গীয় ফোর্স সহ হাতীবান্ধা থানাধীন দক্ষিন গোতামারী মৌজাস্থ জণৈক মোশারফ (৩২), পিতা- মৃতঃ আতোর আলী এর বসত বাড়ী সংলগ্ন পূর্ব পার্শ্বে অনুমান ০৫ গজ দূরে গলিপথে পায়ে হাটা কাচা রাস্তায় বিশেষ অভিযান চালিয়ে ৬৪(চৌষট্টি) বোতল মাদকদ্রব্য ফেনসিডিলসহ মোঃ রফিকুল ইসলাম, মোঃ লিটন মিয়া, মোঃ হাবিবুর ইসলাম,সহ তিন জন কে গ্রেফতার করেন।

    গ্রেফতারকৃত আসামীরা হলেন মোঃ রফিকুল ইসলাম(২৬), পিতা-উকিল মামুদ, মোঃ লিটন মিয়া(২৩), পিতা-মোঃ মোকছেদ আলী, মোঃ হাবিবুর ইসলাম(২২), পিতা-মোঃ জয়নাল আবেদিন ,সর্ব সাং- দক্ষিন গোতামারী (২ নং ওয়ার্ড), থানা- হাতীবান্ধা, জেলা লালমনিরহাট।
    গ্রেফতারকৃত আসামিদের বিরুদ্ধে হাতীবান্ধা থানার মামলা হয়। মামলা নং ৪৪, ধারা – ৩৬(১) সারণির ১৩(গ)/৪১ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১৮ রুজু করা হয়।

    হাতীবান্ধা থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) শাহা আলম, জানান গোপন সংবাদের ভিত্তিতে হাতীবান্ধা থানার দক্ষিন দক্ষিন গোতামারী মৌজায় বিশেষ অভিযান চালিয়ে ৬৪বোতল মাদকদ্রব্য ফেনসিডিলসহ তিনজন কে গ্রেফতার করেন হাতীবান্ধা থানার পুলিশ।

    হাসমত উল্ল্যাহ।

  • কমিউনিটি ক্লিনিক অব্যবস্থাপনায় চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন অনেকে

    কমিউনিটি ক্লিনিক অব্যবস্থাপনায় চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন অনেকে

    মোঃ বাবুল হোসেন পঞ্চগড় , :
    পঞ্চগড় জেলার তেতুলিয়ায় কমিউনিটি ক্লিনিকের হেল্থ প্রোভাইডাররা সকাল ৮ টা থেকে বেলা ৩ টা পর্যন্ত কর্মস্থলে উপস্থিত থাকার নির্দেশনা মানছেন না এমন কি দায়িত্বরত চিকিৎসকও স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়মিত বসেন না বলে অভিযোগ রয়েছে। এ ছাড়া ক্লিনিকগুলোর পরিবেশ অপরিছন্ন ও অস্বাস্থ্যকর।

    সেবাগ্রহীতারা জানান, কমিনিটি ক্লিনিকের চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে গ্রামীন সাধারন মানুষ। তারা বাধ্য হয়ে ছুটছে গ্রামের হাতুড়ে ডাক্তার বা উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে।

    এ ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আবুল কাসেম জানান, কমিনিটি ক্লিনিকে কর্মরতদের দায়িত্বহীনতার বিষয়ে মনিটরিং চলছে।

    জানা যায়, উপজেলার ৭ টি ইউনিয়নে মোট ১৪ টি কমিনিটি ক্লিনিক ও উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র রয়েছে ৩ টি। উক্ত ক্লিনিকগুলো গ্রামাঞ্চলের একমাত্র চিকিৎসাস্থল হলেও সেখান থেকে সেবা গ্রহীতরা কাংখিত চিকিৎসা পাচ্ছে না। বাংলাবান্ধা, তিরনই, তেতুলিয়া, শালবাহান, বুড়াবুড়ি, ভজনপুর, দেবনগরসহ কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোতে ১৯৯৮ সালে কমিনিটি ক্লিনিকের কার্যক্রম শুরু হয়। তখন তিন মাসের প্রশিক্ষণে প্রতি ক্লিনিকে তিনজন করে হেলথ প্রোভাইটাডার নিয়োগ দেওয়া হয়। কিন্তু তদারকির অভাবে বর্তমানে ক্লিনিকের কার্যক্রম শুধু কাগজে কলমে সীমাবদ্ধ। নিয়মানুযায়ী সপ্তাহে একদিন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ কর্মরত একজন চিকিৎক ক্লিনিকে গিয়ে রোগীদের সেবা দেওয়ার কথা থাকলেও যান না কেউ।অপর দিকে বিনামুল্যের ঔষধ অন্যত্র বিক্রি করছেন বলে জানা যায়।

    রবিবার (২৮ আগষ্ট) সরজমিনে গিয়ে দেখা যায় তিরনই হাট ফকির পাড়া এবং তেতুলিয়া সদর রনচন্ডি দায়িত্বশীল কর্মকর্তা- সি এইচ সিপি জয়নাল আবেদিন অফিসে আসলেন সকাল ১০ ঘঠিকায় অথচ তার ৮ ঘটিকার সময় উপস্থিত হওয়ার কথা। জনবল তিনজন থাকার কথা তার মধ্যে এইচ এ রুমালায়লা, এফ ডাবলু এ পারভিন অফিসে নেই। এমন চিত্র প্রায় সব ক্লিনিকে।

    রওশনপুরে একটি কমিনিটি ক্লিনিক রয়েছে, সেখানে দায়িত্বশীল কর্মকর্তার পদটি শুন্য পাওয়া যায়। এ বিষয়ে রওশনপুর গ্রামের সেবা গ্রহীত শহিদুল, মহসিনা জানান, হাতে ব্যথার জন্য এন্টাসিড, সেবা দিয়ে বিদায় করেন।

    এসব বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করে সরকারের স্বাস্থ্য সেবা সকলের জন্য নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের দৃষ্ঠি আকর্ষণ করেছেন সেবা গ্রহীতারা ও সুধীজন।

  • বিরোধপূর্ণ জমিতে ঘর নির্মাণের অভিযোগ

    বিরোধপূর্ণ জমিতে ঘর নির্মাণের অভিযোগ

    মোঃ বাবুল হোসেন পঞ্চগড় :
    পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলার হাওয়াজোত গ্রামে বিরোধপূর্ণ জমিতে সরকারি আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। ওই গ্রামে ২৬ শতাংশ জমিতে ভূমিহীন ও গৃহহীনদের জন্য ১২টি ঘর নির্মাণ করা হয়েছে।
    পৈতৃক সূত্রে মিনত,খিরত ও সুরত ওই জমির দাবীদার।

    তবে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন,খাস জমিতেই আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘর নির্মাণ করা হয়েছে।
    জমির মালিকানা দাবী খিরত চন্দ্র রায় বলেন, তাঁর পূর্বপুরুষ উদ্রকান্ত সি এস ৩১২০ খতিয়ানের মালিক যার এস এ ২৮৯।
    হঠাৎ করে স্থানীয় মৃত ফজলুর রহমানের ওয়ারিশ মোছাঃ রেনু আক্তারসহ ১১ জন দাবী করে তারা ৬২ জবর দখল রেকর্ডীয় মালিক। এই দ্বন্দে পরে তাঁরা বাদী হয়ে সহকারী জজ আদালতে মামলা দায়ের করেন। যাহার নং ১১২/২৬ জুন ২০০৮ইং।
    দীর্ঘদিন মামলা পরিচালনা করার পর আমাদের পক্ষে রায় দেন তেঁতুলিয়া সহকারি জজ আদালত।পরে বিবাদী পক্ষ এ রায়ের বিরুদ্ধে বিজ্ঞ জেলা জজ আদালতে আপিল করে।
    তিনি আরো বলেন, আদালতের আদেশের পর ১০ টি দাগে ৫.৪৯ একর জমির মধ্যে রোপা আমন ধান রোপন করেছি কিন্তু সাবেক দাগ ৯০ হাল দাগ ৪০৫০ এর ২৬ শতক জমির উপর সরকারি আশ্রয়ন প্রকল্পের ১২ টি ঘর নির্মাণ করেছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার।

    ওই জমি ফিরে পাওয়ার জোর দাবী জানিয়েছেন অসহায় পরিবার গুলো।
    মিনত চন্দ্র রায় জানান, যখন আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘর নির্মাণের জন্য ইট বালুসহ অন্যান্য সরঞ্জাম নিয়ে যায়। আমি বাঁধা দিছি কিন্তু চেয়ারম্যান ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার কোন কথা শুনেন নাই। তিনি আরো বলেন, ৪০৫২ দাগটি খাস সেখানে প্রকল্পের ঘর করতে গিয়ে পাশের বিরোধীয় জমিতেও ঘর নির্মাণ করে।
    স্থানীয়রা জানান, ঘরের কাজ শেষ হয়েছে অনেক আগে কিন্তু জমির বিরোধের কারনে ঘরগুলোতে এখন পর্যন্ত উঠতে পারছেনা উপকারভোগীরা।
    বাংলাবান্ধা ইউনিয়ন ভূমি উপ-সহকারি কর্মকর্তা খামির উদ্দিন চৌধুরি জানান, হাওয়াজোত এলাকায় ৪০৫২ দাগটি খাস সেখানে আশ্রয়নের ঘর নির্মান করা হয়েছে।
    তেঁতুলিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার সোহাগ চন্দ্র সাহা জানান,জমির মালিকানা আমাদের তাই আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘর নির্মাণ করা হয়েছে। ঘর নির্মাণে বাঁধা দেয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে। তিনি অস্বীকার করেন।

  • ক্ষেতলালে নামমাত্র মূল্যে টেন্ডারের কার্যাদেশ রাজস্ব হারালেন সরকার

    ক্ষেতলালে নামমাত্র মূল্যে টেন্ডারের কার্যাদেশ রাজস্ব হারালেন সরকার

    এস এম মিলন জয়পুরহাট জেলা প্রতিনিধিঃ

    জয়পুরহাটের ক্ষেতলালে নামমাত্র মূল্যে চারটি
    সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পুরাতন ভবন অপসারনের টেন্ডারের কার্যাদেশ দেওয়ার
    অভিযোগ উঠেছে। উল্লেখিত চারটি বিদ্যালয়ের পুরাতন অবকাঠামোর প্রকৃত
    মূল্য হতো আনুমানিক ২০ লক্ষ টাকা।
    জানাগেছে, উপজেলার আটিদাশড়া, হিন্দা, কৃষ্ণনগর ও জিয়াপুর সরকারি
    প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন প্রকল্প (পিডিইপি)
    ২০২১-২২ অর্থ বছরের আওতায় নতুন ভবন নির্মানের বরাদ্দ পায়। ওই বিদ্যালয়ের পুরাতন
    ভবনগুলো অপসারণ চেয়ে আবেদন করে ওইসব প্রতিষ্ঠানের প্রধানগন। এরপর ভবনগুলোর
    যাবতীয় পুরাতন অবকাঠামো অপসারন মূল্য নির্ধারণ করেন উপজেলা প্রকৌশলী।

    ৪ আগস্ট এসব বিদ্যালয়ের পুরাতন ভবন অপসারণের টেন্ডার ড্রপের আহবান করেন
    উপজেলা প্রশাসন। ওই দিন ব্যাপক প্রচারণা ছাড়াই তরিঘড়ি করে মাত্র ১ ঘন্টা
    সময়ের মধ্যে টেন্ডার ড্রোপ এবং ড্র কার্যক্রম পরিচালনা করেন কতৃপক্ষ। এতে
    সরকার নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে মাত্র ১ থেকে ২ হাজার টাকা অতিরিক্ত দিয়ে ওইসব
    কাজ পান দলীয় নেতাকর্মীরা। আঁটিদাশড়া প্রাথমিক বিদ্যালয় টেন্ডারটি পান
    উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমিন, হিন্দা প্রাথমিক
    বিদ্যালয় পান ক্ষেতলাল পৌর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাপ
    হোসেন জুয়েলে, কৃষ্ণনগর প্রাথমিক বিদ্যালয় পান উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম
    আহ্বায়ক জুল আরশ শুভ, মহব্বতপুর প্রাথমিক বিদ্যালয় পেয়েছেন আঃলীগ
    কর্মী বেলাল হোসেন।
    আটি দাশড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পুরাতন ভবন সরকারি মূল্য দেখানো হয়
    ৮০ হাজার অথচ ৫০০ টাকা অতিরিক্ত দিয়ে টেন্ডার নিয়ে মালামাল বিক্রি করেন ৫ লক্ষ
    টাকায়। অপরদিকে কৃষ্ণনগর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে টেন্ডার মূল্য দেখানো হয় ৫৪
    হাজার সেখানে কার্যাদেশ প্রাপ্ত ঠিকাদার মালামাল বিক্রি করেছেন ২ লক্ষ ৫০ হাজার
    টাকা। এভাবে অন্যান্য বিদ্যালয় মিলে সরকার রাজস্ব হারিয়েছে প্রায় ২০ লক্ষ টাকা।
    উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার অচিন্ত কুমারের নিকট টেন্ডারের সরকার
    নির্ধারিত মূল্য জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাদের কাছে এ তথ্য নেই, এসব
    উপজেলা প্রকৌশলী জানেন। টেন্ডার প্রক্রিয়ার বিষয় গুলো গোপনেই হয়, এটা
    আপনারাও জানেন, আমরাও জানি।
    উপজেলা প্রকৌশলী প্রদীপ কুমার বলেন, প্রাক্কলনটি গত বছর করা হয়েছে এ বছরের
    মূল্যের সাথে তারতম্য হতে পারে বলে সাংবাদিকদের এড়িয়ে যান। এ বিষয়ে আরো
    প্রমানিক তথ্য চাইলে তিনি অফিস থেকে পালিয়ে যান।

  • বিএনপি দূর্ণীতি করে,  ধ্বংসাত্মক রাজনীতি করে, গোদাগাড়ীতে ওমর ফারুক চৌধুরী এমপি

    বিএনপি দূর্ণীতি করে, ধ্বংসাত্মক রাজনীতি করে, গোদাগাড়ীতে ওমর ফারুক চৌধুরী এমপি

    রাজশাহী থেকে মোঃ হায়দার আলী।। রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার বাসুদেবপুর ইউনিয়নে জাতীয় শোক দিবস জাতির ১৫ই আগস্টে শাহাদত বরণকারী শহীদদের স্মরণে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
    সোমবার বিকালে উপজেলার শহিদুন্নেসানবালিকা উচ্চ বালিকা বিদ্যালয় মাঠে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

    বাসুদেবপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি শফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী ১ আসনের সংসদ, সাবেক শিল্প প্রতিমন্ত্রী উন্নয়নের আলহাজ্ব ওমর ফারুক চৌধুরী এমপি, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গোদাগাড়ীতে যুবলীগের সভাপতি ও উপজেলার চেয়ারম্যান মোঃ জাহাঙ্গীর আলম।

    উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা আওয়ামীলীগের
    সভাপতি ও গোদাগাড়ী পৌরসভার মেয়র আলহাজ্ব মোঃ অয়েজ উদ্দিন বিশ্বাস, সাধারণ সম্পাদক মোঃ আব্দুর রশিদ, দেওপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বেলাল উদ্দিন সোহেল, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান সুফিয়া খাতুন মিলি প্রমূখ।

    প্রধান অতিথির বক্তব্যে, এমপি ওমর ফারুক চৌধিরী বলেন, দেশের উন্নয়ন অব্যাহত রাখতে আবারও নৌকায় ভোট দিতে হবে। বিএনপি জামায়াতের মিস্টি কথায় না ভুলে আওয়ামীলীগের সাথে থাকুন, শেখ হাসিনার সাথে থাকুন, ভাল কাজের সাথে থাকুন, উন্নয়নের সাথে থাকুন।

    দেশের এই অর্থনৈতিক অবস্থা বিবেচনা করে মাত্র ১৫ টাকা কেজিতে ১৫ লাখ মানুষকে চাল দেয়ার ঘোষনা করেছেন প্রধান মন্ত্রী শেখ হসিনা।
    রেশন কার্ড এর ব্যবস্থা করা হবে। এক কোটি পরিবার এই রেশন কার্ড পাবে। এখান থেকে ন্যায্যমূল্য তারা তাদের পণ্য কিনতে পারবে। অচিরেই সরকার কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহন করবেন।

    বিশ্বের সব জায়গাতেই জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি। পৃথিবীতো আজকে গ্লোবাল ভিলেজ। আজকে আমরা একে অন্যের ওপর নির্ভরশীল। বিশ্বব্যাপী যেখানে পণ্যের দাম বেড়ে যাচ্ছে, আমরা তো এগুলোর বাইরে যেতে পারি না। সেই ধাক্কা আমাদের উপর এসে লাগছে।

    আপনি আওয়ামীলীগ ও বঙ্গবন্ধর নাম ভাঙিয়ে হেরোইন ব্যবসাা করবেন , জুয়া খেলবেন, চাঁদাবাজি করবেন, অবৈধ কাজ করবেন এটা হতে দেযা হবে না। মাদক ব্যবসায়ীরা, জুয়াড়িরা, চাঁদাবাজেরা আমাদের কিছু নেতা ও জনপ্রতিদের অবৈধ অর্থ দিয়ে সহজে ম্যানেজ করে নৌকা ফুটা করতে সাহায্য করে থাকে। যে সব নেতারা নৌকা ফুটা করেছেন তাদের তালিকা প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা করেছেন, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা শুরু হয়ে গেছে। তারা এখন তসবি নিয়ে ভাল করে ধর্মকর্ম শুরু করুক। যে সব নেতা আওয়ামীগীগের নাম ভাঙিয়ে মানুষের হক নষ্ট করছেন, সম্পদ কেঁড়ে নিচ্ছেন তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। আগামী সংসদ নির্বাচনে প্রত্যেকে এখন থেকে ৫ টি করে ভোটারের নিকট যাবেন এবং ভোটাদের ঠিক করবেন, নৌকায় ভোট দেয়ার কথা বলবেন, উন্আনয়নের কথা বলবেন, আমরা সব জায়গায় ভোটে জয়লাভ করি কিন্তু বাসুদেবপুর ইউনিয়নে জয় লাভ করতে পারি না। এরা সব পাকিস্থানে ভোট দিয়ে দেন। এখন থেকে বাংলাদেশকে নৌকার ভোট দেয়ার আহ্বায়ন জানান ওমর ফারুক চৌধুরী এমপি।

    মোঃ হায়দার আলী
    নিজস্ব প্রতিবেদক,
    রাজশাহী।

  • সুন্দরগঞ্জে ১৭ বছরেও স্কুল সরকারি না হওয়ায় শিক্ষকদের মানবেতর জীবনযাপন

    সুন্দরগঞ্জে ১৭ বছরেও স্কুল সরকারি না হওয়ায় শিক্ষকদের মানবেতর জীবনযাপন

    মোঃ আনিসুর রহমান আগুন, গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধিঃ
    গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় দীর্ঘ ১৭ বছরেও রেজিঃ প্রাথমিক বিদ্যালয় সরকারি না হওয়ায় শিক্ষক পরিবারগুলো চরম মানবেতর জীবনযাপন করছে।

    জানা গেছে, উপজেলার রামজীবন ইউনিয়নের খন্দকারপাড়া আদর্শ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় সংলগ্ন রেজিঃ প্রাথমিক বিদ্যালয়টি অত্যন্ত নিরিবিলি ও মনোরম পরিবেশে ২০০৫ সালে স্থাপিত হয়। পরে ২০১০ সালে পাঠ দানের প্রাথমিক অনুমতি পায়। যার স্মারক নং-প্রাই/রাবিরা/এফ ১২/১১৩/৬২৮/১১০। পাশাপাশি ০৭/০১/২০১০ইং অস্থায়ী রেজিস্ট্রেশন হয়। যার নাম্বার- ডিডি/ প্রাই/ রবি এবং ৮২(৯) তারিখ- ২৩/০৫/১২ইং। ২০১০ সালে অনুমতি পাওয়ার পর থেকে স্কুলটির শিক্ষার্থীরা সমাপনী পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করে আসছে। বিদ্যালয়টিতে বর্তমান শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১৭০ জন। পরীক্ষার ফলাফলও মোটামুটি ভাল। বিদ্যালয়টি বিগত ২৩/০৫/১২ সালে স্থায়ী রেজিষ্ট্রেশন ও উপবৃত্তি প্রাপ্ত হয়। ২০১৩ সালে বাংলাদেশ সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী বিদ্যালয়টি “খ” গ্রুপে জাতীয়করণ হিসেবে যোগ্য বিবেচিত হলেও দুর্ভাগ্যবশত তা বাদ পড়ে যায়। তৎপ্রেক্ষিতে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পরিচালক সিপিই সাইফুল্লাহ মকবুল মোর্শেদ ০৫/০৪/ ২০১৬ সালে বিদ্যালয়টি পরিদর্শন করে জাতীয়করণের মতামত দেন । সেই সাথে ২৩/০৩/২০১৯ইং সালে দ্বিতীয় ধাপ হতে বাদপড়া বিদ্যালয়টি জাতীয়করণের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য জোর সুপারিশ করেন স্থানীয় এমপি ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী। তারপরও আজও বিদ্যালয়টি জাতীয়করন না হওয়ায় চরম মানবেতর জীবনযাপন করছে শিক্ষকদের পরিবার পরিজন। এব্যাপারে প্রধান শিক্ষক নাজমা বেগমের স্বামী ওসমান গনি জানান, স্কুলটি জাতীয়
    করণ না হওয়ায় আমার পরিবারসহ সংশ্লিষ্ট প্রতিটি শিক্ষক পরিবারের ছেলে মেয়েরা ভালভাবে পড়ালেখা করতে পারচ্ছে না। সেই সাথে সবাই চরম কষ্টে দিন কাটছে। এনিয়ে উপজেলা শিক্ষা অফিসার হারুন অর রশিদের সাথে কথা হলে বলেন, আমি সরকারি স্কুলের কাজ করি। এব্যাপারে কিছু জানিনা। সরকারি হোক দেখব। এছাড়া আমার করার কিছুই নাই।