Category: দেশজুড়ে

  • ঝিনাইদহে বিএনপির বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ

    ঝিনাইদহে বিএনপির বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ

    ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ
    জ্বালানী তেল, পরিবহণ খাতে ভাড়া বৃদ্ধি, দেশের বিভিন্নস্থানে বিএনপি নেতা কর্মীদের হত্যা, নির্যাতন ও উল্টো মিথ্যা মামলা দায়েরের প্রতিবাদে ঝিনাইদহে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। কেন্দ্রীয় কর্মসূচীর অংশ হিসেবে রোববার বেলা ১১টার দিকে ঝিনাইদহ প্রেসক্লাবের সামনে থেকে বিএনপির বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। মিছিলটি শহরের বিভিন্ন সড়ক ঘুরে এইচ এস এস সড়কের জেলা বিএনপির কার্যালয়ে সামনে গিয়ে শেষ হয়। পরে সেখানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক (খুলনা বিভাগ) জয়ন্ত কুমার কুন্ডু, কেন্দ্রীয় নেতা আনোয়ারুল ইসলাম বাদশা, সদর থানা বিএনপির সভাপতি এ্যাড. কামার আজাদ পান্নু, আব্দুল মজিদ বিশ^াস, জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সাজেদুর রহমান পাপপু, আলমগীর হোসেন আলম, জিয়াউল ইসলাম ফিরোজ, শাহজাহান আলী, আশরাফুল ইসলাম পিন্টু ও এনামুল হক মুকুল প্রমুখ। বিএনপি নেতারা তাদের বক্তব্যে বলেন, দেশে মানুষ জেগে উঠেছে। হাসিনার পালানোর পথ একে একে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। বক্তরা দেশের এই অস্থীতিশীল পরিস্থিতির জন্য সরকারকে দায়ী করে বলেন বিএনপির শান্তিপুর্ণ আন্দোলন রুখে দিতে আওয়ামীলীগ পুলিশ ভাইদের নগ্নভাবে ব্যবহার করছে।

    ঝিনাইদহ
    আতিকুর রহমান।

  • এক বছরের সাজার ভয়ে চার বছর পলাতক! হরিণাকুন্ডু উপজেলা আওয়ামলীগের সাধারণ সম্পাদককে এক বছরের  কারাদন্ড প্রদান

    এক বছরের সাজার ভয়ে চার বছর পলাতক! হরিণাকুন্ডু উপজেলা আওয়ামলীগের সাধারণ সম্পাদককে এক বছরের কারাদন্ড প্রদান

    ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ
    ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডু উপজেলা আওয়ামলীগের সাধারণ সম্পাদক রবিউল ইসলামকে কারাগারে পাঠিয়েছে ঝিনাইদহের একটি আদালত। রোববার দুপুরে এক বছরের সাজাপ্রাপ্ত একটি সিআর মামলার আসামী রবিউল ইসলাম আপীল শর্তে জামিন নিতে গেলে ঝিনাইদহ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট প্রথম আদালতের বিচারক সঞ্জয় পাল জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠান। আদালত সুত্রে জানা গেছে, ২০১৮ সালের ১১ নভেম্বর রবিউল ইসলাম ও তার ভাইরা শাহিনকে দন্ডবিধির ৩২৩ ধারায় দোষি সাব্যস্ত করে বিজ্ঞ আদালত এক বছরের কারাদন্ড প্রদান করেন। এরপর থেকে তিনি পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে চার বছর ধরে পলাতক ছিলেন। আদালতের বেঞ্চ সহকারী মোহাম্মদ আলী জানান, ২০০৯ সালের ২ নভেম্বর মামলার বাদী মনিরা আক্তারের স্বামীকে রবিউল ও তার ভাইরা শাহিন মারপিট করেন। এ ঘটনায় মনিরা আক্তার বাদী হয়ে আদালতে একটি পিটিশন মামলা দায়ের করেন যার নং ৩৫০/১৯। মামলাটি পুলিশ তদন্ত করে রবিউল ও তার ভাইরাকে দোষি সাব্যস্ত করে রিপোর্ট দিলে সিআর (নং ৬৮১/১১) মামলায় রুপান্তরিত হয়। বিজ্ঞ আদালতের বিচারক সাক্ষ্য প্রমানের ভিত্তিতে ২০১৮ সালের ১১ নভেম্বর রবিউল ইসলাম ও তার ভাইরা শাহিনকে দোষি সাব্যস্ত করে এক বছরের কারাদন্ড প্রদান করেন। ওই মামলায় রবিউল ইসলাম আদালতে আত্মসমর্পন না করে পলাতক ছিলেন। রোববার দুপুরে আপীল শর্তে জামিন নিতে গেলে বিজ্ঞ আদালতের বিচারক জামিন নামঞ্জুর করে জেলহাজতে পাঠিয়ে দেন।

  • পরীক্ষা চলাকালীন ১৪৪ ধারা ভঙ্গের দায়ে দুই মাদ্রাসা শিক্ষককে জরিমানা

    পরীক্ষা চলাকালীন ১৪৪ ধারা ভঙ্গের দায়ে দুই মাদ্রাসা শিক্ষককে জরিমানা

    মোঃ বাবুল হোসেন পঞ্চগড় :
    পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রবেশ করার দায়ে মোস্তাফিজুর রহমান নামে এক অধ্যক্ষ সহ মিজানুর রহমান নামে এক সহকারী শিক্ষককে ১ লক্ষ টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমান আদালত।

    শনিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) উপজেলার শালবাহান ইউনিয়নের কালান্দীগঞ্জ ফাজিল মাদ্রাসায় তাদের এই জরিমানা করেন তেঁতুলিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট সোহাগ চন্দ্র সাহা।

    জানা যায়, অভিযুক্ত মোস্তাফিজুর রহমান কালান্দীগঞ্জ ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মিজানুর রহমান মাগুরমারি চৌরাস্তা দাখিল মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক।

    ভ্রাম্যমান আদালত সূত্রে জানা যায়, কালান্দীগঞ্জ ফাজিল মাদ্রাসায় পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে ওই দুই শিক্ষক পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রবেশ করে। একই সাথে কেন্দ্রে তাদের কোন দায়িত্ব না থাকায় পাবলিক পরীক্ষা আইনে ভ্রাম্যমান আদালতে তাদের ৫০ হাজার টাকা করে ১ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়।একই সাথে তাদের সচেতন করা হয়।

  • সাংবাদিক রুবেলকে গ্রেফতারের  প্রতিবাদে বিক্ষাভ

    সাংবাদিক রুবেলকে গ্রেফতারের প্রতিবাদে বিক্ষাভ

    রাঙ্গাবালী (পটুয়াখালী) সংবাদদাতা :
    পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও দৈনিক ভোরের কাগজের প্রতিনিধি কামরুল হাসান রুবেলকে মিথ্যা মামলায় গ্রেফতারের প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করা হয়ছ।
    রোববার দুপুরে উপজেলা পরিষদের সামনে এ কর্মসূচি পালন করেন প্রিট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় কর্মরত সাংবাদিকরা।
    এসময় বক্তারা অবিলম্ব ষড়য¿মূলক মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও অবিলম্বে সাংবাদিক রুবেলকে নিঃশর্ত মুক্তির দাবী জানান। অন্যথায় কঠোর কর্মসূচী ঘোষণার হুশিয়ারী দেন বক্তারা।
    সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সময় টিভির রিপোর্টার সিকদার জাবির হোসেন, যগন্তরের কামরুল হাসান, কালের কন্ঠের এম সোহেল, সংবাদ সারাবেলার দিলীপ দাস ও রাঙ্গাবালী সালেহা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফিরোজ আহমেদ।
    এসময় উপস্তি ছিলেন আনন্দ টিভির আল আমিন হিরন, মাইটিভির এনামুল ইসলাম, নয়াদিগান্তের রফিকুল ইসলাম, ইনকিলাবের শাহ নেওয়াজ, মানবজমিনের মাহমুদ হাসান রাজিব, গণকন্ঠের রহিম গাজী, যুগান্তরের বনি আমিন, আমার সংবাদর মনিরুল ইসলাম, সময়ের আলোর সাইফুল ইসলাম সায়েম, মুক্ত খবরের আব্দুল্লাহ আল ইমরান, বাংলাদেশ বুলেটিনের মাহমুদ হাসান, বার্তা বাজারের সাবির মাহমুদ, সন্ধ্যাবানীর কবির হাওলাদার, বিশ্বমানচিত্রের জাহাঙ্গীর হাসন প্রমুখ।

    রফিকুল ইসলাম
    রাঙ্গাবালী (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি।

  • খুলনা জেলা পরিষদের ১নং  ওয়ার্ডের সংরক্ষিত  সদস্য পদের নির্বাচনে নাহার আক্তার আবার  ভোটের মাঠে

    খুলনা জেলা পরিষদের ১নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত সদস্য পদের নির্বাচনে নাহার আক্তার আবার ভোটের মাঠে

    ইমদাদুল হক,পাইকগাছা,খুলনা।।
    আগামী ১৭ অক্টোবর-খুলনা জেলা পরিষদের ১ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত সদস্য পদের নির্বাচনে আবার ও ভোটের মাঠে নেমেছেন সাবেক সংরক্ষিত সদস্য ও জাতীয় শ্রমিকলীগ পাইকগাছা উপজেলা শাখার সদস্য নাহার আক্তার। তিনি ইতোমধ্যে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে জমা দিয়ে ভোটারদের দুয়ারে-দুয়ারে ভোট প্রার্থনা করে চলেছেন। তিনি গত জেলা পরিষদ নির্বাচনে ১৫ টি ইউনিয়নে সংরক্ষিত আসনে নির্বাচন করে জয়ী হয়েছিলেন। নির্বাচিত হওয়ার পর তিনি তার নির্বাচনী এলাকায় স্কুল, মসজিদ, মন্দির, ব্রীজ, কালভার্টের ব্যাপক উন্নয়ন মূলক কাজ করেছেন। নির্বাচনী এলাকায় মানুষের সাথে সৌহার্দপূর্ণ পরিবেশ বজায় রেখেছেন। মানুষের জনসেবায় নাহার এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে ছুটে বেড়িয়েছেন। মানুষের সেবা করতে যেয়ে তিনি দূর্ঘটনা জনিতকারণে একটি পা হারিয়েছেন। বর্তমান পা হারানো প্রতিবন্ধী অবস্থায় নাহার আবার ও জেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করেছেন। তিনি বলেন আল্লাহ যতদিন জীবিত রাখবেন ততদিন মানুষের সেবা করে যাবেন। তবে এবার নির্বাচনে নাহারকে তিনটি উপজেলার ২৬ টি ইউনিয়ন, ২ টি পৌরসভার মোট ৩৭৩জন ভোটারের মধ্যে লড়তে হবে। যা পূর্ব নির্বাচনের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ। নাহার আক্তার পাইকগাছা উপজেলার দক্ষিণ সলুয়া গ্রামের আব্দুল মাজেদ সরদারের কন্যা। সে সকলের নিকট দোয়া ও আশীর্বাদ প্রার্থী।

    ইমদাদুল হক,
    পাইকগাছা,খুলনা।

  • বঙ্গোপসাগরে মাছ আহরণে পাইকগাছার জেলে পল্লীতে ব্যাপক প্রস্তুতি

    বঙ্গোপসাগরে মাছ আহরণে পাইকগাছার জেলে পল্লীতে ব্যাপক প্রস্তুতি

    ইমদাদুল হক,পাইকগাছা,খুলনা।।
    শীত মৌসুমে বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরতে যাওয়ার জন্য পাইকগাছার জেলে পল্লীগুলোতে এখন ব্যাপক প্রস্তুতি চলছে। মহাজনের চড়াসুদে দাদনে টাকা নিয়ে জীবিকার তাগিতে আশা-হতাশায় সাগর যাত্রার প্রস্তুতি নিচ্ছে জেলেরা। নতুন ট্রলার তৈরি এবং পুরাতন ট্রলার মেরামত, জাল বুনা ও জাল শুকানোর কাজের ধুম পড়ে গেছে। জেলে পল্লীর নারী-পুরুষ ও শ্রমিকরা সুন্দরবনের দুবলার চরে যাওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় জিনিস পত্র গোছাতে কর্মব্যস্ত দিন কাঁটাচ্ছে। সুন্দরবন ও সাগরে মাছ ধরতে যাওয়ার পস্তুতির মধ্য বিরাজ করছে তাদের সারা বছরের জীবিকা অর্জনের আশার সাথে রয়েছে হতাশাও।
    পাইকগাছাউপজেলার বোয়ালিয়া, হিতামপুর, মাহমুদকাটী, নোয়াকাটি, কপিলমুনি, কাটিপাড়া, রাড়লী, শাহাপাড়া, বাঁকাসহ বিভিন্ন গ্রামের জেলে পল্লী থেকে প্রায় ২৫০টি ট্রলার সমুদ্রে মাছ ধরার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। এ সব কাজে বাড়ীর ছোট বড় সবাই সহযোগীতা করছে। নতুন ট্রালার তৈরি, পুরাতন ট্রলারগুলো সংস্কার, জালবুনা, লোহার নোঙ্গর/গ্রাফি, ট্রলারের রং করা, জালে গাবকুটে তার রস লাগানো সহ সমুদ্রে যাওয়ার বিভিন্ন কাজ কর্ম নিয়ে জেলে পল্লীর নারী-পুরুষরা ব্যস্ত দিন কাঁটাচ্ছে।উপজেলার বোয়ালিয়া মালোপাড়া সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, জেলাপাড়ার নারী-পুরুষ সকলেই সমুদ্রে মাছ ধরতে যাওয়ার জন্য বিভিন্ন কাজ নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছে। মালোপাড়ায় ৩টি নতুন ট্রলার তৈরী করার কাজ চলছে। মিস্ত্রীরা দিন রাত ট্রলার তৈরী কাজে নিয়োজিত রয়েছে। ট্রলার তৈরী নিয়ে মালোপাড়ায় তৈরি হয়েছে উৎসব মূখর পরিবেশ। মালো পাড়ার রবিন বিশ্বাস, প্রজিত
    বিশ্বাসসহ কয়েক জন নতুন ট্রলার তৈরী করছে। তাছাড়া দিপংকর বিশ্বাস, সিতেরাম বিশ্বাস, তাপস বিশ্বাস, দয়াল মন্ডল তাদের পুরাতন ট্রলারগুলি মেরামত করছে। কপোতাক্ষ নদের তীরে বোয়ালিয়া ব্রীজের দুই পাশে ট্রলার তৈরী ও মেরামতের কাজ চলছে। বোয়ালিয়া মালোপাড়ার বিশ্বজিত বিশ্বাস জানায়, সমুদ্রে মাছ ধরতে য়েতে ১টি ট্রলার তৈরি করছে। নতুন ট্রলার তৈরী করতে সর্বমোট খরচ পড়ছে ৬ থেকে ৭ লাখ টাকা। মহাজনের কাছ থেকে সুদে টাকা নিয়েছে, সাগরে মাছ ধরে তা বিক্রি করে টাকা শোধ করবে বলে তিনি জানান। ট্রালার তৈরি করতে বিভিন্নস্থান থেকে মিস্ত্রী আনতে হয়। পাইকগাছার মাহমুদকাটির ইন্দ্রজিত সহ ৫ জন সহকারি মিস্ত্রী ট্রলার তৈরির কাজ করছে। ট্রলার তৈরিতে মিস্ত্রীদের থাকা খাওয়া বাদে প্রতিটি নতুন ট্রলার তৈরী বাবদ মজুরী ১ লাখ ১০ হাজার টাকা খরচ হচ্ছে। ৬০ ফুট লম্বা ১৭ ফুট চওড়া একটি ট্রলার তৈরি করতে প্রায় ৫শ সেফটি কাঠ লাগছে। সব কাট দিয়ে ট্রলার তৈরি হয় না। এলাকায় পাওয়া যায় এমন চম্বল, বাবলা, লিছু, ছবেদা, মেহগনী ও খৈ কাঠ দিয়ে তারা ট্রলার তৈরি করছে। প্রতি সেফটি খৈ বাবলা ও চম্বল কাঠ ৬শ টাকা থেকে ১৫শ টাকা দরে ক্রয় করেছে। নতুন ট্রালার তৈরির পর তাতে রং করতে প্রায় ২শত কেজি আলকাতরা লাগে। পুরাতন ট্রলার মেরামত করতে ২০-৭০ হাজার টাকা খরচ হচ্ছে। একটি নতুন ট্রলারে প্রায় ৩ মন পেরেক, ১শ কেজি জলই/পাতাম প্রয়োজন হয়। ট্রালার তৈরি পর ইঞ্জিন বসাতে প্রায় ১ লাখ টাকা খরচ হচ্ছে। প্রতিটি ট্রলারে জাল ধরার জন্য ২টি করে নোঙ্গর প্রয়োজন হয়। লোহার তৈরী নোঙ্গর তৈরী করতে খরচ পড়ছে ২৮ হাজার টাকা। প্রতিটি মাছ ধরার জাল তৈরি করতে তাদের খরচ হচ্ছে ৯০ হাজার থেকে ১লাখ টাকা। সমুদ্রে মাছ ধরার জন্য প্রতি ট্রলারে ২টি জাল প্রয়োজন হয়। প্রতি ট্রলারে জাল ধরার জন্য ৮/১০ জন কর্মচারীর প্রয়োজন হয়। তাদের থাকা-খাওয়া বাদে প্রতি মাসে ১০/১২ হাজার টাকা বেতন দিতে হয়। সমুদ্রে মাছ ধরার জন্য ট্রলার প্রতি ৫/৬ মাসে সব কিছু মিলে খরচ পড়ে প্রায় ৭/৮ লাখ টাকা।মালো পাড়ার সিতেনাথ বিশ্বাসজানান, শীত মৈসুমে সাগরে মাছ ধরতে যাওয়ার জন্য প্রচুর টাকার প্রয়োজন হয়। ৫ থেকে ৬ মাসের জন্য দুবলার চরে অস্থায়ী জেলে পল্লীতে বাসা বেধে থাকা ও মাছ শুকানোর আড়ত তৈরী করতে হয়। এর জন্য অনেক টাকার দরকার পড়ে। সব টাকা নিজের না থাকায় এলাকার বিভিন্ন মহাজনদের কাছ থেকে চড়া সুদে টাকা দাদন নিতে হয়। ৫ থেকে ৬ মাসের জন্য তারা দাদন নিলেও ১ বছরের হিসাবে টাকা দিতে হয়। প্রতি ১ লাখ টাকায় মহাজনদের প্রতি মাসে ২০ থেকে ২২ হাজার টাকা সুদ দিতে হয়। জেলে পাড়ার অজয় বিশ্বাস জানান, সরকার আমাদের ব্যাংকের মাধ্যমে ঋৃর্ণর ব্যবস্থা করত তাহলে মাছ ধরে উপার্জিত টাকা ঘরে ফিরে আনতে পারতাম।তা না হলে মহাজনের কাছ থেকে নেওয়া চড়া সুদের টাকা শোধ করার পর উপার্জিত টাকা ঘরে ফিরে আসে না। তাই জেলে পরিবাররা সরকারের কাছে দাবী জানিয়েছে, শীত মৌসুমে মাছ ধরতে যাওয়া সময় জেলেদেরকে ব্যাংক ঋণের ব্যবস্থা করলে তারা আর্থিকভাবে স্বচ্ছলতা ফিরে পাবে।
    জেলেরা বিভিন্ন মহাজনের অধীনে থেকে সমুদ্রে মাছ ধরতে যায়। মহাজনরা জেলেদের পাস পারমিট করে রাখে। মংলা থেকে পাস নিয়ে জেলেরা মাছ ধরতে যাওয়ার জন্য দুবলার চরে রওনা দেয়। মংলা হয়ে বলেশ্বর নদী দিয়ে দুবলার চরে যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে।তবে মোংলা ঘুরে দুবলার চরে যেতে পাইকগাছার জেলেদের প্রায় ৩ দিন বাড়তি সময় লাগে এবং খরচ বেড়ে যায় দ্বিগুন বলে জেলেরা জানায়।
    সমুদ্রে যাওয়া জন্য বন বিভাগ থেকে পাশ পারমিট নেয়ার জন্য প্রস্তুতি চলছে। সব কিছু ঠিক থাকলে দূর্গা পূজা শেষে জেলেরা মাছ ধরার জন্য সুন্দরবনের দুবলার চরের উদ্দেশ্যে রওনা দিবে। সূত্রে জানাগেছে, বন সুরক্ষার জন্য বনের ১৩টি চর নিয়ে জেলেরা যে মৎস্য পল্লী তৈরি করে তা এ বছর সীমিত করা হতে পারে বলে জানা গেছে। সুন্দরবন পশ্চিম বন বিভাগ সূত্রে জানাগেছে, বঙ্গোপসাগর উপকূলে মাছ ধরার মৌসুম শুরু হতে যাচ্ছে। পূর্ব বন বিভাগের অধিনে দুবলা তাই জেলেদের পূর্ব বন বিভাগ থেকে পাশ পারমিট নিতে হবে।পহেলা নভেম্বর বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরার মৌসুম শুরু হতে পারে। উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা পেলে বন বিভাগ সে মত সব রকম ব্যবস্থা গ্রহন করবে বলে তিনি জানান।
    বোয়ালিয়া জেলে পল্লীর জেলেরা দূর্গাপূজার পর উপজেলার সকল ট্রলার এক সঙ্গে রওনা দিবে। মংলা হয়ে সুন্দরবনের দুবলার চরে গিয়ে বাসা বেঁধে অবস্থান নিবে। জীবিকার জন্য প্রতি বছর সুমুদ্রে ঘূর্ণিঝড়, জলোচ্ছ্বাস, বনদস্যু ও জলদস্যুদের সাথে জেলেদের জীবন সংগ্রাম করে বেঁচে থাকতে হয়। মাছ ধরার জন্য গভীর সমুদ্রে ভয়ংকর,বিক্ষুদ্ধ উত্তাল ঢেউয়ের সংগে যুদ্ধ করে জেলেদের জাল ফেলে মাছ ধরতে হয়। জেলে পল্লী মানুষের আয়ের উৎস্য সমুদ্রে মাছ ধরা। তবে এটা জেন তাদের নেশা ও পেশা হয়ে দাড়িয়েছে। এতো বিপদের সংগে লড়াই করে তাদের জীবিকা অর্জন করতে হয়।তাই জেলে পল্লীর নারী-পুরুষ সবাই মিলে প্রয়োজনীয় জিনিস পত্র তৈরী ও গোছাতে দিন রাত কাজ করছে। এই নিয়ে জেলে পল্লীগুলোতে সাগর যাত্রার মহাকর্মযজ্ঞর প্রস্তুতির চলছে।

  • ভৈরবে বিএমএসএফ’র আয়োজনে প্রয়াত সাংবাদিকদের স্মরণে দোয়া মাহফিল

    ভৈরবে বিএমএসএফ’র আয়োজনে প্রয়াত সাংবাদিকদের স্মরণে দোয়া মাহফিল

    মোঃ শহিদুল ইসলাম
    সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টারঃ

    কিশোরগঞ্জের বন্দর নগরী ভৈরবে “বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম” ভৈরব উপজেলা শাখার উদ্যোগে ভৈরবের প্রয়াত সাংবাদিকদের স্মরণে মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয় ।

    শনিবার(১৭ সেপ্টেম্বর)সন্ধ্যায় বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম ভৈরব উপজেলা শাখার কার্যালয়ে উক্ত দোয়া মাহফিলটি অনুষ্ঠিত হয়।

    বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম ভৈরব উপজেলা শাখার সভাপতি ছাবির উদ্দিন রাজু সভাপতিত্বে উক্ত মিলাদ ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি আলহাজ্ব সোহেল আহমেদ।

    বিশেষ অতিথি হিসেবে হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ভৈরব সাংবাদিক এসোসিয়েশন’ র সভাপতি ও সমাধান টিভির চেয়ারম্যান আবদুল লতিফ আরপিসি, বাংলাদেশ মাদক বিরোধী আন্দোলন ভৈরব শাখার সভাপতি ও সাপ্তাহিক সংবাদ পাতা পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদক আনোয়ার পারভেজ, বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম ভৈরব উপজেলা শাখার সহ-সভাপতি জিটিভি ও ভোরের ডাক পত্রিকার ভৈরব প্রতিনিধি এম এ হালিম, সহ-সভাপতি ও অবলম্বন পত্রিকার বার্তা সম্পাদক শামীম আহমেদ, সহ-সভাপতি ও এশিয়া বাণীর ভৈরব কুলিয়ারচর প্রতিনিধি মোঃ ফয়জুল কবীর,দৈনিক লাল সবুজের দেশ পত্রিকার ভৈরব প্রতিনিধি শওকত আলী মাস্টার, সহ-সভাপতি ও সময়ের কণ্ঠ পত্রিকার ভৈরব প্রতিনিধি জামাল উদ্দিন,যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক ও বিজয় টিভির ভৈরব – কুলিয়ারচর প্রতিনিধি আনুয়ারুল হক আমান, ভৈরব উপজেলা শাখার অর্থ সম্পাদক জামাল উদ্দন, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মোঃ শরীফ মিয়া শুভ, সাবেক সহ-সভাপতি ও মানবাধিকার কর্মী কাজী আবুল খায়ের, সাংগঠনিক সম্পাদক শামসুল হক মামুন, দৈনিক সকালের সময় ভৈরব প্রতিনিধি ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বাবুল চৌধুরী, অর্থ সম্পাদক জামাল উদ্দিন, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক তরুন লেখক সোহানুর রহমান, দৈনিক এই আমার দেশ পত্রিকার ভৈরব প্রতিনিধি নাঈম মিয়া,দৈনিক স্বাধীন বাংলা পত্রিকার ভৈরব প্রতিনিধি জুয়েল মিয়া, দৈনিক সন্ধাবাণী পত্রিকার ভৈরব প্রতিনিধি জাহাঙ্গীর আলম, মানবাধিকার কর্মী ফয়সাল আলম, জহিরুল ইসলাম,তানজিল সরকার প্রমুখ।

    সদ্য প্রয়াত বিএমএসএফ এর সদস্য এশিয়ান টিভির এরশাদ হোসেনসহ ভৈরবের প্রয়াত সাংবাদিকরা হলেন ভৈরব প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও অধ্যক্ষ মোয়াজ্জেম হোসেন, আব্দুল জব্বার, মেহেদী হাসান, দৈনিক গৃহকোণ পত্রিকার সম্পাদক আলহাজ্ব এম এম এ লতিফ, প্রবীন সাংবাদিক আবদুল হালিম মোল্লা, বীরমুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব গোলাম মোস্তফা, সিরাজুল হক,সাপ্তাহিক জনপদ সংবাদের নির্বাহী সম্পাদক আহমেদ হুমায়ুন,ভৈরব প্রেসক্লাবে সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও দেশ টিভি এবং দৈনিক কালের কণ্ঠ পত্রিকার ভৈরব প্রতিনিধি প্রয়াত আব্দুল্লাহ আল মনসুর, ভৈরব রিপোর্টার্স ক্লাব ও ইউনিটির সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি ও দৈনিক গৃহকোণ পত্রিকার বার্তা সম্পাদক প্রয়াত শাহজাহান ভৈরবী ও ভৈরব উপজেলা প্রেসক্লাব ও রিপোর্টার্স ক্লাব ও ইউনিটির সহ-সভাপতি ও দৈনিক শতাব্দীর কণ্ঠ পত্রিকার ভৈরব প্রতিনিধি প্রয়াত আবুল কালাম আজাদ,এম কম সাজিদ মিয়া।

    আয়োজিত স্নরণ সভায় সিনিয়র সাংবাদিক সহকর্মীদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে ।
    প্রয়াত সাংবাদিকদের স্মরণে মিলাদ মাহফিল ও স্নরণ সভাটি পরিচালনা করেন দৈনিক গণমানুষের আওয়াজ পত্রিকার ভৈরব প্রতিনিধি ও বাংলাদেশ ও মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম ভৈরব উপজেলা শাখার সাধারন সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান ওয়াসিম।

  • নিখোঁজ জেলে মোশারেফের মরদেহ উদ্ধার

    নিখোঁজ জেলে মোশারেফের মরদেহ উদ্ধার

    পাথরঘাটা (বরগুনা)প্রতিনিধি : রবিবার ১৮ সেপ্টেম্বর সকালে পাথরঘাটার তাফলবাড়িয়া গ্রামের জেলে মোশারেফের মৃতদেহ দাফন দেয়া হয়েছে।

    দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার মধ্যে ঝুঁকি নিয়ে ইলিশ শিকারে গিয়েএক সপ্তাহ আগে নিখোঁজ পাথরঘাটার মোশারফ হোসেন শরিফ (২৫)এর মৃতদেহটি পাওয়া পার্শ্ববর্তী উপজেলা তালতলীর ছখিনা এলাকায়।

    গত ১১সেপ্টম্বর বৈরীআবহাওয়ায় বঙ্গোপসাগরের পঙ্খিদিয়া নামক স্থানে ট্রলার থেকে সমুদ্রে পরে নিখোঁজ হন মোশারেফ শরীফ। প্রায় এক সপ্তাহ পরে তার মরদেহের খোঁজ মিললে পরিবারে এবং এলাকায় নেমে আসে শোকের ছায়া।

    মৃত মোশারেফ পাথরঘাটার চরদুয়ানী ইউনিয়নের তাফালবাড়িয়া গ্রামের শহিদ শরিফের ছেলে।

    মোশারফের ভাই জাফর জানায়, তালতলীর ছখিনা এলাকার লোকজন ফাতরার জঙ্গলে মৃতদেহটি দেখতে পেয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য জামাল হোসেনকে খবর দেন। ওই ইউপি সদস্য আমাদের জানালে শনিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দিনগত রাত একটার দিকে ওই এলাকায় গিয়ে আমার ভাইয়ের মৃতদেহ চিন্হিত করে বাড়ি নিয়ে আসি।

    জানা যায়, ১১ সেপ্টেম্বর দুপুরের দিকে ট্রলারের ইঞ্জিন বিকল হয়ে সমুদ্রের উত্তাল ঢেউয়ের মাঝে জালসুতো জড়িয়ে যায়। ওই জাল টেনে তুলতে মোশারফ সমুদ্রে নামলে হঠাৎ জলস্রোতে তিনি ভেসে যান বলে সহযোগী জেলেরা জানায়।

    চরদুয়ানী ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রহমান জুয়েল বলেন, মোশারফের মরদেহ শনাক্ত করেছে তার পরিবার। আজ সকালে তার জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। উপার্জন সক্ষম বক্তিটিকে হারিয়ে পরিবারটি আসোলে চরম অসহায় হয়ে পরলো।

    অমল তালুকদার।।

  • বেগমগঞ্জে দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্রসহ গ্রেফতার ১

    বেগমগঞ্জে দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্রসহ গ্রেফতার ১

    রফিকুল ইসলাম সুমন (নোয়াখালী)

    নোয়াখালী বেগমগঞ্জ উপজেলার ছয়ানি ইউনিয়নের বাসিন্দা, আলাইয়াপুর ও রাজগঞ্জসহ বেগমগঞ্জ উপজেলা পশ্চিমাঞ্চলের ত্রাস অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী নাজমুল ইসলাম রাসেল প্রঃ রনিকে ১টি দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্রসহ গ্রেফতার করেছে বেগমগঞ্জ থানা পুলিশ।

    অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী নাজমুল ইসলাম রাসেল প্রঃ রনির বিরুদ্ধে হত্যা, অপহরন, অস্ত্র ও চাঁদাবাজিসহ সর্বমোট ৬টি মামলা তদন্তাধীন ও বিচারাধীন রয়েছে।

  • সেনবাগে সাবেক স্ত্রীর নগ্ন ছবি ফেইসবুকে ছেড়ে দেওয়ার অপরাধে স্বামী গ্রেফতার

    সেনবাগে সাবেক স্ত্রীর নগ্ন ছবি ফেইসবুকে ছেড়ে দেওয়ার অপরাধে স্বামী গ্রেফতার

    রফিকুল ইসলাম সুমন,(নোয়াখালী)

    নোয়াখালীর সেনবাগে স্ত্রীর (২২) নগ্ন ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে দিয়ে ২০ লাখ টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগে সাবেক স্বামীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।গ্রেফতারকৃত ওসমান গনি (২৮) কুমিল্লা জেলার নাঙ্গলকোট উপজেলার দৌলখাড় ইউনিয়নের কেকৈয়া মুন্সি বাড়ির নাজির আহম্মেদের ছেলে।শনিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বিকেলে উপজেলার কাদরা ইউনিয়নের ফকিরহাট এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এসময় তার কাছ থেকে একটি স্মার্টফোন জব্দ করা হয়।অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, গত ৬ বছর আগে সেনবাগের কাদরা ইউনিয়নে বিয়ে করেন ওসমান গনি।বিয়ের পর থেকে সাংসারিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ওসমান তার স্ত্রীকে শারীরিক ও মানসিক ভাবে নির্যাতন করে আসছিল। একপর্যায়ে চলতি বছরের গত ২১ জুলাই বাবার বাড়িতে এসে ওসমান গনিকে তালাকনামা পাঠায় তার স্ত্রী।তালাকের বিষয়টি জানতে পেরে মোবাইল ফোনে ও বিভিন্ন মাধ্যমে স্ত্রীকে প্রাণনাশের হুঁমকি ও ভয়ভীতি দেখায় ওসমান।বিষয়টি ওসমানের মা এবং ভাইকে একাধিকবার জানালেও তারা এ বিষয়ে কোন ব্যবস্থা নেয়নি।বরং ওসমান তার ওপর আরও বেশি ক্ষিপ্ত হয় এবং তার স্ত্রীর নামে ফেসবুকে একটি ভূয়া আইডি খুলে সেখানে স্ত্রীর অশ্লীল ও আপত্তিকর ছবি পোস্ট করতে থাকে।বিষয়টি চাপা দেওয়ার জন্য সে ভুক্তভোগির কাছে ২০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে।দাবিকৃত টাকা না পেয়ে আত্মীয়স্বজন ও বন্ধুবান্ধবদের মেসেঞ্জার,হোয়াটসঅ্যাপেও এ সব ছবি পাঠাতে থাকে ওসমান।এ ঘটনায় ভুক্তভোগী নারী বাদি হয়ে শনিবার দুপুরে সেনবাগ থানায় ওসমান গনি,ওসমানের বড় ভাই আলাউদ্দিন ও মা ছালেহা বেগমকে আসামি করে একটি অভিযোগ দায়ের করলে পুলিশ অভিযান চালিয়ে ওসমানকে গ্রেফতার করে।
    সেনবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইকবাল হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ভুক্তভোগীর অভিযোগের ভিত্তিতে পর্ণোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইন ও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে ওসমানকে গ্রেফতার করা হয়েছে।প্রাথমিকভাবে তার বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে।রোববার সকালে গ্রেফতারকৃত আসামিকে বিচারিক আদালতে সোপর্দ করা হবে।