Category: দেশজুড়ে

  • মুন্সীগঞ্জে তিনটি ডাকাতির ঘটনায় জড়িত ১১ ডাকাত আটক – পুলিশ সুপারের সংবাদ সম্মেলন

    মুন্সীগঞ্জে তিনটি ডাকাতির ঘটনায় জড়িত ১১ ডাকাত আটক – পুলিশ সুপারের সংবাদ সম্মেলন

    মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধিঃ

    মুন্সীগঞ্জ-মুন্সীগঞ্জে পৃথক ৩ ডাকাতির ঘটনায় ১১ ডাকাতকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

    আজ বৃহস্পতিবার (১৫ সেপ্টেম্বর ) দুপুর ২ঘ‌টিকার সময় মুন্সীগঞ্জ পুলিশ সুপার কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান মুন্সীগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাহফুজুর রহমান আল-মামুন।

    প্রেস রিলিজে বলা হয় গত ৮ সেপ্টেম্বর সন্ধা অনুমান ৭.১০ঘটিকার সময় মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার চরডুমুরিয়া বাজারের তৃষ্ণা জুয়েলার্স এর মালিক প্রবির পাল তার দোকান হতে বাড়ি ফেরার পথে সদর উপজেলা ভিটি হোগলা এলাকায় ৫ জন লোক পুলিশ পরিচয় দিয়ে তার হাতে হ্যান্ডকাফ পরিয়ে তার মটরসাইকেল, ৫০ ভরি স্বর্ণালংকার ও ২ লক্ষ টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় প্রভীন পাল গত ৯ই সেপ্টেম্বর মুন্সীগঞ্জ সদর থানায় অভিযোগ দায়ের করলে বিশেষ তথ্য প্রযুক্তির সহয়তায় ওই ঘটনায় জড়িত, খলিলুর রহমান, মোহাম্মদ আলী, শামীম বেপারী এবং মোঃ আনোয়ার হোসেনকে আটক করে পুলিশ। লুন্ঠিত স্বর্ণ কিনার দায়ে এ ঘটনায় সবি রঞ্চন নিশি ও মিঠু কর্মকারকে ভাঙ্গা ফরিদপুর থেকে গ্রেফতার করে।

    এ ঘটনায় ছিনিয়ে নেওয়া মটরসাইকেল সহ ৫ভড়ি স্বর্ণালংঙ্কার উদ্ধার করা হয়। প্রেস ব্রিফিংয়ে জানানো হয় গ্রেফতারকৃত খলিলুর রহমান এর বিরুদ্ধে ২টি, মোহাম্মদ আলীর বিরুদ্ধে ৫টি, শামীম বেপারীর বিরুদ্ধে ১টি এবং আনোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে ২টি মামলা রয়েছে।

    এদিকে গত ২৯ জুন মুন্সীগঞ্জ সদর থানার মিল্কীপাড়া এলাকায় মা জুয়ের্লাস এর মালিক পলাশ বাড়ৈ এর নিকট হতে ১০ ভরি স্বর্ণলংঙ্কার ও ৩ লক্ষ টাকা পুলিশ পরিচয়ে হ্যান্ডকাপ পরিয়ে ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় উপরের ডাকাতির ঘটনায় আটক খলিলুর রহমান, মোহাম্মদ আলী এবং মোঃ আনোয়ার হোসেন উক্ত ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করায় তাদের স্বীকারোক্তি মতে মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলা এলাকা হতে এ ঘটনায় জড়িত জুবায়ের আলম ও মহসিন মোল্লাকে গ্রেফতার করা হয়।
    এ ঘটনায় চোড়াই স্বর্ণ ক্রয়ের সাথে জড়িত থাকায় নিরঞ্জণ হালদারকে গ্রেফতার করা হয়। অভিয্ক্তু জুবায়ের আলম ও মহসিন এর বিরুদ্ধে ৯টি মামলা রয়েছে বলে প্রেস ব্রিফিয়ে জানানো হয়।

    এদিকে গত ১২ই সেপ্টেম্বর মুন্সীগঞ্জ শ্রীনগর উপজেলার কেয়াটখালী সংগ্লগ্ন ঢাকা মাওয়া এক্রপ্রেসওয়ের পাশে সার্ভিস রোডে ডাকাতির ঘটনায় ঢাকার কেরানীগঞ্জ এলাকা হতে ডাকাত কালাম বেপারী ও কসাই কালাম, রফিক এবং রফিকুল ইসলাম বাবুকে গ্রেফতার করা হয়।

    রফিকের বিরুদ্ধে ঢাকা জেলায় ২টি, কালাম বেপারী ও কসাই কালামের বিরুদ্ধে ৫টি মামলা রয়েছে।

  • তারাগঞ্জে বি সি ডি এস এর সমাবেশ অনুষ্ঠিত

    তারাগঞ্জে বি সি ডি এস এর সমাবেশ অনুষ্ঠিত

    খলিলুর রহমান খলিল, নিজস্ব প্রতিনিধিঃ

    ‘নকল-ভেজাল ঔষধ বর্জন করি, সরকার নির্ধারিত মূল্যে ঔষধ বিক্রয় করি’- প্রতিপাদ্য নিয়ে রংপুরের তারাগঞ্জে বাংলাদেশ কেমিস্টস্ এন্ড ড্রাগিস্টস্ সমিতির কেমিস্টস্ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল সোমবার সকাল সাড়ে ১১টায় তারাগঞ্জ অডিটোরিয়াম হলরুমে কাজী আখতার হোসেনের সভাপতিত্বে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

    বাংলাদেশ কেমিস্টস্ এন্ড ড্রাগিস্টস্ সমিতির সাধারণ সম্পাদক এমদাদুল হক জানান, তারাগঞ্জ উপজেলায় প্রায় ৩ শতাধিক ফার্মাসি গড়ে উঠেছে। আর এ ফার্মাসি গুলোতে যেন নকল-ভেজাল ঔষধ বিক্রয় করতে না পারে। সেই সাথে কোন কোম্পানি যেন আমাদের এ ফার্মাসি গুলোতে কোন প্রকার ভেজাল ঔষধ দিয়ে প্রতারিত না করে এ লক্ষ্যেও আমরা কাজ করে যাচ্ছি। সেই সাথে মেয়াদহীন ঔষধ যেন কোম্পানিগুলো ফেরত নেয় তাঁর জন্য কাজ করছি। আমাদের এ সংগঠন দীর্ঘ ২৫ বছর ধরে তারাগঞ্জে কাজ করে যাচ্ছে।

    কেমিস্টস্ সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ কেমিস্টস্ এন্ড ড্রাগিস্টস্ সমিতির রংপুর শাখার সভাপতি আব্দুল কাদের, সিনিয়র সহ-সভাপতি খোন্দকার মারুফ ইলাহী, ঔষধ প্রশাসনের সহকারী পরিচালক তৌহিদুল ইসলামসহ তারাগঞ্জ উপজেলার সকল ফার্মাসিস্টস্ ও তারাগঞ্জে কর্মরত বিভিন্ন কোম্পানির বিক্রয় প্রতিনিধিগন।

    বাংলাদেশ কেমিস্টস্ এন্ড ড্রাগিস্টস্ সমিতির রংপুর শাখার সভাপতি আব্দুল কাদের বলেন , আপনারা সকলে মিলে ঐক্যবদ্ধ হন । সরকার নির্ধারিত এমআরপি রেট কার্যকর করতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হতে হবে । আমরা কেমিস্টস্ ও ড্রাগিস্টস্-দের স্বার্থ রক্ষায় কাজ করে যাচ্ছি ।

  • ক্ষেতলালে বিভাগীয় উপপরিচালক  ড. চিত্রলেখা নাজনীন

    ক্ষেতলালে বিভাগীয় উপপরিচালক ড. চিত্রলেখা নাজনীন

    এস এম মিলন জয়পুরহাট জেলা প্রতিনিধি:

    স্থানীয় সরকার রাজশাহী বিভাগীয় উপপরিচালক ড. চিত্রলেখা
    নাজনীন বলেন, জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধন জনগণের অধিকার।
    যথাসময়ের তাদের হাতে জন্ম নিবন্ধন সনদ পৌঁছে দিতে
    সংশ্লিষ্টদের আরো জোড়ালো ভূমিকা পালন করতে হবে। জন্ম
    নিবন্ধন বিষয়ে অতিরিক্ত অর্থ আদায় এবং অযুহাত দেখিয়ে
    জনগণকে হয়রানি করলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
    গতকাল সোমবার সকাল সাড়ে ১১টায় উপজেলা প্রশাসনের
    আয়োজনে জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধন কার্যক্রম বিষয়ক মতবিনিময়
    সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ সব কথা বলেন ।
    উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইশতিয়াক আহমেদ এর সভাপতিত্বে
    অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, জয়পুরহাটের অতিরিক্ত জেলা
    প্রশাসক (সার্বিক) ও স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক
    আনোয়ার পারভেজ, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোস্তাকিম মন্ডল,
    উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রাকিবুল হাসান, পৌর মেয়র
    সিরাজুল ইসলাম সরদার, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও
    আলমপুর ইউপি চেয়ারম্যান আনোয়ারুজ্জামান তালুকদার
    নাদিমসহ সকল ইউপি চেয়ারম্যান, সচিব, পৌর কাউন্সিলর ও
    ইউনিয়ন পরিষদের সাধারণ সদস্য, গ্রামপুলিশ, উপজেলা
    প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, শিক্ষক, সাংবাদিক ও
    বিভিন্ন শ্রেণি পেশা ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

  • নোয়াখালীতে রিয়েল এষ্টেট কোম্পানি খুলে সাড়ে সাত কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে আটক এমডিঃ

    নোয়াখালীতে রিয়েল এষ্টেট কোম্পানি খুলে সাড়ে সাত কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে আটক এমডিঃ

    রফিকুল ইসলাম সুমন (নোয়াখালী) নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে সাড়ে সাত কোটি টাকা আত্মসাৎ করে আত্মগোপনে থাকা একজনকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব ১১। রবিবার রাতে বেগমগঞ্জ উপজেলার একলাশপুর গ্রাম থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। ৪১ বছর বয়সী গ্রেপ্তার মো. ছানাউল্যাহর বাড়ি বেগমগঞ্জ উপজেলার একলাশপুর গ্রামে।

    র‍্যাব-১১-এর নোয়াখালী কার্যালয়ের কোম্পানি কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কমান্ডার মাহমুদুল হাসান সোমবার দুপুরে গণমাধ্যম কে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।র‍্যাব জানায়, ২০১২ সালে ছানাউল্যাহ কয়েকজনকে নিয়ে ‘নোয়াখালী ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড রিয়েল স্টেট প্রাইভেট লিমিটেড’ নামে একটি কোম্পানি খোলেন। অধিক লভ্যাংশের আশ্বাস দিয়ে ৩০০ গ্রাহকের কাছ থেকে সে সাড়ে সাত কোটি টাকা হাতিয়ে নেন। এরপর আত্মগোপনে চলে যান। এ ঘটনায় আদালতে মামলা হলেও পুলিশ দীর্ঘদিন ধরে তার কোনো খোঁজ পায়নি।

    লেফটেন্যান্ট কমান্ডার মাহমুদুল হাসান বলেন, ‘দীর্ঘদিন পর গোপন তথ্যের ভিত্তিতে ছানাউল্যাহকে গ্রেপ্তার করা হয়। ইতিমধ্যে তাকে বেগমগঞ্জ মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।’

  • বাশাইল হাফেজিয়া মাদ্রাসার মুহতামিমের বিদায় সম্বর্ধনা

    বাশাইল হাফেজিয়া মাদ্রাসার মুহতামিমের বিদায় সম্বর্ধনা

    বি এম মনির হোসেনঃ-

    বরিশাল জেলার আগৈলঝাড়া উপজেলার রাজিহার ইউনিয়নের বড় বাশাইল গ্রামে বাশাইল হাফেজিয়া মাদ্রাসার (প্রকাশ বাশাইল দারুল উলুম মাদ্রাসা) মুহতামিম হাফেজ শাহাবুদ্দিন হাওলাদারের বিদায় সম্বর্ধনা উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন এস এম আলী আহমেদ সভাপতি মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটি।বাশাইল হাফেজিয়া মাদ্রাসার মুহতামিম হাফেজ শাহাবুদ্দিন হাওলাদারের বিদায় সম্বর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন শহিদুল করিম বিচারপতি সুপ্রিম কোর্ট।
    বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন মোঃ আমিনুল ইসলাম অতিরিক্ত বিচারপতি সুপ্রিম কোর্ট, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অবঃ) মাহাবুবুল করিমসহ মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটি ও
    এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ সভায় দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন মাদ্রাসার ননতুন মুহতামিম মুফতি মাওলানা আব্দুর রহমান। উপস্থিত গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ মাদ্রাসা উন্নয়নের জন্য আশা ব্যক্ত করেন।

  • আশুলিয়া “ডেথ জোন ও আতঙ্কের জনপদ” কিশোর গ্যাংসহ অপরাধীদের নির্বিঘ্নে জীবনযাপন

    আশুলিয়া “ডেথ জোন ও আতঙ্কের জনপদ” কিশোর গ্যাংসহ অপরাধীদের নির্বিঘ্নে জীবনযাপন

    হেলাল শেখ।
    বিশেষ প্রতিনিধিঃ ঢাকার আশুলিয়া “ডেথ জোন ও আতঙ্কের জনপদ” কিশোর গ্যাং মাদক সন্ত্রাসী অপরাধীদের নির্বিঘœ জীবনযাপন। জুয়া ও মাদক ব্যবসা অবাধে চলছে। এসব জুয়া ও মাদকের টাকা জোগাড় করতে চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই, অপহরণ, চাঁদাবাজি, ফিটিংবাজি, খুনসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকা- বেড়েই চলেছে। সেই সাথে নারী ও শিশু নির্যাতন-ধর্ষণ ও গণধর্ষণের ঘটনাও ঘটছে।
    জানা গেছে, শনিবার (১৭ সেপ্টেম্বর ২০২২ইং) তারিখে “ডেথ জোন আশুলিয়ার ধামসোনা ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের মেম্বার সাদেক হোসেন ভুঁইয়ার বড় ছেলে মোঃ দেলোয়ার হোসেন ভুঁইয়ার ভাদাইলের নতুন ৪র্থ তলা ভবনের ২য় তলায় গাড়ি চালক রাকিব হোসেনের স্ত্রী মোছাঃ রিপা আক্তার (১৮) এর রহস্যজনক মৃত্যু। স্থানীয় সরকার মার্কেট নারী ও শিশু স্বাস্থ্য কেন্দ্র থেকে নিহত রিপা আক্তারের লাশ উদ্ধার করেছেন আশুলিয়া থানার এসআই সুব্রত রায়।এর আগে শুক্রবার (১৬ সেপ্টেম্বর ২০২২ইং) সকাল ১০টার দিকে আশুলিয়ার জামগড়া রূপায়ন আবাসন-১ এর ১নং গেটের পাশে কফিল উদ্দিনের ৪র্থ তলার ছাদের সিঁড়ির উপর ঝুলন্ত এক নারীর লাশ উদ্ধার করেছে আশুলিয়া থানার এসআই রাজু মন্ডল।
    জানা গেছে, বাড়ির মালিক কফিল উদ্দিনের দ্বিতীয় স্ত্রী ঘটনার দিন তার বাবার বাড়ি লালমনিরহাট ছিলেন। এদিকে কফিল উদ্দিন তার বাসায় ২য় তলায় রাতে একা ছিলেন, ৪র্থ তলার ১নং রুমের ভাড়াটিয়া ওই নারীর সাথে ওই বাসার কার সাথে কি হয়েছে? তার কারণে ভিকটিম ছাদের সিঁড়ির উপরে ফাঁসি দিয়েছেন। এর আগে ওই নারীর স্বামীসহ একই বাড়ির টিনসেট ঘরের পকেট রুমে ভাড়া ছিলেন। হঠাৎ করে ৪র্থ তলার ১নং রুমে তাদেরকে আশ্রয় দেন বাড়ির মালিক কফিল উদ্দিন। স্থানীয়রা জানান, মেয়েটি কেন ফাঁসি নিবে? কেন তাকে পকেট রুম থেকে ৪র্থ তলায় স্থান পরিবর্তন করা হলো?। পুলিশ ও র‌্যাব উক্ত ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন, ওই রুমে সেক্সের ওষুধের আলামত পাওয়া গেছে, বিষয়টি রহস্যজনক বলে মনে করছেন অনেকেই। পুলিশ ও বাড়ির মালিক জানায়, এ ঘটনার পর থেকে ওই নিহত নারীর স্বামী মোঃ জসিম (২৬) পলাতক রয়েছে। পুলিশ ও র‌্যাব জানায়, নিহতের কোনো প্রকার পরিচয়পত্র দেননি বাড়ির মালিক কফিল উদ্দিন।
    গত ১৪ আগস্ট ২০২২ইং সকাল ৯ টার দিকে ঢাকার আশুলিয়ার ইয়ারপুর ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের নিশ্চিন্তপুরের মৃত ওয়াজ উদ্দিনের ছেলে মোঃ দিলু মন্ডল তার চাচাতো ভাই হাজী জমত আলী মন্ডল (৬৫) এর সাথে সরকারি রাস্তা ও এক ফিট জমি নিয়ে দুই ভাইয়ের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়, এক পর্যায়ে হাতাহাতি হলে এসময় দিলু জমত আলীকে কিলঘুসি মারেন এবং ইট দিয়ে নাকে ও বুকে আঘাত করলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, নিহতের ছোট ভাই জয়নাল ও দিলু হোসেনের ছোট ভাই নজরুল ইসলাম মন্ডলের সাথে সরকারি রাস্তা ও জমি নিয়ে আগে থেকেই বিরোধ চলছিলো, এর এক পর্যায়ে তাদের এই বিরোধের জের ধরেই এই হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। অন্যদিকে ঘোষবাগ ৪ বছরের শিশু কন্যার ধর্ষণের চেষ্টা মামলা করে এক নারী নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
    আশুলিয়া থানার (ওসি-ইন্টেলিজেন্স) মোঃ জামাল সিকদার ও র‌্যাব ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এ বিষয়ে পুলিশ ও র‌্যাব জানায়, এই ঘটনার সাথে জড়িতদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত আছে। এদিকে অনেকেই অভিমত প্রকাশ করেন যে, আশুলিয়ায় নিরাপদ “ক্রাইম জোন”-এ পরিণত হয়েছে, রাজধানীর নিকটবর্তী শিল্পা ল আশুলিয়া থানা। এখানে খুন, ধর্ষণ, চাঁদাবাজি-সন্ত্রাস আর মাদক ব্যবসা যেন অনেকটাই স্বাভাবিক ঘটনা আশুলিয়াবাসীর কাছে। এ এলাকায় প্রায় প্রতিদিনই লাশ উদ্ধার হয়। অনেক দিন আগে ৯ জানুয়ারি ২০১৭ ইং একটি অনুসন্ধানী রিপোর্টে পাওয়া যায়, আশুলিয়া থেকে ১১ মাসে ১২৩টি লাশ উদ্ধার হয়। তাই উক্ত আশুলিয়াকে ডেথ জোন ও আতঙ্কের জনপদ বলা হয়, বর্তমানে কিশোর গ্যাং মাদক সন্ত্রাসীরা আশুলিয়ায় আর এক আতঙ্কের নাম। উক্ত বিষয়ে ধারাবাহিক সংবাদ প্রকাশ করা হবে।

  • দেশের বিপুলসংখ্যক ডেথ রেফারেন্স ও অন্যান্য মামলার জটিলতা

    দেশের বিপুলসংখ্যক ডেথ রেফারেন্স ও অন্যান্য মামলার জটিলতা

    হেলাল শেখঃ দেশের উচ্চ আদালতে বিপুলসংখ্যক ডেথ রেফারেন্স মামলা দীর্ঘদিনেও নিষ্পত্তি না হওয়ার কারণে ভুক্তভোগীরা দিশেহারা হয়ে পড়েছেন বলে তাদের পরিবারের সদস্যদের দাবি, বরং বিভিন্ন ডেথ রেফারেন্স মামলার সংখ্যা দিন দিন বেড়েই যাচ্ছে। ফলে বিচারপ্রার্থী আসামীরাও হতাশায় দিন কাটাচ্ছেন। সেই সাথে অন্যান্য মামলারও জটিলতা সৃষ্টি হচ্ছে।
    সূত্র জানা গেছে, মৃত্যুদ-প্রাপ্ত আসামীদের মামলার বিচার শেষ করতে বছরের পর বছর লেগে যাচ্ছে, বিশেষ করে করোনার কারণে আদালত বন্ধ থাকায় আরও বেশি সমস্যা হয়েছে। জানা গেছে, আসামিদের বেশিরভাগই কনডেম সেলে মানবেতর জীবনযাপন করতে হয়। তুলনামূলক ভাবে উচ্চ আদালতে বর্তমানে ডেথ রেফারেন্স মামলার সংখ্যা দ্বিগুণ হয়েছে। নিষ্পত্তির অপেক্ষায় রয়েছে প্রায় ৮শতাধিক মামলা। ডেথ রেফারেন্স মামলা নিষ্পত্তি না হওয়ায় প্রায় ২ হাজারের বেশি আসামী বছরের পর বছর ধরে কনডেম সেলে মানবেতর জীবন কাটাচ্ছেন। ডেথ রেফারেন্স মামলা নিষ্পত্তির আশায় দিনের পর দিন প্রহর গুনছেন বিচারপ্রার্থী ও আসামীরা। আদালত এবং আইন পেশা সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়। অনেক সংবাদপত্রে এ বিষয়ে সংবাদ প্রকাশ হয়েছে বলে সূত্র জানায়।
    সূত্র মতে, উচ্চ আদালতে বিগত ২০১০ইং সালে ডেথ রেফারেন্স মামলা ছিলো ৫৮৫টি। তার মধ্যে মাত্র ৪৩টির নিষ্পত্তি হয়েছে, বিচারাধীন রয়েছে ৫৪২টি। ২০১১ সালে মামলার সংখ্যা বেড়ে ৬০৯টিতে দাঁড়ায় আর নিষ্পত্তি হয় ৭৪টি। ২০১২ সালে মামলা ছিলো ৫৯৫টি আর নিষ্পত্তি হয় ১৪৫টি। ২০১৩ সালে ৫১৩টি মামলার মধ্যে নিষ্পত্তি হয় ১১১টি। ২০১৪ সালে ৪৯৮টি মামলার মধ্যে নিষ্পত্তি হয় ১৩৫টি। ২০১৫ সালে ৪৭৭টি মামলার মধ্যে নিষ্পত্তি হয় মাত্র ৫৮টি। ২০১৬ সালে মামলা ছিলো ৫৮০টি, নিষ্পত্তি হয়েছে মাত্র ৪৫টি। ২০১৭ সালে মামলা ছিলো ৭০৬টি, নিষ্পত্তি হয় মাত্র ৬৬টি। ২০১৮ সালে মামলার সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ৭১১টিতে কিন্তু নিষ্পত্তি হয় মাত্র ৮৩টি। বিগত ২০১৯ইং সালের ৭ এপ্রিল পর্যন্ত ৭২১টি মামলা বিচারাধীন রয়েছে। ২০২২ সাল এখন পর্যন্ত ডেথ রেফারেন্স মামলা বেড়েই চলেছে এবং অন্যান্য মামলার জটিলতা সৃষ্টি হচ্ছে। তবে সংশ্লিষ্টদের দাবি-দ্রুত এই জটিলতার সমাধান হবে।
    সূত্র জানায়, নি¤œ আদালতে বিগত ২০১৫ ও ২০১৬ সালে মৃত্যুদ-প্রাপ্ত আসামিদের ডেথ রেফারেন্স ও আপিলের শুনানি বর্তমানে হাইকোর্টে চলছে, ২০২২ সালেও চলমান। একই সঙ্গে যে সমস্ত মামলার পেপারবুক তৈরি হয়েছে সেগুলোর শুনানির অপেক্ষায় রয়েছে। বিচারের এ সমস্ত মামলায় হাইকোর্ট যদি কোন আসামীর মৃত্যুদ- বহাল রাখে তাহলে মামলার চুড়ান্ত নিষ্পত্তি হওয়া পর্যন্ত আসামিদের কমপক্ষে ১৬-১৮ বছর কনডেম সেলে থাকতে হচ্ছে। অবশ্য এ্যাটির্নি জেনারেল অফিস থেকে বলছেন, করোনার প্রভাব কমার সঙ্গে সঙ্গেই আদালতগুলোতে ডেথ রেফারেন্স মামলার শুনানি পুরোদমে শুরু হয়েছে, যা বর্তমানে চলমান।
    সূত্র আরও জানায়, এসব মামলার আরেকটি দীর্ঘসূত্রতার কারণ হচ্ছে ডেথ রেফারেন্স মামলার পেপারবুক তৈরি করতে অনেক সময় লেগে যায়। পেপারবুক তৈরির পর হাইকোর্ট শুনানি, তারপর আপিল বিভাগ। এ সমস্ত ধাপ পেরিয়ে আসতে দীর্ঘ সময় লেগে যায়। বিচারে যে সাজা হয়েছে সেই সাজা বাস্তবায়নে দীর্ঘসূত্রতার কারণে আসামীদের জন্য যেমন যন্ত্রণাদায়ক, আবার বাদীপক্ষের জন্যও হতাশাজনক। অনেকেই দাবি করেন, পেপারবুকের পাশাপাশি ডেথ রেফারেন্স শুনানির জন্য বে বাড়ানোও প্রয়োজন। তাতে করে ফাঁসির দ-প্রাপ্ত আসামিদের আপিল শুনানি দ্রুত হবে।
    এ প্রসঙ্গে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুবুনালের প্রসিকিউটর তাপস কান্তি গণমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন যে, ডেথ রেফারেন্স মামলাগুলো দ্রুত শুনানি হওয়া দরকার। বিচারিক আদালতে যাদের মৃত্যুদ- দেয়া হয় তারা কনডেম সেলে থাকেন। অন্যদিকে এ প্রসঙ্গে ডেপুটি এ্যাটির্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক গণমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন, বিচারিক আদালতের রায়ের পরে হাইকোর্ট ও আপীল বিভাগে শুনানি করতে বেশ সময় লাগে। করোনার কারণে বিচার পক্রিয়া স্থগিত ছিলো। অনেকেই বলছেন যে, থানা থেকে নতুন আসামী গ্রেফতার হলে তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়। গ্রেফতারকৃতদের অনেকেই আবার দ্রুত জামিনে মুক্তি পাচ্ছেন কিন্তু যারা বছরের পর বছর বিচারের অপেক্ষায় দিন গুনছেন তাদের অপেক্ষা যেন শেষ হচ্ছে না বলে অনেকেই দুঃখ প্রকাশ করেছেন। আশুলিয়াসহ বিভিন্ন এলাকায় হত্যা মামলা মাসের পর মাস এবং বছরের পর বছর পেরিয়ে গেলেও আসামী গ্রেফতার হচ্ছে না। আবার আসামী গ্রেফতার হলেও হাজতবাস করছেন তারা কিন্তু বিচার কাজ শেষ না হওয়ায় ভুক্তভোগীরা দিশেহারা হয়ে পড়েছেন বলে ভুক্তভোগী পরিবার জানান। উক্ত বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন ভুক্তভোগীসহ সচেতন মহল।

  • পুলিশের বিরুদ্ধে কথা বললে বা সংবাদ প্রকাশ করায় সাংবাদিকদের নামে বিভিন্ন ভাবে মামলা

    পুলিশের বিরুদ্ধে কথা বললে বা সংবাদ প্রকাশ করায় সাংবাদিকদের নামে বিভিন্ন ভাবে মামলা

    হেলাল শেখঃ পুলিশের বিরুদ্ধে কথা বললে বা সংবাদ প্রকাশ করায় সেই সাংবাদিকদের নামে বিভিন্নভাবে মামলা করা হয়। সাংবাদিকরাতো কোনো চোর ডাকাত নয়, কেন সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয় জাতি জানতে চায়।
    সারাদেশেই নিজেদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি শক্রতা সুষ্টি করছে কিছু সাংবাদিক ও দুষ্টু প্রকৃতির মানুষ, সেই সাথে রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানা, আশুলিয়া থানা, মিরপুর থানা, বরিশাল ভোলা জেলার চরফ্যাশন থানাসহ সারাদেশে প্রায় অনেক থানায় সাংবাদিকদের নামে মিথ্যা মামলা করা হয়েছে। সাংবাদিকদের বলা হয় জাতির বিবেক কিন্তু তারা যদি অপরাধমূলক কর্মকান্ড করেন তাহলে সাধারণ মানুষ সেবা পাবে কোথায়? অর্থ ও স্বার্থের জন্য মানুষ যদি অমানুষের পরিচয় দেন এটা খুবই লজ্জা ও দুঃখজনক।
    জীবনের ঝুঁকি নিয়ে খোলা আকাশের নিচে দাঁড়িয়ে কাজ করা, জনগণের প্রকৃত বন্ধু সাংবাদিকরা। কর্মরত অবস্থায় ডিউটির পর ডিউটি করতে হয় সাংবাদিকদের, কিন্তু তাদের মনের দুঃখ কেউ বুঝতে চায়না। সাংবাদিকদের পেশা যেন ধর্মকর্ম মানুষের সেবা করাই তাদের একমাত্র কাজ। যারা কাজ করেন তাদের ভুল হতেই পারে কিন্তু ছোট একটা ভুল করলেই বড় ধরণের হামলা, মামলার শিকার হতে হয় সাংবাদিকরা, থানায় ডেকে নিয়ে বা রাস্তা থেকে ধরে নিয়েই বিভিন্ন মামলা দেয়া হয় সাংবাদিকদের নামে, এটা জাতির জন্য কতটা লজ্জাজনক?।
    বাংলাদেশে প্রায় ১৮ কোটি জনগণের জানমালের নিরাপত্তায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করেন পুলিশ বাহিনী ও সাংবাদিকরা। সরকার পুলিশকে বেতন ভাতা দিলেও সাংবাদিকরা পাচ্ছেন না সরকারি কোনো ভাতা। ভালো কাজ করলে বলা হয় এটা তাদের দায়িত্ব। সামান্যতম ভুল করলে তাদেরকে বড় গালাগালি দেওয়া হয়। সব পুলিশ খারাপ না, কিছু পুলিশ সদস্য খারাপ তাই পুলিশের বদনাম হয়। মানবিক পুলিশ ও সাংবাদিক তাদের ঘর থেকে বাহিরে বের হলে বা ডিউটিতে গেলে তাদের পরিবারের সদস্যরা অনেক চিন্তায় থাকেন যে, কখন যেন কোন হামলার শিকার হয় তারা। সাংবাদিক ও পুলিশকে বলা হয় ঘুষখোর, চাঁদাবাজ কিন্তু করোনাকালীন সময়ে যখন বাসা বাড়িতে ঘুমিয়েছেন জনগণ-তখন পুলিশ ও সাংবাদিক এবং ডাক্তার জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মাঠে কাজ করেছেন। যুগ যুগ ধরে সেবা সহযোগিতা করে আসছেন যারা, তারাই জনগণের প্রকৃত বন্ধু। সব পুলিশ বা সাংবাদিক বা ডাক্তার খারাপ না।
    বাংলাদেশের বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা, পুলিশ, র‌্যাব যে, জীবনের ঝুঁকি নিয়ে জঙ্গী, খুনী, ধর্ষণকারী, অপহরণকারীদেরকে গ্রেফতার করেন এবং ভিকটিম উদ্ধার করাসহ অনেক কঠিন ও ঝুঁকিপূর্ণ কাজ করেন। বিশেষ করে কিছু লোকজন অভিমত প্রকাশ করেন যে, পুলিশের নতুন নতুন ইউনিট হলেও সেই অর্থে তুলনামূলক ভাবে সেবার মান বাড়ছে না। সূত্রমতে, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা মানয়ীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা’র নির্দেশে পুলিশের জনবল বৃদ্ধি করাসহ পাশাপাশি বেতন ভাতা বৃদ্ধি করা হয়েছে। ঢাকা বিভাগের সকল থানায় সিসি টিভি ক্যামেরা বসানো হয়েছে,এতে যেমন প্রশংসা বাড়ছে সংশ্লিষ্ট পুলিশ প্রশাসনের। তবে কিছু থানা পুলিশের অনিয়ম দুর্নীতির কারণে পুলিশ বাহিনীর বদনামও হচ্ছে, কিন্তু এই দায় নিবে না মানবিক পুলিশ সদস্যরা। ট্রাফিক পুলিশ সদস্যরা ধুলাবালির মধ্যে প্রতিদিন অনেক কষ্টের মধ্যে ডিউটি করেন, তাদের সবচেয়ে বেশি স্বাস্থ্যঝুঁকি রয়েছে। দেশের থানা পুলিশ কর্তৃক আটক হওয়া ব্যক্তিদের হাজত থেকে কারাগারে থাকা নানারকম সমস্যা হয়ে থাকে, তারপরও মানুষ সঠিক পথে চলে না এটা দুঃখজনক ব্যাপার। ঢাকার আশুলিয়া থানায় জিডি ও অভিযোগের তদন্তই করেন না কিছু পুলিশ অফিসার এমন অনেক ভুক্তভোগীর অভিযোগ রয়েছে। কিছু পুলিশ সদস্যদের দাবি-বেতন বাড়ার সাথে সেবার মান বাড়ছে, আগের চেয়ে অনেকটা উন্নতি হয়েছে পুলিশ বাহিনীর সেবার মান। পুলিশের সেবার মান আরও বাড়বে ও স্বপ্ন একদিন পূর্ণ হবে। তবে পুলিশ ও জনগণের মানুষিকতার পরিবর্তন আনতে হবে। সূত্র জানায়, জরাজীর্ণ থানাগুলোতে অনেক জায়গায় নতুন ভবন করেছে সরকার। এদিকে বাংলাদেশের পুলিশের নতুন প্রায় ১৫টির মতো ইউনিট গঠিত হয়েছে। কিছু পুলিশ সদস্যের ভুলের কারণে পুরো পুলিশ বাহিনীর দোষ দেয়া হয় এটা ঠিক নয়। পুলিশ সদস্যদের দাবি-বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রেখেছেন তারা, তবে চট্রগ্রামের মেজর সিনহার মৃত্যু নিশ্চিত করতে গুলি করেন ওসি প্রদীপ এমন একটি সংবাদ শিরোনাম প্রকাশ হয়েছে শীর্ষ জাতীয় দৈনিক পত্রিকাসহ বিভিন্ন মিডিয়াতে। এরপর থেকে পুলিশ বাহিনীর অনেক বদনাম হয়। তবে তাকে র‌্যাব বাহিনী আটক করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করার পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। এরপর সিলেটে ডাক্তারের চেম্বারে কর্মচারি রায়হানকে পরিকল্পিতভাবে পুলিশ দিয়ে হত্যা করার অভিযোগ উঠে। এই হত্যার ঘটনায় সিলেটের বন্দর বাজার পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ তরুণ (এসআই) আকবর ভুঁইয়াকে আটক করা হয়। গত ৯ নভেম্বর ২০২০ইং সকালে রাজধানীর আদাবর মানসিক রোগ নিরাময় কেন্দ্রে চিকিৎসা নিতে গিয়ে হাসপাতালের কর্মচারিদের গণপিটিুনিতে এ এসপি আনিসুল করিম হত্যার ঘটনা ঘটে। এমন ঘটনা কেউ আশা করেনি বলে অনেকেই অভিমত প্রকাশ করেন।
    রাজধানী ঢাকা ও ঢাকার আশেপাশের থানায় পুলিশের তেমন কোনো সমস্যা না থাকায় মফস্বল এলাকা থেকে বদলি হয়ে ঢাকায় আসার জন্য পুলিশ সদস্যরা চেষ্টা করে থাকেন। এর অনেক কারণও রয়েছে। মফস্বল এলাকায় পুলিশ সদস্যদের নানারকম সমস্যা, জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করতে হয়। পুলিশের থাকা খাওয়ার সমস্যা। অনেক সময় জরুরি কাজে গাড়ি না পাওয়াসহ নানারকম সমস্যা রয়েছে পুলিশের। বিশেষ করে ট্রাফিক পুলিশ সদস্যেদের অনেক কষ্ট করে ডিউটি করতে হয়, তাদের অনেকেই সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন এমন অনেক তথ্য রয়েছে। সুত্রে জানা গেছে, অনেক ইউনিটে চাহিদার চেয়ে অর্ধেকেরও কম জনবল দিয়ে দৈনন্দিন কাজ চালানো হচ্ছে পুলিশ বাহিনীতে। বেশিরভাগ ইউনিটি ও থানার নিজস্ব কোনো ভবন নেই, আবাসিক এলাকায় ভাড়া বাড়িতে চলছে পুলিশের কার্যক্রম। অনেক সময় জরুরি অভিযান পরিচালনার জন্য গাড়ি পাওয়া যায় না। দুঃখজনক বিষয়ঃ সাধারণ মানুষ অনেকেই বলেন, ডাকঢোল পিটিয়ে রং বে-রঙের বেলুন উড়িয়ে পুলিশ বাহিনীতে নতুন নতুন ইউনিটির যাত্রা শুরু হয়, কিন্তু পুলিশের সেবার মান বাড়ছে না কেন? অনেক পুলিশ সদস্য অপরাধের সাথে জড়িয়ে পড়ছেন এর কারণও রয়েছে পারিবারিক সমস্যা। সূত্র জানায়, রাজধানী ছাড়াও যেমনঃ ঢাকা জেলার আশুলিয়া থানা ভাড়া বাড়িতে চলছে পুলিশের কার্যক্রম। এই থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ও তদন্ত ওসিসহ ৪০ জনের মত অফিসার রয়েছেন। দেখা যায়, বেশিরভাগ পুলিশ অফিসারগণ ভাড়া গাড়ি দিয়ে বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করেন। ১০-১২ বছর আগের পুলিশ আর বর্তমান সময়ের পুলিশ একরকম নয়। সরকার যেমন পুলিশের বেতন বৃদ্ধি করেছে,তেমনি পুলিশের কষ্টও বাড়ছে। এদিকে ট্রাফিক পুলিশের কয়েকজন সদস্য জানান, পুলিশ সদস্য ভালো কাজ করলে পাবলিক বলে এটা পুলিশের দায়িত্ব কিন্তু পুলিশ সদস্য ছোট কোনো ভুল করলে তাদেরকে অনেক সময় বড় ধরণের শাস্তি দেয়া হয়, এমন কি চাকরি চলে যায়।
    বাংলাদেশের “প্রশাসনিক কাঠামো” ৬টি থেকে বাড়িয়ে বর্তমানে ৮টি বিভাগ ও ৬৪ জেলা এখন। ৬৪ জেলায় ৮৬,৬০৮টি গ্রাম। ১৯৭১ সালে মাত্র ৭কোটি জনগণ ছিলো, যা বর্তমানে প্রায় ১৮কোটির মত জনগণ হয়েছে। মানুষ বাড়ছে, ঘর বাড়ি বাড়ছে, ইটভাটা বাড়ছে, ফসলি জমি কমে যাচ্ছে। পুলিশের নতুন নতুন ইউনিট বাড়ছে, পুলিশ সদস্যও বাড়ছে, কিন্তু সেই অর্থে কি সেবার মান বাড়ছে?। পুলিশ বিভাগের জন্য আলাদা মেডিকেল ইউনিটি গঠিত, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আলহাজ্ব আসাদুজ্জামান খান কামাল গত ৩ অক্টোবর ২০১৯ইং সচিবালয়ে গণমাধ্যম কেন্দ্রে “বিএসআরএফ সংলাপ” অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানিয়েছিলেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, শেখ হাসিনা’র নেতৃত্বে সরকার গত মেয়াদে ৮০ হাজার পুলিশের জনবল বৃদ্ধি পেয়েছে। জরাজীর্ণ থানাগুলোতে নতুন ভবন করা হচ্ছে। পুলিশের নতুন ১৫টি ইউনিট গঠিত হয়েছে। আমরা হেলিকপ্টার সংযোজন করতে যাচ্ছি, তার জন্য প্রক্রিয়া শুরু করেছি। (পিবিআই), এ ছাড়া দেশের শিল্প এলাকার নিরাপত্তা জোরদার ও শিল্পবান্ধব পরিবেশ সৃষ্টির জন্য ইন্ডাষ্টিয়াল পুলিশ, নৌ-পুলিশ ও ট্যুরিষ্ট পুলিশ গঠন করা হয়। এ ছাড়াও কাউন্টার টেরোরিজম ও ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট নামে নতুন আরও একটি ইউনিট গঠন হয়। পুলিশের শীর্ষ কর্মকর্তাদের দাবি-পুলিশি সেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌছে দেওয়ার জন্য ময়মনসিংহ বিভাগ ও রংপুর রেঞ্জে রিজাভ ফোর্স (আর আর এফ) এবং পাবনা জেলার আতাইকুলা ও আমিনপুর থানাসহ প্রায় ২৯টি নতুন থানা এবং প্রায় ৪৭টি তদন্ত কেন্দ্র নতুন হয়েছে। বর্তমানে অনেকেই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে ধন্যবাদ জানাচ্ছেন। ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান বিপিএম (বার) পিপিএম (বার) দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকে মানবিক পুলিশের প্রতি মানুষের বেড়েছে সম্মান। মানুষ মানুষের জন্য জীবন জীবনের জন্য এ কথার সত্যতা আছে কত % আমাদের জানা আছে কি?।

  • মহানবীকে  অবমাননা কারীকে ঢাকা থেকে গ্রেফতার করেছে  হরিণাকুণ্ডু থানা পুলিশ

    মহানবীকে অবমাননা কারীকে ঢাকা থেকে গ্রেফতার করেছে হরিণাকুণ্ডু থানা পুলিশ

    ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ
    হজরত মুহাম্মদ (সাঃ) কে আবমাননা ও ইসলাম ধর্মের মুসলিমদের অনুভূতিতে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে অঘাৎ করার দায়ে হরিণাকুণ্ডু উপজেলার নারায়নকান্দী গ্রামের কারিকর পাড়ার শেখ মেহেদি হাসান ওরফে ফকিরকে ঢাকার বাসাবো এলাকা থেকে গ্রেফতার করেছে ঝিনাইদহ হরিণাকুণ্ডু থানা পুলিশ।হরিণাকুণ্ডু থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম এর নির্দেশে সোর্স নিয়োগের মাধ্যমে খবর পেয়ে এসআই সাইফুল ইসলামের নেতৃত্বে সঙ্গীয় ফোর্স ঢাকায় অভিজান পরিচালেনা করে বাসাবো এলাকা থেকে শেখ মেহেদী হাসান কে গ্রেফতার করেছে বলে পুলিশ জানায় ।এ বিষয়ে আজ রবিবার সকাল ১১টায় ঝিনাইদহ জেলা পুলিশ সুপারের কর্যালয়ে প্রেস ব্রিফিং অনুষ্ঠিত হয়েছে বলে পুলিশ সুত্রে জানাগেছে।

    ঝিনাইদহ
    আতিকুর রহমান।।

  • শৈলকুপায় ক্রিকেটার আল-আমিনের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন

    শৈলকুপায় ক্রিকেটার আল-আমিনের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন

    ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ
    ক্রিকেটার আল আমিন হোসেনকে নারী নির্যাতনের অভিযোগে অবিলম্বে গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবিতে ঝিনাইদহের শৈলকুপায় মানববন্ধন হয়েছে। আজ রবিবার বেলা ১১টায় শৈলকুপা উপজেলা পরিষদের সামনে এ মানববন্ধনের আয়োজন করেন আল আমিন হোসেনের স্ত্রী ইসরাত জাহান মিশুর স্বজন ও এলাকাবাসী। বিভিন্ন পোষ্টার, ব্যানার, প্লাকার্ড হাতে বিক্ষোভ-মানববন্ধনে সবাই অংশ নেয় ।দীর্ঘদিন ধরে স্ত্রী মিশুর উপর নির্যাতনের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও তার দুই ছেলের ভোরণ পোষনের দাবি জানান হয় মানববন্ধন থেকে। এ সময় শৈলকুপার ৫নং কাঁচেরকোল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সালাউদ্দিন জোয়ার্দ্দার মামুন, আল আমিনের স্ত্রী ইসরাত জাহান মিশুর বাবা ছবিবর রহমান বক্তব্য রাখেন। এছাড়া শৈলকুপার বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের কর্মী সহ বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ যোগ দেন। মানববন্ধনে এলাকার নারীরাও অংশ নেন ।স্থানীয় কাঁচেরকোল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সালাউদ্দিন জোয়ার্দ্দার মামুন মানববন্ধনে অংশ নিয়ে বলেন, ক্রিকেটার আল আমিনের বিরুদ্ধে স্ত্রী নির্যাতনের যে অভিযোগ উঠেছে অবিলম্বে তার তদন্ত সহ আল আমিন কে বিচারের আওতায় আনতে হবে। তিনি বলেন এক আলআমিনের কারণে যেন বাংলাদেশ ক্রিকেটের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন না হয়। ক্রিকেটার আল আমিনের স্ত্রী ইসরাত জাহান মিশুর বাবা ছবিবর রহমান বলেন, তার কন্যার উপর যে নির্যাতন চলছে তার বিচার করতে হবে, তিনি সবার কাছে মেয়ের জন্য দোয়া চান ।প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি বরাবর ক্রিকেটার আল আমিনের স্ত্রী ইসরাত জাহান মিশুর দায়েরকৃত এক অভিযোগে জানা গেছে, ২০১২ সালে ঝিনাইদহে তাদের বিয়ে হয় । ক্রিটেটার আল আমিন ঝিনাইদহ সদর উপজেলার ক্যাডেট কলেজ পাড়ার শাহ আলমের পুত্র আর তার স্ত্রী ইসরাত জাহান মিশু একই জেলার শৈলকুপা উপজেলার বিত্তিদেবী রাজনগর গ্রামের ছবিবর রহমানের কন্যা। বিবাহিত জীবনে মাহমুদ আমিন মিনহাজ(৬) ও মাহমুদ আমিন মোহাইমিন(২) নামে দুটি পুত্র সন্তান রয়েছে।অভিযোগে স্ত্রী দাবি করেছে, বিয়ের পর থেকে ঢাকার মিরপুরে থাকা অবস্থায় একটি মেয়ের সাথে অবৈধ সম্পর্ক গড়ে তোলে। বিভিন্ন ভাবে তাকে অত্যাচার সহ ভরণ-পোষণ দেয়া বন্ধ করে দেয়। অবৈধভাবে সম্পর্ক গড়া মেয়ের সাথেই বসবাস করছে। প্রায়শ^ই মারধর সহ মানষিক ও শারীরিক নির্যাতনের পাশাপাশি জোরপূর্বক ডিভোর্স পেপারে স্বাক্ষর নেয়ার চেষ্টা করতে থাকে। এমন অবস্থায় চলতি বছরের জুলাই মাসে দুটি সন্তান নিয়ে শ^শুর বাড়ি ঝিনাইদহে চলে আসে। সেখানে শাশুড়ি মনোয়ারা বেগম ও আল আমিন সেখান থেকে তাড়িয়ে দেয় ।স্ত্রী ইসরাত জাহান মিশু অভিযোগে বলছেন আল আমিন জাতীয় ক্রিকেটার হওয়ার কারণে সঠিক ভাবে কোথাও বিচার পাচ্ছেন না। দুই সন্তান নিয়ে মানবেতর জীবন-যাপন কছেন।

    ঝিনাইদহ
    আতিকুর রহমান।