Category: দেশজুড়ে

  • বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ধারণ করে নারী নেতৃত্বে অগ্রগামী ভূমিকা পালন করে চলছেন স্বপ্না

    বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ধারণ করে নারী নেতৃত্বে অগ্রগামী ভূমিকা পালন করে চলছেন স্বপ্না

    ষ্টাফ রিপোর্টারঃ
    মনের ভিতর অদম্য সাহস আর মনের মনি কোঠায় জমে থাকা প্রবল ইচ্ছা শক্তিই একদিন মানুষকে তার চুরান্ত সীমানায় পৌছে দেয়। ছোট বেলায় সকলেরই স্বপ্ন থাকে পাহার সমান, স্বপ্ন তো স্বপ্নই,তারপরেও সবাই স্বপ্ন দেখে। তেমনি এক অদম্য নারী নেত্রী বাংলাদেশ যুবমহিলা লীগ ময়মনসিংহ জেলা শাখার যুগ্ম আহবায়ক-১ স্বপ্না খন্দকার । যার পথচলা শুরু গ্রামীন জনপথ ধরে মাটির রাস্তা বেয়ে। মনের ইচ্ছা শক্তিকে, শক্তিতে রুপান্তরিত করে আওয়ামী লীগের সাধারণ কর্মী থেকে উঠে আসা এক সাহসী নারী নেত্রী স্বপ্না খন্দকার । গ্রামে পড়াশুনা শেষ করে ভর্তি হন ময়মনসিংহ নগরীর স্বনামধন্য বিদ্যাপিঠে। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ধারণ করে নারী নেতৃত্বে অগ্রগামী ভূমিকা পালন করে চলছেন তিনি । যার রক্তে বইছে আওয়ামী লীগ ও জয়বাংলার শ্লোগান, সে তো প্রতিবাদী হবেই। স্কুল জীবন থেকে সক্রিয় ছাত্র রাজনীতি,প্রতিবাদ,
    পোষ্টার লাগানো,মিছিল সবই ছিল পড়াশুনার পাশাপাশি একজন নারী নেত্রী হিসেবে স্বপ্না খন্দকারের রুটিন। কোন পদ পদবীর লোভে নয়, বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক হিসাবে কর্মী তৈরী,নিয়মিত তাদের খোজ খবর নেওয়া, বিভিন্ন প্রোগ্রাম সফল করার জন্য আপ্রান চেষ্টা করাই তার একমাত্র ধ্যান ধারনা। তিনি ছোটবেলা থেকেই পরোপকারী ছিলেন,তৃণমূল থেকে কঠোর পরিশ্রম করে পরবর্তীতে বাংলাদেশ মানবাধিকার কেন্দ্রীয় কমিটি ঢাকার সিনিয়র সহ সভাপতি, দায়িত্ব পালন করেছেন বাংলাদেশ মানবাধিকার সামাজিক কল্যাণ পরিষদেও। মানবিক কার্যক্রমের পাশাপাশি রাজনীতিতে তার ভূমিকা ভূলে যাওয়ার মত নয়।তৃর্ণমুল পর্যায়ে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বাস্তবায়ন সহ সমাজের নারীদের আওয়ামী লীগের পতাকা তলেও ঐক্যবদ্ধ করতে ছুটে চলেন জেলার এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে। তিনি বাংলাদেশ কৃষকলীগ ময়মনসিংহ জেলা শাখার সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সাবেক সদস্য। একজন নারী নেত্রী হিসাবে দলের সাংগঠনিক কার্যক্রমকে এগিয়ে নেওয়ায় পরবর্তীতে ময়মনসিংহ জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হিসাবে দায়িত্ব দেওয়া হয় তাকে। তারপর যুব মহিলা লীগ ময়মনসিংহ জেলা শাখার সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক হিসাবে দায়িত্ব পেয়ে নারীদের কে ঐক্যবদ্ধ করে তার সাথে নিয়ে দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক কার্যক্রম তরান্বিত করে যাচ্ছেন।

    স্বপ্না খন্দকার গ্রামের অসহায় মানুষজনের কথা চিন্তা করে বিভিন্ন সরকারী দপ্তরে ছুটে যান,তার এলাকার উন্নয়নের জন্য। নিজের উদ্যোগে বিভিন্ন সময় অসহায় হতদরিদ্র মানুষদের সহাযোগিতা করেন। বিভিন্ন অনুষ্ঠানে হোক সে ছোট কিংবা বড় অনুষ্ঠান,জনগনের ডাকে অতিথি হিসাবে উপস্থিত থাকেন। তরুন ও যুব সমাজকে তিনি অনেক বেশি মূল্যায়ন করেন, তিনি মনে করেন মোটিভেশন টা যুবক আর তরুনদের দিয়েই শুরু করা উচিত এবং তা সহজ। ৫০ উর্ধদের উনি পরামর্শ দাতা হিসেবে গ্রহণ করেন তিনি।করোনাকালীন সময়ে ময়মনসিংহ নেতৃবৃন্দের মধ্যে তিনি সব সময় জেলার বিভিন্ন এলাকায় অসহায় হতদরিদ্র মানুষদের সহযোগিতার জন্য অধিকাংশ সময় সহযোগীতা নিয়ে মানুষের বাড়ী-বাড়ী অবস্থান করেন এবং উপহার সামগ্রি বিতরণ করেন। গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংরক্ষিত নারী আসন এলাকার জনগনের প্রবল ইচ্ছার কারনে ময়মনসিংহ থেকে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ এর দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার প্রত্যাশায় ছিলেন,তারপর নেত্রী মহান মাতৃ ভাষা আন্দোলনে অংশ গ্রহণকারী একজন ভাষা সৈনিক এর মেয়েকে দলীয় মনোনয়ন দেন। নেত্রীর সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানিয়ে তার পক্ষে মাঠে জোরালো ভাবে কাজ করেন।বর্তমান সময়ে স্বপ্না খন্দকার তার নির্বাচনী এলাকার জনপ্রিয়তার শীর্ষে আছেন। জনগন তাকে নিয়েই স্বপ্ন দেখেন ভাবেন এবার স্বপ্না আপুর মূল্যায়ন হবে।

  • ময়মনসিংহে ওসি কামালের নেতৃত্বে  পুলিশের  অভিযানে ধর্ষক ও সাজাপ্রাপ্তসহ গ্রেফতার ১৮

    ময়মনসিংহে ওসি কামালের নেতৃত্বে পুলিশের অভিযানে ধর্ষক ও সাজাপ্রাপ্তসহ গ্রেফতার ১৮

    আরিফ রববানী ময়মনসিংহ।।
    ময়মনসিংহে কোতোয়ালী মডেল থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ ওসি শাহ কামাল আকন্দের নেতৃত্বে পুলিশের অভিযানে বিভিন্ন অপরাধের দায়ে ১৮ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ । মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত গত ২৪ ঘন্টায় পৃথক অভিযানে তাদেরকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
    কোতোয়ালী মডেল থানার ওসি শাহ কামাল আকন্দ জানান, নবাগত পুলিশ সুপার মাছুম আহাম্মদ ভুঞা এর নির্দেশে বিভাগীয় নগরী সহ সদর এলাকার আইন শৃংখলা নিয়ন্ত্রণ, জুয়ামুক্ত অঞ্চল গড়ে তোলা, চুরি-ছিনতাই রোধ ও মাদক ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন অপরাধীদের গ্রেফতারে কোতোয়ালী পুলিশ নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করছে। এরই অংশ হিসেবে গত ২৪ ঘন্টায় ১৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
    এর মাঝে এসআই আনোয়ার হোসেন-২ এর নেতৃত্বে একটি টীম শম্ভুগঞ্জ পূর্ববাজার মেইন রোড থেকে বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলার আসামী সবুজ মিয়া, মোকারম হোসেন ইমন ও মোঃ মোস্তাকিম আহমেদকে ৯৩ বোতল ভারতীয় আমদানী নিষিদ্ধ মদসহ গ্রেফতার করে। এসআই মানিকুল ইসলামের নেতৃত্বে একটি টীম কাচারী ঘাট এলাকা হইতে ধর্ষণ মামলার আসামী মাসকান্দা গনসার মোড়ের আলমগীর হোসেন ওরফে সোবারুল, এসআই মোঃ শাহজালালের নেতৃত্বে একটি টীম সুহিলা বাজার হইতে ধর্ষণ মামলার আসামী ইদ্রিস আলী শ্রাবন, এসআই কুমোদলাল দাসের নেতৃত্বে একটি টীম বলাশপুর নয়াপাড়া আগার কান্দা তিন রাস্তার মোড় থেকে দস্যুতার চেষ্টা পুরাতন মামলার আসামী তানভীর হাসান অন্তর, এসআই নিরুপম নাগের নেতৃত্বে একটি টীম খাগডহর মদিনা নগর মধ্যপাড়া খালের পাড় জুয়াড় আসর থেকে ৬ জুয়াড়িকে গ্রেফতার করে। তারা হলো, আঃ বারেক, মোঃ স্বপন কুদ্দুস, মোঃ মজনু মিয়া, আঃ মজিদ, মোঃ মুরাদ ও মোঃ কালু। তাদের কাছ থেকে জুয়ার সামগ্রী ও নগদ টাকা উদ্ধার করে পুলিশ।
    এছাড়া এসআই তাইজুল ইসলাম, উত্তম কুমার দাস, ত্রিদীপ কুমার বীর, এএসআই আবুল কালাম আজাদ এবং চাঁন মিয়া পৃথক অভিযান পরিচালনা করে সাজাপ্রাপ্ত দুইজনসহ আরো চার পরোয়ানাভুক্ত পলাতক আসামীকে গ্রেফতার করে। তারা হলো, মোঃ জাহিদ হোসেন উজ্জল, মোঃ শামসুল হক, মোঃ রফিকুল ইসলাম, মোঃ আইয়ুব আলী ও মোঃ উসমান গনি। এদের মাঝে একই ব্যক্তির নামে একাধিক পরোয়ানা রয়েছে বলে পুলিশ জানায়। মঙ্গলবার তাদেরকে আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ। এ অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে পুলিশ জানিয়ে অপরাধ নির্মুলে সকলের সহযোগীতা প্রত্যাশা করেন ওসি শাহ কামাল আকন্দ।।

  • ভোটারদের দ্বারে দ্বারে গিয়ে দোয়া ও সমর্থন চাচ্ছেন সদস্য প্রার্থী আরজুনা

    ভোটারদের দ্বারে দ্বারে গিয়ে দোয়া ও সমর্থন চাচ্ছেন সদস্য প্রার্থী আরজুনা

    আরিফ রববানী ময়মনসিংহ।।
    আসন্ন ময়মনসিংহ জেলা পরিষদ নির্বাচন উপলক্ষে ভোটারদের দ্বারে দ্বারে গিয়ে দোয়া ও সমর্থন প্রত্যাশা করছেন সদস্য পদপ্রার্থী আরজুনা কবির। ইউপি চেয়ারম্যান ও মেম্বার সাথে কুশল বিনিময় করে এখন সময় কাটছে তাঁর। মাঠ পর্যায়ে ভোটারদের ব্যপক সাড়া পাচ্ছেন তিনি। কর্মী বান্ধব নারী নেত্রী ও জনবান্ধব জনপ্রতিনিধিকে জেলা পরিষদে সদস্য হিসেবে চান মেয়র, কাউন্সিলর, ইউপি চেয়ারম্যান ও মেম্বাররা।

    ২০সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার ইউপি মেম্বারদের সাথে সরেজমিনে সাক্ষাতে জানা যায়, যার দ্বারা ময়মনসিংহের মাটি ও মানুষের উন্নয়ন হবে, তাকেই জেলা পরিষদে সদস্য হিসেবে দেখতে চান তারা। ময়মনসিংহ জেলার মধ্যে সদর,তারাকান্দা, গৌরীপুর উপজেলা গুলো অবহেলিত এলাকা। বিগত বছরের অধিকাংশ সময় কেটে গেছে করোনা ভয়বহতায়,
    তাছাড়া নদী ভাঙ্গনের ফলে সদর ও গৌরীপুর উপজেলায় তেমন উন্নয়ন সম্ভব হয়নি। প্রত্যেক জনপ্রতিনিধি নিজ নিজ প্রচেষ্টায় কাজ করলে সদর,গৌরীপুর তারাকান্দাকে মডেল উপজেলা হিসেবে গড়ে তোলা সম্ভব হবে। তাই, জনবান্ধব নেতা ও প্রকৃত দেশপ্রেমিককে সদস্য হিসেবে চান তারা।

    আরজুনা কবির রাজনৈতিক জীবনের শুরু থেকেই জনকল্যাণ মুলক কাজে নিজেকে নিয়োজিত রেখেছেন। করোনার প্রাদুর্ভাবেও তিনি নিজ অর্থায়নে সমাজের অসহায় ও অসচ্ছল পরিবারকে বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করেছেন। বিগত ৫বছর তিনি জেলা পরিষদ সদস্য পদে দায়িত্বে থেকে খোজ নিয়েছেন প্রতিটি ভোটার আর অসহায় মানুষের।যার যা প্রয়োজন তা নিয়ে নিয়েই পাশে থেকে জনপ্রতিনিধি হিসাবে বিশ্বস্ততার সঙ্গে পালন করেন।

    আরজুনা কবির সদর উপজেলা পরিষদে বিপুল ভোটে নির্বাচিত সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান,গত নির্বাচনে বিপুল ভোটে নির্বাচিত জেলা পরিষদ সদস্য, যিনি সদস্য হওয়ার পর থেকে গত ৫বছর মানুষের বাড়ী-বাড়ী সময় কাটিয়েছেন,করোনাকালেও পাশে রয়েছেন,করোনাকালে যখন মানুষ কাজের জন্য না খেয়ে কাটাচ্ছিলো তখন কেউ খোজ খবর রাখেননি আরজুনা কে ছাড়া। সবাই করোনার ভয়ে ঘরে বসে থাকলেও আরজুনা নিজের জীবন বাজী রেখে মানুষের জন্য ত্রাণ সামগ্রী নিয়ে ঘরে ঘরে পৌছে দিয়েছেন। এবারো তিনি নির্বাচনে সর্বোচ্চ ভোট পেয়েই জয়ী হবেন তিন উপজেলাতে এমন আলোচনা চলছে সর্বমহলে।

    এ বিষয়ে কাউন্সিলর আরজুনা কবির জানান, আমি নির্বাচন নিয়ে ভাবছি না। আমার কোন উচ্চ পদের আকাঙ্ক্ষাও নেই। আমি শুধু দুর্যোগে মানুষের পাশে থাকতে চাই। সকল ষড়যন্ত্রকারীরা তাদের ভুল বুঝতে পেরে নিজেরাই থমকে যাবে বলে আশা করছি। আল্লাহ আমাদের সহায় হবেন। জানিনা মানুষের পাশে থাকতে পেরেছি কিনা তবে মানুষের পাশেই আজীবন থাকতে চেষ্টা করবো, আমৃত্যু পর্যন্ত। তিনি সকলের দোয়া প্রত্যাশা করেন।

  • ময়মনসিংহ জেলা পরিষদ নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীর বিজয় ধরে রাখতে জেলা আ’লীগের বর্ধিত সভা

    ময়মনসিংহ জেলা পরিষদ নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীর বিজয় ধরে রাখতে জেলা আ’লীগের বর্ধিত সভা

    আরিফ রববানী ময়মনসিংহ।।
    জেলা পরিষদ নির্বাচনী আলোচ্যবিষয় নিয়ে
    ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামীলীগের উদ্যোগে বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (২১শে সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টায় ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এডভোকেট জহিরুল হক খোকার সভাপতিত্বে নগরীর চড়পাড়াস্থ হোটেল সালতানাত এ উক্ত বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হয়।

    ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট মোঃ মোয়াজ্জেম হোসেন বাবুল এর পরিচালনায় বিশেষ এই বধিত সভায় ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য বৃন্দ, ময়মনসিংহ জেলার সকল পৌরসভার মেয়র বৃন্দ, উপজেলা চেয়ারম্যান বৃন্দ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাধারণ সম্পাদক বৃন্দ, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের সভাপতি/ সাধারণ সম্পাদক বৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। সভায় বক্তারা আসন্ন জেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনীত প্রাথী অধ্যাপক ইউসুফ খান পাঠান কে বিজয়ী করতে সকলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার অভিমত ব্যক্ত করেন এবং বঙ্গবন্ধু স্বপ্নের সুখী সমৃদ্ধ সোনার বাংলা গড়ার লক্ষে বাংলার উন্নয়নের রুপকার দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে চলমান উন্নয়ন কর্মকাণ্ড কে এগিয়ে নিতে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থীর পক্ষে কাজ করতে সকলের প্রতি আহবান জানিয়ে বক্তব্য রাখেন ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব এডভোকেট জহিরুল হক খোকা, সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট মোয়াজ্জেম হোসেন বাবুল, আলহাজ্ব আনোয়ারুল আবেদীন খান তুহিন এমপি, ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশন এর মেয়র মো ইকরামুল হক টিটু, জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি এডভোকেট ফরিদ আহমেদ, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান প্রাথী অধ্যাপক ইউসুফ খান পাঠান, জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আলহাজ্ব মমতাজ উদ্দিন মন্তা, যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক এম এ কুদ্দুস, শওকত জাহান মুকুল, সাংগঠনিক সম্পাদক আহাম্মদ আলী আকন্দ দপ্তর সম্পাদক অধ্যক্ষ আবু সাইদ দীন ইসলাম ফখরুল, আইন বিষয়ক সম্পাদক এডভোকেট জালাল উদ্দিন খান, প্রচার সম্পাদক আহসান মোহাম্মদ আজাদ, শ্রম বিষয়ক সম্পাদক এডভোকেট আবু বকর সিদ্দিক, বন ও পরিবেশ সম্পাদক মিরন চৌধুরী, যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক আলহাজ্ব রেজাউল হাসান বাবু, বিঙ্জান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক আবুল কালাম রাসেল ভিপি রাসেল, ত্রান ও সমাজ কলান সম্পাদক অধ্যাপক আতিকুর রহমান, শিল্প ও বানিজ্য বিষয়ক সম্পাদক হাজী রফিক, সাংস্কৃতিক সম্পাদক মোস্তাফিজুর বাশার ভাষানী, শিক্ষা ও মানব সম্পাদক সম্পাদক তাসলিমা বেগম, উপ-দফতর সম্পাদক মিজানুর রহমান ডেবিট, সদস্য আলহাজ্ব হাবিবুর রহমান হাবিব, লুৎফুন্নেসা লাকি, ফুলবাড়ীয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এডভোকেট ইমদাদুল হক সেলিম, সাধারণ সম্পাদক হারুন অর রশিদ, গৌরীপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এডভোকেট নিলুফার আনজুম পপি, সাধারণ সম্পাদক সোমনাথ সাহা, ত্রিশাল উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল কালাম, সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব ইকবাল হোসেন, ত্রিশাল পৌরসভার মেয়র এবি এম আনিছুজ্জান আনিছ, ভালুকা পৌরসভার মেয়র ডা মিজবাহ উদ্দীন কাইয়ুম, ইশ্বরগঞ্জ পৌরসভার মেয়র বীরমুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সাত্তার, নান্দাইল উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মাহমুদুল হাসান জুয়েল, ভালুকা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আবুল কালাম, ধোবাউড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক প্রিয়তোষ বিশ্বাস বাবুল, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ডেভিড রানা, জেলা যুব লীগের যুগ্ম আহবায়ক শাহরিয়ার মোহাম্মদ রাহাত খান, আলহাজ্ব রফিকুল ইসলাম পিন্টু, জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক এইচ এম ফারুক প্রমুখ। এছাড়াও বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, মেম্বারসহ ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

  • ময়মনসিংহের ৮ জয়িতাকে ৪ লাখ টাকা পুরস্কার দিলো জেলা প্রশাসন

    ময়মনসিংহের ৮ জয়িতাকে ৪ লাখ টাকা পুরস্কার দিলো জেলা প্রশাসন

    আরিফ রববানী ময়মনসিংহ।।
    সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ শিরোপা জয়ের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের মেয়েরা দক্ষিণ এশিয়ার ফুটবলে সেরা খ্যাতি অর্জন করেছে। এর ফলে ময়মনসিংহ জেলা সদটসহ সীমান্তবর্তী ধোবাউড়া উপজেলার সর্বত্রই আনন্দের বন্যা বইছে। সাফ জয়ী বাংলাদেশ মহিলা ফুটবল দলকে অভিনন্দন জানিয়েছেন ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসক এনামুল হক।একই সাথে এই দলের ময়মনসিংহ জেলার ০৮ জন কৃতি খেলোয়াড়ের সাফল্যে গর্বের বলে প্রশংসা জানিয়ে এই ০৮ জন খেলোয়াড়দের এই কৃতিত্বের স্বীকৃতিস্বরুপ জেলা প্রশাসন, ময়মনসিংহ প্রত্যেককে ৫০,০০০/- পঞ্চাশ হাজার টাকা করে মোট ৪লক্ষ টাকা পুরুস্কার প্রদান করার ঘোষণা দিলে বিকালেই জেলা প্রশাসের পক্ষ থেকে পুরস্কার নিয়ে ধোবাড়রা ও হালুয়াঘাটের প্রত্যন্ত অঞ্চলে ছুটে যায় জেলা প্রশাসনের টিম।

    সেখানে ধোবাউড়া উপজেলার কলসিন্দুুর গ্রামের সাফ শিরোপা জয়ী আট ফুটবল কন্যার পরিবারের মাঝে চার লাখ টাকা পুরস্কার প্রদান করেছেন জেলা প্রশাসন। এ সময় জেলা প্রশাসনের পক্ষ ফুটবলারদের পরিবারকে ফুলেল শুভেচ্ছায় অভিনন্দন জানানো হয়।

    বুধবার (২১ সেপ্টেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে কলসিন্দুর গ্রামে ফুটবলারদের বাড়ী গিয়ে এই পুরস্কারের চেক বিতরণ করেন জেলা প্রশাসনের প্রতিনিধি দল।

    এ সময় উপস্থিত ছিলেন, ময়মনসিংহের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার মো: আনোয়ার হোসেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) পুলক কান্তি চক্রবর্তী, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফৌজিয়া নাজনীন, ওসি টিপু সুলতান প্রমূখ।

    উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফৌজিয়া নাজনীন খবরের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, নারী ফুটবলারদের সাফল্যে সারা দেশ আনন্দিত। তাই জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ওই ফুটবল কন্যাদের প্রত্যেক পরিবারে পঞ্চাশ হাজার করে মোট ৪ লাখ টাকা পুরস্কৃত করা হয়েছে।

    জানা যায়, সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ শিরোপা জয়ের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের মেয়েরা দক্ষিণ এশিয়ার ফুটবলে সেরা খ্যাতি অর্জন করেছে। এর ফলে ময়মনসিংহের সীমান্তবর্তী ধোবাউড়া উপজেলায় আনন্দের বন্যা বইছে।

    কারণ সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের খেলায় আট ফুটবল কণ্যার বাড়ী ধোবাউড়া উপজেলায়। তারা হলেন- সানজিদা আক্তার, মারিয়া মান্ডা, শিউলি আজিম, মারজিয়া আক্তার, শামছুন্নাহার সিনিয়র, তহুরা আক্তার, সাজেদা আক্তার, শামছুন্নাহার জুনিয়র।

    তবে এই নারী ফুটবলারদের মধ্যে নেপালের বিপক্ষে ফাইনাল খেলায় ছয় জন অংশ গ্রহনের সুযোগ পেয়েছিল। তারা হলেন- মার্জিয়া, সাজিদা খাতুন, শিউলি আজিম, মারিয়া মান্ডা, শামসুন্নাহার সিনিয়র ও শামসুন্নাহার জুনিয়র।

    পাশাপাশি ময়মনসিংহ আগমনকালে ময়মনসিংহ জেলা ক্রীড়া সংস্থা ও ময়মনসিংহ ফুটবল এসোসিয়েশন-এর উদ্যোগে তাদের নাগরিক সংবর্ধনা দেয়া হবে।

  • মুন্সীগঞ্জ বিএনপির সাথে পুলিশের সংঘর্ষ পুলিশ,সাংবাদিকসহ  অর্ধশতাধিক আহত

    মুন্সীগঞ্জ বিএনপির সাথে পুলিশের সংঘর্ষ পুলিশ,সাংবাদিকসহ অর্ধশতাধিক আহত

    মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধিঃ

    মুন্সীগঞ্জ বিএনপির সাথে পুলিশের সংঘর্ষ কমপক্ষে ৩০ পুলিশ সদস্য,দুই সাংবাদিক,পথচারি ও বিএনপির নেতাকর্মিসহ কপক্ষে অর্ধশতাধিক আহত হয়েছে। বুধবার বিকালে সদর উপজেলার মুক্তাপুর ফেরিঘাট এলাকায় এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে পুলিশ, সাংবাদিক, পথচারি ও বিএনপির নেতাকর্মিসহ অর্ধশতাধিক আহত হয়েছে বলে জানাগেছে। আহতদের মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালসহ বিভিন্ন স্বাস্থ্য কেন্দ্রে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। এসময় উত্তেজিত বিএনপির নেতা কর্মিরা বৃষ্টির মত ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। কয়েকটি মোটরসাইকেল পুড়িয়ে সড়কে অবরোধ করে রাখে।

    পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শিরা জানান,বিকালে বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশকে কেন্দ্র করে মুক্তারপুর এলাকায় জড়োহতে থাকে বিএপির নেতা কর্মিরা। এসময় পুলিশের সাথে নেতাকমিদের বাকবিকন্ডর এক পর্যায়ে হঠাৎ করে তিন দিক থেকে লাঠিসোটা ও দেশীও অস্ত্র নিয়ে পুলিশের উপর হামলা চালিয়ে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে বিএনপির কর্মিরা । পরে পুলিশ আত্মরক্ষায় পাল্টা টিয়ারসেল ও রাভার বুলেট নিক্ষেপ করলে উভয় পক্ষের মধ্যে সংর্ঘষ বেধে যায়। দীর্ঘ পৌনে একঘন্টা চলা এই সংর্ঘষে কমপক্ষে ৩০ পুলিশ সদস্য, দুই সাংবাদিক ও পথচারিসহ অর্ধশতাধিক বিএনপি নেতাকর্মি আহত হয়। এসময় কয়েকটি মোটরসাইকেল পুড়িয়ে সড়ক অবরোধ করে রাখে বিএনপির নেতাকর্মিরা। এ ঘটনায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মিনহাজুল ইসলাম, সদর থানার তারিকুজ্জামান, এসআই মাইনউদ্দিন, এসআই সুকান্ত, এসআই আমিনুল, এসআই অজিদ, সমকালের সাংবাদিক কাজী দিপু, দিনকালের সাংবাদিক গোলজার হোসেন সহ অর্ধশতাধিক আহত হয়।

    হঠাৎ করে তিন দিক থেকে পুলিশের উপর হামলা চালানো হয়েছে দাবী করে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তারিকুজ্জামান বলেন,বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে হঠাৎ করে পুলিশের উপর হামলা চালায় বিএনপির নেতাকর্মিরা। পরে পুলিশ আত্মরক্ষায় টিয়াসেল ও রাভার বুলেট নিক্ষেপ করে পরিস্তিতি নিয়ন্ত্রন করি। তিনি আরো জানান বিএনপি নেতা কর্মিদের ইটপাটকেলে এ এসপি সদর সার্কেল মিনহাজুল ইসলামসহ কমপক্ষে ৩০ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে।

  • কেশবপুরে সরকারী নির্দেশনা মেনে পূজা মন্ডবে আলোকসজ্জা স্থগিত

    কেশবপুরে সরকারী নির্দেশনা মেনে পূজা মন্ডবে আলোকসজ্জা স্থগিত

    কেশবপুর প্রতিনিধিঃ আগামী ১অক্টোবর থেকে সনাতন ধর্মের সর্ববৃহৎ শারদীয় দূর্গাপূজা শুরু হবে। কেশবপুরে সরকারী নির্দেশনা মেনে বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের লক্ষে পূজা মন্ডবগুলোতে আলোকসজ্জা স্থগিত করা হয়েছে। এছাড়াও বিজয় দশমীর দিনে রাত ৮ টার মধ্যেই বিসর্জন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে। এবার কেশবপুরে ৯২ টি মন্দিরে পূজা অনুষ্ঠিত হবে। বিশৃংখলা রোধে প্রতিটা মন্দির সিসি ক্যামেরার আওতায় আনা হবে।
    কেশবপুর উপজেলা ও পৌর পূজা উদযাপন পরিষদের উদ্যোগে ১৭সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় বালিয়াডাঙ্গা দেবালয় প্রাঙ্গনে হিন্দু ধর্মীয় কল্যান ট্রাস্টের ট্রাস্টি ও উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি শ্যামল সরকার এর সভাপতিত্বে ও উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গৌতম রায়ের স ালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সুকুমার সাহা, কেশবপুর থানা সেকেন্ড অফিসার উপপরিদর্শক লিখন কুমার সরকার, বিভিন্ন ইউনিয়ন পূজা পরিষদের নেতাদের মধ্যে পঙ্কজ রায়, তুষার কান্তি বৈরাগী, সুজিত কুমার কুন্ড, কার্তিক রায়, নন্দ দুলাল বসু, তৃপ্তি রায়, ছয় স্বপন কুমার মুখার্জী, প্রদীপ ব্যানার্জী, প্রদত্ত বিশ্বাস, হরেন্দ্রনাথ সরকার, কার্তিক আঢ্য, সভাপতি লক্ষন সরকার । এসময় উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ কেশবপুর শাখার সহ সভাপতি দুলাল চন্দ্র সাহা, পঙ্কজ দাস, সাংবাদিক তন্ময় মিত্র বাপী প্রমুখ।

    মোঃ জাকির হোসেন
    কেশবপুর,যশোর।।

  • পাইকগাছায় প্রতিপক্ষ দুই ব্যক্তির বিরুদ্ধে ভিন্ন দাগ খতিয়ানের জমি দখলে রেখে হয়রানী করার অভিযোগ

    পাইকগাছায় প্রতিপক্ষ দুই ব্যক্তির বিরুদ্ধে ভিন্ন দাগ খতিয়ানের জমি দখলে রেখে হয়রানী করার অভিযোগ

    পাইকগাছা (খুলনা) প্রতিনিধি।।
    পাইকগাছায় দুই ব্যক্তির বিরুদ্ধে ভিন্ন দাগ খতিয়ানের জমি জোরপূর্বক জবর দখলে রেখেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। নালিশী জমি নিয়ে হয়রানী হচ্ছেন জমি দাতা ও তার শরিকরা। এ নিয়ে দু’পক্ষের মধ্য পাল্টা-পাল্টি অভিযোগ ও মামলা হয়েছে।
    প্রাপ্ত অভিযোগে জানাগেছে, পৌরসভার গোপালপুর গ্রামের মৃত্যু শের আলী গাজীর ছেলে নূর মোহাম্মদ গাজী ও উপজেলার লস্কর গ্রামের মোজাম সরদারের ছেলে সোলাইমান সরদার ২০২০ সালের ৪ নভেম্বর পৌরসভার ১নং ওয়ার্ড গোপালপুর গ্রামের মৃতু আরমান আলী সরদারের ছেলে আব্দুল আজিজ সরদারের নিকট থেকে ২৯৩৮ নং কোবলা দলিল মুলে গোপালপুর মৌজায় এসএ ৩৪৯ খতিয়ানের ১১৮২ দাগে মোট ১.৭০ একর জমির মধ্য থেকে .১৬৫০ একর জমি ক্রয় করেন। যার ডিপি নং ৭৪৭, বর্তমান দাগ ২৫৬৪। এদিকে নূর মোহাম্মদ সোলাইমান গং ক্রয়কৃত দাগ খতিয়ানের সম্পত্তি দখলে না গিয়ে গত ২ থেকে আড়াই মাস আগে তারা সিএস ৩১৯ ও এসএ ৩৮৯ খতিয়ানের ১২০১ দাগে শরিকদের জমি দখল পূর্বক বাড়ী-ঘর নির্মাণ করার চেষ্টা করে। যার ডিপি নং ৪৪৪, বর্তমান দাগ ২১৬১। এ ঘটনায় গোপালপুর গ্রামের জজ আলী সরদারের ছেলে রুহুল আমিন সরদার বাদী হয়ে প্রতিপক্ষদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করে। থানা পুলিশ শালিশী বৈঠক করে যে সিদ্ধাÍ দেয় তা প্রতিপক্ষ না মানায় এবং রুহুল আমিন গংদের ওপর হামলা ও ক্ষতিসাধন করলে রুহুল আমিন বাদী হয়ে ১১/০৮/২০২২ তারিখ প্রতিপক্ষ আনারুল ইসলাম কিনা, নূরুজ্জামান গাজী, নূর মোহাম্মদ গাজী, সোলাইমান সরদার ও ফরিদা বেগমকে আসামী করে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সিআর ৮০৫/২২ নং মামলা করে। মামলায় বিজ্ঞ আদালত তদন্ত করে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য থানার ওসিকে নির্দেশ দেয়। আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই আনজির হোসেন মামলায় আনিত অভিযোগ সঠিক মর্মে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করে। এ মামলায় ১নং আসামী আনারুল ইসলাম কিনা বর্তমানে জেল হাজতে রয়েছে। এদিকে প্রতিপক্ষ নূর মোহাম্মদ বাদী হয়ে আজিজ সরদার ও রুহুল আমিনকে বিবাদী করে ০৭/০৮/২০২২ তারিখে ভিন্ন দাগ-খতিয়ান উল্লেখ করে নির্বাহী আদালতে ১৪৪ ধারা মামলা করে। এরপর রুহুল আমিন বাদী হয়ে একই আদালতে প্রতিপক্ষ নূর মোহাম্মদ ও সোলাইমানকে বিবাদী করে ২৪/০৮/২০২২ তারিখ ৩৪১/২২ নং ১৪৪ ধারা মামলা করে। সর্বশেষ গত শনিবার বিকালে রুহুল আমিন নিজের জমিতে যাওযার সময় প্রতিপক্ষদের বাড়ীর সামনে গেলে প্রতিপক্ষরা তাকে মারপিট করা সহ বিভিন্ন ধরণের হুমকি দেয়। এ ঘটনায় রুহুল আমিন বাদী হয়ে প্রতিপক্ষ নূর মোহাম্মদ, ফরিদা বেগম, রহিমা বেগম ও আব্দুল্লাহকে বিবাদী করে থানায় জিডি করে। যার নং- ৮৯০, তাং ১৭/০৯/২০২২ ইং। এ ব্যাপারে জমিদাতা আব্দুল আজিজ সরদার জানান, আমি নির্দিষ্ট যে দাগ খতিয়ানে জমি রেজিস্ট্রী করে দিয়েছি সেখানে দখলে না গিয়ে প্রতিপক্ষ নূর মোহাম্মদ, সোলাইমান ভিন্ন দাগ খতিয়ানের জমি জোরপূর্বক দখলে রাখার চেষ্টা অব্যাহত রাখার পাশাপাশি মিথ্যা মামলা ও অভিযোগ দিয়ে আমাদের হয়রানী করে আসছে। রুহুল আমিন সরদার জানান, আমাদর দাবী প্রতিপক্ষরা আমাদের শরিকদের সম্পত্তি ছেড়ে দিয়ে তাদের ক্রয়কৃত দাগ খতিয়ানের জমি ভোগ-দখল করুক। প্রতিপক্ষ নূর মোহাম্মদ জানান, জমিদাতা আব্দুল আজিজ এক স্থান দেখিয়ে অন্য দাগ খতিয়ানের জমি রেজিস্ট্রি করে দিয়েছে। নালিশী জমির শাÍিপূর্ণ সমাধান চেয়েছেন ভুক্তভোগী আজিজ রুহুল আমিন গংরা।

    ইমদাদুল হক,
    পাইকগাছা,খুলনা।

  • নড়াইলে কাঠের সেতুটি ভেঙে যাওয়ার পাঁচ কিলোমিটার ঘুরে শহরের যেতে হয়

    নড়াইলে কাঠের সেতুটি ভেঙে যাওয়ার পাঁচ কিলোমিটার ঘুরে শহরের যেতে হয়

    উজ্জ্বল রায়, নড়াইল জেলা প্রতিনিধি:

    নড়াইলে ব্রিজটা ভেঙে যাওয়ার পাঁচ কিলোমিটার ঘুরে শহরের যেতে হয়। নড়াইলের লোহাগড়া পৌরসভার কাঠের সেতুটি ভেঙেপড়ে আছে প্রায় তিন মাস ধরে। নির্মাণের জন্যও নেই কোনো উদ্যোগ। অবহেলার চরন এক সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে নবগঙ্গা নদীর ওপর নির্মিত এই সেতুটি। আমাদের নড়াইল জেলা প্রতিনিধি উজ্জ্বল রায়, জানান, নির্মাণের এক যুগেও সেতুটির জন্য নির্মাণ হয়নি সংযোগ সড়ক। তাই এতদিন হেঁটেই সেই পথ পার করে আসছিল পৌর বাসিন্দারা। সর্বশেষ ভেঙে পড়ার পর জন প্রতিনিধিদের খামখেয়ালিপনায় পৌরবাসীর এক যুগের আক্ষেপ হয়ে গেল দ্বিগুণ। পাঁচ কিলোমিটার ঘুরে গন্তব্যস্থলে যেতে হচ্ছে যাত্রী সাধারণসহ স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী ও অফিসগামী এবং হাট-বাজারের যাতায়াতকারীদের অর্থনৈতিক ক্ষতি ছাড়াও তাদের ব্যয় হচ্ছে অতিরিক্ত সময়।
    নবগঙ্গা নদীর উত্তরে চোরখালী, জয়পুর আর ছাতড়া গ্রাম নিয়ে গঠিত ১ নং ওয়ার্ড। নদীর দক্ষিণে কচুবাড়ীয়া, রামপুর, শিংগা আর মশাঘুনি নিয়ে গঠিত পৌরসভার ৮ নং ওয়ার্ড। পৌরসভার পশ্চিম এলাকার জনগণের যাতায়াত নিরবচ্ছিন্ন করার লক্ষ্যে ২০০৮ সালে উত্তরের ঢোরখালী আর দক্ষিণের কচুবাড়ীয়া গ্রামের সোজাসুজি একটি কাঠের সেতু নির্মাণ করে লোহাগড়া পৌর কর্তৃপক্ষ। তাতে করে পৌরবাসীর স্বল্প দূরত্বে পৌরকার্যালয়, উপজেলা সদর ও জেলা শহরে যাতায়াত নিশ্চিত হয়।
    ইতোমধ্যে ক্ষমতার পালাবদল হলেও সেতুটি নির্মাণের এক যুগ পরেও নির্মাণ করা হয়নি সংযোগ সড়ক। হেঁটেই নদীর এপার-ওপার যাতায়াত করে আসছিল সাধারণ মানুষ। কিন্তু চলতি বছরের জুনের শেষ দিকে বালুব্যবসায়ীরা ড্রেজার পশ্চিম থেকে পূর্ব দিকে আনার ব্যবস্থা করতে গিয়ে অতিপ্রয়োজনীয় সেতুটি মাঝ বরাবর ভেঙে ফেলে রাতের অন্ধকারে। তারপর থেকেই চরম দুর্ভোগে পড়ে যায় সেতু ব্যবহারকারীরা।
    এক যুগেও নির্মাণ হয়নি সংযোগ সড়ক এক মিনিটের পথ এখন লাগছে এক ঘন্টা পৌরবাসীর আক্ষেপ, তাদের এই দুর্ভোগ দেখার কেউ নেই। ক্ষতিগ্রস্ত সেতুটি দেখতেও আসেনি পৌর কর্তৃপক্ষ, এমন ভাষা তাদের।
    কচুবাড়িয়া গ্রামের শ্যাম সুন্দর পাল বলেন, ব্রিজটা ভেঙে যাওয়ার পাঁচ কিলোমিটার ঘুরে শহরের যেতে হয়। এতে আর্থিকভাবে যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি তেমনি সময়ও নষ্ট হচ্ছে। ব্রিজটা দ্রুত মোরামত করে দিলেসময় বাঁচবে এবং আর্থিক ক্ষতি থেকেও রক্ষা পাব।
    ধোপাদাহ গ্রামের জাহিদুল হক বিডি২৪লাইভকে বলেন, আমাদের ছেলেমেয়ে ওপারে মাদ্রাসায় পড়ে। তারা এখন ঠিকমতো যেতে পারছে না। এ ছাড়া নড়াইল সদর হাসপাতালে ও কোর্টে ঠিকমতো যেতে পারছি না। এক মিনিটের পথ এখন ঘুরে যেতে সময় লাগছেএক ঘণ্টা। তারপর আবার সময়মতো এখানথেকে গাড়ি পাওয়া যায় না। ব্রিজটা আমাদের খুবই জরুরি।
    লোহাগড়া পৌরসভার ১ নং ওয়ার্ড এর কাউন্সিলর বিশ্বনাথ দাস ভুন্ডুল বিডি২৪লাইভকে বলেন, নবগঙ্গা নদীর উপর নির্মিত কাঠের সেতুটি প্রায় ৩ মাস আগে ড্রেজারের ধাক্কায় ভেঙে গেছে জনগনের পারাপারে সমেস্যা হচ্ছে। তিনি আরো বলেন আমি ও পৌর মেয়র সেতুটি পরির্দশন করেছি, এ সেতুটি মেরামতের জন্য চেষ্টা করা হচ্ছে।
    এলাকাবাসীর দাবি, জেলার ‘সি’ শ্রেণির এই পৌরসভার চার ভাগের একভাগ মানুষের সহজ যাতায়াতের জন্য সেতুটি যেন মেরামত করে ব্যবহার উপযোগী করা হয় এবং তার মাধ্যমে শিশুদের স্কুলে যাতায়াত ও সাধারণের অফিস-আদালত, হাটবাজারসহ মূল সড়কে সংক্ষিপ্ত যাতায়াতের ব্যবস্থা করে দিয়ে মূল সড়কে সংযুক্ত করে দেওয়া হয়।
    এই বিষয়ে লোহাগড়া পৌরসভার বর্তমান মেয়র ও লোহাগড়া উপজেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মসিয়ুর রহমান বিডি২৪লাইভ কে বলেন, সেতুটি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার কথা তিনি জেনেছেন। তবে ক্ষতিপূরণ বা ড্রেজার কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কোনো কথা বলতে পারেন নি তিনি।
    তিনি আরো বলেন, এই মুহূর্তে সেতু মেরামতের কথা ভাবছি না, সংসদ সদস্যের সঙ্গে কথা বলে স্থায়ী কংক্রিটের ব্রিজের নির্মাণের কথা ভাবছি। এ সময় সাধারণ মানুষকে নৌকার ব্যবস্থা করতে পরামর্শ দেন তিনি।

    উজ্জ্বল রায়, নড়াইল জেলা প্রতিনিধি।

  • সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে  মাতৃভাষার বিকৃতি

    সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে মাতৃভাষার বিকৃতি

    লেখক – মোঃ হায়দার আলীঃ মাদকের কারণে যুবসমাজ ধ্বাংশের পথে নিয়ে লিখার জন্য ডায়রি, কলম তথ্য, কম্পিউটার নিয়ে বসলাম এমন সময় আমার এক সুপরিচিত একটি কামিল মাদ্রসার আরবি বিভাগের অধ্যাপক মাওলানা মোঃ দুরুল হোদা ফোন করে বললেন স্যার আমাদের বাংলা ভাষার বারোটা বাজাচ্ছে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ব্যবহারকারীরা, ভাষা শহীদদের গুরুত্ব কতটা তারা কী ভাষা শহীদদের কথা ভুলে গেছেন, এব্যপারে কিছু লিখুন স্যার। এর পর বাসার জরুরী প্রয়োজনীয় কিছু কেনার জন্য বাজারে গেলাম,b বাজারে বিভন্ন পুন্যের লাগামহীন মূল্য বৃদ্ধিতে ক্রেতা সাধারণ দেশেহারা, কোন প্রকারে সংক্ষিপ্ত কেনাকাটা করে বাজার থেকে বাড়ী ফেরার পথে আমার কয়েকজন শিক্ষার্থীর সাথে দেখা, সালাম বিনিময় হলো তারাও ফেসবুকে ভাষা বিকৃতির ব্যপারে লেখার জন্য অনুরোধ করলো, তাই বাড়ীতে এসে লিখার থিম পরিবর্তন করে ফেসবুকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষার বিকৃতি সম্পর্কে মহান আল্লাহর নাম নিয়ে লিখা শুরু করলাম যা পাঠকদের উদ্দেশ্যে তুলে ধরার চেষ্টা মাত্র।

    কিছুদিন আগে দেশে বিদেশে আমরা আন্তজাতিক মাতৃভাষা দিবস গর্বের সাথে পালন করি, আমরা কোটি কোটি বাংলাদেশী মানুষ বাংলা ভাষাকে নিয়ে নিঃসন্ধেহে গর্বববোধ করি । এইগর্বের অংশীদারও আছে। বলছি ভারতে যারা বাংলা ভাষায় কথা বলে। এপার বাংলা ওপার বাংলা বলে একটি কথা আছে। কিন্তু কিছু ক্ষেত্রে এপার ওপার থাকেনা। তার অন্যতম একটি উদাহরন হচ্ছে ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস এবং একুশে ফেব্রুয়ারি পালন।

    ইংরেজী সনে ১৯৫২ সালের পূর্বে কত একুশ ফেব্রুয়ারি নীরবে চলে গেছে। কিন্তু এই নীরবতা ভেঙ্গে দিয়ে ১৯৫২ সালে রচিত হলো এক কালজয়ী ইতিহাস। সেই সব দামাল ছেলেদের যৌক্তিক প্রানত্যাগে আজ আমরা পেয়েছি একটি গৌরবের ইতিহাস।

    বর্তমান পৃথিবীতে মানুষের সংখ্যা ৭৫০ কোটির উপরে । এই ৭৫০ কোটি মানুষের মধ্যে বাংলা ভাষায় কথা বলে এমন মানুষের সংখ্যা ৩০ কোটির উপরে। সংখ্যার বিচারে যদি কম মনে হয় তবে এই ৩০ কোটি মানুষের মুখের ভাষার যে ঐতিহাসিক গর্ব রয়েছে নিঃসন্ধেহে তা অন্যদের পিছনে ফেলে দেবে। আমরা বর্তমানে এমন অবস্থানে রয়েছি যে, ভাষা আন্দোলনের নীতিগত বিচারে সবাই অপরাধী। তবে এই অপরাধ শুধু মূল্যবোধের।

    মোদের গরব মোদের আশা/আ মরি বাংলা ভাষা! তোমার কোলে তোমার বোলে /কতই শান্তি ভালবাসা! কি যাদু বাংলা গানে! গান গেয়ে দাঁড় মাঝি টানে/গেয়ে গান নাচে বাউল/ গান গেয়ে ধান কাটে চাষা। অতুল প্রসাদ সেন, তিনি ভাষা আন্দোলন দেখে যেতে পারেন নি। তিনি যদি কোনো ভাবে ভাষা আন্দোলনের কথা জানতে পারেন তবে নিশ্চই গর্ববোধ করবেন। ভাষার প্রতি কি রকমের ভালোবাসা থাকলে এই রকম একটি কবিতা লিখা সম্ভব!

    আমরা এতো আধুনিক হয়েছি যে, বাংলা ইংরেজী একত্রে ভর্তা বানিয়ে কথা বলতে পারলে তৃপ্তি পাই এবং নিজেক আধুনিক মনে করি। বাংলা-ইংরেজি মিশিয়ে স্টাইল করে জগাখিচুড়ি মার্কা কথা বলতে পারলে নিজেকে ধন্য মনে হয়। এতে শুধু ভাষার সৌন্দর্যই নষ্ট হয় না, বরং ভাষাকে অসম্মান করা হয়। কিছু আধুনিক বাংলা নাটকে দেখা যায় কিভাবে ভাষার বিকৃতি করে নতুন স্টাইলের প্রচার করা হচ্ছে। অনেকেই এই বিষয়টি উপস্থাপন করতে বলেন বাংলিশ ভাষা। এই বাংলিশ ভাষার প্রভাব দর্শকের উপর বিরাজমান।ভাষার বিকৃতি ব্যাপারে কোনো যৌক্তিক সিদ্ধান্তে পৌঁছা উচিত।

    আগামী পঞ্চাশ বছর পর বাংলা ভাষার কি অবস্থা হবে? এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজে বের করা উচিত।
    বর্তমানে ভাষার যে অবস্থা যদি, রফিক শফিক জব্বার সালাম বরকত সহ যারা শহীদ হয়েছেন তারা যদি জানতে পারেন তাহলে অবশ্যই আফসোস করবেন। প্রযুক্তিগত অবদানে ভাষা এবং গানের সীমারেখা পাল্টে গেছে। হিন্দি-ইংরেজী-বাংলা গান সব এখন সবার মুখে মুখে।

    আমার চোখে বর্তমান সময়ের অন্যতম সমস্যা হচ্ছে – একটানা বাংলা ভাষায় কথা বলতে না পারা। যদি বলা হয় – আপনি পাঁচ মিনিট বাংলা ভাষায় কথা বলুন, শর্ত একটি ইংরেজী শব্দ ব্যবহার করা যাবেনা। আপনি কতটুকু পারবেন? একটু কঠিন মনে হবে না’কি অনেক কঠিন মনে হবে। আমার কাছে তা অনেক কঠিন। তবে যদি গরুর রচনা বলি তবে তা অন্য কথা।

    বর্তমান আধুনিক সভ্যতায় আমরা স্বাধীনভাবে
    ভাষাজ্ঞান অর্জন করবো। বাংলা-ইংরেজী-হিন্দি- তুর্কি-স্প্যানিশ কোনো সমস্যা নেই। আমরা গান গাইবো গান শুনবো কোনো সমস্যা নেই।

    কিন্তু একটি কথা সর্বদা মাথায় রাখা উচিত কোনো ভাবে যেন আমরা আমাদের ইতিহাসকে অসম্মান না করি। আমাদের কৃতকার্য যেন কোনো ভাবেই অমর্যাদাবান না হয়। ইদানীং নতুন এক বাংলা ভাষার খোঁজ মিলেছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের বদৌলতে। সেই ভাষা সম্পর্কে আসছি একটু পরে। তারুণ্য মানেই মনের মাঝে বইবে একরাশ উচ্ছাস-উদ্দীপনা। তাদের স্বভাবসুলভ আচরণে থাকবে নতুন কোনো সৃষ্টির নেশা। গঠনমূলক কোনো কাজের বাসনা নেই যে তরুণের মনে তাকে এক প্রকার মানসিক প্রতিবন্ধী বললে খুব বেশি অত্যুক্তি হবে না। তারুণ্য মানেই সমাজের প্রাণ। সৃজনশীল কাজের জন্য তারাই একদিন দেশের জন্য বয়ে আনে সম্মান।
    এই তরুণরাই যদি আবার তাদের মেধা ভিন্ন খাতে প্রয়োগ করেন তা যেমন হয় নিজের জন্য আত্মঘাতী তেমনি সমাজ, দেশ ও জাতির জন্য হবে মহাব্যাধি।

    আজকের তারুণ্য আগামী দিনের রাষ্ট্রনায়ক। এই ভাবী রাষ্ট্র নায়কদের ফেসবুক স্ট্যাটাসে প্রতিনিয়ত যদি ভাষার বিকৃতি ঘটে তাহলে সমাজ সংসারের জন্য তা হবে মহামারী। উচ্চতর ডিগ্রি অর্জনকারী বা দেশসেরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অধ্যয়ন করা তরুণ সমাজ আজকাল আনাড়ি ফেসবুক ব্যবহারকারী বা মূর্খ-অর্ধ শিক্ষিতদের ব্যঙ্গ করতে গিয়ে এখন তারা নিজেরাই উপহাসের পাত্রে পরিণত হতে চলেছে। তারা বেশ আনন্দ চিত্তে মজা করেই লিখে থাকে ফডু, খিচ্চা, মঞ্চায়, গিবনে, হপে, খোচায়, খিচাইছে এমন সব উদ্ভট শব্দ স্ট্যাটাস-কমেন্টে থাকে প্রায় নিয়মিত, যা ভবিষ্যৎ প্রজন্ম ধরেই নেবে এটাও ভাষা বাংলা।

    আজকের উচ্ছাসিত তারুণ্য বুঝতেই পারছে না যে, এটা কতটা ভয়াবহ কুৎসিত রূপ ধারণ করবে। বড়দের হাতে ক্যামেরা দেখে যদি শিশুরা বলে ওঠে মামা মামা দু-চারটা ফডু খিচ্চা দাও বা চাচ্চু চুইংগাম হপে তখন শুনতে কেমন লাগবে? তাই এখনি প্রয়োজন সবার সচেতনতা। ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের জন্য যারা শহীদ হয়েছেন তারা নিশ্চয়ই এরকম জঘন্যভাবে ভাষার বিকৃতি ঘটুক তা চাননি। পৃথিবীর বুকে একমাত্র বাংলাদেশের মানুষই তার মায়ের ভাষা বাংলার জন্য দিয়েছেন প্রাণ। ঝরিয়ে রক্ত সুতরাং ভাষার ইতিহাস আমাদের ভুলে গেলে চলবে না। আমরা যেখানেই লিখি বা বলি না কেন, অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে ভাষার যেন বিকৃতি না ঘটে।

    বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া শিক্ষার্থী অনেক শিক্ষার্থী বসে চায়ের দোকানে। বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চালু হয়েছে। কিছু শিক্ষার্থী চায়ের দোকানে চলে তাদের আড্ডা। এমন সময় রাইহান তার আরেক বন্ধুকে ডাকলো- ‘কি মাম্মা কই যাও, ভালাচ্ছ তুমি! আইজকাল তো দেহি কোনো খুঁজ টুঁজ নাও না’। এর পাশেই বসা ছিলো বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের একজন সহযোগী অধ্যাপক।
    শিক্ষক কথাগুলো শুনলেন। কাছে ডাকলেন রাইহানসহ সবাইকে। ভাষা আন্দোলনে তাদের মতো বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের অবদানের কথা বললেন। শিক্ষকের ভাষায়,’আজ যেখানে তোমরা মানুষকে বিকৃত ভাষা ব্যবহার থেকে বিরত রাখবে সেখানে তোমরাই এমন ভাষা ব্যবহার করছো! এটা উচিৎ নয়।’
    শুধু রাইহানরা নয়। বর্তমান সময়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের অধিক ব্যবহারের ফলে বাংলা ভাষাকে বিকৃত ভাবে উপস্থাপন করা হচ্ছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, হালের ফ্যাশন হিসেবে ভাষাকে সংক্ষিপ্ত করতে গিয়ে প্রমিত বাংলাকে বিকৃত করা হচ্ছে।

    ভিনদেশি শব্দের একটু একটু আগ্রাসনে ব্যবহারিক ভাষা থেকে প্রতিনিয়ত হারিয়ে যাচ্ছে অনেক বাংলা শব্দ। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বাংলা ভাষায় অদ্ভুত সব শব্দ ঢুকছে। ফেসবুক ও ব্লগে মজার ছলে কথিত নতুন শব্দের ব্যবহারে দূষণ ঘটছে বাংলা ভাষায়।
    ফেসবুকে এমন বিকৃত বাংলা শব্দ আর বাক্যের ব্যবহার হচ্ছে হরহামেশাই। বন্ধুরা হয়েছে ফ্রান্স, খারাপ হয়েছে খ্রাপ, হবের বদলে হপ্পে। আর মন চায়কে লেখা হচ্ছে মুঞ্চায়! রোজ ফেসবুকে লেখা হচ্ছে এমন অদ্ভূতসব শব্দ। মজার ছলে এসব নয়া শব্দের ব্যবহার করা হলেও, একরকম অভ্যাসে পরিনত হয়েছে অনেকেরই। বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মের মাঝে। ফলে ভাষার এমন যাচ্ছেতাই চর্চা দূষণ ঘটাচ্ছে মূল বাংলা ভাষার।

    তরুণেরা এখন যে শব্দ ব্যবহার করছে ব্লগে বা ফেসবুক, টুইটারে তা অনেক সময় মূল শব্দের সংক্ষিপ্ত রূপ। এটা দেখা যায় বিভিন্ন পোস্ট লেখা, ইনবক্সের বার্তা আদান-প্রদান, মন্তব্য করা বা ছবির শিরোনাম দেওয়ার সময় এবং অবশ্যই ইংরেজি বর্ণ ব্যবহারের ক্ষেত্রে। এখানে কয়েকটি উদাহরণ দেওয়া যাক। মূল শব্দ Love কে Luv, Come কে Cum, Take care কে TC, Why কে Y, Thanks কে Tnx, You কে U, O my god কে OMG ইত্যাদি লেখা হয়। এটি শুধু বাংলাদেশি তরুণেরা করে তা নয়, বিশ্বব্যাপী সব দেশের তরুণদের মধ্যে এই প্রবণতা রয়েছে।
    এ তো গেলো ইংরেজি ভাষা ব্যবহার। বাংলার কী অবস্থা? বাংলাদেশের সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলোয় এখন বাংলা ভাষার একচ্ছত্র আধিপত্য। এদিক থেকে তরুণ প্রজন্ম সাধুবাদ পাওয়ার যোগ্য। এছাড়া ভার্চুয়াল জগত্ থেকে যেন ‘ছ’ নামের বর্ণটি হারাতে বসেছে। বলছে হচ্ছে ‘বলসে’, খাইতেছেকে—খাইতাসে, আইছেকে আইসে, যাইতেছে—যাইতাসে। এরপর রয়েছে শব্দের সংক্ষিপ্তকরণ করতে গিয়ে বিকৃতি। ‘মন চায়’ লেখা হয় ‘মুঞ্চায়’, আমারে কে লেখা হয় ‘আম্রে’। এছাড়া পোস্ট করা বা লেখাকে পোস্টানো, ব্লগ লেখাকে ব্লগানো, প্লাসকে পিলাস ইত্যাদি তো আছেই। আর ব্লগে বাংলাভাষায় গালিগালাজের বন্যা বয়ে যায় যেটা আসলে খুবই হতাশাজনক।

    ভাষা বিকৃতির সর্বোচ্চ পর্যায়ে রয়েছে ফেসবুক। এখানে ভাষার বিকৃতি ছাড়াও রয়েছে নানা শব্দের অপপ্রয়োগ। ফেসবুকের বাংলা লেখা থেকে যেন চন্দ্রবিন্দু উঠেই যাচ্ছে। বাংলাদেশে সোস্যাল মিডিয়ায় আরেক ধরনের ভাষা ব্যবহার করা হয়। এটি হচ্ছে ইংরেজি বর্ণে বাংলা লেখা। যেটা নতুন প্রজন্মের কাছে ‘বাংলিশ’ নামে পরিচিত। এর মাধ্যমে বাংলা ভাষাকে বিকৃত ও হাস্যকর করা হচ্ছে।
    কেন এসব শব্দের ব্যবহার? সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বিশেষজ্ঞ একজন অধ্যাপক বলছেন, অঞ্চলভিত্তিক বিভিন্ন গোষ্ঠীর মধ্যে বাংলা ভাষার আলাদা বৈশিষ্ট্য ও নিজস্বতা থাকার কারণে সামাজিক মাধ্যমে মানুষ যে যার মতো বাংলা ভাষাকে উপস্থাপন করে।

    তরুণদের নিয়ে কাজ করা সংগঠকদের মতে, কথিত ফ্যাশন হিসেবে বানানগুলো বিকৃত না করে সচেতনভাবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বাংলা ভাষার ব্যবহার সম্ভব।
    তারা বলছেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বাংলার মর্যাদা রক্ষায় যেমন তরুণদের সচেতন থাকতে হবে, তেমনি তাদের সচেতন করতে উদ্যোগ নিতে হবে প্রতিষ্ঠানগুলোকেও।

    বিশ্লেষকরা বলছেন- ভাষার মর্যাদার প্রতি ঔদাসিন্য আর ভিনদেশী শব্দের একটু-একটু আগ্রাসনে, মুখ থেকে ক্রমেই হারিয়ে যাচ্ছে আপন বর্ণমালা। যা এরইমধ্যে এদেশের মানুষের ভাষা ও সংস্কৃতিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। তবে ভাষা-সংস্কৃতির রক্ষার দায়িত্বে যারা আছেন, তাদের যুক্তি হলো, ভাষায় আরোপিত উপাদানগুলো দিনশেষে ঝরে পড়বে। বিশ্লেষকরা বলছেন, শহীদদের ঋণ শোধ করতে বাংলা ভাষার মর্যাদা রক্ষার কোনো বিকল্প নেই। তাই এ বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে হবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে।

    সর্বস্তরে বাংলা ভাষার ব্যবহার না হওয়ায় হতাশ ভাষাসংগ্রামীরাও। বাংলা একাডেমীর মহাপরিচালক শামসুজ্জামান খান বলেছেন, প্রতিটি ক্ষেত্রে বাংলা ভাষার ব্যবহার বাড়াতে সরকারের নীতিমালা প্রয়োজন।
    বিশ্বে প্রতিটি মানুষেরই মাতৃভাষার প্রতি বিশেষ প্রীতি আছে। তবে ভাষার মর্যাদা রক্ষায় জীবন দিয়েছে বাঙালিরাই।
    ৫২’র ভাষা আন্দোলনই স্বাধীনতা আন্দোলনসহ এর আগ পর্যন্ত বাঙালির সকল আন্দোলনে প্রেরণা জুগিয়েছে। তবে যে বাংলা ভাষার মর্যাদা প্রতিষ্ঠায় বাঙালি রক্ত দিয়েছে, স্বাধীনতা-উত্তর বাংলাদেশের সবক্ষেত্রে সে ভাষার ব্যবহার এখনো নিশ্চিত করা যায়নি।
    উচ্চ মাধ্যমিক পর্যন্ত বাংলার ব্যবহার থাকলেও বিশ্ববিদ্যালয়, ডাক্তারি বা ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষার সর্বোচ্চ স্তরগুলোতে বাংলা ভাষার ব্যবহার একেবারেই কম। বেশিরভাগ বই ইংরেজিতে হওয়ায় বাধ্য হয়ে শিক্ষার্থীরাও ইংরেজিতে উচ্চশিক্ষা নিচ্ছেন। উচ্চশিক্ষাসহ জীবনের সকল স্তরে বাংলা ভাষার প্রচলন না হলে জাতির সুশিক্ষায় শিক্ষিত হওয়া বাধাগ্রস্থ হবে বলে মনে করেন ভাষাসংগ্রামীরা।
    তারুণ্যের উদ্দীপনায় সোস্যাল মিডিয়ায় যে নতুন সমাজের জন্ম হয়েছে সেটিকে দেশ ও দেশের মানুষের কল্যাণে ব্যবহার করতে হবে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম যেন নিজের ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতি, রক্তের বিনিময়ে অর্জিত ভাষা, সামাজিক শৃঙ্খলা এবং দেশের বৃহত্তর কল্যাণকে বিকৃত বা ক্ষতিগ্রস্ত না করতে পারে লক্ষ রাখতে হবে সেদিকে। আধুনিক সভ্যতার পথ ধরে আমরা যত দূর চলে যাইনা কেন, আমাদের ঐতিহাসিক তৃপ্তি যেন বুকে লালন করি।
    মনে রাখা উচিত-
    আমাদের আছে গর্বের ইতিহাস
    আমরা বাংলাভাষী।
    আর একটি কথা
    আমার সোনার বাংলা
    আমি তোমায় ভালবাসি।

    লেখক : মোঃ হায়দার আলী
    গোদাগাড়ী, রাজশাহী।