Category: জাতীয়

  • দেশীয় প্রজাতির মাছের উৎপাদন বৃদ্ধি করতে হবে-আমির হোসেন আমু – এমপি

    দেশীয় প্রজাতির মাছের উৎপাদন বৃদ্ধি করতে হবে-আমির হোসেন আমু – এমপি

    ঝালকাঠি জেলা প্রতিনিধিঃ মোঃ নাঈম মল্লিক

    দেশীয় প্রজাতির মাছের উৎপাদন বৃদ্ধি করতে হবে। অতি প্রয়োজন ছাড়া গ্রামের পুকুরগুলো ভরাট করা যাবে না। তাতে দেশীয় মাছ চাষ করে মাছের উৎপাদন বাড়িয়ে বিদেশে রপ্তানি করে আরও বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করতে হবে। বর্তমান সরকার সেই লক্ষে কাজ করে যাচ্ছে। ইতিমধ্যে আমরা ইলিশসহ কয়েক প্রজাতির মাছ রপ্তানি করে আসছি। জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ উপলক্ষে ঝালকাঠির নলছিটিতে উপজেলা মৎস্য দপ্তরের আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন শিল্প মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি আমির হোসেন আমু(এমপি)।
    বুধবার(২৬জুলাই) উপজেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে সকাল ১১টায় আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা(ইউএনও) জান্নাত আরা নাহিদ। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট খান সাইফুল্লাহ পনির,জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সরদার মোহাম্মদ শাহ আলম,ঝালকাঠি সদর উপজেলা চেয়ারম্যান খান আরিফুর রহমান,নলছিটি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. সিদ্দিকুর রহমান,পৌর মেয়র আ.ওয়াহেদ খান,উপজেলা সহকারি কমিশনার(ভুমি) সমাপ্তি রায় প্রমুখ।
    প্রধান অতিথি আরও বলেন, একসময় দেশে জনসংখ্যা ছিল ৭কোটি তারপরও দেশে খাদ্যঘাটতি ছিল । বর্তমানে তার দ্বিগুনেরও বেশি জনসংখ্যা তারপরও দেশ আজ খাদ্যে স্বয়ংসম্পুর্ন। আমরা ইলিশ মাছ উৎপাদন ও রপ্তানিতে বিশ্বে প্রথম, আমাদের মাছের বিদেশে প্রচুর চাহিদাও রয়েছে। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকায় দেশে আজ এই আমূল পরিবর্তন হয়েছে। তাই আগামীতে আপনারা আবারও নৌকায় ভোট দিয়ে দেশের এই উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখবেন।
    ফটো ক্যাপশনঃ জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ-২০২৩ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখছেন সাংসদ আমির হোসেন আমু(এমপি)।

  • মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় রাজাকারমুক্ত সংসদ চাই লিখেছেন সুখেন্দু শেখর

    মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় রাজাকারমুক্ত সংসদ চাই লিখেছেন সুখেন্দু শেখর

    অধ্যক্ষ সুখেন্দু শেখর বৈদ্য যিনি বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সিনিয়র সদস্য,জাতীয় কার্যনির্বাহী সংসদের তিনি আজ তার একান্ত নিজস্ব সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক পেজে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় ব্যাক্ত করে রাজাকার মুক্ত ও তাদের বংশধর মুক্ত বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী দাবী করে একটি স্ট্যাটাস দেন। যা হুবহু নিম্নে উপস্থাপন করা হলো-

    “মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় রাজাকারমুক্ত সংসদ চাই”

    রাজাকার কিংবা রাজাকারের সন্তানেরাও যেন সংসদে যেতে না পারে সেজন্য সকলকে সতর্ক থাকতে হবে । বিগতদিনে এমপি হয়েও তাদের চরিত্রের বৈশিষ্ট পরিবর্তন ঘটাতে ব্যর্থ হয়েছে। স্বার্থ হাসিল করাই ছিল ওদের একমাত্র উদ্দেশ্য ।

    এক কথায় বলা যায় যে “জীবের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য নিয়ন্ত্রনকারী ক্ষুদ্রতম এককই জিন । জিন তথ্য অনুযায়ী রাজাকারের সন্তানও তার বাবা- মায়ের বৈশিষ্ট বহন করে । ঠিক তেমনি একজন মুক্তিযাদ্ধার সন্তান তার বাবা-মায়ের বৈশিষ্ট নিয়ে অসাম্প্রদায়ি, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশ ও সমাজ পরিচালনা করবে এটাই স্বাভাবিক । ৭১ এ রাজাকের মূল লক্ষ্যবস্তু ছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সহ দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ধংস করে জাতির কন্ঠরোধ করা।শিক্ষার মানোন্নয়নে সাংসদদের নৈতিকতা উন্নত করা বাঞ্ছনীয়।শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যেন টাকা ইনকামের মূল লক্ষবস্তু না হয় ।

    ‘বিএনপি যতই বাগাড়ম্বর করুক না কেন, তারা নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে। সমাজের একটি অংশ তাদের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে। যুক্ত রয়েছে সুশীল সমাজের একটি অংশ। তারা যে নির্বাচনে ভোট পাবে না, তা নয়। মূলত তারা হিরো আলম মার্কা নেগেটিভ ভোটের একটি অংশ পাবে।’

    মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তিকে নির্বাচিত করে আগামী সংসদকে রাজাকার মুক্ত করতে হবে ‘মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশ ও নির্বাচন ২০২৪’ ভাবনা থেকে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আগামী সংসদ হতে হবে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের।

    লিখেছেন-
    অধ্যক্ষ সুখেন্দু শেখর বৈদ্য
    সিনিয়র সদস্য
    বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ
    জাতীয় কার্যনির্বাহী সংসদ।

  • মাগুরায় তারুণ্যের জয়যাত্রা সমাবেশে অনুষ্ঠিত

    মাগুরায় তারুণ্যের জয়যাত্রা সমাবেশে অনুষ্ঠিত

    রক্সী খান মাগুরা প্রতিনিধি – মাগুরা জেলা যুবলীগের আয়োজনে তারুণ্যের জয়যাত্রা সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

    আজ সোমবার দুপুরে জেলা শহরের সেগুন বাগিচায় তারুণ্যের জয়যাত্রা সমাবেশে জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক ফজরুল রহমান এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাগুরা-১ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট সাইফুজ্জামান শিখর। প্রধান বক্তা ছিলেন যুবলীগের কেন্দ্রীয় শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট ড. শামীম আল সাইফুল সোহাগ। সমাবেশে বিশেষ অতিথি ছিলেন মাগুরা-২ আসনের সংসদ সদস্যে এ্যাড. ড. শ্রী বীরেন শিকদার, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আ ফ ম আব্দুল ফাত্তাহ, সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পঙ্ক কুণ্ড, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আবু নাসের বাবলুসহ জেলা আওয়ামী লীগের অঙ্গ-সংগঠনের নেতাকর্মীরাও এ সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন।

    প্রধান অতিথির বক্তব্যে মাগুরা-১ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট সাইফুজ্জামান শিখর বলেন, খুলনায় তারুন্যের সমাবেশে যাবেন কোন বাধা নেই, কিন্তু সেখানে গিয়ে যদি বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেন, যদি দেশ বিরোধী , আইন বিরোধী কোন কর্মকাণ্ড করেন তাহলে মাগুরায় আসলে এর পরিনাম হবে ভয়াবহ ।

    রক্সী খান , মাগুরা।

  • বিনা পরোয়ানায় গ্রেফতারের আইনের আপিল শুনানীর অনুমতি দেয়া হয়েছে-এ্যাটর্নী জেনারেল

    বিনা পরোয়ানায় গ্রেফতারের আইনের আপিল শুনানীর অনুমতি দেয়া হয়েছে-এ্যাটর্নী জেনারেল

    স্টাফ রিপোর্টার, গোপালগঞ্জ : বাংলাদেশের এ্যাটর্নী জেনারেল ও বার কাউন্সিলের চেয়ারম্যান আবু মোহাম্মদ আমিন উদ্দিন বলেছেন, বিনা পরোয়ানায় গ্রেফতারের যে আইনটি আছে সে অনুয়ায়ী একটি গাইড লাইন ঠিক করে দেয়া হয়েছিল। কিন্তু গাইড লাইনগুলো আইনে না থাকায় আপিল করা হয়েছিল। এখন আপিল শুনানীর অনুমতি দেয়া হয়েছে, আপিল শুনানী হবে। কয়েকটি গাইন লাইনের উপর আমাদের আপত্তি ছিল, এখন তারা এ বিষয়ে লিভ দিয়েছেন।

    আজ শনিবার (১৫ জুলাই) দুপুরে গোপালগঞ্জ টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি এসব কথা বলেন।

    মামলা জট নিয়ে এ্যাটর্নী জেনারেল আরো বলেন, আদালতে এখন মামলা জট অনেক কমে এসেছে। অনেক মামলার শুনানী হচ্ছে, বিশেষ করে বিচারিক আদালতে মামলা দায়ের থেকে নিস্পত্তি বেশি হচ্ছে। হাইকোর্টে ২০২২ সালে ৩০টিরও বেশি ফাঁসির মামলার শুনানী হয়েছে। যেটি এর আগে কখনো হয়নি। এখন মামলা নিস্পত্তির হার বেশি হওয়া মামলা জটও কমে এসেছে।

    তিনি আরো বলেন, বার কাউন্সিলের নির্বাচনের পর নির্বাচিত সদস্যরা জাতির পিতার সমাধি জিয়ারতের উদ্দেশ্যে আমরা সবাই এসেছি। আমরা যথনই সুযোগ পাই তখনই এখানে আসি শ্রদ্ধা জানানোর জন্য, বাঙ্গালী হিসাবে কৃতজ্ঞতা জানানোর জন্য।

    এর আগে দুপুরে টুঙ্গিপাড়ায় পৌঁছে বঙ্গবন্ধুর সমাধি সৌধ বেদিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান এ্যাটর্নী জেনারেল ও বার কাউন্সিলের চেয়ারম্যান আবু মোহাম্মদ আমিন উদ্দিন। পরে বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের শহীদ সদস্যদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে ফাতেহা পাঠ ও বিশেষ মোনাজাতে অংশ নেন।

    এসময় বার কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান সৈয়দ রেজাউর রহমান, নির্বাহী কমিটির চেয়ারম্যান মো: মোখলেসুর রহমান বাদল, লিগ্যাল অ্যাডুকেশন কমিটির চেয়ারম্যান আব্দুল বাতেনসহ বার কাউন্সিলের বিভিন্ন কমিটির চেয়ারম্যান, নির্বাচিত সদস্যগণসহ আইনজীবীরা উপস্থিত ছিলেন। #

  • মানুষের ভাগ্য পরিবর্তেন লক্ষ্যে আমরা কাজ করি-প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

    মানুষের ভাগ্য পরিবর্তেন লক্ষ্যে আমরা কাজ করি-প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

    স্টাফ রিপোর্টার, গোপালগঞ্জ : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, গত সাড়ে ১৪ বছরে দেশ বদলে গেছে। সব জায়গায় উন্নতি হয়েছে। মানুষের ভাগ্য পরিবর্তেন লক্ষ্যে আমরা কাজ করি। আমার লক্ষ্য দেশবাসীর ভাগ্য পরিবর্তন করা। গত সাড়ে ১৪ বছরে বাংলাদেশে গ্রাম আর গ্রাম নেই; সব জায়গায় উন্নয়নের ছোঁয়া লেগেছে যা বিশ্বে স্বীকৃত। বাংলাদেশ এখন রোল মডেল। আজ বাংলাদেশকে একটা জায়গায় নিয়ে এসেছি।

    আজ রোববার (০২ জুলাই) গোলাপগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় উপজেলা আওয়ামী লীগ কায্যালয়ে স্থানীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি একথা বলেন।

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার সরকার ‘মাই হাউস, মাই ফার্ম’, কমিউনিটি ক্লিনিক, ডিজিটাল বাংলাদেশ, ‘মাই ভিলেজ, মাই টাউন’ বাস্তবায়ন এবং শতভাগ বিদ্যুৎ দিয়ে দেশের ব্যাপক উন্নয়ন করেছে।

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার পিতা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে দেশের স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছে। বঙ্গবন্ধু দেশবাসীর মুখে হাসি ফোটাতে চেয়েছিলেন যার জন্য তিনি দ্বিতীয় বিপ্লবের কর্মসূচি ঘোষণা করেছিলেন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতাকে তার পরিবারের বেশিরভাগ সদস্যসহ হত্যা এবং একই বছরের ৩ নভেম্বর ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের ভেতরে জাতীয় চার নেতাকে হত্যার ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, দেশের অগ্রগতি থামিয়ে দেয়ার জন্যই এই হত্যাকান্ড চালানো হয়। বঙ্গবন্ধুকে এমন সময়ে হত্যা করা হয়েছিল যখন দেশ অর্থনৈতিক মুক্তির দিকে এগিয়ে যাচ্ছিল।

    টুঙ্গিপাড়া-কোটালীপাড়া আসনের সংসদ সদস্য শেখ হাসিনা তার নির্বাচনী এলাকার জনগণকে কৃতিত্ব দিয়ে বলেন, তারা তার দায়িত্ব কাঁধে নিয়েছেন। বাংলাদেশের সার্বিক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে তাকে আরও সময় দিতে হয়েছে। সাধারণত, অন্যান্য নির্বাচনী এলাকার সংসদ সদস্যরা শুধুমাত্র তাদের নিজ নিজ নির্বাচনী এলাকার দেখাশোনা করেন। আমাকে ৩০০টি নির্বাচনী এলাকায় উন্নয়নের জন্য কাজ করতে হয়। কোটালীপাড়া ও টুঙ্গিপাড়ার বাসিন্দারা তার নির্বাচনী এলাকার দায়িত্ব নেয়ায় আমি তা করতে পেরেছি।’

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশবাসীর ভাগ্য পরিবর্তনে ছয় বছরের নির্বাসন থেকে দেশে ফেরার পর তিনি দেশের বিভিন্ন স্থানে ঘুরেন।

    তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের এমন কোনো অঞ্চল নেই যেখানে আমি যাইনি। আমি নৌকা, সাম্পান, লঞ্চ ও রিকশা-ভ্যানে চড়ে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে গিয়েছি। আমি এমনভাবে দেশ ভ্রমণ করেছি এবং সারা দেশে ঘুরে বেড়ানোর অভিজ্ঞতা ব্যবহার করে বাংলাদেশকে এমন একটি মর্যাদাপূর্ণ অবস্থানে নিয়ে এসেছি।’

    মতবিনিময়কালে প্রধানমন্ত্রী টুঙ্গিপাড়ার উন্নয়ন নিয়ে স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মী ও জনপ্রতিনিধিদের অভিজ্ঞতা শুনতে চান।

    এসময় শেখ হাসিনা বার্ধক্যজনিত কারণে অবসরে যাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করলে স্থানীয় নেতাকর্মীরা তাকে দেশ ও জনগণের কল্যাণে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে থাকার অনুরোধ জানান। তারা শেখ হাসিনাকে পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখার আকাক্সক্ষা ব্যক্ত করেন। শেখ হাসিনাই দেশের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হবেন এ লক্ষ্যে কাজ করার এবং আগামী সাধারণ নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে সাহায্য করার দৃঢ়অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন।

    মতবিনিময় সভায় অন্যান্যদের মধ্যে সংসদ সদস্য শেখ হেলাল উদ্দিন ও শেখ সালাউদ্দিন জুয়েল, টুঙ্গিপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল খায়ের উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক মোঃ বাবুল শেখ।

    এর আগে প্রধানমন্ত্রী দুই দিনের কোটালীপাড়া ও টুঙ্গিপাড়া সফরের অংশ হিসেবে তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে গাড়িতে করে তিন ঘন্টায় পদ্মা সেতু পার হয়ে গতকাল (১ জুলাই) সকাল ১১টা ২৭ মিনিটের দিকে কোটালীপাড়ায় পৌঁছান। প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি বিষয়ক উপদেষ্টা ও একমাত্র ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় তার সঙ্গে রয়েছেন।

    টুঙ্গিপাড়ায় প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে স্থানীয় জনগণের মধ্যে বাড়তি বিপুল উদ্দীপনা ও উৎসবের আমেজ যোগ করেছে। প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানাতে পুরো গোপালগঞ্জকে রঙিন পোস্টার, ব্যানার ও প্ল্যাকার্ডে সাজানো হয়েছে।

    প্রধানমন্ত্রী গতকাল কোটালীপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয় প্রাঙ্গনে নিম, বকুল এবং আমের চারা রোপণ করেন। এছাড়াও নবনির্মিত কোটালীপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয় উদ্বোধন করেন তিনি। আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা পরে কোটালীপাড়া উপজেলার স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মী, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও কোটালীপাড়া উপজেলার জনসাধারণের সঙ্গে পবিত্র ঈদুল আজহার শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

    অনুষ্ঠান শেষে প্রধানমন্ত্রী শনিবার বিকেলে টুঙ্গিপাড়ায় গিয়ে ফুল দিয়ে বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন এবং ফাতেহা পাঠ করেন। তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে মোনাজাতে যোগ দেন। শনিবার রাত টুঙ্গিপাড়ায় কাটান প্রধানমন্ত্রী। আজ (২ জুলাই) বিকেলে তার টুঙ্গিপাড়া থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হওয়ার কথা রয়েছে।

    তার সফরকে কেন্দ্র করে গোটা গোপালগঞ্জ উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে। বর্ণিল পোস্টার, ব্যানার ও প্ল্যাকার্ডে সেজেছে পুরো এলাকা এবং জেলাজুড়ে বিরাজ করছে আনন্দঘন পরিবেশ। #

  • নেতাকর্মীদের সাথে দুপুরে খাবার খেলেন প্রধানমন্ত্রী

    নেতাকর্মীদের সাথে দুপুরে খাবার খেলেন প্রধানমন্ত্রী

    স্টাফ রিপোর্টার, গোপালগঞ্জ : খাবারের মেনুতে রয়েছে পোলাও, সাদা ভাত, খাসির মাংস, ডাল, সবজি ও সেমাই। দুপুরের খাবারে একে একে পোলাও বাদে সবই খেলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

    তাও আবার তিনি নিজে একা নন। নিজ নির্বাচনী এলাকার স্থানীয় নেতাকর্মী ও কেন্দ্রীয় নেতাদের সাথে নিয়ে একসঙ্গে দুপুরের খাবার খান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

    দুই দিনের সফরে আজ শনিবার (০১ জুলাই) নিজ নির্বাচনী এলাকা গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া ও টুঙ্গিপাড়ায় এসেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সফরের প্রথম দিন কোটালীপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ কায্যালয় উদ্বোধন করে বৃক্ষ রোপন করেন। পরে স্থানীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন প্রধানমন্ত্রী। এ সময় ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় সঙ্গে ছিলেন।

    কোটালীপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে উপজেলা ভবনের সামনে মধ্যাহ্নভোজের আয়োজন করা হয়। সেখানে কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে দুপুরের খাবার খেতে বসেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার সামনে নিয়ে আসা হয় পোলাও, সাদা ভাত, খাসির মাংস, ডাল, সবজি ও সেমাই। পোলাও বাদে একে একে সব খাবার খান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এসময় ৫হাজার নেতাকর্মীও দুপুরের খাবার খান।

    মধ্যাহ্নভোজের আগে নেতাকর্মীদের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময়কালে প্রধানমন্ত্রী শেক হাসিনা বলেছেন, ‘সরকার দেশের ব্যাপক উন্নয়ন করেছে, তবু কিছু মানুষ সরকারের উন্নয়ন দেখে না।’ তাদেরকে চোখ থাকতে অন্ধ আখ্যায়িত করে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘তাদের প্রতি করুণা ছাড়া আর কিছু করার নেই।’
    শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি দেশের মানুষের ভাগ্যের উন্নয়ন করবই। যারা চায়নি দেশের উন্নয়ন হোক এটা তাদের প্রতি আমার চ্যালেঞ্জ। নিজের ভাগ্যের উন্নয়নের জন্য নয়, জনগণের ভাগ্যের উন্নয়নের জন্য তিনি ক্ষমতায় এসেছেন। আর সেটা তিনি বাস্তবায়ন করে দেখাবেন।’

    এর আগে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নিজ নির্বাচনী এলাকা কোটালীপাড়ায় পৌঁছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরে মধ্যাহ্নভোজের বিরতি শেষেকোটালীপাড়া থেকে টুঙ্গিপাড়ার উদ্দেশে রওনা হন প্রধানমন্ত্রী। টুঙ্গিপাড়ায় পৌঁছে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা জানিয়ে দোয়া ও মোনাজান করে। পরে তিনি নিজ বাস ভবনে রাত্রী যাপন করেন।

    নেত্রী শাবানা খান জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাবার সাথে দুপুরে খাবার খেয়েছে এটা আমাদের কাছে চরম পাওয়া। মায়ের মত তিনি সকলকে নিয়ে খাবার খেয়েছে। এতে আমরা গর্বিত। আমার চাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বার বার এসে আমাদের সাথে খাবার খাবেন।

    কোটালীপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক আয়নাল হোসেন শেখ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মধ্যাহ্নভোজের জন্য পোলাও, সাদা ভাত, খাসির মাংস, ডাল, সবজি ও সেমাই করা হয়েছে। তিনি পোলাও ছাড়া বাকী সকল খাবার খেয়েছেন।

    তিনি আরো বলেন, এর আগে কোন রাষ্ট্র নায়ক এভাবে নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে খেয়েছেন কি না আমাদের জানা নেই। কোটালীপাড়ার মানুষ অত্যান্ত ধন্য হয়েছে। তিনি আমাদের ঈদের শুভেচ্ছা দিয়েছেন। আমরা নেত্রী জন্য দোয়া করি। তিনি দীর্ঘায়ু হন ও আগামী নির্বাচনে জয় লাভ করে আবারো প্রধানমন্ত্রী হন। #

  • “নিজের ভাগ্য গড়তে আসিনি”- কোটালীপাড়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

    “নিজের ভাগ্য গড়তে আসিনি”- কোটালীপাড়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

    স্টাফ রিপোর্টার, গোপালগঞ্জ : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, নিজের ভাগ্য গড়তে আসিনি। নিশ্চিয় বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্য গড়তে এসেছি। তারপরও যে অপবাদ দিয়েছে, তার প্রতিবাদ করে নিজেদের টাকায় পদ্মা সেতু করতে পেরেছি। এটাই হলো সবচেয়ে বড় কথা। সেই শক্তিটা কিন্তু আপনারা যুগিয়েছেন।

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আরো বলেছেন, যারা চাইনি আওয়ামী লীগ কোন দিন ক্ষমতায় আসুক, এদেশের মানুষ আবার পেট ভরে ভাত খাক, মানুষের মাথা গোঁজার ঠাঁই হোক। রোগে চিকিৎসা পাক, শিক্ষা পাক, তাদের প্রতি আমাদের চ্যালেঞ্জ। এই দেশ আমার বাবা স্বাধীন করেছেন। আমার বাবা যে লক্ষ্য নিয়ে দেশ স্বাধীন করেছেন, সেটা আমি করবো। শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা, মানুষের আর্থসামাজিক উন্নয়ন করা, অবকাঠামোগত উন্নয়ন করা এটাইতো আমাদের লক্ষ্য। সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ছিলো পদ্মা সেতু। মিথ্যা অপবাদ দিতে চেয়েছিলো। নিজের ভাগ্য তো গড়তে আসিনি। নিশ্চিয় বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্য গড়তে এসেছি। তারপরও যে অপবাদ দিয়েছে, তার প্রতিবাদ করে নিজেদের টাকায় পদ্মা সেতু করতে পেরেছি। এটাই হলো সবচেয়ে বড় কথা। সেই শক্তিটা কিন্তু আপনারা যুগিয়েছেন।

    গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ভবেন্দ্র নাথ বিশ্বাসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত নেতাকর্মীদের সাথে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় ও আলোচনাসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন।

    শেখ হাসিনা আরো বলেন, বাংলাদেশের ভাবমূর্তি আজকে সারা বিশ্বে উজ্জ্বল করতে পেরেছি। যারা বাংলাদেশের কোন ভালই দেখে না চোখে। যারা দেখে না চোখে, চোখ থাকতে যারা অন্ধ তাদের বিরুদ্ধে কিছু বলার নাই। তারা দেখে না, কিন্তু ভোগ করে। আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ করেছি, আজকে সবার হাতে মোবাইল ফোন, অনলাইন। সবাই সারা দিন কথা বলে। এতোগুলো টেলিভিশন দিয়ে দিয়েছি। সারাদিন কথাবার্তা বলে তারপর যদি বলে কিছুই বলতে পারি না, এ কথা বলার অধিকার নেই। সবই বলেই তারপরেও বলে কথা বলার অধিকার নাই। এদের ব্যাপারে করুণা করা ছাড়া আর কিছুই নাই। আমরা তাদের করুণাই করি।

    তিনি বলেন, বাংলাদেশের ভাবমূর্তি আজকে সারা বিশ্বে উজ্জ্বল করতে পেরেছি। যারা বাংলাদেশের কোন ভালই দেখে না চোখে। যারা দেখে না চোখে, চোখ থাকতে যারা অন্ধ তাদের বিরুদ্ধে কিছু বলার নাই। তারা দেখে না,কিন্তু ভোগ করে। আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ করেছি, আজকে সবার হাতে মোবাইল ফোন, অনলাইন। সবাই সারা দিন কথা বলে।এতোগুলো টেলিভিশন দিয়ে দিয়েছি। সারাদিন কথাবার্তা বলে তারপর যদি বলে কিছুই বলতে পারি না, কথা বলার অধিকার নাই। সব বলেই বলে কথা বলার অধিকার নাই। এদের ব্যাপারে করুণা করা ছাড়া আর কিছুই নাই। আমরা তাদের করুণাই করি।

    ফসল ফলানো নিয়ে শেখ হাসনা বলেন, আমাদের ফসল আমাদেরই ফলাতে হবে। আমাদের খাদ্য চাহিদা আমরা পূরণ করবো। আর যা উদ্বৃত্ত থাকে তা বরং অন্যদের দিতে পারবো। সেটাই আমরা করবো। খাদ্য সংরক্ষণের আমরা ব্যবস্থা করছি। আমরা প্রত্যেক এলাকায় এলাকায় খাদ্য সংরক্ষণের ব্যবস্থা নিবো। যা যা সহযোগিতা করার আমরা করবো।

    দারিদ্র মুক্ত বাংলাদেশ নিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, আমার বাবা দেশটা স্বাধীন করে গেছেন। তাঁর স্বপ্ন পূরণ করে ক্ষুধা দারিদ্রমুক্ত বাংলাদেশ গড়া আমার লক্ষ্য। আজকে হতদরিদ্র মাত্র ৫ ভাগ, সেটাও যেন না থাকে, তার জন্য আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি। একজনও হতদরিদ্র বলে কেউ থাকবে না। প্রত্যেকেরই একটি ঘর, জমি আর জীবন জীবিকার ব্যবস্থা ইনশাল্লাহ আমরা করতে পারবো।

    স্বাস্থ্য সেবা ও শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, কমিউনিটি ক্লিণিক থেকে ওষুধ দিচ্ছি। শিক্ষার ব্যবস্থা করেছি। স্কুলগুলোকে আমরা নতুন ভাবে তৈরী করে দিচ্ছি। পড়াশোনার সুযোগ করে দিচ্ছি, বৃত্তি দিচ্ছি। প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে আমরা বৃত্তি দিবো। বয়স্কভাতা, বিধবাভাতা, প্রতিবন্ধি ভাতা, দুঃস্থ মুক্তিযোদ্ধা ভাতা, বিভিন্ন সামাজিক কায্যক্রমের মাধ্যমে আমরা মানুষকে সহযোগিতা করে যাচ্ছি।

    কোটালীপাড়াবাসীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আজকে আপনারাই আমার সব দায়িত্ব নিয়েছেন।আমার নির্বাচন আমার সব কিছুই আপনারা দেখেন। আমার টুঙ্গিপাড়া কোটালীপাড়ার মানুষ গুলোই তো আমার সবচেয়ে বড় শক্তি। যারা আমাদের হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রীষ্টান সম্প্রদায় যার যার ধর্মীয়ভাবে আপনারা সৃষ্টির কর্তার কাছে কামনা করবেন এই বাংলাদেশ লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে বাংলাদেশ। এই বাংলাদেশের সারা বিশ্বে মাথা উঁচু করে আমরা চলবো। বাংলাদেশের মানুষ ময্যাদা নিয়ে চলবে। সেটাই আমরা চাই।

    এসময় আওয়ামী লীগ সভাপতিকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়ে পদ্মা সেতু নির্মাণের পর গত এক বছরে তারা যে সুবিধা পেয়েছেন তা প্রধানমন্ত্রীকে জানিয়ে স্বপ্নের এই সেতু নির্মাণে সাহসী ভূমিকার জন্য অভিনন্দন জানান। এসময় কোটালীপাড়ার নেতাবৃন্দ বলেন, এলাকার জনগণ আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়নের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখতে নৌকায় ভোট দিতে মুখিয়ে আছে। নির্বাচন বিরোধী সব অপতৎপরত নস্যাৎ করতেও তারা প্রস্তুত বলেও জানান কোটালিপাড়াবাসী।

    এর আগে নেতাকর্মীদের সাথে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় ও আলোচনাসভায় অংশ নিতে দুই দিনের সফরে শনিবার বেলা সাড়ে ১১ টায় সড়ক পথে ঢাকা থেকে পদ্মা সেতু হয়ে গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া এসে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী। কোটালীপাড়ায় পৌঁছানোর পর নেতা-কর্মীরা প্রধানমন্ত্রীকে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান ও বিভিন্ন শ্লোগান দেন। প্রধানমন্ত্রী এ সময় হাত নেড়ে নেতা-কর্মীদের শুভেচ্ছা জানান।

    কোটালীপাড়া পৌঁছে উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে স্থানীয় সিনিয়র নেতাকর্মীদের সাথে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। পরে সেখানে আয়োজতি মত বিনিময় সভায় অংশ নেন প্রধানমন্ত্রী। পরে সভার শুরুতে দলীয় প্রধানের নির্দেশে কোটালিপাড়ার ১২টি ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ নেতা, সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা বক্তব্য রাখেন। পরে উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে নতুন ভবনের ফলক উম্নোচন করেন। এছাড়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দলীয় কার্যালয় ভবনের সামনে একটি আম, একটি নিম ও একটি বকুল গাছের চারা রোপণ করেন।

    পরে প্রধানমন্ত্রী কোটালীপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীদের সাথে মত বিনিময় সভায় অংশ নেন। সভা শেষে সেখানে নেতা-কর্মীদের সাথে মধ্যাহ্নভোজে অংশ নেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

    এসময় আওয়ামী লীগের তথ্য বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়, উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য কাজী আকরাম উদ্দিন আহম্মদ, প্রেসিডিয়াম মেম্বার শাজাহান খান, এমপি, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক আফম বাহাউদ্দিন নাছিম, এমপি, সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল, শেখ হেলাল উদ্দিন, এমপি, শেখ সালাহউদ্দিন জুয়েল, এমপি, প্রধানমন্ত্রীর নির্বাচনি এলাকার উন্নয়ন প্রতিনিধি শহীদ উল্লা খন্দকার, কোটালীপাড়া উপজেলা চেয়ারম্যান বিমল কৃষ্ণ বিশ্বাস, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক আয়নাল হোসেন শেখ, আওয়ামী লীগ নেতা এস এম হুমায়ূন কবীর, মুজিবুর রহমান হাওলাদার, কোটালীপাড়া পৌরসভার মেয়র ,মতিয়ার রহমান হাজরা, কামাল হোসেন শেখ, জেলা পরিষদ সদস্য কামরুল ইসলাম বাদল প্রমূখ।

    কোটালীপাড়ার কর্মসূচী শেষ করে দুপুরে টুঙ্গিপাড়ার উদ্দেশ্যে রওনা দেন প্রধানমন্ত্রী। পরে টুঙ্গিপাড়া পৌঁছে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধি সৌধ বেদিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরে দোয়া মোনাজাতে অংশ নেন। এরপর তিনি নিজ বাসভবনে অবস্থান নেন ও রাত্রী যাপন করেন।

    রোববার (০২ জুলাই) টুঙ্গিপাড়ায় জেলা ও উপজেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের সাথে বিনিময় করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরে ঢাকা উদ্দেশ্যে রওনা দিকেন প্রধানমন্ত্রী।

    ঘরের মেয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আগমনকে কেন্দ্র করে নেতাকর্মীদের মধ্যে বইছে আনন্দের বন্যা। এক নজর দেখার জন্য অধীর অপেক্ষায় ছিলেন তারা। প্রধানমন্ত্রীর এ সফর নেতাকর্মীদের মাঝে ঈদের আনন্দকে আরো বাড়িয়ে দিয়েছে দ্বিগুন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আগমনকে কেন্দ্র করে করা হয়েছে শোভাবর্ধন। সড়কের মোড়ে মোড়ে টাঙ্গানো হয়েছে নানা ধরনের ব্যানার, ফেষ্টুন ও বিলবোর্ড। শুভেচ্ছা জানিয়ে নির্মাণ করা হয়েছে তোরন। নেয়া হয় কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা। #

  • গণমুখী বাজেট পাশ হওয়ায় গোপালগঞ্জে আওয়ামী লীগের আনন্দ মিছিল

    গণমুখী বাজেট পাশ হওয়ায় গোপালগঞ্জে আওয়ামী লীগের আনন্দ মিছিল

    স্টাফ রিপোর্টার, গোপালগঞ্জ : জাতীয় সংসদে গণমুখী বাজেট পাশ হওয়ায় প্রধানমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা জানিয়ে গোপালগেঞ্জে আনন্দ মিছিল হয়েছে। জেলা আওয়ামী লীগ ও অংগসংগঠন এ কর্মসূচীর আয়োজন করে।

    আজ মঙ্গলবার (২৭ জুন) দুপুরে জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয় থেকে একটি আনন্দ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি জেলা শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে স্থানীয় চৌরঙ্গী মোড়ে গিয়ে শেষ হয়।

    পরে সেখানে অনুষ্ঠিত সমাবেশে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক জি এম সাহাবুদ্দিন আজম, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক সুব্রত ঠাকুর, শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম কবির, সাধারন সম্পাদক আলিমুজ্জামান বিটু, যুবলীগ নেতা জাহেদ মাহামুদ বাপ্পি বক্তব্য রাখেন।

    এ কর্মসূচীতে জেলা আওয়ামী লীগ ও অংগসংগঠনের নেতাকর্মীরা অংশ নেন।

  • নীলফামারী জেলা  আওয়ামী লীগের বর্ধিত  সভায়- তথ্য মন্ত্রী

    নীলফামারী জেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায়- তথ্য মন্ত্রী

    মোঃ হামিদার রহমান নীলফামারী প্রতিনিধিঃ নীলফামারীতে ১১ জুন রোজ রোববার বিকেল ৩ ঘটিকার সময় জেলা শিল্পকলা একাডেমি নীলফামারী, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ নীলফামারী জেলা শাাখার আয়োজনে বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হয়।
    উক্ত আনুষ্ঠানিক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ড. হাছান মাহমুদ তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ও যুগ্ম- সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কমিটি , প্রধান বক্তা সুজিত রায় নন্দী, সাংগঠনিক সম্পাদক, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কমিটি, উদ্বোধক- আসাদুজ্জামান নুর, সংসদ সদস্য নীলফামারী- ২ , বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এ্যাড. হোসনে আরা লুৎফা ডালিয়া, সাবেক -সংসদ সদস্য ও কার্যনির্বাহী সদস্য বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কমিটি, এ্যাড. সফুরা বেগম রুমি, সাবেক, সংসদ সদস্য ও কার্যনির্বাহী সদস্য- বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কমিটি, বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব আফতাব উদ্দিন সরকার এমপি নীলফামারী- ১ ও সভাপতি -বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ডিমলা উপজেলা শাখা, সভাপতিত্ব করেন দেওয়ান কামাল আহমেদ, সভাপতি- বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ নীলফামারী জেলা শাখা ও মেয়র- নীলফামারী পৌরসভা, সঞ্চালনায়ঃ এ্যাড. মমতাজুল হক, সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ নীলফামারী জেলা শাখা ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নীলফামারী, বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক গোলাম মোস্তফা, সাবেক এমপি নীলফামারী -৩ ও সভাপতি- বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ জলঢাকা উপজেলা শাখা এবং আবু সাঈদ শামীম, সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ জলঢাকা উপজেলা শাখা এবং জেলার সকল উপজেলার আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী সহ ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

  • ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ডাঃ এনামুর রহমান প্রতিমন্ত্রীকে অভিনন্দন

    ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ডাঃ এনামুর রহমান প্রতিমন্ত্রীকে অভিনন্দন

    হেলাল শেখঃ গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের মাননীয় প্রতিমন্ত্রী, ঢাকা-১৯ আসনের এমপি এবং একই এলাকায় আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকা মার্কার প্রার্থী আলহাজ্ব ডাঃ এনামুর রহমানকে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি নির্বাচিত করায় আশুরিয়ার ইয়ারপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সংগ্রামী সভাপতি মজিবুর রহমান শাহেদ ও সংগ্রামী সাধারণ সম্পাদক মোল্লা মোশারফ হোসেন মুসা’সহ দলীয় নেতৃবৃন্দ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানিয়ে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। সেই সাথে সাভার ও আশুলিয়ায় দলীয় নেতা কর্মীসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ উক্ত প্রতিমন্ত্রী ও নবনির্বাচিত ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ডাঃ এনামুর রহমানকে অভিনন্দন জানাচ্ছেন।
    ঢাকার আশুলিয়ার ইয়ারপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সংগ্রামী সভাপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শের সৈনিক মজিবুর রহমান শাহেদ বলেন, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের মাননীয় প্রতিমন্ত্রী ঢাকা-১৯ আসনের এমপি এবং আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকা মার্কার প্রার্থী আলহাজ্ব ডাঃ এনামার রহমান সাহেবকে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সম্মানিত সিনিয়র সহ-সভাপতি নির্বাচিত করায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সম্মানিত সভাপতি জননেত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ এবং প্রাণঢালা অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা। সেই সাথে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও আওয়ামী সহযোগী সংগঠনসহ সবাইকে অভিনন্দন। তিনি আরো বলেন, সবার প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি যে, সকল হিংসা বিবাদ ভুলে গিয়ে জাতি-ধর্ম-বর্ণনির্বিশেষে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকা মার্কার বিজয় নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবেন, আল্লাহ চাইলে আবারও নৌকা মার্কা বিপুল ভোটে বিজয়ী হবে ইনশাআল্লাহ।