Category: জাতীয়

  • ডিএমপির আর্থিক অনুদান পেলেন ২ শত ১৭ পুলিশ সদস্য

    ডিএমপির আর্থিক অনুদান পেলেন ২ শত ১৭ পুলিশ সদস্য

    স্টাফ রিপোর্টার:- নিরেন দাস

    ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কল্যাণ তহবিল থেকে কর্তব্যরত অবস্থায় আহত ও অসুস্থ পুলিশ সদস্যের চিকিৎসা এবং নিহত পুলিশ সদস্যের পরিবারের জন্য আর্থিক অনুদান প্রদান করা হয় । এ সময় ২১৭ জন পুলিশ সদস্যের অনুকূলে ৭২ লাখ ৭০ হাজার টাকার আর্থিক অনুদান তুলে দেওয়া হয়।

    সোমবার (১ এপ্রিল) ডিএমপি হেডকোয়ার্টার্সে আর্থিক অনুদান প্রদান করেন বর্তমানে বাংলাদেশ পুলিশের আইকন ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান হাবিব।

    এ সময় ডিএমপি কমিশনার হাবিব বলেন, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ একটি পরিবার। ‘সকলের তরে সকলে আমরা প্রত্যেকে আমরা পরের তরে’ কবির এ নীতির উপর আস্থা ও বিশ্বাস রেখে আমাদের এই আর্থিক সহায়তা চলমান থাকবে।

    হাবিব তিনি বলেন, ডিএমপির অসুস্থ সদস্যদের প্রতি সহানুভূতি প্রকাশ ও রোগ মুক্তি কামনা করছি। জনগণের জানমালের নিরাপত্তা দিতে গিয়ে যারা আহত হয়েছেন তারা আমাদের সহকর্মী, তাদের সুস্থ করার জন্য সর্বোচ্চ চিকিৎসা দেওয়া হবে। আমাদের পারস্পরিক বন্ধন সম্পর্ক যেন অটুট থাকে, আরও বেশি মজবুত হয় সে প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।

    কমিশনার হাবিবুর রহমান আরও বলেন, বাংলাদেশের সরকারি হাসপাতাল গুলোতে সবচেয়ে ভালো বিশেষজ্ঞ ডাক্তাররা বসেন। এজন্য কারো চিকিৎসার প্রয়োজন হলে ডিএমপির ব্যবস্থাপনায় সেখানে সব ধরনের চিকিৎসার ব্যবস্থা করে দেওয়া হবে। প্রয়োজনে আমি নিজেই কথা বলবো।

    উক্ত উপস্থিত ছিলেন,অনুষ্ঠানে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (অ্যাডমিন) এ কে এম হাফিজ আক্তার, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস্) ড. খ. মহিদ উদ্দিন, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মো. মুনিবুর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (সিটিটিসি) মো. আসাদুজ্জামান, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ, যুগ্ম পুলিশ কমিশনার, উপ-পুলিশ কমিশনার ও বিভিন্ন পদমর্যাদার পুলিশ কর্মকর্তারা।

    নিরেন দাস,জয়পুরহাট

  • স্মৃতিসৌধে বীর শহীদদের স্মরণে শ্রদ্ধা নিবেদন করলেন রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও ভুটানের রাজা

    স্মৃতিসৌধে বীর শহীদদের স্মরণে শ্রদ্ধা নিবেদন করলেন রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও ভুটানের রাজা

    হেলাল শেখঃ বিশ্ব মানচিত্রে বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ৫৩তম বার্ষিকীতে জাতির বীর শহীদদের ফুলেল শ্রদ্ধা জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রাষ্ট্রীয় এই আচারে এবার তাদের সঙ্গী হয়েছেন স্বাধীন বাংলাদেশকে প্রথম স্বীকৃতি দেওয়া দেশ ভুটানের রাজা জিগমে খেসার নামগিয়েল ওয়াংচুক।

    মঙ্গলবার ভোর ৫টা ৫৬ মিনিটে দিনের প্রথম প্রহরে জাতীয় স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী এবং ভুটানের রাজা।

    শহীদ বেদীতে ফুল দেওয়ার পর সেখানে দাঁড়িয়ে কিছু সময় নীরবতা পালন করেন তারা। এসময় বিউগলে বাজানো হয় করুণ সুর। সশস্ত্র বাহিনীর একটি চৌকস দল গার্ড অব অনার দেয়।

    প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শ্রদ্ধা নিবেদনের পর শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগ সভাপতি হিসেবে দলের জ্যেষ্ঠ নেতাদের সঙ্গে নিয়ে জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানান।

    শ্রদ্ধা নিবেদনের পর স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গণ ত্যাগ করার আগে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও ভুটানের রাজা পরিদর্শন বইয়ে স্বাক্ষর করেন৷ ভুটানের রানি জেৎসুন পেমাও উপস্থিত ছিলেন জাতীয় স্মৃতিসৌধে।

    পরে শহীদ বেদিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ও বীরশ্রেষ্ঠ পরিবারের সন্তানরা। আওয়ামী লীগ ও এর বিভিন্ন সহযোগী সংগঠনের নেতারাও শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

    গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গের শ্রদ্ধা জানানো শেষে সবার জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয় স্মৃতিসৌধ। সরকারি-বেসরকারি নানা প্রতিষ্ঠান, রাজনৈতিক সংগঠন, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যানার নিয়ে দলে দলে জনস্রোত প্রবেশ করে স্মৃতিসৌধে।

    ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর বজ্রবাণীর পর বাঙালির মুক্তির আন্দোলনের শ্বাসরোধ করতে ২৫ মার্চ রাতে অপারেশন সার্চলাইটের নামে ঢাকাকে মৃত্যুপুরী বানিয়ে ফেলে পাকিস্তানি বাহিনী।

    রাজারবাগ পুলিশ লাইনস, পিলখানা ইপিআরসহ বিভিন্ন জায়গায় প্রতিরোধ হলেও পাকিস্তানি সেনাদের ভারী অস্ত্রের সামনে তা টিকেনি বেশিক্ষণ। মেশিনগান, কামানের গোলার পাশাপাশি আগুন ধরিয়ে নারকীয় হত্যাযজ্ঞ শুরু হয় শহরজুড়ে।

    পৈশাচিক বর্বরতার মধ্যেই ২৬ মার্চ প্রথম প্রহরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে আটক করে পাকিস্তানি বাহিনী। তার আগেই বাংলাদেশকে ‘স্বাধীন’ ঘোষণা করে দেশবাসীর উদ্দেশে তারবার্তা পাঠিয়ে যান তিনি, স্বাধীনতার ঘোষণা প্রচার হয় ইপিআরের ওয়্যারলেস বার্তায়।

    মরণপণ লড়াই চলে পরের নয়টি মাস। ৩০ লাখ শহীদের রক্ত, অসংখ্য নারীর সম্ভ্রমের বিনিময়ে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর ধরা দেয় বিজয়। বাঙালির আত্মত্যাগ পরিণতি পায় বিশ্ব মানচিত্রে ‘বাংলাদেশ’ নামের এক নতুন রাষ্ট্রের অবয়বে।

  • আলোকসজ্জায় সেজেছে সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধ

    আলোকসজ্জায় সেজেছে সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধ

    হেলাল শেখঃ ২৬শে মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবস। দিবসটি পালনে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধ এরই মধ্যে প্রস্তুত হয়েছে। এ উপলক্ষে স্মৃতিসৌধের আশপাশের পুরো এলাকা বর্ণিল সাজে সাজানো হয়েছে। দিবসটিকে ঘিরে লাল, নীল, সবুজ, হলুদসহ নানা রঙের বাতি শোভা পাচ্ছে স্মৃতিসৌধে।

    প্রতি বছরই স্বাধীনতা দিবস ও বিজয় দিবসে এমন আলোকসজ্জা করে থাকে সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধের দায়িত্বে থাকা গণপূর্ত বিভাগ।

    বিশেষ করে পরিষ্কার ও পরিচ্ছন্নতা এবং সৌন্দর্যবর্ধনের কাজের জন্য কয়েক দিন আগে থেকেই জাতীয় স্মৃতিসৌধে দর্শনার্থীদের প্রবেশাধিকার সংরক্ষিত করা হয়।

    মহামান্য রাষ্ট্রপতি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও ভুটানের রাজার আগমণ উপলক্ষে পুরো স্মৃতিসৌধ এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।

    ঢাকা জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অবস) মো. আবদুল্লাহিল কাফী বলেন, ‘২৬শে মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে জাতীয় স্মৃতিসৌধে কয়েক স্তরে নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

    এইদিন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও মহামান্য রাষ্ট্রপতি এবং ভুটানের রাজা জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন। এই মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে ঢাকা জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।’

    গণপূর্ত বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মিজানুর রহমান বলেন, ‘রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও ভুটানের রাজার আগমন উপলক্ষে পুরোপুরি প্রস্তুত রয়েছে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধ।’

  • মাস্টারদার জন্মদিনে চট্টগ্রাম জেএম সেন হলে শাড়ী ও পন্যের মেলা আগামী প্রজম্মের জন্য ক্ষতিকর

    মাস্টারদার জন্মদিনে চট্টগ্রাম জেএম সেন হলে শাড়ী ও পন্যের মেলা আগামী প্রজম্মের জন্য ক্ষতিকর

    মোঃ শহিদুল ইসলাম
    বিশেষ প্রতিনিধিঃ

    জাতীয়বীর বিপ্লবী মহানায়ক মাস্টারদা সূর্যসেনের ১৩১তম জন্মদিবসে অদ্য ২২ মার্চ শুক্রবার সকাল ১১.০০ ঘটিকায় বিপ্লবী তারকেশ্বর দস্তিদার স্মৃতি পরিষদের উদ্যোগে চট্টগ্রাম নগরীর জেএমসেন হলে মাস্টারদা সূর্যসেনের আবক্ষ মূর্তিতে পুস্পিত শ্রদ্বাঞ্জলি নিবেদন ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

    উক্ত পরিষদের অর্থ সম্পাদক তপন ভট্টাচার্য্যের সঞ্চালনায় সভাপতিত্ব করেন মাস্টার অঞ্জন কান্তি চৌধুরী। আরো বক্তব্য রাখেন, আওয়ামীলীগ নেতা দীপংকর চৌধুরী কাজল, পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ইন্জিনিয়ার সিঞ্চন ভৌমিক। উপস্থিত ছিলেন কাউচার আহমেদ, প্রভাস চক্রবর্তী, শিক্ষার্থী রৌদ্রিতা ভট্টাচার্য্য, আহমেদ রিয়াজ , চিত্ত প্রসাদ দাশগুপ্ত সহ আরও অনেকে।

    অনুষ্ঠানের বক্তারা বলেন আজকের দিনটি বাঁঙালী জাতি সহ এই উপমহাদেশের মানুষের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আজকে থেকে ১৩১ বছর পূর্বে মাস্টারদা সূর্যসেন চট্টগ্রাম জেলার রাউজান উপজেলা নোয়াপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহন করে চট্টগ্রামের মাটিকে ধন্য করেছেন। মাস্টারদা সূর্যসেন আমাদের আন্দোলন সংগ্রামের বাতিঘর। এখনো আমরা অন্যায় অত্যাচার অশুভ শক্তির কবলে পড়লে মাস্টারদা সূর্যসেন আমাদের সাহস যোগায়। বক্তারা সূর্যসেনের জন্মদিবসকে রাষ্ট্রীয় ভাবে পালনের জন্য সরকারের কাছে জোর দাবি জানান। মাস্টারদা সূর্যসেন সহ সকল বিপ্লবীদের স্মৃতি রক্ষা করার জন্য সরকারের কাছে অনুরোধ জানান। পরিশেষে বক্তারা হতাশা প্রকাশ করে বলেন, জাতীয় বীর বিপ্লবী মহানায়ক মাস্টারদা সূর্য সেনের জন্মদিনে, স্বাধীনতা সংগ্রামী মানুষদের তীর্থস্থান জেএমসেন হলে শাড়ী ও পন্যের মেলা আমাদের আগামী প্রজন্মের জন্য ক্ষতিকর।

  • ১৯৭১ সালে স্বাধীনতার পতাকা বুকে নিয়ে কোটি কোটি মানুষ ঐক্য থাকায় স্বাধীনতা অর্জন-বাকিটা ইতিহাস

    ১৯৭১ সালে স্বাধীনতার পতাকা বুকে নিয়ে কোটি কোটি মানুষ ঐক্য থাকায় স্বাধীনতা অর্জন-বাকিটা ইতিহাস

    হেলাল শেখঃ স্বাধীনতা আমরা সকলেই চাই কিন্তু স্বাধীনতা পাওয়া এতো সহজ নয়, আমাদের স্বাধীনতা কলংকিত নয় যদিও মা-বোন কলংকিত হায়, ১৭৭১ সালে স্বাধীনতার পতাকা বুকে নিয়ে কোটি কোটি মানুষ ঐক্য থাকায় যুদ্ধে শক্র পক্ষকে হারিয়ে আজকের স্বাধীনতা অর্জন। এখন ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবস পালন করি বাঙ্গালিরা। স্বাধীনতার পর এখন দেশে নির্বাচন হচ্ছে আর বাংলাদেশের জনগণের ভোটার তালিকাভুক্ত হতে হলে কি কি যোগ্যতা প্রয়োজন হবে? কম্পিউটার বিসিএস প্রিলিমিনারী গাইড-১৫২ পাতার (ক) বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে। (খ) বয়স কমপক্ষে ১৮ বছর হতে হবে। (গ) প্রয়োজন হলে অপ্রকৃতিস্থ নয় বলে আদালত কর্তৃক ঘোষিত হতে হবে। (ঘ) নির্ধারিত কোন নির্বাচনী এলাকার বাসিন্দা হতে হবে।
    সূত্রমতে, বাংলাদেশের প্রথম-প্রধান নির্বাচন কমিশনার ছিলেন, বিচারপতি এম. ইদ্রিস। নির্বাচন কমিশনার এবং মহাহিসাব নিরীক্ষক কর্মাবসানের পর প্রজাতন্ত্রের কর্মে কোন পদে নিযুক্ত হবার যোগ্য হবেন না। নির্বাচন কমিশনার এবং মহাহিসাব নিরীক্ষক কর্মাবসানের পর প্রজাতন্ত্রের কর্মে অন্য কোন পদে নিযুক্ত হবার যোগ্য হবেন না। অবশ্য কেবল নির্বাচন কমিশনারগণ কর্মাবসানের পর প্রধান নির্বাচন কমিশনাররুপে নিয়োগ লাভের যোগ্য হবেন। “জাতীয় সংসদ ও নির্বাচন” জাতীয় সংসদ কি? তা আমাদের জানা দরকার। বাংলাদেশের আইনসভা হল জাতীয় সংসদ, এটি এক কক্ষবিশিষ্ট এবং প্রজাতন্ত্রের সকল প্রকার আইন প্রণয়নের কেন্দ্র। জাতীয় সংসদের মেয়াদ কত বছর তা আমাদের জানা দরকার, মাত্র পাঁচ বছর। রাষ্ট্রপতি সংসদ ভেঙ্গে না দিলে প্রথম বৈঠকের তারিখ হতে পাঁচ বছর অতিক্রান্ত হলে সংসদ আপনা-আপনি ভেঙ্গে যাবে। জাতীয় সংসদের গঠন কিরুপ?: সমগ্র দেশে থেকে নির্বাচিত ৩০০ জন সংসদ সদস্য নিয়ে জাতীয় সংসদ গঠিত হয়। তবে সংবিধানে মেয়াদী ৩০জন মহিলা সংসদ সদস্য রাখার বিধান রাখা হয়েছে। সংরক্ষিত আসন ব্যতীত মহিলা সদস্যগণ অন্যান্য সাধারণ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন। সূত্রমতে, জাতীয় সংসদের মোট সদস্য ৩৩০ জন। তা সংবিধান পরিবর্তন করা হলে এই সংখ্যা বাড়তে পারে। জাতীয় সংসদের সদস্য হওয়ার জন্য কি যোগ্যতার প্রয়োজন? প্রথমত বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে। দ্বিতীয়ত কমপক্ষে ২৫ বছর বয়স হতে হবে।
    বিশেষ করে কখন ও কিভাবে বাংলাদেশের প্রথম গণপরিষদ গঠিত হয় তা সবার জানা দরকার, মহামান্য রাষ্ট্রপতি অস্থায়ী সংবিধান আদেশ জারি করেন ১৯৭২ সালের ১১ জানুয়ারি। এই ঘোষণার পরিপ্রেক্ষিতে ১৯৭২ সালের ২৩ মার্চ রাষ্ট্রপতি গণপরিষদ আদেশ জারি করেন। মোটামুটিভাবে (১৯৭১ সালে ২৬ মার্চ থেকে কার্যকরী বলে গন্য হয়)। এ আদেশ অনুযায়ী ১৯৭০ সালের ৭ ডিসেম্বর থেকে ১৯৭১ সালের ১ মার্চ পর্যন্ত তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান অংশ থেকে নির্বাচিত জাতীয় ও প্রাদেশিক পরিষদের সব সদস্য (৪৬৯জন= ১৬৯ জন=৩০০জন) নিয়ে এই পরিষদ গঠিত হয়। শেষ পর্যন্ত গণপরিষদের সদস্য সংখ্যা ৪০৪ জনে দাঁড়ায়। গণপরিষদের প্রথম অধিবেশন-১০ এপ্রিল ১৯৭২। সেসময় গণপরিষদের প্রথম স্পীকার ছিলেন শাহ আব্দুল হামিদ, দ্বিতীয় স্পীকার মোহাম্মদ উল্লাহ, গণপরিষদের প্রথম ডেপুটি স্পীকার মোঃ রায়তুল্লাহ, গণপরিষদের নেতা ছিলেন শেখ মুজিবুর রহমান। বাংলাদেশের শাসনতন্ত্রে কতজন সদস্য স্বাক্ষর করেন তা জানা প্রয়োজন, ১৪ ডিসেম্বর ৩৫০জন এবং ১৫ ডিসেম্বর ৪৭জন-৩৯৭ জন। ২০২৩ বর্তমান মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা, বর্তমান মহামান্য রাষ্ট্রপতি বীর মুক্তিযুদ্ধা সাহাবুদ্দিন মহোদয়, ডিপুটি স্পীকার এ্যাডঃ শামসুল হক টুকু। এবার আসি বাকি ইতিহাস কি বলে? জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান একজন আদর্শবান মানুষ ছিলেন, বঙ্গবন্ধু’র আদর্শের সৈনিক ও ত্যাগী নেতা হওয়া এতো সহজ নয়। দেশের প্রকৃত ইতিহাস জানতে হলে সবাইকে বেশি বেশি বই পড়তে হবে। বিশেষ করে ১৭ই মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শুভ জন্মদিন এবং ১৫ আগস্ট মৃত্যু বার্ষিকী তা অনেকেই জানেন। বর্তমানে কিছু অনুপ্রবেশকারী, তাদের মুখে নৌকা, অন্তরে ধানের শীষ।
    শক্রমুক্ত হোক দেশ, স্বাধীনতা সে আমার-স্বজন হারিয়ে পাওয়া একমাত্র স্বজন, স্বাধীনতা যুদ্ধে প্রিয় মানুষগুলোর রক্তে কেনা অমূল্য ফসল লাল সবুজের পতাকা। একটি বাংলাদেশ তুমি জাগ্রত জনতা। বাংলাদেশের স্থপ্রতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাম উচ্চারণ ও দেশের জন্য মরতে পারি প্রয়োজনে মহারণ, তবুও শক্রমুক্ত হোক বাংলাদেশ, এই কথাগুলো আমরা ভুলতে পারি না কারণ,যা শেখ মুজিবুর রহমান বলেছিলেন, তা এখন বিশ্বের প্রায় প্রতিটি দেশের মানুষ জানেন, তা এখন ইতিহাস। বিশেষ করে ১৯৭১ সালে স্বাধীনতার পতাকা বুকে নিয়ে মানুষ ঐক্যে সেদিন গোটা দেশ, একটি কথা একটি আশা শক্রমুক্ত হবে বাংলাদেশ। লাখো মায়ের আহাজারি, স্বাধীনতা তোমার লাগি ঝড়ছে পাহাড় পরিমাণ রক্ত, কত অশ্রুবারি হয়েছে বাংলার বুকে। লক্ষ প্রাণের বিনিময়ে গড়লো যারা নতুন দেশ, তারা জাতির শ্রেষ্ঠ বীর সন্তান, তাদের রক্তে আজ এই বাংলাদেশ স্বাধীন। আমরা পেয়েছি লাল সবুজের পতাকা। দেশ ও জাতির স্বার্থে যারা কাজ করেছেন, যারা স্বাধীনতার জন্য হাসি মুখে জীবন দিয়েছেন, তাদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাচ্ছি।
    মুক্তিযুদ্ধে আত্মদানকারী বীর শহীদদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন ও তাদের স্বপ্ন বাস্তবায়নের অঙ্গীকারের মধ্যদিয়ে জাতীয় দিবসগুলো পালন করে আসছেন জাতি। সবাইকে বাংলাদেশের ইতিহাস জানা দরকার। বাংলাদেশের নাম লেখা হতো না, লাল সবুজের পতাকা উঁড়তো না, যদি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে এই দেশ স্বাধীন না হইতো। ইতিহাস পড়ুন, দেশ ও জাতির জনকের সম্পর্কে সবকিছু জানুন, শেখ মুজিবুর রহমানের কেমন নীতি ছিলো, কেমন আদর্শবান মানুষ ছিলেন তিনি। কোথায় প্রথম বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করা হয়েছে? ইতিহাস বলে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলায় এক ছাত্র সভায়, ২মার্চ ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করা হয়। বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের মহান নায়ক হিসেবে বলা হয় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী ছিলেন তাজউদ্দিন আহমেদ।
    বিশেষ করে ২৪তম বিসিএস ২০০৩ সালের ১২২ পাতায় কম্পিউটার বিসিএস প্রিলিমিনারী গাইডের সুত্র: বাংলাদেশের মোট জমির পরিমাণ ৩ কোটি ৬৬ লক্ষ ৭০ হাজার একর। বাংলাদেশে মাথাপিছু আবাদী জমির পরিমাণ প্রায় ২৫একর (২৫শতাংশ)। বাংলাদেশের মোট শ্রমশক্তির কতভাগ লোক কৃষি কাজে নিয়োজিত, তা আমরা অনেকেই জানিনা। তথ্যমতে প্রায় ৬৬ভাগ মানুষ কৃষি কাজ করেন, কিন্তু আবাদী জমিতে বাড়ি, ঘর, ইটভাটা ও কল কারখানা হওয়ায় এখন ফসলি জমি কমে যাচ্ছে। প্রথম কৃষি শুমারি অনুষ্ঠিত হয় ১৯৮০ সালে। এরপর ২০০২ সালে ৪র্থ কৃষি শুমারি হয় এরপর ২০২২ সালে। কৃষি জমি ও কৃষকের উন্নয়নের জন্য ২০০০ সাল পর্যন্ত মহাপরিকল্পনা নেয়া হয় কিন্তু দেশের রাস্তা-ঘাট, ব্রীজ বা সেতু নির্মাণ করছে সরকার-এতে তেমন কোনো সমস্যা হচ্ছে না, এতে যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত হচ্ছে। তথ্যমতে কয়েক বছর আগেও বাংলাদেশে জনসংখ্যা ছিলো মাত্র ৭ কোটি, যা বর্তমানে ২০২৪ইং সালে প্রায় ১৮ কোটির মতো দাঁড়িয়েছে। মানুষের খাদ্য বস্ত্র ও চিকিৎসা সেবা সঠিকভাবে পাচ্ছেনতো?।

  • বেইলি রোডে ভবনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না-আইজিপি

    বেইলি রোডে ভবনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না-আইজিপি

    হেলাল শেখঃ বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন বলেছেন, বেইলি রোডের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ত্রুটি-বিচ্যুতি থাকলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। তদন্ত করে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

    বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ২.৩০ এর দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অগ্নিকাণ্ডে আহতদের দেখতে এসে এ হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি।

    অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাটি নাশকতা কিনা জানতে চাইলে আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, আমরা বর্তমানে উদ্ধারকাজে জোর দিচ্ছি। বেইলি রোডে ফায়ার সার্ভিসের পাশাপাশি র‍্যাব-পুলিশ বিজিবিসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী উদ্ধারকাজে কাজ করছে। একইভাবে হাসপাতালের ডাক্তার ও নার্সরা আহত ও দগ্ধদের সর্বোচ্চ চিকিৎসা সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। আমি এটা বলতে পারি যে, এই ঘটনায় যদি কারও ত্রুটি বিচ্যুতি থাকে তাহলে ছাড় দেয়া হবে না। তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

    এ ঘটনায় নিহতদের প্রয়োজনীয় আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করে যত দ্রুত সম্ভব স্বজনদের কাছে মরদেহ হস্তান্তরের চেষ্টা করা হবে বলে জানিয়েছেন আইজিপি। নিহতের সংখ্যা জানতে চাইলে তিনি বলেন, অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় মোট নিহত হয়েছেন ৪৪ জন। রাজারবাগের কেন্দ্রীয় পুলিশ লাইন্স হাসপাতালে একজন, ঢামেক হাসপাতালে ৩৩ জন ও শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ১০ জনের মরদেহ রয়েছে।

    এর আগে, স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন ৪৩ জনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছিলেন। রাত ২টার দিকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। পরে রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালে মারা যান আরও একজন। ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, বেইলি রোডে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ৩৩ জন এবং শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ১০ জন মারা গেছেন। জরুরি বিভাগ ও বার্ন ইনস্টিটিউট মিলিয়ে এখন পর্যন্ত আহত ২২ জন চিকিৎসাধীন আছেন।

    এদিকে ভয়াবহ এই আগুনের ঘটনার নেপথ্যের কারণ, ভবনের অগ্নি নিরাপত্তা ও ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণসহ হতাহত বেশি হওয়ার কারণ অনুসন্ধানে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তর।

    পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটির সভাপতি করা হয়েছে লে. কর্নেল মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম চৌধুরীকে। তিনি ফায়ার সার্ভিসের অপারেশন ও মেইনটেন্যান্স বিভাগের পরিচালক। কমিটির সদস্য সচিব করা হয়েছে মো. ছালেহ উদ্দিনকে। তিনি সংস্থাটির ঢাকা বিভাগের উপ-পরিচালক। এছাড়া কমিটির তিনজন সদস্য হলেন- সংশ্লিষ্ট জোনের ডিএডি, সিনিয়র স্টেশন অফিসার এবং ওয়ারহাউজ ইন্সপেক্টর।

    এর আগে বৃহস্পতিবার রাত ৯টা ৫০ মিনিটে ভবনটিতে আগুন লাগার সংবাদ পায় ফায়ার সার্ভিস। পরে ফায়ার সার্ভিসের ১২টি ইউনিট প্রায় তিন ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনার সঠিকভাবে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

  • উপমহাদেশের প্রথম মুসলিম কার্টুনিস্ট  শৈলকুপার কাজী আবুল কাসেম

    উপমহাদেশের প্রথম মুসলিম কার্টুনিস্ট শৈলকুপার কাজী আবুল কাসেম

    আতিকুর রহমান, ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ
    উপমহাদেশের প্রথম মুসলিম কার্টুনিস্ট ছিলেন কাজী আবুল কাসেম। গুণী এই কার্টুনিস্ট ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার উমেদপুর গ্রামে জন্ম গ্রহন করেন। নতুন প্রজন্ম তো বটেই, হয়তো অনেকইে এই বিখ্যাত কার্টুনিস্টের নামই জানেন না। অথচ ১৯৫২ সালের রাষ্ট্রভাষা আন্দোলনের মহান সৈনিক কাজী আবুল কাসেম তার আঁকা ‘হরফ খেদাও’ কার্টুন চিত্রটির জন্য বিশ^ব্যাপী স্মরণীয় হয়ে রয়েছেন। বাংলাদেশ তথা উপমহাদেশের প্রথম মুসলিম কার্টুনিস্ট, প্রখ্যাত চিত্রশিল্পী ও শিশুসাহিত্যিক কাজী আবুল কাসেম ১৯১৩ সালের ৭ মে ঝিনাইদহ জেলার শৈলকুপা উপজেলার উমেদপুর গ্রামে নানা বাড়ি জন্ম গ্রহন করেন। পৈতৃক নিবাস রাজবাড়ী জেলার পাংশা উপজেলার পারকুলা গ্রামে। তার পিতা কাজী মকবুল আলী শিক্ষিত ও সংস্কৃতিবান ব্যক্তি হিসেবে পরিচিত ছিলেন। তিনি ঊনবিংশ শতাব্দীর প্রথম আধুনিক মুসলিম গদ্যশিল্পী মীর মশাররফ হোসেনের বন্ধু। মাতা মেহেরউন্নিসা খাতুন উমেদপুরের সম্ভ্রান্ত আলেম বংশের গুণান্বিত মহিলা ছিলেন। কাজী আবুল কাসেম মাত্র চার বছর বয়সে পিতা এবং পাঁচ বছর বয়সে মাকে হারান। শৈশবেই চিত্রকলার প্রতি আকর্ষণ ছিল। তিনি নিভৃতে ছবি আঁকতে ভালবাসতেন। বড় ভাই কাজী আবুল হোসেন (১৯১১-১৯৭৪, কথাসাহিত্যিক) এ বিষয়ে তার একমাত্র উৎসাহদাতা ছিলেন। ১৯২৬ সালে তার চিত্রকর্মে মুগ্ধ হয়ে ফরিদপুর শহরের এক পাদ্রি তাকে নিয়ে কলকাতা যান গভর্নমেন্ট আর্ট স্কুলে ভর্তি করানোর উদ্দেশ্যে। ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলেও বয়স কম হওয়ার কারণে দেশে ফিরে আসেন। ১৯২৮ সালে আসাম হয়ে পুনরায় কলকাতা যান। ১৯৩০ সালে মাত্র ১৮ বছর বয়সে মোহাম্মদ নাসির উদ্দীন সম্পাদিত বিখ্যাত মাসিক সওগাত পত্রিকায় তার প্রথম কার্টুনচিত্র ছাপা হয়। এর মাধ্যমে শৈলকুপার কৃতি সন্তান কাজী আবুল কাসেম চিহ্নিত হন প্রথম বাঙালি মুসলিম কার্টুনিস্ট ও চিত্রশিল্পী হিসেবে। এরপর বহু দৈনিক, সাপ্তাহিক ও মাসিক পত্রিকায় তার আঁকা একরঙা ও বহুরঙা চিত্র ও কার্টুন প্রকাশিত হতে থাকে। অসংখ্য বইয়ের প্রচ্ছদ ও অলঙ্করণ ঘটে তার নিপুণ হাতে পরম আন্তরিকতা ও বিশ্বস্ততায়। কাজী আবুল কাশেম দোপেঁয়াজা ছদ্মনামে ভাষা আন্দোলনবিষয়ক কার্টুন আঁকতেন। ১৯৫২ সালে ভাষা আন্দোলন যখন তুঙ্গে, তখন “হরফ খোদাও” কার্টুন এঁকে পাক সরকারের ভীত কাঁপিয়ে দেন। কলকাতার কমার্শিয়াল আর্ট স্টুডিওতে তিনি সামান্য বেতনে চাকরি শুরু করে অল্প সময়ে প্রতিষ্ঠানের প্রধান চিত্রকর্মী হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেন। ১৯৪১ সালে বেঙ্গল গভর্নমেন্টের শিল্প বিভাগে চাকরি নেন। ১৯৫০ সালের গোড়ার দিকে শিল্প বিভাগের আওতায় ভোকেশনাল ট্রেনিং সেন্টার ফর ডিমোবিলাইজড পার্সোনেলের বালিগঞ্জ শাখায় শিক্ষকের পদে নিয়োজিত ছিলেন। ১৯৫০ সালের মধ্যভাগে তিনি কলকাতা থেকে এসে প্রথমে কিছু দিন খুলনা ছিলেন, পরে ঢাকায় চলে আসেন। ১৯৬০ সালে এক বছর অস্থায়ীভাবে টেকস্ট বুক বোর্ডের আর্ট রিভুয়ার এবং ১৯৬১ থেকে ১৯৬৬ সাল পর্যন্ত ফ্রাঙ্কলিন বুক প্রোগ্রামসের প্রধান শিল্প নির্দেশক ও শিশুসাহিত্যের বইয়ের রিভুয়ার হিসেবে চাকরি নেন। অবিভক্ত বাংলার একজন পথিকৃৎ চিত্রশিল্পী ও কার্টুনিস্ট ছাড়াও তিনি শিশুসাহিত্যিক, ছড়াকার, শৌখিন কণ্ঠশিল্পী, আধুনিক এক বিজ্ঞানমনা ব্যক্তিত্ব হিসেবেও সুপরিচিত ছিলেন। তিনি বাংলা একাডেমি পদক, জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্র স্বর্ণপদক, এস এম সুলতান স্বর্ণপদক, বাংলাদেশ শিশু একাডেমি পুরস্কার ও নাসির উদ্দীন স্বর্ণপদকসহ বিভিন্ন সম্মাননায় ভূষিত হয়েছেন। শিল্পী কাজী আবুল কাসেম তাঁর আত্মকথায় লিখছেন: ‘আমি লেখক নই। সামান্য চিত্রকর, তাও আবার কমার্শিয়াল ছবি, ভুখা-নাঙ্গা ঘুচানোর তাগিদে। কলকাতায় ছিলাম, অনেক বড় বড় লেখকের লেখা পড়েছি। মুগ্ধ হয়েছি, হেসেছি, কেঁদেছি। এখানে শরৎচন্দ্র নেই, তারাশঙ্কর নেই, কিন্তু বেশি দিন অপেক্ষা করতে হয়নি। বার্ধক্যের দোরগোড়ায় আসতেই একে একে বেরিয়ে এলেন শওকত ওসমান, হুমায়ূন আহমেদ প্রমুখ সোনার চাঁদ লেখকেরা। এঁদের লেখা পড়ে আনন্দ আর শান্তি দুটোই ফিরে পেলাম আবার।’ কার্টুনিস্ট কাজী আবুল কাসেম যতই বলনু ‘আমি লেখক নই’, তিনি অবশ্যই লেখক। শিশুসাহিত্যে বাংলা একাডেমী পুরস্কার পেয়েছেন ১৯৭৮ সালে। এ কথা চোখ বন্ধ করে বলা যায়, তাঁর স্মৃতিকথা ‘পূবের জানালা’ যারা পড়বেন, বিস্মিত হবেন। তার প্রতিভা বিকশিত হয় একজন সহজাত শিল্পী হিসেবে। পেশাদার হলেও তার প্রকৃত ও মৌলিক শিল্পীসত্তা কখনো পরাভূত হয়নি। ২০০৪ সালের ১৯ জুলাই এই মহান মানবতাবাদী শিল্পী ও সাহিত্যিক এবং আমাদের সাংস্কৃতিক রেনেসাঁর অন্যতম পুরুষ ঢাকার ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতালে ৯১ বছর বয়সে ইন্তেকাল করেন।

    ঝিনাইদহ
    আতিকুর রহমান ।

  • মানবতার ফেরিওয়ালা ও পুলিশ বাহিনীর গর্ব ডিএমপি কমিশনার অতিরিক্ত আইজিপি হাবিবুর রহমান

    মানবতার ফেরিওয়ালা ও পুলিশ বাহিনীর গর্ব ডিএমপি কমিশনার অতিরিক্ত আইজিপি হাবিবুর রহমান

    হেলাল শেখঃ ঢাকা মেট্রোপলিটন (ডিএমপি) কমিশনার অতিরিক্ত আইজিপি জনাব হাবিবুর রহমান কি ভাবে হলেন মানবতার ফেরিওয়ালা? তিনি অভিমত প্রকাশ করেন যে, পিছিয়ে থাকা বেদে ছোটো জাতের নয়, তারাও মানুষ। তাদেরও নিজস্ব একটি ভাষা আছে যা পৃথিবীর অনেক দেশের নেই, অনেক জাতি গোষ্ঠীর নেই তাদেরকে অবহেলা না করে আসুন তাদের প্রতি সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেই বলে এমনই অভিমত প্রকাশ করেছেন, বিশিষ্ট গবেষক ও লেখক, মানবতার ফেরিওয়ালা, পুলিশ বাহিনীর গর্ব, প্রকৃত সাংবাদিকদের বন্ধু হাবিবুর রহমান (হাবিব)-বাকিটা ইতিহাস।
    জানা গেছে, জনাব মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান হাবিব সাহেব মানবতার ফেরিওয়ালা হওয়ার কারণ, বেদে ও হিজড়াসহ সাধারণ মানুষের বন্ধু তিনি। উল্লেখ্য গত (২২ ফেব্রুয়ারি ২০২২ইং) তারিখ বিকেলে বাংলা একাডেমির আব্দুল করিম সাহিত্য বিশারদ মিলনায়তনে বাংলা একাডেমির সভাপতি ও কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন এর সভাপতিত্বে দেশ বরেন্য গুনিজনের উপস্থিতিতে বিশিষ্ট গবেষক ও লেখক সেইসময়ের ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি জনাব হাবিবুর রহমান, বিপিএম (বার) পিপিএম (বার) রচিত বাংলাদেশের গ্রন্থ “ঠার’ বেদে জনগোষ্ঠীর ভাষা” বইটির মোড়ক উন্মোচন করা হয়। উক্ত অনুষ্ঠানের শুরুতে কথাসাহিত্যিক ও শিক্ষাবিদ জনাব সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম এ অনুষ্ঠানের উদ্বোধন ঘোষনা করেন। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকী উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির প্রধান সমন্বয়ক কবি কামাল চৌধুরী প্রধান অতিথি হিসেবে বইটির মোড়ক উম্মোচন করেন। এসময় দেশের সুনামধন্য লেখক গবেষক গুণীজন এবং ঢাকা রেঞ্জসহ ডিএমপি ও বিভিন্ন ইউনিটের পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
    এর আগে ঢাকা রেঞ্জ ডিআইজি মাদকাসক্তদের সুস্থ জীবনে ফিরতে হবে বলে অভিমত প্রকাশ করেন এবং সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে মাদকাসক্তদের সুস্থ জীবনে ফিরতে ‘ওয়েসিস’ এক মরুদ্যান বলে মন্তব্য করেছেন তখনকার ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি (উপ মহাপরিদর্শক) হাবিবুর রহমান। মাদকাসক্তদের সু-চিকিৎসার মাধ্যমে সুস্থ সুন্দর স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনতে মাদকাসক্তি নিরাময় ও মানসিক স্বাস্থ্য পরামর্শ কেন্দ্র ‘ওয়েসিস’ মরুভূমিতে যেন এক মরুদ্যান বলে তিনি মন্তব্য করেছেন। হাবিবুর রহমান বলেছেন, ‘মাদকের ভয়াবহ ছোবলে আমাদের তরুণ সমাজের অনেকে মাদকাসক্ত হয়ে পড়েন। তাদেরকে মাদকমুক্ত করে দক্ষ জনশক্তি হিসেবে গড়ে তোলা হবে। এজন্য মাদক নিরাময় ও পূনর্বাসন কেন্দ্র ‘ওয়েসিস’ প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। সত্যিকার অর্থেই এ যেন মরুভূমিতে এক মরুদ্যান।’ এর আগে ঢাকার দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জের বসুন্ধরা রিভারভিউ প্রকল্পে ‘ওয়েসিস’ এর উদ্বোধন করা হয়। মাদকাসক্তদের সুস্থ করে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনার প্রত্যয়ে বাংলাদেশ পুলিশ কল্যাণ ট্রাস্টের পক্ষ থেকে প্রতিষ্ঠানটি নির্মাণ করা হয়। সেসময়ের ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি বর্তমান ডিএমপি কমিশনার অতিরিক্ত আইজিপি হাবিবুর রহমান ‘ওয়েসিস’ এর পরিচালনা পরিষদের সভাপতি।
    উক্ত ওয়েসিস উদ্বোধনকালে হাবিবুর রহমান মাদককে একটি সামাজিক সমস্যা হিসেবে উল্লেখ করে সামাজিক ভাবেই এর সমাধান করার ব্যাপারে গুরুত্বারোপ করেন। মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্রটি স্থাপনের পটভূমি তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘মাদকের ভয়াবহ ছোবলে পড়ে আমাদের তরুণ সমাজের অনেকেই মাদকাসক্ত হয়ে পড়েন। তাদেরকে মাদকমুক্ত করে দক্ষ জনশক্তি হিসেবে গড়ে তোলার জন্য আইজিপি মহোদয়ের সার্বিক দিকনির্দেশনা ও তত্ত্বাবধানে আমরা ওয়েসিস করেছি। তিনি আরও বলেন, ‘মাদকাসক্তদের চিকিৎসায় আধুনিক সুযোগ-সুবিধাসম্বলিত সাততলা ভবনের ৬০ শযয্যার ওয়েসিস মনোরোগ চিকিৎসক, সাইকোলজিস্ট, সাইকোথেরাপিস্ট, ফিজিওথেরাপিস্ট, ইয়োগা এক্সপোর্ট এবং অ্যাডিকশন কাউন্সেলরদের মাধ্যমে বিশ্বমানের সমম্বিত চিকিৎসা সেবা দেওয়া হবে। এখানে পুরুষ এবং মহিলা রোগীর জন্য পৃথক ভাবে চিকিৎসার ব্যবস্থা রয়েছে। এছাড়া ওয়েসিস-এর চিকিৎসকদের সার্বক্ষণিক তদারকি, স্বতন্ত্র কাউন্সেলিং সেশন, উন্নতমানের শরীর চর্চা কেন্দ্র, বিনোদন সুবিধা, ইনডোর ও আউডডোর গেমস, কর্মমূখী প্রশিক্ষণ ও জীবনধর্মী শিক্ষামূলক নানা আয়োজনের ব্যবস্থা আছে সেখানে। মাদকাসক্তদের সু-চিকিৎসার মাধ্যমে সুস্থ সুন্দর স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনতে ‘ওয়েসিস’ যেন সত্যিকার অর্থেই মরুভূমিতে এক মরুদ্যান।’ এর আগে দুপুরে মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্রটির উদ্বোধন করা হয়।ওই সময়ে পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদের সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। আরও উপস্থিত ছিলেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো: আজিজুল ইসলামসহ আরও অনেকে। এই অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের দেশে মাদক তৈরি হয় না কিন্তু আমরা এর ভয়াবহতার শিকার। মাদক থেকে যদি যুবসমাজকে বিরত না রাখি তাহলে এর পরিণতি কী হবে তা আমরা দেখেছি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে আইনশৃঙ্খা বাহিনীর চৌকস অফিসারদের অভিযান পরিচালনা করে আমরা মাদক সন্ত্রাস ও জঙ্গি সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধভাবে যুদ্ধ করে সফল হচ্ছি। এখন মাদকের বিরুদ্ধেও আমাদের সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। আসাদুজ্জামান খান আরও বলেন, ‘যারা মাদকাসক্ত তাদের জীবনে কি হবে? আমরা তাদেরকে সুস্থ জীবনে ফিরাতে চিকিৎসা দিতে চাই। পুলিশ কল্যাণ ট্রাস্টের অধীনে ‘ওয়েসিস’ স্থাপনের উদ্যোগের প্রশংসা করেন মন্ত্রী।
    এর আগে গত বছর শীতে এই পুলিশের কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান তাঁর নিজস্ব অর্থায়নে উত্তরণ ফাউন্ডেশন এর উদ্যোগে ঢাকা বিভাগের রাজবাড়ী জেলার গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া যৌনকর্মীদের মাঝে বিপুল পরিমাণ কম্বল বিতরণ করেন। (১৬জানুয়ারি ২০২১ইং) দুপুরে রাজবাড়ী জেলা পুলিশ সুপার এম এম শাকিলুজ্জামান এর উপস্থিতিতে এসব কম্বল বিতরণ করা হয়। এ সময় পুলিশ সুপার বলেন, অসহায় যৌনকর্মীদের নিয়ে ছিনিমিনি খেলার দিন শেষ। তারা সুবিধা বি ত, তাদের এই দূর্বলতার সুযোগ নিয়ে কেউ কোনো ফায়দা লুটতে চাইলে তার পরিণতি ভালো হবে না। তিনি সবাইকে সাবধান করে দেন, আরও বলেন, আপনারা সাবধান হোন। রাজবাড়ী জেলার সাধারণ মানুষদেরকে নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে রাখতে প্রয়োজনে সকল পরিস্থিতি মোকাবেলা করা হবে, দুষ্টু প্রকৃতির অনেক মানুষ আছেন এই জেলায়, কিন্তু তাদেরকে আগে থেকেই সাবধান করে দিচ্ছি, “হয় আপনারা থাকবেন না হয় রাজবাড়ী জেলা পুলিশ সুপার থাকবে” সময় আছে এখনো আপনারা খারাপ পথ থেকে বের হয়ে এসে সাধারণ ভাবে জীবন যাপন করুন।
    দৌলতদিয়ায় ১৩শ’ (১৩০০) শীতার্ত যৌনকর্মীকে কম্বল দেন ওইদিন। এই কম্বল বিতরণের সময় আরো উপস্থিত ছিলেন, সাবেক সংরক্ষিত মহিলা আসনের এমপি লাভলী চৌধুরী, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ সালাউদ্দিন, শেখ শরীফ-উজ্জামান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল), গোয়ালন্দ ঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল্লাহ-আল তায়াবীর, দৌলতদিয়া পূর্বপাড়া অসহায় নারী ঐক্য সংগঠনের সভানেত্রী ঝুমুর বেগম, দৌলতদিয়া মুক্তি মহিলা সমিতির চেয়ারম্যান মর্জিনা বেগমসহ জেলা, থানা পুলিশ অফিসারগণসহ আরও উপস্থিত ছিলেন অর্ধশতাধিক পুলিশ সদস্য। এ সময় শীতার্ত যৌনকর্মীরা কম্বল হাতে পেয়ে ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি হাবিবুর রহমানকে ধন্যবাদ জানিয়ে সম্মান ও শ্রদ্ধা করেন। উল্লেখ্য যে, তিনি গোয়ালন্দ উপজেলার তেনাপচা ইউনিয়নে ইতি মধ্যে যৌন পল্লীর অসহায় মানুষদের আয় রোজগারহীন যৌনকর্মীদের জন্য আশ্রয়কেন্দ্র স্থাপন করেছেন। জনাব হাবিবুর রহমান কেন মানবতার ফেরিওয়ালা তা বুঝতে বাকী নেই প্রিয় পাঠকগণ। তবে ঢাকার আশুলিয়ায় মাদক সন্ত্রাসী শরিফুল ইসলাম মোল্লা নামের এক মাদক কারবারির পক্ষে কাজ করছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ম্যানেজার পরিচয়দানকারী মুজিবুর রহমান ও তার স্ত্রী। এতে পুলিশ ও গণমাধ্যম কর্মীদের কাজে বাঁধা সৃষ্টি করা হয়। বাংলাদেশে পুলিশ কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান চাচ্ছেন মাদকমুক্ত সমাজ গড়তে কিন্তু কিছু ব্যক্তি অনৈতিক কর্মকান্ড করায় তা সম্ভব হচ্ছে না। জনাব হাবিবুর রহমান হাবিব সাবেক ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার-অতিরিক্ত ডিআইজি, এরপর ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি, বর্তমানে (ডিএমপি) কমিশনার অতিরিক্ত আইজিপি মহোদয়। তিনি গরীবের বন্ধু, সাদা মনের মানুষ, মানবতার ফেরিওয়ালা-বাকিটা ইতিহাস। তিনি কি শুধুই একজন পুলিশ? পিছিয়ে থাকা বেদে সম্প্রদায়কে সাড়ে চার শ বছরের গ্লানিময় জীবন থেকে মুক্ত করে সমাজের মূলধারায় ফিরিয়ে এনেছেন এই পুলিশ কর্মকর্তা জনাব হাবিবুর রহমান। তার উদ্যোগে সাভারের বেদে পল্লীতে এখন মাদ্রাসা ও স্কুল হয়েছে। সেখানে শিশুরা লেখাপড়া শিখতে পারছে। বিশেষ করে “উত্তরণ ফাউন্ডেশনের পৃষ্ঠপোষকতায় একেবারে কোণঠাসা বেদে সম্প্রদায় সরকারি-বেসরকারি চাকরিতে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে এবং ব্যবসা-বাণিজ্যে সাফল্য বয়ে আনার সুযোগ পেয়েছে এই গর্বিত পুলিশ কর্মকর্তার জন্য সাধারণ মানুষ ধন্য।

  • পাহাড়ে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান ও সুসম বন্টন নিশ্চিত করবো পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি

    পাহাড়ে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান ও সুসম বন্টন নিশ্চিত করবো পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি

    (রিপন ওঝা,খাগড়াছড়ি)

    খাগড়াছড়ি সদরে মারমা উন্নয়ন সংসদ সদর শাখা কর্তৃক ৩ফেব্রুয়ারি রাতে হলরুমে গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।

    উক্ত গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানে জেলা পরিষদের জনসংযোগ কর্মকর্তা চিংলামং চৌধুরী ও সাংবাদিক চিংমেপ্রু মারমার সঞ্চালনায় পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী জনাব কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন।
    তিনি বক্তব্য বলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী জনাব কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি বলেছেন, পাহাড়ি-বাংগালি ভ্রাতৃঘাতী সংঘাত নিরসন এবং পার্বত্য অঞ্চলে শান্তি ফিরিয়ে আনতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার আন্তরিকতা ও বদান্যতার কারণে পার্বত্য চট্টগ্রামে ০২ ডিসেম্বর ১৯৯৭ সালে পার্বত্য শান্তি চুক্তি সম্পাদিত হয়েছিল। তখন থেকেই পার্বত্যঞ্চলের মানুষ সম্প্রীতির বন্ধনে আবদ্ধ হওয়া শুরু করেছে। তিনি বলেন, পাহাড়িদের সম্প্রীতির বন্ধনে সকলে মিলে পাহাড়ে শান্তিপূণ সহাবস্থান ও সুসম বন্টন নিশ্চিত কাজ করবো।

    পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী জনাব কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি এসময় আরও বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সরকারের ক্ষমতাকালে পার্বত্য অঞ্চলে ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেয়া থেকে শুরু করে শিক্ষার্থীদের জন্য স্কুল, কলেজ, মেডিকেল কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় ও অসংখ্য সেবামূলক প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা হয়েছে। যে সমস্ত কাজ এখনো অসমাপ্ত রয়েছে তা দ্রুত সমাপ্ত করা হবে। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন সোনার বাংলা বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।

    প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, আওয়ামীলীগ সরকারের আগে আরো সরকার এলো-গেলো, কিন্তু পার্বত্য অঞ্চলে সাম্প্রদায়িক সংঘাত বন্ধ তো করেইনি বরং পাহাড়ি জনমনে আতঙ্ক ও অশান্তি সৃষ্টির পায়তারা চালিয়েছিল তারা। বিএনপি-জামাত পাহাড়ের দীর্ঘ দুই দশকের সমস্যা ও ভাতৃঘাতি সংঘাত বন্ধ করার কোন উদ্যোগই নেয়নি, বরং তা দীর্ঘ সময় জিইয়ে রেখেছিল। আওয়ামীলীগ সরকার দেশের মানুষের কথা ভাবে, দেশের শান্তির কথা ভাবে বলেই পার্বত্য অঞ্চলে সাম্প্রদায়িক সংঘাত বহুলাংশে বন্ধ করতে পেরেছে। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে পার্বত্য চট্টগ্রামের মানুষের মনে শান্তি সম্প্রীতি ও উন্নয়নের যে স্রোতধারা বহমান রয়েছে তা আগামিতেও অব্যাহত থাকবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করাসহ আগামী ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে স্মার্ট বাংলাদেশে পরিনত করার লক্ষ্য নিয়ে সকলকে দেশের উন্নয়ন কাজ করার আহ্বান জানান পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা,এমপি।

    অনুষ্ঠানে মারমা উন্নয়ন সংসদের পক্ষ থেকে পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা, এমপি ও সহধর্মিণী মিসেস মল্লিকা ত্রিপুরা শিক্ষিকাসহ আমন্ত্রিত অতিথি সকলকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো হয় এবং উত্তরীয় পড়িয়ে দেয়া হয়।

    উক্ত অনুষ্ঠানে মারমা উন্নয়ন সংসদ কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি মংপ্রু চৌধুরীর সভাপতিত্ব করেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মংসুই প্রু চৌধুরী অপু।

    এসময়ে আরো উপস্থিত ছিলেন মং সার্কেলের রাজা সাচিংপ্রু চৌধুরী, জেলা পরিষদের প্রাক্তন চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির কো চেয়ারম্যান চাইথোঅং মারমা, জেলা পরিষদের প্রাক্তন চেয়ারম্যান কংজরী চৌধুরী, জেলা পরিষদের সদস্য মংক্যচিং চৌধুরী, মাউস কেন্দ্রীয় কমিটির সহ সভাপতি ম্র্যাগ্য চৌধুরী প্রমুখ। অন্যান্যের মধ্যে বিশেষ অতিথি হিসেবে সম্প্রীতি ও সৌহার্দের বন্ধনে নিবেদিত শিক্ষিকা মিসেস মল্লিকা ত্রিপুরা, মহিলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বাঁশরী মারমাসহ তৃণমূল পর্যায়ের জনপ্রতিনিধি ও প্রতিটি উপজেলা হতে আগত সুশীল সমাজের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, বিভিন্ন প্যাগোডা বা বিহারের সভাপতি বা প্রতিনিধিগণ।

  • বিশ্ব রেকর্ড পঞ্চম বারের মতো প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা-রাষ্ট্রপতি’সহ সবাইকে অভিনন্দন

    বিশ্ব রেকর্ড পঞ্চম বারের মতো প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা-রাষ্ট্রপতি’সহ সবাইকে অভিনন্দন

    হেলাল শেখঃ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রী পদে নিয়োগের সিদ্ধান্ত দিয়েছেন মহামান্য রাষ্ট্রপতি জনাব সাহাবুদ্দিন মহোদয়। এরপর মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা মহামান্য রাষ্ট্রপতির সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
    জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ৫ম বারের মতো সংসদীয় আসন-২১৭ গোপালগঞ্জ-৩ কোটালীপাড়া-টুঙ্গিপাড়া) আসন থেকে নৌকা মার্কায় বিপুল ভোটে এমপি নির্বাচিত হয়েছেন, এরপর মহামান্য রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন মহোদয় শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রী পদে নিয়োগের সিদ্ধান্ত দিয়েছেন। শুধু বাংলাদেশের ইতিহাসে নয় বিশ্ব নেতাদের মধ্যে প্রভাবশালী সাহসী প্রধানমন্ত্রী ৫ম বারের মতো দায়িত্ব নেয়ায় বিশ্ব রেকর্ড করলেন শেখ হাসিনা।
    আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সাংবাদিক সংস্থার ঢাকা বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ সাইফুল ইসলাম জয় (হেলাল শেখ) বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের যোগ্য কন্যা মাটি ও মানুষের নেতা ৫ম বারের মতো প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন জননেত্রী শেখ হাসিনা। বর্তমানে বিশ্ব নেতা ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি ৫ম বারের সফল প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা-বাকিটা ইতিহাস। সেই সাথে পাবনাবাসীর গর্ব দেশের সূর্য সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধা সাহাবুদ্দিন চুপ্পু মহামান্য রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর এই প্রথম বিশ্ব নেতা শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রী পদে নিয়োগের সিদ্ধান্ত দিয়েছেন। এবার মহামান্য রাষ্ট্রপতির বিষয়ঃ
    পাবনার ইতিহাস ও স্মরণকালের একটি নাম মহামান্য রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন মহোদয়। উত্তরবঙ্গের জেলা পাবনাবাসী প্রথমবারের মতো দেশের মহামান্য রাষ্ট্রপতি হিসেবে পেয়েছেন জনাব সাহাবুদ্দিন চুপ্পু মহোদয়কে। তিনি দলমত নির্বিশেষে জনসাধারণের প্রিয় মানুষ এখন রাষ্ট্রের অভিভাবক, সর্বোচ্চ ব্যক্তি। নিজ জেলায় গৌরবময় এমন প্রাপ্তিতে সম্মানিত হয়েছেন পাবনাবাসী। কেউ ভাবতেও পারেননি বীর মুক্তিযোদ্ধা সাহাবুদ্দিন চুপ্পু রাষ্ট্রপতি হবেন, আল্লাহ চাইলে সবকিছুই সম্ভব। তাই আল্লাহর রহমতে আমরা পেয়েছি মহামান্য রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন মহোদয়কে তাই এই ২০২৪ ইং সালে নতুন সরকারের সংশ্লিষ্ট সবাইকে অভিনন্দন।
    মহামান্য রাষ্ট্রপতির নিজ জেলায় গত (৩ মে ২০২৩ইং) পাবনা সফর সূচী প্রকাশ করা হয়। রাষ্ট্রপতির প্রটোকল অফিসার মোঃ নবীরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত পত্রে এই তথ্য জানানো হয়। রাষ্ট্রপতি ১৫ মে, ২০২৩ইং বেলা ১১টা ১০ মিনিটের দিকে ঢাকার তেজগাঁও হেলিপ্যাড থেকে হেলিকপ্টারযোগে পাবনার উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করেন। দুপুর ১টার দিকে তিনি পাবনা সার্কিট হাউসে উপস্থিত হয়ে সোয়া ১টায় গার্ড অব অনার গ্রহণ করেন। দুপুর ১টা ২০ মিনিটে পাবনা জেলা পরিষদ বঙ্গবন্ধু চত্বরের নামফলক উদ্বোধন করে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুস্পস্তবক অর্পণ করেন। দুপুর ১টা ৩০মিনিটে পাবনার সবচেয়ে বড় পাবনা আরিফপুর কবরস্থানে উপস্থিত হয়ে রাষ্ট্রপতির বাবা মায়ের আত্মার মাগফিরাতের জন্য কবর জিয়ারত করে দোয়া করেন। বিকেল ৪টায় পাবনা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বঙ্গবন্ধু কর্ণার এবং বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল উদ্বোধন করেন, শেষে জেলার আইনজীবীদের সাথে মতবিনিময় করেন।
    এরপর গত (১৬ই মে ২০২৩ইং) সকাল ১০টায় পাবনার সরকারি এডওয়ার্ড কলেজ মাঠে বীর মুক্তিযোদ্ধা সাহাবুদ্দিন চুপ্পু মহোদয় নাগরিক গণসংবর্ধনা গ্রহণ অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার কথা থাকলেও কোনো কারণে সময় পরিবর্তন করে বিকেলে অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েছিলেন তিনি। এর মধ্যে পাবনা প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় করেন রাষ্ট্রপতি। এরপর ১৭মে বুধবার পাবনা ডায়াবেটিক সমিতির অফিস পরিদর্শন করার পর বিকেল ৫টায় বীর মুক্তযোদ্ধা সাহাবুদ্দিন চুপ্পু বিনোদন পার্ক পরিদর্শন করবেন রাষ্ট্রপতি। বৃহস্পতিবার (১৮ মে ২০২৩ইং) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পাবনা থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হন মহামান্য রাষ্ট্রপতি মহোদয়। রাজশাহী বিভাগের বৃহত্তর পাবনা জেলার কৃতি সন্তান-পাবনাবাসীর গর্ব-বীর মুক্তিযোদ্ধা সাহাবুদ্দিন চুপ্পু মহোদয় বাংলাদেশের ২২তম মহামান্য রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন, প্রায় এক বছর হতে যাচ্ছে, তাঁর সাহসী ভুমিকা ও সততার উপহার হিসেবে গৌরবময় এমন প্রাপ্তিতে পাবনাবাসী গর্বিত-বাকিটা ইতিহাস। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মহামান্য রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব গ্রহণের পর প্রথম সাহাবুদ্দিন চুপ্পু মহোদয় পাবনায় আগমন করছিলেন। বাংলাদেশের প্রথম শ্রেণির নাগরিক হিসেবে তিনি তাঁর সর্বোচ্চ কর্মদক্ষতা দিয়ে দেশকে আরো উন্নত ও সমৃদ্ধির দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবেন, সেই সাথে পাবনা জেলা সংযুক্ত করে ২য় পদ্মা সেতু মানিকগঞ্জের আরিচা-পাবনার কাজিরহাট ও রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ত্রিমুখী ২য় পদ্মা সেতু একমাত্র চাওয়া ও প্রত্যাশা পাবনাবাসীর নিজ এলাকার রাষ্ট্রপতির কাছে।
    পাবনার দলীয় নেতৃবৃন্দ অনেকেই বলেন, মহামান্য রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন চুপ্পু মহোদয়কে নতুন করে কিছু বলার নাই, তিনি আসলেই একজন ভালো মানুষ। সাহাবুদ্দিন চুপ্পু মহোদয় বাংলাদেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন গত (২৪ এপ্রিল ২০২৩ইং) তারিখ সকাল ১১টায় বঙ্গভবনে। এই নতুন রাষ্ট্রপতির শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা’সহ এমপি মন্ত্রীগণ ও বিভিন্ন বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তাগণ। সে সময় জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী সাহাবুদ্দিন মহোদয়কে রাষ্ট্রপতির পদে শপথ পাঠ করিয়েছেন। বিশেষ করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা, মন্ত্রীপরিষদ সদস্যসহ কয়েকশত বিশিষ্ট অতিথি ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ এ অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন। উক্ত অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন মন্ত্রীপরিষদ সচিব মোঃ মাহবুব হোসেন। এরপর নতুন রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন চুপ্পু মহোদয়কে শপথ নথিতে স্বাক্ষর করেন। নতুন রাষ্ট্রপতির সচিব মোঃ জয়নাল আবেদীন জানান, শপথ গ্রহণের পরপরই নতুন রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন এবং রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ আনুষ্ঠানিকভাবে চেয়ার বদল করেন। বীর মুক্তিযোদ্ধা ও মাঠপর্যায়ে রাজনীতিবিদ মোঃ সাহাবুদ্দিন চুপ্পু ২১তম রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ এর স্থলাভিযিক্ত হলেন। রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ সাবেক রাষ্ট্রপতি মোঃ জিল্লুর রহমানের মৃত্যুর পর ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি হিসেবে ৪১ দিনসহ টানা দুই মেয়াদে রাষ্ট্রপতি হিসেবে ১০ বছর ৪১দিন অতিবাহিত করার পরে অবসরে গেলেন তিনি। নতুন রাষ্ট্রপতি’র স্ত্রী ড. রেবেকা সুলতানা ও ছেলে আরশাদ আদনান রনিসহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যগণ উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
    প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী, সংসদ সদস্য, প্রধান নির্বাচন কমিশনার, সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, তিন বাহিনীর প্রধানগণ, কূটনীতিক, সম্পাদকসহ জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক ও উপর পদস্থ বেসামরিক এবং সামরিক কর্মকর্তারা অনুষ্ঠানটি প্রত্যক্ষ করেন। এর আগে ৭৩ বছর বয়সী এই রাজনীতিবিদ ২০২৩ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন। ছাত্ররাজনীতি, মুক্তিযুদ্ধা. আইন পেশা, বিচারকের দায়িত্ব, রাষ্ট্রীয় অনেক গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানের দায়িত্ব পালনের পর কর্মদক্ষতায় বাংলাদেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি হয়েছেন মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন চুপ্পু মহোদয়। উল্লেখ্য, ১৯৪৯ সালে পাবনা শহরের জুবিলি ট্যাস্কপাড়ায় (শিবরামপুর) জন্মগ্রহণ করেন মো. সাহাবুদ্দিন চুপ্পু। শহরের পুরাতন গান্ধী বিদ্যালয়ে তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত, পড়ে রাধানগর মজুমদার একাডেমিতে চতুর্থ শ্রেণিতে ভর্তি হন। সেখান থেকে ১৯৬৬ সালে এসএসসি পাশের পর পাবনা এডওয়ার্ড কলেজে ভর্তি হন, এরপর শুরু করেন রাজনীতি। এরপর এডওয়ার্ড কলেজ থেকে ১৯৬৮ সালে এইচএসসি ও ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ (অনুষ্ঠিত ১৯৭২ সালে বিএসসি পাস করেন তিনি)। এরপর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৭৪ সালে স্নাতকোত্তর এবং পাবনা শহীদ এ্যাডভোকেট আমিনুদ্দিন আইন কলেজ থেকে ১৯৭৫ সালে এলএলবি ডিগ্রি অর্জন করেন। কলেজ জীবনে প্রবেশের আগেই ১৯৬৬ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সঙ্গে পাবনায় সাক্ষাৎ করেন সাহাবুদ্দিন চুপ্পু। ছাত্রলীগের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার পর প্রতিবাদী ছিলেন তিনি, এরপর এডওয়ার্ড কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক, অবিভুক্ত পাবনা জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি থেকে ছয় বছর জেলা ছাত্রলীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। সেই সাহাবুদ্দিন চুপ্পু সাহেব বর্তমানে মহামান্য রাষ্ট্রপতি।
    আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সাংবাদিক সংস্থার পক্ষ থেকে মহামান্য রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন মহোদয়সহ দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৭ই জানুয়ারি ২০২৪ সালে বিজয়ী সকল সংসদ সদস্য-এমপি, প্রতিমন্ত্রী, মন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে অভিনন্দন। সেই সাথে সবার প্রতি দোয়া ও শুভকামনা রইলো।