Category: আন্তর্জাতিক

  • রোমানিয়ায় প্রবাসীবান্ধব শ্রম উইং প্রধান মহসীন মিয়ার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে প্রতিবাদ সভা ও স্বারকলিপি প্রদান

    রোমানিয়ায় প্রবাসীবান্ধব শ্রম উইং প্রধান মহসীন মিয়ার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে প্রতিবাদ সভা ও স্বারকলিপি প্রদান

    নাঈম মল্লিক,
    নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

    রোমানিয়ায় বাংলাদেশ দূতাবাসের শ্রম উইং প্রধান মহাসীন মিয়াকে নিয়ে তথাকথিত বাংলাদেশ কমিউনিটি গ্রুপের অপপ্রচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে সভা করেছে দেশটিতে অবস্থানরত প্রবাসী বাংলাদেশীরা। পরে তারা অন্তবর্তীকালীন সরকার প্রধান ড. মোহাম্মদ ইউনুসের নিকট প্রকৃত ঘটনা উল্লেখ করে স্বারকলিপি প্রদান করেছেন। গত ০৮ জানুয়ারি চার্জ দ্যা এফ্যেয়ারসের মাধ্যমে রোমানিয়ায় প্রবাসী বাংলাদেশী কমিউনিটির পক্ষে মোঃ ফিরোজ খান স্বাক্ষরিত স্বারকলিপি বাংলাদেশ সরকারে প্রধান উপদেষ্টার দপ্তরে পাঠানো হয়। এর আগে রোমানিয়ায় বাংলাদেশ দূতাবাসের সামনে প্রবাসী বাংলাদেশীরা একটি প্রতিবাদ সভা আয়োজন করে।এতে বক্তব্য রাখেন প্রবাসী বাংলাদেশী আবদুল মুহিত আলমগীর,মোঃ দিদারুল ইসলাম,মোঃ সুরুজ্জামান সরকার,মোঃ আলী নিশাদ প্রমুখ।এসময় বক্তরা বাংলাদেশ উইং প্রধান মহাসীন মিয়ার বিরুদ্ধে একটি কুচক্রীমহল কর্তৃক প্রচারিত মিথ্যা, উদ্দেশ্যমুলক অপপ্রচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে ষড়যন্ত্রকারী সকলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সরকারের প্রতি বিশেষ আহবান জানান।
    এ বিষয় রোমানিয়ায় বাংলাদেশ কমিউনিটির সমন্বয়ক মোঃ ফিরোজ খান অভিযোগ করে জানান, রোমানিয়ায় বাংলাদেশ দূতাবাসের শ্রম বিভাগের প্রধান মহ্সাীন মিয়া ২০২৩ সনে এখানে পদায়ন হবার পর থেকেই নিষ্ঠার সাথে তার দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। রোমানিয়া ইমিগ্রেশনের সাথে বারবার আলোচনা ও চিঠি মাধ্যমে যোগাযোগ করে বাংলাদেশীদের জন্য নাম-সর্বস্ব কোম্পানীর থেকে ভূয়া পারমিট ইস্যু বন্ধ করেন। এতে একদল আদম ব্যবসায়ীদের প্রতরণা ব্যবসায় ভাটা পড়ে ।সাম্প্রতিক একদল দালাল তাকে নিয়ে নানা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। দালাল চক্র ভূয়া কোম্পানির মাধ্যমে ওয়ার্ক পারমিট নিতে না পারায় তারা শ্রম উইং প্রধানের ওপর ক্ষিপ্ত হয়েছে। তাই শ্রম উইং প্রধান মহাসীন মিয়াকে রোমানিয়া থেকে সরাতে একদল অসাধু লোক উঠেপড়ে লেগেছে।
    এ বিষয় রোমানিয়া বুখারেস্টে বসবাসকারী আবদুল মুহিত আলমগীর জানান, শ্রম উইং প্রধান মহাসীন মিয়া রোমানিয়া শ্রম উইং প্রধানের দায়িত্বে আসার পর থেকে দালালদের প্রতারণা ও অনৈতিক কর্মকান্ডে বাঁধা সৃষ্টি হযেছে।তার উদ্যোগে আমরা প্রবাসীরা ইউরোপের নিয়ম কানুন সর্ম্পকে সচেতন হয়েছি,দূতাবাসের মাধ্যমে যে কোন সমস্যার দ্রুত সুষ্ঠ সমাধান পাচ্ছি।এতে দালালদের প্রতারণার সুযোগ সীমিত হয়ে গেছে। দিনদিন ভূয়া কোম্পানির পারমিট ইস্যু,গেইম বানিজ্য,মানব পাচারসহ নানা অনৈতিক কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। তাই তারা শ্রম উইং প্রধান মহাসীন মিয়ার প্রতি প্রতিশোধ পরায়ন হয়ে অপপ্রচার চালাচ্ছে।
    এ বিষয় রোমানিয়া প্রবাসী মোঃ আলী নিশাদ জানান, আমরা দূতাবাসে বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে গিয়ে বিগত দিনের চেয়ে দ্রুত সমাধান পাচ্ছি। মহাসীন স্যার একজন অত্যান্ত ভদ্র, বিনয়ী ও দক্ষ কর্মকর্তা হিসেবে সুপরিচিতি। তিনি প্রবাসীদের যে কোন বিপদে পাশে থাকেন, সর্বচ্চো সহযোগীতা করেন। এতে দালাল শ্রেণীর প্রবাসীদের জিম্মি করে ইনকাম বন্ধ হওয়ায় তারা স্যারের বিরুদ্ধে অপপ্রচারে লিপ্ত হয়েছে। আমরা পুরো রোমানিয়া বাঙালি কমিউনিটি স্যারের পাশে আছি।
    জানান, চলতি বছরের ০১ জানুয়ারি থেকে রোমানিয়া শেনজেন অঞ্চলে অর্ন্তভূক্ত হওয়ায় মানব পাচারে সক্রিয় দালালদের তৎপরতা বৃদ্ধি পেয়েছে। তারা বাংলাদেশের অসহায় ও রোমানিয়া গমনে ইচ্ছুক মানুষদের সাথে প্রতারণা করে অর্থ হাতিয়ে নিতে ফেইক ওর্য়াক পারমিট ব্যবহার করত। তিনি যোগদানের পর থেকেই রোমানিয়া ইমিগ্রেশনের সহায়তায় কর্মীদের কাজের ব্যবস্থা, জাল ডকুমেন্টস, ভূয়া কোম্পানির টিআরসি তৈরি বন্ধ করতে সক্ষম হন।এতে দালাল চক্রের অবৈধ ব্যবসা বন্ধ হয়ে যায়। তাই তারা মহাসীন স্যারকে সরাতে নানা অপপ্রচারের সক্রিয় হয়েছে।
    জানা যায়, বিসিএস ২৭ ব্যাচের কর্মকর্তা মহাসীন মিয়া ২০২৩ সনে রোমানিয়া শ্রম উইংয়ে যোগ দেন। বর্তমানে রাষ্ট্রদূত না থাকায় তিনি বাংলাদেশ দূতাবাসের চার্জ দ্যা অ্যাফেয়ার্স হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি রোমানিয়ায় বাংলাদেশ দূতাবাসের শ্রম উইংয়ের প্রথম সচিব হিসেবে যোগদানের পর থেকেই রোমানিয়ায় বাংলাদেশের শ্রমবাজার সম্প্রসারন এবং শ্রমিকদের বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা নিষ্ঠার সাথে দেখভাল করেন।২০২১ ও ২০২২ সালে রোমানিয়ায় প্রবেশ করা বিদেশীদের মধ্যে বাংলাদেশীরা প্রথম ছিল। ২০২৩ সালে শুরুতে এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে রোমানিয়া কেন্দ্রীক কয়েকটি আদম ব্যবসায়ী দালাল চক্র সক্রিয় হয়ে ওঠে। তারা বাংলাদেশের অসহায় ও রোমানিয়া গমনে ইচ্ছুক মানুষদের সাথে প্রতারণা করে অর্থ হাতিয়ে নিতে ফেইক পারমিট, অস্তিত্বহীন কোম্পানির নামে পারিমট, জাল ডকুমেন্টস তৈরি, ইতালি ফ্রান্সসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশে গেইমের নামে মানব পাচারে উৎসবে নামে। এসব অনৈতিক কাজে বাংলাদেশ শ্রম উইং প্রধান মহাসীন মিয়াকে ব্যবহার করতে অর্থ প্রলোভন দেখায়। এতে কাজ না হওয়ায় চক্রটি তাকে নানামুখী চাপ দেয়। কিন্তু দক্ষ কূটনৈতিক মহাসীন মিয়া সকল চাপ সামলে দালাল চক্রের কোন অনৈতিক আবদার না মেনে বিধি মোতাবেক কাজ চালিয়ে যান। রোমানিয়া ইমিগ্রেশনের সাথে বারবার আলোচনা ও চিঠি চলাচলির মাধ্যমে বাংলাদেশীদের জন্য নাম-সর্বস্ব কোম্পানীর থেকে ভূয়া পারমিট ইস্যু বন্ধ করতে সমক্ষম হন। এতে বিপত্তি বাঁধে দালাল চক্রের। তাই শক্তিশালী দালাল চক্রটি কূটনৈতিক মহাসীন মিয়াকে রোমানিয়া শ্রম উইং থেকে অন্যত্র সরাতে নানা অপপ্রচারে নামে। কিন্তু দক্ষ কূটনৈতিক মহাসীন মিয়ার পক্ষে স্থানীয় বাঙালি কমিউনিটিসহ প্রবাসীরা একাট্টা হয়।তারা বাংলাদেশী শ্রম উইংয়ের সামনে দালালদের সকল অপপ্রচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ সভা করে। পরে বাংলাদেশের অন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রধানের কাছে স্মারকলিপি দেয় ।
    এ বিষয় রোমানিয়ায় বাংলাদেশ দুতাবাসের শ্রম উইংয়ের প্রথম সচিব মহাসীন মিয়া বলেন, বাংলাদেশ সরকার আমাকে যে দায়িত্ব দিয়ে আমাকে এখানে পাঠিয়েছে আমি তা পরিপূর্ণভাবে পালন করছি। একটি তথাকথিত দালাল চক্র আমার বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করেছে। তারা সকলেই অসাধু আদম ব্যবসায়ী। আমি দেশের জন্য নিষ্ঠার সাথে কাজ করি ও অসাধু চক্রের সাথে দুরত্ব বজায় রাখি।এতে তাদের অবৈধ ব্যবসায় ক্ষতি হচ্ছে। তাই তারা আমার বিরুদ্ধে ফরমায়েশি অপপ্রচার চালাচ্ছে। কিন্তু রোমানিয়ায় বাংলাদেশী কর্মী, বাঙালি কমিউনিটিসহ সকল বাংলাদেশীরা আমার কাজের প্রশংসা করেছেন। তারা ওই দালাল চক্রের বিরুদ্ধে সভা সমাবেশ করেছেন। প্রবাসী কর্মীরাই দালাল চক্রের সকল ষড়যন্ত্র রুখে দিয়ে আমাকে সততার সাথে দায়িত্ব পালনে উৎসাহ যোগাচ্ছে।

  • মালদ্বীপে যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপিত

    মালদ্বীপে যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপিত

    আবদুল্লাহ কাদের মালদ্বীপ :-

    যথাযোগ্য মর্যাদা ও ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ হাই কমিশন, মালদ্বীপ কর্তৃক মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস (২৬ মার্চ) ২০২৪ উদযাপন করা হয়। সকালে মালদ্বীপে নিযুক্ত বাংলাদেশ হাইকমিশনার কর্তৃক আনুষ্ঠানিক ভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে দিনের কর্মসূচির শুভ সূচনা করা হয়। অতঃপর আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
    অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মান্যবর হাই কমিশনার রিয়ার অ্যাডমিরাল এস এম আবুল কালাম আজাদ। শুরুতেই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন প্রধান অতিথি ও অন্যান্য অতিথিবৃন্দ। অত:পর পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন মাওলানা তাজুল ইসলাম।
    এরপর দিবসটি উপলক্ষে মহামান্য রাষ্ট্রপতি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রেরিত বানী পাঠ করেন যথাক্রমে, কাউন্সেলর ও দূতালয় প্রধান মোঃ সোহেল পারভেজ ,মিজ শিরিন ফারজানা, প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও ময়নাল হোসেন, কনস্যুলার সহকারী। আলোচনা পর্বে প্রবাসী বাংলাদেশীদের পক্ষ থেকে বিশিষ্ট ব্যবসায়ী নূরে আলম রিন্টু এবং মাসুদুর রহমান, সিইও, ন্যাশনাল ব্যাংক বক্তব্য প্রদান করেন। তারা স্বাধীনতা আন্দোলন এর বিভিন্ন পর্যায় ও দেশের উন্নয়ন নিয়ে আলোচনা করেন। অতঃপর মহান স্বাধীনতা ও মুক্তি যুদ্ধের উপর ভিত্তি করে নির্মিত একটি ভিডিও চিত্র প্রদর্শন করা হয়।
    উল্লেখ্য প্রধান অতিথির বক্তব্যে হাইকমিশনার এস এম আবুল কালাম আজাদ বাঙ্গালী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, জাতীয় চার নেতা ও বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং বীরাঙ্গনা মা-বোনদের অপরিসীম ত্যাগ ও ভূমিকার কথা শ্রদ্ধার্ঘ্য চিত্তে স্মরণ করেন । তিনি জাতির পিতার সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিভিন্ন উন্নয়ন পরিকল্পনা এবং দেশের ক্রমবর্ধমান অগ্রগতি ও সমৃদ্ধিতে তাঁর ভূমিকার কথা উল্লেখ করেন। তিনি স্বাধীনতার সপক্ষে বন্ধুরাষ্ট্র ও তৎকালীন প্রবাসীদের জনমত গঠনের বিষয় স্মরণ করেন। মালদ্বীপ প্রবাসী সকল বাংলাদেশীদের তিনি মহান স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা জানান। সবশেষে তিনি বাংলাদেশের সার্বিক উন্নয়নে ও ২০৪১ সালে স্মার্ট ও উন্নত বাংলাদেশ গঠনে সকলকে যার যার অবস্থান থেকে কাজ করার আহ্বান জানান।
    অনুষ্ঠানে প্রবাসী বাংলাদেশী বিশিষ্ট ব্যবসায়ী এবং বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার উল্লেখযোগ্য সংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশী ব্যক্তিবর্গ ও হাইকমিশনের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীগন উপস্থিত ছিলেন।

  • দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের বিজয়ে-নেদারল্যান্ডস আওয়ামী লীগের আনন্দ সমাবেশ

    দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের বিজয়ে-নেদারল্যান্ডস আওয়ামী লীগের আনন্দ সমাবেশ

    প্রেস বিজ্ঞপ্তি ।

    এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে-জানানো হয় যে, বাংলাদেশের দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে-আওয়ামী লীগের নিরঙ্কুশ বিজয়ে এবং বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা টানা চতুর্থবার এবং পঞ্চমবারের মতো প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ায়-গত ২৮ জানুয়ারী, রাজধানী আমষ্টারডাম এক অভিজাত রেস্টুরেন্টে, নেদারল্যান্ডস আওয়ামী লীগের উদ্যোগে- ‘আনন্দ সমাবেশ’ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে সভাপতিত্ব করেন, সংগঠনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য জনাব মতিউর রহমান। সঞ্চালনায়-ছিলেন, সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা জামান।

    অনুষ্ঠানে-বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, নেদারল্যান্ডস আওয়ামী লীগের সিনিয়র যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক শ্রী শ্যামল শীল ও আওয়ামী যুবলীগ, নেদারল্যান্ডস শাখার সভাপতি জনাব ওয়াফি বিন দেলুয়ার। আরও উপস্থিত ছিলেন, সংগঠনের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক শামীম আক্রাম, সাংগঠনিক সম্পাদক রানা আহমেদ, সাংগঠনিক সম্পাদক বিষ্ণু বিশ্বাস, কার্যনির্বাহী সদস্য সাইফুল ইসলাম চৌধুরী ও সদস্য আহমেদ খান প্রমুখ। এবং আওয়ামী যুবলীগ, নেদারল্যান্ডস শাখার সাধারণ সম্পাদক কামাল হোসেন সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন।

    সমাবেশ থেকে উপস্থিত নেতৃবৃন্দ, নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নিরঙ্কুশ বিজয়ে এবং টানা চতুর্থবার ও পঞ্চমবারের মতো প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ায়-জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকন্যা, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনাকে প্রাণঢালা অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানান। এবং তাঁর হাতকে ঐক্যবদ্ধভাবে আরও শক্তিশালী করার শপথে বলীয়ান হন, উপস্থিত নেতৃবৃন্দ। অত্যান্ত আনন্দঘন পরিবেশে-মধ্যাহ্নভোজের মধ্যদিয়ে উক্ত সমাবেশের সমাপ্তি ঘটে। জয় বাংলা-জয় বঙ্গবন্ধু।

  • মালদ্বীপে বাংলাদেশ দূতাবাসে জাতীয় প্রবাসী দিবস উদযাপিত

    মালদ্বীপে বাংলাদেশ দূতাবাসে জাতীয় প্রবাসী দিবস উদযাপিত

    আবদুল্লাহ কাদের মালদ্বীপ :-

    মালদ্বীপে বাংলাদেশ হাইকমিশন কর্তৃক উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে জাতীয় প্রবাসী দিবস (৩০ ডিসেম্বর) ২০২৩ উদযাপন করা হয়, প্রবাসীর কল্যাণ মর্যাদা আমাদের অঙ্গীকার, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ায় তারাও অংশীদার’ এই প্রতিপাদ্য নিয়ে এবারই প্রথম জাতীয় প্রবাসী দিবস উদযাপন করা হয়। এ উপলক্ষে সন্ধ্যায় হাইকমিশনের হলরুমে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। মোহাম্মদ ইবাদ উল্লাহর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার মোহাম্মদ সোহেল পারভেজ। পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু হয়, তেলাওয়াত করেন মাওলানা তাজুল ইসলাম।

    অনুষ্ঠানে জাতীয় প্রবাসী দিবস ২০২৩ উপলক্ষে মহামান্য রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্র মন্ত্রী ও প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রীর বাণী পাঠ করেন যথাক্রমে হাইকমিশনারের তৃতীয় সচিব চন্দন কুমার সাহা, কল্যাণ সহকারী আল মামুন পাঠান, মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন ও বার্তা বাহক আবু রায়হান।

    প্রবাসী বাংলাদেশীদের পক্ষ হতে বক্তব্য প্রদান করেন বিশিস্ট ব্যবসায়ী আলহাজ্ব মোহাম্মদ সোহেল রানা, সিআইপি, বাংলাদেশী চিকিৎসক সুজন চন্দ্র পাল ও রেড ক্রিসেন্ট মালদ্বীপের স্বেচ্ছাসেবক, মোহাম্মদ কামাল হোসেন। তাঁরা তাদের বক্তব্যে প্রবাসী বাংলাদেশীদের জন্য প্রদত্ত বিভিন্ন সুযোগ সুবিধার জন্য সরকারকে সাধুবাদ জানান। তারা মিশন হতে জাতীয় পরিচয়পত্র প্রদানের জন্য দাবী জানান। এছাড়াও আলোচনায় প্রবাসীদের স্বাস্থ্য সচেতন হওয়ার জন্য দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়। সাম্প্রতিক ফাইলেরিয়া রোগের প্রাদুর্ভাব মোকাবিলায় সবাইকে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানান হয়।
    প্রবাসী দিবস ২০২৩ উপলক্ষে নির্মিত একটি তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
    প্রধান অতিথির বক্তব্যে ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার মো: সোহেল পারভেজ গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে এবং দেশের জন্য আত্মত্যাগকারী বীর মুক্তিযোদ্ধাদের। তিনি উল্লেখ করেন প্রবাসীরা আমাদের অর্থনীতির অন্যতম মূল চালিকা শক্তি। তিনি বলেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রবাসীদের অবদানের কথা উল্লেখ করে বলেছেন প্রবাসীরা আমাদের অনেক দিয়েছেন এখন প্রবাসীদের আমাদের দেয়ার পালা। আজকের প্রবাসী দিবস তার উদাহরন। তিনি সকলকে সরকারের প্রদত্ত সুবিধার বিষয়ে জানা ও সেগুলি গ্রহনের জন্য অনুরোধ জানান এবং সকলকে বৈধ পথে রেমিটেন্স প্রেরণের জন্য আহ্বান জানান। সবশেষে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গঠনের জন্য সবাইকে যার যার অবস্থান হতে কাজ করার জন্য তিনি অনুরোধ জানান।
    পরবর্তীতে দিবসটি উদযাপন উপলক্ষে প্রধান অতিথি সকলকে সাথে নিয়ে একটি কেক কাটেন। মালদ্বীপের রাজধানী মালে ও আশপাশের এলাকায় বসবাসরত উল্লেখযোগ্য সংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। নৈশভোজের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি হয়।
    এছাড়াও প্রবাসী দিবস উপলক্ষে সপ্তাহব্যাপী সেবা সপ্তাহ পালন করে হাইকমিশন।

  • দক্ষিণ ভারতের কালিকট,কেরালায়,মেত্রা হাসপাতাল নিয়ে এলো বাংলাদেশে বিনা মূল্যে চিকিৎসা

    দক্ষিণ ভারতের কালিকট,কেরালায়,মেত্রা হাসপাতাল নিয়ে এলো বাংলাদেশে বিনা মূল্যে চিকিৎসা

    বিশেষ প্রতিনিধিঃ

    মেত্রা হাসপাতাল দক্ষিণ ভারতের সবচেয়ে উন্নত কোয়াটারারি কেয়ারগুলির মধ্যে একটি
    আধুনিক সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল।
    জনাব ফয়জল-ই-কোত্তিকোলন মেত্রা হাসপাতালের সভাপতি পাশাপাশি একজন উদ্যোক্তা, দূরদর্শী শিল্পপতি এবং নিবেদিতপ্রাণ সমাজসেবী।
    ২০১৭ সালে, মেত্রা হাসপাতাল, কালিকট, কেরালা, দক্ষিণ ভারত বিশ্বব্যাপী মানুষের সেবা করার জন্য শুভ ওষুধের যাত্রা শুরু করেছিল। খুব অল্প সময়ের মধ্যে বিভিন্ন দেশের চিকিৎসকরা সারা বিশ্বের মানুষকে উন্নত চিকিৎসা সেবা দিচ্ছেন। এবং শীঘ্রই, সারা বিশ্ব থেকে মানুষ উচ্চমানের চিকিৎসা সেবা পেতে মেত্রা হাসপাতালে আসেন। সারা বিশ্ব থেকে মানুষ চিকিৎসার জন্য মেত্রা হাসপাতালে আসেন এবং সর্বাধুনিক মানসম্পন্ন চিকিৎসা সেবা ও সব সুযোগ-সুবিধা পান।
    মেত্রা হাসপাতাল উন্নত রোগীর যত্নের জন্য একটি ব্যাপক পদ্ধতির নিশ্চিত করার জন্য সমন্বিত নেতৃত্বে চিকিৎসা ও অস্ত্রোপচার বিভাগ, হার্ট-ফুসফুস ট্রান্সপ্ল্যান্ট, প্যানক্রিয়াস ট্রান্সপ্লান্ট, অগ্ন্যাশয় ট্রান্সপ্লান্ট, ছোট অন্ত্র ট্রান্সপ্ল্যান্ট, লিভার-কিডনি ট্রান্সপ্লান্ট সহ বহু-অঙ্গ প্রতিস্থাপন ইউনিটগুলিকে একীভূত করে। , বোন ম্যারো ট্রান্সপ্লান্ট সহ হ্যান্ড ট্রান্সপ্লান্ট, রোবোটিক জয়েন্ট রিপ্লেসমেন্ট সার্জিক্যাল সেন্টার, এপিলেপসি-সিজার সার্জারি, সুপার স্পেশালিটি যেমন নিউরোসার্জারি, সিটিভিএস, ইউরোলজি, গাইনোকোলজি,
    মেডিকেল-সার্জিক্যাল অনকোলজি, প্লাস্টিক সার্জারি, অর্থোপেডিকস (প্রথাগত মেডিসিন, ট্রান্সপ্লান্ট সহ) চাইনিজ, ন্যাচারোপ্যাথি) সবই এক ছাদের নিচে।
    মেত্রা হাসপাতালে নিবিড় পরিচর্যা ইউনিট সহ 500 শয্যা রয়েছে। এবং মেইট্রা হসপিটাল সেন্টার অফ এক্সিলেন্স (COEs) নেতৃস্থানীয় সমন্বিত চিকিৎসা ও অস্ত্রোপচার বিভাগ। তারা একসাথে চিকিত্সা উন্নত করে এবং রোগীর যত্নের জন্য একটি ব্যাপক পদ্ধতির নিশ্চিত করে। বিখ্যাত ডাক্তার, অত্যাধুনিক সুবিধা এবং প্রযুক্তি-সক্ষম ক্লিনিকাল অনুশীলন অ্যালির অভিজ্ঞতাকে সংজ্ঞায়িত করে। মেত্রা হাসপাতাল বিশ্বব্যাপী ক্লায়েন্টদের একটি বিরামহীন এবং ব্যক্তিগতকৃত স্বাস্থ্যসেবা অভিজ্ঞতা প্রদান করে। মেত্রা হাসপাতাল ইন্টারন্যাশনাল পেশেন্ট সেন্টার ভিসা সহায়তা, ভাষা ব্যাখ্যা, বিমানবন্দর সুবিধা এবং বিশ্বজুড়ে রোগীদের জন্য আরও নিশ্চিত ব্যক্তিগত যত্ন সহ, মেত্রা হাসপাতাল একটি নির্বিঘ্ন স্বাস্থ্যসেবা যাত্রা নিশ্চিত করে।
    এদিকে দক্ষিণ ভারতের কেরালার কালিকটের মেত্রা হাসপাতালের ডা. শচীন সুরেশ বাবু
    এবং সঙ্গে ছিল
    ডাঃ মিধু মাধবন পি.সি
    ডঃ সন্দীপ এম.
    এবং মিস: উর্বশী কাপুর
    সিনিয়র ম্যানেজার আন্তর্জাতিক সম্পর্ক।
    বিশেষ অতিথি ছিলেন ঢাকা প্রেসক্লাব এর সাধারণ সম্পাদক মোঃ দেলোয়ার হোসেন
    ডাঃ শচীন সুরেশ বাবু বলেন, এখন বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সহযোগী হাসপাতালের পক্ষ থেকে আমরা শক্তিশালী সক্ষমতা বৃদ্ধির মাধ্যমে বাংলাদেশের বিভিন্ন হাসপাতালের টেকনিশিয়ান ও চিকিৎসকদের দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য কাজ শুরু করেছি। আজ ঢাকার সোনারগাঁও হোটেলে সাংবাদিকদের বক্তৃতায় ড. শচীন সুরেশ বাবু আরও বলেন, মৈত্রের চিকিৎসকরা নিয়মিত স্বাস্থ্য আলোচনা, জ্ঞান আদান-প্রদানের জন্য সিএমই, চিকিৎসক, নার্স ও টেকনিশিয়ানদের সাশ্রয়ী মূল্যের চিকিৎসার জন্য ভারতে আসার জন্য বিনামূল্যে পর্যবেক্ষক কর্মসূচি পরিচালনা করবেন। যারা এটি চান তাদের উন্নত চিকিৎসা প্রদান করুন।
    মেত্রা হাসপাতাল জ্ঞান ভাগাভাগি করতে এবং ভারতে চিকিৎসার জন্য নিয়মিত CME রোগীদের উন্নততর স্বাস্থ্যসেবা সহায়তা প্রদান করতে স্বাস্থ্য-কথোপকথনের মাধ্যমে ডাক্তারদের সাথে সহযোগিতা করবে। মেত্রা হাসপাতালের আরেকটি বিশেষ বৈশিনষ্ট্য হল যে উপলব্ধ শয্যাগুলির মধ্যে কিছু অঞ্চলের অভাবী রোগীদের জন্য সংরক্ষিত রয়েছে, যাদের বিনামূল্যে চিকিৎসা করা হবে।

  • দূতাবাসে  আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস পালিত

    দূতাবাসে আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস পালিত

    আবদুল্লাহ কাদের মালদ্বীপ থেকে ঃ-

    মালদ্বীপের বাংলাদেশ হাইকমিশনের হলরুমে একটি আলোচনা সভা আয়োজন করা হয় সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) ২০২৩ উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মান্যবর হাইকমিশনার রিয়ার এডমিরাল এস এম আবুল কালাম আজাদ। মিশনের কাউন্সেলর (শ্রম) মোহাম্মদ সোহেল পারভেজ তার বক্তব্যে মালদ্বীপ প্রবাসী বাংলাদেশীদের আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবসের অভিনন্দন জানান।

    উল্লেখ্য প্রবাসী বাংলাদেশীদের কষ্টার্যিত রেমিটেন্স এর মাধ্যমে দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি তরান্বিত হচ্ছে। তিনি সকলকে স্থানীয় আইন মেনে বৈধ ভাবে কাজ করার আহ্বান জানান। এছাড়া, তিনি সর্বজনীন পেনশন, ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের সদস্যপদ, ই পাসপোর্ট, ইত্যাদি বিষয়ে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রদান করেন। হাইকমিশনার তাঁর বক্তব্যে প্রবাসী রেমিটেন্স যোদ্ধাদের জন্য সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরেন। তিনি প্রবাসীদের নিজের স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য সচেতন হওয়ার অনুরোধ করেন। এছাড়াও যে কোন কাজে মধ্যসত্ত্বভোগীদের এড়িয়ে চলার পরামর্শ প্রদান করেন। তিনি বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গঠনে সবাইকে একযোগে কাজ করার জন্য তিনি আহ্বান জানান।

    মিশনের কল্যাণ সহকারী আল মামুন পাঠান এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে মিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ ও উল্লেখযোগ্য সংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

  • মালদ্বীপে দূতাবাসের উদ্যোগে মহান বিজয় দিবস উদযাপিত

    মালদ্বীপে দূতাবাসের উদ্যোগে মহান বিজয় দিবস উদযাপিত

    আবদুল্লাহ কাদের মালদ্বীপ থেকে ঃ-
    শনিবার (১৬ ডিসেম্বর) ২০২৩ বাংলাদেশ হাই কমিশন মালদ্বীপ কর্তৃক দিনব্যাপী যথাযোগ্য মর্যাদা ও উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে মহান বিজয় দিবস উদযাপন করা হয়, বিজয় দিবস উপলক্ষে সান্ধ্যকালীন আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানটি মালদ্বীপ ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়। প্রত্যুষে বাংলাদেশ হাই কমিশন প্রাঙ্গনে জাতীয় সঙ্গীতের সাথে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের শুরু হয়। জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন মালদ্বীপে নিযুক্ত বাংলাদেশ হাইকমিশনার রিয়ার এডমিরাল এস এম আবুল কালাম আজাদ।

    মোহাম্মদ ইবাদ উল্লাহ এর সঞ্চালনায় পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু করেন মাওলানা তাজুল ইসলাম, এরপর জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন করা হয়। হাইকমিশনার রিয়ার এডমিরাল এস এম আবুল কালাম আজাদ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে দিবস উপলক্ষে মহামান্য রাষ্ট্রপতি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, মাননীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রী প্রদত্ত বানীসমূহ পাঠ পাঠ করেন যথাক্রমে বাংলাদেশ দূতাবাসের মিশনের তৃতীয় সচিব চন্দন কুমার সাহা , প্রশাসনিক কর্মকর্তা, মিজ শিরিন ফারজানা, কনস্যূলার সহকারী ময়নাল হোসেন এবং কল্যাণ সহকারী আল মামুন পাঠান।
    অনুষ্ঠানে মালদ্বীপে বাংলাদেশ হাইকমিশনের কাউন্সিলর ও দূতালয় প্রধান মোহাম্মদ সোহেল পারভেজ স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন। তিনি গভীর শ্রদ্ধার সাথে বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও দেশের সূর্য সন্তান বীর মুক্তি যোদ্ধাদের স্মরন করেন। তিনি প্রবাসী বাংলাদেশীদের বিদেশে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করার জন্য যার যার অবস্থান থেকে কাজ করার আহ্বান জানান।

    বিজয় দিবসে প্রবাসী বাংলাদেশীদের পক্ষ হতে বক্তব্য প্রদান করেন বিশিস্ট ব্যবসায়ী ও সি আই পি আলহাজ্ব মো: সোহেল রানা, মালদ্বীপ আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব মোঃ দুলাল মাতবর। পর্যায়ক্রমে মুক্তিযুদ্ধ ও উন্নয়নমূলক প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শন করা হয়।

    উল্লেখ্য উক্ত অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথির বক্তব্যে মালদ্বীপে নিযুক্ত বাংলাদেশ হাইকমিশনার গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি। তিনি গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন সকল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের যাদের আত্মত্যাগের ফলে বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্র সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়াও তিনি জাতীয় চার নেতা, সকল বীর মুক্তিযোদ্ধা, সম্ভ্রম হারা ২ লক্ষ মা বোন, মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক-সমর্থক, বিদেশী বন্ধু, যুদ্ধাহত ও শহীদ পরিবারের সদস্য সহ সকলের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন। তিনি উল্লেখ করেন বঙ্গবন্ধুকে ষড়যন্ত্রকারীরা হত্যা করলেও তার স্বপ্নকে হত্যা করা যাবে না। জাতির পিতার সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের রোল মডেলে পরিণত হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি সকলকে বিশেষ করে ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শের উপর ভিত্তি করে গড়ে তুলতে বলেন। প্রবাসী ও দেশে সবাই একযোগে কাজ করলে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা তথা উন্নত স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলা সহজ হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
    এরপর আলোচনা অনুষ্ঠানের পর একটি মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করা হয়। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ হতে আগত শিল্পি আকাশ মাহমুদ, দৃস্টি তালুকদার বন্যা, মহুয়া মুনা সঙ্গীত পরিবেশন করেন। এছাড়াও, প্রবাসী বাংলাদেশী নাগরিক ডা: জেবা উন নাহার, মিজ ফেরদৌসী, তনিমা সাহা, জনাব শফিকুল ইসলাম সাংষ্কৃতিক অনুষ্ঠানে কবিতা আবৃত্তি ও গান পরিবেশন করেন।
    মালদ্বীপের মালেতে ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির অডিটোরিয়ামে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে বিপুল সংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশীবৃন্দ ও মিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন । সবশেষে নৈশ ভোজের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি হয়।

  • মালদ্বীপে অনিবন্ধিত অভিবাসী কর্মীদের  জন্য দুঃসংবাদ

    মালদ্বীপে অনিবন্ধিত অভিবাসী কর্মীদের জন্য দুঃসংবাদ

    মোঃ আবদুল্লাহ কাদের মালদ্বীপ থেকে ঃ-

    মালদ্বীপের ইমিগ্রেশন মালদ্বীপে অনিবন্ধিত অভিবাসীদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করার পরিকল্পনা ঘোষণা করেছে, সূত্র মালদ্বীপ ইমিগ্রেশন।
    বৃহস্পতিবার, ০৭ ডিসেম্বর এক বিবৃতিতে ইমিগ্রেশন জানিয়েছে, অভিযানে তারা অনিয়মিত প্রবাসী কর্মীদের অবৈধ তথ্য যাচাই-বাছাই এর পরিদর্শন চালাবে। ইমিগ্রেশন আরও জানিয়েছে, অভিবাসন আইন লঙ্ঘনকারী অভিবাসীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া এবং অনিবন্ধিত অভিবাসীদের নিয়মিত করাই এই অভিযানের উদ্দেশ্য।

    উল্লেখ্য সংস্থাটি বলেছে, “এই অভিযানের আরেকটি উদ্দেশ্য হ’ল নিয়োগকর্তা, সরকারী প্রতিষ্ঠান, বিদেশী দূতাবাস, সাধারণ জনগণ এবং অন্যান্য স্টেকহোল্ডারদের সহযোগিতায় কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা। এবং যারা অভিবাসন আইনের সততা ক্ষুণ্ন করবে তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
    তবে অনিয়মিত অভিবাসী বাংলাদেশী কর্মীদের মধ্যে মালদ্বীপে বিপুল সংখ্যক অনিবন্ধিত অভিবাসী রয়েছে, যাদের অনেকেই এখনো অনিবন্ধিত রয়েছে।

    এই বিষয়ে মালদ্বীপে বাংলাদেশ হাইকমিশনার মিশনের কাউন্সিল শ্রম সোহেল পারভেজ এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি মালদ্বীপে আনডকুমেন্টেড কর্মীদের দ্রুত বৈধ হওয়ার জন্য অনুরোধ করেন ।তিনি আরও বলেন দালাল ধরে বৈধ হওয়ার চেষ্টা যেনো প্রবাসীরা না করে। যেখানে কাজ করে সেখানেই বৈধ হওয়ার চেষ্টা করতে। কারণ দালাল ধরে করলে অনেক সমস্যা হতে পারে উদাহরণ হিসেবে তিনি বলেন আমরা ইদানীং শুনতে পেরেছি যারা দালাল ধরে বৈধ হয়েছে তারা দেশে গেলে ভিসা বাতিল করে দিচ্ছে।

  • জন্মদিনে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ মালদ্বীপ প্রবাসী নূরে আলম ভূইয়ার

    জন্মদিনে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ মালদ্বীপ প্রবাসী নূরে আলম ভূইয়ার

    মোঃ আবদুল্লাহ কাদের মালদ্বীপ থেকে ঃ- রবিবার (১২ নভেম্বর) ২০২৩ স্থানীয় সময় রাত ১০ টায় মালদ্বীপের রাজধানী মালের সাউথ রেস্তোরাঁয় মালদ্বীপ শাখা আওয়ামী লীগের যুব-ক্রীড়া সম্পাদক মোঃ নূরে আলম ভূইয়ার জন্মদিন উদযাপন করা হয়।

    উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মালদ্বীপ আওয়ামী-লীগের সিনিয়র সহ সভাপতি হাজী মোঃ সাদেক, সহ সভাপতি মোঃ ফাইজুর রহমান, মোঃ মিজানুর রহমান আনিস সাংগঠনিক সম্পাদক, দপ্তর সম্পাদক মোঃ রুবেল মৃধা, প্রচার সম্পাদক আনোয়ার হোসেন রাজু, প্রচার সম্পাদক মোঃ এনামুল হক জাকির, সাংস্কৃতিক সম্পাদক মোঃ জামাল হোসেন, মোঃ তুষার আহমেদ, মোঃ রেজাউল করিম, মোঃ মিঠু আহমেদ প্রমুখ।

    অনুষ্ঠানের শুরুতে সকলে মোঃ নূরে আলম ভূইয়ার জন্মদিন উপলক্ষে তার দীর্ঘায়ু, সুস্থতা ও উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ কামনা করে সকলে দোয়া করেন।
    এসময় মালদ্বীপ আওয়ামী লীগের যুব- ক্রিয়া সম্পাদক মোঃ নূরে আলম ভূইয়া সকলের উপস্থিতে সকলের প্রতি কৃতজ্ঞ প্রকাশ করেন এবং সকলে মিলে প্রবাসে এক সাথে থাকার আহবান করেন।
    পরিশেষে নৈশভোজের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি করা হয়।

  • মালদ্বীপে আওয়ামী লীগের উদ্যোগে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ পুত্র শেখ রাসেল দিবস উদযাপিত

    মালদ্বীপে আওয়ামী লীগের উদ্যোগে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ পুত্র শেখ রাসেল দিবস উদযাপিত

    মোঃ আবদুল্লাহ কাদের মালদ্বীপ থেকে ঃ- বুধবার ১৮ অক্টোবর ২০২৩ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ পুত্র শেখ রাসেল’র জন্মদিন উদযাপন করেন মালদ্বীপ শাখা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে মালদ্বীপের রাজধানী সি বিল্ডিং হল রুমে, অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কোরআন তেলওয়াত করেন মাওলানা মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্বে করেন মালদ্বীপ আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব দুলাল মাতব্বর।
    অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মালদ্বীপ হাইকমিশনার রিয়াল এডমিরাল এস এম আবুল কালাম আজাদ, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হাইকমিশনার তৃতীয় সচিব চন্দন কুমার সাহা, মালদ্বীপ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মোঃ জসিম উদদীন, মালদ্বীপ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ দুলাল হোসেন ভিউ কনস্ট্রাকশন প্রাইভেট লিমিটেড এর চেয়ারম্যান।

    উল্লেখ্য ১৯৬৪ সালের ১৮ অক্টোবর ঢাকায় ঐতিহাসিক বঙ্গবন্ধু ভবনে জন্ম গ্রহণ করেন শেখ রাসেল, বঙ্গবন্ধু তাঁর প্রিয় লেখক খ্যাতিমান দার্শনিক ও নোবেল বিজয়ী ব্যক্তিত্ব বার্ট্রান্ড রাসেলের নামানুসারে পরিবারের নতুন সদস্যের নাম রাখেন ‘রাসেল’। এই নামকরণে মা বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিবও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। শৈশব থেকেই দুরন্ত প্রাণবন্ত রাসেল ছিলেন পরিবারের সবার অতি আদরের, কিন্তু মাত্র দেড় বছর বয়স থেকেই প্রিয় পিতার সঙ্গে তাঁর সাক্ষাতের একমাত্র স্থান হয়ে ওঠে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার ও ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট। তবে সাত বছর বয়সে ১৯৭১ সালে তিনি নিজেই বন্দি হয়ে যান।শেখ রাসেলের ভুবন ছিল তাঁর পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও মাতা বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব, বোন শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা এবং ভাই শেখ কামাল ও শেখ জামালকে ঘিরে। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট কালরাতে দেশি-বিদেশি চক্রান্তে পরিবারের সদস্যদের সাথে শেখ রাসেলকেও হত্যা করা হয়। তখন রাসেল ইউনিভার্সিটি ল্যাবরেটরি স্কুলের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র ছিলেন।

    প্রধান অতিথি এস এম আবুল কালাম আজাদ বলেন, শৈশব থেকে দুরন্ত প্রাণবন্ত সকলের আদরের ছোট শিশু শেখ রাসেল ছিল অত্যন্ত বিনয়ী ও পরোপকারী। বিভিন্ন বর্ণনায় শিশু শেখ রাসেলের যে আদর্শ চারিত্রিক বৈশিষ্টের রূপ পাওয়া যায়, তা সকল শিশু-কিশোর-এর জন্য আদর্শ।

    হাইকমিশনার আরো বলেন, ১৯৭৫ এর ১৫ আগস্টের কালরাতে ঘাতকেরা বঙ্গবন্ধুর রক্তের উত্তরাধিকারদের নিশ্চিহ্ন করে দিতে কোমলমতি শিশু রাসেলকেও নির্মমভাবে হত্যা করে, কিন্তু তারা সফল হয়নি। শেখ রাসেল আজ শিশুদের প্রতীক ও মানবিক সত্ত্বা হিসেবে বেঁচে আছে সবার মাঝে। শেখ রাসেলের সুন্দর পৃথিবীর স্বপ্নকে বাস্তবে রুপ দিতে নিরলসভাবে কাজ করছেন তার প্রিয় ‘হাসু আপা’ বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
    আয়োজিত অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন মালদ্বীপ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মোঃ মজিবুর রহমান, ডাঃ সুজন চন্দ্র পাল, মালদ্বীপ ন্যাশনাল ব্যাংকের সি ইউ মোহাম্মদ মাসুদুর রহমান, লোকাল ডিরেক্টর হান্নান খান কবির, আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মোঃ মনির হোসেন,সহ-সভাপতি শাহজালাল শিকদার, মোঃ সাইফুল ইসলাম, আওয়ামী লীগ নেতা মোঃ জাকির হোসেন, আওয়ামী লীগ নেতা মোঃ সিরাজুল ইসলাম, মোঃ রাসেল হাওলাদার, মোঃ ওলি উল্লাহ, মোঃ সান্ত প্রমুখ।

    মোঃ নূরে আলম রিন্টুর সন্জলনায় অনুষ্টানে মোনাজাত ও দোয়া করে কেক কেটে নৈশভোজের মাধ্যমে অনুষ্ঠান সমাপ্তি ঘোষণা করেন