Author: desk

  • ক্ষেতলালে প্রতিবন্ধী কিশোরীকে  ধর্ষনের চেষ্টায়  ৬৫ বছরের বৃদ্ধ শ্রীঘরে

    ক্ষেতলালে প্রতিবন্ধী কিশোরীকে ধর্ষনের চেষ্টায় ৬৫ বছরের বৃদ্ধ শ্রীঘরে

    এস এম মিলন জয়পুরহাট জেলা প্রতিনিধিঃ

    জয়পুরহাটের ক্ষেতলালে বুদ্ধি প্রতিবন্ধী কিশোরীকে (১৭) ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগে আবুল কাশেম (৬৫) নামের এক বৃদ্ধকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ।

    থানাসুত্রে জানা যায়, গতকাল ১২ই জুলাই বিকেল ৫টায় বুদ্ধি প্রতিবন্ধী ওই কিশোরী নিজ বাড়ির পাশে নানি ও ছোট ভাইয়ের সাথে বসে গল্প করছিল। একপর্যায়ে আসরের আযান দিলে নানি নামায পড়তে বাসায় যায়, সাথে ভুক্তভোগীর ছোট ভাইও চলে যায়। সে সুযোগে প্রতিবন্ধী কিশোরীকে একা পেয়ে প্রতিবেশি আবুল কাশেম (৬৫) বাড়ির পার্শ্বে খড়ের গাদার পিছনে নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করে।
    এসময় ওই প্রতিবন্ধীর চিৎকারে প্রতিবেশীরা তাকে উদ্ধার করে এবং অভিযুক্ত বৃদ্ধ কৌশলে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।

    পরে এবিষয়ে স্থানীয় ভাবে আপোষের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে ভুক্তভোগীর নানি পরদিন বুধবার থানায় অভিযোগ করেন। ওইদিন বিকেল ৫ টায় ক্ষেতলাল থানার এসআই রবিউল ইসলাম সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে উপজেলার ফোঁপরা (সুজাপুর) গ্রামে অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত আসামিকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠান।

    ক্ষেতলাল থানার অফিসার ইনচার্জ রওশন ইয়াদানি জানান, অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ায় অভিযান চালিয়ে আসামিকে গ্রেফতার করা হয়। আজ বুধবার তাকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।

  • বিরামপুরে সাবেক মেয়রের ভাতিজাকে মারপিট, বর্তমান মেয়রের দুই ভাইয়ের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ

    বিরামপুরে সাবেক মেয়রের ভাতিজাকে মারপিট, বর্তমান মেয়রের দুই ভাইয়ের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ

    জাকিরুল ইসলাম,
    দিনাজপুর, প্রতিনিধি:

    দিনাজপুরের বিরামপুর পৌরসভার সাবেক পৌর মেয়র লিয়াকত আলী সরকার টুটুলের ভাতিজাকে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ উঠেছে বর্তমান পৌর মেয়র আককাস আলীর দুই ভাই আবু আসলাম বাবু ও আব্দুর রাজ্জাকের বিরুদ্ধে।

    মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৫টার সময় পৌর শহরের ইসলামপাড়া মহল্লায় বর্তমান মেয়রের বাসভবনের পাশের মোড়ে এ মারপিটের ঘটনা ঘটে।

    এঘটনায় ভুক্তভোগী তাহসিন সালামের বাবা আব্দুস সালাম সরকার থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। সেটি প্রকাশ পায় বুধবার রাতে। তাহসিন সালাম ইসলামিক ইউনিভার্সিটি এন্ড টেকনোলজি (ও.আই.সি) ২য় বর্ষের আবাসিক ছাত্র।

    থানায় করা অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার বিকেলে তাহসিম সালাম মোটরসাইকেল নিয়ে ইসলামপাড়া মহল্লায় ফুফুর বাসায় বেড়াতে যাবার সময় বর্তমান পৌর মেয়রের বাড়ির সামনের মোড়ে পৌঁছিলে মেয়রের দুই ভাই আবু আসলাম বাবু ও আব্দুর রাজ্জাক পৃর্ব শত্রুতার জের ধরে তাহসিম সালামকে মোটরসাইকেলসহ রাস্তায় আটক করে। তাহসিম তার পরিচয় দেবার পর বাবু ও রাজ্জাক রাজনৈতিক কারণে তাহসিমকে এলোপাথারীভাবে মারধর করতে থাকে। এসময় তার মোটরসাইকেল রাস্তায় ফেলে দিয়ে ম্যানিব্যাগ জোরপূর্বক ছিনিয়ে নেয় এবং মোবাইল ফোন ভেঙ্গে ফেলে। প্রাণ বাঁচানোর তাগিদে তাহসিম চিৎকার করলে পথচারী ও স্থানীয়রা তাকে রক্ষা করে। পরে আবু আসলাম বাবু ও আব্দুর রাজ্জাক তাহসিমকে বিভিন্ন ধরনের ভয়-ভীতিসহ প্রাণ নাশের হুমকি দিয়ে চলে যায়। খবর পেয়ে তাহসিমের পিতা আব্দুস সালাম ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে আহত ছেলেকে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন।

    অভিযোগকারী আব্দুস সালাম সরকার জানান, আমার সন্তানদের পড়াশুনা ও ব্যাবসায়ীক কাজে আমি পরিবারসহ ঢাকায় থাকি। গত শনিবার ঈদ করতে আমরা বিরামপুরে আমার বড় ভাই সাবেক পৌর মেয়র আলহাজ্ব লিয়াকত আলী সরকার টুটুলের বাসায় আসি। অতঃপর মঙ্গলবার আমার ছেলে তাহসিম ইসলামপাড়ায় আমার বোনের বাড়িতে যাবার সময় রাজনৈতিক ও পূর্ব শত্রুতার জের ধরে আমাকেসহ আমার পরিবারের লোকজনদেরকে সামাজিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন ও লাঞ্ছিত করার উদ্দেশ্যে আমার ছেলেকে রাস্তায় আটকিয়ে মারধর করেছে। এবিষয়ে আমি থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি, আমি প্রশাসনের নিকট এঘটনার বিচার ও শাস্তি দাবী করছি।

    থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুমন কুমার মহন্ত জানান, অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

    প্রতিনিধি, দিনাজপুর।

  • বিয়ের কথা গোপন রেখে আমেরিকা প্রবাসির সাথে বিয়ের পিঁড়িতে নব বধূ

    বিয়ের কথা গোপন রেখে আমেরিকা প্রবাসির সাথে বিয়ের পিঁড়িতে নব বধূ

    স্টাফ রিপোর্টারঃ- নিরেন দাস

    রাজশাহী: আড়াই বছরের প্রেম এবং বিয়ের কথা গোপন রেখে আমেরিকা প্রবাসি ছেলের সাথে আবারও বিয়ের পিঁড়িতে বসতে যাচ্ছেন নব বধূ।

    জানা গেছে, পাবনা জেলার ফরিদপুর গ্রাম থেকে রাজশাহী সরকারী মহিলা কলেজে ভর্তি হন পুস্পিতা নামের এক যুবতী। এর কিছুদিন পরেই রাজশাহী মহানগরীর মতিহার থানার কাজলা অক্ট্রয় মোড় এলাকার শুভ সরকার নামের এক যুবকের সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে পুস্পিতার।

    আড়াই বছরের প্রেমের সম্পর্ক চলাকালীন সময় তাদের উভয় পরিবারের প্রায় সকল সদস্যের মাঝে বিষয়টি জানাজানি হয়। এতে যুবতীর পরিবার থেকে যুবকের সাথে বিবাহ্রে বিষয়ে মত-বিরোধ দেখা হয়। এরই মধ্যে যুবককে প্রত্যাখানের জন্য যুবতীকে চাপ দেয় তার পরিবাররের লোকজন।

    কিন্তু এই কপোত-কপোতী কেউ কাউকে ছাড়া বাঁচবেনা। তাই তারা সিদ্ধান্ত নেয় প্রেমের ইতি টেনে দ্রুত সময়ের বিবাহ্ করে সংসার শুরু করবে। এমন সিদ্ধান্তের পর তারা কোট ম্যারেজ করেন এবং বিয়ের বিষয়টি গোপন রাখেন।

    গত জুন মাসে পুস্পিতা শুভ’কে জানায়, সে তার বাবার বাড়ি যাবে। ফিরে এসে কোন মন্দিরে ধর্মিয় রিতি মেনে বিবাহ্ সম্পন্ন করে সংসার শুরু করবে।

    হাসিমুখে বিদায় দেয় সঞ্জিব। বাড়ি গিয়ে পুস্পিতা নিয়মিত ফোন দেয় শুভকে। তাদের আলাপ চারিতাও অব্যাহত থাকে।

    হটাৎ ২৮ জুন পুস্পিতা ফোন দেয়া বন্ধ করে দেয় শুভকে। আকাশ ভেঙ্গে পড়ে মাথায়। কি এমন হলো পুস্পিতা ফোন দেয়া বন্ধ করে দিলো ? কোন অসুখ করলো নাতো ? নাকি কোন বিপদ ? বিপদ বলতে তার বাড়ির লোকজন তাকে আটকে দিলো নাকি ? নাওয়া খাওয়া হারাম শুভ’র। সিদ্ধান্ত নিলো পাবনা যাবে শুভ। কারন তার যে কোন উপাই নেই। তাকে জানতেই হবে কি হয়েছে তার স্ত্রী পুস্পিতার ।

    মঙ্গলবার (১২ জুলাই) বিকেলে প্রাইভেটকার ভাড়া করে পাবনায় যায় শুভ। এ সময় তার সাথে ছিলো তার বড় ভাই, ছোট বোন জামাই ও প্রতিবেশি এক ভাই। পাবনা সদরে পুস্পিতার নানার বাড়ি গিয়ে দেখা গেল তাদের সকল আত্নিয়স্বজন সেখানে উপস্থিত রয়েছে।

    পুস্পিতা বাবা জানালেন, আমেরিকা প্রবাসি এক ছেলের সাথে পুস্পিতা আর্শিবাদ হয়ে গেছে। বিয়ের দিন তারিখ ঠিক করা হয়েছে। আর সব কিছুই হয়েছে পুস্পিতার ইচ্ছায়। তখনও বিশ্বাস করতে নারাজ শুভ। সে বলে আমি পুস্পিতার মুখে শুনবো। হাজির করা হলো পুস্পিতাকে।

    পুস্পিতা যা বল্লো তা শুনে সবাই হতভম্ব। সে সাফ জানালো বিয়ে তার নিজের পছন্দেই হচ্ছে। সে যে আড়াই বছর প্রেম করেছে তা তার ভুল ছিলো।

    ওই সময় শুভ পুস্পিতাকে তাদের সম্পর্ক নিয়ে কিছু প্রশ্ন করে, তার জবাবও সে স্বাভাবিক ভাবেই দেয়। শেষে পুস্পিতা শুভ’র উদ্দেশ্যে বলে, তুমি চাইলে আমি বিষ খাবো। তবুও তোমাকে আমি বিয়ে করতে পারবোনা বলে প্রস্থান করে সে।

    এ সময় মেয়ের মা, খালা কান্না জড়িত কন্ঠে বলেন, শুভ তুমি বাবা আমাদের মাফ করে দাও। তুমি যা চাও আমরা দেবো। শুধু মেয়েকে দিতে পারবোনা। একই কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে। শেষ পর্যন্ত অশ্রু বিসর্জনের মধ্য দিয়ে আড়াই বছরের প্রেম, ভালবাসা এবং বিয়ের ইতি টানেন প্রেমিক এবং স্বামী শুভ।

  • রাজশাহী মহানগরীতে কিশোর গ্যাংয়ের হামলায় স্কুল ছাত্র আহত: রামেকে ভর্তি

    রাজশাহী মহানগরীতে কিশোর গ্যাংয়ের হামলায় স্কুল ছাত্র আহত: রামেকে ভর্তি

    স্টাফ রিপোর্টারঃ- নিরেন দাস

    মাদক সেবনের জন্য টাকা প্রয়োজন। আর কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা টাকা চাইলেই তা দিতে হবে। যদি কেউ বলে টাকা নেই অথবা দেয়া যাবেনা, এমন কথা বললেই তার ঠিকানা মেডিকেল।

    সম্প্রতী বুধবার (১৩ জুলাই) ১০০ টাকা না দেয়ায় কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা পিয়াস (১৬) নামের এক স্কুল ছাত্রকে বে-ধড়ক পিটিয়ে আহত করেছে। এ সময় স্থানীয়রা এগিয়ে আসলে তারা পালিয়ে যায়। পরে ওই ছাত্রকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করেন। বর্তমানে সে রামেকের ৮নং ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

    আহত কিশোর পিয়াস, সে মহানগরীর চন্দ্রিমা থানার ছোট বনগ্রাম এলাকার মোঃ আজাদ আলীর ছেলে। সে টি.টি.সি’তে পড়াশোনা করে।

    বৃহস্পতিবার (১৪ জুলাই) দুপুরে আহত কিশোরের ভাই মোঃ রমজান আলী জানান, বুধবার সন্ধা ৭টার দিকে পিয়াস গরুর খাদ্য ভুশি কিনতে হাজরা পুকুর ভাই ভাই স্টোরে যায়। এ সময় কিশোর গ্যাংয়ের প্রধান জনৈক রাকিব আমার ছোট ভাইকে ডেকে ১০০টাকা চায়। পিয়াস টাকা নেই বলে তাকে জানায়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে কিশোর গ্যাংয়ের প্রধান জনৈক রাকিব, জনৈক জিম, রাব্বি, আশিক, ইমন, শুভ, রাকিব(২), সিয়াম সহ ১৪/১৫জন কিশোর স্কুল ছাত্র পিয়াসকে রাস্তা থেকে ধরে নিয়ে যায় হাজরা পুকুর খালেক কানার মাঠে। এরপর সেখানে তারা জিআই পাইপ, চাপাতি, চাকু দ্বারা শরীরের বিভিন্ন স্থানে ব্যপক আঘাত করে। তবে তার মাথার আঘাতগুলি গুরুতর। এরপর স্থানীয়দের সহযোগীতায় পিয়াসকে উদ্ধার করে রামেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে সে রামেকের ৮নং ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

    চিকিৎসা শেষে মহানগরীর চন্দ্রিমা থানায় মামলা করবেন বলেও জানান স্কুল ছাত্রের ভাই রমজান আলী।

    উল্লেখ্য, খালেক কানার মাঠটাই মূলত কিশোর গ্যাংয়ের টর্চার সেল। সেখানে তারা সন্ধার পর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত মাদক সেবন করে এবং টাকা চাইলে তাদের কথা রাখেনা এইরকম লোকজনকে মারধর করে। এভাবেই তারা ভয়ংকর হয়ে উঠছে। দিন দিন বাড়ছে তাদের অপরাধমূলক কর্মকান্ড।

    এ ব্যপারে জানতে চন্দ্রিমা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ এমরান আলীর মুঠো ফোনে একাধিকবার ফোন দেয়া হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। ফলে তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

  • কুমিল্লার দেবিদ্বার এলাহাবাদ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সম্পাদক পদ প্রত্যাশী কে এই  আক্তারুজ্জামান স্বপন?

    কুমিল্লার দেবিদ্বার এলাহাবাদ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সম্পাদক পদ প্রত্যাশী কে এই আক্তারুজ্জামান স্বপন?

    স্টাফ রিপোর্টার

    কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলার এলাহাবাদ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কমিটি নিয়ে চলছে নানা আলোচনা সমালোচনা।
    এরই মাঝে সম্প্রতি ওই ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হলেও অনুষ্ঠান স্থলে কমিটি ঘোষণা করা হয়নি। এতে কর্মীদের মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছে।
    তৃনমুল নেতাকর্মীদের প্রশ্ন অর্থের বিনিময়ে ওই ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের পদ লুফে নিতে চান আক্তারুজ্জামান স্বপন।জনতা ও তৃনমূলে দলের হাইকমান্ডের কাছে প্রশ্ন কে এই আক্তারুজ্জামান স্বপন?

    তিনি তো এই এলাকার বাসিন্দা না? তাহলে কিভাবে এই পদের জন্য তিনি লবিং তদবির করছেন?
    যারা দীর্ঘদিন ত্যাগ স্বীকার করে রাজনীতি করেছেন তাহলে তারা কি বঞ্চিত হবেন?
    তাকে তো এই এলাকায় কখনো রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত হতে দেখা যায়নি?
    আখতারুজ্জামান তো এই এলাকার বাসিন্দা না? তাহলে হঠাৎ করে এসে কিভাবে তিনি সাধারণ সম্পাদক হতে চান? তাছাড়া তাকে নিয়ে জেলা আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দের এতো আগ্রহই বা কেন?
    শেষ পর্যন্ত কি অর্থের বিনিময়ে তিনি সেই পদ পেয়ে যাবেন? স্থানীয় বাসিন্দা সহ আওয়ামী লীগের তৃণমূল নেতা কর্মীদের মাঝে এমন নানা প্রশ্ন এখন ঘুরপাক খাচ্ছে। আর ক্ষোভের জন্ম হচ্ছে।

    অনুসন্ধানে জানা যায়, সাম্প্রতিক সময়ে দেবিদ্বার উপজেলার এলাহাবাদ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলন শেষ হওয়ার পর কমিটি ঘোষণার কথা থাকলেও পরিবেশ পরিস্থিতি অনুকূলে না থাকায় সে সময় কমিটি ঘোষণা করা হয়নি।
    আর এ সুযোগে অর্থের বিনিময়ে আক্তারুজ্জামান ভূঁইয়া স্বপন নামে একজন বহিরাগত ব্যক্তি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের পদটি লুফে নেওয়ার জন্য মরিয়া হয়ে মাঠে নেমেছেন। স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা জানান, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রত্যাশী আখতারুজ্জামান ভূঁইয়া জেলার দাউদকান্দি উপজেলার বাসিন্দা।
    তিনি স্থায়ীভাবে ঢাকায় বসবাস করে আসছেন। তিনি কখনো এলাহাবাদ ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন না। এলাকার মানুষের সাথে নেই কোন সম্পৃক্ততা। সম্প্রতি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সম্মেলনের আগে নিজের ভোটার তালিকা সংশোধন করে মাইগ্রেশনের মাধ্যমে তিনি এলাহাবাদ ইউনিয়নের ভোটার হয়েছেন। বিপুল পরিমাণ অর্থের মালিক এই আখতারুজ্জামানকে নিয়ে অনেক আগ্রহ দেখা যাচ্ছে জেলা আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দের?
    তিনি ওই ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কাউন্সিলর না হলেও তাকে সাধারণ সম্পাদক পদে পদায়িত করার জন্য উঠে পড়ে লেগেছে একাধিক জেলার নেতা। স্থানীয়দের প্রশ্ন তাহলে এর নেপথ্যে কি বিপুল পরিমাণ অর্থ?
    আর অর্থের মালিক হলেই কি দলের এই গুরুত্বপূর্ণ পদ পাওয়া যায়? আখতারুজ্জামানকে নিয়ে এলাহাবাদ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের তৃণমূল নেতাকর্মীদের মাঝে চরম ক্ষোভ এবং বিতর্ক বিরাজ করছে।
    অভিযোগ রয়েছে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সম্মেলনের চার দিন আগে তিনি ভোটার তালিকা সংশোধন করে ওই ইউনিয়নের বাসিন্দা হয়েছেন। রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত না থেকেই ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের পদ লুফে নিতে চাচ্ছেন। তাকে ঐ পদ দেওয়া হলে তৃণমূল নেতাকর্মীদের মাঝে চরম বিভক্তি ক্ষোভ সৃষ্টি হতে পারে। এলাহাবাদ ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইমদাদুল হক বলেন, আখতারুজ্জামান স্বপন এই এলাকার বাসিন্দা নয়, তার জন্মস্থান দাউদকান্দি এলাকায়, সে ঢাকায় বসবাস করে, এলাহাবাদ এলাকায় কখনো আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে তিনি সম্পৃক্ত ছিলেন না, এখন টাকার বিনিময়ে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদ হাতিয়ে নিতে চান, আমরা তাকে কখনো গ্রহণ করবোনা, তাকে এ পদ দেওয়া হলে আমরা গণহারে পদত্যাগ করব।
    একই ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের সভাপতি মোঃ শাজাহান বলেন সম্মেলনের ৮-১০ দিন আগে আখতারুজ্জামান মাইগ্রেশন এর মাধ্যমে এই এলাকার বাসিন্দা হয়েছে। তাকে নিয়ে সিনিয়র নেতৃবৃন্দের আগ্রহ তৃণমূলে ক্ষোভ বাড়াচ্ছে। তাকে কোনভাবেই এই পদ দেওয়া ঠিক হবে না।এ ব্যাপারে আক্তারুজ্জামান স্বপন
    সকল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন আমি এলাহাবাদ ইউনিয়নের বাসিন্দা, অর্থের বিনিময়ে আমি কখনো পদ নিতে আগ্রহী নই,এটা আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার, আমি সাধারণ সম্পাদক পদ প্রত্যাশী হয়েছি, দল যোগ্য মনে করলে আমাকে এই পদ দিবে। এ বিষয়ে কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ম,রুহুল আমিন বলেন, তৃণমূল চায়না এমন কাউকে আমরা পদ দেবো না, অর্থের বিনিময়ে আওয়ামীলীগে কেউ পদ পায় না, যার বিষয় নিয়ে এতো বিতর্ক হচ্ছে তাকে নিয়ে আমরা ভালোভাবে যাচাই-বাছাই করবো এবং কোন প্রকার বিতর্ক থাকলে তাকে পদ দেওয়া হবে না।

  • ভাবখালীতে জাতীয় পার্টির উদ্যোগে এরশাদের মৃত্যুবার্ষীকি পালন।

    ভাবখালীতে জাতীয় পার্টির উদ্যোগে এরশাদের মৃত্যুবার্ষীকি পালন।

    ষ্টাফ রিপোর্টারঃ
    ময়মনসিংহের সদর উপজেলার ভাবখালী ইউনিয়নে সাবেক রাষ্ট্রপতি ও জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের তৃতীয় মৃত্যু বার্ষিকী পালিত হয়েছে।

    এ উপলক্ষ্যে বৃহস্পতিবার উপজেলা জাতীয় পার্টির উদ্যোগে ভাবখালী ইউনিয়ন জাতীয় পার্টির পক্ষ থেকে জেলা জাতীয় পার্টির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মকবুল হোসেন এর আয়োজনে দুপুর ২:০০টায় ভাবখালী পুরাতন বাজারে মিলাদ,দোয়া ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয় ।

    এসময় জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান ও ময়ময়মনসিংহ মহানগর জাতীয় পার্টির সভাপতি জাহাঙ্গীর আহমেদ,কোতোয়ালী জাতীয় পার্টির সাধারন সম্পাদক ইদ্রিস আলীসহ ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড জাতীয় পার্টি ও বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

    এসময় নেতৃবৃন্দ বলেন-দীর্ঘ ৯ বছর বাংলাদেশের রাষ্ট্রপ্রধান থাকাকালে সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, ক্রীড়া এবং সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে তার নেয়া কার্যক্রম ও সংস্কারমূলক কর্মকাণ্ড দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে বাংলাদেশের ইতিহাসে

    উল্লেখ্য, ১৯৩০ সালে ১লা ফেব্রুয়ারি কুড়িগ্রামে নানার বাড়িতে জম্ম গ্রহন করেন। সাবেক রাষ্ট্রপতি ও জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ ২০১৯ সালে হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ ১৪ জুলাই সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় সবাইকে কাঁদিয়ে না ফেরার দেশে পাড়ি জমান তিনি।

  • চুরখাই বাজারে জাতীয় পার্টির উদ্যোগে এরশাদের ৩য় মৃত্যুবার্ষীকি পালন।

    চুরখাই বাজারে জাতীয় পার্টির উদ্যোগে এরশাদের ৩য় মৃত্যুবার্ষীকি পালন।

    ষ্টাফ রিপোর্টারঃ
    ময়মনসিংহের সদর উপজেলার ভাবখালী ইউনিয়নের চুড়খাই বাজারে সাবেক রাষ্ট্রপতি ও জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের তৃতীয় মৃত্যু বার্ষিকী পালিত হয়েছে।

    এ উপলক্ষ্যে বৃহস্পতিবার উপজেলা জাতীয় পার্টির উদ্যোগে ভাবখালী ইউনিয়ন জাতীয় পার্টির পক্ষ থেকে ইউনিয়ন জাতীয় পার্টির আহবায়ক শহিদুল ইসলাম ফকিরের আয়োজনে বিকাল ৫:০০টায় চুড়খাই বাজারে অবস্থিত ভাবখালী ইউনিয়ন জাতীয় পার্টির কার্যালয়ে মিলাদ,দোয়া ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয় ।

    এসময় ইউনিয়ন জাতীয় পার্টির যুগ্ম আহবায়ক ডাঃ মাহফুজুর রহমানের পরিচালনায় মিলাদ ও দোয়া পুর্ববর্তী সংক্ষিপ্ত আলোচনায় পল্লীবন্ধ এরশাদের রাষ্ট্র পরিচালনার সফলতা ও বিভিন্ন উন্নয়নকর্মকান্ড তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন- ভাবখালী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও জাপা নেতা রমজান আলী, ৩নং ওয়ার্ড জাতীয় পার্টির সভাপতি আব্দুল মালেক মাষ্টার,৫নং ওয়ার্ডের সভাপতি জসিম উদ্দিন মেম্বার,৯নং ওয়ার্ডের সভাপতি মকবুল হোসেন,৭নং ওয়ার্ডের সভাপতি মাইন উদ্দিন, ৮নং ওয়ার্ডের সভাপতি খোকন মিয়াসহ ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড জাতীয় পার্টি ও বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

    এসময় নেতৃবৃন্দ বলেন-দীর্ঘ ৯ বছর বাংলাদেশের রাষ্ট্রপ্রধান থাকাকালে সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, ক্রীড়া এবং সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে তার নেয়া কার্যক্রম ও সংস্কারমূলক কর্মকাণ্ড দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে বাংলাদেশের ইতিহাসে।

    উল্লেখ্য, ১৯৩০ সালে ১লা ফেব্রুয়ারি কুড়িগ্রামে নানার বাড়িতে জম্ম গ্রহন করেন। সাবেক রাষ্ট্রপতি ও জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ ২০১৯ সালে হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ ১৪ জুলাই সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু বরণ করেন।

  • ময়মনসিংহে জাতীয়  তরুণ পার্টির উদ্যোগে এরশাদের ৩য় মৃত্যুবার্ষীকি পালিত।।

    ময়মনসিংহে জাতীয় তরুণ পার্টির উদ্যোগে এরশাদের ৩য় মৃত্যুবার্ষীকি পালিত।।

    আরিফ রববানী ময়মনসিংহ।।
    সাবেক রাষ্ট্রপতি ও জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান পল্লীবন্ধু আলহাজ্ব হুসেইন মোহাম্মদ এরশাদ এর তৃতীয় মৃত্যুবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে মিলাদ,দোয়া ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

    জাতীয় তরুণ পার্টি ময়মনসিংহ জেলার আয়োজনে সদর উপজেলার বেলতলী এলাকায় দুপুর ৩টায় উক্ত মিলাদ, দোয়া ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
    জাতীয় তরুণ পার্টি ময়মনসিংহ জেলা শাখার সভাপতি কাউসার আহমেদ এর সভাপতিত্বে আয়োজিত অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে প্রয়াত এরশাদের বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকান্ড নিয়ে আলোচনা করেন জাতীয় পার্টির মাননীয় চেয়ারম্যান এর উপদেষ্টা ও ময়মনসিংহ জেলা জাতীয় পার্টির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ডা, কে আর ইসলাম, জাতীয় পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান ও ময়মনসিংহ মহানগর জাতীয় পার্টির সভাপতি জননেতা জাহাঙ্গীর আহমেদ, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা বিষয়ক সম্পাদক ডা, মুস্তাফিজুর রহমান আকাশ, জেলা জাতীয় পার্টির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মোশারফ হোসেন, ময়মনসিংহ মহানগর জাতীয় পার্টির সিনিয়র সহ-সভাপতি শরিফুল আলম তপন, মহানগর জাতীয় পার্টির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ শাহজাহান, জেলা জাতীয় পার্টির সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট আব্দুল কাইয়ুম, ময়মনসিংহ জেলা জাতীয় ছাত্রসমাজের সাবেক সভাপতি শরিফ খান পাঠান মিল্টন, ময়মনসিংহ মহানগর জাতীয় স্বেচ্ছাসেবক পার্টির সভাপতি বাদশা মিয়া, ১২ নং ভাবখালী ইউনিয়ন এর সাবেক ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান রমজান আলী ,মহানগর জাতীয় পার্টির যুগ্ন প্রচার সম্পাদক মমিনুল ইসলাম মানিক, ময়মনসিংহ জেলা জাতীয় তরুণ পার্টির সাধারণ সম্পাদক হুসেইন মোঃ সারোয়ার সরকার, সহ-সভাপতি বাবু প্রসাদ দাস, সহ-সভাপতি এম এ রশিদ সরকার, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম বুলেট, জহির আহমেদ খোকন, আবু বকর সিদ্দিক রুবেল, যুগ্ম সাংগঠনিক সম্পাদক সম্রাট জাহাঙ্গীর, দপ্তর সম্পাদক আতিকুল ইসলাম আতিক, যুগ্ম অর্থ সম্পাদক আতাউল করিম আকুন্দ ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক ডক্টর ফরীদ আহমেদ নোমান সহ জাতীয় পার্টি ও বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ। এছাড়াও এরশাদ ভক্ত স্থানীয় বিভিন্ন পেশাশ্রেণীর ব্যক্তিবর্গরা উপস্থিত ছিলেন।

  • বানারীপাড়ায় পুলিশ সদস্যের হামলায় সৎ মা গুরুতর জখম

    বানারীপাড়ায় পুলিশ সদস্যের হামলায় সৎ মা গুরুতর জখম

    এস মিজানুল ইসলাম, বিশেষ প্রতিবেদক।। বুধবার বানারীপাড়া উপজেলার মলুহার বাজারের একটি দোকান ভাংচুর করে দখল করার প্রতিবাদ করলে পুলিশ কন্সষ্টেবল সাইফুল ইসলাম উজ্জলের হামলায় সৎ মা শাহানাজ(৫০) গুরুতর আহত হয়েছেন। গুরুতর আহত শাহনাজের বোন সাফিয়া বেগম ও স্থানীরা বুধবার সন্ধ্যায় বানারীপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে নিয়ে যায়। কর্তব্যরত মেডিকেল অফিসার ডাক্তার তানভীর আহমেদ সাহানাজের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে প্রেরণ করেন। শাহানাজের শরীরের বিভিন্ন স্থানে ধারালো বস্তুর আঘাতের চিন্হ দেখা যায়। ডাক্তারের রিপোর্টে জানা যায় আহতের ফিজিক্যাল অ্যাসাল্ট এবং হেড ইন্জুরী গুরুতর হওয়ায় তাকে বরিশালে প্রেরণ করা হয়।
    এ ব্যাপারে প্রতক্ষ্যদর্শী একাধিক ব্যক্তি জানান, পুলিশ কন্সষ্টেবল সাইফুল ইসলাম উজ্জলের পিতা আবু বকর তোতার প্রথম স্ত্রীর ছেলে। মলুহার বাজারে তোতার একটি দোকান ঘর নিয়ে বিবাদ ছিল। সম্প্রতি পুলিশ কন্সষ্টেবল সাইফুল ইসলাম উজ্জল পুলিশী ভয় দেখিয়ে বাবার কাছ থেকে দোকানটি নিজের নামে লিখিয়ে নেয়। এ নিয়ে দু’মাস থেকে বিবাদ চলছিল।

    বুধবার দোকানটির দখল নেয়ার জন্য ভাংচুর করতে গেলে সৎ মা শাহানাজ বাধা দিলে তাকে সাইফুল, পলাশ, শ্যমল বেধে রাখে এবং সাইফুলের স্ত্রী শারমিন জাহান নিম্নী, বোন খাদিজা নাছরীন অমানুষিক নির্যাতন করে।

    এ ঘটনা শাহানাজের বোন সাফিয়া বেগম ৯৯৯ কথা বল্লে ডিউটি অফিসার থানায় নিতে বলেন। ভুক্তভোগীর অবস্থা গুরুতর হওয়ার কথা জানালে ডিউটি অফিসার প্রথমে চিকিৎসার করার কথা বলেন।
    এঘটনার বিষয় হামলাকারী পুলিশ কন্সষ্টেবল সাইফুল ইসলাম উজ্জলের কাছে জানতে চাইলে তিনি কিছুই হয়নি ওসি সব জানে বলে মোবাইল কল কেটে দেন। পরবর্তীতে বারবার কল দিলে তিনি রিসিভ করেননি।

    বিষয়টি সম্পর্কে বানারীপাড়া থানার অফিসার ইন চার্জ মোঃ হেলাল উদ্দিন জানান ওই এলাকায় কোন ঘটনা ঘটেছে আমার জানা নাই। পুলিশ কন্সষ্টেবল সাইফুল ইসলাম উজ্জল বলেছে আপনি সব জানেন, না বুধবারের ঘটনা জানিনা বা কোন অভিযোগ পাইনি। তবে অভিযোগ পেলে যথাযথ আইনি ব্যাবস্থা নেয়া হবে। #

  • আশুলিয়ার ঘোষবাগ অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে আওয়ামীলীগ নেতার নগদ অর্থ ও ত্রাণ বিতরণ

    আশুলিয়ার ঘোষবাগ অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে আওয়ামীলীগ নেতার নগদ অর্থ ও ত্রাণ বিতরণ

    হেলাল শেখঃ ঢাকার আশুলিয়ার ইয়ারপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৭নং ওয়ার্ডের ঘোষবাগ প্রাইমারি স্কুল সংলগ্ন মহসিন ভুঁইয়ার বাড়িতে গতকাল মঙ্গলবার বেলা ১১ টার দিকে অগ্নিকা-ের ঘটনা ঘটে।খবর পেয়ে আশুলিয়া থানা যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা সাংগঠনিক সম্পাদক ও আশুলিয়া থানা আওয়ামী লীগের অন্যতম সদস্য সুমন আহমেদ ভুঁইয়া ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং ক্ষতিগ্রস্তদেরকে মাঝে রান্না করা খাবার ও নগদ অর্থ, ত্রাণ বিতরণ করেন।
    উক্ত অগ্নিকা-ে আশুলিয়ার ঘোষবাগ মহসিন ভুঁইয়া’র টিনসেট বাড়িতে তার নিজের থাকার ঘরসহ ভাড়াটিয়াদের ২৫টি রুমের মালামাল পুড়ে ছাই হয়েছে বলে তিনি জানান, অগ্নিকা-ে সকল মালামাল পুড়ে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ১ কোটি টাকা হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। অগ্নিকা-ের খবর পেয়ে ডিইপিজেট ফায়ার সার্ভিসের ৩টি ইউনিট আসে কিন্তু তাদের আসার পূর্বে ২৫টি রুমের আসবাবপত্র ও দামী মালামাল নগদ অর্থসহ প্রয়োজনীয় সকল সামগ্রী পুড়ে ছাই হয়ে যায়। ফায়ার সার্ভিসের কর্মিরা ১ ঘন্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে পেরেছেন বলে তারা জানান।
    বুধবার (১৩ জুলাই ২০২২ইং) বেলা ১১টার দিকে আশুলিয়ার ঘোষবাগ অগ্নিকা-ের ঘটনাস্থলে পরিদর্শনে যান সুমন আহমেদ ভুঁইয়া, তিনি ক্ষতিগ্রস্তদের ডেকে নিয়ে তাদের মধ্যে মোঃ সোহেল, মর্শেদা, শারমিন, জান্নাতুল, মোজাফফর, রায়হান, মোবারক, মোছাদ্দের, সাগরিকা, গোলাপ, জাহিদ, তাসলিমা, মুন্নির মাসহ প্রায় ৬০জনকে ত্রাণ বিতরণ করেন, এছাড়াও ক্ষতিগ্রস্তদের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ক্রয় করার জন্য নগদ অর্থ প্রদান কনের এই আওয়ামীলীগ নেতা।
    আশুলিয়া থানা যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা সাংগঠনিক সম্পাদক সুমন আহমেদ ভুঁইয়া গণমাধ্যমের সামনে বলেন, আমি পূর্বেও এলাকার শ্রমিক ভাই বোনদের পাশে ছিলাম, এখনো পাশে আছি, আগামীতেও তাদের পাশে থাকবো। অগ্নিকা-ের ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তদের এখন যে ত্রাণ ও অর্থ দিয়েছেন এই আওয়ামীলীগ নেতা, প্রয়োজনে আরও সাহায্য সহযোগিতা করার অঙ্গীকার করেন তিনি।
    সুমন আহমেদ ভুঁইয়া’র কাছে এলাকাবাসী দাবি যে, আশুলিয়ার ইয়ারপুর ইউনিয়নে লক্ষ লক্ষ শ্রমিকসহ অনেক মানুষের বসবাস। উক্ত এলাকায় অগ্নিকা-ের ঘটনা ঘটলে দূর থেকে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা আসতে ঘন্টার পর ঘন্টা সময় লাগে এর পূর্বে আগুনে পুড়ে সবকিছুই ছাই হয়ে যায়, তাই জামগড়া বা নরসিংহপুরের মধ্যে একটি ফায়ার সার্ভিস ষ্টেশন স্থাপন করা জরুরি হয়ে পড়েছে। এ ব্যাপারে আওয়ামীলীগ নেতা সুমন আহমেদ বলেন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডাঃ এনামুর রহমানের কাছে এ বিষয়ে জানাবেন এবং আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের বলবেন যে, অতি দ্রুত যেন এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।