Author: desk

  • ময়মনসিংহ সদরে ঘর পাচ্ছে আরও ৫৫ভূমিহীন-গৃহহীণ পরিবার

    ময়মনসিংহ সদরে ঘর পাচ্ছে আরও ৫৫ভূমিহীন-গৃহহীণ পরিবার

    আরিফ রববানী ময়মনসিংহ।।
    ময়মনসিংহ জেলার সদর উপজেলায় আরো ৫৫ জন ভূমিহীন পরিবার পাচ্ছে জমিসহ নতুন ঘর । মঙ্গলবার (১৯জুলাই) সদর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে জেলা প্রশাসন, ময়মনসিংহের আয়োজনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক মুজিববর্ষ উপলক্ষ্যে ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে জমি ও গৃহ প্রদান কার্যক্রমের
    ৩য় পর্যায়ের ২য় ধাপে জমি ও গৃহ প্রদান কার্যক্রমের শুভ উদ্ধোধন সংক্রান্ত প্রেস ব্রিফিং করা হয়েছে।

    উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম এর সভাপতিত্বে আয়োজিত প্রেস কনফারেন্সে এ সময় উপস্থিত ছিলেন-উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মনিরুল হক ফারুক রেজা,উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ শাহজাহান কবির সহ প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা কর্মচারীগণ।

    মুজিববর্ষে “বাংলাদেশের একজন মানুষও গৃহহীন থাকবে না” মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর এ নির্দেশনা বাস্তবায়নে আশ্রয়ণ প্রকল্পের মাধ্যমে দেশের সকল ভূমিহীন ও গৃহহীন মানুষের বাসস্থান নিশ্চিতকল্পে সেমিপাকা একক গৃহ নির্মাণের কর্মসূচি হাতে নিয়ে সমগ্র দেশের সকল ভূমিহীন-গৃহহীন মানুষকে মুজিববর্ষে জমিসহ সেমিপাকা ঘর দেয়ার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়।

    সেই লক্ষ বাস্তবায়নে মুজিববর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের আশ্রয়ন-২ প্রকল্পের প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে ৩য় পর্যায়ের ২য় ধাপে জমি ও গৃহ প্রদান কার্যক্রমের শুভ উদ্ধোধন সংক্রান্ত এই প্রেস ব্রিফিং করা হয়েছে। ভূমিহীন ও গৃহহীনদের জমি ও গৃহ প্রদান কার্যক্রমের উদ্ধোধন সংক্রান্ত এই প্রেস ব্রিফিং করেন সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম।

    তিনি বলেন, ৩য় পর্যায়ে ২য় ধাপে ময়মনসিংহের ১১উপজেলার ১১টি উপজেলায় ২৮৭ টি ঘর হস্তান্তর করা হবে। তার মাঝে সদর উপজেলায় ঘর পাবে ৫৫জন। এসব ঘরের নির্মাণ কাজ শেষ পর্যায়ে। এর আগেও সদরে ৬৫টা ঘর বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
    প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মনিরুল হক ফারুক রেজা জানান- গত ২০-২০২১ অর্থ বছরে ৩২৫টা, ২০২১-২২অর্থ বছরে ৬৫+৫৫ মোট ১২০ টা উপজেলায় সর্বমোট-৪৪৫ জন গৃহহীন ও ভূমিহীন পরিবারকে আশ্রয়ন প্রকল্পের আওতায় ঘর দেওয়া হয়েছে।

    আগামী ২১ জুলাই প্রধানমন্ত্রী গনভবন থেকে সকালে ১০ টায় ভার্চুয়াল মাধ্যমে সরাসরি ময়মনসিংহ সদর ও নান্দাইল উপজেলার চরভেলামারী আশ্রয়ণ প্রকল্পে -২ এর জমি ও গৃহহস্তান্তর কার্যক্রম শুভ উদ্ধোধন করবেন । প্রতিটি গৃহ ২ শতাংশ জমি বন্দোবস্ত, কবুলিয়ত ও রেজিষ্ট্রেশন এবং জমি সহ সেমিপাকা গৃহ উপকারভোগী পরিবারের নিকট জমির দলিল, নামজারীর খতিয়ান প্রদান করা হবে। প্রতিটি গৃহ নির্মাণে ২ লাখ ৫৯ হাজার টাকা ব্যয় করা হয়েছে।

  • ময়মনসিংহে অপরাধ নির্মুলে জেলায় শ্রেষ্ঠ কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি শাহ কামাল

    ময়মনসিংহে অপরাধ নির্মুলে জেলায় শ্রেষ্ঠ কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি শাহ কামাল

    আরিফ রববানী ময়মনসিংহ।।
    ময়মনসিংহ কোতোয়ালী মডেল থানার ওসি শাহ্ কামাল আকন্দ পিপিএম বার জেলার শ্রেষ্ঠ ওসি হিসাবে নির্বাচিত হয়েছেন। জুন মাসের অপরাধ সভায় আইন শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ, বিট পুলিশিং সভা, গুরুত্বপূর্ণ মামলা রহস্য উদঘাটন, মাদকদ্রব্য উদ্ধারে ভূমিকা, গ্রেফতারী পরোয়ানা তামিল,নিয়মিত মামলার আসামি গ্রেফতার, বিভিন্ন রাজনৈতিক সামাজিক অনুষ্ঠান সুষ্ঠু ভাবে সম্পাদন এবং সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সক্ষম হওয়ার অবদানে তার হাতে সার্টিফিকেট আর্থিক টাকা তুলে দেন জেলা পুলিশ সুপার মোহা: আহমার উজ্জামান বিপিএম সেবা।

    সোমবার (১৮ জুলাই) রবিবার সকাল ১১টায় জুন মাসে অপরাধ সভায় থানা ও শহর এলাকায় আইন শৃঙ্খলা স্থিতিশীল রাখা, অপরাধী দ্রুত গ্রেফতার, মিছিল মিটিংএর আইন শৃংখলা বজায় রাখা, গ্রেফতারি পরোয়ানা তামিল করায় জেলা পুলিশ সুপার তাকে পুরস্কৃত করেন এবং সনদ পত্র তুলে দেন।

    ওসি শাহ্ কামাল আকন্দ (পিপিএম বার) বলেন, আমার সব সময়ের চাওয়া জনগণের নিরাপত্তা প্রদানের স্বার্থে সার্বক্ষণিক দায়িত্বশীল থাকা। ময়মনসিংহবাসী আমাকে আমার কাজে সহযোগিতা করায় আমি এ পুরস্কার অর্জন করতে পেরেছি। সে জন্য ময়মনসিংহ বাসীকে ধন্যবাদ জানাই।

  • চট্টগ্রামে সাংবাদিকদের সর্ববৃহৎ সংগঠন বিএমএসএফের ১০ম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন

    চট্টগ্রামে সাংবাদিকদের সর্ববৃহৎ সংগঠন বিএমএসএফের ১০ম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন

    মোঃ শহিদুল ইসলাম, সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টারঃ

    সাংবাদিকদের সর্ববৃহৎ সংগঠন বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম (বিএমএসএফ)এর ১০ বছর পূর্তি উপলক্ষে সারাদেশের ন্যায় চট্রগ্রাম জেলা ও বন্দর জোন কমিটি নানা আয়োজনের আয়োজন করে।আলোচনা সভা ও কেক কেটে খাবার বিতরনের মাধ্যমে উদযাপন করা হয়েছে।
    চট্টগ্রাম নগরীর ইপিজেড থানাধীন ৩৯নং ওয়ার্ড টিসিবি ভবনের বিপরীত অফি উদ্দিন কমপ্লেক্সের তৃতীয় তলায় বিএমএসএফ কার্যালয়ে ১০তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী অনুষ্ঠান,
    অনুষ্ঠিত হয়।

    চট্রগ্রাম জেলা সভাপতি সাংবাদিক কে এম রুবেলের সভাপতিত্বে ও বন্দর জোন কমিটির সাধারণ সম্পাদক এস কে আহমেদ সাকিল এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিএমএসএফ”র চট্টগ্রাম জেলা কমিটির সভাপতি কেএম রুবেল,সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ হোসেন বিএমএসএফ”র কেন্দ্রীয় কমিটির উপ-প্রচার সম্পাদক সাংবাদিক,মোঃ শহিদুল ইসলাম,বন্দর জোন কমিটির সভাপতি সাংবাদিক জাফরুল ইসলাম জাহিদ সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক এস কে আহমেদ সাকিল
    যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক১ সাংবাদিক মোঃ শহিদুল ইসলাম (শহিদ) সাংগঠনিক সম্পাদক, সাংবাদিক মোঃ রিয়াজ উদ্দিন,যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক, সাংবাদিক মোঃমোস্তাফিজুর রহমান,দপ্তর সম্পাদক মোঃ শাহরিয়ার বিন রুবেল ,প্রচার সম্পাদক,হাসান রিফাত,সহ প্রচার মোঃ শুক্কুরআলী,হোসনেরাবেগম,
    ইমরান,সাইদুর রহমান মাসুম,জালাল উদ্দিন,সুমন,শান্ত ইসলাম দিপু,আসিফ প্রমুখ।

    নেতৃবৃন্দ বিএমএসএফ,ঘোষিত ১৪দফা দাবী অধিকার মর্যাদা রক্ষায় সকল সাংবাদিকদের ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।পাশাপাশি সাংবাদিক সুরক্ষা আইন প্রনয়ন ও ১৪ দফা বাস্তবায়নের জন্য প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আহবান জানান।

    অনুষ্ঠান শেষে গরিব অসহায়দের মাঝে খাবার বিতরণ করেন বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম বিএমএসএফএর সকল সাংবাদিকরা।

  • জোয়ারের পানিতে রাতে-দিনে দুইবার ডুবছে পাইকগাছার রাড়ুলী জেলে পল্লী; টেকসই বেঁড়িবাধ নির্মানের দাবি এলাকাবাসীর

    জোয়ারের পানিতে রাতে-দিনে দুইবার ডুবছে পাইকগাছার রাড়ুলী জেলে পল্লী; টেকসই বেঁড়িবাধ নির্মানের দাবি এলাকাবাসীর

    ইমদাদুল হক,পাইকগাছা,খুলনা।।
    পাইকগাছার রাড়ুলী ইউনিয়নের জেলে পল্লী কপোতাক্ষ নদের পূর্ণিমার জোয়ারের পানিতে রাতে ও দিনে দুইবার ডুবছে। ডুবা-জাগা ও ভাঙ্গনের আতংকে ঝুঁকি নিয়ে নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছে জেলে পল্লীর ১শ ৫০ পরিবার। তাদের বাড়ি ঘর রক্ষায় নেই কোন টেকসই বেঁড়িবাঁধ। বর্ষা মৌসুমের শুরুতেই আবার নতুন করে ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। নদী ভাঙ্গন রোধে দীর্ঘমেয়াদী টেকসই বেঁড়িবাধ প্রকল্প বাস্তবায়ন, পরিকল্পিত নদী শাসনের দাবী জানিয়েছেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ ইউনিয়নবাসী।
    কপোতাক্ষ নদের তীরে রাড়ুলী ইউনিয়ন। এ ইউনিয়নে জেলে পল্লী প্রায় শত বছর ধরে ভাঙ্গন রয়েছে বলে এলাকাবাসী জানিয়েছেন। জেলে পল্লীর মনোরঞ্জন বিশ্বাস জানান, আমাদের পূর্বপুরুষ মিলে এখানে প্রায় ২শ বছর ধরে বসবাস করে আসছি। কপোতাক্ষ পাড়ে জেলে পল্লীতে আমরা প্রায় ৫শ পরিবার বসবাস করতাম। কিন্তু ভাঙ্গনে ঘরবাড়ি হারিয়ে ৩শ ৫০ পরিবার অন্যতরে চলে গেছে। কেউ রাস্তার পাশে সরকারী জমিতে আবার কেউ সরকারের আবাসনে ঠাঁই মিলেছে। আমার ঘর ভেঙ্গে গেছে। আমি পার্শ্বে একটি সরকারী রাস্তার পাশর একটি টোঙ ঘরে বসবাস করছি। বর্তমানে ভাঙ্গন কুলে ১৫০ পরিবার বসবাস করছে। একই এলাকার বাবুরাম বিশ্বাস (৫৫) বলেন, কপোতাক্ষ নদ ভাঙ্গনে আমি তিনবার ঘর ভেঙ্গে ঘর তৈরী করেছি। বর্তমান ঘরটি ভেঙ্গে যাওয়ার পথে। নদে রান্না ঘর চলে গেছে থাকার ঘরটি টিকে থাকলেও ঘরটি নদের কিনারায় ঝুলছে। জোয়ারের পানিতে রাত দিন দুইবার ডুবছে আমাদের ঘরবাড়ি। জোয়ারের সময় ছেলে-মেয়েদের নিয়ে ভয়ে রাত জেগে বসে থাকি। কখন নদীতে ঘরখানী নদীতে নিয়ে যায়। বর্তমানে পূর্ণিমার অতিরিক্ত পানি বাড়ায় আমাদের ঘরবাড়ির উঠানে থইথই পানি। দুপুরে রান্না হয়নি। ভাটায় পানি সরে গেলে রান্না হবে। অনেক সময় আমরা রান্না করতে না পারায় শুকনা খাবার খেয়ে জীবন ধারণ করি। নদের পাশে বাড়িঘর রক্ষার বাঁধ থাকলে জোয়ারের পানি উঠতো না। মান্দার বিশ্বাস (৬৭) বলেন, কপোতাক্ষের পাড়ে আমাদের পূর্বপুরুষরা বসবাস করে আসছে। প্রায় ১ কিলোমিটার জায়গা কপোতাক্ষ নদের ভাঙ্গনে চলে গেছে। বিপরীত পারে চর জেগেছে। সেখানে যদি আমাদের জায়গা দিতো তাহলে আমরা বসবাস করতে পারতাম। ভাঙ্গন দেখতে শুধু জনপ্রতিনিধিরা আসে কিন্তু কোন কাজ হয়না। এ ব্যাপারে রাড়ুলী ইউনিয়নের সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ইলিয়াস হোসেন জানান, ভাঙ্গন রোধে সরকারের তরফ থেকে কিছু জিও ব্যাগ ফেলা হয় কিন্তু তাতে কোন কাজ হয়নি। রাড়ুলী ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ বলেন, বিষয়টি নিয়ে পাইকগাছা কয়রা সংসদ সদস্য মোঃ আক্তারুজ্জামান বাবুর সাথে কথা হয়েছে। তিনি ভাঙ্গনের বিষয় নিয়ে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলেছেন। পাইকগাছা পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী রাজু হাওলাদার বলেন, রাড়ুলীর কপোতাক্ষ নদের ভাঙ্গন এলাকা পরিদর্শন করে চলতি বছরের চাহিদা পাঠিয়েছি। এখন বরাদ্দ হয়নি, বরাদ্দ হলে কাজ শুরু করা হবে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মমতাজ বেগম বলেন, ভাঙ্গন এলাকায় গিয়েছি কিন্তু ভাঙ্গনের কারণে জেলে পল্লী রক্ষা বাঁধ দেয়া সম্ভব হচ্ছে না। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডকে জানিয়েছি।

    ইমদাদুল হক,
    পাইকগাছা ( খুলনা ) প্রতিনিধি।

  • সুজানগরে ভূমিহীন এবং গৃহহীন পরিবারকে জমি ও ঘর প্রদান সংক্রান্ত  উপজেলা টাস্কফোর্স  কমিটির সভা

    সুজানগরে ভূমিহীন এবং গৃহহীন পরিবারকে জমি ও ঘর প্রদান সংক্রান্ত উপজেলা টাস্কফোর্স কমিটির সভা

    এম এ আলিম রিপনঃ পাবনার সুজানগরে মুজিববর্ষ উপলক্ষে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক ভূমিহীন এবং গৃহহীন পরিবারকে জমি ও গৃহ প্রদান সংক্রান্ত উপজেলা টাস্কফোর্স কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হেেয়ছে। সোমবার দুপুর ১২টায় উপজেলা পরিষদ হলরুমে সুজানগর উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সুজানগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো.রওশন আলীর সভাপতিত্বে ও উপজেলা সহকারী কমিশনার(ভূমি) মিনহাজুল ইসলামের স ালনায় অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহীনুজ্জামান শাহীন। সভায় উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ রাফিউল ইসলাম, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার সাইফুল ইসলাম,উপজেলা শিক্ষা অফিসার আব্দুল জব্বার,উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা নাজমুল হুদা, উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা জিল্লুর রহমান, উপজেলা সমবায় অফিসার দেলোয়ার হোসেন, নাজিরগঞ্জ ইউপি চেয়ারম্যান মশিউর রহমান খান, সাতবাড়ীয়া ইউপি চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল হোসেন, হাটখালী ইউপি চেয়ারম্যান ফিরোজ আহমেদ, বিআরডিবির সভাপতি আব্দুস সাত্তার, সুজানগর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক এম এ আলিম রিপন, ইউনিয়ন ভূমি উপ সহকারী কর্মকর্তা আবু বকর সহ উপজেলা টাস্কফোর্স কমিটির অন্যান্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। এর আগে সভার শুরুতেই ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারগুলোর জন্য সঠিকমান বজায় রেখে গৃহনির্মাণ কাজ এগিয়ে নেওয়ায় সভায় সন্তুষ্টি প্রকাশ করা হয়। সুজানগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো.রওশন আলী জানান, মুজিববর্ষে বাংলাদেশের একজন মানুষও গৃহহীন থাকবে না প্রধানমন্ত্রীর এ নির্দেশনা বাস্তবায়নের পরিক্রমায় ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের মাঝে জমি ও গৃহ প্রদান আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সরাসরি তত্ত্বাবধানে নির্মিত ইতোপূর্বে ১ম পর্যায়ে সুজানগর উপজেলায় ২০ টি, ২য় পর্যায়ে ১২ টি ও ৩য় পর্যায়ের প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপে ১৮টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে কবুলিয়ত দলিল ও নামজারি খতিয়ানসহ নতুন ঘর হস্তান্তর করা হয়। এছাড়া ইতিমধ্যে সুজানগর উপজেলা প্রশাসন, উপজেলা প্রকৌশলী দপ্তর ও উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার দপ্তরের সার্বিক সমন্বয়ে ভূমিহীন ও গৃহহীনদের জন্য ৩য় পর্যায়ের তৃতীয় ধাপে মোট ৪৬টি ঘরের নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে। আগামী ২১ জুলাই এ সকল গৃহহীন পরিবারের মাঝে জমি ও নতুন গৃহ প্রদান কার্যক্রমের শুভ উদ্বোধন ঘোষনা করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি আরো জানান, তালিকা ভিত্তিক আবেদনকারীগণের প্রত্যেকের আলাদা সাক্ষাৎকার গ্রহণ ও সরেজমিন পরিদর্শনের মাধ্যমে যথাযথ উপকারভোগী বাছাই ও তাদের জন্য বন্দোবস্তকৃত ঘরে বসবাসের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।

    এম এ আলিম রিপন
    সুজানগর(পাবনা)প্রতিনিধি।।

  • নড়াইলে হিন্দুদের বাড়িঘর ও মন্দিরে হামলার ঘটনায় ২৫০ জনের মামলা

    নড়াইলে হিন্দুদের বাড়িঘর ও মন্দিরে হামলার ঘটনায় ২৫০ জনের মামলা

    উজ্জ্বল রায়, নড়াইল থেকে:

    নড়াইলে হিন্দুদের বাড়িঘর ও মন্দিরে হামলার ঘটনায় ২৫০ জনের মামলা। নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার দিঘলিয়া এলাকায় মহানবীকে (সাঃ) নিয়ে ফেসবুকে কটূক্তির অভিযোগে কলেজছাত্র আকাশ সাহার (২০) বিরুদ্ধে তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। রোববার (১৭ জুলাই) বিকেলে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোরশেদুুল আলমের আদালতে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা লোহাগড়া থানার এসআই মাকফুর রহমান সাতদিনের রিমান্ড আবেদন করলে বিচারক শুনানি শেষে তিনদিনের মঞ্জুর করেন।
    উজ্জ্বল রায়, নড়াইল থেকে জানান,
    এর আগে শনিবার (১৬ জুলাই) রাতে খুলনা থেকে আকাশ সাহাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এদিকে ওইদিন (১৬ জুলাই) রাত ৯টা ১৫ মিনিটে দিঘলিয়া গ্রামের সালাহ উদ্দিন কচি সরদার বাদি হয়ে লোহাগড়া থানায় আকাশের নামে ‘ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করে দাঙ্গা সৃষ্টির অপরাধ’ সংক্রান্ত মামলা দায়ের করেন।

    অন্যদিকে, সাহাপাড়ার বাড়িঘর ও দোকান ভাংচুর এবং দু’টি মন্দিরে হামলার ঘটনায় রোববার রাতে ২০০ থেকে ২৫০ জনকে আসামি করে লোহাগড়া থানায় মামলা দায়ের করেন এসআই মাকফুর রহমান। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন লোহাগড়া থানার ওসি শেখ আবু হেনা মিলন।

    পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ১৫ জুলাই লোহাগড়া উপজেলার দিঘলিয়া সাহাপাড়ার কলেজছাত্র আকাশ সাহার ফেসবুকে মহানবীকে (সাঃ) নিয়ে কটূক্তির ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ রয়েছে। বিষয়টি ওইদিন জুম্মার নামাজের পর বিভিন্ন পেশার মানুষের নজরে আসে। এরপর বিক্ষুদ্ধ লোকজন আকাশ সাহার গ্রেফতার ও বিচার দাবিতে তাদের বাড়ির সামনে বিক্ষোভ করেন। ওইদিন বিকেল থেকে উত্তেজনা আরো বাড়তে থাকে।

    বিক্ষুদ্ধ লোকজন একপর্যায়ে সাহাপাড়ার ৫-৬টি বাড়িঘর ভাংচুর করেন। এর মধ্যে একটি বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। আগুনে দুই রুম বিশিষ্ট টিনের শেডের দেয়াল ঘরটি পুড়ে গেছে। এছাড়া সাহাপাড়ার মন্দিরের চেয়ার ও সাউন্ডবক্স এবং আখড়াবাড়ি মন্দিরের টিনের চালা ভাংচুরসহ ইট ছুঁড়েছে বিক্ষুদ্ধরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঘটনাস্থলে বিপুল সংখ্যক পুলিশ ও র‌্যাব মোতায়েন রয়েছে। এছাড়া পুলিশ কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি করেছে। ঘটনার পর আকাশের বাবাকে পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়।

    পুলিশ সুপার প্রবীর কুমার রায় বলেন, বিষয়টি তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। আপাতত পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। #

  • নড়াইলে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানার অভিযোগে আকাশ সাহা ৩ দিনের রিমান্ডে

    নড়াইলে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানার অভিযোগে আকাশ সাহা ৩ দিনের রিমান্ডে

    উজ্জ্বল রায়, নড়াইল জেলা প্রতিনিধি।

    নড়াইলে ধর্ম অবমাননা অভিযুক্ত ৩ দিনের রিমান্ডে। ফেসবুক পোস্টে ‘ধর্ম অবমাননার’ অভিযোগের মামলায় গ্রেফতার হওয়া আকাশ সাহাকে (২১) তিন দিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ।
    রবিবার (১৭ জুলাই) বিকেলে লোহাগড়া আমলী আদালতের বিচারক সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. মোরশেদুল আলম এর আদালত রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
    তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মাকফুর রহমান ৭ দিনের রিমান্ডের আবেদন করলে বিচারক শুনানি শেষে ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়। শনিবার (১৬ জুলাই) রাতে খুলনা থেকে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এ ঘটনায় গত ১৬ জুলাই রাতে দীঘলিয়া গ্রামের সালাহউদ্দিন কচি সরদার বাদি হয়ে লোহাগড়া থানায় আকাশের নামে ‘ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানার’ অভিযোগে মামলা দায়ের করেন।
    প্রসঙ্গত, আকাশ সাহা নামে এক কলেজ ছাত্রের ফেসবুক পোস্টকে কেন্দ্র করে দিঘলিয়া গ্রামে শুক্রবার জুম্মার নামাজের পর থেকে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। তার গ্রেফতার ও বিচার দাবিতে বিক্ষোভ করে বিক্ষুব্ধ লোকজন। পরে সন্ধ্যায় উত্তেজিত জনতা দিঘলিয়া বাজারের নিত্য দুলাল সাহা, অনুপ সাহা, অশোক সাহা, সনজিদ সাহার মুদি দোকান, গোবিন্দ কুণ্ডু ও গৌতম কুণ্ডুর মিষ্টির দোকান ভাঙচুর করে। এছাড়া সাহা পাড়ার গৌরসাহা, চায়না রানী সাহা, বিপ্লব সাহার বাড়ি ভাঙচুর ও নাড়ু গোপালের বসতঘরে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। উত্তেজিত জনতা রাত ৯টার দিকে আখড়াবাড়ি সার্বজনীন পূজামণ্ডপে আগুন ধরিয়ে দেয়।

  • হাসপাতালে ফ্যান সংকট, গরমে বিপাকে রোগীরা

    হাসপাতালে ফ্যান সংকট, গরমে বিপাকে রোগীরা

    মোঃ বাবুল হোসেন পঞ্চগড় :
    তীব্র দাবদাহ আর ভ্যাপ্সা গরমে দুর্বিসহ হয়ে উঠেছে রংপুরসহ গোটা উত্তরাঞ্চলের জনজীবন। হাসফাঁস অবস্থা বিরাজ করছে প্রাণীকূলে। এরই মধ্যে বেড়েই চলেছে সর্দি-জ্বরসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্তদের সংখ্যা। তাই সেবা নিতে প্রতিদিনই পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতাল ভিড় বাড়ছে মানুষদের। কিন্তু ফ্যান সঙ্কটের কারণে সেবা নিতে এসে দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন তারা।
    পেটের ব্যাথা নিয়ে হাসপাতালের মেডিসিন ওয়ার্ডে (পুরুষ) ভর্তি হয়েছেন জাহাঙ্গীর আলম (৩০)। কিন্তু প্রচণ্ড গরমে ফ্যানের বাতাস না থাকায় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে তাকে। অনেকটা আক্ষেপ নিয়েই তিনি বলেন, ‘পেটের ব্যাথার চেয়েও যেন বেশি অসহনীয় এই গরম। অথচ, আমার বেডের ওপরে সিলিংফ্যান নেই। সারাদিন ছটফট করে পার করেছি। রাতটা কিভাবে কাটাবো ভেবে পাচ্ছিনা।’
    শনিবার (১৬ জুলাই) রাতে সরেজমিনে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, মেডিসিন ওয়ার্ডে (পুরুষ) ১০টি ফ্যানের মধ্যে চারটি নষ্ট হওয়ায় তা খুলে নেওয়া হয়েছে। একটি ফ্যান অকেজো অবস্থায় রয়েছে অনেকদিন ধরে। বাকি পাঁচটি ফ্যানদিয়ে চলছে রোগীদের চিকিৎসা। ফলে অনেক রোগীকেই টেবিল ফ্যান অথবা হাতপাখা ব্যবহার করতে দেখা গেছে।
    একই অবস্থা হাসপাতালের অন্য ওয়ার্ডগুলোতেও। হাসপাতালের মহিলা সার্জারি ওয়ার্ডে ৮টি ফ্যানের মধ্যে রয়েছে ৫টি ফ্যান। মহিলা মেডিসিন ওয়ার্ডে ৬টির মধ্যে নেই একটি, শিশু ওয়ার্ডে ১০টির মধ্যে তিনটি ফ্যান অকেজো অবস্থায় রয়েছে।
    হাসপাতালের পুরুষ ওয়ার্ডে কথা হয় রাসেল নামে এক রোগীর মা আমিরন বেগমের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘ফ্যান না থাকায় রোগীদের পাশাপাশি তাদের স্বজনরাও কষ্ট পাচ্ছে। তাই বাধ্য হয়ে বাড়ি থেকে টেবিল ফ্যানটি নিয়ে এসেছি। যাতে আমার অসুস্থ ছেলের কষ্ট একটু হলেও কম হয়।’
    তেঁতুলিয়ার বুড়াবুড়ি এলাকার নুর জামাল তার ৫ বছর বয়সী ছেলেকে নিয়ে গত চার দিন ধরে হাসপাতালে ভর্তি। তিনি বলেন, ‘আমাদের শিশু ওয়ার্ডের চার নম্বর বেডে দেওয়া হইছিলো। কিন্তু বেডের উপরে সিলিং ফ্যান নেই। ফলে এই গরমে খুব ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।’
    পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডা. কাওসার আহমেদ সিলিংফ্যান সঙ্কটের বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, ‘বজ্রপাতে অনেকগুলো সিলিংফ্যান নষ্ট হয়ে গেছে। আমাদের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে না থাকায় আমরা গণপূর্ত বিভাগকে লিখিত আকারে জানিয়েছি এবং ৪৯ টি ফ্যানের চাহিদা দিয়েছি। আমরা তাদের প্রতিনিয়ত বলছি ফ্যানগুলো খুব দ্রুত প্রয়োজন। যেহেতু অনেকগুলো ফ্যানের বিষয় এজন্য হয়তো সময় লাগছে তাদের।’
    পঞ্চগড়ের সিভিল সার্জন ডা. রফিকুল হাসান বলেন, হাসপাতালে ৪৯টি সিলিংফ্যানের প্রয়োজন। ফ্যানগুলোর দাম পড়বে দেড় লাখ টাকা। যা আমাদের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে। এজন্য আমরা প্রায় ১৫ দিন আগে গণপূর্ত বিভাগকে চাহিদা দিয়েছি। কিন্তু এখন পর্যন্ত তারা কোন উদ্যোগ নেয়নি। তবে গতকাল গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলীর সঙ্গে আমার কথা হয়েছে, খুব দ্রুতই এই সঙ্কট নিরসনের আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।
    পঞ্চগড় গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মনিরুজ্জামান সরকার বলেন, ‘এই মুহূর্তে সবগুলো ফ্যান হয়তো রিপ্লেস করা সম্ভব না। কারণ, আমাদের অর্থবছর শেষ হয়ে গেছে। নতুন অর্থবছর চলছে। যেগুলো রিপ্লেস না করলেই নয় সেগুলো দ্রুত রিপ্লেস করে দেবো এবং বাকিগুলোর বিষয়ে পরে সিদ্ধান্ত নেবো।’

  • নড়াইলে ক্ষতিগ্রস্থ বাড়িঘর ও মন্দির পরিদর্শন করলেন জাফরুল্লাহ চৌধুরী

    নড়াইলে ক্ষতিগ্রস্থ বাড়িঘর ও মন্দির পরিদর্শন করলেন জাফরুল্লাহ চৌধুরী

    জান্নাতুল বিশ্বাস.নড়াইল!!
    নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার দিঘলিয়া সাহাপাড়ার কলেজছাত্র আকাশ সাহার ফেসবুকে মহানবীকে (সাঃ) নিয়ে কটূক্তির অভিযোগে সহিংসতায় ঘটনায় হিন্দু সম্প্রদায়ের ক্ষতিগ্রস্থ বাড়িঘর, দোকান ও মন্দির পরিদর্শন করেছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডাক্তার জাফরুল্লাহ চৌধুরী। রোববার (১৭ জুলাই) বিকেলে তিনি ক্ষতিগ্রস্থ এলাকা পরিদর্শন করেন।
    এ সময় উপস্থিত ছিলেন-গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহবায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, মুক্তিযোদ্ধা ইশতিয়াক আজিজ উলফাত ও গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রেস উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম মিন্টু।
    তারা স্থানীয় দিঘলিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সৈয়দ বোরহান উদ্দিন, আওয়ামী লীগ নেতা বনিরুল ইসলাম বনি, সৈয়দ মিরাজুল ইসলাম নয়নসহ ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন।
    আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়া গোবিন্দ সাহার পরিবারকে পাঁচ হাজার টাকা সহযোগিতাও করেন ডাক্তার জাফরুল্লাহ চৌধুরী।
    এ সময় জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, কোনো স্বজ্জন মুসলমান, সঠিক মুসলমান কারো বাড়িতে আগুন দিতে পারেন না। মুসলমান নাম থাকলেই তিনি মুসলমান হয় না। মুসলমান নাম থাকলেই আল্লাহর বান্দা হয় না। মুসলমান যদি স্বজ্জন মুসলমান না হয়, তবে সে মানুষের অধম। আজকে শুধু সংখ্যালঘু নামের কারণে দরিদ্র মানুষের উপর অত্যাচার চলছে। আমাদের সবাইকে মিলে দরিদ্রতার বিরুদ্ধে আন্দোলন করতে হবে। আমাদের স্বপ্নই ছিল অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ। এ হামলা ও ভাংচুরের নিন্দা জানাই।
    গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেন, হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষের উপর হামলা, বাড়িঘর-দোকান ভাংচুর ও লুটপাটের নিন্দা জানাই। এ ঘটনায় আমরা মর্মাহত। যারা এ ঘৃণিত ঘটনার সাথে জড়িত তাদের শাস্তির দাবি জানাই। আর এ ধরণের হামলা ঘটার পরে কোনো কোনো ক্ষেত্রে বিচার প্রক্রিয়ায় দীর্ঘসূত্রিতার সৃষ্টি হয়। তাই এসব ঘটনা দুর্বৃত্তকারীদের উৎসাহ সৃষ্টি করে। এক্ষেত্রে বিচারটা দ্রæত হওয়া জরুরি। তা না হলে দিন দিন উগ্রতা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
    পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত শুক্রবার (১৫ জুলাই) লোহাগড়া উপজেলার দিঘলিয়া সাহাপাড়ার কলেজছাত্র আকাশ সাহার ফেসবুকে মহানবীকে (সাঃ) নিয়ে কটূক্তির ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ রয়েছে। বিষয়টি ওইদিন জুম্মার নামাজের পর বিভিন্ন পেশার মানুষের নজরে আসে। এরপর বিক্ষুদ্ধ লোকজন আকাশ সাহার গ্রেফতার ও বিচার দাবিতে তাদের বাড়ির সামনে বিক্ষোভ করেন। ওইদিন বিকেল থেকে উত্তেজনা আরো বাড়তে থাকে।

    বিক্ষুদ্ধ লোকজন একপর্যায়ে সাহাপাড়ার গোবিন্দ সাহা, তরুণ সাহা, দিলীপ সাহা, পলাশ সাহার বাড়িসহ ৫-৬টি বাড়িঘর ভাংচুর করেন। এর মধ্যে গোবিন্দা সাহার বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। আগুনে দুই রুম বিশিষ্ট টিনের ঘরটি পুড়ে গেছে। এছাড়া সাহাপাড়ার মন্দিরের চেয়ার ও সাউন্ডবক্স এবং আখড়াবাড়ি মন্দিরের টিনের চালা ভাংচুরসহ ইট ছুঁড়েছে বিক্ষুদ্ধরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঘটনাস্থলে বিপুল সংখ্যক পুলিশ ও র‌্যাব মোতায়েন রয়েছে। এছাড়া পুলিশ কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি করেছে।
    এদিকে, মহানবীকে (সাঃ) নিয়ে ফেসবুকে কটূক্তির অভিযোগে কলেজছাত্র আকাশ সাহার (২০) বিরুদ্ধে তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। রোববার (১৭ জুলাই) বিকেলে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোরশেদুুল আলমের আদালতে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা লোহাগড়া থানার এসআই মাকফুর রহমান সাতদিনের রিমান্ড আবেদন করলে বিচারক শুনানি শেষে তিনদিনের মঞ্জুর করেন। এর আগে শনিবার (১৬ জুলাই) রাতে খুলনা থেকে আকাশ সাহাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এদিকে ওইদিন (১৬ জুলাই) রাত ৯টা ১৫ মিনিটে দিঘলিয়া গ্রামের সালাহ উদ্দিন কচি সরদার বাদি হয়ে লোহাগড়া থানায় আকাশের নামে ‘ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করে দাঙ্গা সৃষ্টির অপরাধ’ সংক্রান্ত মামলা দায়ের করেন। অন্যদিকে, সাহাপাড়ার বাড়িঘর ও দোকান ভাংচুর এবং দু’টি মন্দিরে হামলার ঘটনায় রোববার রাতে ২০০ থেকে ২৫০ জনকে আসামি করে লোহাগড়া থানায় মামলা দায়ের করেন এসআই মাকফুর রহমান। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন লোহাগড়া থানার ওসি শেখ আবু হেনা মিলন।
    পুলিশ সুপার প্রবীর কুমার রায় বলেন, বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। আপাতত পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।

    মো জান্নাতুল বিশ্বাস
    নড়াইল প্রতিনিধি।।

  • পাইকগাছায় পুকুরে ডুবে শিশুর মৃত্যু

    পাইকগাছায় পুকুরে ডুবে শিশুর মৃত্যু

    পাইকগাছা(খুলনা) প্রতিনিধি।।
    খুলনার পাইকগাছায় পুকুরে ডুবে মোস্তাকিম (০৪) নামে শিশুর মৃত্যু হয়েছে।সে উপজেলার দেলুটি ইউনিয়নের তেলিখালী গ্রামের মকবুল বিশ্বাসের ছেলে। সোমবার বেলা ১১ টার দিকে তাদের নিজেদের পুকরে পড়ে যায়। এ সময় তার মা ইউনিয়ন পরিষদে ছিল। বাবা মকুবুল শিশুকে কোথাও না পেয়ে খুঁজতে থাকে। এক পর্যায়ে না পেয়ে পুকুরে নেমে শিশুটিকে খুঁজতে থাকে এবং সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করে। তাৎক্ষণিকভাবে শিশুটিকে পার্শ্ববর্তী বটিয়াঘাটা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। এ সময় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত্যু ঘোষনা করেন। বিষয়টা নিশ্চিত করেন স্থানীয় জিয়াবুনিয়া সমবায় সমিতির সভাপতি ভোল্টন ভন্ডল।পাইকগাছা থানা ওসি জিয়াউর রহমান জানান,ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়েছে। থানায় অস্বাভাবিক মৃত্যু জনিত মামলা হয়েছে।

    প্রেরকঃ
    ইমদাদুল হক,
    পাইকগাছা,খুলনা।