কালাইয়ে ইউডিসি উদ্যোক্তার বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা

এস এম মিলন জয়পুরহাট জেলা প্রতিনিধিঃ

জয়পুরহাটের কালাইয়ে ইউএনও কার্যালয়ের ডিজিটাল সেন্টার (ইউডিসি) এর উদ্যোক্তা মামুনুর রশীদ এর বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ তুলেছে এক নারী ।

বুধবার (১১ অক্টোবর) কালাই উপজেলা ইউডিসি ডিজিটাল তথ্য সেবা কেন্দ্র এলাকায় এ ঘটনা ঘটে ।
গত ১১ অক্টোবর বেলা ১২টার দিকে কালাই উপজেলা ডিজিটাল তথ্য সেবা কেন্দ্র গিয়ে ঐ নারী ঘুমের ট্যবলেট খেয়ে ঘটনার স্থলেই অসুস্থ হয়ে পরলে পরবর্তীতে স্থানিয় ও ইউএনও অফিসের কর্মচারীদের সহায়তায় তাকে কালাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান। পরে পরিবারের কাছে পুরো ঘটনার কথা জানান ওই নারী৷

এন আইডি কার্ড সংশোধনের আশ্বাশ দিয়ে তাকে ধর্ষণ করেছে বলে জানায় ভুক্তভোগীর পরিবার৷

অভিযুক্ত উদ্যোক্তা মামুনুর রশিদ উপজেলার কাশিপুর গ্রামের মোঃ ছায়ের আলীর ছেলে৷

জানা যায়, অভিযুক্ত ইউডিসি উদ্যোক্তা মামুনুর রশীদ গত ৬ মাস ধরে ওই নারীকে বিভিন্ন সময় এন আইডি কার্ড সংশোধনের কথা বলে নানান তাল বাহানা করে এবং তার সাথে সখ্যতা গড়ার চেষ্টা করে আসছিল ।

ভুক্তভোগী নারী জানায়, প্রায় ৬ মাস পূর্বে তথ্য সেবা কেন্দ্রে এন আইডি কার্ড সংশোধন করেত গেলে উদ্যোক্তা মামুন আমকে সংশোধন করে দিবে বলে আশ্বস দেয়। সে আমাকে কয়েক মাস ঘুরিয়ে তাল বাহনা করে অফিসে বসে রাখে। যখন অফিসে কেও থাকে না তখন সে আমাকে বাজে প্রস্তাব দেয়। এভাবে তার অফিসে ঘুরতে ঘুরতে এক পর্যায়ে আমার সাথে মামুনুর রশীদ শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করেন। এর পর সে আমাকে এন আইডি কার্ড দেয় এবং সেটি নিয়ে আমি সিম কেনার জন্য দোকানে গেলে ওই দোকানী বলেন আপনার আইডি কার্ড ভুয়া। তখন আমি ওই সেবা কেন্দ্রে গিয়ে ঘুমের বড়ি খাই ওখানেই অসুস্থ হলে লোক জন আমাকে হাসপাতালে নিয়ে আসে। মামুন আমার ক্ষতি করেছে। এই রকম সেবা পেতে আসা আরও অনেকই আছে। আমি সুস্থ হয়ে আইনের আশ্রই নিতে চাই ৷ সে একজন প্রতারক, সুদ ব্যবসায়ী, নারী লোভী আমি তার বিচারের দাবি করছি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে মামুনুর রশিদ বলেন, আমি ওই আইডি কার্ড তাকে দেয়নি, তার সাথে আমার কোন সম্পর্ক নেই। কেনো যে মেয়েটি আমাকে জরিয়ে এব অপপ্রচার চালাচ্ছে৷

এবিষয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা জানাতুল ফেরদাউস বলেন, উপজেলা কার্যালয়ে সামনে একটি মেয়ে অসুস্থ হয়ে পরলে আমরা তাকে প্রাথমিক ভাবে উপজেলা সাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভির্তি করে দেয়। সে এখন ভালো ও সুস্থ আছে।

কালাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মুইন উদ্দীন বলেন ভুক্তভোগির পিতা বাদী হয়ে থানায় মামলা করলে তাকে গ্রেফতার করা হয়। মামলা করতে দেরি হওয়ায় আজকে তাকে আদালতে প্রেরন করা সম্ভব হয়নি।৷

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *