October 23, 2024, 3:16 am
আরিফ রববানী ময়মনসিংহ।।
ময়মনসিংহে কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশের কঠোর নিরাপত্তা ও উৎসব ও আনন্দ শোভাযাত্রায় প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে বাঙালি সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সর্ববৃহৎ উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজার আনুষ্ঠানিকতা শেষ হয়েছে। বুধবার (৫অক্টোবর) বিকাল ৪টা থেকে শুরু হয় বিসর্জন। একদিকে বিদায়ের বেদনা অন্যদিকে বিজয়ের আনন্দে দেবীকে বিদায় জানানো হয়।
এ বছর ময়মনসিংহ নগরীতে ৮৩টি এবং সদর উপজেলায় ৩৯টিসহ ময়মনসিংহ জেলায় ৮০৯ টি
টি মন্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ষষ্ঠী পূজার মধ্য দিয়ে সূচনা হয়েছিলো শারদীয় দুর্গোৎসবের। শেষ হয়েছে দেবী বিসর্জনে। ধর্মীয় রীতিনীতি ও স্বাস্থ্য বিভাগের নির্দেশনা মানা হয় পূজামন্ডপে। নিরপত্তা ছিল অন্য যেকোন বছরের তুলনায় বেশি। বিসর্জনের দিনে ময়মনসিংহ নগরীর প্রতিটি অলি-গলি ও বিসর্জন স্থান সহ পুরো শহর ছিলো নিরাপত্তার চাদরে ডাকা। কোন প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই সম্পন্ন হয়েছে শারদীয় দুর্গোৎসব।
এবার পূর্জায় সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিসহ সব ধরণের মঙ্গল কামনা করা হয়। নগরীতে কাচারি ঘাটের বিসর্জনের জন্য প্রতিমাগুলো নিয়ে যাওয়া হয় ব্রহ্মপুত্র নদে । তারপর মঙ্গলধ্বনি, উলুধ্বনি, শাঁখ আর ঢাকের ধ্বনিতে দেবী প্রতিমা বিসর্জন দেওয়া হয় ব্রহ্মপুত্র নদে। প্রতিমা ঘাটে নেয়ার পর ভক্তরা শেষবারের মতো ধূপধুনো নিয়ে আরতি করেন। পুরোহিতের মন্ত্রপাঠে দেবীকে নৌকায় তুলে বিসর্জন দেন।
আবারও মঙ্গলবার্তা নিয়ে আগামী বছর যেন মা দুর্গা আগমন করেন বিসর্জনকালে সেই প্রার্থনা করেন ভক্তরা। ময়মনসিংহ জেলায় ব্রহ্মপুত্র নদ ছাড়াও বিভিন্ন জলাশয়ে প্রতিমা বিসর্জন দেওয়া হয়। সারাদেশে একইভাবে দিয়ে বিসর্জন করা হয়। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরাও এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
ময়মনসিংহ কোতোয়ালী মডেল থানার ওসি মোঃ শাহ কামাল আকন্দের সাফলতায় নজিরবিহীন
নিরাপত্তায় নগরীরতে ৮৩ টি, সদর উপজেলার ইউনিয়নগুলোতে ৩৯ টি সর্বমোট ১২২টি মন্ডপে পূজা মন্ডপে শারদীয় দূর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হলেও কোথাও কোন অপ্রীতিকর ঘটনার সংবাদ পাওয়া যায়নি
ময়মনসিংহের জেলা পুলিশ সুপার মাছুম আহাম্মদ ভূইয়া এর নির্দেশ মনিটরিং তদারকিতে
ময়মনসিংহ কোতোয়ালী মডেল থানার স্বনামধন্য মানবিক ওসি শাহ কামাল আকন্দ এর নিরলস রাত জাগা দায়িত্ব পালন ও যথাযথ পুলিশি টহল জোরদার থাকায় এবার অতিতের সকল রেকর্ড ভঙ্গ করে নজীর বিহিন জননিরাপত্তায় শারদীয় দূর্গাপূজার বিসর্জন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সনাতনধর্মাবলম্বীরা এবার নিরাপদ নিশ্চিন্তে ব্যাপক উৎসাহে নেচে গেয়ে শারদীয় দুর্গোৎসব উদযাপন করতে পেরে স্যালুট জানাচ্ছেন কোতোয়ালী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শাহ কামাল আকন্দ ও তার থানার পুলিশ বাহিনীকে।
অপর দিকে কোতোয়ালী মডেল থানা পুলিশের কড়া নিরাপত্তায় কোন প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়া উৎসবটি ময়মনসিংহবাসীকে উপহার দেওয়ায় তাদের দায়িত্ব পালনে জেলা পুলিশ সুপার সকলের প্রতি খুশি হয়ে আর্থিক পুরস্কার ঘোষনা এবং ধন্যবাদ জানিয়েছেন বলে সুত্র মতে জানা গেছে।
মহানগর পুজা উদযাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক উত্তম চক্রবর্তী রকেট বলেন, অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশে সব ধর্মাবলম্বী মিলে-মিশে বাস করুক, এটাই আমাদের প্রত্যাশা। তিনি বলেন- প্রতি বছরের তুলনায় এবার শারদীয় দুর্গোৎসব কে শান্তিপূর্ণ করতে নজিরবিহীন নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছেন কোতোয়ালি মডেল থানার পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। এজন্য তিনি তাদেরকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান। তিনি আরো বলেন- কোতোয়ালি মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শাহ কামাল আকন্দ এর দিকনির্দেশনা মোতাবেক থানার পুলিশ পরিদর্শক তদন্ত ফারুক হোসেন, ইন্সপেক্টর অপারেশন ওয়াজেদ আলী, ১নং ফাঁড়ি পুলিশ সহ থানার প্রতিটা অফিসার নিরাপত্তা জোরদার করার লক্ষে যে ভাবে রাতদিন শ্রম দিয়ে আমাদেরকে নিরাপদ উৎসব উপভোগ করতে সহযোগীতা করছেন তাতে কোতোয়ালি মডেল থানার পুলিশের এক নতুন ইতিহাস তৈরী করেছেন।
তিনি বলেন, “আমরা সবার মঙ্গল কামনা করি। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির যে বন্ধন দেশে রয়েছে সেটি অটুট থাকুক। আগামী দিনেও যেন কোথাও কোনঅপ্রীতিকর ঘটনার সৃষ্টি না হয়, হিন্দু-মুসলিম সকলে যেন দেশে মিলে-মিশে থাকতে পারি আমরা এমন প্রত্যাশা করি।