August 14, 2025, 11:10 pm

বিজ্ঞপ্তি :
বিশেষ সতর্কীকরন - "নতুন বাজার পত্রিকায়" প্রকাশিত সকল সংবাদের দ্বায়ভার সম্পুর্ন প্রতিনিধি ও লেখকের। আমরা আমাদের প্রতিনিধি ও লেখকের চিন্তা মতামতের প্রতি সম্পুর্ন শ্রদ্ধাশীল। অনেক সময় প্রকাশিত সংবাদের সাথে মাধ্যমটির সম্পাদকীয় নীতির মিল নাও থাকতে পারে। তাই যেকোনো প্রকাশিত সংবাদের জন্য অত্র পত্রিকা দায়ী নহে। নতুন বাজার পত্রিকা- বাংলাদেশের সমস্ত জেলা, উপজেলা, ক্যাম্পাস ও প্রবাসে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে! বিস্তারিত: ০১৭১২৯০৪৫২৬/০১৯১১১৬১৩৯৩
শিরোনাম :
সুজানগরে বিএনপি নেতা মজি-বর খঁাসহ ৭ নেতা-কর্মীর ব-হিষ্কারাদেশ প্রত্যা-হারের দাবি-তে মান-ববন্ধন ঝিনাইদহে মোটরসাইকেল ও বাইসাইকেল সং-ঘর্ষে দুই ছাত্রের মৃ-ত্যু র‌্যাব-১২, সিরাজগঞ্জ এর অভি-যানে ৩২৮ গ্রাম হেরো-ইনসহ ১ জন নারী মাদ-ক ব্যব-সায়ী গ্রেফ-তার নড়াইলে অ-পচিকিৎসায় প্রসূ-তির মৃ-ত্যু ক্লিনিকের অপারেশন থি-য়েটারে সি-লগালা বানারীপাড়ায় জেলা প্রশা-সকের বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠান পরিদ-র্শন ও মত-বিনিময় সভা অ-নুষ্ঠিত তারাগঞ্জে সেনাবাহিনীর হাতে ৩১০ পি-স ট্যা-পেন্টাডল ট্যাব-লেটসহ ১ মা-দক ব্যব-সায়ী আট-ক জাতীয় জেলা ক্রিকেট চ্যাম্পিয়নশিপের রানার্সআপ প্রাই-জমানি বি-তরণ মাগুরার শ্রীপুরে এই প্রথম অর্থো-পেডিক্স ডাক্তারের আগ-মন, স্বস্তিতে শ্রী-পুরবাসী মোংলায় উপজেলা ভূমি ক-মিটি গঠ-ন মাদ্রাসা শিক্ষা বৃত্তি বিত-রণে অনিয়-মের অভি-যোগ সুপা-রের বিরু-দ্ধে
তারাগঞ্জে রুপলাল ও তার জামাই নিহ-তের ঘটনায় দুই এসআইসহ ৬ পুলিশ কনস্টেবলকে ক্লো-জ

তারাগঞ্জে রুপলাল ও তার জামাই নিহ-তের ঘটনায় দুই এসআইসহ ৬ পুলিশ কনস্টেবলকে ক্লো-জ

খলিলুর রহমান খলিল নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
রংপুরের তারাগঞ্জে গণপিটুনিতে রবিদাস সম্প্রদায়ের জামাই-শ্বশুর নিহতের ঘটনায় দায়িত্ব অবহেলার অভিযোগে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তাসহ ঘটনার সময় উপস্থিত দুই এসআই, ৬ পুলিশ কনস্টেবলকে তারাগঞ্জ থানা থেকে ক্লোজ করে নেওয়া হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রংপুরের পুলিশ সুপার আবু সাইম।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ক্লোজ হওয়া দুই এসআই ও ৬জন কনস্টেবল হলেন-নিহত রুপলাল দাসের স্ত্রীর দায়ের করা হত্যা মামলারর তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই আবু জোবায়ের, রংপুর পুলিশ লাইনে থেকে যুক্ত থাকা এসআই সফিকুল ইসলাম, কনস্টেবল ফারিকিত আখতার জামান, ধিরাজ কুমার রায়, হাসান আলী, ফিরোজ কবির, মোক্তার হোসেন ও বাবুল চন্দ্র রায়। তাঁরা সকলে রুপলাল ও প্রদীপলালকে মারপিটের সময় উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু ওই দুইজনকে উদ্ধার না করে জনতার হাতে রেখে সরে আসেন। জোবায়েরের পরিবর্ততে বর্তমানে ওই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ওসি তদন্ত রফিকুল ইসলামকে।
গত শনিবার রাত ৯টার দিকে তারাগঞ্জের সয়ার ইউনিয়নের বটতলা এলাকায় গণপিটুনিতে নিহত হন উপজেলার ঘনিরাপুর এলাকার রুপলাল দাস। একই ঘটনায় নিহত হন তাঁর ভাগনির স্বামী প্রদীপ লাল (৩৫)। প্রদীপের বাড়ি মিঠাপুকুর উপজেলার বালুয়াভাটা গ্রামে। রূপলাল স্থানীয় বাজারে জুতা সেলাই করতেন। ছোট্ট একটি টিনের ঘরে তিনি মা, স্ত্রী ও তিন সন্তানসহ থাকতেন। আর প্রদীপ লাল জীবিকা নির্বাহ করতেন ভ্যান চালিয়ে।
নিহত রূপলালের পরিবার জানায়, রূপলাল দাসের মেয়ে নুপুর রানীর বিয়ের কথাবার্তা চলছিল মিঠাপুকুরের শ্যামপুর এলাকার এক যুবকের সঙ্গে। গত রোববার বিয়ের দিন-তারিখ ঠিক করার কথা ছিল। এ জন্য মিঠাপুকুর থেকে নিজের ভ্যান চালিয়ে রূপলালের ভাগনির স্বামী প্রদীপ লাল আগের দিন শনিবার ঘনিরামপুর গ্রামে রূপলালের বাড়ির উদ্দেশে রওনা হন। কিন্তু গ্রামের ভেতর দিয়ে রাস্তা না চেনায় প্রদীপ কাজীরহাট এলাকায় এসে রূপলালকে ফোন করেন। সেখানে রূপলাল গিয়ে দুজন ভ্যানে চড়ে ঘনিরামপুর গ্রামের দিকে রওনা হন। রাত ৯টার দিকে তারাগঞ্জ-কাজীরহাট সড়কের বটতলা এলাকায় পৌঁছালে কয়েকজন যুবক তাঁদের আটক করেন। একপর্যায়ে প্রদীপ লালের ভ্যানে থাকা বস্তা থেকে কয়েকটি প্লাস্টিকের ছোট বোতল বের করেন তাঁরা। এটা নিয়ে তাঁদের মধ্যে ধস্তাধস্তি হয়। একপর্যায়ে লোকজন জড়ো হলে রূপলাল ও প্রদীপ লালকে চোর আখ্যা দেওয়া হয়। বস্তায় থাকা একটি বোতল নাকের সামনে নিয়ে মেহেদী হাসান উপস্থিত লোকজনকে বলেন, ‘এ ভাই, দয়া করে আমাকে ধরো’ বলে মাটিতে পড়ে যেতে থাকেন। এরপর দুজন তাঁকে কোলে করে সরিয়ে নেন। এ ঘটনা ছড়িয়ে পড়লে সেখানে শত শত লোক জড়ো হন। একপর্যায়ে অচেতন করে চুরি করা চোর সন্দেহে তাঁদের দুজনকে মারধর শুরু হয়। মারতে মারতে তাদের বুড়িরহাট উচ্চবিদ্যালয়ের মাঠে নেওয়া হয়। এ সময় সেখানে এসআই জোবায়ের ও সফিকুলসহ ওই কনস্টেবলরা বুড়িরহাট মাঠে যান। তখনও রুপলাল ও প্রদীপলাল জীবিত ছিলেন। কিন্তু তাঁরা রুপলাল ও প্রদীপ লালকে উদ্ধার না করে জনতার হাতে রেখে সরে যান। এরপর উত্তেজিত জনতা গণপিটুনি তাঁরা অচেতন হয়ে পড়েন। এরপর প্রায় এক ঘন্টা পর পুলিশ ও সেনাবাহিনীর তিনটি গাড়ি সেখানে যায়। তাঁরা বুড়িরহাট উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠ থেকে অচেতন অবস্থায় ওই দুজনকে উদ্ধার করে তারাগঞ্জ হাসপাতালে নিলে সেখানে চিকিৎসক রাত ১১টায় রুপলালকে মৃত্যু ঘোষণা করেন। এবং প্রদীপ লাল ভোর ৪টায় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান।
এ ঘটনায় পরদিন রোববার রুপলালের স্ত্রী ৫০০ থেকে ৭০০জনকে অজ্ঞাতনামা আসামী করে থানায় মামলা করলে ওই দিন রাতে পুলিশ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে চারজনকে গ্রেপ্তার করেন।
দুই এসআই ও ৬ কনস্টেবল ক্লোজের বিষয়ে জানতে চাইলে রংপুরের পুলিশ সুপার আবু সাইম বলেন, ‘তাদের ক্লোজ করা হয়। আমরা ইনকোয়ারি শুরু করেছি। তদন্তে যদি কারও দোষ থাকে, আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

Please Share This Post in Your Social Media






© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Design & Developed BY AMS IT BD