June 26, 2025, 11:54 pm
হেলাল শেখঃ একটি হানিট্র্যাপ চক্রের সদস্য হিসেবে ১ নারীসহ ২ জনকে গ্রেফতার করেছে আশুলিয়া থানা পুলিশ। এদের বিরুদ্ধে প্রেমের ফাঁদে ফেলে একজন যুবককে অপহরণ, মারধর ও মুক্তিপণ আদায়ের অভিযোগ উঠেছে।
এ ব্যাপারে (২৬ জুন ২০২৫ইং) তারিখ আশুলিয়া থানায় সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে। ঘটনাটি গত ২০ জুন রাত থেকে ২১ জুন ভোর পর্যন্ত আশুলিয়া থানার জামগড়া ও চিত্রশাইল এলাকায় সংঘটিত হয়। এ এলাকায় বিষয়ে পলাশ হোসেন (২৫) একটি ডেটিং অ্যাপ (টান টান) এর মাধ্যমে ২ নং আসামীর সাথে পরিচিত হন কথোপকথনের পর আসামী তাকে আশুলিয়ার জামগড়া এলাকায় ডেকে নিয়ে যায়।
২০ জুন রাত আনুমানিক ৯টায় পলাশ সেখানে পৌঁছালে আসামী ও তার সহযোগীরা তাকে জোরপূর্বক অপহরণ করে চিত্রশাইল এলাকার একটি বাড়ির তিন তলায় আটকে রাখে।
সেখানে তারা তাকে মারধর করে ২,৫০,০০০ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। এ সময় তারা পলাশের কাছ থেকে ১২,৭০০ টাকা নগদ, একটি আইফোন (৩০,০০০ টাকা মূল্যের), এটিএম কার্ড ও মোটরসাইকেলের চাবি জবরদস্তিমূলকভাবে ছিনিয়ে নেয়।
প্রায় ৪ ঘণ্টা আটকে রাখার পর ২১ জুন ভোররাতে তাকে অজ্ঞাত স্থানে ফেলে দেওয়া হয়। পরে পলাশ স্থানীয়দের সহায়তায় বাড়ি ফিরে ২৫ জুন আশুলিয়া থানায় অভিযোগ দাখিল করেন ।
পুলিশের অভিযান ও গ্রেফতার আশুলিয়া থানা পুলিশ গোয়েন্দা তথ্য ও প্রযুক্তি ব্যবহার করে অভিযান চালিয়ে ২৫ জুন দুপুর ২টায় মোঃ ইয়াছিন শেখ (২৫) এবং রাত ১১:৩০টায় মোসাঃ সুমাইয়া জান্নাত ওরফে সুমি আক্তার (২৫) কে গ্রেফতার করে।
এ সময় ভুক্তভোগীর মোটরসাইকেলও উদ্ধার করা হয়। গ্রেফতারকৃত আসামী সুমি আক্তার দীর্ঘদিন ধরে একটি চক্র তৈরি করে প্রেমের ফাঁদে ফেলে নিরীহ মানুষদের জিম্মি করে মুক্তিপণ আদায় ও মারধরের মতো অপরাধমূলক কাজে জড়িত বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে । আসামিরা হলেন মোঃ ইয়াছিন শেখ (২৫) পিতা: মোঃ মোতালেব শেখ , মোসাঃ সুমাইয়া জান্নাত ওরফে সুমি আক্তার (২৫)।
এ বিষয়ে ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাহিনুর কবিরের নির্দেশনায় আশুলিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশনস) সফিকুল ইসলাম সুমনের তত্ত্বাবধানে এই অভিযান সফল হয়। এসআই মোঃ সোহেল আল মামুন অভিযানের নেতৃত্ব দেন। পুলিশ জানিয়েছেন, বাকি আসামীদের গ্রেফতারের জন্য অভিযান চলছে।
পুলিশ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও ডেটিং অ্যাপ ব্যবহারকারীদের থেকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছে।
বলা হয়েছে অপরিচিত ব্যক্তির সাথে একাকী সাক্ষাৎ করতে যাওয়া থেকে বিরত থাকতে এবং সন্দেহজনক কোনো ঘটনায় অবিলম্ব হলে ৯৯৯ নম্বরে কল করার অনুরোধ জানানো হয়েছে।
এই ঘটনায় আশুলিয়া থানা পুলিশের দ্রুত পদক্ষেপ নাগরিকদের মধ্যে ইতিবাচক সাড়া ফেলেছে। আশা করা হচ্ছে, এর মাধ্যমে এই ধরনের অপরাধ কমে আসবে। উক্ত সংবাদ সম্মেলনের সময় আশুলিয়া থানার নবনিযুক্ত অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হান্নান উপস্থিত ছিলেন।