মোংলায় ঈদুল ফিতর পালিত, ইসলামের চেতনাকে ব্যক্তি, সমাজ ও জাতীয় জীবনের সকল স্তরে প্রতিষ্ঠা করার প্রত্যাশা

বায়জিদ হোসেন, মোংলা:
মোংলায় পবিত্র ঈদুল ফিতরের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (২২ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৭টায় পৌর কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে অনুষ্ঠিত প্রথম জামাতে ইমামতি করেন মোংলা পৌর কেন্দ্রীয় বাজার জামে মসজিদের খতিব ও ইমাম মাওলানা তৈয়বুর রহমান। এ ময়দানেই ঈদের নামাজ আদায় করেন পৌর মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ আ. রহমান, স্থানীয় প্রশাসন, বিভিন্ন রাজনীতিক, জন প্রতিনিধি সহ সর্বস্তরের মুসল্লি। এ সময় পৌরবাসীকে ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা জানান পৌর মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ আ. রহমান ও পৌর কর্তৃপক্ষের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দীপংকর দাশ। পৌর মেয়র শেখ আব্দুর রহমান বলেন, ঈদ শান্তি, সহমর্মিতা ও ভ্রাতৃত্ববোধের অনুপম শিক্ষা দেয়। হিংসা-বিদ্বেষ ও হানাহানি ভুলে মানুষ সাম্য, মৈত্রী ও সম্প্রীতির বন্ধনে আবদ্ধ হয়। ঈদ ধনী-গরিব নির্বিশেষে সকলের জীবনে আনন্দের বার্তা বয়ে নিয়ে আসে। ঈদের আনন্দ আমাদের সবার। ব্যক্তি, পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রীয় জীবনে মুসলমানদের আত্মশুদ্ধি, সংযম, সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতির মেলবন্ধন পরিব্যাপ্তি লাভ করুক-এটাই হোক ঈদ উৎসবের ঐকান্তিক কামনা। হাসি-খুশি ও ঈদের অনাবিল আনন্দে প্রতিটি মানুষের জীবন পূর্ণতায় ভরে উঠুক। বিশ্বেরসকলমানুষেরসুখ-শান্তি, কল্যাণ ও উত্তরোত্তর সমৃদ্ধি হোক আজকের দিনে আমি মহান আল্লাহর কাছে এই প্রার্থনা করি। মেয়র সকলের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, আসুন, সকল প্রকার অন্যায়, অনাচার, হানাহানি ও কুসংস্কার পরিহার করে আমরা শান্তির ধর্ম ইসলামের চেতনাকে ব্যক্তি, সমাজ ও জাতীয় জীবনের সকল স্তরে প্রতিষ্ঠা করি। এরপর একই জায়গায় দ্বিতীয় ও শেষ জামাত অনুষ্ঠিত হয় সকাল ৮টায়। এছাড়াও পৌরসভা ও উপজেলার বিভিন্ন এলাকার প্রায় অর্ধশতাধিক ঈদগাহ এবং মসজিদে অনুষ্ঠিত হয়েছে ঈদুল ফিতরের নামাজ। নামাজ শেষে মোনাজাতে দেশ ও জাতির কল্যাণ কামনায় দোয়া করা হয়। ‘বালা মুসিবত’ থেকে সুরক্ষা চাওয়া হয় আল্লাহর কাছে। সারা বিশ্বের মুসলিমদের শান্তি কামনার পাশাপাশি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের শহীদ সদস্য, জাতীয় চার নেতা, মুক্তিযুদ্ধে শহিদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের কথা স্মরণ করে তাদের জন্যও আল্লাহর কাছে দোয়া চাওয়া হয়। কোভিড মহামারির কারণে গত তিন বছর ঈদ জামাতেও ছিল করোনা নিয়ে বিধির কড়াকড়ি। ঈদ জামাতে মাস্ক পরার বাধ্যবাধকতা ছিল। কোলাকুলিতেও ছিল মানা। এবার ঈদ জামাত ফিরেছে পুরনো মেজাজে। নামাজ শেষে কোলাকুলি আর মোসাফাহা করেন সবাই।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *