May 1, 2024, 9:24 am

বিজ্ঞপ্তি :
বিশেষ সতর্কীকরন - "নতুন বাজার পত্রিকায়" প্রকাশিত সকল সংবাদের দ্বায়ভার সম্পুর্ন প্রতিনিধি ও লেখকের। আমরা আমাদের প্রতিনিধি ও লেখকের চিন্তা মতামতের প্রতি সম্পুর্ন শ্রদ্ধাশীল। অনেক সময় প্রকাশিত সংবাদের সাথে মাধ্যমটির সম্পাদকীয় নীতির মিল নাও থাকতে পারে। তাই যেকোনো প্রকাশিত সংবাদের জন্য অত্র পত্রিকা দায়ী নহে। নতুন বাজার পত্রিকা- বাংলাদেশের সমস্ত জেলা, উপজেলা, ক্যাম্পাস ও প্রবাসে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে! বিস্তারিত: ০১৭১২৯০৪৫২৬/০১৯১১১৬১৩৯৩
শিরোনাম :
কেশবপুরে নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অবঃ) মোঃ আহসান হাবিব মহান মে দিবস উপলক্ষ্যে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন বিশিষ্ট শিল্পপতি আইয়ুব আলী ফাহিম শেরপুর সদরে সর্বজনীন জাতীয় পেনশন স্কিম বাস্তবায়নে মতবিনিময় সভা ৫২ বছরের মধ্যে রাজশাহীতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড, নিম্ন আয়ের মানুষ পড়ছেন চরম বিপাকে ঝিনাইদহে হিট স্ট্রোকে দুইজনের মৃত্যু মহেশপুরে শত্রুতার জের ধরে ভেকু গাড়ি আগুনে পুড়ে ভূষিভুত, থানায় অভিযোগ দায়ের ছনহরা ওয়ার্ড ছাত্রলীগের বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি স্ত্রীকে নির্যাতন করার অভিযোগে চট্টগ্রাম, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল নং-৬,এর আদালতে মামলা দোয়ারাবাজারে কলেজ শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার  পুলিশের হাতে আটক যুবক চারঘাটে তীব্র তাপদাহে খামারীরা হতাশা গ্রস্ত 
পঞ্চগড়ে হাটে পশু বেশি, ক্রেতা কম

পঞ্চগড়ে হাটে পশু বেশি, ক্রেতা কম

মোঃ বাবুল হোসেন পঞ্চগড় :
পঞ্চগড়ের রাজনগর পশুর হাটে একটি উন্নত জাতের ষাঁড় গরু এনেছিলেন সদর উপজেলার কামাত কাজলদিঘী ইউনিয়নের ফুলপাড়ার মাসুদ রানা। তিনি ২২ মণ ওজনের গরুটির দাম হাঁকিয়েছেন ছয় লাখ টাকা। দুইজন ক্রেতা তার গরুটির দাম ৪ লাখ টাকা পর্যন্ত বললেও পরে আর কেউ কাছেও আসেনি। দাম কাঙ্খিত না হওয়ায় তিনি গরুটি বিক্রি না করেই ফিরিয়ে নিয়ে গেছেন।
শহরের কামাতপাড়া এলাকার খামারি আবু তাহের ১০টি গরু এনেছিলেন। একেকটির ওজন ২০০ কেজিরও বেশি। প্রত্যেকটির দাম চেয়েছিলেন ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা করে। কিন্তু কোন ক্রেতাই তার গরুর দাম ১ লাখ ৫ হাজার টাকার বেশি বলেননি। এই দামে বিক্রি করলে লোকসান গুণতে হবে বলে জানান তিনি।
দুপুরে পঞ্চগড় শহরের পূর্ব জালাসী এলাকার এই হাটে গিয়ে দেখা যায়, গরু উঠেছে প্রচুর। দূর-দূরান্ত থেকে ক্রেতাও এসেছেন। ক্রেতা-বিক্রেতাদের মধ্যে চলছে গরুর দর-কষাকষিও। কিন্তু দাম বনিবনা না হওয়ায় অধিকাংশ ক্রেতাই সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন সামনের হাটে আসার।
সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, হাটে এবার মাঝারি আকারের গরু বেশি বিক্রি হচ্ছে। ফলে খামারীরা তাদের বড় আকারের গরু নিয়ে পড়েছেন বিপাকে। অন্যান্য বছর ঈদের আগে ব্যাপারীরা এই হাট থেকে বড় বড় গরু কিনে ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেটসহ দেশের বড় বড় শহরে নিয়ে যান। কিন্তু এবার বাইরের ব্যাপারীরা আসেননি।
গরু ব্যবসায়ী মুসলিম উদ্দীন বলেন, হাটে বিভিন্ন আকারের পাঁচটি উন্নত জাতের গরু বিক্রি করতে এনেছি। তার মধ্যে মাত্র একটি গরু বিক্রি করেছি। বাইরের ব্যবসায়ী নেই বললেই চলে। আর স্থানীয় ক্রেতারা যে দাম বলছেন সেই দামে গরু বিক্রি করলে গরু প্রতি ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা লোকসান হবে। তাই বাধ্য হয়ে বাকী চারটি গরু ফেরত নিয়ে যাচ্ছি।
চট্টগ্রাম থেকে এই হাটে গরু কিনতে এসেছেন নেজাম উদ্দীন ব্যাপারী। তার দাবি বিক্রেতারা বেশি দাম হাঁকাচ্ছেন। তিনি বলেন, আমি এই হাটে ৩৫টি গরু কেনার টার্গেট নিয়েছিলাম। কিন্তু দাম বেশি হওয়ায় সেই টার্গেট পূরণ নাও হতে পারে। বিকেল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত ১৫টি গরু কিনেছি।
হাটের ইজারাদার মোশারফ হোসেন বলেন, হাটে প্রচুর গরুর আমদানি হয়েছে। কিন্তু বিক্রি খুবই কম। কোরবানির পশুর হাট সুষ্ঠুভাবে নিয়ন্ত্রণের জন্য হাটে পুলিশ সদস্যরা রয়েছেন। তাছাড়া জাল টাকা শনাক্তের জন্য হাটের বিভিন্ন জায়গায় কয়েকটি বুথ রয়েছে। এছাড়া অসুস্থ গরুর জন্য হাটে ভ্যাটেরিনারি চিকিৎসক রয়েছে।

Please Share This Post in Your Social Media






© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Design & Developed BY AMS IT BD