June 16, 2025, 11:24 pm
হেলাল শেখঃ ঢাকার সাভার ও আশুলিয়াসহ সারাদেশের বিভিন্ন হাট-বাজারে ও মার্কেটের দোকানে নিষিদ্ধ পলিথিন অবাধে বিক্রি ও ব্যবহার করায় পরিবেশ দূষণ হচ্ছে-এসব ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান করে ব্যবস্থা নিচ্ছেন না নিরবতায় সংশ্লিষ্ট প্রশাসন। বিশেষ করে পলিথিন ব্যাগ ব্যবহার করার কারণে-একদিকে সোনালী দিন ফেরাতে পাটের ব্যাগ ব্যবহার হচ্ছে না। অন্যদিকে পলিথিন ব্যবহার করায় পরিবেশ চরমভাবে দূষণ হচ্ছে। বিভিন্ন পলি ড্রেনে আটকে গিয়ে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়।
সোমবার (১৬ জুন ২০২৫্ইং) সকালে সাভার ও আশুলিয়ার বিভিন্ন এলাকার হাট-বাজারে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, নিষিদ্ধ পলিথিন বিক্রি করছে অসাধু ব্যবসায়ীরা। ঢাকার আশুলিয়ার বাইপাইল বাজার, জিরানী বাজার, কাঠগড়া বাজার, ভাদাইল বাজার, অন্যদিকে আশুলিয়া হাটসহ বিভিন্ন হাট-বাজারে প্রকাশ্যে বিক্রি করা হচ্ছে নিষিদ্ধ পলিথিন। প্রাইকারি ও খুচরা দোকানদার জানায়, সংশ্লিষ্ট পুলিশ প্রশাসনকে ম্যানেজ করেই পলিথিন বিক্রি করা হচ্ছে। অনেকেরই প্রশ্নঃ সরকার নিষিদ্ধ করার পরও যেখানে-সেখানে পলিথিন বিক্রি হচ্ছে কিভাবে? মানুষ বাজার খরচ করার সময় প্রায় ব্যক্তির হাতেই পলিথিন ব্যাগ দেখা যায় চোখে পড়ার মতো।
বিশেষ করে বর্তমান সরকার ও সংশ্লিষ্ট কর্মর্কর্তার্গণ সোনালী দিন ফেরাতে পাটের তৈরি ব্যাগসহ বিভিন্ন পণ্য ব্যবহার করার জন্য সকলকে জানিয়েছেন,সরকারি আইনের তোয়াক্কা না করে অবৈধ ও নিষিদ্ধ পলিথিন প্রকাশ্যে বিক্রি করে আসছে অসাধু ব্যবসায়ীরা। সারা বিশ্বে পাটের চাহিদা বৃদ্ধি পেলেও তা বাংলাদেশে সকলের অবহেলা ও সচেতনতার অভাবে সোনালী অঁাশ পাট প্রায় বিলুুপ্তির পথে। বিশেষ করে লেখক, কলামিস্ট, পরিবেশববাদী ও বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের প্রতিনিধিগণ বলেন, মাদক যেমনঃ যুবসমাজকে নষ্ট করে, তেমনি পলিথিন ও প্লাস্টিক দ্রব্য পরিবেশের কুফল বয়ে আনে জমি নষ্ট করে। অনেকেই বলছেন যে, জমিতে পলিথিন ও প্লাস্টিক দ্রব্য ফেলা হয়-সেই জমিতে ফসল হয় না।
পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট প্রশাসন জানান, পলিথিন বা প্লাস্টিক ব্যবহার করার কারণে রাস্তা ও ড্রেন নষ্ট করে পরিবেশ দূুষণ করছে কিছু অসাধু লোকজন। সরকার নিষিদ্ধ করার পরও যারা আইন মানছেন না-তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে তারা দাবী করেন।