June 16, 2025, 1:21 am
মো.সেলিম মিয়া (ময়মনসিংহ) ফুলবাড়িয়া প্রতিনিধি : ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া উপজেলার এনায়েতপুর ইউনিয়নে রাতে আঁধারে ৯০ শতাংশ জমির শতাধিক লেবু গাছ কেটে ফেলার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় রুহুল আমিন গংদের বিরুদ্ধে।
জানা যায়, এনায়েতপুর ইউনিয়নের কাহালগাঁও গ্রামের আ: মোতালেব ও নুরুল ইসলাম দুই ভাই। আব্দুল মোতালেবের দুই মেয়ে মুক্তা ও মনি আর নুুরুল ইসলামের দুই পুত্র কামরুজ্জামান ও আমিরুল ইসলাম। কামরুজ্জামান মোতালেবের মেয়ে তানজিনা আক্তার মুক্তার কে বিয়ে করেন। নুরুল ইসলাম ও মোতালেব জীবিত থাকাকালীন কাহালগাঁও মৌজায় স্ট্যাম্পমুলে ৯০ শতক জমি কামরুজ্জামান, আমিরুল ইসলাম ও তানজিনা আক্তার মুক্তার নামে লিখে দেন।
অপরদিকে আব্দুল মোতালেবের আরেক মেয়ে মনি আক্তারের বিয়ে হয় ভালুকা উথুরা গ্রামের সজিবের সাথে। জমির লোভ সামলাতে না পেরে মনি ও তার স্বামী সজিবের কু পরামর্শে শাশুরী নাজমুন নাহার বড় মেয়ের জামাই কামরুজ্জামানের বিরুদ্ধে পুলিশ হেড কোয়ার্টারে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগটি তদন্তে মিথ্যা প্রমাণিত হওয়ার পরও সামাজিকভাবে ফুলবাড়িয়া থানায় একটি সালিশীর মাধ্যমে উক্ত জমি ভোগ দখলের জন্য দেওয়া হয়। তবে অন্য দাগের জমিগুলো কামরুজ্জামান গংদের লিখে দেওয়ার কথা। কিন্তু তারা কথা না রেখে স্থানীয় দালালদের যোগসাজসে স্ট্যাম্পমূলে বিক্রি করার পায়তারা করে।
আমিরুল ইসলাম গংদের দাবী, ভালুকার উথুরা গ্রামের মোজাম্মেল হকের পুত্র সজিব মিয়া বায়না মুলে আলতাব আলী ছেলে মোঃ রুহুল আমিনের কাছে বায়না করে। ঈদের দুই দিন পর সোমবার (০৯ জুন) রাতে আঁধারে লেবু বাগানের গাছ কেটে ফেলেছে রহুল আমিন গংরা। ৯০ শতাংশ জমির উপর লেবু গাছের মাঝে শতাধিক লেবু গাছ কেটে ফেলেছে।
এলাকার জমির দালাল রহুল আমিন গংরা লাঠিয়াল বাহিনী নিয়ে আসে ৯০ শতাংশ জমির উপর শতাধিক লেবু গাছ কেটে ফেলেছে। এ ঘটনা শুনার সাথে সাথে আমি আশেপাশে লোকজন নিয়ে বিষয়টি ইউপি সদস্যকে অবগত করি। লেবু গাছ গুলোতে পুরোদমে ফলন প্রায় অর্ধ লক্ষ টাকা ক্ষয় ক্ষতি হয়েছে। জমির দালাল মোঃ রহুল আমির গংরা লেবু গাছ গুলো কাটা শুরু করে তারা আমার পিছনে দীর্ঘদিন ধরে লেগে তারা আমার ক্ষতি করবে।
শ্রমিক জিন্নাহ ফকির বলেন, সকালে আমি লেবু ক্ষেতে গেলে গাছ কাটা দেখতে পাই। এরপর জমির মালিক কে সংবাদ দেই। এতে আমার প্রায় অর্ধ লক্ষ টাকা ক্ষয় ক্ষতি হয়। এ বিষয় নিয়ে ফুলবাড়ীয়া থানার একটি অভিযোগ করি।
ইউপি সদস্য আশরাফুল আলম বলেন, আমি শুনেছি, সাবেক মেম্বার আমিরুল ইসলামের লেবু গাছ কেটে ফেলেছে। কিন্তু কাজটি ঠিক করে নাই।
মো: রুহুল আমিন বলেন, আমি জমি বায়না করেছি। কে বা কারা লেবু গাছ কেটেছে তা আমি জানি না।
মনি আক্তারের স্বামী সজিব বলেন, আমি ৭২ শতাংশ জমি বিক্রি করেছি। আমরা লেবু গাছ কাটি নাই।
তানজিনা আক্তার মুক্তা বলেন, আমার বোন তো সকল জমিতে ওয়ারিশ। তার জমি বিক্রি করতে চাইলে প্রত্যেক দাগে দাগে বিক্রি করতে হবে। এক দাগে জমি বিক্রি করার কোন সুযোগ নেই।