January 27, 2025, 4:27 pm
মোঃ বাবুল হোসেন পঞ্চগড় জেলা প্রতিনিধি : অনিয়ম, ঘুষ বাণিজ্য এবং ফ্যাসিস্ট আওয়ামী প্রীতি মনোভাবের অভিযোগ তুলে চার বিচারকের অপসারণের দাবিতে জেলা জজ কোর্ট ঘেরাও এবং রাস্তা অবরোধ করেছে পঞ্চগড়ের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা।
রোববার (২৬ জানুয়ারি) বেলা সোয়া দুইটায় আদালতের সকল ফটকে তালা দিয়ে পঞ্চগড়-বাংলাবান্ধা মহাসড়ক অবরোধ করে তারা। পরে রাত ৮ টায় জেলা প্রশাসকের আশ্বাসের কর্মসূচির সমাপ্তি ঘোষণা করে আন্দোলনকারীরা।
অভিযুক্ত ওই বিচারকরা হলেন- পঞ্চগড়ে সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ গোলাম ফারুক, চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসান মন্ডল, সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আশরাফুজ্জামান ও জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আবু হেনা সিদ্দিকী।
গত বুধবার দুপুরে জেলা ও দায়রা জজসহ চার বিচারকের অপসারণের দাবিতে পঞ্চগড়ে বিক্ষোভ ও সমাবেশ করে তারা। ওই দিন বিক্ষোভে এই চার বিচারককে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অপসারণের সময়সীমা বেঁধে দেন আন্দোলনকারীরা। বেঁধে দেওয়া সময়সীমা শেষ হওয়ায় আজ আন্দোলন কর্মসূচি পালন করেন বিক্ষোভকারীরা।
এসময় আদালত চত্বরের ভেতরে থাকা বিচারপ্রার্থী, আইনজীবীসহ আদালত–সংশ্লিষ্ট লোকজন বিকেল সোয়া পাঁচটা পর্যন্ত আটকা ছিলেন।
পরে সন্ধ্যা ৭টা ৫০ মিনিটে জেলা প্রশাসক মো. সাবেত আলী আদালত চত্বরে উপস্থিত হয়ে আন্দোলনকারীদের উদ্দেশে বলেন, সরকারি সিদ্ধান্ত হতে কিছুটা সময় লাগে। তবে প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। সিদ্ধান্তটা আইন মন্ত্রণালয়ে সামারি হয়ে মাননীয় প্রধান বিচারপতির কাছে যায়। সিদ্ধান্ত হলো, অভিযোগ ওঠা চারজন বিচারক আগামীকাল থেকে পঞ্চগড় আদালতে কোনো বিচারকাজ করবেন না এবং তাঁরা এখান থেকে চলে যাবেন। আর আপনাদের যেসব অভিযোগ রয়েছে, তা লিখিত আকারে আমার কাছে দেবেন, আমি সেগুলো মাননীয় প্রধান বিচারপতির কাছে পাঠাব। জেলা প্রশাসকের ঘোষণার পর আন্দোলনকারীরা আদালত চত্বর ত্যাগ করেন।
মোঃ বাবুল হোসেন পঞ্চগড় জেলা প্রতিনিধি