February 5, 2025, 3:01 pm

বিজ্ঞপ্তি :
বিশেষ সতর্কীকরন - "নতুন বাজার পত্রিকায়" প্রকাশিত সকল সংবাদের দ্বায়ভার সম্পুর্ন প্রতিনিধি ও লেখকের। আমরা আমাদের প্রতিনিধি ও লেখকের চিন্তা মতামতের প্রতি সম্পুর্ন শ্রদ্ধাশীল। অনেক সময় প্রকাশিত সংবাদের সাথে মাধ্যমটির সম্পাদকীয় নীতির মিল নাও থাকতে পারে। তাই যেকোনো প্রকাশিত সংবাদের জন্য অত্র পত্রিকা দায়ী নহে। নতুন বাজার পত্রিকা- বাংলাদেশের সমস্ত জেলা, উপজেলা, ক্যাম্পাস ও প্রবাসে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে! বিস্তারিত: ০১৭১২৯০৪৫২৬/০১৯১১১৬১৩৯৩
শিরোনাম :
ময়মনসিংহ প্রেসক্লাব সংস্কারের দাবী আগামী সপ্তাহের মধ্যে বাস্তবায়ন চায়-সংস্কার কমিটি জাতি জানতে চায় যেকোনো ব্যক্তির সাথে কারো ছবি থাকলেই কি সে দোষী? নিষিদ্ধ পলিথিন অবাধে বিক্রি ও ব্যবহারে পরিবেশ দূষণ-নিরব ভূমিকায় প্রশাসন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের জালে বিটিভির ঝিনাইদহ প্রতিনিধিসহ ইবির দুই শতাধিক কর্মকর্তা কর্মচারী পঞ্চগড় জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের তথ্য দিতে তালবাহানা পাইকগাছায় গোবরের তৈরী শলাকা মেটাচ্ছে জ্বালানীর চাহিদা পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় মাঠ দিবস ও কারিগরি আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত মহেশপুরে আজগর আলী ভুলুর বিরুদ্ধে ঝাড়ু মিছিল ও মানব বন্ধন অনুষ্ঠিত মিমপি রাজশাহী মেডিক্যালে ভর্তি হলো মধুপুর পৌরশহরের ৭নং ওয়ার্ডে প্রচারণা সভা অনুষ্ঠিত
পর্যাপ্ত খেজুর গাছ না থাকায় গাছিরা পরিবর্তন করেছে পেশা

পর্যাপ্ত খেজুর গাছ না থাকায় গাছিরা পরিবর্তন করেছে পেশা

আমিরুল ইসলাম কবির,
স্টাফ রিপোর্টারঃ

গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে প্রায় পুরোপুরিই হারিয়ে গেছে ঐতিহ্যবাহী খেজুর গাছ ও খেজুরের রস। শীত মৌসুম এলেই এক সময়ে গ্রাম-বাংলার প্রতি ঘরে ঘরে খেজুরের রস দিয়ে ফিরনি,পায়েস, খেজুর রসের গুড় দিয়ে ভাঁপা পিঁঠা এবং গাড় রস দিয়ে তৈরী করা মুড়ির মোয়া,চিড়া,খই ও চিতই পিঠাসহ হরেক রকম পিঠাপুলির মহোৎসব চলতো। কিন্তু আগের মতো আর গ্রামে বাড়ি বাড়ি কিংবা গ্রামের রাস্তা ঘাটের দু’পাশে সারি সারি খেজুর গাছ দেখা মেলা ভার। গ্রামের রাস্তাগুলো সংস্কার ও নতুন করে খেজুর গাছ রোপনে মানুষের আগ্রহের অভাবে বাংলার ঐতিহ্যবাহী খেজুর গাছ ও খেজুরের রস ধীরে ধীরে হারিয়ে যেতে বসেছে। তবে এখনও রাস্তার আশেপাশে কালের স্বাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে নামমাত্র কিছু সংখ্যক খেজুর গাছ। আর রস আহরণে এখনো গ্রাম্য রীতিতেই ঝুঁকি নিয়েই কোমরে রশি বেঁধে শীতের বিকালে ছোট-বড় মাটির হাঁড়ি গাছে বেঁধে রেখে পরের দিন সকালে তা নামিয়ে রস সংগ্রহ করেন গাছিরা। আগে তারা এই কাঁচা রস এলাকার বিভিন্ন স্থানে ও হাট-বাজারে পাড়া মহল্লায় বিক্রি করে জীবন জীবিকা নির্বাহ করতো। আবার কেউ কেউ সকালে রস জ্বাল দিয়ে গুড়-মিঠাই তৈরি করতো। প্রতিবছর এই মৌসুমে অযত্নে-অবহেলায় পথে প্রান্তরেও পরে থাকা খেজুর গাছের রস ও গুড় বিক্রি করে বাড়তি টাকা উপার্জন করতো তারা।
কিন্তু বর্তমানে পর্যাপ্ত খেজুরের গাছ না থাকায় গাছিরাও তাদের এই পেশা পরিবর্তন করতে বাধ্য হয়েছে।

বর্তমানে খেজুরের গাছ বিলুপ্তীর দ্বার প্রান্তে চলে যাওয়ায় উপজেলা কৃষি দপ্তর সহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের এবং আমাদের সকল নাগরিকদেরকে বাড়ির আসেপাশে খেজুর গাছ রোপণ করা এখন সময়ের দাবি। এতে করে আগামী প্রজন্মও ফিরে পাবে ঐতিহ্যবাহী খেজুর গাছ ও খেজুরের রস।।

Please Share This Post in Your Social Media






© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Design & Developed BY AMS IT BD