বেতাগীতে নির্মাণের সাত দিনের মাথায় মাদ্রাসা ভবনের সিঁড়ি ধস

খাইরুল ইসলাম মুন্না বেতাগী (বরগুনা) প্রতিনিধি

বরগুনার বেতাগী উপজেলায় একটি নির্মাণাধীন মাদ্রাসা ভবনের সিঁড়ি নির্মাণের ৭ দিনের মাথায় গত সোমবার রাতে ধসে পড়েছে। নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করায় এ ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর।ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নাম বেতাগী সালেহীয়া সিনিয়র মাদ্রাসা। এটি বেতাগী পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডে অবস্থিত। কয়েকদিন আগে মাদ্রাসাটির একতলা ভবনের ছাদের সাথে দোতলার ছাদে উঠার সিঁড়ি নির্মাণ করা হয়।

জানা গেছে, বেতাগী সালেহীয়া সিনিয়র মাদ্রাসার চারতলা ভবন নির্মাণের জন্য পটুয়াখালীর ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নাজমুন সাদাত ট্রেডার্স কার্যাদেশ পায়। শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের অর্থায়নে ৩ কোটি ৪৫ লক্ষ টাকা ব্যয়ে এর নির্মাণকাজ গত মে মাসে শুরু হয়। তবে শুরু থেকেই নির্মাণে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ ওঠে। স্থানীয় লোকজন এ বিষয়ে শিক্ষা প্রকৌশলী এবং ঠিকাদারের কাছে বারবার অভিযোগ করলেও তাঁরা কর্ণপাত করেননি।

সর্বশেষ গত সোমবার রাতে মাদ্রাসার দোতালায় উঠার সিঁড়ি ধসে পড়ে।স্থানীয়দের অভিযোগ, নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার কারায় সিঁড়িটি নির্মাণের কিছু দিন যেতে না যেতেই ভেঙে পড়েছে। এতে ওই ভবনের নির্মাণ কাজের মান নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। যেকোন সময় পুরো ভবনটি ভেঙ্গে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করেছেন এলাকাবাসী।

স্থানীয় বাসিন্দা ইউসুব মিয়া বলেন, ভবনটি নির্মাণের শুরু থেকেই ঠিকাদার নিন্মমানের উপকরণ ব্যবহার করে আসছে। ঢালাইতেও টেম্পারবিহীন সিমেন্ট ও কম রড দেওয়া হয়েছে। তাদের প্রয়োজনীয় মিক্সার মেশিনও ছিলো না। এ বিষয়ে কথা বলার জন্য ঠিকাদারের সাথে যোগযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।

তবে ভবন নির্মাণ কাজের তদারকির দায়িত্বে থাকা ঠিকাদারের প্রতিনিধি মো. তুষার বলেন, ভবনের ত্রুটিপূর্ণ প্রাক্কালনের কারণে সিঁড়ি ধ্বসে পড়েছে। প্রাক্কালনের মধ্যে সিঁড়ি নীচের স্তরে গোড়ায় দুটি পিলার থাকলে এ দূর্ঘটনা হতো না।

এ বিষয়ে বরগুনার শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের সহকারী প্রকৌশলী মো. আখতারুজ্জামান বলেন, ঢালাই কাজের ২১ থেকে ২৮ দিন পর সাটারিং খোলার নিয়ম থাকলেও শ্রমিকেরা একসপ্তাহের মাথায় সাটারিং খোলার কারণে সিঁড়ি ধসে পড়ে। ঢালাইয়ের কাজে নিন্মমানের মালামাল ব্যবহার করা হয়েছে বিষয়টি এমন নয়। আমরা দ্রুতই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *