বাবুগঞ্জে স্ত্রী ও পুত্র সন্তানদের অবহেলায় মানবেতর জীবন কাটাচ্ছেন সাইদুর

কে এম সোয়েব জুয়েল,
বাবুগঞ্জে স্ত্রী ও দুই পুত্রের অবহেলা অনিহায় মানবেতর জীবন কাটাচ্ছেন মো: সাইদুর রহমান পান্না মিয়া।

এমনটি দেখা গেছে বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার বীরশ্রেষ্ঠ জাহাঙ্গীর নগর ইউনিয়নের আগরপুর গ্রামের ঐতিহ্যবাহী মিঞা পরিবারের মৃত মো : খলিলুর রহমান মিয়ার পুত্র সাইদুর রহমান পান্না মিয়া ৭০ এর বেলায়।

অসহায় মো: সাইদুর রহমান পান্না মিঞা আক্ষেপের সাথে বলেন, তিনি দীর্ঘ ৪০ বছরের অধিক সময় চিটাগাং এর শ -ওয়ালেস শিপিং করপোরেশনে একাউন্টস অফিসার হিসাবে সুনামের সাথে চাকুরি করে ২০১০ ইং সালে চাকুরি থেকে অবসর নেন তিনি।

চাকুরিরত অবস্হায় স্ত্রী ও ছেলে সন্তান নিয়ে চিটাগাংগের একই বাসায় সুখ দুখ নিয়েই জীবনের দীর্ঘ সময় পারি দেন তিনি। এবং ছেলে সন্তানদেরকে কোলে পিঠে করে আদর সোহাগ দিয়ে পিতার দায়িত্ব ও কর্তব্যের ভিতর দিয়ে নিজে ভোগ বিলাশের দিকে না তাকিয়ে ও নিজে না খেয়ে না পরে , সামান্য চাকুরিব ভিতর দিয়ে আদরের দুই সন্তানকে উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত করে শেষ জীবনে সব হারিয়ে মানবেতর জীবন কাটাচ্ছেন তিনি।

অসহায় দুই পুত্র সন্তানের পিতা আক্ষেপ করে বলেন, তার আদরের বড় ছেলে আবু সাঈদ রুশদীকে এমবিএ পাশ করানোর পরে বেসকারি প্রতিষ্টান ওয়ালটনের শো-রুমে অফিসার পদে শরিয়াতপুরে যোগদান করিয়ে পিতৃত্বের পরিচয় সন্তান রুশদীর কাছ থেকে হারিয়ে ফেলেন। এবং তার আদরের ছোট ছেলে বীন সাঈদ বাকতিকে বহুল কস্টসাধ্যের ভিতর দিয়ে নিজের শেষ জীবনের কথা না ভেবে জীবনের শেষ উপার্জিত অর্থ দিয়ে সন্তান বাকতির সুখের কথা চিন্তে করে উচ্চ শিক্ষার জন্য বুয়েট আর্কিটেক্ট ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করিয়ে যুক্তরাজ্যে পাঠিয়ে দেই।
এবং সেখানে ক্যালফনিয়ায় ইউনিভার্সিটিতে চাকুরিতে যোগদান করে আমার খোজখবর নেয়া বন্ধ করে দেয় আমার ছোট সন্তান বীন সাঈদ বাকতি ৩০। এমনকি বৈবাহিক জীবনে তারা আবদ্ধ হলেও আমাকে জানানো কর্তব্য ও দায়িত্ববোধ টুকুও মনে করেননি আমার জন্ম দাতা আদরের পুত্র বাকতি। এমনটি প্রলাপ করেন দুই পুত্র সন্তানের অসহায় পিতা পান্না মিয়া।

তিনি বলেন, আমার সারাজীবনে কষ্টার্জিত অর্থ ছেলে সন্তানের উচ্ছ শিক্ষার্থে ব্যায় করে নিস্ব হয়ে অবশেষে অর্থের কাছে হেরে গিয়ে আমার সহধর্মিণী স্ত্রী রাসিদা নার্গিস আমাকে ফেলে আত্মগোপনে সন্তানের সাথে চলে যায় অজানা ঠিকানায়। ভাগ্যের নির্মম পরিহাসের কথা বলতে গিয়ে বুক ভাসিয়ে কেঁদে ফেলে মাটিতে লুটে পরেন তিনি (পান্না)।

স্ত্রী ছেলে সন্তানর খোঁজখবর মিলাতে না পেরে কোন উপায়ান্তর না পেয়ে অবশেষে বাবুগঞ্জের আগরপুরে তার সহোদর ছোট ভাই সাইফুল রহমান হিরার কাছে উঠেন তিনি।

স্ত্রী ও পুত্রের খোঁজ হীন অসহায় পিতার বাঁচার আকুতি ও আত্বনাতে আকাশ বাতাশ ভাড়ী ও প্রকৃতি নি:স্তদ্ব হয়ে গেলেও শুনছেননা এ অসহায় পিতার আত্মনাতের আহাজারির কথা কেউ। তাই খোঁজ হীন স্ত্রী ও সন্তানের অসুস্হ পিতা কোন উপায়ন্তর না পেয়ে দৈন্যতায় ভুগছেন তিনি। স্ত্রী সন্তান ফিরে পেতে মরিয়া উঠেছেন অসহায় পিতা সাইয়েদুর রহমান পান্না মিয়া।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *