উজিরপুরে ভুল চিকিৎসায় জীবন যুদ্ধের সন্ধিক্ষণে ব্যাবসায়ী

কে এম সোয়েব,
বরিশালের উজিরপুর উপজেলার বামরাইল ইউনিয়নে ঘন্টেস্বর গ্রামের মৃত মো: মুজাম্মেল হক মোল্লার পুত্র আবদুর রশিদ মোল্লা ৪৬ কে একই উপজেলার হস্তিচন্ড এলাকার ঈদগাহ মার্কেটের আদর্শ হোমিও চিকিৎসক ডা: মো: মশিউর রহমান ভুল চিকিৎসা সেবা দেয়ায় জীবন যুদ্ধের সন্ধিক্ষণের দারপ্রান্তে পৌছে মৃত্যুর প্রহর গুনছেন বলে জানিয়েছেন তিনি।

রশিদ জানায় দীর্ঘ ৩০ বছর ধরে ঢাকার মিরপুরে সুনামের সাথে টেইলারিং দোকান দিয়ে কাপর চোপর সেলাইয়ের কাজ করে স্ত্রী ছেলে সন্তান নিয়ে ভাল ভাবেই দিন কাটতেন তিনি। হঠাৎ তার ঘারে বন টিউমার দেখা দিলে ডাক্তার দেখিয়ে পরিক্ষা নিরিক্ষা করে সহায়সম্বল হারিয়ে নিস্ব হন তিনি।

অবশেষে অর্থের কাছে হেরে গিয়ে কোন উপায়ান্ত না পেয়ে ঢাকায় হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা সেবা নিয়ে অনেকটা সুস্থ হয়ে গত রামজান মাসে ছেলে সন্তান নিয়ে গ্রামে ফিরেন আবদুর রশিদ।

গ্রামে এসে দীর্ঘদিন ধরে ঢাকার চিকিৎসারত হোমিওপ্যাথিক ঔষধ সেবন করে স্বাভাবিক ভাবে বেঁচে থেকে নিজের কাজ নিজেই সেরে নিয়ে অনেকটা সুস্থ জীবন কাটান তিনি।

গত ১ মে ২০২৩ ইং ডাক্তার মশিউরের গ্রামে পাঠানো দালালের খপ্পরে পরে তিনি (রশিদ)।এবং মশিউরের চিকিৎসা সেবা নিতে মত প্রকাশে ডাক্তার মশিউর তার ( রশিদের) গ্রামের বাড়ি ঘন্ডেশ্বরে এসে পিচক্রিপশন ছারা ব্যাবস্তাপত্র দিয়ে টাকা হাতিয়ে নিয়ে রশিদকে ঔষধ খাওয়ার পরামর্শ দেন হোমিও চিকিৎসক মশিউর। তার ঔষধ খেয়ে রশিদ ক্রমান্নয়ে দুরাবস্থার এক পর্যায় ঢলে পরেন।

রশিদ এ ব্যাপারে ডাক্তার মশিউরের সাথে আলাপ করলে তার ভুল স্বীকার করে ক্ষামা চেয়ে বলেন, ঔষধ মিলাতে ভুল হয়েছে তাই এমন অবস্থা হয়েছে। তার ব্যাবস্হা পত্র সেবন করতে এক পর্যায় নিষেধ করেন তিনি।

রশিদ আরো জানান তার ছোট বোন শাহানাজ পারবিন ৩২ কে জয়েন্টে ব্যাথার ঔষধ দেন ডাক্তার মশিউর তা সেবনেও শরীরে পানি এসে ফুলে যায় ছোট বোন শাহানাজ। কোন উপায়ান্তর না পেয়ে শাহানাজ ঢাকায় গিয়ে টাকা খরচ করে ডাক্তার দেখিয়ে সুস্হ হন তিনি।

এসব ব্যাপারে মশিউর ভুল স্বীকার করে ক্ষমা চেয়ে পরক্ষণেই আবার ওই মার্কেটের সভাপতি সহ অন্য দোকানদার দিয়ে হুমকিও দিয়েছেন চিকিৎসক মশিউর এমনটিই জনিয়েছেন রশিদ।

তাই ভুয়া ডাক্তার মশিউরকে আইনের আওতায় এনে তার (রশিদ)স্বাভাবিক জীবনে ফিরে দিতে প্রশাসনের সর্বচ্ছ শাস্তির দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগী রশিদ ও তার পরিবারের লোকজন।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *