August 22, 2025, 10:23 am
মহিউদ্দীন চৌধুরীঃ
চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলার ধলঘাট ইউনিয়নের দক্ষিণ সুরমা গ্রামের হিন্দু সম্প্রদায়ের সুখেন্দু দস্তিদার নামের একব্যক্তির পৈত্রিক বসতভিটা জোরপূর্বক দখলের অভিযোগ পাওয়া গেছে। প্রতিপক্ষরা তার বসত ভিটা থেকে উচ্ছেদ করে সেখানে পাকা স্থাপনা নির্মাণের প্রক্রিয়া শুরু করেছেন।
এ ঘটনায় সুখেন্দু দস্তিদার পটিয়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগ দায়েরের পর থেকে বাদী সুখেন্দু দস্তিদারকে অভিযোগ প্রত্যাহার না করলে প্রাণনাশের হুমতি দিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ধলঘাট মৌজাস্থ বি.এস ৩২৪০ নং দাগে ১ গন্ডা বা ২ শতক পরিমাণ জায়গায় বহুকাল পূর্ব হইতে স্থিত শ্রীশ্রী মধুসুদন বিগ্রহ বাড়ী তৎ পক্ষে সেবাইয়েত সুধাংশু বিমল সেন মরণে তৎ মাতা পুষ্পলতা সেন বিগত ১৯৯২ সালে চিকিৎসা উপলক্ষে ভারতে যাওয়ার সময়ে অধীন অভিযোগকারীর পিতা অমরেন্দ্র লাল দস্তিদারকে এলাকার সর্বসাধারণের জ্ঞাতসারে মৌখিকভাবে উক্ত বিগ্রহের সেনাইয়েত নিয়োগ করিয়া যান। চিকিৎসারত অবস্থায় উক্ত পুষ্পলতা সেন ভারতে মৃত্যু বরণ করেন। তাহার মৃত্যুতে অধীনের পিতা অমরেন্দ্র লাল দস্তিদার নিরবিচ্ছিন্নভাবে উক্ত বিগ্রহের সেবাইয়েতের দায়িত্ব পালন করিতে থাকাবস্থায় বিগত ২০০২ সালে মৃত্যুবরণ করিলে, প্রধান অভিযোগকারী ধর্ম ও শাস্ত্রীয় রীতি-নীতি অনুসরণ ও প্রতিপালনে নিজ হড় পিতার স্থলাভিষিক্ত হলো, বিগ্রহের সেরা হয়েতের কাজ পুজারী নিয়োগে থাকা চালাইয়া যাইতে থাকাবস্থায় মোহাম্মদ মুছার নির্দেশে কয়েকজন জায়গা দখলের চেষ্টা করেন। প্রতিপক্ষ মধুসূদন বিগ্রহের ভিটি ভূমিতে পাকাগৃহ নির্মাণ করিবে এবং উক্ত নির্মাণ কাজে বাধা দিলে বাধাদানকারীকে খুন, জখম, এমনকি প্রাণে হত্যা করিতেও দ্বিধাবোধ করিবে না বলে হুমকি দেন।
এ ব্যাপারে পটিয়া থানার উপ-পরিদর্শক মো. সায়েম জানান, এ সংক্রান্ত একটি অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থলে পরিদর্শন করেছি। উভয় পক্ষের সঙ্গে কথা বলেছি। এরপর যে কোন দিন একজন সার্ভেয়ার নিয়ে জায়গাটি পরিমাপ করে তারপর আইনানুগ ব্যবস্থা নিব।